পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

admin September 07, 2018
রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটবিহীন গঠিত বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থগিত হওয়ার পরও জোরপূর্বব প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পক্ষের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

pirganj-raypur-school-foto-4

বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যথারিতি ক্লাশ চলছিলো। হঠাৎ করে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে স্কুলে আসেন স্থগিত হওয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু। তিনি মাঠের মধ্যে থাকা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ভবনের দোতলায় যেতে বলেন। ছাত্রছাত্রীরা দোতলা উঠলে তার সঙ্গে আসা লোকেরা দোতলার সিড়ির গেটে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম নান্নু পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খয়বারকে স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে পড়ে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে নান্নুর লোকজনের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নান্নুর লোকজনেরা শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে খায়রুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ঘেরাও করলে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের সাথে ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি নান্নুর সাথে আসা বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে স্কুল থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাম করছে।pirganj-raypur-school-foto

এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির সময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ, স্কুল ম্যানেজিং সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হক তুষার, অভিভাবক শরিফুল ইসলাম সবুজ, শিক্ষার্থী লিখন, তাসকিরাতুলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গোলাপ, তুষার ও সবুজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, আমি বিভিন্ন রকমের চাপে রয়েছি। এই মুহুর্তে আমি কাউকে কিছু বলতে পারছি না।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো কোন প্রধান শিক্ষকের কাগজপত্রে কোন সই করা হয়নি। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমি ওই ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধ চলছে। সেই জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

pirganj-raypur-school-foto
সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড নেত্রকোনার ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্রের

সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড নেত্রকোনার ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্রের

admin September 06, 2018

সারাদেশ: একটানা ১৮৫ কিলো মিটার সাঁতার কেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এএনএস কনসালট্যান্ট ও নেত্রকোনা জেলার সাঁতারু বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে গেল সোমবার শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার ভোগাই নদীর ব্রিজ থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি। এরপর বিরামহীন ভোগাই, নেতাই, কংস ও মগড়া নদী পাড়ি দেয়ার পর বুধবার রাত ৮টায় মোট ৬১ ঘণ্টায় তিনি ১৮৫ কিলোমিটার নদীপথ সফলভাবে সাঁতরে অতিক্রম করেন। নেত্রকোনার মদন উপজেলার দেওয়ান বাজারে মগড়া নদীর ঘাটে এ প্রদর্শনী শেষ করেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র।


এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসে মাত্র ৪৩ ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েও রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী প্রবীণ এ সাঁতারু জানান, গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান পেতে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিরামহীন সাঁতার প্রদর্শনী চলাকালে এক মিনিটের জন্যও কোথাও থামেননি। নদীতে সাঁতার অব্যাহত রেখেই গ্রহণ করছেন তরল জাতীয় খাবার।


মূলত আমেরিকার সাঁতারু ডায়ানা নাঈদের ২০১৩ সালে কিউবা টু ফ্লোরিডার ১৭৭ কিলোমিটার দূরপাল্লার সাঁতারের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতেই তার এ সাঁতার। ক্ষিতীন্দ্র সাঁতার করছেন এমন খবরে বুধবার দুপুরের পর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মগড়া নদীর বিভিন্ন ঘাটে ও আনাচে-কানাচে অপেক্ষা করতে থাকে। তাকে দেখেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।


সোমবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শেরপুরের নালিতাবাড়ির ভোগাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার শুরু করেন ৬৭ বছর বয়সী এই সাঁতারু। এর আগে সেখানে এক অনুষ্ঠানে এ সাঁতার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। এ সময় নালিতাবাড়ী পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, নেত্রকোনার মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র মোদাচ্ছের হোসেন শফিকসহ মদন নাগরিক কমিটি এবং নালিতাবাড়ি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষিতীন্দ্রের এ সাঁতারে মদন উপজেলা নাগরিক কমিটি ও নালিতাবাড়ি পৌরসভা এ সাঁতার অনুষ্ঠানে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে সার্বিক সহায়তা করে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এএনএস কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। ১৯৭০ সালে সিলেটের ধোপাদিঘি পুুকুরে সাঁতারু অরুণ কুমার নন্দীর বিরামহীন ৩০ ঘণ্টার সাঁতার প্রদর্শনী দেখে তিনি সাঁতারে উদ্বুদ্ধ হন। শুরুতে ওই বছরের মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর উন্নয়ন কেন্দ্রের পুকুরে ১৫ ঘণ্টার সাঁতার প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে আলোচিত হন।khitindra-Swimmer


পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সাঁতারের রেকর্ডও রয়েছে তার। ১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট বিরামহীন সাঁতার প্রদর্শন করে জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করায় ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ডাকসুর উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।


জানা যায়, ১৯৭৬ সালে তিনি জগন্নাথ হলের পুকুরে ১০৮ ঘণ্টা ৫ মিনিটব্যাপী সাঁতার প্রদর্শন করে পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জগন্নাথ হলের পুকুরে পাড়ে একটি স্মারক (ফলক) নির্মাণ করে।


এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ঢাকা স্টেডিয়ামের সুইমিং পুল, মদন উপজেলা পরিষদের পুকুর এবং নেত্রকোনা পৌরসভার পুকুরে তার একাধিক সাঁতার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতেও দূরপাল্লার সাঁতার প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে মাত্র ১২ ঘণ্টা ২৮ মিনিটে মুর্শিদাবাদের ভাগিরথী নদীর জঙ্গিপুর ঘাট থেকে গোদাবরী ঘাট পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেন তিনি।


সাঁতার প্রদর্শনী ও রেকর্ড সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে গণভবনে ডেকে রূপার নৌকা উপহার দেন। একই বছর ডাকসু তাকে বিশেষ সম্মাননা সূচক স্বর্ণপদক দেয়। এছাড়াও জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ দুইবার এবং শামছুন্নাহার হল কর্তৃপক্ষ একবার তাকে সংবর্ধনা ও স্বর্ণপ্রদক প্রদান করে। এছাড়া বহু সংগঠন পুরস্কৃত করে তাকে।


মদন উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক (সাবেক মেয়র) দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন শফিক জানান, এই কৃতি সাঁতারুর ১৮৫ কিলোমিটার বিরামহীন সাঁতারের রের্কড রাখতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারিখ ও সময় নির্ধারিত ভিডিও ক্যামেরায় ফুটেজ রাখা হয়েছে। এই সাঁতারে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।


ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য আমাদের দেশের গর্ব, ওনাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। গিনেস বুকে নাম লেখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

মেয়েরা বিয়ের পরে হঠাৎ কেন মোটা হতে থাকে?

মেয়েরা বিয়ের পরে হঠাৎ কেন মোটা হতে থাকে?

admin September 06, 2018

ঘটনা-১: বিয়ের আগে বেশ শুকনা ছিলো শিমু। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই হঠাৎ সে মোটা হতে শুরু করেছে। এবং খুব দ্রুতই তা বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে শিমু। পরে টেনশনে পরে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তাতে তো হিতে-বিপরীত‍! কারণ না খেয়ে, টেনশনে না ঘুমিয়ে শিরিন দিন দিন আরও বেশি মোটা হতে থাকে।


এই ঘটনা শুধু শিমুর ক্ষেত্রেই নয়, বরং সব নারীরাই বিয়ের পরপরই মোটা হতে থাকেন। কেন, কিভাবে মোটা হচ্ছে না বুঝেই অনিয়ম করে শরীর আরো ভারি করে ফেলেন। আসুন কারণগুলো জেনে নেই এবং মেনে চলার চেষ্টা করে শরীরকে ফিট রাখা যায়।


সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা
বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। চর্বিযুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড সব কিছুতেই তখন তাদের ‘না’ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময়ই একটা তাগিদ থাকে। তবে অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না।


আরও পড়তে পারেন >> ‘টাকা’র জীবাণু ক্ষতি করছে আমাদের!


ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। তবে দেখা যায়, বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে এ ধরনের খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। আবার অনেক মেয়েই নতুন নতুন রেসিপি রান্না করে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এটিও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরিবারের সবাইকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোই লাগে, তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকেও সে সব খাবার চেখে দেখতে হবে!


নিজের জন্য সময় নেই
বিয়ের পর নতুন সম্পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন গুরুত্ব বদলে যায় বা অগ্রাধিকার বদলে যায়, ফলে নিজের প্রতি আর নজর দেওয়া হয় না, ব্যায়াম তো দূরের বিষয়। বিয়ের পর মুটিয়ে যাওয়া এটি একটি বড় কারণ। আগে হয়তো ব্যায়ামের জন্য বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পালনের জন্য সময় বের করতেন, তবে বিয়ের পর এগুলো আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে গিয়ে বা সংসারের কাজের ঝামেলায় নিজের জন্য আর সময়ই পাওয়া যায় না। মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবে তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন।


বাইরের খাবার
বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ রান্না এড়িয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়া। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার ক্ষেত্রে অতটা পটু থাকেন না, তখন বাইরের খাবার হয় ভরসা। বাইরের খাবার বা হোটেলের খাবারে প্রচুর তেল দেওয়া হয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।


গর্ভধারণের জন্য
গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন এই সময়টায় বেড়ে যায়।


জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রক যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে (যেমন- পিল বা ইনজেকশন) বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়।


নিজেদের কাছে বেশি সময় থাকতে চায়
অনেক স্বামীই রয়েছেন, যারা বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গ পছন্দ করেন। যার জন্য হয়তো স্ত্রীর আর ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। পরস্পরের বোঝাপড়ার জন্য এটি অবশ্যই ভালো। তবে স্বাস্থ্যকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই স্বামীকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। অথবা দুজনে একত্রে কোনো জিমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।


আলস্য
বিয়ের পর মেয়েরা শুধু খায় আর ঘুমায়, কোনো কাজই করে না। বিয়ের পর অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে নিজের প্রতি এতই অবহেলা দেখায় যে শরীরেরও যত্ন নেয় না। বিয়ের পর ওজন বাড়ার বড় কারণ এই আলস্য।

চমকে দিলেন তিশা

চমকে দিলেন তিশা

admin September 05, 2018

বিনোদন ডেস্ক: ১১ বছর পর টেলিভিশনের জন্য টেলিছবি নির্মাণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আনিসুল হকের লেখা উপন্যাস ‘আয়েশামঙ্গল’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন তিনি। এটিতে আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টেলিছবিটি শুরু থেকে বেশ আলোচনায় আসে। একদিকে ১১ বছর পর ফারুকীর টেলিছবি নির্মাণ।


অন্যদিকে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র তিশা। এটি প্রচারের পর দর্শকদের নিরাশ হতে হয়নি। তিশা দর্শকদের চমকে দিলেন। তার অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সবাইকে ভীষন ঘোরে রাখেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, আয়েশার জন্য যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, মেসেজ পাচ্ছি, সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আয়েশাকে যখন আমি দেখি, ঠিকঠাক চিনতে পারি না। কে এই মেয়েটা? এত বেদনার ভার নিয়ে মেয়েটা হাঁটছে কিভাবে?


আরও পড়তে পারেন >>  তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ৪০ প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’


এটি ছাড়াও তিশাকে ঈদে দেখা গেছে সাগর জাহানের ‘মাখন মিয়ার শিক্ষিত বউটা’ ও ‘মাহিনের রূপবান বিয়ে’, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘একটু হাসো’, মাসুদ সেজানের ‘চরিত্র: স্ত্রী’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘বৃত্ত’সহ বেশ কিছু নাটকে। বিশেষ দিবসের নাটক টেলিছবির বাইরে এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সম্প্রতি তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবির কাজ শেষ করেছেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে।

তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ৪০ প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’

তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ৪০ প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’

admin September 05, 2018

বিনোদন ডেস্ক: ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘জান্নাত’। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি প্রশংসা পাচ্ছে। যার ফলে তৃতীয় সপ্তাহে এসে সিনেমাটি নতুন আরো ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আসছে শুক্রবার থেকে অর্ধশত প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’ দেখা যাবে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।


আজ বুধবার মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ঈদের দিন ‘জন্নাত’ মাত্র সারাদেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। তৃতীয় সপ্তাহে এসে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। বিষয়টি অনেক আনন্দের। ধ্বংস স্তূপ থেকে ‘জান্নাত’ আলোর মুখ দেখছে। যেটা সম্ভব হয়েছে সিনেমাটির কোয়ালিটির কারণে। ‘জান্নাত’ দেখে কেউ খারাপ বলেননি। প্রেক্ষাগৃহের মালিক, বুকিং এজেন্ট ও দর্শকরা সবাই প্রশংসা করেছেন। আর এটাই আমাদের সার্থকতা।


আরও পড়তে পারেন >> ‘হেলো হেলো’ গানে মালাইকার ঝড়


যদিও প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা দিয়ে সিনেমার কোয়ালিটি বিচার করা যায় না। তবুও তৃতীয় সপ্তাহে এসে সংখ্যা বাড়াটা আমি ইতিবাচক দেখছি। কারণ সিনেমাটি ভালো না হলে এত প্রেক্ষাগৃহের নতুন করে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকতো না’, যোগ করে বলেন ‘দুই নয়নের আলো’খ্যাত এই নির্মাতা। ‘জান্নাত’-এ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও মাহিয়া মাহি।


এসএস মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমাটির কাহিনি লিখেছেন সুদীপ্ত সাঈদ খান। সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আসাদ জামান। এতে আরও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, মিশা সওদাগর, মারুফ প্রমুখ।

‘হেলো হেলো’ গানে মালাইকার ঝড়

‘হেলো হেলো’ গানে মালাইকার ঝড়

admin September 05, 2018

বিনোদন ডেস্ক: ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’, ‘মুন্নি বদনাম’ এই গানগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। যেখানে বেশ নজর কেড়েছিলেন মালাইকা আরোরা। সেই মালাইকা আবার ফিরছেন সিনেমায়। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় ‘পটাকা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।


এই ছবির ‘হেলো হেলো’- গানে নাচতে দেখা গেছে তাকে। আরবাজ খানের প্রাক্তন স্ত্রীর এই গানটি প্রকাশ পাওয়ার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ‘হেলো হেলো’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মালাইকার নাচ। সবকিছু মিলিয়ে মুক্তির আগেই বেশ সাড়া ফেলেছে গানটি।


আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ‘পটাকা’ সিনেমাটি। এই সিনেমায় রাধিকা মদন, সানায়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভারের পাশাপাশি রয়েছেন বিজয় রাজ এবং টেলিভিশন অভিনেতা সনদ বর্মাও। মালাইকা বলেন, আমার কাজটা করে খুব ভালো লেগেছে। ছবির নাম আর টাইটেল ট্র্যাক দুটোই ভালো লেগেছে।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ এনবিআরের

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ এনবিআরের

admin September 05, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)এদেশে কর্মরত শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক লেনদেন বিশেষভাবে নিরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। ওসব কোম্পানির বিদেশে অবস্থিত মূল কোম্পানি কিংবা অন্য কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনের সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। ওই লক্ষ্যে এনবিআরের ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলকে শক্তিশালী করতে স¤প্রতি তা পুনর্গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এনবিআরের কাছে রয়েছে শতাধিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্যসহ নথিপত্র। তার মধ্য প্রাথমিকভাবে নিরীক্ষা করা হবে লেনদেনে সন্দেহ রয়েছে এমন কোম্পানির তথ্য। ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনদেনে স্বচ্ছতার পাশাপাশি কর ফাঁকি ধরা সম্ভব হবে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর শাখা কোম্পানি সুদ, মুনাফা, কোনো সম্পদ কিংবা কোনো পণ্যের মূল্য মূল কোম্পানিতে পাঠায়। তাছাড়া পণ্য বা সেবা আমদানির মূল্যও মূল কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানিকে পাঠায়। তা ট্রান্সফার প্রাইসিং হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্যের দর কম বা বেশি দেখিয়ে কিংবা মুনাফার অর্থ প্রেরণে মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে কর ফাঁকির পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে, এর ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে থাকে। কিন্তু কার্যকর কোনো উপায় না থাকায় ওসব কর ফাঁকি অধরাই থেকে যাচ্ছে। সাধারণত যেসব দেশে কর হার বেশি, সে দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা কৌশলে কর হার কম- এমন দেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। তাতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, কিন্তু কর কম দিতে হয়। এটি এক ধরনের অর্থপাচার। তাতে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপেক্ষাকৃত বেশি কর রয়েছে এমন দেশগুলো। এভাবে বিশ্বজুড়ে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি কর এড়িয়ে যায় বা কর ফাঁকি দেয়।
সূত্র জানায়, এদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত কর আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন প্রণয়ন করে। তবে ২০১৪ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। ওই লক্ষ্যেই ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনদেন সংক্রান্ত নথি বিশেষায়িত নিরীক্ষা করা শুরু হয়নি। এ কার্যক্রমে গতি আনার লক্ষ্যে স¤প্রতি ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল পুনর্গঠন করা হয়। এনবিআরের প্রথম সচিব শব্বির আহমেদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ওই সেল নতুন করে অডিট কার্যক্রম তদারক করবে। আর চলতি অর্থবছরের মধ্যেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক লেনদেনকারী কোম্পানিগুলো অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে। বছরে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা আন্তর্জাতিক লেনদেন হয় এমন ১শ’ থেকে ১২০টি কোম্পানি এনবিআরের কাছে তাদের সব লেনদেনের বিবরণী পাঠায়। যদিও দেশে বহুজাতিক কোম্পানির সংখ্যা প্রায় পৌনে ২শ’। প্রাথমিকভাবে তার মধ্য থেকেই সন্দেহজনক লেনদেনকারী বা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কোম্পানির তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হবে। যে সব কোম্পানির লেনদেনে সন্দেহ তৈরি হবে, সেগুলোতে বিশেষায়িত অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, বিদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার ধরনসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত দাম দিয়েই পণ্য আমদানি করেছে কিনা তা বছর শেষে যাচাই-বাছাই করবে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটি যে পণ্য আমদানি করেছে সেই পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করবেন কর কর্মকর্তারা। এ কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে। আর বহুজাতিক কোম্পানি ছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন করে এমন প্রতিষ্ঠানের উপর একটি জরিপ চালিয়ে ৯২১টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে শুধু শাখা কোম্পানি এবং মূল কোম্পানি ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নামে কারসাজির সঙ্গে জড়িত এমন নয়। অন্য কোন কোম্পানি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেও মূল্য কারসাজি করে থাকে। ফলে সংশ্লিষ্ট দেশ কাক্সিক্ষত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানি মূলত আমদানিতে বাড়তি মূল্য দেখানোর মাধ্যমে কর ফাঁকি এবং অর্থপাচার করে। ২ ডলারের পণ্য আমদানিতে হয়ত ১০ ডলার দেখায়। তার বাইরে আরো অনেক উপায়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর একটি অংশ কর ফাঁকি দেয়। এভাবে ফলে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি ঠেকাতে বেশ আগে থেকেই কার্যক্রম শুরু করা হলেও এই অঞ্চলের দেশগুলো তাতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে ২০০১ সালে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার পর কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে রয়েছে। দেশে ২০১২ সালে এ সংক্রান্ত আইন হলেও কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে চলতি বছর।

কাউনিয়ায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ

কাউনিয়ায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ

admin September 05, 2018
কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সর্বত্র আমন ধান ক্ষেতে মাজরা পোকাড় প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ পোকার আক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে উপজেলার ৯৫ শতাংশ কৃষিজীবীরা দুঃচিন্তায় ভুগছেন। কিছু ক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন এখন কীটনাশক ওষুধেও ভেজাল বের হয়েছে। কিন্ত ভেজাল ওষুধ শাসনে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই।

উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের গোপাল চন্দ্র জানায়, একেতো বৃষ্টি নাই তার ওপর পোকাড় আক্রমন। তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমিত সেচ দিয়ে যে টুকু ধান গারছি তাও বোধহয় পোকায় খাইবে। তিনি জানান, তার এবারে ৬ দোন জমির মধ্যে অনেক কষ্টে ৩ দোন (৭৫ শতক) জমিতে আমন আবাদ করছি। মাজরা পোকাড় ওষধ ২ বার স্প্রে করছি তাও হামার ধান ক্ষেত পোকা মুক্ত হয় নাই। উপজেলার পূর্বচান্দঘাট গ্রামের হানিফ নেতা জানান, হামরা অরিজিনাল কৃষক, জমিতে আবাদ করি আর সারা বছর সংসারের খরচ চালাই, তিনি বলেন, তার ৪ একর জমির সবটাতেই মাজরা পোকা ধরছে। অনেক কষ্টে ওষুধ স্প্রে করনো আল্লায় জানে এলা কী হইবে। আবাদ তো অর্ধেক খাইছে খরায় আর বাকী অর্ধেক বোধায় পোকায় খাইবে। কীটনাশক বিক্রেতা বরুয়াহাট বাজারের আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশীর ভাগ জমিত মাজরা পোকাড়র আক্রমন হয়েছে।

তবে ভিরতাকো, কাটাপ্রিড, জি গোল্ড, ফিকর, জেলড, মর্টার ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করলে পোকাড় প্রকোপ কমে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনর রশীদ জানান চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৪’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। মাজরা পোকাড়র আক্রমন নাই। তারমতে, উপজেলার ১৯ টি ব্লকে ১৯ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারাক্ষণ মাঠে কাজ করেন। তিনি নিজেও গত মঙ্গলবার সন্ধায় আলোর ফাঁদ তৈরী করে মাজরা পোকা সনাক্তের চেষ্টা করেছেন কিন্ত পাননি। তবে কী কৃষকরা ভুল করছেন, নাকী কৃষি অফিস তাদের তদারকিতে গাফিলতি করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা অবশ্য মাজরা পোকাড় আক্রমন প্রতিরোধে জমিতে পার্চিং করা এবং লাইভ প্রতিরোধ অর্থাৎ ধৈঞ্চা গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

একদিকে কৃষক বলছেন মাজরা পোকা অপর দিকে কৃষি অফিস বলছেন মাজরা পোকা নয়। এখন কৃষক কোন পথে হাটবেন সেটা নিয়েও কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাগ্রত তেঁতুলিয়ার’ আত্মপ্রকাশ

সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাগ্রত তেঁতুলিয়ার’ আত্মপ্রকাশ

admin September 05, 2018

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: ‘তেঁতুলিয়ার তারুণ্য জেগেছে এবার, করবে অন্যায় সাধ্য কার’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একটি তারুণদীপ্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়ার স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির সমন্বয়ক সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল সংবাদ সম্মেলনে তাদের কার্যক্রমের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।


এ সময় তিনি জানান, তরুণ নিয়ে গঠিত জাগ্রত তেঁতুলিয়া মাদক, বাল্য বিয়ে, বোমা মেশিন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।

বাংলাবান্ধা বন্দরে চার্জ পরিশোধ না করায় শতাধিক ট্রাক আটকা, অচলাবস্থা সৃষ্টি

বাংলাবান্ধা বন্দরে চার্জ পরিশোধ না করায় শতাধিক ট্রাক আটকা, অচলাবস্থা সৃষ্টি

admin September 05, 2018
পঞ্চগড়: দেশের উত্তরের স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে চার্জ (ট্যারিফ) পরিশোধ না করায় ভুটানের শতাধিক ট্রাক আটক পরেছে। এতে করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সৃষ্টা হয়েছে অচল অবস্থা। সিএন্ডএফ এজেন্টরা বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের বকেয়া পরিশোধ না করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, সিএন্ডএফ এর কতিপয় এজেন্টরা বন্দর চার্জ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে। তাই বন্দর কতৃপক্ষ সিএন্ডএফ এজেন্টদের নতুন করে আমদানি করা পণ্যে বন্দর চার্জ নগদ টাকা পরিশোধ করতে বললে এই অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়। ভুটান থেকে আমদানি করা ১০৩টি ট্রাকের পাথর আনলোড না করায় ভুটানের প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক চালক সহ বন্দরে গত ৬ দিন যাবত আটকা পড়েছে। গত বৃহষ্পতিবার থেকে এই অচলাবস্থা বিরাজমান করছে। এতে করে ভুটানের ট্রাক চালকদের মধ্যে খোভের সৃষ্টি হয়ে বন্দর সংরক্ষিত এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ।
ল্যান্ডপোর্র্টের ম্যানেজার মামুন সোবহান জানান, ১২/১৩ জন সিএন্ডএফ এজেন্ট তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকা বকেয়া রেখেছে। আগের টাকা বকেয়া রাখতে পারে কিন্তু এখন নগদ টাকা জমা দিলে মালামাল লোড আনলোড করা হবে। নগদ টকা জমা প্রদান করা সরকারি নিয়ম।
এ বিষয়ে কাস্টমের রাজস্ব কর্মকতা জাকির হোসেন তাহের জানান, মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুটানের শ্রমিক (ড্রাইভার/হেলপার) পোর্টে হৈ চৈ করতে থাকে। এটা সিএন্ডএফের বিষয় আমাদের করার কিছু নাই।
কাউনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই

কাউনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই

admin September 05, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের উত্তর বল্লভবিষ্ণ গ্রামে বুধবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসেও চিকন রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে না পারার কারণে ঘন্টাব্যাপী আগুনের তাণ্ডবে বাড়িঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোরে সাইদ আলীর গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল লাগালে সেই কয়েলের আগুন তামাকের গর্দ্দায় লেগে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। নিমিষে আগুন ছড়িয়ে পরে শাহ আলীর ৩টি টিনের ঘর ও ঘরে থাকা ব্যবসার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৯০ মন ধান, চাউল, পাট, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, সহিদুল ইসলামের দুইটি টিনের ঘর, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, পাট, আসবাসপত্র, সাইদ আলীর দুইটি টিনের ঘর, ১০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, আসবাবপত্র, ইমান হোসেনের ১টি টিনের ঘর, ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল আসবাবপত্র, হাস-মুরগী, নুরুন্নবী মিয়ার ২টি টিনের ঘর, ৩৫ হাজার টাকা, ধান, চাউল, হাঁস-মুরগী, আসবাবপত্র, বাইসাইকেল, শ্যালো মেশিন, শাহজামাল এর ২টি টিনের ঘর, ধান, চাউল আসবাবপত্র, দারেজ আলীর ১টি পাকা ঘরের টিনের চালা, ২০মন ধান, চাউল আসবাবপত্র এবং হাসেম আলীর ১টি টিনের ঘর, ধান চাউল আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সকলের মিলে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, রাস্তা চিকন হওয়ায় বড় গাড়ি নিয়ে আমরা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌছতে পারি নাই, ফলে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম নাজিয়া সুলতানা ও শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হান্নান পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে শ্যালো নৌকাসহ এক ব্যক্তি নিখোঁজ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে শ্যালো নৌকাসহ এক ব্যক্তি নিখোঁজ

admin September 04, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নৌকা সহ এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে। রংপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরী দল দিন ব্যাপী চেষ্টা করেও নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট গুচ্ছ গ্রামের তীর সংরক্ষন বেড়ি বাঁধ ভাঁঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর ওপার থেকে শ্যালো নৌকায় বস্তা ভর্তি বালু নিয়ে বেড়ি বাঁধ আসার পথে মাঝ নদীতে তীব্র স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় নৌকায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রফিকুল (২২) নুর হোসেন (১৫) ও আনিছুর (১৬) সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় পৌঁছে অসুস্থ্য হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু নৌকা সহ মাঝি মন্তাজ আলী (৭০) নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরী আ. মতিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তারা স্থানীয় ৩জন ডুবুরী সহ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ মন্তাজ আলী ও নৌকাটি উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ, রাশেদুল হক প্রধান ও রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্মেলন, দুদকের দেয়া শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্মেলন, দুদকের দেয়া শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

admin September 04, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে সততা সংঘের সাংগঠনিক সম্মেলন ও দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড়স্থ প্রবীন ভবনে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ.কে.এম সামিউল হক এর সভাপতিত্বে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রদত্ত দুর্নীতি বিরোধী স্লোগান সম্বলিত স্কুল ব্যাগ, খাতা ও স্কেল এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উক্ত সভায় সততার মাধ্যমে জীবন গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সজেকা, রংপুর এর সহকারি পরিদর্শক বাবু অমলেন্দু কোচ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরধ কমিটি কুড়িগ্রাম -এর সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি জনাব মো. আফতাব উদ্দিন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য বাবু উদয় শংকর চক্রবর্তী। বক্তারা বলেন, সততার অনুশীলনের জন্য শিক্ষার্থীদের এখন থেকে পিতা মাতার কাছে মিথা কথা না বলার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে। সভাপতি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন শৈশব কাল থেকে সততার অনুশীলন না করলে পরবর্তী জীবনে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।

রাজারহাটে নদী ভাঙ্গনের শিকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ কিলোমিটার দুরে স্থানান্তর

রাজারহাটে নদী ভাঙ্গনের শিকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ কিলোমিটার দুরে স্থানান্তর

admin September 04, 2018


কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের শিকার একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নের স্থানান্তরের কারণে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা করছেন অভিভাবক মহল। এছাড়া ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর, অনুদানর এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নিকট এক বছর আগে অভিযোগ করেও সুফল না পাওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
অভিযোগ জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের একমাত্র বিদ্যাপিট বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯১ সালে ৩০শতক জায়গার উপর স্থাপিত হয়। ঐ বছরেই বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালটিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক সহ স্টাফ রয়েছে ১০জন। বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৩৭জন, ৭ম শ্রেণীতে ৩০জন এবং ৮ম শ্রেণী ২৭জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৯জন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত বছর জুন মাসে নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়লে পার্শ্ববর্তী তৈয়ব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়ের জন্য জেলা প্রশাসক নতুন ঘর নির্মাণে ৩০হাজার টাকা এবং ১০ বান্ডল ঢেউ টিন অনুদান দেন। কিন্তু এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজস্ব সিদ্ধান্তে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রাতারাতি প্রায় ৫কি.মি. দূরে নাজিম খাঁ ইউনিয়নে তালতলা নামক জায়গায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
স্থানান্তর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এতে করে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা করছে অভিভাবকগণ।
সরেজমিনে দেখা যায় গত এক বছর আগে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের পর থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত হাজিরা খাতায় কোন শিক্ষার্থী নামই তোলা হয়নি। অথচ খাতায় বিগত মাস গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ দেখানো হয়েছে। ক্লাস নিয়মিত না হলেও শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পেয়েছে এবং শিক্ষকরাও নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে বলে জানা যায়।
তৈয়ব খাঁ গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর ইসলাম, আব্দুল হাই জানান, প্রধান শিক্ষক তার স্বার্থের কারনেই বিদ্যালয়টি অন্য ইউনিয়নে নিয়ে গেছে। আমরা গ্রামবাসি বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিতে চেয়েছি তারপরেও প্রধান শিক্ষক কিভাবে বিদ্যালয় অন্য ইউনিয়নে নিয়ে গেলো। তারা জানান, বিষয়টি বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। অথচ বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের জায়গা তালতলা থেকে আধা কি.মি. দূরে কালিরহাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বাছড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসা এবং এক কি.মি. দূরে ডাংরারহাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাজিম খা উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আর পুর্বের বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে তালতলায় স্কুলের দুরত্ব প্রায় ৫/৬ কি.মি.।
স্কুলের শিক্ষার্থী ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এক রোল রীপা রাণী, ৬ রোল জেসমিন আক্তার, ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মাইদুল জানায়, স্কুল দূরে হওয়ায় অনেকেই স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তারা এখন বাবা-মায়ের সাথে খেতে-খামারে কাজ করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভাল না। পায়ে হেটে স্কুল যেতে পা ব্যথা হয়। কাচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই কাদা মাটিতে হাটা দায় হয়ে যায়। ফলে স্কুল যাওয়াই বন্ধ করছি।
তৈয়ব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্কুলটি ভেঙ্গে যাবার পর আমাদের বিদ্যালয়ের জমিতে টিনের ঘর করে কয়েক মাস ক্লাস হয়েছিল। তবে আকষ্মিকভাবে ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানতে পারি তালতলায় স্কুলের নতুন ঘর করে সেখানেই ক্লাস চালু করছে। আমার বিদ্যালয়ের একটি রুমে তাদের আসবাব পত্র রয়েছে। বেশ করেকবার বলার পরেও সেগুলো নিয়ে যায়নি।
এদিকে বিদ্যালয়ের স্থানান্তরের সময় প্রধান শিক্ষক লোকনাথ বর্মণ প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৫টি রেইনট্রি, ১০টি মেহগনি, ১০টি ইউক্লিপটাস সহ ২৫টি গাছ কর্তন এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ১লাখ ৬০হাজার মূল্যের ২০হাজার ইট বিক্রির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকনাথ বর্মণ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। আর বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি জানান, ওখানে জায়গা না পাওয়ায় অফিসের সাথে কথা বলে নাজিখাঁন ইউনিয়নের তালততলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ উজ জামান সরকার জানান, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বিধিতে নিষেধ আছে কিনা তার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান জানান, বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়টি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং পরর্বীতে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁয়ের বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই উদ্ধার

ঠাকুরগাঁয়ের বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই উদ্ধার

admin September 04, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই (গরু) উদ্বার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ যদুয়ার এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।


জানা যায়, ভারতীয় নীল গাইটি যদুয়ার নদীর কাছের এক ঝোপ ঝাড়ে আটকে পড়ে। সেই নদীতেই দুপুর বেলা মাছ ধরছিলো ঐ গ্রামের পুরানু ছেলে মকবুল(৩৫) সুলতানের ছেলে আবু জাহেদ(৩৪) তারা নীল গাইটি দেখতে পেয়ে হায়দার বুধু সামশুলের সহযোগিতায় নদী থেকে উদ্বার করে আবু জাহেদের বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে ধীরে ধীরে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে এক পলক দেখার লক্ষে।


খবর পেয়ে উপজেলা ফরেস্ট কর্মকর্তা শাহাজাহন আলী থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বার করে নিয়ে আসে ভারতীয় নীল গাইটিকে। এটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি ।

কলকাতায় ফ্লাইওভার ভেঙে ৫ জন নিহত

কলকাতায় ফ্লাইওভার ভেঙে ৫ জন নিহত

admin September 04, 2018

ওপার বাংলা: ভারতের কলকাতায় রেললাইনের ওপর দিয়ে যাওয়া একটি ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরও অনেকে ধংসস্তুপের নিচে চাপাপড়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার সময় ফ্লাইওভারটির ওপর দিয়ে অনেক যানবাহন চলছিল।


আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কলকাতার আলিপুরের মাঝেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।


ফ্লাইওভার ভেঙে যাওয়ার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও এতে যোগ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।


ভেঙে পড়া ফ্লাইওভারটি কলকাতার দক্ষিণাংশের সঙ্গে সংযোগস্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্লাইওভার।

রাজারহাটে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ, এলাকায় টান টান
উত্তেজনা

রাজারহাটে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ, এলাকায় টান টান উত্তেজনা

admin September 04, 2018

কুড়িগ্রাম: রাজারহাটে বটতলা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক গনি মিয়া ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ২ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা চলছে।


অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. গনি মিয়ার দীর্ঘদিনের নানা প্রকার দূর্নীতি-অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্কুল পরিচালনা কমিটি সাময়িক বরখান্ত করে। কিন্তু সভাপতির সাথে যোগসাজস করে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে রেজুলেশনে অন্যান্য কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষকের বরখাস্ত প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকে সে দূর্নীতিতে আরো মরিয়া হয়ে উঠে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আ. গনি মিয়া এলাকায় প্রকাশিত নয় এমন একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপন রেখে পূর্বের নির্ধারিত ২ পদের ২ প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে গত ২৭ আগস্ট গোপনে অফিস সহকারী কাম ক্যাটালগার এবং লাইব্রেরীয়ান পদে জেলার নাগেশ্বরী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ. আউয়াল, আ. মালেক, মোছা. রেজিনা খাতুন, আ. মালেক বসুনিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাহমুদা বেগম ও আ. রহিম সরকার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই পদে অন্যান্য আবেদনকারী গণকে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র দেয়া হয়নি। শুধু মাত্র যে দু’জনকে নেয়া হয়েছে তারাসহ তাদের মনোনিত প্রার্থীদের ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়েছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সহ মো. তৌহিদ সরকার, মো. রাহেনুল হক, মোছা. সালমা বেগমসহ ৭ জন প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে।


এ ব্যাপারে ওই প্রিিতষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রহিম জানান, ওই প্রধান শিক্ষক দূর্নীতির কারণে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে আসে না। তার দূর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ উঠায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে ম্যানেজিং কমিটি সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।


এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি আমার বুঝার উপায় নেই। আমি রেজুলেশনে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর দেখেছি।

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

admin September 04, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ময়েজ মিয়ার হাট থেকে কাশিম বাজার পাকা রাস্তা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।


জানা গেছে, অত্র এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী ময়েজ মিয়ার হাট। এ হাটটি ঘিরে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কেজি স্কুল, সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। ওই কাঁচা সড়কটি শত শত মানুষের যাতাযাতের ভরসা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।


এ ছাড়া হাটটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান, পাট, কলা, গম, ভুট্টা ও শাক-সবজি বহনের জন্য হালকা, ভারী যানবাহন যাতাযাত করে থাকে। সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতাযাতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এদিকে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটি পাকা করণের কাজ না হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন। সড়কটি পাকা করণ করা হলে ওই এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।


স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান ও বদিয়ার রহমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটি পাকা করণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three