ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এরআগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৯৯’র পর ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা হবে বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসরের আয়োজক হলেও একবারও টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি ইংলিশরা। তিনবার রানার্স-আপ হয়েছে দেশটি। তবে সার্বিক এবার সার্বিক বিবেচনায় এবং হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে এবার শিরোপা জয়ের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে র্যাকিংয়ের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে ১৯৭৯,১৯৮৭ এবং ১৯৯২ আসরে তিনবার রানার্স আপ হয়েছে ইংল্যান্ড। দুইবার ১৯৭৫ এবং ১৯৮৩ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের। তিন সিংহরা ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। তিন বার (১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১৫) ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে। কেবলমাত্র ২০০৭ আসরে সুপার এইট পর্বে খেলেছে তারা।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে এক ম্যাচে ইংল্যান্ডর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৮ রান। ২০১১ আসরে ভারতের ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল ইংলিশরা। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ৯৩। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিার বিপক্ষে এ সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যায় তারা।
ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রেকর্ডের মালিক সাবেক ব্যাটসম্যান এন্ড্রু স্ট্রস। ২০১১ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে এ রেকর্ডের মালিক হন তিনি। বিশ্বকাপে ইংলিশদের ইনিংস সেরা বোিলং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন ভিক মার্ক। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে টনটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে রেকর্ডের মালিক হন মার্ক। দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার টিম ব্রেসনানের ৪৮ রানে ৫ উইকেট শিকার।
গুচ এবং বোথাম:
বিশ্বকাপে ইংলান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী কিংবদন্তী গ্রাহাম গুচ। ২১ ম্যাচ খেলে ৪৪ দশমিক ৮৫ গড়ে তার মোট রান ৮৯৭। একটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। টুর্নামেন্টে টিমের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট (৩০) শিকারের রেকর্ডটি গড়েছেন গুচের সতীর্থ এবং আরেক কিংবদন্তী ইয়ান বোথাম। বোথামের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/৩১।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরির মালিক কেভিন পিটারসেন। সাবেক উইকেটরক্ষক এ্যালেক স্টুয়ার্ট টিমের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩টি ডিসমিজালের রেকর্ড গড়েছেন। উইকেটরক্ষক তালিকায় তার নবম স্থানে আছেন তিনি।
ফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অংশ নেয়ায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জেমস এন্ডারসন এবং এ্যালেক স্টুয়ার্ট। দুজনেই ২৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন।