ইংল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

ইংল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এরআগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৯৯’র পর ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা হবে বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসরের আয়োজক হলেও একবারও টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি ইংলিশরা। তিনবার রানার্স-আপ হয়েছে দেশটি। তবে সার্বিক এবার সার্বিক বিবেচনায় এবং হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে এবার শিরোপা জয়ের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে র‌্যাকিংয়ের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের।


বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে ১৯৭৯,১৯৮৭ এবং ১৯৯২ আসরে তিনবার রানার্স আপ হয়েছে ইংল্যান্ড। দুইবার ১৯৭৫ এবং ১৯৮৩ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের। তিন সিংহরা ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। তিন বার (১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১৫) ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে। কেবলমাত্র ২০০৭ আসরে সুপার এইট পর্বে খেলেছে তারা।


বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে এক ম্যাচে ইংল্যান্ডর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৮ রান। ২০১১ আসরে ভারতের ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল ইংলিশরা। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ৯৩। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিার বিপক্ষে এ সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যায় তারা।


ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রেকর্ডের মালিক সাবেক ব্যাটসম্যান এন্ড্রু স্ট্রস। ২০১১ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে এ রেকর্ডের মালিক হন তিনি। বিশ্বকাপে ইংলিশদের ইনিংস সেরা বোিলং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন ভিক মার্ক। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে টনটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে রেকর্ডের মালিক হন মার্ক। দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার টিম ব্রেসনানের ৪৮ রানে ৫ উইকেট শিকার।


গুচ এবং বোথাম:
বিশ্বকাপে ইংলান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী কিংবদন্তী গ্রাহাম গুচ। ২১ ম্যাচ খেলে ৪৪ দশমিক ৮৫ গড়ে তার মোট রান ৮৯৭। একটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। টুর্নামেন্টে টিমের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট (৩০) শিকারের রেকর্ডটি গড়েছেন গুচের সতীর্থ এবং আরেক কিংবদন্তী ইয়ান বোথাম। বোথামের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/৩১।


ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরির মালিক কেভিন পিটারসেন। সাবেক উইকেটরক্ষক এ্যালেক স্টুয়ার্ট টিমের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩টি ডিসমিজালের রেকর্ড গড়েছেন। উইকেটরক্ষক তালিকায় তার নবম স্থানে আছেন তিনি।


ফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অংশ নেয়ায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জেমস এন্ডারসন এবং এ্যালেক স্টুয়ার্ট। দুজনেই ২৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন।

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দ্বাদশ আসরে ফেবারিটদের একটি ভারত। গত আসরে টিমটি সেমফিাইনাল থেকে বিদায় নেয়। টিমটির অতীতের কিছু পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক।


আইসিসি বিশ্বকাপ ইভেন্টে ভারত কেমন করেছে?
বিশ্বকাপের তিন আসর ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ১৯৯২ আসরে রাউন্ড-রবীন পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা। এছাড়া ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বে বিদায় ঘটে তাদের।
১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১৫ তিন বার সেমিফাইনাল খেলেছে উপমহাদেশের টিমটি। রানার্স আপ হয় ২০০৩ বিশ্বকাপে। ১৯৯৩ ও ২০১১ দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত।


বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর
বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এসেছে ২০০৭ আসরে। বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১২৫ রান ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে।


ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় টিমের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। ১৯৯৯ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি।
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার আশিষ নেহরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে এ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।


শচিন টেন্ডুলকার
বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ রানের মালিক কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার। রেকর্ড ৬ আসরে অংশ নিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৫৬ দশমিক ৯৫ গড়ে তার মোট রান ২২৭৮। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির মালিকও টেন্ডুলকার। ৫টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।


ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু রেকর্ড :
সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটিবদ্ধভাবে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১৮ রান করে তারা এ রেকর্ডের মালিক হন। বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে এ তালিকার শীর্ষে আছেন দুই পেসার জহির খান ও জাভাগল শ্রীনাথ। ৩১ উইকেট শিকার করে ভারতের সেরা স্পিনার অনিল কুম্বলে।

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এই নিবদ্ধে আমরা দেখাতে চাই বিগত আসরগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের কিছু পরিসংখ্যান এবং রেকর্ডসমূহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমে সব সময়ই বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় থাকে এবং তারা সত্যিকারার্থেই বিশ্ব ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী টিম। তবে সব টুর্নামেন্টেই গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে তারা খেই হারিয়ে ফেলে কিংবা জিততে পারেনা বলে ‘চোকার’ শব্দটি প্রোটিয়া টিমের সঙ্গে মিশে আছে। দেখার বিষয় হচ্ছে এবারের আসরে টিমটি কেমন করে। এবার আমরা বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কিছু পরিসংখ্যান এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তুলে ধরব।


আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা?
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে ১৯৯২ আসরে। বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো। গত সাত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রোটিয়ারা চার বার ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৭ এবং ২০১৫ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০১১ বিশ্বকাপে তারা দুইবার কোর্য়াারফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। একবার ২০০৩ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে টিমটি।


বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন রান:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১১। ২০১৫ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের এ রেকর্ডটি গড়ে প্রোটিয়ারা। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৪৯। ২০০৭ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।


কার্স্টেন ও হলের রেকর্ড:
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান গ্যারি কার্স্টেন। ১৯৯৬ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে এটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন খেলোয়াড় হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি এন্ড্রু হল’র। ২০০৭ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের হয়ে এ রেকর্ড গড়েন।


এবি ডি ভিলিয়ার্স ও এ্যালান ডোনাল্ডের প্রভাব:
সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১ হাজার ২০৭ রান করেছেন। ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ তিন বিশ্বকাপে তিনি এ রান করেন। ৬৩ দশমিক ৫২ গড়ে তার রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। সাদা বিদ্যুৎ হিসেবে পরিচিত ফাস্ট বোলার এ্যালান ডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট শিকার করেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২০ দশমিক ৩১ গড়ে তিনি শিকার করেন ১৬ উইকেট।


দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের আরও কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া বিশ্ব আসরে এক হাজারের বেশি রান করা অপর দুই খেলোয়াড় জক ক্যালিস (১১৪৮) এবং হার্শেল গিবস (১০৬৭)। বিশ্বকাপে প্রোটিয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি ডাক মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স।


এবারের বিশ্বকাপে যে বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে:
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। বিশ্বকাপে চোকার তকমাও তাদের একটা সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের রয়েছে একটি থিতু টিম এবং শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ বিভাগ। উপড়ন্ত তাদের রয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের মত সক্ষম অধিনায়ক। আমরা মনে করি ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা সেমিফাইনালে যেতে পারে।

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের সঠিক কম্বিনেশন ঠিক করতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে ভাল কিছু করতে পারেনি টিমটি। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলছে উপমহাদেশের টিমটি। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা টিমের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন যাবতই টিমটি খুব বেশি ভাল করতে পারছে না। বিশ্বকাপে টিমটির কিছু পরিসংখ্যানের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক।


অতীতে আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে শ্রীলঙ্কা?
একটি ম্যাচেও পরাজিত না হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া ২০০৭ এবং ২০১১ আসরেও তারা হয়েছে রানার্স-আপ। দ্বীপ রাষ্ট্রটি ছয় বার ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩,১৯৮৭,১৯৯২ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৩ আসরে সেমিফাইনাল খেলা টিমটি ২০১৫ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল খেলে।


বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ ও নর্বনিম্ন স্কোর:
শিরোপা জয় করা ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই টিমটির রয়েছে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এ আসরে নিজ মাঠ ক্যান্ডিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৯৮ রান ছিল বিশ্ব আসরে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮৬। যে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৭৫ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।


ব্যক্তিগত রেকর্ডের মালিক দিলশান ও ভাস:
২০১৫ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ১৬১ রান বিশ্বকাপ ইতিহাসে লংকান খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। অসাধারণ এ ইনিংস খেলার পথে ২২টি বাউন্ডারি হাকান তিনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দিলশান। বিশ্বকাপে এক ইনিংসে লংকান টিমের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক চামিন্ডা ভাস।


২০০৩ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২৫ রানে ৬ উইকেট শিকার টিমটির হয়ে সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ৬/৩৮। মালিঙ্গা এবং ভাস উভয়েই বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেছেন।


সাঙ্গাকারা এবং মুরলিধরনের ছিল ব্যপক প্রভাব:
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা টিমের সর্বোচ্চ ১৫৩২ রান সংগ্রহকারী কুমার সাঙ্গাকারা। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা একই সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ উইকেট শিকারী মুত্তিয়া মুরলিধরন। বিশ্ব আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।


শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের আরো কিছু রেকর্ড:
সাঙ্গাকারা ছাড়াও টিমটির আরো চার খেলোয়াড় সনত জয়সুরিয়া, দিলশান, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং অরবিন্দ ডি সিলভা বিশ্বকাপে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৪টি ডিসমিজালের রেকর্ড রয়েছে সাঙ্গাকারার দখলে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৬টি ক্যাচ নিয়েছেন জয়সুরিয়া। এ ইভেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৮২ রানের পার্টনারশীপ উপুল থারাঙ্গা দিলশান জুটির।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

প্রথম দু বিশ্বকাপ জয়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে ধীরে ধীরে আধিপত্য হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হট ফেভারিটের তালিকায় এবারো নেই ক্যারিবীয়রা। তবে গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের গেম চেঞ্জিং পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখতেই পারেন সমর্থকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সাথে অপূর্ব মেলবন্ধন ক্রিকেটের। আমুদে জাতি হিসেবে পরিচিত ক্যারিবীয়দের ক্রিকেট দর্শনে ট্রফি জয়ের চেয়ে আনন্দ উপজীব্য।


১৯৭০, ৮০র দশকে ক্রিকেট সাম্রাজ্য শাসন করা উইন্ডিজের গৌরব শুধুই অতীত। ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসের মত সোনলী প্রজন্মের হাত ধরে ক্যালিপসো সুরের তালে প্রথম দুই বিশ্বকাপ জয়। তৃতীয় টায় রানার্সআপ। এরপর আর কখনোই ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ উইন্ডিজদের। তারপরও বিশ্বকাপে ৯১ ম্যাচের ৬০ শতাংশ জয় ইংল্যান্ডের চেয়েও এগিয়ে রাখছে মধ্য আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জকে। সবমিলিয়ে ৭৯৯ ওয়ানডেতে জয় ৩৯২ টিতে। তবে র‍্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে উইন্ডিজ।


২০১৫ তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩৭১ ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ। আর সর্বনিম্ন ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ৯৩ রান। টিমটির বিশ্বকাপ সেরা ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা। ৩৩ ম্যাচে ১২২৫ রান ব্যাটিং জিনিয়াসের। আর ২৭ উইকেট নিয়ে কোর্টনি ওয়ালশ সেরা বোলার। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চ ত্রিদেশীয় সিরিজে হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিলো হোল্ডারের টিমের। টানা তিন ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশের সাথে। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাত ক্রিকেটার ছিলেননা সিরিজে।



এক্স ফ্যাক্টর বিধ্বংসী ক্রিস গেইল তাদের একজন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ৫ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় থাকা গেইল নিজের শেষ বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই রাঙ্গাতে চাইবেন চার, ছয়ের ঝলকে। এছাড়াও ড্যারেন ব্র্যাভো, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়াররা ব্যাটিংয়ের ভরসা। তবে ক্যারিবীয়দের শক্তির জায়গা অলরাউন্ডার ত্রয়ী। আইপিএলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল, ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো কার্লোস ব্রাথওয়েট আর অধিনায়ক জেসন হোল্ডারে আস্থা ক্যারিবীয়দের।


সে তুলনায় দূর্বলতা বোলিংয়ে। ওশানে থমাস, শেলডন কটরেলের মত পেসাররা একদিকে যেমন অনভিজ্ঞ তেমনি স্পিনে এখনো পর্যন্ত নির্বীষ অ্যাশলে নার্স, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ৩১ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে উইন্ডিজের। এপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত শক্ত প্রতিপক্ষরা অপেক্ষায়।


টেস্ট, ওয়ানডেতে রাজত্ব হারানো উইন্ডিজ টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিছুটা জ্বলজ্বলে। শেষ তিন ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টির দুটিতে জয় তাই বলছে। ছোট ফরম্যাটের ঝলকটা যদি এবারের বিশ্বকাপে দেখাতে পারেন হোল্ডার, রাসেল, গেইলরা তবে র‍্যাংকিং, ফর্মের হিসাব নিকাশ ভুল হওয়া সময়ের ব্যাপার।

১০ দলের ১০ অধিনায়ক

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হওয়া ১২তম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে দশটি দল। প্রতিটি দলেরই অনেক কিছু নির্ভর করবে তাদের অধিনায়কদের ওপর। এই দশ অধিনায়কের মধ্যে তিন জন মাশরাফি বিন মর্তুজা, ইয়োইন মরগান এবং জেসন হোল্ডার গত আসরেও নিজ নিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাকি সাত জনের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেক এবারই। এবারের বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া ১০ দেশের ১০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অতীত ওয়ানডে রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া


আফগাানিস্তান দল:
অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। তিনি আফগানিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক। গুলবাদিনের কেবলমাত্র অধিনায়ক হিসেবেই বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটবে তা নয়, একই সাথে প্রথমবার তিনি আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।


আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) তিন ফর্মেটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিলে আসগর আফগানের কাছ থেকে সদ্যই নেতৃত্ব পান নাইব। অতীতে নেতৃত্ব দেয়ার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় নাইব কিভাবে নেতৃত্ব দেন এটাই দেখার বিষয়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে ৫২ ওয়ানডেতে নাইবের আছে ৮৩০ রান এবং ৫০ উইকেট।



 

অস্ট্রেলিয়া দল:
এ্যারন ফিঞ্চ। এ্যারন ফিঞ্চের অধীনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা আটটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ফিঞ্চ। তার অধীনে এ পর্যন্ত ২৫ ওয়ানডে ম্যাচের ১৭ম্যাচে জয় পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি বাদে বাকি আটটি জয় এসেছে এ বছর। এ বছর মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরি এবং সমসংখ্যক হাফ-সেঞ্চুরির আগে অধিনায়ক হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই রান খড়ায় ছিলেন ফিঞ্চ।


বাংলাদেশ
মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাশরাফি দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল খেলে বাংলাদেশ।


যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দলকে ১৫ রানে পরাজিত করা। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিরেদশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মাশরাফির দল। যেখানে শক্তিশলিী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই হারায় টাইগাররা। তার অধীনে ৭৭ ম্যাচের ৪৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।


ইংল্যান্ড দল:
অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর ইয়োইন মরগানের নেতৃত্বে ৮০ ওয়ানডের মধ্যে ৫৪ ম্যাচে জয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড।


গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই লজ্জাস্কর বিদায়ের পর মরগানের নেতৃত্বে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। তার অধীনেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ইংলিশরা এখন শীর্ষ দল।


শুধু তাই নয় মরগানের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে দলটি হট ফেবারিট এবং প্রথমবারের মত মেগা এ ইভেন্টের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে।


ভারত
অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার মেরুদণ্ড বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের ইয়োইন মরগানের ন্যায় বিরাট কোহলিও টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতয়ি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর দিনকে দিন কোহিলির নেতৃত্ব গুন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের রেকর্ড ৭৩.৮৮ শতাংশে পৌঁছেছে।


কোহলির অধীনে ভারত ৭৮ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৪৯টিতে জয় পেয়েছে। ইতোপুর্বে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিশ্ব ইভেন্টে দলের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির।


সে আসরে লর্ডসের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে অবশ্য হারতে হয়েছিল ভারতকে। এই প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং স্পট লাইটে থাকা খেলোয়াড়দের অন্যতম একজন এ তারকা ব্যাটসম্যান।


নিউজিল্যান্ড দল:
কেন উইলিয়ামসন। প্রথমবার বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দেয়া সাত জনের একজন কেন উইলিয়ামসন। ২০১৫ আসরের ফাইনাল খেলা দলের সদস্য ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক। অধিনায়কত্বে নতুনত্ব আনা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ছায়া তলে বেড়ে উঠেছেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব উভয় বিভাগেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদন্ড হবেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ক হিসেবে বর্তমানে তার জয়ের হার ৫৩.৯৬ শতাংশ।


পাকিস্তান
পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সরফরাজ আহমেদের নেতৃতত্বেই পাকিস্তান প্রথমবারের মত ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওযার গৌরব অর্জন করে।


একইভাবে এবার ৫০ ওভার বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিতে চাইবেন তিনি। তার অধীনে ৩৯ ওয়ানডের মধ্যে ২১ ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান দল।


বিশ্বকাপে অধিনায়ক, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক তিন ভূমিকা পালন করতে হবে সরফরাজকে।


 

 

দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ফাফ ডু প্লেসিসের অধীনে ৩০ ওয়ানডের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৫টিতে পরাজিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সফল অধিনায়কদের মধ্যে একজন ডু প্লেসিস। তার অধীনে প্রোটিয়াদের জয়ের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ।


২০১৮ সালের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে, জিতেছে পাঁচটি। ওয়ানডেতে গড়ে ৪৬.৫৪ রার করা এ স্টাইলিশ মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান মিডল অর্ডারে অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। এমনকি লোয়ার মিডল অর্ডারেও ব্যাটিং করতে সক্ষম তিনি।


শ্রীলংকান দল:
দিমুথ করুনারত্নে। ২০১৫ বিশ্বকাপে মার্চ মাসে নিজের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন দিমুথ করুনারত্নে। নিরোশান ডিকবেলা, দিনেশ চান্ডিমাল, উপুল তারাঙ্গা এবং আকিলা ধনঞ্জয়ার মত কিছু নিয়মিত ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সেবা পাচ্ছেনা শ্রীলংকা।


২০১৯ বিশ্বকাপের কয়েক দিন আগে অধিনায়ক হিসেবে করুনারত্নের নাম ঘোষণা করে শ্রীলংকা ক্রিকেট। এ বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে করুনারত্নের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করে শ্রীলংকা। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে এখনো তার অভিষেক হয়নি। রান করার টেকনিক এবং কিভাবে রান পেতে হয় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সেটা ভাল জানেন তিনি। তবে ১৮ গড়ে ১৭ ওয়ানডেতে তার রান মাত্র ১৯০।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
জেসন হোল্ডার। প্রথম দুই বিশ্বকাপ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ আসরের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দলটির বর্তমান অধিনায়ক শিরোপা জয়ী তৎকালীন নেতা ক্লাইভ লয়েডের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। হোল্ডার সম্প্রতি ক্লাইভ লয়েডের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে হোল্ডার এবারের বিশ্বকাপেও লর্ডসের ফাইনালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আশা ব্যক্ত করেছেন।


সর্বশেষ এই লর্ডসেই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের টুর্নামেন্টে সর্ব কনিষ্ঠ অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন হোল্ডার। তবে নবীন-প্রবীণ এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে গড়া দল নিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতেই নজর তার। অবশ্য ২০১৪ সালের পর কোন ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ফেব্রুয়ারীতে নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজ ড্র করেছে। তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই বাংলাদেশের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে।

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে ওয়াশিংটন ডিসি'র এলিপস পার্কে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে দর্শকদের সামনেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।


৫২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এলিপস পার্কটি হোয়াইট হাউসের দক্ষিণে অবস্থিত। এর অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি'র কেন্দ্রস্থলে, ন্যাশনাল মলের উত্তরে এবং ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভ'র ঠিক উত্তরে।


দেশটির সিক্রেট সার্ভিস'র মুখপাত্র জেফ্রে অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, 'খবর পেয়ে মুহূর্তেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা ওই ব্যক্তির শরীরের আগুন নিভিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


ওয়াশিংটনের ফায়ার সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'এলিপস পার্ক থেকে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে সহায়তা করছি।


ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।


একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ন্যাশনাল মলের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তিকে এলিপস পার্কের ভেতর দৌড়ে যেতে দেখেন। এরপরই দেখা যায় ওই ব্যক্তির সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।


এর আগে গত ১২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের গেইটের সামনে একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নিজের জ্যাকেটে আগুন ধরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সূত্র : সিএনবিসি

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

admin May 31, 2019

বেন স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঘরের মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করলো ইংল্যান্ড। এদিন ইংলিশদের সামনে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আর স্টোকসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের আলোচিত পেসার জোফরা আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে যেন আত্মসমর্পণই করে ডু প্লেসিসবাহিনী।


ইংল্যান্ডের দেয়া ৩১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। বেন স্টোকস, ইয়ন মরগান, জেসন রয় এবং জো রুটরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। বোলিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেন জোফরা আর্চার।


তরুণ এই পেস বোলারের গতির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিস ও জেপি ডুমিনিরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং ভেন দার দাসুনের জোড়া ফিফটি আফ্রিকার পরাজয় এড়াতে পারেনি। বিশ্বকাপের ১২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটে বলের অসাধারণ নৈপুণ্যে ১০৪ রানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি রয়েছে জেসন রয়ের।


জেসন রয়ের বিদায়ের ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস।


দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


৩১২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংলিশ তরুণ জোফরা আর্চারের গতিকে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৪ রানে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ফিরলেও সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে আউট হন আমলা।


দক্ষিণ আফ্রিকার এই মুসলিম ক্রিকেটারকে বাউন্সার দেন জোফরা। কপালে চোট নিয়ে মাঠ থেকে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েন অ্যাডাম মার্কওরাম। ১২ বলে ১১ রান করে জোফরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মার্কওরাম।


৮ রানের ব্যবধানে জোফরাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানে আমলা রিটায়ার্ড হার্টসহ তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ভেন দার দাসুনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানে জুটি গড়ে ধকল সামাল দেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন তিনি। দলীয় ১২৯ রানে ফেরেন ডি কক। তার আগে ৭৪ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডি কক।


ডি ককের বিদায়ের পর রীতিমতো উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্য্যত ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দাসুন। তিনি ৬১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন জোফরা আর্চার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯.৫ ওভারে ২০৭/১০ (ডি কক ৬৮, দাসুন ৫০, ফেয়ালুকাওয়ে ২৪; আর্চার ৩/২৭)। ফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

admin May 31, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম (২৫) এর লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ার চর গ্রাম এলাকায় জিঞ্জিরাম নদী তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


এর আগে বুধবার রাত ৩টার দিকে রৌমারী উপজেলার পুর্বকানিয়ারচর সীমান্তের ১০৫৮ নম্বর আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলারের নিকট বাংলাদেশী কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলিতে মাইদুল নিহত হয়।


ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ মাইদুলকে তার অন্যান্য সঙ্গিরা কাঁধে করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতা এড়াকে নিহত মাইদুলের লাশ তার সঙ্গিরা জিঞ্জিরাম নদীতে ফেলে দেয়। নিহত গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের সাইজুদ্দিনের পুত্র।


৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সতত্য স্বীকার করে জানান, এঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়া অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪ ও জো রুট ৫১ রান করেন। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন রয়।


জেসন রয়ের বিদায়ের চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন বেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস। দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

admin May 31, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগম।


এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রইচ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) শামীমা নাসরিন, প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল প্রমূখ।


এবারে চলতি মওসুমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ২’শ ৩৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামী ৩১ আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে এ ধান সংগ্রহ করা হবে।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

admin May 30, 2019

অপেক্ষার পালা শেষ। শুরু হলো ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। যদিও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেছে আগের দিনই। ব্যাকিংহ্যাম প্যালেসের সামনে ঐতিহ্যবাহী লন্ডন মলে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। আর মাঠের লড়াই শুরু আজ। প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আর শুরুর শুরুটা ভালো হয়েছে স্বাগতিকদের। টস জিতে নিয়েছে তারা। তবে ব্যাটিং স্বর্গে আগে বল করবে দলটি। বাংলাদেশ বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।


জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো সম্ভবত চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটি। তিন জো রুট, এরপর ইয়ন মরগান। শেষ দিকে ঝড় তুলতে আছেন জস বাটলার, বেন স্টোকসের মতো খেলোয়াড়। তাই নিঃসন্দেহে এবারের সেরা ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। বোলিং বিভাগও দারুণ। শেষ দিকে দলে ঢুকেছেন বিস্ময় পেসার জোফরা আর্চার। স্পিন আক্রমণে আদিল রশিদ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তবে ইনজুরির কারণে এদিন নেই দলের অন্যতম ভরসা পেসার মার্ক উড।


ব্যাটিং লাইন আপটা খারাপ নয় দক্ষিণ আফ্রিকারও। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি যে কোন দলকে ভোগাতে পারে। এরপর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি, জেপি ডুমিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং বিভাগটা আরও বেশি শক্তিশালী তাদের। যদিও এদিন দলের সেরা পেসার দেল স্টেইনকে পাচ্ছে না তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক পেসার কাগিসো রাবাদা একাই ধসিয়ে দিতে পারেন যে কোন দলকে। এক্স ফ্যাক্টর হতে পারে ইমরান তাহিরের লেগ স্পিন।


গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই টনক নড়েছিল ইংলিশদের। এরপর থেকে গেল চার বছরে ঢেলে সাজিয়েছে ক্রিকেটকে। তার ধারাবাহিকতায় শেষ ১৯টি সিরিজের ১৫টিতেই জিতেছে তারা। বিশেষ করে ঘরের মাঠে দারুণ শক্তিশালী দলটি। কদিন আগে পাকিস্তানকে দিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। আর এবার বিশ্বকাপ তো ঘরের মাঠেই। ভালো কিছু করতে চায় দলটি।


অন্যদিকে এবারই হয়তো প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার দল নিয়ে ততোটা হাঁকডাক নেই। আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামছে দলটি। আর নিজেদের এ আন্ডারডগ তকমাটাও পছন্দ প্রোটিয়াদের। প্রত্যাশার চাপ থেকে মুক্ত থাকার দাওয়াই হয়তো এতেই মিলবে। কে না জানে বিশ্বকাপের মঞ্চে যে বরাবরের চাপে ভেঙে পড়েছে এ দলটি। তাই তো তাদের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে চোকার্স তকমা।


ইংল্যান্ড একাদশ:


জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:


হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক),আইডেন মার্করাম, ফাফ দু প্লেসি (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।

বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

admin May 30, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের কাচা রাস্তার পাশ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।


নিহত ব্যক্তিরা হলেন নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর খোলাপাড়া গ্রামের রাজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র রায় (৩৩) এবং একই উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে হানিফুর রহমান (৩৩)। নিহত দুই ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানা গেছে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের কাচা রাস্তার ধারে স্থানীয়রা দুইজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।


নিহত হানিফুর রহমানের বড় ভাই আবদুল হালিম বলেন, তার ভাই বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। তার ভাই হানিফ ও বিপ্লব ছোটবেলা থেকে খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।


দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে অভিযান চলছে।


বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক শাকিলা পারভীন জানান, ‘মরদেহ দুটি উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’

রানী এলিজাবেথের সঙ্গে মাশরাফিসহ ১০ অধিনায়ক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটেনের রানী আলেকজান্দ্রা মেরি বা দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা ওঠে।


তার আগে বিশ্বকাপের ১২তম আসরে অংশ নেয়া ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করা অধিনায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রানী এলিজাবেথ।পৃথিবীর বৃহত্তম রাজকীয় রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেটের রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়ক।


৩০মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।



প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়স্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান এই ১০টি দেশ অংশ নিচ্ছে।


আর এ ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন- ইংল্যান্ড- ইয়ন মর্গান, অস্ট্রেলিয়া-অ্যারন ফিঞ্চ, ভারত-বিরাট কোহলি, পাকিস্তান-সরফরাজ আহমেদ, বাংলাদেশ-মাশরাফি বিন মুর্তজা, দক্ষিণ আফ্রিকা-ফাফ ডু প্লেসিস, নিউজিল্যান্ড-কেন উইলিয়ামসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জেসন হোল্ডার, শ্রীলংকা-দিমুথ করুনারত্নে, আফগানিস্তান-গুলবাদিন নায়েব।


বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জয়া-রাজ্জাক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক ও অভিনেত্রী জয়া আহসান। অনুষ্ঠানে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়। ক্রিকেটা তারকা আব্দুর রাজ্জাক মাত্র ৪ বল খেলে ২২ রান করেন। অভিনেত্রী জয়া আহসান কোনো রান নিতে পারেননি।


পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধি হিসেবে আসেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আজহার আলী। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জায়ী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েসমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্টান শুরু হয়।



আগামী সাত সপ্তাহে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসজুড়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ওভালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে এই বড় আয়োজন। বুধবার টিকিট পাওয়া কয়েক হাজার ক্রিকেট ভক্ত বাকিংহাম প্রসাদের সামনে আইকনিক সড়ক দ্যা মলে গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেট উদযাপনে অংশ নেন।


ব্রিটেনের বিখ্যাত পত্রিকা ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু এটাকে একটা স্মরণীয় রাত হিসাবে উদযাপনের সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠান শুরুর সহায়তায় বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিও উপস্থিত থাকবেন।

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রাসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০ টায় বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে।


শুরুতেই প্রতিটি দলের দুজন করে প্রতিনিধিকে ডেকে নেন উপস্থাপক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় দলের ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন ক্রিকেটার আজহার আলী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নারী মালালা ইউসুজাই।


বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণকারী ১০টি দলের প্রতিনিধিদের খোলা সড়কে ৬০ সেকেন্ডের মায়াবী ক্রিকেটে মুগ্ধতা ছড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়। সেই সুযোগ সবাই লুফে নেন। টেবিল টেনিসের বলে খেলা সেই এক মিনিটের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ড।


মজার ক্রিকেটে জয়া আহসান মাত্র একটি বলে ব্যাট লাগাতে সক্ষম হন। তবে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০৭টি উইকেট শিকার করা বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বদৌলতে ২২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ পিছিয়ে ছিল ভারত। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহানা আখতার মাত্র ১৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।


৬০ সেকেন্ডের মজার ক্রিকেট শেষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী লরিন গেয়ে শোনান ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সং ‘স্ট্যান্ড বাই...’। পাশে থেকো সারা বিশ্বের ক্রিকেটানুরাগীদের ইংল্যান্ডের আহবান, পাশে থেকো। কাছে থেকো।


এরইমাঝে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও হাতে নিয়ে মঞ্চে রাখেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্র ফ্লিনটফ।


তার আগে দ্য মলের শেষ মাথায় লন্ডনের বিখ্যাত বাকিংহাম রাজ প্রাসাদের ১৮৪৪ কক্ষে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি দলের অধিনায়ক। তাদের মাঝে লাল-সবুজের পতাকা বহনকারী মাশরাফি মুর্তজাকে দারুণ সপ্রতিভ দেখাল।

একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি সাদেক কুরাইশী

admin May 30, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
দেশে যখন খাদ্য সঙ্কট, মানুষের দ্বাারে দ্বারে অভাব, খেয়ে না খেয়ে মানুষ যখন জীপন যাপন করছিলো। উচ্চশিক্ষা অর্জন যে সময় অনিশ্চিত চাওয়া ছিলো শিক্ষার্থীদের। সে সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন তিনি। এ জেলাতেই শৈশব, কৈশর কাটিয়ে বেড়ে উঠা তাঁর। এ অঞ্চলের মানুষের সেই দুঃসমের চিত্র তাঁর মনে ছাপ ফেলে। তখনই বুকের ভেতর স্বপ্ন বুনে একটি স্বচ্ছল দিনের। যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকবেনা আর শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেনা কোন শিক্ষার্থী।


তাঁর জন্মস্থানে তারই শৈশব ও কৈশরকাল খুঁজতে গিয়ে মিলেছে নানা অজানা তথ্য। তিনি তখন থেকেই ভাবতেন দেশ ও দেশের মানুষের জীবন মান কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে কথা? নিজের জন্মভূমিতে প্রতবেশীদের অভাব অনটন আর মানুষের জীবনের সঙ্কটময় সময় তিনি দেখেছেন খুব কাছ থেকে। মানুষের দুঃসময়ে শৈশবকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে উজার করছেন তিনি। এমনকি নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে মেধাবী গরীব সহপাঠীদের লেখাপড়ার জন্য করেছেন নানা রকম সাহায্য সহযোগীতা। সে সময় থেকেই তিনি এলাকার একটি সোনার টুকরো ছেলে। যিনি ভাবেন অসহায় প্রতিবেশী, সহপাঠী আর গরীব মেহনতী মানুষদের নিয়ে। এমনই অজানা তথ্য এই প্রতিবেদককে জানাচ্ছিলেন তাঁরই একাধিক প্রতিবেশী ও সহপাঠী।


আরও জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত তিনি। মানুষের সেবায় নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত করতে প্রস্তুত তিনি। সে ইচ্ছা ও মানুষের পাশাপাশি থেকে মানুষের অধিকারে কথা বলতে করেছেন ছাত্র রাজনীতি। অনেক মেধা, শ্রম ত্যাগের বিনিময়ে তিনি আজ একজন আপাদমস্তত রাজনীতিবিদ। তাঁর রাজনীতি জীবন যাত্রা শুরু হয়ে আজও থামেনি। পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোনোদিন।



তিনি তার রাজনৈতিক দলকে সুসংগঠিত করেছেন। কাঙ্খিত লক্ষ্যেও নিয়েছেন প্রিয় দলকে। নজর কেড়েছেন দলের শীর্ষ নেতাসহ সভানেত্রী শেখ হাসিনারও। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ছিলেন কাণ্ডারি। তিনি হলেন-ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।


তিনি ১৯৬০ সালের ৩১ শে আগস্ট ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন। এরপর ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণি পড়েছেন বর্তমান ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭৫ সালে ঠাকুরগাঁও রোডের ইসলাম নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৭৭ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৯ সালে বিএ পাস করেন মুহা. সাদেক কুরাইশী।


সরকারি কলেজে পড়াকালে ছাত্ররাজনীতি করেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সামরিক আইন জারির সময় গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের সুসংগঠিত করে সভা, সমাবেশ মিছিলসহ বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংগ্রামেও লিপ্ত ছিলেন তিনি। সে সময় অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আন্দোলনে আরও কার্যকরি হন মুহা. সাদেক কুরাইশী। আন্দোলনের পর পুনঃরায় চাকরিতে যোগদান করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগ হয়ে ওঠে গঠনমূলক ও শক্তিশালী। তার দক্ষতা ও নেতৃত্বের অগ্রগতিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। পরে চলে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে।


১৯৯১ সালে দায়িত্ব পান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের। ১৯৯৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে দলীয় কোন্দলে দল জড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্র থেকে ভেঙ্গে দেয়া হয় কমিটি। সেই সময় ছিল দলের দুঃসময়। দলের ভার পড়ে যায় তার কাঁধে। সাদেক কুরাইশী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদে থেকে তিনি দলের কোন্দল দূর করে সুসংগঠিত করেছেন। দিনরাত শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছেন। ২০০৫ সালের দলীয় কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাদেক কুরাইশী। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।


২০১১ সালের ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেন সাদেক কুরাইশীকে। নিয়োগ প্রাপ্তির পর জেলা পরিষদ সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা পাল্টিয়ে ইতিবাচকে নিয়ে এসেছেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জেলার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যুরাল ও স্মৃতি ফলক স্থাপন করেছেন জেলা পরিষদ থেকে।


জেলার ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বালিয়াডাঙ্গী মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরাল, জাতীয় চার নেতার ছবি সম্বলিত ম্যুরাল, জেলা পরিষদ হল রুমের সামনে ৭ বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল, ডাকবাংলো হলের সামনে ও নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ম্যুরাল। এছাড়াও জেলা পরিষদের অর্থায়নে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, এডিবির উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহা. সাদেক কুরাইশী। বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার অনগ্রসর এলাকা চিহ্নিত করে সুপেয় পানির জন্য শতাধিক স্থানে টিউবয়েল স্থাপন করেছেন। সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলা কর্মকান্ডের জন্য জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা।


সর্বশেষ ২০১৫ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে আবারো ঠাকুরগাঁওজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।


তিনি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য নির্মূলে দলীয় অবস্থান থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত দূর্গ গড়ে তুলেছেন। সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তিনি জনগণকে এক্যবদ্ধ করেছেন। সকল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।


উল্লেখ্য সাদেক কুরাইশী ২০০৯ সালে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দিনের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ পরিষদে যোগ দেন। ২০১৫ সালেও কোরিয়া ও চীনে সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রণ পান।


সাদেক কুরাইশীর রাজনৈতিক উত্থান কোন গল্প নয় একটি বাস্তব ইতিহাস। তাঁর নিরলস ও কঠোর পরিশ্রমে দল আজ গোছানো। ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চেনে এবং জানে। এক কথায় বলতে গেলে আ. লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাণ্ডারী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও মানুষের নেতা মুহা. সাদেক কুরাইশী। তাই দলীয় নেতাকর্মীসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাওয়া ও বিশ্বাস যে, জননেতা সাদেক কুরাইশী একদিন ভবিষ্যতে রাজনীতির আরও ভালো স্থানে গিয়ে নেতৃত্ব দেবে এবং এভাবেই মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে তাঁর সকল ভালো কাজের জন্য তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে।

মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে রংপুরের তৈরি টুপি

মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে রংপুরের তৈরি টুপি

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদকে সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদার কারণে কঠোর পরিশ্রম করে টুপি তৈরি করছেন রংপুরের টুপি শ্রমিকরা। টুপি শ্রমিকদের নিপুন হাতের কারুকার্য সম্বলিত টুপি এখন ওমান, সৌদি আরব, কাতার ও জাপানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। আর এতে করে গ্রামের হতদরিদ্র প্রায় ২৫ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গৃহস্থলির কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি থেকে আয় দিয়ে পরিবারগুলো দারিদ্র্য জয় করেছে।


রংপুরের পীরগাছা উপজেলার নব্দিগঞ্জ, ইটাকুমারীর হাসনা গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার নারী এ কাজ করছেন। শুধু পীরগাছা উপজেলায় নয়, রংপুর সদর, কাউনিয়া, লালমনিরহাটের তিস্তার চর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীরা টুপি বানিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করেছেন। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের খোপাতি গ্রামের হাফেজ আবদুল আউয়াল। তার টুপি ফ্যাক্টরির নাম দিয়েছেন ‘এমএইচ টুপি কারখানা’।


টুপি তৈরিতে আবদুল আউয়ালের সাফল্য সম্পর্কে জানা যায়, তিনি সিলেট টেক্সটাইল জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করতেন। পরে বদলি হয়ে আসেন কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলে। এরপর সরকার ২০০২ সালে বাধ্যতামূলক অবসরের ঘোষণা দিলে তিনি অবসরে যান। এসময় তিনি অবসরে যাওয়ার কারণে সরকার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পান। কিছুদিন বসে থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেন। এরপর মনে মনে ভাবেন, যে টাকা রয়েছে, তা টাকা দিয়ে এমন কিছু করবেন যাতে নিজে এবং সমাজের অবহেলিত মানুষও উপকৃত হয়। এ সময় তিনি জানতে পারেন তাদেরই গ্রামের পাশে ফেনী ও নোয়াখালী থেকে এসে টুপি বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেকে।


পরে ২০০৫ সালে তার পূর্বপরিচিত এক লোকের মাধ্যমে ফেনী চলে যান। সেখান গিয়ে তিনি ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের কাছে প্রায় ২ মাস টুপি বানানোর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তার কাছ থেকে ৩০০ পিস টুপি বানানোর কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে আসেন বাড়িতে। নিজে এবং বাড়ির পাশের কয়েক নারীকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলোর কাজ শেষ করে আবার তা ফেনিতে পাঠিয়ে দেন। কাজ দেখে মালিক আবুল খায়ের বেশ খুশি হন। এ জন্য প্রতিটি টুপি তৈরি বাবদ তাকে দেওয়া হয় ৫শ’ টাকা। যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রতি টুপিতে তার লাভ হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এভাবে শুরু হয় তার ব্যবসা। অবসর থেকে পাওয়া ও জমি বন্ধকের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে নিজেই কিনে ফেলেন মোটরচালিত ৫০টি সেলাই মেশিন। ওইসব মেশিন দিয়ে চলে টুপি সেলাই ও এম্ব্রয়ডারির কাজ। কাউনিয়ার বালাপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে করেছেন অফিস ও কারখানা। আস্তে আস্তে তার ব্যবসা প্রসারিত হতে থাকে।


কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের তহুরা বেগম। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। সংসারে জমি-জিরাত বলতে শুধু চার শতক ভিটা। তহুরা বলেন, স্বামী মজুরি দিয়ে সংসার চালাত। তিনি মারা যাওয়ার পর খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে কেটেছে সংসার। এরপর হাফেজ আউয়ালের টুপি তৈরির কারখানায় দেড় মাস প্রশিক্ষণ নেন। শুরু করেন টুপি বানানোর কাজ।


তিনি বলেন, এখন আর না খেয়ে থাকতে হয় না, ভালোই চলছে সংসার। তিনি জানান, তার কাজ হচ্ছে টুপির চারদিকে মোটা সুতা ঢোকানো। যাকে আঞ্চলিকভাবে বলা হয় হাসু। এতে তিনি পান প্রতিটি টুপির জন্য ২০ টাকা। এতে তার মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আয় হয়।


শহীদবাগ ইউনিয়নের ছাত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, যখন আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। এক সময় টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এখন আমি টুপি তৈরির কাজ করে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাই। পাশাপাশি বাবা-মাকেও কিছু সংসার খরচ দিই।


কাউনিয়ার জয়ন্তী রাণী জানান, তার স্বামী একটি এনজিওতে কাজ করেন। বেতন খুব একটা বেশি পান না। তাই তিনি টুপিতে নকশার কাজ করেন। তিনি আরও জানান, মাসে তিনটির বেশি টুপিতে নকশা করা যায় না। তিনটি টুপি নকশা করে তার আয় হয় ১২শ’ টাকা, যা দিয়ে স্বামী আর এক মেয়েসহ ভালোভাবেই দিন কেটে যায়।


এমএইচ টুপি কারখানার সুপারভাইজার খোরশেদ আলম বলেন, আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সুতাসহ টুপি দিয়ে আসি নকশা করার জন্য। নকশা হয়ে গেলে তা আবার ফেরত নিয়ে আসি টাকা দিয়ে। এতে আমরা পাই প্রতি টুপি বাবদ ২০ টাকা।


মাহমুদিয়া হস্তশিল্প টুপি (এমএইচ টুপি) কারখানার মালিক হাফেজ আবদুল আউয়ালের ছেলে মাহামুদুল হাসান জানান, তার বাবা ব্যবসার প্রয়োজনে বেশির ভাগ সময় ওমানে থাকেন। ওমানের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার সঙ্গে তাদের কয়েক বছর আগে চুক্তি হয়েছে। তখন থেকে সরাসরি তারা নিজেরাই ওমানে টুপি রফতানি করছেন। তিনি জানান, এখন সপ্তাহে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টুপি তৈরি হচ্ছে।


টুপির উৎপাদন খরচ ও বিক্রি প্রসঙ্গে মাহামুদুল হাসান জানান, সুতা, কাপড়, পরিবহন খরচ, বিদ্যুৎ, মজুরিসহ অন্যান্য খরচ মিলে একটি টুপিতে খরচ পড়ছে ৫শ’ থেকে ৫১৫ টাকা। ওমান পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ পড়ে ৬শ’ টাকা থেকে ৬১৫ টাকা। ওই টুপি তিনি বিক্রি করেন ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি টুপিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা লাভ থাকছে।


তিনি বলেন, এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। যার ওপর অনেক সুদ দিতে হয়। কম সুদে টাকা পাওয়া গেলে ব্যবসা আরও বাড়ানো যেত। আয়ও বেশি করা যেত। মাসে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টুপি রফতানি করা হচ্ছে। এ থেকে মাসে আয় হচ্ছে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। তবে সব মাসেই আয় এক রকম থাকে না।


তিনি বলেন, এই টুপিতে উন্নতমানের কাপড়ের ওপর বাহারি সুতার কাজ করা হয়। ফলে কারুকার্য বেশি হওয়ায় টুপির দাম একটু বেশি পড়ছে। এ টুপি আমাদের দেশে বিক্রি হয় না। বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই রফতানিযোগ্য করে এসব টুপি তৈরি করা হয়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three