চরম ভোগান্তিতে রৌমারীর ১১ গ্রামের মানুষ

admin June 23, 2019

রৌমারী প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার জিঞ্জিরাম নদীর ব্রিজ নির্মাণ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ১১ গ্রামের ২২ হাজার মানুষ।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলাতিতে ব্রিজ নির্মাণ দেরি হচ্ছে। এতে মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একমাত্র এই ব্রিজটিই রৌমারী উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ওই গ্রামগুলো।


জানা যায়, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। ইজলামারী নদীর উপর সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সরকারী বরাদ্দ দেয়া ব্রিজটি নির্মাণ কাজে দেরি হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ী, পুর্ব বারবান্দা, চুলিয়ারচর, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্ব দুবলাবাড়ী, পাটা ধোয়াপাড়া, চর কলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ীসহ প্রায় ১১টি গ্রামের মানুষ।


লাকাবাসি দীর্ঘদিন থেকে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার স্কুল,কলেজে চলাচল করছে। দীর্ঘদিনের জিঞ্জিরাম নদীর উপরব্রিজের দাবীতে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের প্রচেষ্টায় এলাকার মানুষের একটিব্রিজের বরাদ্দ পাশ করেন যাহা ৪কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত ২০১৭ সালের শেষের দিকেব্রিজটির নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলাতিতে অদ্যবধিব্রিজের নিমার্ণ কাজটি শেষ হয়নি।


এ বিষয়ে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরপরেই এ এলাকার মানুষের ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর দীর্ঘদিনের দাবী এবং আমার বাড়ীও তাদের সাথে। ফলে সেই সুবাদে এমপি হয়েই প্রথমেই জিঞ্জিরাম নদীর উপরব্রিজের বরাদ্দ এনে দেওয়া হয়, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার কাজটি পায়।


গত ২০১৭ সালের শেষের দিকেব্রিজ নিমার্ণ কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ এলাকার জনমানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে আমার দাবী যতো দ্রুত সম্ভবব্রিজটির নিমার্ণ কাজ শেষ করে এলাকার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি নিরসন করা হউক।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three