বাংলাদেশে ফণীর আঘাতে ১৪ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে ফণীর আঘাতে ১৪ জনের মৃত্যু

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।


খবর অনুযায়ী, ফণীর প্রভাবে ও আঘাতে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


ভোলা : ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে আজ ভোলার সাত উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।


এছাড়াও ভোলার বোরহানউদ্দিনের চর জহিরউদ্দিন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, চরফ্যাশনের ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েকটি চরে ঘরবাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।


নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নের চর আমিনুল হক নামক গ্রামটি টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আজ ভোর ৪টায় এক থেকে দেড় মিনিটের এ টর্নেডোতে প্রায় শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০-৩৫ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


কিশোরগঞ্জ : ফণীর প্রভাবে গতকাল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।


নিহতরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।


নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল বারেক (৩৫)। তিনি মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রোমালির ছেলে।


বরগুনা : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ভেঙে পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯)। জাহিদুর বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।


বাগেরহাট : প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন। তিনি ওই গ্রামের মোজাহারের স্ত্রী।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ বজ্রপাত হয়। নিহত আপেল ওই গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে। তিনি ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন।


মাদারীপুর : ঘূর্ণিঝড় ফণীকে ঘিরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সময় গতকাল বিকেলে এক যাত্রী নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় আমির হামজা নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শিশুটি উদ্ধার করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে কাজ শুরু করলেও বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। এ দুর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৯ স্পিডবোট চালককে আটক করেছে পুলিশ।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আইসিসির সবশেষ হালনাগাদ অনুসারে পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্টে কোনো পরিবর্তন হয়নি। টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দলের মধ্যে সবার পরেই অবস্থান বাংলাদেশের।


তবে আইসিসি বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দল আগের মতো সেই সাত নম্বরেই পরে আছে। বরং উন্নতির চেয়ে রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে টাইগাররা।


ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের অবস্থান ওয়ানডেতে সাত নম্বরে। আর টেস্টের সাদা পোশাকে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটির অবস্থান সাত নম্বর পজিশনে।


টেস্টে শীর্ষে রিবাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। দুই ও তিন নম্বরে আছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশ দলের অবস্থান নয় নম্বরে।

ফনি মোকাবেলায় ছাত্রলীগের ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

ফনি মোকাবেলায় ছাত্রলীগের ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফনির ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় কেন্দ্র ও জেলা নেতাদের সমন্বয়ে ১৯টিম গঠন করেছে ছাত্রলীগ। এতে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ফনির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করবেন।


শুক্রবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, গত বুধবার আমি নিজে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সিনিয়র সচিব শাহ কামালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছি। জানতে চেয়েছি, কীভাবে সরকারি টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারি? তাদের দেয়া পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের করণীয় ঠিক করেছি।


তিনি বলেন, প্রতিটি উপকূলীয় ১৯ জেলার কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছাসেবক টিম পাঠাচ্ছি। আমাদের কেন্দ্রীয় চার নেতা ও জেলা সভাপতির নেতৃত্বে ওইসব জেলায় কমিটি করে দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় ফনির আগ্রাসনে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জনপদে যেকোনো মানবিক প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থাকতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর।


সম্ভাব্য আক্রান্ত ১৯ জেলায় ছাত্রলীগের ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্যান্য সকল নেতাকর্মী। তারা জেলাভিত্তিক বিশেষ প্রতিনিধি দলের তত্ত্বাবধানে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ' মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। এদিকে শুক্রবার বিকালে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত ওই ১৯ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ কেন্দ্র থেকে গঠিত টিম জেলাগুলোতে চলে যাবে।


জানা গেছে, লন্ডনে সফররত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ফনির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।


তিনি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশের পরপরই ছাত্রলীগ দেশব্যাপী নিজেদের প্রতিটি ইউনিটকে দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি উপকূলীয় ১৯ জেলায় কেন্দ্রীয় ১৯ টিম পাঠাচ্ছে।

ফণীর প্রভাবে বজ্রপাত, দুই জেলায় নিহত ৭

ফণীর প্রভাবে বজ্রপাত, দুই জেলায় নিহত ৭

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে একই দিনে মারা গেছে ৭ জন। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় তিনজন, মিঠামইনে দুইজন ও ইটনায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, পাকুন্দিয়ার আসাদ মিয়া (৪৫), মুজিবুর রহমান(৩৫) নুরুন নাহার(৩২), মিঠামইনের মহিউদ্দিন(২২), সুমন মিয়া (৭) এবং ইটনার রুবেল দাস (২৬)।


পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে আসাদ মিয়া নামে এক কৃষক নিজ বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আসাদ মিয়া নিহত হন। নিহত আসাদ মিয়া কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।


ওসি ইলিয়াস আরো জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় পাকুন্দিয়ার চর পাড়াদি ইউনিয়নের চর আলগি গ্রামে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মুজিবুর রহমান এবং নুরুন নাহার মারা যান। মুজিবুর মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অন্যদিকে ধান ভাঙাতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির মুখে পড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুন নাহার। বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।


দুপুর একটার দিকে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওরে বৃষ্টিপাতের মধ্যে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া নামে সাত বছরের এক শিশু নিহত হয়। এ সময় শিশুটির আনতে যাওয়া ষাঁড় বাছুরটিও বজ্রপাতে মারা যায়। এছাড়া বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের নিকটবর্তী হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মহিউদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।


মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রাব্বানী জানান, নিহত সুমন মিয়া উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং নিহত মহিউদ্দিন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।


ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে রুবেল দাস (২৬) নামে এক যুবক জমিতে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আচমকা বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং সংঘটিত বজ্রপাতে রুবেল দাস গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবেল দাস কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে।


এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আপেল নবীনগর উপজেলায় বগডহর গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌসুমী বারী জানান, সন্ধ্যায় বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আপেল মারা যান।

শক্তি কমছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র, রাতে আরও কমবে

শক্তি কমছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র, রাতে আরও কমবে

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর এর তীব্রতা কমে এসেছে। ধীরে ধীরে আরও কমবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বলছে, ফণী অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানলেও এটি বর্তমানে খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে নেমে এসেছে। আগামী ৯ ঘণ্টায় শক্তি কমে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে নেমে আসবে।


এই রূপ নিয়েই উপকূল ঘেঁষে শনিবার (০৪ মে) সকাল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানবে। আর বিকেলে আরও তীব্রতা কমে এটি কেবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে।


দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ফণী এখনো তার ব্যাপ্তি নিয়ে ১৭ কিলোমিটার বেগেই এগোচ্ছে। আর এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।


পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সময় শনিবার সকালে এর তীব্রতা থাকবে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার। আর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ থাকবে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার।


এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এম রুহুল কুদ্দুস বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৩৬ নম্বর) জানিয়েছেন, ফণী শুক্রবার বিকেল নাগাদ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। এরইমধ্যে ফণীর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।


সংস্থাটি আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।


এই অবস্থায় আগের মতোই মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফণীর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। তবে সাব হিমালয়ান এলাকা ও সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতও হবে।


এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিরোজরাম, মনিপুর ও ত্রিপুরায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলে ৪ ও ৫ মে আসাম মেঘালয়ের কিছু কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।


ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা, কুশিয়ারা, কংস, যাদুকাটা ও সুরমা নদীর পানি আগামী ৫ মে নাগাদ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এই আশঙ্কা করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সব সংস্থার সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এরইমধ্যে সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার সতকর্তায় হাওর অঞ্চলের জেলা প্রশাসকদের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৪

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৪

admin May 03, 2019

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের পৃথক এলাকায় বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন-পাকুন্দিয়া উপজেলার কুরশাকান্দি এলাকার আসাদ মিয়া (৬০), ইটনা উপজেলার হনপুর এলাকার রবিন দাস (২৫) এবং মিঠামইন এলাকার মহিউদ্দিন (৪৮) ও সুমন (২৮)।


স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলায় বজ্রপাত ঘটে। অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতের আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত

ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত

admin May 03, 2019
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার বগী ও সাতঘর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই গ্রামের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে সাইক্লোন সেল্টারসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

সকাল থেকে বলেশ্বর নদীর পানি বাড়তে থাকলে শুক্রবার দুপুরে পানির স্রোতের চাপে উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ ফোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে বগী, সাতঘর এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়।

বগী গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক তালুকদার বলেন, সিডরে মরেছে আত্মীয়-স্বজন। ফণীর কথা শুনেই আতঙ্কে আছি। আজ সকালে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকলয়ে পানি ঢুকেছে। খুব বিপদে আছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রিয়াদুল হোসেন পঞ্চায়েত বলেন, বেরিবাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। জোয়ারের পানির চাপে বেরিবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এর আগেও দাবি জানিয়েছিলাম মজবুত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তা করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, বগী এলাকার বেড়িবাঁধের একটি অংশ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। প্রকল্পের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছি দ্রুত মেরামত করার।
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশি

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশি

admin May 03, 2019
অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি আরবের সাগরা এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো চারজন। বুধবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির রাজধানী রিয়াদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর সাগরায় যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাগরা প্রবেশপথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনাকবলিত হয়।

গাড়িতে চালকসহ মোট ১৭ জন ছিলেন বলে জানা গেছে। ১০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে সাগরা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে।দুর্ঘটনায় আহত নাজমুল নামের এক বাংলাদেশি জানান, আমরা দু'জন সুস্থ আছি। তিনজনের অবস্থা একটু খারাপ।

তিনি আরও বলেন, মাইক্রোবাসে ১৭ জন ছিলেন। ঘটনার আগের দিন (৩০ এপ্রিল) রাতে দাম্মাম থেকে মদিনার দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় হঠাৎ গাড়ির চাকা বার্স্ট হয়। গাড়িটা ডিগবাজি খেয়ে পড়ে যায়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তারা সবাই আল ফারুক ক্যাটারিং এ কাজ করেন বলে জানান নাজমুল। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দু'দিন হতে চললো এখন পর্যন কেউ আসেনি।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন-

১. বাহাদুর, পিতা- হাবেজ উদ্দিন। মাতা- মালেকা। ঝাগরমান কালিহাতি, টাঙ্গাইল। পাসপোর্ট নম্বর- BW 0337299

২. মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা- মো. আনোয়ার হোসেন। মাতা- মোছা. হিরা খাতুন। মাধবপুর বাহাদুরপুর, ভেড়ামাড়া, কুষ্টিয়া। পাসপোর্ট নম্বর- BW0798074

৩. মো. ইউনুস আলি, পিতা- মো. আব্দুল খালেক, মাতা- মোছা. আমেনা খাতুন। রঘুনাথপুর আলিপুর, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ। পাসপোর্ট নম্বর BY 0525493

৪. মো. জামাল উদ্দিন মাঝি, পিতা- মান্নান মাঝি, মাতা- নুরজাহান। তারাকান্দি মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BN 0571736

soudi2

৫. মো. গিয়াসউদ্দিন মৃধা, পিতা- মো. তফিজউদ্দিন মৃধা। মাতা- মোছা. হামিদা। তেগরা মান্দা, নওগাঁ। পাসপোর্ট নম্বর: BL 0177817

৬. মো. জুয়েল, পিতা- মো. গিয়াসউদ্দিন মাতা- আমেনা খাতুন। বাহাদিয়া পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ। পাসপোর্ট নম্বর: BE 0245406

৭. মো. ইমদাদুল, পিতা- রশিদ, মাতা- মোছা. কাজলি বেগম। তাতারদি শেখেরগাঁ মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0400348

৮. মো. মানিক, পিতা- মো. রমজান আলী, মাতা- মোছা. মানিকজান। তুরুকবাড়িয়া মান্দা, নওগাঁ। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0505953

৯. মো. আল আমিন, পিতা- আব্দুল মান্নান শেখ মাতা- পদেনা বেগম। দমনমারা খিদিরপুর মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BP 0049523

১০. মো. মনির, হোসেন পিতা- মো. শামসুল হক মাতা- মমতাজ বেগম। কস্তুরিপাড়া কালিহাতি, টাঙ্গাইল। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0564818
ফণীর ছোবলে উড়িষ্যায় নিহত ৪

ফণীর ছোবলে উড়িষ্যায় নিহত ৪

admin May 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সকালের ভারতের উড়িষ্যার গোপালপুরে আঘাত হানার পর সেখান থেকে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওডিসাসানটাইমসের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ঝড়টি দেশটির উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতিক্রম করা শুরু করেছে। এটি আগামী ছয় ঘণ্টার মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের খবরে বলা হয়েছে।


কেন্দ্রপাড়া জেলার রাজনগর এলাকায় ঊষা বৈদ্য নামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা সকালে সাড়ে ৮টায় দেবেন্দ্রনারায়ণপুরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় নিহত হন।


এছাড়া পুরিতে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের একজনের বাড়িতে গাছ উপড়ে পড়লে নিহত হন। আর অন্যজনের ওপর ঝড়ো বাতাসে বাড়ির অ্যাজবেস্টস পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাক্ষীগোপাল জেলায় গাছ পড়ে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়েছেন।

সরাসরি দেখুন ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থান

সরাসরি দেখুন ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থান

admin May 03, 2019


অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা প্রদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার পুরী উপকূলের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমের ৩২০ কিলোমিটার ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণে পশ্চিমে অবস্থান করছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের কাছাকাছি অবস্থানে চলে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে রাজ্যের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে ওড়িশা প্রদেশেও।





দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তীব্র হাওয়া এবং বৃষ্টির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক পোল ও গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ স্থানের সন্ধানে বাড়ি-ঘর ছাড়ছেন তারা। প্রদেশের কাকদ্বীপের উপকূলীয় থানা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান মধ্য ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করছে।

উইন্ডির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ঘূর্ণিঝড় ফণী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, সোমবার সকালের দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ফণী। এসময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাতাসের এই তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী।

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে অগ্রসর হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের ঘূর্ণিঝড় ফণী বৃহস্পতিবার ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে। তবে ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা দিতে পারে শুক্রবার সকাল থেকেই।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও ঝড় চলাকালীন সময়ে করণীয়

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও ঝড় চলাকালীন সময়ে করণীয়

admin May 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
১। ইন্টারনেটে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া: স্যোশাল মিডিয়া বা নিউজ পোর্টালে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাড়াবাড়ি খবর দেখে আতঙ্কিত না হয়ে বিশ্বস্ত নিউজ পোর্টাল, টিভি অথবা এফএম রেডিও এর খবর শুনুন। রেডিও এবং টিভিতে ভেরিফাইড নিউজ পাবেন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।


২। চার্জ দেওয়া: পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। এরআগে ঘূর্ণিঝড় আইলার জন্য ১ দিনের বেশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, মোবাইল ফোন এর সার্ভিস পাওয়া যায়নি। শহরে আছি বলে কিছু হবে না, এমন মনে করা বোকামি। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আগুণ সব সময়ই লাস্ট অপশন।


৩। ফার্স্ট এইড বক্স: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বর এর জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।


৪। নিরাপদ আশ্রয়: বাসা টিন শেড হলে বা নিচ তলায় হলে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ওয়াটারপ্রুফ বক্স এ টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।


৫। শুকনো খাবার: নিরাপত্তার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইন অফ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন।


৬। রেলিং এর ওপর ফুলের টব, নির্মাণ সামগ্রী: ফুলের টব নিরাপদ স্থানে রাখুন। খোলা যায়গায় নির্মাণ সামগ্রি রাখবেন না। বাসার পাশে নির্মানাধীন ভবন থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।



ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করণীয়:


১। রাস্তায় থাকলে শপিং মল, মসজিদ, স্কুল বা যেকোনো পাকা ইমারতে আশ্রয় নিন। কোনভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।


২। রাস্তায় জ্যামে পড়লে গাড়ির পাশে জায়গা রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যেন বিপদের মুহূর্তে দরজা খোলা যায়।


৩। বাড়ির বিদ্যুৎ এবং গ্যাস এর মেইন লাইন অফ করে দিন।


৪। দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।


৫। টিনশেড বাসা হলে বা নিচু জায়গায় হলে নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।


৬। ইন্টারনেট ব্যবহার না করে, ফোনে রেডিও শুনতে হবে। ডাটা কানেকশন অন রেখে ফেসবুক স্ক্রল করলে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হবে, নেটওয়ার্কও বেশি ব্যস্ত থাকবে।


৭। কোনভাবেই ট্যাপের পানি সরাসরি খাওয়া যাবে না। ফুটিয়ে বা ভালো ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।


৮। খুব বেশি জরুরি না হলে রাস্তায় বের হওয়া নিরাপদ নয়।


৯। কল করে নেটওয়ার্ক বিজি না রেখে SMS ব্যবহার করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন। ডাটা কানেকশন অফ রাখুন।


সর্বোপরি উদার হওয়ার চেষ্টা করুন। বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করার সুযোগ থাকলে সাহায্য করুন। নিজে উপরতলায় থাকলে নিচতলার বসবাসকারীদের দিকে খেয়াল রাখুন। বাসার পাশের টিনশেড এর বসবাসকারীদের আশ্রয় দিন। এছাড়াও জেনে নিন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ বুঝে রাখুন।


 

https://www.newsbd.tv/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%AE/
জেনে রাখুন সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ কী?

জেনে রাখুন সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ কী?

admin May 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় এলে নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সতর্ক সংকেত দিতে দেখা যায়। এই সংকেতগুলোর প্রতিটির পৃথক পৃথক অর্থ রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষকরা বলছেন, সংকেতগুলো তৈরি করা হয়েছে শুধু সমুদ্রবন্দর এবং নদীবন্দরকে লক্ষ্য করে। এই সংকেত জনসাধারণের জন্য নয়, তবে তাদের জন্যও সংকেতের ব্যবস্থা এখন করা সম্ভব। কারণ, ঘূর্ণিঝড় কোন এলাকার ওপর দিয়ে কখন অতিবাহিত হবে, সেটি বের করার প্রযুক্তিও এখন আছে।


১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত: এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পার। (একটি লাল পতাকা)


২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত: সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।


৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত: এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন (দুইটি লাল পতাকা)।


৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত: এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


৫ নম্বর বিপদ সংকেত: এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।


৬ নম্বর বিপদ সংকেত: এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।


৭নং বিপদ সংকেত: এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (তিনটি লাল পতাকা)


৮ নং মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।


৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।


১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।


১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত: এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েগিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নিজের দেহরক্ষীকে রানি বানালেন থাই রাজা

নিজের দেহরক্ষীকে রানি বানালেন থাই রাজা

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীর উপপ্রধানকে বিয়ে করে তাকে রানির মর্যাদা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। রাজা হিসেবে তার আনুষ্ঠানিক অভিষেকের মাত্র তিন দিন আগে বুধবার (১ মে) বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে রানি সুথিদা উপাধি দেন ভাজিরালংকর্ন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।


শনিবার তাঁর সিংহাসনে আরোহণের বিস্তৃত অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার রাজকীয় পদকে দেবতুল্য বলে ঘোষণা করা হবে।


২০১৬ সালে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর দেশটির সাংবিধানিক রাজা হন ৬৬ বছরের মহা ভাজিরালংকর্ন। রাজা ভাজিরালংকর্ন এর আগে তিনি তিনবার বিয়ে করেছেন এবং তাদের ছাড়াছাড়িও হয়ে গেছে। তার ৭ টি সন্তান রয়েছে।


রাজকীয় এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাজা ভাজিরালংকর্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, জেনারেল সুথিদা ভাজিরালংকর্ন আয়ুদাহকে রানি সুদিথা হিসাবে ঘোষণা দিচ্ছেন এবং তিনি রাজ পরিবারের নিয়মানুযায়ী রাজকীয় পদবি ও মর্যাদা ভোগ করবেন।’


রাজা ভাজিরালংকর্নের দীর্ঘদিনের সঙ্গী রানি সুদিথা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে বহুবার দেখা গেছে, যদিও তাদের সম্পর্কের বিষয়টি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।


বুধবার রাতে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রচার করা হয় থাই টেলিভিশনে। সেখানে রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং রাজ উপদেষ্টাদের দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রানি সুথিদার মাথায় পবিত্র পানি ঢেলে দিচ্ছেন রাজা ভাজিরালংকর্ন। এরপর তারা বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন।

ঘূর্ণীঝড় ফণী: পেছালো শনিবারের এইচএসসি পরীক্ষা

ঘূর্ণীঝড় ফণী: পেছালো শনিবারের এইচএসসি পরীক্ষা

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণীঝড় ফণীর কারণে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের আগামী শনিবারের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হযেছে। ওই দিনের সব পরীক্ষা ১৪ মে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।


আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


তিনি বলেন, ৪ মে শনিবার সকালে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো হবে ১৪ মে সকালে। একইভাবে ৪ মে বিকালের পরীক্ষাগুলো ১৪ মে বিকালে নেওয়া হবে। এইচএসসিতে ৪ মে সকালে উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র এবং ইসলাম শিক্ষা প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। আর বিকালে ছিল গার্হাস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪ মে জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

শ্রীলঙ্কায় হামলার ৯ আত্মঘাতীর পরিচয় প্রকাশ

শ্রীলঙ্কায় হামলার ৯ আত্মঘাতীর পরিচয় প্রকাশ

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আত্মঘাতী হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি বিলাসবহুল হোটেলে দুই ভাই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারা কলম্বোর একটি ধনী পরিবারের সন্তান। ওই পরিবারটি মসলা রফতানি করে থাকে।


জঙ্গিরা এক একটি স্থানে এক একজন আত্মঘাতীকে পাঠিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাংরি লা হোটেল। সেখানে দু'জনকে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।


সাংরি লা হোটেলের হামলাকারীদের একজন হলেন জাহরান হাসিম। তিনি স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের নেতা। ওই হামলার জন্য দেশটির সরকার তাওহীদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। যদিও হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি তাওহীদ জামাতসহ দুটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।


সাংরি লা হোটেলে ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেধে হামলা চালায় জাহরান হাসিম। অপরদিকে ইলহামের বড় ভাই ইনসাফ আহমেদ কাছাকাছি চিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে হামলা চালায়।


হামলার তৃতীয় স্থান ছিল কিংসবারি হোটেল। সেখানে হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ আজম মুবারক মোহাম্মদ। তার স্ত্রী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।


সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ। তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সেন্ট সেবাসতিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ হাসথুন। তিনি পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা। হাশিমও ওই এলাকার বাসিন্দা। পূর্বাঞ্চলীয় বাতিকালোয়া জেলার ক্রিশ্চিয়ান জিওন গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ।


অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তবে সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটায় রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছিলেন।


অপর এক স্থানে হামলা চালান ফাতিমা ইলহাম নামের এক নারী। তিনি অপর এক আত্মঘাতীর স্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটালে তার দুই সন্তান এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।


জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘দুর্যোগের পূর্বে আমাদের কোথাও যদি কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় অথবা দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশেপাশের এলাকায় বা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’


সেনাবাহিনীর সকল ডিভিশন এবং এরিয়া হেড কোয়ার্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


গত ২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। এটি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।


গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ‘ফণী’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।


ইতিমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় জেলার ডিসিদের দুইশ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে; জেলা প্রশাসকদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া আছে জরুরি সহায়তার জন্য। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করে তাদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


এদিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তি সঞ্চয় করে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে চার সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী: সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী: সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে আবহাওয়ার প্রতিকূলতার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


আজ সকালে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দেশের সব রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।


বিআইডাব্লিউটিএ-এর জন সংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, সাধারণত নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলে ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।


‘তবে উপকূলে বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, পাশাপাশি সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।


এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় এটির গতি হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।


এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।


এটি বৃহস্পাতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।


এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী সময় উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।


আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।


‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।’


তিনি বলেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


‘উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।’


আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতেহ ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।


উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

admin May 02, 2019

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় পিকুল বিশ্বাস নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এঘটনা ঘটেছে। নিহত পিকুল বিশ্বাস সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার ভাই সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার।


জানা গেছে, পিকুল বিশ্বাস বুধবার রাত ১টার দিকে সরিষা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে।


গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


পাংশা থানা পুলিশের ওসি আহসান উল্লাহ জানান, পিকুল বিশ্বাসকে কে বা করা হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three