পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

admin September 01, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গত রাত ১২ টার কিছু পরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে রাইচমিল এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরবার সাউদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচ গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। কোচটি রাত সোয়া ১২টার দিকে রাইচমিল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নৈশকোচের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে শিশুসহ ছয়জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় কোচটির পেছনের অংশ সড়কের পাশে বিদ্যুতের তারে হেলে যায়। তখন পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।


খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। বাস ও ট্রাক্টরের চালক এবং তাদের সহকারীরা পলাতক।


পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাসের যাত্রী সালমা বেগম জানান, বাসে সাঘাটা, সদর ও সাদুল্যাপুরের যাত্রীরা ছিল। বাসের অধিকাংশ যাত্রীই শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। বৃষ্টির সময় চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই জোরে শব্দের পর বাস উল্টে যায়। এরপর আর কিছুই জানেন না তিনি।



গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে। আহতদের মধ্যে চারজনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজ সন্তানদের হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

নিজ সন্তানদের হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

admin September 01, 2018

সারাদেশ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নিজের দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিনগত রাত ৯ টার দিকে মাধবপুর উপজেলায় ধর্মঘর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী নিজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ওই নারীর নাম হাদিছা বেগম (২৫)। তার শিশু সন্তানরা হল- ৭ মাস বয়সী সন্তান মোজাহিদ ও মীমকে (২)।


স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের বাসিন্দা ধর্মঘর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাদিছা বেগম (২৫) নিজের ৭ মাস বয়সী সন্তান মোজাহিদ ও মীমকে (২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তিনি নিজেও ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। সন্তানদের কোপানোর সময় তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তারা ডাকাডাকি করলে ঘর থেকে কোনো সারা মেলেনি। এক পর্যায়ে ঘরে কোনো শব্দ শুনতে না পেয়ে তারা মাধবপুর থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, মা দুই সন্তানকে প্রথমে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু কি কারণে ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ইউএনওর উদ্যোগে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখির আবাসন নির্মাণ

ইউএনওর উদ্যোগে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখির আবাসন নির্মাণ

admin September 01, 2018

দিনাজপুর: প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিরাপদে থাকবে, আবাসন ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ায় বংশ বিস্তার হবে, পাখিদের কলরবে মুখরিত হবে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের সুবিশাল শালবন। এমন প্রত্যাশা থেকে নবাবগঞ্জের জাতীয় উদ্যানের শালবনের বিভিন্ন অংশে গাছের মধ্যে মাটির পাতিল ঝুলিয়ে দিয়ে পাখিদের আবাসন তৈরী করে দিলেন প্রকৃতি প্রেমী নবাবগঞ্জের ইউএনও মো. মশিউর রহমান। পাশপাশি জাতীয় উদ্যানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের লক্ষ্যে স্কাউটদের সাথে নিয়ে জাতীয় উদ্যানের ঐতিহ্যবাহী আশুড়ার বিলের পাড়ে প্রকৃতি প্রেমীদের আকৃষ্ট করতে কাঞ্চন, অর্জুন, জারুল, শিমুল সোনালু, কদম, জাম গাছের চারা রোপণ করেন।


nawabganj-UNO (2)

গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সামাজিক বন বিভাগের দিনাজপুর জেলার সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম, নবাবগঞ্জ বিট কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেফাউল আজম, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ -এর এজিএম মো. আইয়ুব আলী সহ স্থানীয় গণ্যমাধ্যম কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান জানান- নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখিদের অভয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৫ হাজার পাখির আবাসন তৈরী করা হবে।


এছাড়া পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আশুড়ার বিলের পাড়ে সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছের চারা লাগানো, বিলের পানিতে শাপলা ও পদ্ম ফুলের গাছ সৃজনের মাধ্যমে আশুড়ার বিলের পুর্বের সৌন্দর্য ফিরে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও উপজেলাবাসীর জাতীয় উদ্যানের প্রতি প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে। ইউ,এন,ও‘র প্রকৃতির প্রতি এমন ভালবাসা ও মহতী উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে আ.লীগের দুর্গ দিনাজপুরের ৪ উপজেলা

শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে আ.লীগের দুর্গ দিনাজপুরের ৪ উপজেলা

admin September 01, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুর -৬ আসন নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত। ৪ টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ২৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন-১১ দিনাজপুর-৬। ওসব এলাকা একসময় বিএনপি-জামায়াতের দুর্গ হিসেবে বিবেচিত ছিল। কিন্ত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর সুযোগ‍্য সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক এমপি'র যোগ্য নেতৃত্ব বলে আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে।


শিবলী সাদিক এমপি ১৯৮২ সালের ২৮ শে আগস্ট নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের ইসলাম পুর মৌজার আফতাবগঞ্জ বাজারের সম্ভ্রান্ত মুসলিম আফতাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে আফতাবগঞ্জের চান্দের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া শুরু হয় তার। এরপর আফতাবগঞ্জ বিইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার জন্য ভর্তি হন। বিএনপি জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপির ছেলে হওয়ায় কলেজে পড়াশুনা অবস্থায় তার নামে ১৮ টি মামলা হলে থমকে যায় তার পড়াশোনা। পরে আফতাবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ হতে এইচএসসি এবং ২০১০ সালে বিএসএস পাস করেন শিবলী সাদিক।



প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু ১৯৯৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একাধারে আওয়ামী লীগ দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । পিতার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে পা রাখেন শিবলী সাদিক। ২০০৩ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ২০১২ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।


এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। শিবলী সাদিক এমপির যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দিনাজপুর-৬ আসনে বদলে গেছে আওয়ামী লীগ। ফলে তার নেতৃত্বে একদিকে এলাকার উন্নয়ন ও অপরদিকে আওয়ামীলীগ হয়েছে শক্তিশালী। তার সময়েই দিনাজপুর ৬ আসনের নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, উপজেলা বাসিকে আলোকিত করে ইতিহাস রচনা করেছেন, যা ইতি পূর্বে কোনো এমপি এতো পরিমাণ বিদ্যুৎ দিতে পারেননি, রাস্তা ব্রিজ কালভার্ট রেকর্ড পরিমাণ নির্মাণ করেছেন। অনেক স্কুল কলেজ এর নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন ভুবনের বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া নিতি ৪ উপজেলায় ৪ টি সরকারি কলেজ এবং নবাবগঞ্জ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করতে ব্যাপক সহায়তা করেছেন। সাংগঠনি দিক তিনি তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যয়নের ইতািহাস রচনা করেছেন। দিনাজপুর ৬ আসনের ৩ টি পৌরসভার ২টি পৌর মেয়র আওয়ামী লীগকে উপহার দিয়েছেন। ইউনিয়ন নির্বাচনে ২৩ টি ইউনিয়ানের মধ্য ১৬ টি ইউপি চেয়ারমান আওয়ামী লীগ পরিবারকে উপহার দিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে তার নেতৃত্বেই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাংস্কৃতিমনা একজন ব্যক্তি। কলেজ জীবনে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।


নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আরিফুর জামান জনি জানান- শিবলী সাদিক এমপির কঠোর পরিশ্রম ও আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ও তাদের মতামত গ্রহণ করে কাজ করছেন। এছাড়াও দেশব্যাপি চলমান মাদক নির্মূল অভিযান সফল করতে এলাকার ও পাড়ায় মহল্লায় তার উদ্যোগে প্রচারিত জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এসব এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও মোটামুটি ভাল। শিবলী সাদিক এমপি’র দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে শিবলী সাদিক এমপি'র যোগ্য নেতৃত্বে এ আসনে নৌকার বিজয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে -রমেশ চন্দ্র সেন

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে -রমেশ চন্দ্র সেন

admin September 01, 2018

ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঠাকুরগাঁওসহ সারা বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি-জামায়াতের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’ তাই দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার আহ্বান জানান তিনি।


শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচন সেন্টার কমিটি গঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে। এবার আর তেমন সুযোগ নেই। গতবারের মত যদি এবার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুনরায় দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তা মেনে নিব না। শক্তভাবে তাদেরকে দমন করা হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এবার সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবে। এই সুন্দর পরিবেশ যদি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে জনগণ এবার তার উচিৎ জবাব দেবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এই উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নাই। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াফু তপু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবে।

যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: যশোর রোডের ভারতীয় অংশে ৩৫৬টি অতি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা সংলগ্ন বারাসাত থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চেকপোস্ট পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচলে গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার পাঁচটি উড়ালপুল বা ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেজন্যই তারা গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অতি প্রাচীন ঐ গাছগুলি কেটে ফেলতে শুরু করেছিল।


স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা আদালত থেকে গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন, যা এতদিন বলবত ছিল। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে ৩৫৬টি গাছ কেটে ফেলা যেতে পারে। তবে প্রতিটি গাছের পরিবর্তে আইন অনুযায়ী পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগাতে হবে। যে পরিবেশকর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, তাঁরা শুক্রবারের রায়ের পরে বলছেন, "আমরা হতাশ, এতগুলো হেরিটেজ গাছ কেটে ফেলা হবে।"


অন্যতম মামলাকারী মানস দাস বলছিলেন, "এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আশা করি সেখানে আমরা সঠিক বিচার পাব। কিন্তু যে কারণে আমরা হতাশ এই রায়ে, তা হল, কোর্ট অফিসাররা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেগুলোকে কোনও মান্যতাই দেওয়া হল না? তারা তো সরকারের দেখানো রিপ্ল্যান্টেশনের ব্যবস্থাতে সন্তুষ্ট হন নি। ঐতিহ্যশালী গাছের বিষয়টাকেও মান্যতা দেওয়া হল না।"


এ নিয়ে ২০১৭ সালে যখন মামলা দায়ের হয়, তখন আদালত গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করে দুজন কোর্ট অফিসার নিয়োগ করেছিল, যারা সরেজমিনে দু'দিন ধরে সরকারের দেওয়া রি-প্ল্যান্টেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু প্রতিটি কেটে ফেলা গাছের বদলে যে পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, তার জায়গাই দেখাতে পারে নি সরকার, এমনটাই আদালতকে আগে জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। অন্যদিকে যশোর রোড সম্প্রসারণের দাবীও অনেকদিনের। স্থল সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুগম করতে রাস্তা চওড়া করাও দরকার।


পরিবেশকর্মীরা মামলায় এটাও বলেছিলেন যে পেট্রাপোল সীমান্ত চৌকি থেকে দু'কিলোমিটার রাস্তা যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে - পুরনো রাস্তার ধারে প্রাচীন গাছগুলিকে অক্ষত রেখে তার অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে - সেই ভাবেই যশোর রোডের বাকি অংশের সম্প্রসারণ হতে পারে।


বনগাঁর বাসিন্দা অজয় মজুমদার বিবিসিকে বলছিলেন, "আমরা কখনই রাস্তা চওড়া করার বিরোধী নই। আমরা শুধু বলেছিলাম গাছগুলোকে না কেটে পাশ দিয়ে রাস্তা হোক। বাঁধানো রাস্তা তো মিটার পাঁচেক, কিন্তু তার পাশে আরও প্রায় কুড়ি মিটার মতো জমি রয়েছে। যেভাবে সীমান্তের কাছে ভারতের দিকে শেষ দু কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে - মাঝখানে গাছও আছে, আর পাশে রাস্তাও হয়েছে - সেভাবেই পরিকল্পনা করা যায়।"




[caption id="" align="aligncenter" width="624"] আকাশ থেকে গাছে ঢাকা-যশোর রেডের ভারতীয় অংশের ছবি[/caption]

যদিও পুরো রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনার বদলে প্রথমে যশোর রোডের ওপরে পাঁচটি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্যই এই ৩৫৬টি গাছ কাটতে হবে। আজ শুক্রবারের রায়ের পরে আরেক পরিবেশকর্মী অমিতাভ আইচ বলছিলেন, "রায় হতাশাজনক তো বটেই, যদিও পুরো রায়ের কপি এখনও হাতে পাই নি। তবে শুনছি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে। কিন্তু আমার আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই রাতারাতি এই প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গাছগুলো কেটে না ফেলা হয়। এগুলো তো আইন অনুযায়ীই হেরিটেজ গাছে তকমা পাওয়ার কথা।"


মি. আইচ আরও বলছিলেন, "একটা বিকল্প হতে পারত যে টানেল বোরিং মেশিন বসিয়ে ফ্লাইওভারের বদলে ভূতল টানেল তৈরি। প্রাথমিক খরচ হয়তো বেশী, কিন্তু দীর্ঘকালের জন্য মেনটেনান্স খরচ বেশ কম। আবার পরিবেশও বাঁচানো যেত এর মাধ্যমে।" পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, যশোর রোড শুধু একটা রাস্তা নয় - এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য।



[বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী]

"আগে যখন আমরা পেট্রাপোল সীমান্ত অবধি যেতাম, গোটা রাস্তার ওপরে তাঁবুর মতো হয়ে থাকত গাছগুলো। আসলে গাছের তো ভোটাধিকার নেই, তাই ওগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই চায় না যে ভোট দেয় যারা - সেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষতি করতে। অথচ রাস্তা চওড়া করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করাই যেত। যশোর রোড তো নিছক কোনও রাস্তা নয় - এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য। সেটা রক্ষা করতে পারলে পৃথিবীর কাছে একটা উদাহরণ হয়ে উঠত," বলছিলেন সুভাষ দত্ত।


দমদম বিমানবন্দরের পরে বারাসাত শহর ছাড়িয়ে কিছুটা এগোলেই যশোর রোডের ওপরে ছাতার মতো বিছিয়ে থাকে কয়েক হাজার প্রাচীন গাছের পাতা - ডালপালা। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পর থেকে একসময়ে গোটা রাস্তাতেই গাছের ছায়া থাকত। কিন্তু নগরায়ণের জন্য আগেই কেটে ফেলা হয়েছে অনেক গাছ। তবুও পেট্রাপোল স্থল বন্দর অবধি এখনও যে চার হাজার ৩৬টি গাছ রয়েছে, সেগুলিকে মহীরুহ বলাটাই শ্রেয়।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষের দিকে এই যশোর রোড দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই কবি অ্যালেন গিনসবার্গ লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া কবিতা, 'সেপ্টেম্বর অন জেসোর রোড'। যুদ্ধের সময়ে এই রাস্তা দিয়ে যেমন মুক্তিযোদ্ধারা বা ভারতীয় বাহিনী যাতায়াত করতেন, তেমনই লক্ষ লক্ষ শরণার্থী ভারতে চলে আসার পরে এই রাস্তার দু'পাশেই আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে। বিবিসি

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

admin August 31, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আটক করেছে। পৌরসভার বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়। আহত সাজু মিয়াকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাজু মিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মীরগঞ্জ-থানাপাড়া) কাউন্সির ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি উপজেলা সদরের থানাপাড়ার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সাজু মিয়ার চাচা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেছেন।


সাজুর পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সাজু মিয়াকে ফোন করে তাদের থানাপাড়া বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কয়েকজন যুবক অতর্কিত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।


ওসি জানান, তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা সদর ও মীরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে। জনশূন্য হয়ে পরে উপজেলা সদর। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ মোতায়েত করা হয়।


ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সাজুর চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি দেখিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজার দাবি, তাদের সংগঠনের দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় জড়িত নয়, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত।

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় পারিবারিক কলহের ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছে।


আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা গ্রামে খড়ের পালা ও জমির সীমানায় বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের বড়ছেলে শামিম (৩৫) ও ছোটছেলে শাহিন(২৮)এর দ্বন্দ বাধে। এক পর্যায় ছোটভাই শাহিন বড়ভাই শামিম কে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই বড়ভাই শামিমের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শামিমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বড়ভাইকে খুনের অপরাধে ছোটভাই শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়।


ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শামিমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বটতলী এলাকা থেকে এক ট্রাক্টর ভিজিএফের চাল আটক করা হয়েছে। এ সময় ট্রাক্টর চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশ।


জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে ওই এলাকার চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়ন তার বাড়ি থেকে একটি ট্রাক্টরে করে প্রায় শতাধিক বস্তা ভিজিএফের চাল নীলফামারী নিয়ে আসার পথে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। নীলফামারী থানার এস আই হানিফ ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রাক্টর সহ চাল থানায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করে এবং ট্রাক্টর চালক বিকাশ ও হেলাপার হামিদকে আটক করেন। চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়নকে আটক করা না হলেও তাকে থানা চত্বরে ঘেরাঘুরি করতে দেখা গেছে।


ময়নুল ইসলাম নয়ন জানান, এই চালগুলো তার কেনা। একটি মাদ্রাসায় বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান পবিত্র ঈদুল আজহার আগে প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। আটককৃত চাল গুলো গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বলে তারা জানান।


নীলফামারী সদর থানার এসআই হানিফ জানান, ভিজিএফের চাল সন্দেহে আটক করা হয়েছে। চাল মালিকদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

admin August 31, 2018

নওগাঁ: একেকটি খিলি পান বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। একই স্থানে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ খিলি পানের ব্যবসা করছেন নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটির মোড়ে সুপরিচিত মূর্খ বীর মুক্তি যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলামের সন্তান পান বিক্রেতা কাজী আজিজুল ইসলাম। এতে একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্য দিকে পান বিক্রি করে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতি মাসে এখান থেকেই ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তার। আজিজুলের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি হরেক রকম জর্দ্দা ও মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পান তৈরি করেন। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে রেল ঘুমটির কাজী আজিজুলের দোকানে।
বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন কাজী আজিজুল। নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের সকলের পরিচিত মূর্খ কাজী আজিজুল। শুধু আত্রাই নয় বিভিন্ন এলাকার মানুষরা সখের বসে পান খেথে আসেন রেল ঘুমটির মোড়ের এ দোকানে। আজিজুল প্রতিটি মিষ্টি পানের মূল্য ৫টাকা থেকে ২০টাকা পর্যন্ত নেন। মিষ্টি পান ক্রেতা আত্রাই সদরের সাহেবগঞ্জ এলাকার সরদার কালাম বলেন, আমি সাধারণত পান খাই না।তবে যখন কোনো প্রয়োজনে এদিকে আসি তখন আজিজুলের এ মিষ্টি পান খেতে আমি ভ’ল করি না। ৫টাকা করে দুই টা পান কিনেছি খাওয়ার জন্য।
অপর ক্রেতা স্থানীয় বাব মিঞা জানান, এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে শুক্রবার দুপুরে রেল ঘুমটি মোড় এলাকা যখন প্রায় জনশূন্য তখনও দেখা যায় আজিজুলের পানের দোকানে অনেক ভিড়। পুরোদমে চলছে তার দোকান পান বিক্রি।
পান বিক্রি করে স্বালম্বী হওয়া আজিজুলের সঙ্গে উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ১০বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাহিরে অন্য কিছু করি না। আগে বাবা বীর মু্িক্ত যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলাম দোকানটি চালাতেন। এখন আমি চালাই। প্রতিমাসে এখান থেকেই ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এ দিয়ে খুব ভালো ভাবে আমার সংসার চলে। পান বিক্রি করে কিছু অর্থ সম্পদও কিনেছি। আমার কোনো াভাব নেই। অন্যান্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমি।

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

admin August 31, 2018

ময়মনসিংহে আবারও এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আগের মতোই তাকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অনেকে দাঁড়িয়ে তা দেখলেও শিশুটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি কেউ।


রংপুর এক্সপ্রেস: সিলেটে শিশু রাজন হত্যার ঘটনা এখনো দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। তাকেও চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় আসামিদের আটক এবং শাস্তির আওতায় আনা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। অপরাধজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর বাংলাদেশে দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মধ্যে একটি অংশ শিশু-কিশোর। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চোর অপবাদ দিয়ে এই পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকে প্রাভাবশালীরা।


ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে রিয়াদ নামে ১৪ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। উপজেলার উথুরী ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উথুরা ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের আশরাফুলের মনোহারী দোকানের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টার অপবাদ দিয়ে প্রথমে রিয়াদকে আটক করা হয়। তারপর বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল, কামরুল, রশিদ ও তার সহযোগীরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অনেকে সেখানে থাকলেও কেউ তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার মৃত্যু নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।



[ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি]

শিশুটির বাবার নাম সাইদুর রহমান। তিনি সৌদি প্রবাসী। তাঁর দু'টি বোন আছে। মা বাকপ্রতিবন্ধী। এলাকায় তাঁদের আর কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই বলে ডয়চে ভেলেকে জানান গফরগাঁও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন। তিনি বলেন, ‘‘আমি সকাল আটটার দিকে খবর পাই। খবর পেয়েই গ্রাম পুলিশ পাঠাই। কিন্তু সে গিয়ে দেখে রিয়াদ মারা গেছে।''


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সেখানে অনেকে থাকলেও কেউ রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। আর আমাকেও যদি আরো আগে খবর দেয়া হতো তাহলে আমি গিয়ে হয়তো রক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু কেন যথাসময়ে খবর দিলো না সেটা আমারও প্রশ্ন।''


স্থানীয় সাংবাদিক আতাউর রহমান জুয়েল জানান, ‘‘শিশুটি মারা যায় আটটার দিকে। ঘটনা শুরু হয় সকাল ৬ টার দিকে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্মমভাবে পিটানো হয়। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন, তারা গাছের সঙ্গে বাঁধার পরপরই থানায় খবর দিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ আসে সকাল ১০টার দিকে। শিশুটিকে হত্যার দুই ঘণ্টা পরে। কিন্তু গফরগাঁও থানা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। ঘটনাস্থল সদর ইউনিয়নে। পুলিশ সময়মতো এলে হয়তো শিশুটিকে প্রাণ দিতে হতো না।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার সময় সেখানে আরো ২০-২৫ জন লোক ছিল। তারা এগিয়ে গেলে তাদের হুমকি দেয়া হয়। যারা শিশুটিকে হত্যা করেছে, তারা এলাকায় প্রভাবশালী।''


এই ঘটনায় আশরাফুল, কামরুল, রশিদসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ খান ঘটনার দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকাল ৮টার দিকে খবর পাই, এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলে যেতে একটু দেরি হয়েছে, কারণ, ফোর্স অন্য ডিউটিতে ছিল। তাদের প্রস্তুত করতে এই দেরি হয়েছে। ঘটনার পর হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।''



[‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’]

থানা সূত্র জানায়, চুরির অপবাদ দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলেও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এদিকে বাংলাদেশে শিশু হত্যার এই প্রবণতা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘‘দু-একটি ঘটনার বিচার হলেও অধিকাংশ ঘটনায় বিচার হয় না। তাই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যারা এই সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা সমাজের প্রভাবশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতেও সাহস পায় না।


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাক্ষী সুরক্ষা আইন নেই। ফলে কেউ সাক্ষী দিলে তাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কেউ কোনো অপরাধ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেই অনেক সময় আসামি হতে হয়।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ বা মানবিকতা নেই, তা নয়। মানুষ বর্তমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তার প্রকাশ ঘটাতে পারে না। কারণ, বিচারহীনতায় সে ভীত এবং নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। কোনো ভালো কাজ বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে এখানে বিপদে পড়তে হয়।''


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন এমন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে একটি অংশ শিশু।'' তাঁর মতে, ‘‘এর দু'টি দিক আছে। প্রথমত, মানুষ বিচার না পেয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আর এই বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে আরেকটি গ্রুপ তাদের স্বার্থে শিশুদের হত্যা করছে, নানা ধরনের অপরাধ করছে।''


তিনি বলেনন, ‘‘আমাদের সমাজ শিশুবান্ধব নয়। যতই বলি না কেন গফরগাঁওয়ে যথন শিশুটিকে হত্যা করা হয়, দীর্ঘ সময় গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়, তখন সেখানে আরো অনেকে ছিলেন। তারা কোনো-না-কোনোভাবে শিশুটিকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে পারতেন। তাদের সে উদ্যোগ না নেয়া আমাদের সমাজের নির্মম নিষ্ঠুরতারই প্রকাশ।'' ডয়চে ভেলে

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বাকশালী বিবেকই সিইসি নিজের মধ্যে প্রোথিত করেছেন। এটা প্রমাণিত হলো যে, সব দিক থেকে বিরোধিতার পরও সিইসিসহ কয়েকজন কমিশনারের একতরফা ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত, আগামী নির্বাচন জালিয়াতি করারই চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যান।


আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ভিন্নমত থাকার পরও ইভিএম ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সুস্পষ্ট হলো, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। তিনি স্বাধীন বিবেক দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত নন।


বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি গোপন কোড জানা থাকলেই ইভিএমের গণনাপদ্ধতি সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলা যায়। ভোটারবিহীন আওয়ামী জোটের সরকার জনগণের টাকায় জালিয়াতি করার মেশিন কিনে জালিয়াতির নির্বাচন করতে চায়। তবে এবার জনগণ সরকারের সব মাস্টারপ্ল্যান ডাস্টবিনে ফেলে দেবে। ভোট নিয়ে অনাচারের পুনরাবৃত্তি জনগণ রুখে দেবে।


প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভোটের জন্য নয়, জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন, শুধু জনকল্যাণের জায়গায় সংশোধনী হবে আওয়ামী কল্যাণ। ভোটের জন্য যে রাজনীতি করেন না, তাও স্পষ্ট। কারণ, জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনেই তার ভোটারদের প্রয়োজন হয়নি।


সংবাদ সম্মেলন বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেয়া কর্মসূচি আবারও তুলে ধরেন রিজভী। তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের সিনিয়র নেতারা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় জনসভা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এসব কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান রিজভী আহমেদ।

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেই বিএনপি ইভিএম চায় না, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম দরকার। ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেট সিটি কর্পারেশন নির্বাচনে বিএনপি দু’টি ইভিএম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই তারা নানা অভিযোগ করছে।


ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কমিশন সভা বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে সবার মতামত এক হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচনও থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।


তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন করেছে। একটা দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ফাঁদ তৈরি করেছিল। সেটা তো সংবিধানের দোষ নয়। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটা তাদের দোষ নয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপি সরে গেলে কার কি করার আছে?


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েও বেশি দরকার নিরপেক্ষ ইলেকশন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের দরকার নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হবে কি না? নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভয় কোথায়? জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই, তারাই নানা অজুহাত খোঁজে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর বিএনপি নির্বাচিত হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা গাজির বাজারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ সরাসরি ভোট দিক আর ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেই দিক; যে কোনটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ ইভিএম মেশিনের প্রতি নির্ভরশীল নয়, জনগণের আস্থা আর ভোটের ওপর নির্ভরশীল।

বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী

admin August 31, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকারকারী বিশ্বনেতাদেরকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী তিউলিপা সাইলেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিডনি সফরের সময় দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। কয়েক দিন পরই নাউরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। ওই সম্মেলনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোয়ি ইন্সটিটিউটে বক্তব্য দেন তিউলিপা। সেসময় অস্ট্রেলিয়াকে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে দেশটির প্রতিশ্রæতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি সকল দুর্যোগের জন্য ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে দাযী করেন তিনি। তিউলিপা বলেন, ‘এসব দেশের নেতাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করেন জলবায়ু পরিবর্তন বলে কিছু নেই, আমি মনে করি তাদেরকে পাগলা গারদে পাঠাতে হবে। আক্ষরিক অর্থে তারা নির্বোধ। জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকারকারী যেকোনও নেতার ক্ষেত্রেই আমি একই কথাই বলব।’ জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-যাপন, নিরাপত্তা ও কল্যাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করেন তিউলিপা।

ডব্লিউটিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের

ডব্লিউটিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের

admin August 31, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সংস্থাটির আচরণের পরিবর্তন না ঘটলে ওয়াশিংটন সেখান থেকে সরে দাঁড়াবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ হুমকি দেন। ট্রাম্প মনে করেন, ডব্লিউটিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অন্যায্য আচরণ’ করছে। ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “যদি তারা সংস্কার না করে তবে আমি ডব্লিউটিও থেকে সরে যাব।”


বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়মকানুন নির্ধারণ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে ডব্লিউটিও গঠন করা হয়। ট্রাম্পের দাবি, সংস্থাটি প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে যে চুক্তির ভিত্তিতে ডব্লিউটিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা ‘এখন পর্যন্ত হওয়া বাণিজ্য চুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট’। এর আগে বছরের শুরুর দিকে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি সবার সুবিধার জন্য ডব্লিউটিও গঠন করা হয়েছে। আমরা সেখানে সব মামলায় হেরে যাই, আমরা ডব্লিউটিওতে যেসব বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গেছি তার প্রায় সবগুলোতে হেরে গেছি।” যদিও পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বাদী হয়ে ডব্লিটিওতে যতগুলো মামলা করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশতে জিতেছে। অন্য দিকে যতগুলো মামলায় বিবাদী ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই হেরেছে বলে জানায় বিবিসি। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষার’ বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ডব্লিউটিও মুক্ত বাণিজ্য নীতির বিষয়গুলো দেখভাল করে।


সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিও’র বিরোধ নিষ্পত্তি বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগ আটকে দিয়েছে। যে কারণে সংস্থাটির বিচার করার ক্ষমতা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ডবিøউটিও তে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটথিজারও একই অভিযোগ করে বলেন, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বাণিজ্য বিরোধে ‘উচিত জবাব’ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে; বিশেষ করে চীনের সঙ্গে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য বিরোধ বিশ্ববাজারকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র হাজার হাজার চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপ করেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্কারোপ করে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপ ‘পরিষ্কারভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিও নীতি লঙ্ঘন। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দফা শুল্কারোপের পর চীন ডবিøউটিওতে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছে।

মদ্রিচ রিয়ালেই সুখী

মদ্রিচ রিয়ালেই সুখী

admin August 31, 2018

খেলা ডেস্ক: ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে যাবার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ জানিয়েছেন, সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে থাকতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন মদ্রিচ। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন দল বদলের শেষ সময়ে তার ইন্টারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন চলছে।
তবে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক মদ্রিচ বলছেন, আর কোনো ক্লাবেই রিয়ালের মতো সুখী হবেন না তিনি। সাবেক ক্লাব সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবে আছি। আমি এখানে থাকতে চাই।”
“এখানে থাকতে পেরে আমি শুধু খুশি না, দারুণ খুশি। গত ছয় বছরের মতো ভালো কিছু করতে আমি কাজ চালিয়ে যেতে চাই।”
রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তোলায় বড় অবদান রেখে জিতেছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। চলতি বছরকে তাই ক্যারিয়ারের সেরা সময় মানছেন ৩২ বছর বয়সী মদ্রিচ।
“যতটা বেশি অর্জন করা সম্ভব আমি তার জন্য কাজ করছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি এখানে আছি। দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর। তাই আমি সত্যি উপভোগ করছি। আমাদের কাজ করাটা চালিয়ে যেতেই হবে।”

কোহলি আরও এক রেকর্ডে নাম লেখালেন

কোহলি আরও এক রেকর্ডে নাম লেখালেন

admin August 31, 2018

খেলা ডেস্ক: একের পর এক কীর্তি গড়েই চলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে ব্যাটিং করতে নেমে আরও এক নতুন রেকর্ড গড়েছেন টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।
ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৬০০০ রানের মালফলকে পৌঁছানোর কীর্তিতে দ্বিতীয় স্থানটি এখন বিরাট কোহলির। তার আগের নামটি ব্যাটিং কিংবদন্তী সুনিল গাভাস্কারের। কোহলিকে জায়গা করে দিতে রেকর্ড বইয়ের তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন আরেক ব্যাটিং জিনিয়াস বীরেন্দ্র শেবাগ।
৭০ টেস্টের ১১৯ ইনিংসেই ছয় হাজার রানের মাইলফলক পার হয়েছেন কোহলি। শীর্ষে থাকা সুনিল গাভাস্কারের সমান রান করতে ৬৫ টেস্টের ১১৭ ইনিংস লেগেছিল। তৃতীয় স্থানে আছেন শেবাগ (৭২ টেস্ট, ১২৩ ইনিংস), চতুর্থ স্থানে আরেক নিজেন্ড রাহুল দ্রাবিড় (৭৩ টেস্ট, ১২৫ ইনিংস), চতুর্থ স্থানে আছেন শচীন (৭৬ টেস্ট, ১২০ ইনিংস)। শচীনের অবশ্য সবচেয়ে কম বয়সে (২৬ বছর) ছয় হাজার রানের রেকর্ড গড়ার রেকর্ডটি অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলার পর কোহলির রান ছিল ১১৮ ইনিংসে ৫৪.৪৯ গড়ে ৫ হাজার ৯৯৪। চতুর্থ টেস্টে ব্যাটিংয়ে নেমে সাউদাম্পটনের রোজ বুলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে রানের খাতা খোলেন কোহলি। ইনিংসের ২২তম ওভারে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের করা ওভারের ৫ম বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার নিজের নাম নিশ্চিত করেন এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।
সবমিলিয়ে টেস্টে দ্রুততম ছয় হাজার রানের রেকর্ডের মালিক অজি ক্রিকেট কিংবদন্তী স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। মাত্র ৬৮ ইনিংসেই মাইলফলকে পৌঁছে যান তিনি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান স্যার গরফিল্ড সোবার্স ও সাময়িক নিষিদ্ধ সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ছয় হাজার রান করতে দু’জনেরই সমান ১১১ ইনিংস লেগেছিল।
কোহলি এখন নিজের আলাদা ইতিহাস গড়ায় ব্যস্ত। বিরুদ্ধ ইংলিশ কন্ডিশনেও প্রথম ও তৃতীয় টেস্টে গড়ে ২০০ রান করার পাশাপাশি দুই টেস্টেই সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ রান সংগ্রহ করেছেন কোহলি। সিরিজের এখনও চার ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ আছে কোহলির সামনে। ফলে রাহুল দ্রাবিড়ের গড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে এক টেস্ট সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০২ রানের রেকর্ড ভাঙার দারুণ সুযোগ আছে তার সামনে।
কোহলির সামনে সুযোগ আছে আরও এক রেকর্ড গড়ার। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডে রাহুল দ্রাবিড়ের নামের পাশে জায়গা করে নেওয়ার কিংবা তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০০২ ও ২০১১ সালের এই দু’বার এই কীর্তি গড়েছিলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
ইংল্যান্ডের মাটিতে চার সেঞ্চুরির কীর্তিও আছে ইংলিশ ব্যাটসম্যান হার্ব সুটক্লিফ (১৯২৯), ডেনিস কম্পটন (১৯৪৭), অতুলনীয় ডন ব্র্যাডম্যানের (১৯৩০)। এই কীর্তিতেও ভাগ বসানোর সুযোগ থাকছে কোহলির সামনে।

দুই নায়ক নিয়ে অধরা

দুই নায়ক নিয়ে অধরা

admin August 31, 2018

বিনোদন ডেস্ক: এবারের ঈদের আগে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ‘ড্রিমগার্ল’ নামে একটি ছবির ঘোষণা দেয়া হয়। সেখানে জানানো হয় এ ছবিতে ‘ড্রিমগার্ল’ এর চরিত্রে অভিনয় করবেন অধরা খান এবং ছবিটি পরিচালনা করবেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ইস্পাহানি এ ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ছবির নাম প্রাথমিকভাবে ‘ড্রিমগার্ল’ রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তনও হতে পারে। এ ছবিতে বাপ্পি, সাইমন ও অধরা খানকে নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এই তিনজনকে নিয়ে ডিসেম্বরের শুরুতে ছবিটির শুটিং শুরু করবো।
দারুণ একটি গল্পের ছবি হতে যাচ্ছে এটি। আশা করি, দর্শকরা এটি পছন্দ করবেন। একই পরিচালকের ‘নায়ক’ নামে একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন অধরা খান। এ ছবিতে তার নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। এবার একই পরিচালকের নতুন ছবিতে বাপ্পির সঙ্গে সাইমন সাদিকও যোগ দেবেন। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেয়া হবে।
ইস্পাহানি আরিফ জাহানের নতুন এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পর্দায় একসঙ্গে সাইমন ও বাপ্পির অভিনয় দর্শকরা দেখতে পাবেন। উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী বর্তমানে বেশকিছু ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর অন্যদিকে সাইমন সাদিক অভিনীত ‘জান্নাত’ ছবিটি এবারের ঈদে মুক্তি পায়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three