মাদক দিয়ে কৃষককে ফাঁসানোর অভিযোগে এএসআই ক্লোজড

admin August 26, 2018

নাটোর: আইয়ুব আলী নামে এক কৃষককে মাদকের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগে নাটোর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবুল কালামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। আজ রোববার তাকে ক্লোজ করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এমরান আলীর ইন্ধনে আইয়ুব আলী নামে এক কৃষককে মাদক বিক্রেতা সাজানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ওই সময় তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের এক সোর্সকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পুলিশকে গণপিটুনি ও মাদক বিক্রেতা সাজানোর চেষ্টার কথা অস্বীকার করলেও ক্লোজ করার কথা স্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। তিনি জানান, এএসআই’র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। কার কতোটুকু অপরাধ তা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী কৃষক আইয়ুব আলীর অভিযোগ, তিনি ঢাকায় কোরবানির হাটে তিনটি গরু বিক্রির দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা এনে বাড়িতে রেখেছিলেন। গত শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন এসে তার বাড়ির গেট ধাক্কাচ্ছিলেন। ঘর থেকে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পুলিশের লোক বলে জানান। একপর্যায়ে তারা বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তিনি এএসআই আবুল কালাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্সকে দেখতে পান। এ সময় তারা দাবি করেন, তার বাড়িতে ইয়াবা আছে। এ কথা বলার পরপরই স্ত্রী ও মেয়েসহ তাকে একটি ঘরে রেখে ছেলে মাসুদ রানাকে পেটাতে শুরু করেন এএসআই আবুল কালাম। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর ঢুকে আলমারি থেকে গরু বিক্রির দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন পুলিশের তিন সোর্স।



[চট্টগ্রামে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন]

এদিকে মাসুদ রানার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রতিবাদ করলে মাসুদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরইমধ্যে পুরো ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে পুলিশসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির শিকার চারজনকে উদ্ধার করেন এবং এ ঘটনায় ইউপি সদস্য এমরান আলীকে থানায় নিয়ে যান। পরে অজ্ঞাত কারণে কয়েক ঘণ্টার পরেই ছাড়া পান এমরান।
নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বিব্রত। তবে, আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় কোনো অভিযোগও করেননি। ইউপি সদস্য এমরান আলীকে থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে।
ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার জানান, তার পরিষদের সদস্য এমরানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। যেটুকু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা সোমবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এমরান আলী জানান, বিষয়টি নিছক ভুল বোঝাবুঝি। পুলিশ রাতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে ছাতনীতে এসেছিল। আইয়ুবের ছেলে মাসুদ প্রায়ই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করেন। তাকে সতর্ক করতে বলায় রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়েছিল। পুলিশ তাদের কাউকে মারপিট করেছে কি না তার জানা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three