৫৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ, কিন্তু কেন?
Nationalআরও পড়তে পারেন :
বিশ কোটিতে বিক্রি প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ছবি
EntertainmentRangpur Express:
এখন চারদিকে কথা হচ্ছে রণভীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে নিয়ে। ইতালির লেক কোমার ভিলা দেল বালাবিয়ানে শেষ হয়েছে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। এবার বলিউড আরেক তারকার বিয়ের অনুষ্ঠান দেখার প্রহর গুনছে। এই শীতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন রণভীর-দীপিকার বিয়ের ছবি ভাইরাল হচ্ছে। তখনই খবর এলো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বিয়ের সব ছবি বিক্রি হয়ে গেছে প্রিয়াঙ্কার। ২০ কোটির টাকায় একটি পত্রিকার কাছে বিয়ের ছবির স্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
অর্থাৎ ওই পত্রিকা ছাড়া আর কোথাও ছবি প্রকাশিত হবে না। বিয়ের ছবি দেখতে হলে ওই পত্রিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমস্টারডমে বর-কনের ব্যাচলের পার্টি হয়ে গেছে ধূমধাম করে। এর পরে মূল বিয়ের অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্কে। এখনও পর্যন্ত জানা গেছের, তিন দিনের অনুষ্ঠান হবে সেই বিয়েতে। প্রায় ২০০০ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Source: বিশ কোটিতে বিক্রি প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ছবি
Rangpur Express/S
মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল
Localবাকী অংশ পড়তে ক্লিক করুন:
মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল
Source: বিনিয়োগ বার্তা
# লালমনিরহাট, হাতীবান্ধা, Lalmonirhat, Hatibandha
ইতিহাসে আজকের দিনে: শনিবার ০৬ অক্টোবর’২০১৮
National- ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন (১৭০২)
- কবি আলফ্রেড টেনিসনের মৃত্যু (১৮৯২)
- বসনিয়া ও হারজেগোভিনার ভূখণ্ড অস্ট্রিয়ার অধিভুক্ত (১৯০৮)
- তুর্কী সাম্রাজ্যের অধীন বৈরুতে ফ্রান্সের দখল কায়েম (১৯১৮)
- চিয়াং কাইশেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত (১৯২৮)
- মেক্সিকোর সিয়াটলের কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২০৮ তার্থযাত্রী নিহত(১৯৭২)
- ইসরাইলের সঙ্গে মিশর-সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু (১৯৭৩)
- থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থান (১৯৭৬)
- মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত সেনাবাহিনীর হাতে নিহত (১৯৮১)
- বসনিয়ায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯৫)।
সৌদির কাছ থেকে কোটি ডলার নিয়েছেন টনি ব্লেয়ার
টনি ব্লেয়ার বিশ্বআন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন টনি ব্লেয়ার। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবরে প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের বৈধতা দাবি করেছে। তারা দাবি করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের এই অর্থের কোনও অংশই গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া যে মুনাফা হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক কাজ থেকে আসেনি।
টনি ব্লেয়ারের এনজিওতে সৌদি অর্থের আগমণ এবং ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানকে তার সমর্থন করায় ঘটনাটি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এনজিও সৌদি আরবের কাছ থেকে কয়েক লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড গ্রহণের ঘটনা সামনে আসার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত হিসাব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি আরবের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১২ মিলিয়ন ডলার তহবিল পেয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা এই অর্থের যোগানদাতা হিসেবে মিডিয়া ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি আবার সৌদি রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিং গ্রুপের একটি সহযোগী সংগঠন।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে এই বছরের শুরুতে। সৌদি আরবকে আধুনিকায়নে সহযোগিতার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের চুক্তি।
‘মেঘকন্যা’ রূপে নিঝুম
নিঝুম রুবিনা বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী নিঝুম রুবিনা এ পর্যন্ত নূর মোহাম্মদ মনিরের ‘কিস্তির জ্বালা’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’, আবুল কালাম আজাদের ‘অনেক সাধনার পরে’, শাহিন সুমনের ‘মিয়া বিবি রাজী’, মিনহাজ অভির ‘মেঘকন্যা’, রাহুল রওশনের ‘জান রে’ ও মোহাম্মদ আসলামের ‘ভালোবাসা ডটকম’সহ বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এরইমধ্যে তার চারটি ছবি মুক্তিও পেয়েছে। এবার আরেকটি ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। এখানে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিঝুম। এ প্রসঙ্গে নিঝুম রুবিনা বলেন, প্রযোজক সমিতি থেকে আসছে ১২ই অক্টোবর ছবি মুক্তির তারিখ নেয়া হয়েছে। এটা গল্প প্রধান ছবি। এ ছবিটি করতে গিয়ে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।
এ ছবির কাহিনি ও গান দর্শকদের বেশ ভালো লাগবে বলে আশা করছি। আজ শুক্রবার এ ছবির প্রথম গানটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হয়েছে। এরপর পোস্টার, টিজার, ট্রেলার ধীরে ধীরে প্রকাশ করবেন বলে জানান ছবির প্রযোজক এজেডএম জাহাঙ্গীর কবির।
আরও পড়তে পারেন >> ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ
জয়া মিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারের এ ছবিতে ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন সুচরিতা, শম্পা হাসনাইন, হৃদ্য প্রমুখ। এ ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান। গানগুলোর সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। এ ছবির বাইরে এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে ‘সংসার’, ‘বেসামাল’ এবং ‘জান রে’ নামে আরো তিনটি ছবি সামনে মুক্তি পাবে। এ তিনটি ছবিতেও নিঝুম রুবিনা অভিনয় করেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ
ঐন্দ্রিলা আহমেদ বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: দশ বছর পর বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফেরেন বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। এরইমধ্যে বেশ কিছু নাটকেও তাকে দেখা গেছে। তবে এবার এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল ক্ষোভের কথা। গেল ৪ঠা সেপ্টেম্বর ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক বুলবুল আহমেদের জন্মদিন। কিন্তু এই মহানায়ককে নিয়ে এফডিসিতে ছিল না কোনো আয়োজন। দু’একটি গণমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলেই তার জন্মদিন সীমাবদ্ধ ছিল। এনিয়ে দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তার উত্তরসূরি ঐন্দ্রিলা আহমেদ। ঐন্দ্রিলা বলেন, একজন মহানায়ক কালে কালে জন্মায় না।
এর মূল্যায়ন করা উচিত। বুলবুল আহমেদ শুধু আমার পিতা নন, তিনি এদেশের সম্পদ। শুধু আমার বাবা কেন, এই দেশে আরো অনেক গুণী মানুষই উপেক্ষিত। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের এই বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন। যাদের হাত ধরে চলচ্চিত্র আজ এই অবস্থানে, তাদের উপেক্ষিত করে ভালো কিছু হতে পারে না।
এদিকে ঐন্দ্রিলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে জব করছেন বলেন জানান। তার পাশাপাশি ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে ‘বিলাভড’ শিরোনামের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া রিদম খানের ‘চিলে কোঠার সংসার’, দিপু হাজরার ‘ফেইক লাভ’, কাজী সাঈফের ‘আতংক’, পৃথ্বিরাজের ‘ছোট ছোট আশা ভালোবাসা’ ও ‘জল পুকুরে ডুব’ শিরোনামের নাটকগুলোতে তিনি অভিনয় করেন।
পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পঞ্চগড় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টপঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশাম রেজা, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শাহীন। খেলাটি শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ উপভোগ করেন।
উদ্বোধনী খেলায় চাকলাহাট ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ও কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করে। খেলায় কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ জয়ী হয়। টুর্নামেন্টে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন থেকে ১০ টি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও মর্মান্তিক মৃত্যু সড়ক দূর্ঘটনা সারাদেশঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমান ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে নিশাদ (১৮) ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় পারিবারিক কাজে যায়। সেখান থেকে বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে বাইকযোগে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির কাছে আসলে বালিয়াডাঙ্গী থেকে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত বালিরট্রাক ((ঢাকা মেট্রো-উ-১১১১৩৬) বিপরীত দিকে আসার সময় নিশানকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে সে মারা যায়। ঘাতক ট্রাকটি স্থানীয়রা আটক করলেও ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।
আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু
গাইবান্ধা গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সারাদেশগাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে। এজন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। আর এই ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ২৬ লাখেরও বেশি রোগী। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে চালু হবে একটি নার্সিং কলেজ। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে বাকি।
গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলার অবকাঠামো নির্মিত হবে। পরে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মিত হবে বাকি চার তলা। ৮ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ জুন। আর কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন। এই বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্স লিমিটেড।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে তিন একর জমিতে একটি নার্সিং কলেজ চালু করার জন্য অনুমোদন, জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা বাকি মাত্র। এই নার্সিং কলেজে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নার্সিং কলেজে আর্টস ও কমার্স (ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। আরও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে পরে আবারও ২ বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪ বছর মেয়াদী এই বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাস করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। এরপরও রয়েছে আরও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ।
আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের উত্তর পাশে পুরোনো আবাসিক কোয়ার্টারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবন তৈরির স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় থেমে আছে কাজ। মাটি কাটার মেশিনসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণও এনে রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল চত্ত¡রে। আর নার্সিং কলেজ স্থাপনের জায়গাটি এখন পানিতে ভর্তি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নার্সিং কলেজের সাইনবোর্ড।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগী বেশি হওয়ার কারণে বর্তমানে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলা ওই বহুতল ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন রোগীরা। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করলে ভর্তি রোগীরাও উপকৃত হবে। তাই হাসপাতালের ৮ম তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করে কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।
গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার বলেন, হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলা ভবন নির্মিত হবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। পরে চাইলে বাকি চার তলার কাজও করা যাবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) জাগো নিউজকে বলেন, ৮ তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ও নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষের জন্য হবে এক মাইলফলক। ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আর নার্সিং কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।
প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
উত্তরাঞ্চল চার সন্তানের জন্ম রংপুরহাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু দুপুর আড়াইটার দিকে ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচার করলে পরপর চার সন্তানের জন্ম হয়।
পপির বড় ভাই মোস্তাকিন রহমান শিশির জানান, ৮ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে মহসীনের বিয়ে হয়। মহসীন ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাদের এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। এতে পরিবারের সকলেই খুশি। বর্তমানে চার সন্তান ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন
উত্তরাঞ্চল জাতীয় বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনি হাইলাইটরংপুর এক্সপ্রেস: দীর্ঘ প্রায় তিন মাস (৮৮ দিন) বন্ধ থাকার পর ১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে। ওই দিন খনির ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজ হতে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এর আগে গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেইজের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় খনির কোল ইয়ার্ড ও কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুদ শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।
এদিকে খনির কয়লা মজুদের হিসাবে গরমিল ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মে.টন কয়লা ঘাটতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় নির্দ্ধারিত সময়ের আগে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশি খনি শ্রমিকরা তারও আগে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়।
গত বুধবার বিকেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে গেলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট দ্রুত চালু করতে জোর তৎপরতা চলছে। গত ২৬ আগস্ট বিকেলে খনির প্রশাসনিক ভবনে পিডিবি, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ও বিসিএমসিএল’র মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরুর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার তথা জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রো-বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপি (৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা সফল করতে কয়লা খনির বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৮ সেপ্টেম্বর কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চান। সে কারণে ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। খনি শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন ও সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে ৬ ঘন্টার প্রতি শিফটের স্থলে অতিরিক্ত দুই ঘন্টাসহ প্রতি শিফটে ৮ ঘন্টা কাজ করে হলেও শ্রমিকেরা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খনির কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়। শীঘ্রই কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় খনি কর্তৃপক্ষ, পিডিবি, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও সরকারের নীতি নির্দ্ধারক পর্যায়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ
উত্তরাঞ্চল নীলফামারী প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগনীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় জমি দখলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিরা লাল ভুইমালী নামের এক কিশোর কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের শিব মন্দির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত নারায়ন ভুইমালীর মৃত্যুর পর গত ১০ বছর যাবত নারায়ন ভুইশালীর বিধবা স্ত্রী বাসন্তী ভুইমালী তার নাবালক পুত্র হিরা লাল ভুইমালীকে নিয়ে মৃত স্বামীর বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলো। এমতাবস্থায় আজ সকালে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দও খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত তমদ্দিনের পুত্র আতাউড় রহমান (৪৫) ও ডিমলা সদরের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত চাটি মামুদের পুত্র মহুবার রহমানসহ (৫০) তাদের লোকজন নিয়ে ওই বিধবার বসত বাড়ি জবরদখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় গাছপালা কর্তন করতে থাকলে ওই বিধবা তার নাবালক সন্তান বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এবং বিধবার পারিবারিক পুজা মন্ডপ ঘড়ের রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুড় করে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার এসআই সুমন রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা
এক্সক্লুসিভ জাতীয় ভোটার রোহিঙ্গা হাইলাইটরংপুর এক্সপ্রেস: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা এদেশের ভোটার হিসাবে নিবন্ধতি হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে। সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সত্ত্বেও তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি)চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪টি জেলার ৩২ উপজেলায় ভোটার হওয়া ২৪৩ রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে। তাদের কারোরই জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা না থাকলেও সঠিকভাবেই তারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- রোহিঙ্গারা অর্থের বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করছে। আর ওসব নথি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে তারা। ঘটনাগুলো সামনে আসার পর টনক নড়েছে ইসির। বর্তমানে ইসির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রথমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক অনুসন্ধানে উঠে আসে। তারপর বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। তাতে অনেক সতর্কতার মধ্যেও বেশকিছু রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছে রোহিঙ্গারা। আর ওসব কাগজপত্রের ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করছে তারা। এমন অবস্থায় মাঠপর্যায়ে জন্মনিবন্ধন সনদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয়তা সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার দাবি উঠছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দালালের হাত ধরে টাকার বিনিময়ে ভোটার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গারা। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ স¤প্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে (চট্টগ্রাম অঞ্চল) একটি চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হওয়া ২৪৩ ভোটারের নাম, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভোটার হওয়ার এলাকার নাম ও ওয়ার্ড-ইউনিয়নের নাম দেয়া হয়। স¤প্রতি বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল ও আবু তালেব। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসমাইল ভোটার হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে। তার বরাদ্দ পাওয়া ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৮৯০৩১৫১৩১২৯৪৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১১২৯৪৪০০। আর একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার হয়েছেন আবু তালেব। তার অধিকারে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৫৮০৩১৫১৩১৩০১৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১৫৩০১৪০০। তালিকায় সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা হিসেবে তাদের নাম এসেছে।
নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হলেও কেউ কেউ ভোটার হয়ে যাচ্ছে। তারা দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঢল নামার পর গত কয়েক মাস আগে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে কক্সবাজারের পাসওয়ার্ড লক করে দেয়া হয়। তারপরও দালালদের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তার মধ্যে কেউ কেউ পাসপোর্টও গ্রহণ করেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন প্রমাণ পেয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, অবৈধভাবে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ারা রোহিঙ্গারা শুধু কক্সবাজার বা বান্দরবান নয়, চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন এলাকায়ও রোহিঙ্গা হিসাবে শনাক্ত হয়েছে অনেক ভোটার। তার মধ্যে নাসিরাবাদ, জালালাবাদ, চান্দগাঁও, মৌলভীপাড়া, হালিশহর, কাট্টলী, শুলকবহর, পতেঙ্গা, কাটগড় এলাকায় একাধিক ব্যক্তি রোহিঙ্গা ভোটার হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দালালদের টাকা দিয়ে তারা ভোটার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ইসি কর্মকর্তারা। তাছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাতেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আসা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ভোটার হতে এসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে মিয়ানমারের ৫/৬ জন বাসিন্দা। তারা টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হলেও অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ওই চিঠিতে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে অভিযুক্ত ২৪৩ ভোটারের তথ্য যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তালিকাটি ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়গুলোয় পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় দেয়া তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের গরমিল পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে। আর চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্রের সঠিকতা পেলে নির্বাচন কমিশনেরও কিছু করার থাকে না।
কুড়িগ্রামে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রাম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডকুড়িগ্রাম: সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) এবং ইয়াং বাংলা আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সিআইআর প্রতিনিধি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন আশার আলো পাঠশালার আয়োজনে আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উপ-সচিব রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, নাগেশ্বরী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আহসান হাবীব নীলু, আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৪সালে প্রতিষ্ঠি হয় সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) দেশের বৃহত্তম তরুণদের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। এই সংগঠনটি ২০১৫সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮সালে ১০বিভাগের উপর বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন গুলোকে।
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
উত্তরাঞ্চল কুড়িগ্রাম খেলাধুলা বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলকুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলা ভোগডাঙ্গা বানির খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে বেলগাছা আত্তারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
অন্যদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয় ২-০ গোলে হলো খানা ইউনিয়নের চর শুভার কুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
হতাশ নুসরাত ফারিয়া!
নুসরাত ফারিয়া বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: প্রায় বছর খানেক ধরে নতুন ছবিতে কাজ করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ছবিটি মুক্তি পায় এ বছরের শুরুর দিকে। ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ নামের সেই ছবির পর আর কোনো ছবির শুটিংয়ে দেখা যায় নি আলোচিত এই নায়িকাকে। তিন বছর আগে ‘আশিকী’ দিয়ে উপস্থাপিকা থেকে নায়িকা বনে যাওয়া ফারিয়া একটানা ছবির কাজ করেছেন গত বছরের শেষ পর্যন্ত। বিষয়টি তাকে ভাবায়। একটা সময় নাকি হতাশায় ডুবে যান। বুধবার ঢাকার গুলশানের একটি পাঁচতারা হোটেলে নতুন ছবি ‘শাহেনশাহ’র মহরত অনুষ্ঠানে কথাটি বলেই ফেললেন এ নায়িকা।
উপস্থাপিকা ফারিয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারের ছবিতে অভিনয় দিয়ে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের কলকাতার ছবিতেও অভিষেক ঘটে তাঁর। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে চমকে দেন এই নায়িকা। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস বসে থাকতে হয় তাঁকে। তবে একের পর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু গল্প পছন্দ না হওয়াতে সেসব ছবিতে কাজ করতে রাজি হননি বলেও জানান। নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘নতুন ছবি “শাহেনশাহ”য় অভিনয়ের প্রস্তাবের ঠিক কিছুদিন আগে আরেকটি ছবিতে সাইন করেছিলাম। সেই ছবিতে চুক্তি হওয়ার আগে ১৬ ছবির গল্প শুনেছি। একটিও পছন্দ হয়নি। কেন জানি মনে হচ্ছিল, ভালো কোনো কাজ পাচ্ছি না। আমি চাইছিলাম, আবার এমন একটি ছবি করব, তুলকালাম কাণ্ড যেন ঘটে যায়। সবকিছু আমাকে হতাশায় ডুবায়। কেন এমনটা হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! সব কটি গল্প পড়ার পর অভিনয়ের প্রস্তাব বাতিল করেছি। ফাইনালি “শাহেনশাহ” ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এল। গল্প ভালো, আর নায়ক তো সুপারস্টার। দুইয়ে দুইয়ে চার, আর চারে দুয়ে মিলে ছয় হয়ে গেল। এবার আর ঠেকায় কে।’
এদিকে মহরতের আগে ‘শাহেনশাহ’ ছবির একটি গানের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন শাকিব খান আর নুসরাত ফারিয়া। ব্যাংককে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও দারুণ ছিল বলে জানালেন ফারিয়া। বললেন, ‘যেদিন শুটিং আমি একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম, শাকিব খান হয়তো দেরিতে উঠবেন। শুটিংও দেরিতে শুরু হবে। আমি যখন ঘুমে, তখন দরজায় কড়া নাড়েন শাকিব খানের মেকআপ আর্টিস্ট সবুজ। জানালেন, শাকিব ভাই জিম আর সুইমিং করে শুটিংয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরি। আমিও তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। একটা মানুষ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন, এখনো কত সিরিয়াস! এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। শাকিব ভাইয়ের ব্যাপারে আমি খুবই হ্যাপি।’
পরিচালক শামীম আহেমদ জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে আবার শুরু হচ্ছে ‘শাহেনশাহ’ ছবির শুটিং। উপস্থাপনা থেকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে নাম লেখানো নুসরাত ফারিয়া একসময় চলচ্চিত্রে এসে থিতু হন। প্রথম ছবি ‘আশিকী’ দিয়ে বাজিমাত করেন। নানা কারণে ছবিটি ফারিয়াকে আলোচনায় এনে দেয়। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেন। এসব ছবিতে নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ, কলকাতার জিৎ, ওম আর অঙ্কুশ।