অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র বিপদ কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ফণীর বিপদ কেটে গেছে। তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার (৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো.এনামুর রহমান বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রথম এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। সেটা প্রথমে লঘুচাপ থাকলেও ২৬ এপ্রিল সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়।’
ঘূর্ণিঝড়ে চার জন নিহত হয়েছে জানিয়ে এবং প্রাণহানির এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই তাদের প্রাণহানি ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, নগদ টাকা কোনও কিছুরই অভাব ছিল না। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার সামর্থবান এবং ধনী সরকার। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। বিদেশিদের কাছেও হাত পাততে হবে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেজন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন বিকাল ৪টা থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯টি জেলার ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ফসল এবং গবাদি পশুর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বরগুনায় ২ জন, ভোলায় একজন ও নোয়াখালীতে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন ঘর চাপা পড়ে এবং দুইজন গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেভাবেই আমরা কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য নৌ এবং বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে যেভাবে কাজ করা প্রয়োজন তারা সেভাবেই কাজ করবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিষয়েও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য বলেছিলেন। সেখানে কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। আমাদের বিপদ কেটে গেছে।’