ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল পৌসভাধীন রংপুরিয়া বাজার এলাকার তিন কৃতি সন্তানকে সংবর্ধনা দিলেন এলাকাবাসি। গতকাল রবিবার রাতে রংপুরিয়া বাজারস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাল কল মিল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সইদুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এসময় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগ সভপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, শিক্ষক এনামুল হক প্রমুখ।
রংপুরিয়া বাজারের মো. আইনুল হকের ছেলে আহসান হাবিব গত ২রা এপ্রিল নিজ বাড়ি থেকে রওয়ানা বাইসাইকেল যোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সফলতার সাথে ভ্রমণ করায় তাকে এলাকাবাসি সংবর্ধনা দেয়। এদিকে একই এলাকার হাসির মুন্সি ওরফে হাসেন মুন্সির ছেলে মশিউর রহমান ৩৬তম বিসিএস এ কৃতকার্য হওয়ায় তিনিও সংবর্ধনা পান এলাকাবাসির পক্ষ থেকে। অপরদিকে মৃত মনিরউদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন বিসিএস এ অধ্যায়নরত থাকায় তাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয় ওই অনুষ্ঠানে।
নীলফামারীতে স্থাপন করা হবে মেডিকেল কলেজ, কৃতজ্ঞ জেলাবাসী
উত্তরাঞ্চল নীলফামারী মেডিকেল কলেজনীলফামারী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনে নীলফামারীতে সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু হচ্ছে খবরে জেলা জুড়ে সাধারন মানুষজন আনন্দে আত্নহারা হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে জেলাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মাদ নাসিমের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর গতকাল রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা নীলফামারীবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও জানান, আমরা আসা করছি চলতি বছরের সেশনে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শোকের মাস আগষ্ট চলমান থাকায় দলের পক্ষে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নীলফামারীতে মেডিকেল কলেজ চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত দেয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে বিশাল আনন্দ র্যালী ও সমাবেশ করা হবে।
এর আগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নীলফামারী জেলায় উত্তরা ইপিজেড স্থাপন করে তা চালু করেছেন। এই ইপিজেডে আজ ৩২ হাজার নারী পুরুষ কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টিটিসিএল (টেকনিক্যাল ট্রেনিং স্কুল এন্ড কলেজ) স্থাপন ও কার্যক্রম চালু করেন। জেলার স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়ন করন ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ শষ্যা হতে আড়াইশ শর্যা রূপান্তরে বহুতল ভবন নির্মান করে দিয়েছেন। নবনির্মিত হাসপাতালে বহুতল ভবন এখন আনুষ্ঠানিভাবে উদ্ধোধনের অপেক্ষায়। পাশাপাশি জেলার সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটনানো হয়েছে।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে জমির বন্দোবস্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। দ্রুত এগিয়ে চলছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, জেলা শহরের অদুরে নটখানা নামক স্থানে স্বাস্থ্য বিভাগের ৫১ দশমিক তিন একর জমি রয়েছে। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। অবকাঠামো নির্মানে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিপিপি জমা করার জন্য কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, এবছরেই ওই মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ওই স্থানের পাশেই পলাশবাড়িতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক ডায়াবেটিক সমিতির একটি ভবন রয়েছে। সেখানেই আপতত কাশ পরিচালনার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের ২৫০ শয্যার একটি নতুন ভবন নির্মান হয়ে হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছে। সেটি দ্রুত হস্তান্তর হলে শিক্ষার্থীদের কাশসহ অন্যান্য অবকাঠামোর অসুবিধা প্রদান করা হবে ।’
নীলফামারীতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নীলফামারীবাসীর পক্ষ থেকে আরো ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকসহ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী।
ফেসবুকে নিয়ে আসছে নতুন চমক
news নতুন চমক নতুন ফিচার ফেসবুকএক্সপ্রেস ডেস্ক: ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল, ‘ডিসলাইক’ বলে একটি অপশন আসতে পারে। তবে নতুন ‘ডাউনভোট’ ফিচারটি যে একেবারে ‘ডিসলাইক’-এর মতো কাজ করবে, তা নয়। অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছিল। এবার গ্রাহকদের সুবিধার্থে বড় রকম বদল আনল ফেসবুক। ইউটিউবের আদলে দু’টি নতুন ফিচার এনে চমক দিল মার্ক জুকারবার্গের বিশ্বখ্যাত এই সংস্থা।
এখন থেকে ফেসবুক খুললে বিভিন্ন পোস্টে দু’টি নতুন অপশন দেখা যাবে। ‘আপভোট’ ও ‘ডাউনভোট’ নামে এই নতুন দু’টি অপশনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পোস্ট কিংবা কমেন্টে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। এমনটাই জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, ‘ডিসলাইক’ বলে একটি অপশন আসতে পারে। তবে নতুন ‘ডাউনভোট’ ফিচারটি যে একেবারে ‘ডিসলাইক’-এর মতো কাজ করবে, তা নয়। কোনও ফেসবুক ব্যবহারকারী যদি কোনও পোস্ট কিংবা কমেন্টে ‘ডাউনভোট’ অপশন ক্লিক করেন, তা হলে সেই পোস্টটি তার কাছে হাইড হয়ে যাবে। পাশাপাশি যিনি ওই পোস্টটি করেছেন তিনিও বুঝতে পারবেন, তার পোস্ট কিংবা কমেন্টে নেগেটিভ রিঅ্যাকশন পড়ছে।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই ‘আপভোট’ ও ‘ডাউনভোট’ ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা চালায় ফেসবুক। তবে এই ফিচার দু’টি ভারতে এখনও চালু হয়নি। আপাতত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চালু হয়েছে ‘আপভোট’ ও ‘ডাউনভোট’ ফিচার দু’টি।
কেরালার বন্যায় বিপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েও সমালোচিত প্রিয়া
কেরালার বন্যা প্রিয়া প্রকাশ বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: অমিতাভ, শাহরুখ, সলমন, প্রভাস, জ্যাকলিন, সুশান্ত সিং রাজপুতসহ একাধিক তারকার পর এবার কেরলের বন্যায় বিপন্নদের জন্য এগিয়ে এলেন প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ টাকা দান করলেন প্রিয়া। তবে শুধু অনুদান দেওয়াই নয়, গত শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রিয়া। বলেন, তিনি কোনও পাবলিসিটির জন্য এই অনুদান দিচ্ছেন না। আর এর পরেই ট্রোল হতে হয় প্রিয়াকে।
প্রিয়া সোশ্যাল সাইটে ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ''এই অর্থটা আমি আমার রাজ্যের স্বার্থে দিচ্ছি। কথার থেকে কাজ করাটাই বাঞ্ছনীয়। আপনারাও সামর্থ অনুযায়ী যতটা সম্ভব কেরলের মানুষদের জন্য দান করুন। এটা কোনও পাবলিসিটি নয়। এই পরিমাণ টাকা আমি দিচ্ছি সেটা শুধুমাত্র আমি মানুষকে সচেতন করার জন্য। যাতে সেই টাকাটা তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। প্রশংসা না করুন দয়া করে সমালোচনাও করবেন না।''
A post shared by priya prakash varrier (@priya.p.varrier) on
প্রিয়া অনুরোধ জানালেও তিনি তার অনুদানের অর্থ প্রকাশ্যে আনার জন্য নেটিজেনদের কাছে সমালোচিত হন তিনি। অনেকেই লেখেন, আপনি কী পরিমান টাকা দিচ্ছেন এটা লোকজনকে জানানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আর তিনি যদি পাবলিসিটি না চাইবেন তাহলে এই অনুদানের কথা জানানোর প্রয়োজন নেই। তবে শুধু প্রিয়াই নন, মোহনলাল সহ একাধিক মালায়লাম ছবির তারকা কেরলের জন্য দান করেছেন।
প্রসঙ্গত, 'ওরু আদর লাভ' নামে একটি মালায়লাম ছবির 'মনিক্য মালারায় পুভি' গানের চোখের প্রিয়ার ইশারায় কথা বলার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন প্রিয়া। রাতারাতি পরিচিতিও লাভ করেন অভিনেত্রী।
জেলে কেমন দিন কাটছে আছে ধর্ষক রাম রহিমের!
ধর্ষক রাম রহিম বিশ্ব রাম রহিমআন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেলযাত্রার একবছর পূর্তিতে প্রচার থেকে অনেক দূরে ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। রোহতক জেলে কারাবাসের বর্ষপূর্তিকে কেমন আছে সে। কেমন আছে রামরহিম এ নিয়ে গতকাল রবিবার এক ভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে প্রকাশ করা হয়েছে ধর্ষক রাম রহিমের বর্তমান অবস্থা।
গত বছর ২৫ অগাস্ট ২ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাবাসের দণ্ড দেয় ভারতের পঞ্চকুলার আদালত। এর পরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে একাধিক রাজ্যে। তাতে মৃত্যু হয় ৪১ জনের। সেই থেকে রাম রহিমের ঠিকানা হয় জেলে। জেলে প্রায় আধ একর জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে রাম রহিমের ব্যারাক। চারদিক ঘেরা ৮ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে। তার মধ্যে ১৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া একটি ঘরে থাকে রাম রহিম।
জেল সূত্রে জানা যায়, রোজ সকাল ৫টা থেকে ৫.৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠে রাম রহিম। এর পর ঘরের সামনে বারান্দায় কিছুক্ষণ হাঁটে সে। কখনও যোগাসন করতেও দেখা যায় রাম রহিমকে। সকাল সাড়ে ৬ টায় অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে রাম রহিমকেও জেলের বাগানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সবজি চাষ করছে রাম রহিম। সেখানে ২ ঘণ্টা ধরে ফসলের পরিচর্যা করে সে। এরপর ৮ টা নাগাদ তাকে সকালের খাবার দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাম রহিমকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে শুনানির জন্য তৈরি করা হয়। শুনানি না থাকলে নিজের কুঠুরিতে বসে বই পড়ে রাম রহিম।
জানা গেছে, এক বছরে চেহারার জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে রাম রহিমের। এক বছর আগে যেদিন রাম রহিম রোহতক জেলে এসেছিল সেদিন তার ওজন ছিল ১০৫ কিলোগ্রাম। ১২ মাসের বন্দিদশার পর তার ওজন কমেছে ১৩ কিলোগ্রাম। এখন রাম রহিমের ওজন ৯২ কেজি। চেহারার জৌলুসও ম্লান হয়ে গিয়েছে জেলবন্দি এই ধর্ষকের। তার কুচকুচে কালো দাড়ি দু'দিক থেকে পেকে সাদা হয়ে গিয়েছে। তবে দাড়ি বা চুল কাটেনি সে।
গত বছর ২৫ অগাস্ট ২ মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় পঞ্চকুলার বিশেষ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সে। দিন কয়েক আগে রাম রহিমের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
বিয়ের ৩ মাসেই মা হচ্ছেন এই নায়িকা!
নেহা ধুপিয়া বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: বেশিদিন হয়নি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া ও অভিনেতা অঙ্গদ বেদি। চলতি বছরের ১০ মে দুজন গাঁটছড়া বেঁধেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কোনো কিছু বোঝার আগেই বিয়ে! তাই বিভিন্ন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। আর সেই গুঞ্জনটা এক সময় ছড়িয়ে পড়ে। নেহা মা হতে যাচ্ছেন, আর তাই দ্রুত বিয়ে! তবুও এসব নিয়ে কিছুতেই মুখ খোলেননি নেহা ও অঙ্গদ।
তবে গুঞ্জন যখন বিয়ের পরও বেড়ে চলছিল। তখন নেহার হয়ে মুখ খুলেছিলেন তার স্বামী অঙ্গদ বেদী। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো গঠনমূলক মতামত থাকে, দিন। কিন্তু নোংরা মতামত দেবেন, আর নেহার স্বামী হিসেবে আমি সেটা মেনে নেব, এটা তো হতে পারে না। যদি ভালো কিছু না বলতে পারেন তো বলবেন না...।’
যত যাই হোক, সেই গুঞ্জনই শেষমেশ সত্যি হল। মা হতে যাচ্ছেন নেহা। তাও আবার এই দম্পতি এবার স্বীকার করেছেন তাদের মা-বাবা হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি শেয়ার করেছেন এই জুটি। যেখানে স্পষ্ট নেহার বেবি বাম্প। ক্যাপশনে নেহা লিখেছেন, ‘নতুন শুরু...।’
তবে ছবি দেখে যে কেউ বুঝবে যে নেহার বেবি বাম্প কখনই তিন মাস বয়সী হতে পারে না, তা অবশ্যই আরো বেশি। তাই গুঞ্জন নয়, সত্যটাই বেরিয়ে এল এবার।
মহাসড়কে নিষিদ্ধ সত্ত্বেও কেন আটকানো যাচ্ছে না লেগুনা-সিএনজি?
এক্সক্লুসিভ লেগুনা-সিএনজিরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: দেশে এবারের ঈদের ছুটিতে গত পাঁচদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত রবিবার নাটোরে একটি বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। ঈদের ছুটি ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে মহাসড়কে বিভিন্ন সময় সিএনজি চালিত অটো রিকশা, লেগুনা কিংবা নসিমন-করিমন নামের ছোট বাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। সরকার মহাসড়কগুলোতে এ ধরণের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করলেও সেগুলো থেমে নেই। নানা ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে চলছে এসব বাহন। কিন্তু কেন এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচল থামানো যাচ্ছে না?
মহাসড়কে যাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে না পারে সেজন্য প্রায় তিন বছর আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এর বছর খানেক আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন, করিমন এবং ভটভটি চলতে না পারে। কিন্তু পুলিশ যখন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যায় তখন সিএনজি-চালিত অটোরিকশার চালকরা ব্যাপক বিক্ষোভে নামে। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় এসব বাহন মহাসড়কে চলছে। সাথে রয়েছে ছোট আকারের লেগুনা কিংবা কোথাও কোথাও-কোথাও ব্যাটারি চালিত হালকা অটোরিকশা।
[চট্টগ্রামে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন]
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারে পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, মহাসড়কে দ্রুত এবং ধীরগতির বাহন একসাথে চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধ্যাপক রহমান বলেন মহাসড়কে যদি বিভিন্ন গতির যানবাহন একসাথে চলে এবং সেগুলোর মধ্যে যদি গতির পার্থক্য বেশি হয়, তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, "এ ধরণের দুর্ঘটনা রোধের জন্য হাইওয়েতে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতেই হবে।"
স্থানীয় মানুষজন মনে করে এসব বাহন মহাসড়কের উপর দিয়ে চলতে না পারলে তাদের জীবন থমকে যাবে। তাছাড়া অনেক সময় বিকল্প রাস্তা না থাকায় মহাসড়কের উপর দিয়েই এসব বাহন চালাতে হয়।
রাজশাহীর বাসিন্দা রোজেটি নাজনীন বলছেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত তিন চাকার টমটম কিংবা লেগুনা এবং নসিমন-করিমনের মতো বাহনগুলো গ্রামীণ সমাজের মানুষের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এতে সময় এবং খরচ দুটোই কম লাগে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে এসব বাহন বন্ধ করা যাবে না বলে তিনি মনে করেন।
[ফিরে দেখা: রোহিঙ্গাদের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশার এক বছর]
মহাসড়কে কম গতির বাহনগুলোর চালকরা দুর্ঘটনার জন্য সবসময় দায়ী করেন বাস কিংবা ট্রাক চালকদের বেপরোয়া মনোভাবকে। অন্য দিকে বাস-ট্রাকের চালকরা পাল্টা অভিযোগ তোলেন কম গতির বাহনগুলোর বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে মহাসড়কে এসব বাহন যাতে চলতে না পারে সেজন তারা তৎপর আছে।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম দাবি করেন গত কয়েক বছরে মহাসড়কে ধীরগতির ছোট যান চলাচল ৮০ শতাংশ কমে গেছে। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে এসব যান চলাচলে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাতায়াতের সময় মহাসড়কের কিছু অংশ যখন ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট আকারের ধীরগতির বাহনগুলোর সাথে মানুষের প্রয়োজন যেমন জড়িত তেমনি কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এসব বাহনের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বাত্মক কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না। বিবিসি বাংলা।
ফিরে দেখা: রোহিঙ্গাদের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশার এক বছর
বিশ্বরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: এক বছর আগে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নিধনে অভিযান শুরু করে। জাতিগত নিধনের শিকার হয় কয়েক লাখ রেহিঙ্গা। জাতিগত নিধনের এই অভিযানে ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা এবং ১৫ হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বসতভিটা ছেড়ে সীমান্ত পাড়ি বাংলাদেশের টেকনাফে পালিয়ে আসে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়।
গত একবছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীতে চোখ রাখা যাক।
২৪ আগস্ট ২০১৭: রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠন 'আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি' (আরসা) মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে মিয়ানমার। সে হামলায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ১২ জন সদস্য নিহত হয় বলে দাবি করেছিল দেশটি। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে যে, ভোররাতে একযোগে ২০টির বেশি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। উত্তর রাখাইন অঞ্চলে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
২৫ আগস্ট ২০১৭: রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হয়। কয়েক হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে এসে আশ্রয় নেয়। তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে।
২৬ আগস্ট ২০১৭: রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে উদ্বেগ জানানো হয়। একই দিন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করায় বেশকিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবি। সে সময় হাজার-হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়ার জন্য সীমান্তের অপর পাশে অপেক্ষা করতে থাকে।
৩১ আগস্ট ২০১৭: এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭: মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি রাখাইনের পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ' হিসেবে বর্ণনা করেন। মিস লি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সমালোচনা করেন।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭: রাখাইন অঞ্চলের পরিস্থিতিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনার পর মিস সু চির দফতর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। একই দিন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি ঢাকায় আসেন। তার আগে তিনি মিয়ানমার সফর করেছেন।
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭: রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি লিখেছেন মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭: বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজারের উখিয়ায় যান।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭: জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকে জাতিসংঘ জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ায় যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক উদ্যোগের কথা কথা জানান। মানবিক বিবেচনায় সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭: মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে ঢাকায় কর্মরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা কক্সবাজার সফর করেন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির যে চেষ্টা বাংলাদেশ শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে বিদেশি কূটনীতিকদের বিশাল এই দলটিকে কক্সবাজার নিয়ে যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সকালে একটি বিশেষ বিমানে করে তাদের নেয়া হয় কক্সবাজারে।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, ভারত, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা এই সফরে শামিল হয়েছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরে সেটি সমাধানের জন্য পাঁচ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেন। শেখ হাসিনার উত্থাপিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল – রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা, মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭: জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম-এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সংকট শুরু হওয়ার ৩৪ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭: দীর্ঘ আট বছর পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের উদ্যোগে এ বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছিল। সে বৈঠকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি মিয়ানমারের সমালোচনা করেন।
৬ নভেম্বর ২০১৭: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সংকটের অবসান চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে মিয়ানমার সরকারের প্রতি রাখাইনে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতা ও জাতিগত নিধন বন্ধের জোরালো দাবি তোলা হয়েছে। এই বিবৃতিতে চীনেরও সম্মতি আদায় করা গেছে।রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে প্রথম বারের মতো কোনো বিবৃতি এল।
১৮ নভেম্বর ২০১৭: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরে আসেন। ঢাকায় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২৩ নভেম্বর ২০১৭: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। সেখানে বলা হয়েছে যে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে মিয়ানমারে ফেরত নেয়া হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে।যেদিন থেকে যাওয়া শুরু হবে, তার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ হবে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন।
৩০ নভেম্বর ২০১৭: তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। এরপর দিন অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর ঢাকার কাকরাইলে বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের প্রধান গির্জায় তিনি কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্প থেকে বাছাই করা রোহিঙ্গাদের ঢাকায় আনা হয়। সে অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি উচ্চারণ করেন। যদিও এর আগে তার মিয়ানমার সফরের সময় পোপ ফ্রান্সিস ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮: বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্যে ৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা বার্মার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে। ঢাকায় দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই তালিকা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সে তালিকা থেকে মাত্র ৩৭৪ জনকে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার।
২৯ এপ্রিল ২০১৮: রোহিঙ্গাদের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দলটি আবারো বলেছে, রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান হবে না।এ সফরের সময় রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেছেন রোহিঙ্গা সংকটের কোন জাদুকরি সমাধান নেই। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা এ দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
২ জুলাই ২০১৮: রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের জিম ইয়ং কিম একসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পর জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, " রোহিঙ্গারা বিচার চায়। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চায়।" এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের যে দুঃখ-কষ্ট তিনি দেখেছেন তাতে তার হৃদয় ভেঙে গেছে।
নিজেকে ‘আঠারো বছর’ বয়সী ভাবেন জয়া!
জয়া আহসান দেবী বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতা দুই জায়গাতেই সমান তালে কাজ করছেন। তবে সংখ্যার বিচারে কলকাতাতেই এখন ব্যস্ততা বেশি তার। বাংলাদেশে তার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘দেবী’। অনম বিশ্বাস পরিচালিত এ ছবিটি প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। প্রযোজনার পাশাপাশি ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া। এতে হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলী হিসেবে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।
জয়ার বয়স নিয়ে রয়েছে রহস্য। উকিপিডিয়ায় তার যে জন্মতারিখ দেয়া আছে, তাতে তার বয়স ৪৬ বছর। কিছু দিন আগে এ নিয়ে চললো বেশ বিতর্ক। ওই জয়া জানায় তারা বয়স ৪৬ নয়। তার বয়স কত তাও জানাননি স্পষ্ট করে। যে কারণে জয়া ভক্তদের মধ্যে রয়েছে তার বয়স নিয়ে জানার আগ্রহ। তবে, গতকাল এক টিভি চ্যানেলের আড্ডায় যা বললেন জয়া, তাতে বোঝা গেল নিজেকে সবসময় আঠারো বছর বয়সী-ই ভাবেন তিনি।
আয়োজনটির উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন নওশীন। অনুষ্ঠানটিতে দুই তারকার মিল-অমিল, ভালোলাগা-মন্দলাগা অনেক বিষয়েই কথা হয়। আলাপচারিতা হয় জয়ার দুই বাংলার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে। দেবী নিয়েও আড্ডায় মেতে উঠেন তারা।
অনুষ্ঠানটির এক পর্যায়ে দুই তারকাকেই তাদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় চঞ্চল তার বয়স অকপটে বললেও জয়া নিজের বয়স নিয়ে রহস্যই রাখেন। নানা কৌশল প্রয়োগ করেও উপস্থাপক নওশীন ব্যর্থ হয় জয়া আহসানের বয়স জানতে। একবারে শেষে এসে জয়া বলেন, ‘আমি তো মনে করি আমার বয়স সবসময় আঠারো।’
নিম্নমানের বালু: কোটি টাকার পদ্মা রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ১৫ দিন পর বিলীন
news নিম্নমানের বালু পদ্মা রক্ষা বাঁধ বিলীনসারাদেশ: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এম.পি ডাঙ্গী গ্রামে মোড়ে পাকা রাস্তা গত শুক্রবার পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। মাত্র পনের দিন আগে ওই রাস্তা রক্ষার জন্য প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্প কাজ করে ফরিদপুর পাউবো। একই সাথে পার্শ্ববতী ফাজেলার ডাঙ্গী গ্রাম ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়।
এ প্রকল্পর আওতায় সর্বমোট ২২ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। কিন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নিম্নমান বালু ব্যাবহারের ফলে প্রকল্পটি কোনো কাজে আসেনি বলে এলাকায় অভিযোগের ঝড় ওঠেছে। পদ্মা নদীর অপর পারের চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অত্যান্ত নিম্নমান বালু উত্তোলনের পর তা ট্রলার ও বলগেট মেশিন দিয়ে ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে ফেলা হয়। এসব বালু পরিমানে কম দিয়ে প্রস্তুত করা হয় জিও ব্যাগ। আর এসব প্রস্তুতকৃত জিও ব্যাগ পদ্মা পারে কম পরিমানে ডাম্পিং করে অধিক দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে নিম্নমান বালু ভর্তি জিও ব্যাগ পদ্মা নদীর খড়ো স্রোতের আঘাত প্রতিরোধ করতে না পেরে পুরো প্রকল্প ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
উপজেলার এমপি ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার শেখ মোনসুর, শেখ সালাম ও শেখ নুরুদ্দিন সহ অনেকে জানায়, মাত্র পনের দিন আগে উপজেলার মেইন সড়ক, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই পদ্মা রক্ষা কাজ চলাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমরা গ্রামবাসী বার বার মৌখিক অভিযোগ করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ফরিদপুর পাউবো’র কর্মকর্তারা আমাদের কোনো কথাই কর্ণপাত করেন নাই। ফলে এক কোটি টাকার পদ্মা রক্ষা প্রকল্পটি এলাকার কোনো কাজে আসল না।
গত শুক্রবার ভাঙন কবলিত উপজেলার প্রধান সড়কটি পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, “ ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনিয়ম করলে পার পাবে না। অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, প্রতিটি জিও ব্যাগ ১৭৫ কেজি ওজন সম্পন্ন শুকনো ও মানসম্মত বালু দিয়ে প্রস্তুত করার বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা তা অনিয়ম করে পদ্মা নদীর ভিজা কাঁদাবালু মাটি জিও ব্যাগের অর্ধেক পরিমানে ঢুকিয়ে কোনো ওজন না দিয়ে পদ্মা পারে ডাম্পিং করা হয়। এ প্রকল্পর আওতায় উপজেলা সদরে পদ্মা নদীর এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়কের পাশে পদ্মা পারে দুই দফায় মোট ১১ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ও ফাজেলখার ডাঙ্গী, বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা পারে আরও ১১ হাজার সহ সর্বমোট ২২ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এ প্রকল্পর কাজ করার জন্য প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ দেন ফরিদপুর পাউবো।
এ প্রকল্প কাজের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ফরিদপুর পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিক্তিতে পদ্মা রক্ষা প্রকল্পর কাজ করার সময় মান সম্মত বালু পাওয়া যায় না। তাই কাজটি সম্পন্ন করার স্বার্থে লোকাল বালু ব্যবহার করতে হয়েছে। আর উপজেলা পদ্মা রক্ষা প্রকল্প কাজের ঠিকাদার ও নিলয় এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মানিক মিয়া বলেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে শুকনো বালু ম্যানেজ করা সম্ভব হয় না। তাই বলগেইট মেশিনের মাধ্যমে পদ্মা থেকে বালু তুলে আনতে হয়।
মাদক দিয়ে কৃষককে ফাঁসানোর অভিযোগে এএসআই ক্লোজড
news কৃষককে ফাঁসানো মাদকনাটোর: আইয়ুব আলী নামে এক কৃষককে মাদকের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগে নাটোর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবুল কালামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। আজ রোববার তাকে ক্লোজ করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এমরান আলীর ইন্ধনে আইয়ুব আলী নামে এক কৃষককে মাদক বিক্রেতা সাজানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ওই সময় তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের এক সোর্সকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পুলিশকে গণপিটুনি ও মাদক বিক্রেতা সাজানোর চেষ্টার কথা অস্বীকার করলেও ক্লোজ করার কথা স্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। তিনি জানান, এএসআই’র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। কার কতোটুকু অপরাধ তা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী কৃষক আইয়ুব আলীর অভিযোগ, তিনি ঢাকায় কোরবানির হাটে তিনটি গরু বিক্রির দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা এনে বাড়িতে রেখেছিলেন। গত শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন এসে তার বাড়ির গেট ধাক্কাচ্ছিলেন। ঘর থেকে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পুলিশের লোক বলে জানান। একপর্যায়ে তারা বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তিনি এএসআই আবুল কালাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্সকে দেখতে পান। এ সময় তারা দাবি করেন, তার বাড়িতে ইয়াবা আছে। এ কথা বলার পরপরই স্ত্রী ও মেয়েসহ তাকে একটি ঘরে রেখে ছেলে মাসুদ রানাকে পেটাতে শুরু করেন এএসআই আবুল কালাম। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর ঢুকে আলমারি থেকে গরু বিক্রির দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন পুলিশের তিন সোর্স।
[চট্টগ্রামে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন]
এদিকে মাসুদ রানার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রতিবাদ করলে মাসুদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরইমধ্যে পুরো ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে পুলিশসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির শিকার চারজনকে উদ্ধার করেন এবং এ ঘটনায় ইউপি সদস্য এমরান আলীকে থানায় নিয়ে যান। পরে অজ্ঞাত কারণে কয়েক ঘণ্টার পরেই ছাড়া পান এমরান।
নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বিব্রত। তবে, আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় কোনো অভিযোগও করেননি। ইউপি সদস্য এমরান আলীকে থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে।
ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার জানান, তার পরিষদের সদস্য এমরানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। যেটুকু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা সোমবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এমরান আলী জানান, বিষয়টি নিছক ভুল বোঝাবুঝি। পুলিশ রাতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে ছাতনীতে এসেছিল। আইয়ুবের ছেলে মাসুদ প্রায়ই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করেন। তাকে সতর্ক করতে বলায় রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়েছিল। পুলিশ তাদের কাউকে মারপিট করেছে কি না তার জানা নেই।
ক্রিকেটার মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলা
ক্রিকেটার মোসাদ্দেক খেলাধুলা নারী নির্যাতন মামলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সামিয়া শারমিন সামিয়াস্পোর্টস ডেস্ক: একের পর এক নারী নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ শহীদের পর এবার নারী কেলেঙ্কারিতে যোগ হলো আরেক নাম। তিনি হলেন জাতীয় দলের উদীয়মান ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার বিরুদ্ধে এবার নারী নির্যাতনের মামলা করলেন স্ত্রী সামিয়া শারমিন। গত ১৫ আগস্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে এই মামলাটি করা হয়।
২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে তার আপন খালাত বোন সামিয়া শারমিন সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্বে খালাত বোন সামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে পারিবারিক পরিবেশে কন্যার নিজ বাসায় বরের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালে মোসাদ্দেক যখন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য, তখনই বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে ওই সময় বিয়ের কাবিননামায় তার বয়স লিখা হয় ২২ বছর। অস্ট্রেলিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলে এসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মোসাদ্দেক।
মামলার ১ নম্বর সাক্ষী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবির বলেন, ‘সৈকত (মোসাদ্দেক হোসেন) আমার খালাতো ভাই। পারিবারিকভাবে মেলামেশা থেকেই আমার ছোট বোন সামিয়া শারমিনের সঙ্গে পরিচয় এবং যা পরবর্তীতে বিয়েতে গড়ায় এবং আমরা বিষয়টা মেনেও নেই। ছয় বছর আগেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর ভালো কাটলেও যখনই মোসাদ্দেক সৈকত জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তার নৈতিক স্থলন ঘটতে শুরু করে।’
মোজাম্মেল অভিযোগ করে বলেন, ‘সে (মোসাদ্দেক) ঘরে বসে বন্ধুদের নিয়ে মদপান করতে শুরু করে। অন্য নারীতে আকৃষ্ট হওয়া, তথা নানা অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হতে থাকে। আমার বোন তাকে ওইসব অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের কথা বলতেই সে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। তা থেকেই শুরু হয় বিবাদ ও দূরত্ব। আমরা বুঝতে পারি তারকা খ্যাতি, নাম-ডাক ও অর্থ তাকে বদলে দিয়েছে।’
সৈকতের স্ত্রী বিষয়টা জাতীয় দলের ম্যানেজার সুজনকে জানিয়েছেন বলেও জানান মোজাম্মেল। তিনি বলেন, ‘দিনকে দিন সৈকতের আচরণে অতিষ্ঠ আমার ছোট বোন বিষয়টি জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে জানান। সুজন সাহেব তার কথা শুনে আশ্বস্ত করে বলেন, ঠিক আছে মোসাদ্দেক সৈকত ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরে আসুক তারপর কথা বলে একটা আপোষ রফা করে দেবেন। সেই অনুযায়ী ১৫ আগস্ট সুজন সাহেবের সঙ্গে আমার বোন ও সৈকতের দেখা করার কথা ছিল।’
এরপরের ঘটনা সম্পর্কে মোজাম্মেল বলেন, ‘এদিকে সৈকত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবার আগে আমি ছোট বোন সামিয়া শারমিনকে আমার বাসায় এনে রাখি। সৈকত সুজন সাহেবের সঙ্গে বসার কথা বলে গত ১৪ আগস্ট আমার বোনকে তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর তার বাসায় নিয়ে বোনের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের পাশাপাশি হুমকিও দেয়। সৈকতের নির্মম নির্যাতন ও হুমকিতে আজ আমার ছোট বোন তার বিপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করতে বাধ্য হয়েছে।’
মোসাদ্দেক সৈকতের স্ত্রী সামিয়া শারমিনের স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবির আরও জানান, ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক নম্বর আদালতে আজই মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন
news চট্টগ্রামে অজ্ঞাত শিশুর মৃত্যু হাসপাতালসারাদেশ: চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সোনাই-ত্রিপুরা পাড়ায় হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২১ শিশুকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, হাটহাজারীর এক নম্বর ফরহাদাবাদ এলাকার সোনাই-ত্রিপুরা পাড়া থেকে মঙ্গলবার থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত ২১ শিশুর জ¦র ও শরীরে ছোট ছোট দাগ নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও বাকি ১৮ জন সুস্থ আছে। তবে যে চার শিশু মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে তারা সবাই বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেছে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসকরা জানতে পারেনি আসলে কী রোগে আক্রান্ত তারা। ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানোর জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মৃত্যু হওয়া একই পরিবারের তিনজন হলো, অন্ন রায় (০৫), সুমা রায় (০৩) ও অন্ন বালা (০৭)। তারা এক নম্বর ফরহাদাবাদ দক্ষিণ উদারীয়া এলাকার শাম কুমার চাকমার মেয়ে।
ওদের বড় ভাই বিমল ত্রিপুরা বলেন, ১৭ আগস্ট হঠাৎ করে আমার ওই তিন বোনের গায়ে জ্বর উঠে। কয়েকদিন পর পুরো শরীরে কালো কালো দাগও পড়ে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অন্ন রায়। পরে চিকিৎসকরা বেঁচে নেই বলে জানান। পরে শুক্রবার মারা যায় সোমা রায়। সর্বশেষ আজ রোববার সকাল ৮টায় মারা যায় অন্ন বালা। আরেকজন শিমুনী ত্রিপুরা (০৩) একই এলাকার রমেশ চাকমার মেয়ে। মঙ্গলবার মারা যায় শিশুটি।
স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সোনাই ত্রিপুরা পাড়ায় আজ রোববার সকালে এক শিশু মারা যাওয়ার খবর জানতে পারি। পরে আমরা গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। ওই পরিবারের আরও ২ শিশু একই কারণে মারা গেছে। পরে জানতে পারি অন্য পরিবারের আরেকজন শিশুও মারা যায়। এ পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে মোট ২১ শিশুকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, এখনো রোগ চিহিৃত করা যায়নি। তবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই রোগ সম্পর্কে জানা যাবে।
মেয়রের তদারকি ও নগরবাসীর স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে রসিকের বর্জ্য অপসারণ
রংপুররংপুর এক্সপ্রেস: ঈদুল আযহার প্রথম দিন দুপুর ১১ টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। সিটি মেয়রের তদারকি ও নগরবাসী সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ২৪ ঘন্টার আগেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ ও রক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করেছে সংশ্লিষ্টরা। দুর্গন্ধ ও বর্জ্যমুক্ত ঈদের সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়ায় সিটি মেয়রসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতি খুশি রংপুর মহানগরবাসী। রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোন গড়িমসি না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করছেন সিটির বাসিন্দারা। এবার ঈদে ৫০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করেছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ঈদের দিন গত বুধবার দুপুর ২ টায় সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মাহনগরীর শাপলা চত্ত্বরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব জাহিদ হোসেন লুসিড, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান শাহিনুর রহমান শাহিন, সিও এম এ মজিদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পশু কোরবানির তিন ঘন্টা পার না হতেই সকাল ১১টার পর থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঠেলাভ্যান, পিকআপভ্যান ও গাড়ি নিয়ে বর্জ্য সংগ্রহে বেড়িয়ে পড়ে। মেয়র নিজেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে এই কার্যক্রম তদারকি করেন। বর্জ্য পরিস্কার প্রসঙ্গে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া চামড়াপট্টি এলাকার আমজাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান শরীফ জানান, এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য ও রক্ত সাথে সাথেই পরিস্কার করে দিয়েছে সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ফলে কোন দুর্গন্ধ হয়নি। অন্যান্য বছরগুলোতে এতো দ্রæত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিস্কার করা হয়নি।
নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের দেওডোবা ডাঙ্গিরপাড়া এলাকার হারুন-অর-রশিদ জানান, এবার আমরা পশু কোরবানি করার আগেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বাসা এসেছিলো। পরে পশু জবেহ করার সাথে সাথেই তারা ভিনাইল ও বিøচিং পাউডার ছিটিয়ে বর্জ্য পরিস্কার করে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এমন কার্যক্রমে আমরা খুবই খুশি।
[caption id="attachment_1584" align="aligncenter" width="800"] ঈদের দিন দুপুরে সিটি মেয়র রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্ত্বরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন[/caption]
ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা গেছে, এবার কোরবানির পশু জবেহ করার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে ৩৩টি ওয়ার্ডের ১১৭টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সঠিক নিয়ম মেনে উত্তম পদ্ধতিতে পশু জবেহ করেন ১১৭ জন মৌলভী। এছাড়াও ১১৭ জন কসাই গরু ও ছাগলের গোশত প্রক্রিয়াজাত করেন। নির্ধারিত স্থান ছাড়াও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় মৌলভী দিয়ে পশু জবাই ও কসাই দিয়ে গোশত প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কোরবানি হওয়ার এসব পশুর বর্জ্য, রক্ত ও মলমূত্র দ্রæত সময়ের মধ্যেই রসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অপসারণ করে সেখানে দুর্গন্ধনাশক পাউজার ছিটিয়ে দেন।
এদিকে এবার ঈদে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও রক্ত পরিস্কারের জন্য ৫ জন ইন্সপেক্টও ও ৪০ জন সুপারভাইজারের নেতৃত্বে ৫০৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নির্দিস্ট স্থানসহ যেসব বাসাবাড়িতে পশু জবেহ হয়েছে সেখানে গিয়ে স্ট্যান্ডবাই থাকেন। তারা ভিনাইল স্প্রে ও বিøচিং পাউডার ছিটিয়ে সাথে সাথেই স্থানটি পরিস্কার করে দেন। ট্রলি ভ্যান দিয়ে পশুর বর্জ্য বড় ট্রাকের কাছে নিয়ে আসা হয়। লিকুইড বর্জ্যরে জন্য বেলচা ব্যবহার করা হয়। ফলে এছাড়াও বর্জ্য ও রক্ত পরিবহনের জন্য ৪০ টি স্থানে ৪০ টি ট্রাক স্ট্যান্ডবাই ছিল। ভ্রাম্যমান ২ টি পানির গাড়ি সড়কের ওপর কোরবানির রক্ত পরিস্কারের জন্য চলাফেরা করেছে। এসব বিষয় মনিটরিং করেন মেয়রসহ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা। একারণে এবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও রক্ত পরিস্কার করা সম্ভব হয়েছে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, আমরা মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে সারাক্ষণ চেষ্টা করেছি ২৪ ঘন্টার আগেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য পরিস্কার করার জন্য। নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতায় আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছিলাম। মেয়র স্যার নিজেই নামাজের পর থেকে নগরীর পুরো বর্জ্য পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেকারণেই কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। কোন ঝামেলা ছাড়াই দ্রæত সময়েই বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, ঈদের দিন দুপুর থেকেই ৪০টি পিকাপভ্যান, ২ টি পানি গাড়িসহ তিন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ৩৩টি ওয়ার্ডকে ৪ টি জোনে বিভক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। যেখানে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ছিল সেখানেই আমাদের গাড়ি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পৌঁছে গেছে।
মেয়র বলেন, ঈদের নামাজের পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আমরা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও রক্ত পরিস্কার করতে পেরেছি। পরের দিন বৃহস্পতিবার যারা কোরবানি দিয়েছেন। সেগুলোকেও একই নিয়মে পরিস্কার করা হয়েছে। এবার ৫০ মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করে নগরীর নাচনিয়া ও শরেয়ারতল এলাকায় ডাম্পিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এই কার্যক্রমে নগরবাসীর স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জানান।
ওবায়দুল কাদের: ২০১৪ আর ২০১৮ সালকে এক ভাবলে ভুল হবে
newsরংপুর এক্সপ্রেস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের কথা বলে বিএনপি যদি ২০১৮ সালকে ২০১৪ সালের মতো মনে করে, তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করবে। এ ছাড়া এবার যদি সন্ত্রাস ও সহিংসতা হয়, তাহলে দেশের মানুষই প্রতিরোধ করবে, যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুরের বাসস্ট্যান্ডে ইন্টার সেকশেসনের আলোকবাতি উদ্বোধন করতে গিয়ে সেতুমন্ত্রী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এবার ঈদে দুর্ঘটনা কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। তাই দুর্ঘটনা কমানোর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও মানুষের মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[দিনাজপুরের কয়লা গায়েবে মন্ত্রী-উপদেষ্টারাও জড়িত -আনু মুহাম্মদ]
মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গতকাল তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নরসিংদী, নাটোর ও ফেনীতে যে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অটোরিকশা, লেগুনা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহনের কারণেই হয়েছে। দু’টি গাড়ির রেষারেষি থেকে দুর্ঘটনা ঘটে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল কিংবা ছোট যানবাহনের সঙ্গে বড় গাড়ির ধাক্কা লাগলেই আরোহীরা মারা যায়। মহাসড়কে ছোট যান নিষিদ্ধ করা হলেও ঈদের সময় তারা বাড়তি সুবিধা নেয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু পার্লামেন্টে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, তাই তাদের আসারও কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন চলাকালীন এ সরকারই থাকবে, তবে আকারে একটু ছোট হবে। গতবার বিএনপিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অফার করা হয়েছিল। তারা সেটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। এখন তাদের নতুন করে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো সুযোগ নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা-১৯ আসনে সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিবসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স¤প্রতি এক কোটি টাকা ব্যয়ে ৬শ মিটারের মধ্যে ৬০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করায় সন্ধ্যার পর সাভারের হেমায়েতপুরে আলোকিত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এলাকার লোকজন এখানকার নান্দনিক দৃশ্য অবলোকন করে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করছে।
হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ‘রাখি বন্ধন’ উৎসব পালিত
উত্তরাঞ্চল দিনাজপুর বিজিবি-বিএসএফ রাখি বন্ধন রাখি বন্ধন উৎসব হিলি সীমান্তহাকিমপুর, দিনাজপুর: “রাখি বন্ধন” ভারতের একটি জাতীয় উৎসব। আর এই উৎসবকে ঘীরে হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ দুই বাহিনীর মধ্যে সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ভাতৃত্ব বোধ বজায় রাখতে ভারত বিএসএফ’র উদ্যোগে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়েছে।
হিলি সীমান্তে শুন্য অঙ্গিনায় দুই বাহিনীর মাঝে রাখি বন্ধন উৎসবটি যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়। ভারত হিলির বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওই অনুষ্ঠানে বিজিবি ও বিএসএফকে রাখি পরিয়ে দেয়। সীমান্তে দায়ীত্ব পালন করতে সহায়ক ভুমিকা রাখার জন্য একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে ও হাতে রাখি বেঁধে ভাইবোনের সম্পর্ক স্থাপন করাই সীমান্ত বাহিনীদের মধ্যে এই উৎসবের লক্ষ্য।
[ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবস আজ, ১২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ৬ দফা চুক্তি (ওই সময়ের কিছু ছবিসহ)]
আজ রবিবার বেলা ১১ টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫/১১ পিলারের পাশে চেকপোষ্ট শুন্যরেখায় অনুষ্ঠিত হলো রাখি বন্ধন উৎসব। ভারত হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডেন্ট জামিল শাহ এর নেতৃত্বে বিএসএফ এর নারী সদস্যসহ একটি দল চেকপোষ্ট শুন্যরেখায় উপস্থিত হয়।
এ সময় বিএসএফ নারী সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি বেঁধে দিয়ে উভয়ের মধ্যে মঙ্গল ও সম্প্রীতি কামনায় বিজিবি সদস্যদের মিষ্টি খাইয়ে দেন। অন্যদিকে বিজিবি হিলি চেকপোষ্ট কোম্পানি কমান্ডার আ. মালেক নেতৃত্বে নারী বিজিবি সদস্যরাও ভারতের বিএসএফ সদস্যদের হাতে রাখি বেঁধে, মিষ্টি খাইয়ে উৎসবে সামিল হন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ধারালো অস্ত্রসহ আটক ৪
অস্ত্রসহ আটক নীলফামারীসৈয়দপুর, নীলফামারী: সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ ৪ যাত্রীকে আটক করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রোববার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে লাউঞ্জে পুলিশ আটক যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী করলে দুইটি ধারালো চাকু, পুলিশের ব্যবহৃত বেটন, মাদক বিক্রির বিভিন্ন হিসেবের কাগজ ও ৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। ওই যাত্রীরা নভোএয়ারের একটি উড়োজাহাজে কক্সবাজার থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসে।
[দিনাজপুরের কয়লা গায়েবে মন্ত্রী-উপদেষ্টারাও জড়িত -আনু মুহাম্মদ ]
আটক যাত্রীরা হলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুরের খোদ্দ বোতলাগাড়ীর আব্দুল মোন্নাফের পুত্র মাহামুদ জামান রকি (২৫), দিনাজপুরের হাকিমপুরের নন্দীপুর ডাঙ্গাপাড়ার মৃত আব্দুল কাফির পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলমগীর (২৬), রংপুর সদরের কামাল কাছনার সিগারেট কোম্পানীর মৃত তহিজ উদ্দিনের পুত্র খলিলুর রহমান (৩০) ও দিনাজপুরের পার্বতীপুরের দেবকুন্ডার এনামুল হকের পুত্র মাহাবুব রহমান (২৬)।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা এ প্রতিবেদককে জানান, আটক যাত্রীরা মাদক ব্যবসা, মোটর সাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নাটোরে ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, আসামি সাতজন
নাটোর সড়ক দুর্ঘটনানাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউসুফ আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
[৮ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫]
মামলায় দুর্ঘটনাকবলিত লেগুনার মালিক, চালক, সহকারী, লেগুনা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাসের চালক ও মালিককে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, গতকাল রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ।
[নাটোরে নিয়ন্ত্রণহীন বাসের ধাক্কায় লেগুনার ১৫ যাত্রী নিহত]
এ ছাড়া দুপুরে বনপাড়া পৌর গেট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক সভা করেছে বনপাড়া পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন। এ সময় সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন খাতের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে নাটোরের লালপুর উপজেলা কদিমচিলান এলাকায় বাস-লেগুনার সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ১৫ জন নিহত হন। নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় একটি লাশ রয়েছে বনপাড়া হাইওয়ে থানায়।