আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন টনি ব্লেয়ার। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবরে প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের বৈধতা দাবি করেছে। তারা দাবি করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের এই অর্থের কোনও অংশই গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া যে মুনাফা হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক কাজ থেকে আসেনি।
টনি ব্লেয়ারের এনজিওতে সৌদি অর্থের আগমণ এবং ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানকে তার সমর্থন করায় ঘটনাটি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এনজিও সৌদি আরবের কাছ থেকে কয়েক লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড গ্রহণের ঘটনা সামনে আসার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত হিসাব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি আরবের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১২ মিলিয়ন ডলার তহবিল পেয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা এই অর্থের যোগানদাতা হিসেবে মিডিয়া ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি আবার সৌদি রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিং গ্রুপের একটি সহযোগী সংগঠন।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে এই বছরের শুরুতে। সৌদি আরবকে আধুনিকায়নে সহযোগিতার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের চুক্তি।