‘মেঘকন্যা’ রূপে নিঝুম

‘মেঘকন্যা’ রূপে নিঝুম

admin September 08, 2018

বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী নিঝুম রুবিনা এ পর্যন্ত নূর মোহাম্মদ মনিরের ‘কিস্তির জ্বালা’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’, আবুল কালাম আজাদের ‘অনেক সাধনার পরে’, শাহিন সুমনের ‘মিয়া বিবি রাজী’, মিনহাজ অভির ‘মেঘকন্যা’, রাহুল রওশনের ‘জান রে’ ও মোহাম্মদ আসলামের ‘ভালোবাসা ডটকম’সহ বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।


এরইমধ্যে তার চারটি ছবি মুক্তিও পেয়েছে। এবার আরেকটি ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। এখানে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিঝুম। এ প্রসঙ্গে নিঝুম রুবিনা বলেন, প্রযোজক সমিতি থেকে আসছে ১২ই অক্টোবর ছবি মুক্তির তারিখ নেয়া হয়েছে। এটা গল্প প্রধান ছবি। এ ছবিটি করতে গিয়ে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।


এ ছবির কাহিনি ও গান দর্শকদের বেশ ভালো লাগবে বলে আশা করছি। আজ শুক্রবার এ ছবির প্রথম গানটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হয়েছে। এরপর পোস্টার, টিজার, ট্রেলার ধীরে ধীরে প্রকাশ করবেন বলে জানান ছবির প্রযোজক এজেডএম জাহাঙ্গীর কবির।


আরও পড়তে পারেন >> ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ


জয়া মিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারের এ ছবিতে ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন সুচরিতা, শম্পা হাসনাইন, হৃদ্য প্রমুখ। এ ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান। গানগুলোর সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। এ ছবির বাইরে এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে ‘সংসার’, ‘বেসামাল’ এবং ‘জান রে’ নামে আরো তিনটি ছবি সামনে মুক্তি পাবে। এ তিনটি ছবিতেও নিঝুম রুবিনা অভিনয় করেছেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ

ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ

admin September 08, 2018

বিনোদন ডেস্ক: দশ বছর পর বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফেরেন বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। এরইমধ্যে বেশ কিছু নাটকেও তাকে দেখা গেছে। তবে এবার এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল ক্ষোভের কথা। গেল ৪ঠা সেপ্টেম্বর ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক বুলবুল আহমেদের জন্মদিন। কিন্তু এই মহানায়ককে নিয়ে এফডিসিতে ছিল না কোনো আয়োজন। দু’একটি গণমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলেই তার জন্মদিন সীমাবদ্ধ ছিল। এনিয়ে দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তার উত্তরসূরি ঐন্দ্রিলা আহমেদ। ঐন্দ্রিলা বলেন, একজন মহানায়ক কালে কালে জন্মায় না।


এর মূল্যায়ন করা উচিত। বুলবুল আহমেদ শুধু আমার পিতা নন, তিনি এদেশের সম্পদ। শুধু আমার বাবা কেন, এই দেশে আরো অনেক গুণী মানুষই উপেক্ষিত। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের এই বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন। যাদের হাত ধরে চলচ্চিত্র আজ এই অবস্থানে, তাদের উপেক্ষিত করে ভালো কিছু হতে পারে না।


এদিকে ঐন্দ্রিলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে জব করছেন বলেন জানান। তার পাশাপাশি ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে ‘বিলাভড’ শিরোনামের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া রিদম খানের ‘চিলে কোঠার সংসার’, দিপু হাজরার ‘ফেইক লাভ’, কাজী সাঈফের ‘আতংক’, পৃথ্বিরাজের ‘ছোট ছোট আশা ভালোবাসা’ ও ‘জল পুকুরে ডুব’ শিরোনামের নাটকগুলোতে তিনি অভিনয় করেন।

পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

admin September 08, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।


পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশাম রেজা, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শাহীন। খেলাটি শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ উপভোগ করেন।


উদ্বোধনী খেলায় চাকলাহাট ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ও কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করে। খেলায় কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ জয়ী হয়। টুর্নামেন্টে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন থেকে ১০ টি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

admin September 08, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমান ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে নিশাদ (১৮) ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় পারিবারিক কাজে যায়। সেখান থেকে বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে বাইকযোগে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির কাছে আসলে বালিয়াডাঙ্গী থেকে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত বালিরট্রাক ((ঢাকা মেট্রো-উ-১১১১৩৬) বিপরীত দিকে আসার সময় নিশানকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে সে মারা যায়। ঘাতক ট্রাকটি স্থানীয়রা আটক করলেও ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।


আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু

admin September 08, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে। এজন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। আর এই ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ২৬ লাখেরও বেশি রোগী। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে চালু হবে একটি নার্সিং কলেজ। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে বাকি।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলার অবকাঠামো নির্মিত হবে। পরে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মিত হবে বাকি চার তলা। ৮ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ জুন। আর কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন। এই বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্স লিমিটেড।


জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে তিন একর জমিতে একটি নার্সিং কলেজ চালু করার জন্য অনুমোদন, জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা বাকি মাত্র। এই নার্সিং কলেজে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হতে হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নার্সিং কলেজে আর্টস ও কমার্স (ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। আরও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে পরে আবারও ২ বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪ বছর মেয়াদী এই বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাস করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। এরপরও রয়েছে আরও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ।


আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি


সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের উত্তর পাশে পুরোনো আবাসিক কোয়ার্টারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবন তৈরির স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় থেমে আছে কাজ। মাটি কাটার মেশিনসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণও এনে রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল চত্ত¡রে। আর নার্সিং কলেজ স্থাপনের জায়গাটি এখন পানিতে ভর্তি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নার্সিং কলেজের সাইনবোর্ড।


হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগী বেশি হওয়ার কারণে বর্তমানে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলা ওই বহুতল ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন রোগীরা। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করলে ভর্তি রোগীরাও উপকৃত হবে। তাই হাসপাতালের ৮ম তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করে কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার বলেন, হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলা ভবন নির্মিত হবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। পরে চাইলে বাকি চার তলার কাজও করা যাবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) জাগো নিউজকে বলেন, ৮ তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ও নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষের জন্য হবে এক মাইলফলক। ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আর নার্সিং কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।

প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি

প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি

admin September 08, 2018
রংপুর: রংপুর নগরীর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধু। তার নাম হাসিনা আক্তার পপি (২৮)। আজ শুক্রবার দুপুরে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পপি গাইবান্ধা সদর উপজেলার সিংহপুর গ্রামের মহসীন আলীর স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু দুপুর আড়াইটার দিকে ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচার করলে পরপর চার সন্তানের জন্ম হয়।

পপির বড় ভাই মোস্তাকিন রহমান শিশির জানান, ৮ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে মহসীনের বিয়ে হয়। মহসীন ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাদের এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। এতে পরিবারের সকলেই খুশি। বর্তমানে চার সন্তান ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন

১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন

admin September 08, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: দীর্ঘ প্রায় তিন মাস (৮৮ দিন) বন্ধ থাকার পর ১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে। ওই দিন খনির ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজ হতে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এর আগে গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেইজের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় খনির কোল ইয়ার্ড ও কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুদ শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।


এদিকে খনির কয়লা মজুদের হিসাবে গরমিল ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মে.টন কয়লা ঘাটতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় নির্দ্ধারিত সময়ের আগে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশি খনি শ্রমিকরা তারও আগে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়।


গত বুধবার বিকেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে গেলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট দ্রুত চালু করতে জোর তৎপরতা চলছে। গত ২৬ আগস্ট বিকেলে খনির প্রশাসনিক ভবনে পিডিবি, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ও বিসিএমসিএল’র মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরুর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার তথা জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রো-বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


তবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপি (৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা সফল করতে কয়লা খনির বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৮ সেপ্টেম্বর কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চান। সে কারণে ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। খনি শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন ও সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে ৬ ঘন্টার প্রতি শিফটের স্থলে অতিরিক্ত দুই ঘন্টাসহ প্রতি শিফটে ৮ ঘন্টা কাজ করে হলেও শ্রমিকেরা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খনির কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়। শীঘ্রই কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় খনি কর্তৃপক্ষ, পিডিবি, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও সরকারের নীতি নির্দ্ধারক পর্যায়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।

নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

admin September 08, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় জমি দখলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিরা লাল ভুইমালী নামের এক কিশোর কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের শিব মন্দির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত নারায়ন ভুইমালীর মৃত্যুর পর গত ১০ বছর যাবত নারায়ন ভুইশালীর বিধবা স্ত্রী বাসন্তী ভুইমালী তার নাবালক পুত্র হিরা লাল ভুইমালীকে নিয়ে মৃত স্বামীর বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলো। এমতাবস্থায় আজ সকালে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দও খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত তমদ্দিনের পুত্র আতাউড় রহমান (৪৫) ও ডিমলা সদরের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত চাটি মামুদের পুত্র মহুবার রহমানসহ (৫০) তাদের লোকজন নিয়ে ওই বিধবার বসত বাড়ি জবরদখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় গাছপালা কর্তন করতে থাকলে ওই বিধবা তার নাবালক সন্তান বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এবং বিধবার পারিবারিক পুজা মন্ডপ ঘড়ের রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুড় করে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।


সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার এসআই সুমন রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা

ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা

admin September 08, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা এদেশের ভোটার হিসাবে নিবন্ধতি হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে। সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সত্ত্বেও তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি)চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪টি জেলার ৩২ উপজেলায় ভোটার হওয়া ২৪৩ রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে। তাদের কারোরই জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা না থাকলেও সঠিকভাবেই তারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- রোহিঙ্গারা অর্থের বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করছে। আর ওসব নথি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে তারা। ঘটনাগুলো সামনে আসার পর টনক নড়েছে ইসির। বর্তমানে ইসির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


সূত্রমতে, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রথমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক অনুসন্ধানে উঠে আসে। তারপর বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। তাতে অনেক সতর্কতার মধ্যেও বেশকিছু রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছে রোহিঙ্গারা। আর ওসব কাগজপত্রের ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করছে তারা। এমন অবস্থায় মাঠপর্যায়ে জন্মনিবন্ধন সনদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয়তা সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার দাবি উঠছে।


সূত্র জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দালালের হাত ধরে টাকার বিনিময়ে ভোটার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গারা। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ স¤প্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে (চট্টগ্রাম অঞ্চল) একটি চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হওয়া ২৪৩ ভোটারের নাম, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভোটার হওয়ার এলাকার নাম ও ওয়ার্ড-ইউনিয়নের নাম দেয়া হয়। স¤প্রতি বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল ও আবু তালেব। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসমাইল ভোটার হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে। তার বরাদ্দ পাওয়া ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৮৯০৩১৫১৩১২৯৪৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১১২৯৪৪০০। আর একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার হয়েছেন আবু তালেব। তার অধিকারে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৫৮০৩১৫১৩১৩০১৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১৫৩০১৪০০। তালিকায় সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা হিসেবে তাদের নাম এসেছে।


নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হলেও কেউ কেউ ভোটার হয়ে যাচ্ছে। তারা দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঢল নামার পর গত কয়েক মাস আগে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে কক্সবাজারের পাসওয়ার্ড লক করে দেয়া হয়। তারপরও দালালদের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তার মধ্যে কেউ কেউ পাসপোর্টও গ্রহণ করেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন প্রমাণ পেয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, অবৈধভাবে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ারা রোহিঙ্গারা শুধু কক্সবাজার বা বান্দরবান নয়, চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন এলাকায়ও রোহিঙ্গা হিসাবে শনাক্ত হয়েছে অনেক ভোটার। তার মধ্যে নাসিরাবাদ, জালালাবাদ, চান্দগাঁও, মৌলভীপাড়া, হালিশহর, কাট্টলী, শুলকবহর, পতেঙ্গা, কাটগড় এলাকায় একাধিক ব্যক্তি রোহিঙ্গা ভোটার হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দালালদের টাকা দিয়ে তারা ভোটার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ইসি কর্মকর্তারা। তাছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাতেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আসা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ভোটার হতে এসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে মিয়ানমারের ৫/৬ জন বাসিন্দা। তারা টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে।


এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হলেও অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ওই চিঠিতে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে অভিযুক্ত ২৪৩ ভোটারের তথ্য যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তালিকাটি ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়গুলোয় পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় দেয়া তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের গরমিল পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা হবে।


অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে। আর চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্রের সঠিকতা পেলে নির্বাচন কমিশনেরও কিছু করার থাকে না।

কুড়িগ্রামে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

admin September 07, 2018

কুড়িগ্রাম: সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) এবং ইয়াং বাংলা আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সিআইআর প্রতিনিধি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন আশার আলো পাঠশালার আয়োজনে আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উপ-সচিব রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, নাগেশ্বরী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আহসান হাবীব নীলু, আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ প্রমুখ।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৪সালে প্রতিষ্ঠি হয় সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) দেশের বৃহত্তম তরুণদের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। এই সংগঠনটি ২০১৫সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮সালে ১০বিভাগের উপর বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন গুলোকে।

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

admin September 07, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলা ভোগডাঙ্গা বানির খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে বেলগাছা আত্তারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।


অন্যদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয় ২-০ গোলে হলো খানা ইউনিয়নের চর শুভার কুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

হতাশ নুসরাত ফারিয়া!

হতাশ নুসরাত ফারিয়া!

admin September 07, 2018

বিনোদন ডেস্ক: প্রায় বছর খানেক ধরে নতুন ছবিতে কাজ করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ছবিটি মুক্তি পায় এ বছরের শুরুর দিকে। ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ নামের সেই ছবির পর আর কোনো ছবির শুটিংয়ে দেখা যায় নি আলোচিত এই নায়িকাকে। তিন বছর আগে ‘আশিকী’ দিয়ে উপস্থাপিকা থেকে নায়িকা বনে যাওয়া ফারিয়া একটানা ছবির কাজ করেছেন গত বছরের শেষ পর্যন্ত। বিষয়টি তাকে ভাবায়। একটা সময় নাকি হতাশায় ডুবে যান। বুধবার ঢাকার গুলশানের একটি পাঁচতারা হোটেলে নতুন ছবি ‘শাহেনশাহ’র মহরত অনুষ্ঠানে কথাটি বলেই ফেললেন এ নায়িকা।


উপস্থাপিকা ফারিয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারের ছবিতে অভিনয় দিয়ে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের কলকাতার ছবিতেও অভিষেক ঘটে তাঁর। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে চমকে দেন এই নায়িকা। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস বসে থাকতে হয় তাঁকে। তবে একের পর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু গল্প পছন্দ না হওয়াতে সেসব ছবিতে কাজ করতে রাজি হননি বলেও জানান। নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘নতুন ছবি “শাহেনশাহ”য় অভিনয়ের প্রস্তাবের ঠিক কিছুদিন আগে আরেকটি ছবিতে সাইন করেছিলাম। সেই ছবিতে চুক্তি হওয়ার আগে ১৬ ছবির গল্প শুনেছি। একটিও পছন্দ হয়নি। কেন জানি মনে হচ্ছিল, ভালো কোনো কাজ পাচ্ছি না। আমি চাইছিলাম, আবার এমন একটি ছবি করব, তুলকালাম কাণ্ড যেন ঘটে যায়। সবকিছু আমাকে হতাশায় ডুবায়। কেন এমনটা হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! সব কটি গল্প পড়ার পর অভিনয়ের প্রস্তাব বাতিল করেছি। ফাইনালি “শাহেনশাহ” ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এল। গল্প ভালো, আর নায়ক তো সুপারস্টার। দুইয়ে দুইয়ে চার, আর চারে দুয়ে মিলে ছয় হয়ে গেল। এবার আর ঠেকায় কে।’


এদিকে মহরতের আগে ‘শাহেনশাহ’ ছবির একটি গানের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন শাকিব খান আর নুসরাত ফারিয়া। ব্যাংককে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও দারুণ ছিল বলে জানালেন ফারিয়া। বললেন, ‘যেদিন শুটিং আমি একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম, শাকিব খান হয়তো দেরিতে উঠবেন। শুটিংও দেরিতে শুরু হবে। আমি যখন ঘুমে, তখন দরজায় কড়া নাড়েন শাকিব খানের মেকআপ আর্টিস্ট সবুজ। জানালেন, শাকিব ভাই জিম আর সুইমিং করে শুটিংয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরি। আমিও তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। একটা মানুষ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন, এখনো কত সিরিয়াস! এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। শাকিব ভাইয়ের ব্যাপারে আমি খুবই হ্যাপি।’


পরিচালক শামীম আহেমদ জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে আবার শুরু হচ্ছে ‘শাহেনশাহ’ ছবির শুটিং। উপস্থাপনা থেকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে নাম লেখানো নুসরাত ফারিয়া একসময় চলচ্চিত্রে এসে থিতু হন। প্রথম ছবি ‘আশিকী’ দিয়ে বাজিমাত করেন। নানা কারণে ছবিটি ফারিয়াকে আলোচনায় এনে দেয়। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেন। এসব ছবিতে নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ, কলকাতার জিৎ, ওম আর অঙ্কুশ।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ

admin September 07, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এখন ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে। আর এ সুবিধা দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। ফলে গ্রামীণ জনগণ এখন অধিক হারে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে। তাতে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। মূলত ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়। এ ব্যাংকিংয়ে সাধারণ ব্যাংকের মতোই প্রায় সব সুবিধা পাওয়া যায়। সেজন্য গ্রাহককে বাড়তি কোনো চার্জও পরিশোধ করতে হয় না। এমনকি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ব্যবহারেরও সুযোগ পাওয়া যায়। ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাংকিং। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা শহরের তুলনায় ৬ গুণ বেশি। দেশের ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


সূত্রমতে, দেশের ১৭টি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্টের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮৮টি এবং তাদের আউটলেট রয়েছে ৫ হাজার ৩৫১টি। ওসব এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তার মধ্যে গ্রামের মানুষই ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৭ জন। বাকিরা শহরের। এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে মোট স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জমা অথবা তোলা যায়। তবে অন্তমুর্খী রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে উত্তোলনের এ সীমা প্রযোজ্য নয়। দিনে দুবার জমা ও উত্তোলন করা যায়। প্রতি এজেন্টের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাব থাকতে হয়। ওই হিসাবের সর্বোচ্চ স্থিতি সীমা ১০ লাখ টাকা দেয়া আছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভিতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সকল প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যায়। তবে এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারেন না। আর এজেন্টরা বিদেশি সংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। তাছাড়া এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। এজেন্টরা মোট লেনদেনের ওপর কমিশন পেয়ে থাকেন।


সূত্র জানায়, এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে মোট জমা হওয়া অর্থের মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্থিতি সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া ডাচ-বাংলার আউটলেটও বেশি। তার পরের অবস্থানেই আছে ব্যাংক এশিয়া। তৃতীয় অবস্থানে আছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। তাছাড়া সোস্যাল ইসলামী, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্শিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড, অগ্রণী, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মিডল্যান্ড, সিটি ও ইসলামী ব্যাংক ভালো কাজ করছে। মূলত পল্লী এলাকার মানুষের ব্যাংকের আওতায় আনতে এই কার্যক্রম শুরু হয়। সেজন্যপ্র্রথমে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়াকে নিয়ে পাইলট প্রকল্প করে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সেসময় এগিয়ে না আসায় ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে ওই কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের আর্থিক জ্ঞান (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) হচ্ছে। আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা অন্যতম। ওই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় আরও অনেক কিছু করা সম্ভব।


সূত্র আরও জানায়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে স্বল্প খরচে ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়। তারপরে একই উদ্দেশ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ২০১৪ সালে ব্যাংক এশিয়া প্রথমে ওই সেবা চালু করে। এজেন্ট ব্যাংকিং হলো-সমঝোতা স্মারক চুক্তির বিপরীতে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দেয়া। কোনো ধরনের বাড়তি চার্জ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ২০১৩ সালের প্রথম নীতিমালায় প্রথমে শুধু পল্লী এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমতি দেয়া হলেও পরের বছর নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যেখানে ব্যাংকের শাখা নেই এমন পৌর ও শহর অঞ্চলেও এজেন্ট নিয়োগ দেয়া যায়। তবে মেট্রোপলিটন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় না করার যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা আগের মতোই বহাল রাখা হয়।


এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবুল বশর জানান, যেসব জায়গায় ব্যাংকের শাখা নেই সেখানকার মানুষ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং প্রয়োজন মিটাতে পারছে। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের মতো তাদের মোবাইলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য যাচ্ছে। ফলে তাদের বিশ্বাস বাড়ছে। তাতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষ এ সেবাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশের এশিয়া কাপ জেতার সামর্থ্য আছে -মাশরাফি

বাংলাদেশের এশিয়া কাপ জেতার সামর্থ্য আছে -মাশরাফি

admin September 07, 2018

খেলাধুলা ডেস্ক: এশিয়া কাপে সবশেষ তিন আসরের দুটির ফাইনালিস্ট বাংলাদেশের এবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব মনে করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। দুই ফেভারিট ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে নিজেদের খুব একটা পিছিয়ে রাখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আবু জায়েদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মিঠুনরা সরাসরিই বলেছেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের কথা। সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি শিরোপা জেতার কথা না বললেও সেই একই আত্মবিশ্বাস দেখা গেল মাশরাফির মাঝেও।


"সম্ভাবনা কতটুকু এভাবে আসলে বলা যায় না। দলগুলো যদি দেখেন, তাহলে আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। হয়তো ভারত অনেক ভালো দল। পাকিস্তান তাদের 'ঘরের মাঠে' খেলবে। কিছুটা বাড়তি সুবিধা তারা পাবে। তাদের দলে রিস্ট স্পিনার বেশি আছে। তবুও আমার কাছে মনে হয় আমাদের সামর্থ্য আছে তাদেরকে হারানোর।"


তিনি বলেন, "আমরা শুরুটা কেমন করি আর পরের রাউন্ডে যেতে পারি কিনা, সেটা দেখতে হবে। এখানে বিভিন্ন 'ক্যালকুলেশন' আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমার কাছে মনে হয়, আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই।" 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেরা দুই দল খেলবে সুপার ফোরে। একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান মাশরাফি। অন্যান্যের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। শক্তির বিবেচনায় প্রতিপক্ষদের কাউকে কাউকে এগিয়েও রাখছেন। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে জয়ের খুব ভালো সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।


তিনি বলেন, "আপনারা অনেকে টুর্নামেন্ট জেতার কথা বলছেন। আমি আবার এই ধরনের না, আমি এই ধরনের কথা বলতে চাই না। আমি মনে করি, আমাদের সামর্থ্য আছে। বাকি দলগুলোর সাথে যদি তুলনা করেন, কন্ডিশন, উইকেট ও কিছু টুকটাক ব্যাপার থাকে...রিস্ট স্পিনাররা কেমন ফর্মে আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের থেকে বেটার টিম আছে এই টুর্নামেন্টে।"


বলেন, "তবে বাকি দলের সাথে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না। সেই পার্থক্যটা আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে পূরণ করতে পারি, আমার কাছে তাহলে সব কিছুই সম্ভব মনে হয়। সবকিছুর আগে নির্ভর করছে আমরা প্রথম ম্যাচটা ভালো খেলে জিততে পারি কি-না তার উপর।" দল ছন্দে আছে। সবশেষ সিরিজে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। দারুণ বোলিং করছেন অধিনায়ক। বরাবরের মতোই যতটা সম্ভব অবদান রাখার লক্ষ্য তার।


বলেন, "আমার নিজের কোনো লক্ষ্য কখনও থাকে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও যাইনি, এখানেও যাবো না। কখনও এমন লক্ষ্য নিয়ে যাই না। আমি চেষ্টা করব অবদান রাখার, যতটুক পারি। এটা খারাপও হতে পারে ভালোও হতে পারে। এটা নিয়ে আসলে এত মাথা ব্যথা নেই। আর টুর্নামেন্টের শুরুতে তো থাকেই না।"

সমকামিতার বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

সমকামিতার বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

admin September 07, 2018

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারি আইনের একটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে ভারতে সমকামিতার অধিকারকে বৈধতা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক এই রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ বলেছে, সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করার ওই আইন এখন অযৌক্তিক। রাষ্ট্রের সব নাগরিককেই সমান অধিকার দিতে হবে।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার পর ভারতের বিভিন্ন অংশে এলজিবিটি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস প্রকাশ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন উদারপন্থি অধিকারকর্মীরাও। ৫৪৭ পৃষ্ঠার এই রায়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র রায়ে বলেছেন, কেউ তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে এড়িয়ে যেতে পারে না। এখনকার সমাজ ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের প্রশ্নে অনেক বেশি অনুকূল। “ভারতের সংবিধান একজন সাধারণ নাগরিককে যেসব অধিকার দেয়, তার সবগুলোই এলজিবিটি কমিউনিটির প্রাপ্য।”


আরও পড়তে পারেন >> জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪


ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে ফৌজদারি আইন হিসেবে ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা দণ্ডবিধিই প্রয়োজনমত বদলে নিয়ে চালু রাখা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে’ গিয়ে কেউ পুরুষ, নারী বা জন্তুর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা দশ বছরের জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে জরিমানা। বাংলাদেশের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতেও একই ধারায় মোটামুটি একই ভাষায় একই শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশেও সমকামিতা দণ্ডনীয় অপরাধ বিবেচনা করা হয়।


ওই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে ভারতের এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার) অধিকার সংগঠনগুলো বলে আসছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশ যেখানে সমকামিতাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ৩৭৭ ধারায় তাদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।


এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ২০০৯ সালে দিল্লি হাই কোর্ট এক রায়ে ৩৭৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, কেবল অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনসংসর্গের ক্ষেত্রে ওই আইন প্রয়োগ করা যাবে।কিন্তু কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের আপিলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের সেই রায় খারিজ করে দেয়। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকার চাইলে আইন বাতিল বা নতুন আইন তৈরি করতে পারে।
এর তিন বছরের মাথায় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী নভতেজ সিং জোহর, ম্যাক্সিম ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণের সম্পাদক সুনীল মেহরা, বিখ্যাত শেফ রীতু ডালমিয়া, ব্যবসায়ী আমন নাথ এবং অভিনেত্রী আয়েষা কাপুর নতুন একটি পিটিশন নিয়ে যান ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।


সেখানে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার কারণে এলজিবিটি জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভারতীয় পত্রিকাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার সুপ্রিম কোর্টে ৩৭৭ ধারা নিয়ে এই মামলায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চায়নি। সরকারের অবস্থান জানাতে আদালতে বার বার সময় চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু পার্লামেন্টে ৩৭৭ ধারা বাতিলের বিল আনতে চাইলে বিজেপি সে বিষয়ে আলোচনাই করতে দেয়নি।

জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪

জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪

admin September 07, 2018

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না জাপানের; ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন জেবিতে তছনছ হওয়ার পর এবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হোক্কাইডোতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। গেল ভোররাত ৩টা ৮ মিনিটে হোক্কাইডোতে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এতে অন্তত চার জন নিহত ও ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জাপানি গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ১২০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন স্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্কভাবে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ৬.৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তমোকোমাই শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠের ২৭ কিলোমিটার গভীরে।


হোক্কাইডোতে ১৯৯৬ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে হোক্কাইডোর প্রায় ত্রিশ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে; বন্ধ রয়েছে দ্রæতগামী ট্রেন এবং প্রায় সব ধরনের সাধারণ পরিবহন। এ ভূমিকম্পের মাত্র এক দিন আগে সুপার টাইফুন জেবির তাণ্ডবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ওসাকা ও কিয়েতোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়; নিহত হন ১১ জন। এনএইচকের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের পরপরই পুরো শহে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ধসে পড়া রাস্তা এবং দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাড়িঘরের দৃশ্যও দেখা যায় সেখানে।


বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, “এটি সত্যি মর্মান্তিক দুর্যোগ। আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার সৈন্য আহতদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে। ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।”


তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন। তবে সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এদিকে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, হোক্কাইডোর ভূমিকম্পে কোনো বাংলাদেশি আহত হননি। এখানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নিরাপদে রয়েছেন।” গত ১৮ জুন জাপানের ওসাকায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ জন নিহত হয়। এরপর জুলাই মাস জুড়ে তাপদাহে ৮৩ জন, অতিবৃষ্টিতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবারের টাইফুনে আরও ১১ জনের প্রাণ যায়।


এদিকে টাইফুন জেবির সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘কানসাই’ শুক্রবার থেকে আবার চালু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে কেবল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা করবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওসাকা সাগরের মধ্যে একটি কৃত্রিম দ্বীপে নির্মিত এই বিমানবন্দরটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হলে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে আটকা পড়া ৫ হাজার যাত্রীকে বুধবার উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

টলি অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

টলি অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

admin September 07, 2018

বিনোদন ডেস্ক: হোটেল থেকে টলি অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর (৩৮) ঝুলন্ত মরদেহউদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ের একটি হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


পায়েল চক্রবর্তী বাংলা সিরিয়াল ‘চোখের তারা তুই’-তে অভিনয় করে অনেকের নজর কেড়েছিলেন। এর পরে ‘ককপিট’ ছবিটিতে একটি ছোট চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ও ‘জড়োয়ার ঝুমকো’-তেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ওই অভিনেত্রীর। তার দু’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তার বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগরে। মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড় সংলগ্ন নবীন সেন রোডের একটি হোটেলে ওঠেন তিনি।


আরও পড়তে পারেন >> নারী-শিশুদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান সানি লিওনের


হোটেল কর্মী অরুণ দেব বলেন, ওই নারী রাতে হোটেলে আসেন। সোজা রুমে চলে যান। রাতে খাবারও খাননি। সকালে ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়।


শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (জোন-১) গৌরব লাল বলেন, অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

নারী-শিশুদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান সানি লিওনের

নারী-শিশুদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান সানি লিওনের

admin September 07, 2018

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেই সফলতা অর্জন করেন সানি লিওন। একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিতে থাকেন। বলিউডের ছবিগুলোতেও বেশ খোলামেলা হয়েই কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে নতুন আরো কয়েকটি ছবির কাজ করছেন এ নায়িকা। তবে সম্প্রতি নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। আর সেই ভিডিওতে একটি আহ্বান জানিয়েছেন সবার উদ্দেশে। অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য কাজ করছেন সানি। তাদের জন্য ফান্ড গঠনের কাজেও তিনি অংশ নেন।


তারই ধারাবাহিকতায় এই ভিডিওটি প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী। সানি সেই ভিডিওতে বলেন, ভারতে অসহায় নারী ও শিশুর সংখ্যা অসংখ্য। এসব নারী ও শিশু তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু তাদের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। তাদের সহযোগিতাটা খুব দরকার। সেটা হলে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সাধ্য অনুযায়ী এসব নারী ও শিশুর পাশে দাঁড়ান। এটা মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। প্লিজ, এগিয়ে আসুন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three