রিতা ওরা সমুদ্র সৈকতে নগ্ন
Entertainmentপীরগঞ্জে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন
Localদিনাজপুরে জিপিএ- ৫ মেয়েদের তুলানায় ছেলেরা এগিয়ে
Localব্যাকডেটেট বেরোবির ওয়েবসাইট, নেই পর্যাপ্ত তথ্য
Campusবিশ্বকাপ ফুটবল-১৮: ৪-২ গোলে শিরোপা জিতলো ফ্রান্স
ক্রোয়েশিয়া খেলাধুলা বিশ্বকাপ ফুটবল লুঝনিকি স্টেডিয়াম শিরোপা জিতলো ফ্রান্স৪-১ গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল-১৮'র শিরোপা জিতলো ফ্রান্স। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রাত ৯ টায় শুরু হয় আজকের খেলা। খেলার শুরুর ১৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথম গোল দেয় ফ্রান্স। এর ১০ মিনিট পর ক্রোয়েশিয়া দলের ইভান পেরিসিচের গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া। দশ মিনিট পরে আবারও এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টি পেয়ে আবারও এক গোল করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ তম মিনিটে আবারও ক্রোয়েশিয়াকে গোল দেয় ফরাসিরা। এবারে গোল দেন পল পগবাক। এর ছয় মিনিটের মাথায় এমবাপ প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নিচু শটে গোল করেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ গোল। বড় ব্যবধানে পরে যায় ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া।
এর চার মিনিট পর গোলরক্ষকের ভুলে ফরাসিদের গোল দেয় ক্রোয়েটরা। গোলরক্ষক ব্যাকপাসে বল পাওয়ার পরও অযথা এগিয়ে আসা মানজুকিচকে কাটাতে চান। তা না পারায় মানজুকিচের বুটের টোকায় বল চলে যায় জালে। ফলে, কমে যায় ফরাসি-ক্রোয়েটদের গোল ব্যবধান।
এবারের বিশ্বকাপসহ ফ্রান্স ইতিহাসে ২য় শিরোপা জিতলো। ১৯৯৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে দলটি। এ ছাড়া ২০০৬ সালেও ফাইনালে গেলেও ইতালির কাছে হার মানে।
সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত
উত্তরাঞ্চল গাইবান্ধা গ্রেপ্তার মাদক সেবন রংপুর বিভাগ সারাদেশ সুন্দরগঞ্জসুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইাবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।
জানা গেছে, রোববার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আবদুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পৌর সভার মুক্তিযোদ্ধা গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সুন্দরগঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক সেবী পুলিশ কনস্টেবল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গ্রেফতার
Internationalসাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর
আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর গ্রেপ্তার দুর্নীতি নওয়াজ শরিফ পাকিস্তান বিক্ষোভ বিশ্ব লাহোরআন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেখান থেকে ফেরার পরপরই আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯ টার দিকে তার মেয়েসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তারা উভয়ই পাকিস্তানের আদালতে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের পর লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নওয়াজ শরিফের সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানাতে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে গিয়ে বিক্ষোভ করলে বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।
এমন এক সময় নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তার করা হলো যখন পুরো পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন থেকেই পাকিস্তানে সহিংসতা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবারও নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে পঁচাশি জন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবারই উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে নিহত হয় ৪ জন। মূলত নওয়াজ শরিফের দণ্ড ঘোষণার পরই পাকিস্তানে এসব নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে।
লাহোরে অবতরণের পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির সময় নওয়াজ শরিফ বিবিসিকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা বর্তমান সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তবে তিনি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য আদালত নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। ফলে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট গত ৬ জুলাই শুক্রবার দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের আদালত নওয়াজ শরিফকে ১০ বছর, তার মেয়ে মরিয়মকে ৭ বছরের এবং মেয়ে জামাই ক্যাপ্টেন সফদরকে ১ বছরের দণ্ড দেয়। নওয়াজ শরিফ ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে ওই সম্পদ গোপনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয় আদালতে। কারাদণ্ড ছাড়াও নওয়াজকে ৮০ লাখ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা করে আদালত।
ছবি ভাইরাল হওয়া ফরিদার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক
Local Nationalফরিদার তিন ছেলে-মেয়েই খুব অল্প বয়সী। এর মধ্যে মেয়েটি আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে। ফরিদার অন্য দুই শিশু সন্তানও যাতে স্কুলে যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান এই জেলা প্রশাসক। ঘটনাটি শোনার পর থেকে ফরিদার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার। রাজধানীর কলাবাগানে ডিসির সঙ্গে ফরিদা ও তার পরিবারকে দেখতে যান তিনিও।
‘মফিজ’ নামের ইতিবৃত্ত: গরিবদের উপকারী বন্ধু থেকে এ নামের উৎপত্তি!
অপিনিয়ন উত্তরাঞ্চল এক্সক্লুসিভ মফিজ রংপুরদীর্ঘ অনেকদিন যাবৎ রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের লোকদেরকে রাজধানীতে অনেকে ব্যাঙ্গ করে ‘মফিজ’ নামে ডকেন। কতদিন যাবৎ তা জানা নেই কারও। তবে কেউ কেউ মনে করেন আশি বা নব্বই দশকের কোন একসময় থেকে এ প্রচলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই শব্দটা সারাদেশে বিশেষ করে ঢাকা বা গাজীপুরে বেশি প্রচলিত। এখন শুধু উত্তরবঙ্গের লোকজনকেও নয়, ইদানীং সহজ-সরল বা কম চালাক মানুষদেরকেও মফিজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এটা বেশ প্রচলিত হয়েছে বা হচ্ছে, বলা হয় ‘মফিজ কোথাকার?’ মফিজ, ‘তুইতো দেখি রংপুরের মফিজ’, ‘তুইকি রংপুরের মফিজ নাকি’ ইত্যাদি।
মফিজ কেন বলা হয় ? -এটা নিয়ে আমরা কেউ তেমন কিছু জানিনা বা অনেকেই জানেন। অনেক সময় জানতে ইচ্ছে করে যে কেন মফিজ বলা হয় উত্তরবঙ্গের মানুষদের। রংপুরের বা উত্তরাঞ্চলের মানুষকে মফিজ বলা নিয়ে অনেক রকমের গল্প প্রচলিত আছে। যেগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায় নি যে, মফিজ নামে কাউকে কেন্দ্র করেই এই নামকরণ নাকি কম চালাক মানুষদের ঠাট্টা করার জন্য এটি নিছকই একটি প্রচলন মাত্র।
গাইবান্ধা জেলার একজন মফিজ কে কেন্দ্র করে। যেখানে গরিব-দিনমজুর শ্রেণির উপকারী বন্ধু মফিজ।
মফিজ উপাখ্যান নিয়ে যে গল্পগুলো প্রচলিত তার মধ্যে একটি গাইবান্ধা জেলার একজন মফিজ কে কেন্দ্র করে। যেখানে গরিব-দিনমজুর শ্রেণির উপকারী বন্ধু মফিজ। বলা হয়, গাইবান্ধার কোন এক গ্রামের সহজ-সরল, সৎ একজন ড্রাইভার ছিলেন। তার নাম ছিল মফিজ। আমরা তাকে মফিজ সাহেব হিসেবে উল্লেখ করবো। মফিজ সাহেব তার জমানো টাকা দিয়ে একবার ঢাকা-গাইবান্ধা রুটে একটি বাস চালু করেন। মানবদরদী মফিজ সাহেব নূন্যতম ভাড়ায় দিনমজুর লোকেদের ঢাকায় নিয়ে যেতেন। কালক্রমে একসময় মফিজ সাহেব নিজের আর গাড়ি চালাতেন না। তিনি তখন অন্য ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখলেন। এদিকে দিনমজুর গরিব লোকজন ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য মফিজ সাহেবের বাড়িতে যায় স্বল্প ভাড়ায় তাদের ঢাকায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে।
ফলে মফিজ সাহেব তাদের স্বল্প ভাড়ায় যাতায়াতের জন্য দিনমজুর শ্রেণিটিকে তার নিজের নামের স্বাক্ষর (অর্থাৎ ‘মফিজ’) করে কাগজ দিতেন। যা সুপারভাইজারকে দেখিয়ে নামমাত্র ভাড়ায় মফিজ সাহেবের বাসের ছাদে যাতায়াত করতেন তারা। আর বাস যাতায়াতের পূর্বে বাসের সুপারভাইজার ছাদে যাতায়াতের কয়জনকে বুঝাতে মফিজের কয়জন? আছে তাদেরকে ডাক দিতেন। সময়ক্রমে সুপারভাইজার ডাক দিতেন কতজন মফিজ আছে। এভাবেই পরবর্তীতে বাসের ছাদে যাতায়াতকারী লোকেদেরকে মফিজ নামে ডাকা হয়। যা পরবর্তীতের রংপুর বা কুড়িগ্রাম সহ উত্তরাঞ্চল থেকে বাসের ছাদে যাতায়াতকারীদেরকে বলা হতো। পরবর্তীতের উত্তরাঞ্চলের সহজ-সরল বা কম চালাক মানুষদেরকেও মফিজ বলা শুরু হলো। এর পরবর্তীতে যা ঘটলো তা হলো, একশ্রেণির লোক উত্তরাঞ্চলের মানুষ বলতেই মফিজ বলা শুরু করলো। যা এখনও প্রচলিত।
আরও পড়ুন: অনেক বদলেছে উত্তরবঙ্গ
আরও একটি ঘটনা আছে। যেখানেও মফিজ উদ্দিন নামে একজনকে পাওয়া যায়। যার ভূমিকাও অসহায়, গরিব-দু:খী মানুষের বন্ধুরুপে। এটা জ্ঞাতব্য যে, উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলা বেশ বন্যা প্রবণ এলাকা। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী ঘটনাটি আশির দশকের কোন বন্যা পরবর্তী। সেটা অষ্ট আশির বন্যা কিনা তা জানা যায় নি, হয়তোবা নয়। সেসময় কুড়িগ্রামের প্রায় সব উপজেলায় খুব বড় আকারের বন্যা হয়। বন্যায় ওইসব বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর, জমিসহ সবকিছু হাড়িয়ে অত্যান্ত কষ্টে দিন যাপন করছিল। একসময় ওইসব মানুষ অভাবের তারণায় জীবিকার তাগিতে কাজের সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমায়। ওইসময় ঢাকায় যাওয়ার জন্য তারা প্রথমে রংপুরের মডার্ণ বাসস্ট্যান্ড এ আসে ঢাকায় যাওয়ার বাস ধরতে।
ওইসময় বাস কম ছিল। বলা হয় যে, যানবাহন কম হলেও দালাল (চেনমাস্টার) ছিল অনেক। দালালদের মধ্যে একজনের নাম ছিল মফিজ উদ্দিন। যিনি ওই মানুষদের অনুরোধে অর্ধেক ভাড়ায় বাসের ছাদে করে কুড়িগ্রামের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেন। আর এভাবেই বাসের ছাদে ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ এ অঞ্চলের অনেক মানুষ নিতে লাগলেন। সময়ক্রমে বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট সুপাভাইবার বা হেলপাররা বাসের ছাদে যাতায়াতকারী বোঝাতে মফিজের কতজন? (মফিজ উদ্দিনের দেওয়া যাত্রী কতজন), পরবর্তীতে কতজন মফিজ আছে? ইত্যাদি বাক্যের প্রচলন শুরু করেন। ফলে বাসের ছাদে যাতায়াতাকারীরা ‘মফিজ’ আখ্যা পেয়ে যান। আর পরবর্তীতে গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষদেরকেই মফিজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। যা এখনও প্রচলিত।
উপরের ঘটনা ছাড়াও অনলাইনে ঘেটে এক ব্লগারের পোস্টে অন্য একটি তথ্য পাওয়া গেল। মফিজ শব্দটি নাকি মপীজ এর বিকৃতরুপ। মপীজ অর্থ বলা হয়েছে মঙ্গা পীড়িত জনগন। উত্তরাঞ্চল একসময় খুবই মঙ্গা পীড়িত অঞ্চল ছিল। সেসময় উত্তরবঙ্গের লোকেদের জন্য ওই ক্যাটাগরিতে সাহায্য বরাদ্দ থাকতো। তারই বিকৃতরুপ মফিজ। যদিও বর্তমানে উত্তরবঙ্গের লোকদের অনেক উন্নতি হয়েছে তবুও সেই আগের নামটি রয়েই গেছে।
উপরের কোন ঘটনারই বাস্তবে কোন ভিত্তি আছে কিনা বা সঠিক কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয় নি। মফিজ সাহেব বা মফিজ উদ্দিন নামের কাররই বর্তমানে উপস্থিতি নেই। তারা এখনও জীবিত নাকি মৃত, তাও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। কেননা যারা এসব ঘটনা বলছেন, তারা নির্দিষ্ট সময় বা কোন এলাকার/কে তা উল্লেখ করছেন না। আবার মফিজ উপাখ্যানের জন্য প্রাসঙ্গিক দুই স্থানে প্রায় একই ঘটনাও ভাববার বিষয়! তবে এমনও হতে পারে দুই ঘটনাই সত্য দুটি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে! আসলেই ‘মফিজ’ নামকরণের সঠিক ইতিহাস কি?
ইনস্টাগ্রামে নাচের ভিডিও ছেড়ে বিপাকে ইরানি মেয়ে
ইনস্টাগ্রাম ইরানি নাচের ভিডিও বিশ্ব মায়েদেহ হোজাব্রিআন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনলাইনে নৃত্যের ভিডিও আপলোড দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ১৯ বছর বয়সী এক এক ইরানী তরুনী। তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ওই তরুনীর নাম মায়েদেহ হোজাব্রি। ভিডিওতে দেখা যায় দেশটির সরকারি আইন অনুযায়ী তার মাথায় স্কার্ফ ছিল না।
ইরানে নারীদের অন্য পুরুষদের সামনে সাথে নাচার নিষেধাজ্ঞা আছে, তবে পরিবারের মধ্যে এটা করতে পারে ইরানের নারীরা। খবর বিবিসির। এর আগে গত কিছুদিনে ইরানে একই অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে মায়েদেহকে স্বাগত ও উৎসাহ দিচ্ছেন অনেকে। আর তার নাচের ভিডিওটিও শেয়ার দিয়েছেন তার ফলোয়াররা। কেউ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন, #dancing_isn't_a_crime. (নাচ কোনো অপরাধ না)।
হোজাব্রির ইনস্টাগ্রামে তেপ্পান্ন হাজারের বেশি বন্ধু আছে। আর তিনি ইরানি এবং ওয়েস্টার্ন পপ মিউজিকের সাথে নাচতেন। এদিকে নাচের কারণে তাকে গ্রেফতার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে করা সমালোচনা। এক ব্লগার কমেন্টস করেছেন, আপনি যদি পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশে বলেন সতের-আঠারো বছর বয়সী একটি মেয়েকে তার নৃত্যের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে তারা হাসবে। এটা অবিশ্বাস্য মনে করবে।
এছাড়াও আরও নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছে দেশটির প্রশাসন। অপরদিকে মায়েদেহ হোজাব্রিকে গ্রেফতারের পর তার প্রোফাইল ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তার ফলোয়ার দাড়িয়েছে প্রায় আশি হাজারের কাছাকাছি। আর তার ভিডিওটি গত দুই দিনে দেখা হয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি বার।
গাইবান্ধায় দুই বাসের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৩০
Localডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের ব্যয় প্রস্তাবে লুটপাটের আশঙ্কা
Nationalউচ্চ সুদের ঋণে কেনা হচ্ছে বিলাসবহুল দুটি উড়োজাহাজ
Nationalভাইরাল হলো উর্বশীর হট ভিডিও
Entertainmentসেই ভিডিওতে একের পর এক পড়ছে কমেন্ট। লাইকেরও ছড়াছড়ি। অনেকে আবার সমালোচনাও করছেন এই ভিডিওর। তবে ইতিবাচক কমেন্টই বেশি পড়েছে। বলিউডে উর্বশীর ভিত এখনও পোক্ত না হলেও তার জনপ্রিয়তায় একটুও ভাঁটা পড়েনি। এর জন্য যতটা দায়ী তার সৌন্দর্য, ততটাই দায়ী তার শরীরী আবেদন। বলিউডে গুজব, এই জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করেই নাকি বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন সাবেক এই মিস ডিভা। তার সা¤প্রতিক ভিডিওটি কিন্তু তারই প্রমাণ।
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি, হুমকিতে মধ্যাঞ্চল
গত ৫ জুলাই থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তাসহ বেশকিছু নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেয়। পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় এসব এলাকার গ্রাম, ভাঙন শুরু হয় নদী পাড়েরর গ্রামগুলো, চরম দুর্ভোগে পরে এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে তিস্তাসহ কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। ফলে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চল এলাকা বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পানি বাড়ছে বলে জানা গেছে। যমুনার পানি বাড়ায় বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও।
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পানি বাড়ছে যমুনা পাড়েরর বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলাসমূহে।যমুনার পানি বাড়ছে হুহু করে, ক্রমেই অবনতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির। যমুনার পানি বাড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও।
উত্তরাঞ্চলে পানি কমতে শুরু করলেও বন্যার কবলে চরম কষ্ট আর দুর্ভোগে দিন পার করছেন এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা। আবার অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, আবাস ও খাবার সঙ্কট। আর দূষিত পানি পান করায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। এদিকে এসব এলাকায় বন্যা পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।
কুড়িগাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ টন জিআর চাল, দুই লাখ টাকা জিআর ক্যাশ এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। জানা গেছে, কুড়্রিগামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। অনেক এলাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। জেলার সদরের সন্ন্যাসী বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাহাদুর মিয়া জানান, ঘরবাড়ি থেকে এখনও পানি পুরোপুরি নামেনি। তাই পলিথিন টাঙিয়ে তারা এখানে আছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির জানান, তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দ্রুত জমা দেওয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার দ্বিতীয় তিস্তা সেতু সড়কের একটি সেতু ধসে গেছে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, সেতুর ভাঙনরোধকল্পে আপাতত বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে লালমির হাটেও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লালমনিরহাটের দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, তিস্তার পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। ফলে দুর্গত এলাকা থেকে পানি নামছে। জানা গেছে তিস্তা সংলগ্ন চর এলাকাগুলোতে এখনো কয়েখ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট। ফলে বন্যা দুর্গতরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার সুইচিং মং মারমা বলেন, বন্যদুর্গতদের জন্য ৩৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাল ও অন্যান্য ত্রাণ সাম্রগী বিতরণ চলছে বলেও জানান তিনি।
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পানি বাড়ছে বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চলসমূহে। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। যমুনার পানি বাড়ছে হুহু করে। পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে নদী ভাঙন। এসব এলাকার লাখো মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলে বন্যা কবলিত হওয়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকালের তথ্য অনুসারে, যমুনা নদীর পানি একটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে এবং দু’টি পয়েন্টে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ও বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমায় অবস্থান করছে বলে জানায় পাউবো। অপরদিকে উজানের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢল কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে সিলেটে অঞ্চলে। বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা ৪টি পয়েন্টে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।