আর অভিনয় করবো না, আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই: পুষ্পিতা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো চিত্রনায়িকা পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘এখন থেকে আর অভিনয় করবো না। বাকি জীবনটা ইবাদত বন্দেগী করেই কাটাতে চাই। আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই।’ কয়েক বছর ধরে মিডিয়া থেকে আড়ালে আছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।


এ ব্যাপারে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘আমি ধার্মিক পরিবারের মেয়ে। শখ বা নেশার ঘোরে বলা যায় অভিনয়ে পা রেখেছিলাম। অভিনয়ে পা রাখার পরও আমি কিন্তু নিয়মিত নামাজ পরতাম, জিকির আসকার করতাম। সিনেমার অনেকেই তা জানেন।’



‘অভিনয়ের থাকাকালীন বারবার মনে হয়েছিল, ক্ষণিকের আনন্দের জন্য আমি সব হারাচ্ছি। একটা সময় আমার মধ্যে সে বোধটা চলে আসে। এরপরই আমি সিনেমার জীবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’


এ সময় বলা হয়, আপনার অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবির কাজ তো অসমাপ্ত আছে। সেগুলোর কি হবে? জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু হুট করে অভিনয় থেকে বিদায় নেইনি। অভিনয় ছাড়ার আগে সময় নিয়েছি। অসমাপ্ত ছবির কাজ শেষ করতে নির্মাতাদের বারবার তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু তারা ছবিগুলোর কাজ শেষ করেনি। আমার অভিনীত তিনটি ছবির কাজ অসমাপ্ত আছে। এগুলো হলো- ঠোকর, প্রেম হতেই পারে ও ফাগুনের আগুন।’



তাহলে তো ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তা জানি না। আমি তো ওই সময় ছবির কাজ শেষ করতে নির্মাতাদের বলেছি। কিন্তু তারা ছবিগুলোর কাজ শেষ করেনি। নির্মাতারা খুব ভালো করেই জানেন, এখন আর আমি অভিনয় করবো না।’


সম্প্রতি পুষ্পিতা পপি অভিনীত ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’ ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত এই ছবিতে পুষ্পিতা পপির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ। ছবির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ।


এ সময় এই ছবি প্রসঙ্গে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘২০১৫ সালের প্রথম দিকে এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। শুরুতে এই ছবির নাম ছিল ‘বিধ্বস্ত’। পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’।’


রিনি বলেন, ‘শুনেছি ঈদের পরপরই এটি মুক্তি দেওয়া হবে। আমি অনেক খুশি কারণ, এরপর আমার আর কোনো ছবি মুক্তি পাবে না। আল্লাহর কাছে চাওয়া, এটাই যেন আমার শেষ ছবি হয়। নিজেকে আর পর্দায় দেখতে চাই না। বাকি জীবনটা আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির সামনে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি। শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।


ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।


ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পাকিস্তান। ইনিংসের মাত্র ১৩.১ ওভারে দলীয় ৬২ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। দলীয় ৬২ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, হারিস সোহেল ও বাবর আজম।


শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

admin May 31, 2019

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষদের ঈদযাত্রা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন। এসময় বাসের ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।


ঈদযাত্রায় যানজট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথাও কোনো যানজট তৈরি হয়নি, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের মতো ভালো রাস্তা আর কখনো ছিল না। খুবই প্রশস্ত ও মসৃণ একেকটি সড়ক। ফেরিতে যেন যানবাহনের পারাপারে সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখছি আমরা। এবার ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে।


তিনি বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা চালকদের সাথে কথা বলুন, তাদের পরামর্শ দিন যাতে সড়কের শৃঙ্খলা মেনে গাড়ি চালায়। অতি উৎসাহ নিয়ে কোনো যানকে অতিক্রম (ওভারটেকিং) না করে।


এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ও টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজি-অনিয়ম রোধে র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সতর্ক রয়েছে।


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না।


তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তবে এই মুহূর্ত যানজট সৃষ্টি করবে তাই সে কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাবু রমেশ চন্দ্র দাস, শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশ, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাস মালিক সমিতির নেতারা।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। শুক্রবার নটিংহ্যামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা।


টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অতীত থেকেও সাহস সঞ্চার করতে পারেন তারা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজ ৭টিতে।


শাই হোপ, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছেন তারা। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।



উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।

এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

admin May 31, 2019

আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এটি দ্বাদশ আসর। এর আগে এগারো আসরে এশিয়ার তিন দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা সব মিলিয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর মধ্যে ভারত দু’বার (১৯৮৩ ও ২০১১) এবং একবার করে পাকিস্তান (১৯৯২) ও শ্রীলংকা (১৯৯৬) শিরোপা জিতেছে।


১৯৭৫ থেকে ২০১৫- ক্রিকেট বিশ্বকাপের এগারো আসরে অংশ নেয়া এশিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সম্মিলিত সেরা এশীয় একাদশ বাছাই করেছে স্পোর্টসকিডা ডটকম। এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশের নেতৃত্ব দেবেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।


১. শচীন টেন্ডুলকার (ভারত): জাভেদ মিয়াঁদাদের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি বিশ্বকাপে খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। ৪৫ ম্যাচে রান করেছেন ২২৭৮।


২. সাঈদ আনোয়ার (পাকিস্তান)


তর্কাতীতভাবে পাকিস্তানের সেরা ওপেনার। বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে রান করেছেন ৯১৫।


৩. কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলংকা)


শ্রীলংকার হয়ে ৩৭ ম্যাচে ১৫৩২ রান করেছেন সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শচীন টেন্ডুলকার ও রিকি পন্টিংয়ের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই লিজেন্ড উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।


৪. অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলংকা)


বিশ্বকাপে শ্রীলংকার দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক ডি সিলভা। ৩৫ ম্যাচে ১০৬৪ রান। ’৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করে শ্রীলংকাকে প্রথম শিরোপা জিতিয়ে দেন তিনি।


৫. যুবরাজ সিং (ভারত)


২৩ বিশ্বকাপ ম্যাচে ৭৩৮ রান। ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রাখায় হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরা। ৩৬২ রান করার পাশাপাশি সেবার নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।


৬. ইমরান খান (অধিনায়ক/পাকিস্তান)


’৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান তাদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের যোগ্য নেতৃত্বে। বিশ্বকাপে ৬৬৬ রান ও ৩৪ উইকেট নেয়া অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এশিয়ান বিশ্বকাপ একাদশের নেতৃত্ব দেবেন।


৭. কপিল দেব (ভারত)


তার নেতৃত্বে ভারত প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জেতে ’৮৩-তে। ২৬টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৬৬৯ রান করার পাশাপাশি ২৮ উইকেট নিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম এই সেরা অলরাউন্ডার।


৮. ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান)


বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বোলার। ৩৮ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়েছেন এই সাবেক ফাস্ট বোলার।


৯. জহির খান (ভারত)


২৩ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নেয়া জহির খান বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার।


১০. লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলংকা)


২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম বোলার হিসেবে পরপর চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৩ বিশ্বকাপ উইকেট।


১১. মুত্তিয়াহ মুরালিধরন (শ্রীলংকা)


একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ উইকেটের মালিক মুরালি। এই অফ-স্পিনার ৪০টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৬৮ উইকেট নিয়েছেন।

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেই খেলাটির সবচেয়ে অনুমানের বাইরে থাকা দলটির নাম পাকিস্তান। টানা হারতে থাকা এই দলটি হুট করে জয়ের ধারায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইদানিং ‘আনপ্রেডিক্টেবেল’ তালিকায় পাকিস্তানের সঙ্গে নাম উঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাছাইপর্ব খেলে কোনোক্রমে বিশ্বকাপে আসা দলটি হঠাত্ হঠাত্ ফেভারিটদের উড়িয়ে দিয়ে চমকে দিচ্ছে। ফলে দুটি দলই হয়ে উঠেছে অনিশ্চয়তার সমার্থক।


আর আজ বিশ্বকাপে যার যার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই অননুমেয় দল। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


দুই দলেরই সাম্প্রতিক ফলাফল একেবারে বিস্মরণযোগ্য। পাকিস্তান সর্বশেষ ১০ ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে তারা ১২টি ম্যাচ হেরেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ৯টি ম্যাচই হেরেছে। যে ৫টি জিতেছে, তার মধ্যেও ২টি জয় এসেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।


তবে মজার ব্যাপার হলো, দুই দলই যার যার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দেখিয়েছে, ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন রানবন্যা করতে পারে তারা। সিরিজ কোনো দলই জিততে পারেনি। কিন্তু রানের উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানউৎসব করার জায়গাটাই দুই দলের মূল শক্তি।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে আশাভরসার মূল ব্যাপার হলো তাদের দানবীয় ব্যাটিং। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, সেই হোপ এবং আন্দ্রে রাসেল; কাগজে কলমে অন্তত বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাটিং অর্ডার তাদের। নিজেদের দিনে যে কোনো বোলিংকে ম্লান করে বিশাল স্কোর করে ফেলতে পারে তারা।


পাকিস্তানেরও মূল ভরসা ব্যাটিং তরুণ ইমাম-উল হক, ফাখার জামান বা বাবর আজম ভয়ানক যে হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ তারা রেখেছেন। এই তিন জনের সঙ্গে নবীন আসিফ আলী যোগ দিলে পাকিস্তানও বিশাল স্কোরের পথে হাঁটতে পারে।


তবে দুই দলেরই দুর্বলতা বোলিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাসকে বাদ দিলে বাকিরা সেভাবে দাঁত বসাতে পারছেন না। তাদের বাকি পেসাররা ইংলিশ কন্ডিশনে সেভাবে নিজেদের লাইন লেন্থই খুঁজে পাননি। স্পিনাররাও এ কন্ডিশনে কোনো ভূমিকা রাখার মতো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আছে রহস্যের মধ্যে। দলে শুরুতে রাখা হয়নি মোহাম্মদ আমিরকে। তাকে ছাড়া বোলিং খুব খারাপ করার পর আমিরকে দলে যোগ করা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তাকে বাজিয়ে দেখতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ফলে বোলিং নিয়ে তারাও সংকটে আছে। আজ বলা যায়, একই ধরনের দুই দলের লড়াই। কে বেশি অনিশ্চিত, সেটা প্রমাণের লড়াই।


উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

admin May 31, 2019

আর মাত্র পাঁচ বা ছয় দিন। তারপরই ঈদুল ফিতর। খুশির এই দিনটি উদযাপনে কমবেশি সবাই ঢাকা ছাড়ছে। ট্রেনে-বাসে-লঞ্চে করে শুরু হয়েছে বাড়িমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। গতকাল সকাল থেকেই বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে।


তবে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই রেলের শিডিউলে কিছুটা বিপর্যয় দেখা দেয়। অন্যদিকে বাস বা লঞ্চের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। সদরঘাটে মানুষের চাপ থাকলেও টিকিট নিয়ে কোনো ভোগান্তি চোখে পড়েনি। আর বাসে করে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন মানুষ।


সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, সকাল ৮টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। সে হিসেবে এই ট্রেনের যাত্রীরা ভোর থেকে স্টেশনে ছিলেন অপেক্ষায়। আর ঈদের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে অনেকেই আরও আগে এসে প্লাটফর্মে বসেছিলেন। কিন্তু ৮টার ট্রেন শেষে ঢাকা ছেড়ে যায় সোয়া ১০টায়।


ঈদ যাত্রার শুরু হতে না হতেই সঙ্গী হয়েছে এমন দেরি। তবু বাড়ির টানে এসব দেরিকে তেমন আমলে নিচ্ছেন না কেউ। নাড়ির টানে গ্রামের পথে এবার ঢাকার দুই স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রতিদিন ঢাকা ছাড়ছেন অর্ধলাখ যাত্রী। এর মধ্যে ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট রয়েছে। বাকিরা স্ট্যান্ডিং টিকিটে যাবেন। গতকালও ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।


কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, ঈদের ৩৭ টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের ১৬টি ট্রেনের প্রতিদিন ১৪০৯৫টি টিকিট ছিল। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৬টি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয়েছে। ঢাকা নোয়াখালী রোডসহ সাতটি ট্রেনের টিকিট ৪৮৭৯টি। ঢাকা জামালপুর রুটের স্পেশালসহ পাঁচটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।


ঢাকা নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ ভোটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট টিকিট ১২৫৮ টি। ঢাকা-সিলেট রুটে ৪টি এবং ঢাকা কিশোরগঞ্জের রুটে তিনটিসহ সাতটি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে মোট টিকিট ৪ হাজার ৫৪৮টি। সব মিলিয়ে দিনে ঢাকা থেকে ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ছিল ২৮ হাজার ২২৪টি।


তিনি আরও জানান, চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর নির্ভর করছে ৫ ও ৭ জুনের ঈদের টিকিট বিক্রি। ৫ জুন ঈদ না হলে ৪ জুন সন্ধ্যা থেকে দেওয়া হবে পরের দিনের টিকিট।


এদিকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে গতকাল সদরঘাটেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাড়িমুখো মানুষের ভিড় ছিল। তবে আজ থেকে ভিড় আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দিনে গড়ে দূরপাল্লার নৌযান চলাচল করে ৯০টি। ঢাকা থেকে ১৫০টি রুট ধরে এক লাখ ৭০ হাজার যাত্রী সদরঘাট হয়ে চলাচল করে স্বাভাবিক সময়ে। ঈদ যাত্রায় নৌপথে যাত্রীর চাপ পড়ে দ্বিগুণের বেশি। তবে এসময় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদরঘাট পৌঁছতে গিয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বাস কম থাকায় গুলিস্তান থেকে হেঁটে সদরঘাটে ছুটতে হয় অনেককে।


সদরঘাট থেকে গতকাল বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে গেছে অন্তত ২১৫টি লঞ্চ। আর এসব লঞ্চে করে ঢাকা ছেড়েছেন বিপুল যাত্রী।


বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ঢাকা নদীবন্দরের হিসেবে এ বছর ঈদ করতে সদরঘাট হয়ে নৌপথে ঘরে ফিরবেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। ৪৩টি রুটে প্রতিদিন লঞ্চ চলবে ২১৫টি। তবে এবার ঈদে ঝড়বাদল থাকতে পারে। সে আশংকায় তিন নম্বর বিপদসংকেত দিলেই নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।


ঢাকা নদী বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এ ঈদে ঢাকা বরিশাল রুটে লঞ্চ চলবে ২৩টি, ঢাকা চাঁদপুর রুটে ২৫টি, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে ১৩টি, ঢাকা হুলারহাট ভান্ডারিয়া রুটে চলবে ১০ টি, ঢাকা ভোলা রুটে ৮টি।


এদিকে সড়কপথে এবার যাত্রার আগে থেকেই টিকিটের হাহাকার দেখা গেছে। সড়কপথে ঢাকার মহাখালী, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে উত্তর-দক্ষিণের জেলাগুলোর বাস ছাড়ে। গতকাল এসব টার্মিনাল থেকে মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। তবে বেশি যাত্রীর চাপ পড়বে ১ থেকে ৩ জুন। এর মধ্যে ৩ জুনের কোনো এসি বা নন এসি বাসের সিট পাওয়া যাচ্ছে না।


মহাখালি টার্মিনাল সূত্র জানায়, চাঁদরাত পর্যন্ত এখান থেকে বাস চলবে। তবে ঈদের দিন বেশিরভাগ দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রাত থেকেই আবার কিছু কিছু রুটে বাস চলাচল শুরু হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

admin May 31, 2019

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর একে একে শপথ নিচ্ছেন ৫৫ জন মন্ত্রী। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজনের আসন নিশ্চিত হয়েছে।


নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতিভবনে করা হয় এলাহি আয়োজন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। তারা সবাই যথাসময়ে সেখানে পৌঁছান। অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত হন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীও।


২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদীর শপথের সময় রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।


বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে শপথগ্রহণে যোগ দেওয়ার কথা বললেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন।



বাংলায় তিন মন্ত্রী


মন্ত্রিসভায় নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার পদোন্নতিও হতে পারে। পেতে পারেন পূর্ণ মন্ত্রক। আগের বারের মন্ত্রী ও সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার মন্ত্রিত্বও কার্যত নিশ্চিত। অন্য দিকে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন এসেছে বলে দেবশ্রী নিজেই জানিয়েছেন।

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

admin May 31, 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতেরভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এর বিরোধীতা করেন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।


ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীতে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


এর আগে, সভায় গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

চেহারা নিয়ে কটূক্তি: কেঁদে ফেললেন বিদ্যা (ভিডিও)

চেহারা নিয়ে কটূক্তি: কেঁদে ফেললেন বিদ্যা (ভিডিও)

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিদ্যা বালান, তিনি এমন একজন অভিনেত্রী যার শারীরিক গঠন নিয়ে কিছু কম কথা শুনতে হয়নি। অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যা কেন এত মোটা! এটা নিয়ে জনসমক্ষে কম আলোচনা হয়না।


তবে শুধুই বিদ্যা কেন, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের অত্যাধিক মোটা অথবা রোগা হওয়ার জন্য, কিংবা গায়ের রং, উচ্চতার জন্যও নিত্যদিনই নানান লোকজনের থেকে বিভিন্ন কটূকথা শুনতে হয়েছে বা হয়। যাঁরা এধরনের কথা বলেন, তারা হয়ত যাকে বলছেন তার মানসিক অবস্থার কথা একবারের জন্যও ভাবার প্রয়োজন বোধ করেন না।


সম্প্রতি, বডি শেমিং নিয়ে বলিউডের গান ব্যবহার করে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছেন বিদ্যা বালান। যেখানে তাকে কালো শাড়ির উপর ওড়না গায়ে দিয়ে নিজের গলাতেই বলিউডের বিভিন্ন গানকে এই বডি শেমিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে প্রথম গানটাই হল কভি তো মোটি ক্যাহেতা হ্যায়, কভিতো ছোটি ক্যাহেতা হ্যায়। এছাড়াও হিন্দি ছবির আরও বেশকিছু গান ব্যবহার করতে দেখা গেছে বিদ্যাকে। গান গাইতে গাইতে ক্রমশ যেন বিষন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। গান গাইতে গাইতেই কেঁদে ফেলতে দেখা গেছে তাকে।


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও 'বডি শেমিং' নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিদ্যা। তাঁর মোটা হওয়া নিয়ে ছোট থেকেই তাঁকে নানান কথা শুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।


বিদ্যার কথায়, ‘যখন আমি কিশোরী ছিলাম, তখনই অনেকে আমায় বলতো এতো সুন্দর দেখতে, কিন্তু তুমি ওজন কেন কমাও না? এটা হয়তো বলা সহজ। রোগা হওয়ার জন্য আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন বহুবার আমি অনেক সময় উপোস করে থেকেছি, পাগলের মতো শরীরচর্চা করেছি। তবে কোনওকিছুতেই কিছু হতো না। এর প্রধান কারণ হল হরমোন। শরীরচর্চার কারণে হরমণের সমস্যা হয়তো কিছুটা কমে তবে কিছুদিন পরেই আবার তা যে কে সেই।’


বিদ্যার কথায়, ‘তাই পরবর্তীকালে যখন কেউ আমায় শরীরচর্চার কথা বলো আমার ভীষণই রাগ হতো। লোকে কীভাবে বলতে পারে আমি শরীরচর্চা করি না। আমি যে রোগা হওয়ার জন্য কতটা পরিশ্রম করি, তা কি তাঁদের জানা আছে?’


https://youtu.be/rOunvdHHNYU
পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

admin May 31, 2019

বেজে গেল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দ্বাদশ বিশ্বকাপ। ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্বকাপ, সর্বশেষ আসর বসে ২০১৫ সালে।


এই ১১টি আসরে বিশ্ববাসী দেখেছে অনেক পরিবর্তন। এ সময়ের মধ্যে ৬০ থেকে কমিয়ে ৫০ ওভারে আনা হয়েছে ম্যাচের পরিধি, প্রবর্তন হয়েছে রঙ্গীন পোশাকের। প্রবর্তন হয়েছে সাদা বলের, দিবা-রাত্রির ম্যাচসহ অনেক পরিবর্তনই সাধিত হয়েছে।


এ পর্যন্ত মোট ২০ দেশ অংশ নিয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। তবে তাদের মধ্যে কোবলমাত্র ৭টি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড অংশ নিয়েছে ১১টি টুর্নামেন্টের সব আসরেই। সর্বোচ্চ ১৬টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপ।


দীর্ঘ দিন পর ২০১৯ আসরে প্রথমবার কোন সহযোগী দেশ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরে টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। উপরোল্লিখিত দেশগুলো ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।


বিশ্বকাপে সেরা দল কোনটি প্রশ্ন আসলেই নাম আসে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিযা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছে এবং তারাই একমাত্র দল যারা এক নাগারে তিন বার বিশ্বকাপ জয় করেছে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর পর দুই বার জিতেছে বিশ্বকাপ শিরোপা।



বিশ্বকাপ ‘রোল অব অনার’


১৯৭৫-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৭৯-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৮৩-ভারত
১৯৮৭-অস্ট্রেলিয়া
১৯৯২-পাকিস্তান
১৯৯৬-শ্রীলংকা
১৯৯৯-অস্ট্রেলিয়া
২০০৩-অস্ট্রেলিয়া
২০০৭-অস্ট্রেলিয়া
২০১১-ভারত
২০১৫-অস্ট্রেলিয়া।



ব্যাটিং পারফরমেন্স:


৪১৭/৬ অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ২০১৫। বিশ্ব্কাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
৩৬ কানাডা প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ২০০৩। বিশ্বকাপে সর্ব নিম্নদলীয় সংগ্রহ।
২২৭৮ ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের রান। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান।
২৩৭* মার্টিন গাপটিলের রান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
১৬৫- বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সেঞ্চুরি সংখ্যা।
২৬- অস্ট্রেলিয়া দলের সেঞ্চুরি সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন দলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি।
৬- শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
১৫- শচিন টেন্ডুলকারের হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
৬৭৩-২০০৩ আসরে শচিন টেন্ডুলকারের রান সংখ্যা। বিশ্বকাপের কোন এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান সংখ্যা।



বোলিং পারফরমেন্স :


৭১- অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার উইকেট সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা।
৭/১৫-নামিবিয়ার বিপক্ষে ২০০৩ আসরে গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিং ফিগার। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
৫৪- বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা।
১৩-অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা। বিশ্বকাপে যা কোন দলের সর্বোচ্চবার পাঁচ উইকেট শিকার।
২-বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ বার পাঁচ উইকেট শিকার। অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রাকেস, শ্রীলংকার অশান্তা ডি মেল, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার করে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
২৬- এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা।



উইকেটকিপিং পারফরমেন্স:


৫৪-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। যে রেকর্ডটি শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারার দখলে।
৬ -বিশ্বকাপের কোন আসরে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট এবং ২০১৫ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ এ রেকর্ডের মালিক।
২১- এক আসরে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ বিশ্বকাপে এ রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট।



ফিল্ডিং পারফরমেন্স :


২৮ : বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। যার মালিক অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।
৪-বিশ্বকাপের কোন এক ম্যাচে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের মোহাম্মদ কাইফ, ২০১৫ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, একই আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের উমর আকমলের দখলে রয়েছে রেকর্ডটি।
১১- বিশ্বকাপের এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ আসরে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

০১৫ বিশ্বকাপ, ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো নিউজিল্যান্ড আরো একবার শূন্য হাতে ফিরলো ওই অজিদের সাথে হেরে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনালী ট্রফি ছুঁয়ার সেরা সুযোগ হারালো ব্ল্যাকক্যাপরা। প্রথমবার যে ফাইনালে উঠেছিলা আসরের সহ আয়োজকরা। চ্যাম্পিয়ন না হয়ে সবচেয়ে বেশিবার সেমি ফাইনালে ওঠা দলের নামও নিউজিল্যান্ড। সংখ্যাটা ছয়।মাত্র দুবার গ্রুপ পর্ব বাধা পেরুতে পারেনি কিউইরা।


শুধু বিশ্বকাপ কেনো, আন্তর্জাতিক যে কোন টুর্নামেন্টেই রহস্যের নাম নিউজিল্যান্ড। বরাবরই ডার্ক হর্স হয়ে আসর শুরু করা ব্ল্যাকক্যাপদের ট্রফিটাই শুধু অধরা থেকে যায়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের শোকেসে তাই একমাত্র অর্জন ২০০০ সালে কেনিয়ায জেতা আইসিসি নক আউট ট্রফি।


স্বপ্ন দেখেছিলেন, দলকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একজন। তিনি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফরমার মার্টিন ক্রো। ১৯৯২ আসরের টুর্নামেন্ট সেরা শেষ পর্যন্ত পারেননি। পাকিস্তানের কাছে হেরে সেবার সেমিফাইনালে থেমেছিলো বিশ্বকাপ অভিযান


অথচ বিশ্বকাপের ৭৯ ম্যাচের ৪৮টিতে জয়ে সেরা তিনে জায়াগ পেয়েছে র্যাংকিংয়ের ৪ নম্বর দলটি। তবে সবমিলিয়ে ৭৫৯ মচে অর্ধেকের চেয়ে বেশি হেরেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কিউইরা। এক জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু হবে কেন উইলিয়ামসনের দলের।


এবারের আসরের যথারীতি সমীহ জাগানো দল কিউইরা। যেখানে ভরসার প্রতীক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এ ব্যাটিং স্তম্ভের সঙ্গী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলায় অপেক্ষায় থাকা রস টেলর।সাম্প্রতিক দারুন ফর্মে র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে এ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা মার্টিন গাপটিলকেও রাখতে হবে এই তালিকায়।


পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের পেস অ্যাটাক। র্যাংকিংয়ে দু নম্বরে থাকা ট্রেন্ট বোল্ড, অভিজ্ঞ টিম সাউদিরা ই্ংলিশ উইকেটে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরিরাও গতিময়ততার প্রতীক।


আছে শক্তিশালী অল রাউন্ডার ডিপার্টমেন্ট। কলিন মানরো, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, এমনকি মিচেল স্যান্টনার সকলেই ব্যাটে বলে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের দূর্বলতার জায়গা তাই কোন নির্দিষ্ট বিভাগ নয়। অতীত আর পরিসংখ্যান।

পাকিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

পাকিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

০১৫ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গত আসরের কোয়ার্টারফাইনালে চ্যাম্পিয়ন অসি টিমের কাছে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। এবারের আসরের ডার্ক হর্স পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে টিমটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:


বিশ্বকাপে পাকিস্তান টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে ১৯৭৫, ২০০৩ এবং ২০০৭ তিন আসরে গ্রুপ পর্বে থেকে ছিটকে পড়েছে পাকিস্তান। ১৯৯৬ এবং ২০১৫ দুইবার বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয়েছে ১৯৯৯ আসরে। চার বার (১৯৭৯,১৯৮৩,১৯৮৭ এবং ২০১১) খেলেছে সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা মুহূর্ত আসে ১৯৯২ আসরে। ইমরান খানের নেতৃত্বে এ আসরে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান।


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
বিশ্বকাপে এক ম্যাচে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৪৯। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি গড়ে পাকিস্তান। সর্বনিম্ন ৭৪ রানের রেকর্ডটি গড়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপে এডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।


ইমরান নাজির, শহিদ আফ্রিদির ব্যক্তিগত রেকর্ড:
পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরান নাজির। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক শহিদ আফ্রিদি। ২০১১ বিশ্বকাপে হাম্বানটোটায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট শিকার করে এ রেকড গড়েন তিনি। অবশ্য দ্বিতীয় সেরা ৫/২৩ বোলিং ফিগারের মালিকও তিনি।


পারফরমেন্স বিবেচনায় সবচেয়ে সফল জাভেদ মিঁয়াদাদ ও ওয়াসিম আকরাম
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ। এক সেঞ্চুরি ও নয় হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ১০৮৩ রান নিয়ে তালিকায় সবার শীর্ষে বআছেন তিনি। সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তার অবস্থান ১১তম। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারী পেসার ওয়াসিম আকরাম। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) এবং শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরলিধরনের (৬৮) পর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।


পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ড:
তিনটি করে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন রমিজ রাজা এবং সাঈদ আনোয়ার। সবচেয়ে বেশি নয়টি হাফ সেঞ্চুরি জাভেদ মিঁয়াদাদের। সেরা ৫৩ দশমিক ৮৪ ব্যাটিং গড়েরর মারিক রামিজ রাজা। এক ইনিংসে সর্বাধিক ৪ উইকেটের মারিক শহিদ আফ্রিদি।

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ফগানিস্তান টিমের বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে বিশ্বকাপের একাদশ আসরে। লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টিমটি। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়েই ছিটকে পড়ে আফগানরা। তাদের একমাত্র জয়টি এসেছে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়ার টিমটির জয়ের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে টিমটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:


অতীত পারফরমেন্স:
২০১৫- লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ স্থান


ব্যাটিং পারফরমেন্স :
২৩২-বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৫ আসরে যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল তারা।
১৪২- বিশ্বকাপে আফগান টিমের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
২৫৪- বিশ্বকাপে কোন আফগান খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। রেকর্ডটির মালিক সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
৯৬- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
২-হাফ সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ অর্ধশতকের ইনিংস। যার মালিক সামিউল্লাহ শনওয়ারি।


বোলিং পারফরমেন্স :
১০ উইকেট- বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। যার মালিক শাপুর জাদরান।
৪/৪৮- বিশ্বকাপে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃত্তি গড়েন শাপুর জাদরান।


উইকেটরক্ষক পারফরমেন্স :
৭-ডিসমিজাল-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। যার মালিক আফসার জাজাই।
৩-ডিসমিজাল- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আফসার জাজাইর সাফল্য।


ফিল্ডিং পারফরমেন্স :
৩ ক্যাচ- বিশ্বকাপে আফগান কোন ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান এবং নওরোজ মঙ্গল তিন জনই তিনটি করে ক্যাচ নিয়েছেন।
২ ক্যাচ- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ নবী অস্ট্রেলিয়া, নজিবুল্লাহ জাদরান অস্ট্রেলিয়া এবং নওরোজ মঙ্গল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

পাঁচ বার শিরোপা জিতে বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল টিম অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া দ্বাদশ বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এবারের আসরে এ্যারন ফিঞ্চের টিমের জন্য কাজটি কিছুটা কঠিন হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপের প্রথম ও দ্বিতীয় (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ আসরে বিস্ময়করভাবে রাউন্ড রবীন পর্বে ছিটকে পড়ে। ২০১১ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয় দুই বার(১৯৭৫ এবং ১৯৯৬) বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সফল টিম এবং পাঁচ বার ( ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া টিমের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি হয় ২০১৫ আসরে। নিজ মাঠে এ আসরে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের রেকর্ড গড়ে। বিস্ময়করভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৯৮৩ আসরে চেমসফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে ১২৯ রান।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: ওয়ার্নার এবং ম্যাকগ্রা
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগ ইনিংসটির মালিক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষ ওয়ার্নারের করা ১৭৮ রানের ইনিংসটি। বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২০ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এন্ডি বিচেল।


রিকি পন্টিং এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রভাব:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৪৩ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ রিকি পন্টিং। পাঁচ সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চরি নিয়ে তিন টিমের সর্বোচ্চ স্কোরার এবং সর্বকালের সেরাদের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারী ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপেরও শীর্ষে আছেন।


অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পন্টিং ছাড়া এক হাজারের বেশি রান করেছেন অপর দুই ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ (১০০৪) এবং এডাম গিলক্রিস্ট (১০৮৫) পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পন্টিং। উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ টি ডিসমিজালের মালিক গিলক্রিস্ট। উইকেটরক্ষকের বাইরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড রয়েছে পন্টিংয়ের।

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

তিহাসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:


আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্বনিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।


সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব। বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি। ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।


বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সর্বোচ্চ জুটি।


২০১৯ বিশ্বকাপ কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার টিমের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা টিমকে ভোগাতে পারে। তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে টিমটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three