‘কি... ভূগোল বোঝান আমাদের?’, রিজভীকে ছাত্রদল নেতারা!

‘কি... ভূগোল বোঝান আমাদের?’, রিজভীকে ছাত্রদল নেতারা!

admin September 03, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: গতকাল ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী প্রায় ৩০ জনের মতো কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তারা আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্রদলের নতুন কমিটি না দিলে বর্তমান নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন হবে বলে রিজভীকে আল্টিমেটাম দেন।


নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রিজভী তাদের বলেন, ‘এখন দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলনের সময়। এ মুহূর্তে কমিটি দিলে বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে।’ জবাবে উপস্থিত ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘আমরা লিখিত দেবো, এই মুহূর্তে কোনো বিদ্রোহ করবো না। আমরা শতভাগ দায়িত্ব নিয়েই বলছি, বিদ্রোহ করবো না।’


এরপরও বিভিন্নভাবে ছাত্রদল নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন রিজভী। এক পর্যায়ে কয়েকজন ক্ষুব্ধ নেতা রিজভীকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন, ‘কি... (প্রকাশের অযোগ্য) ভূগোল বোঝান আমাদের? কিছুদিন আগেই তো সারাদেশে জেলা ও ইউনিট কমিটি হলো। তখন তো কোনো ঝামেলা হলো না। এখন ছাত্রদলের সেন্ট্রাল কমিটি করলে কি সমস্যা হবে আপনাদের? আপনি ভাইয়ের (তারেক রহমান) সঙ্গে কথা বলেন।’


এ সময় বেশ রূঢ়ভাবেই ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘আপনি ভাইকে (তারেক রহমান) বলেন, পদপ্রত্যাশীরা কমিটির দাবিতে আমার (রিজভী) সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। যা হয় হোক, আমরা দ্রুত কমিটির একটা সমাধান চাই।’


দুপুরে কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর কাছে মৌখিকভাবে এই সময়সীমা বেঁধে দেন। জানা গিয়েছে, এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় অফিসে ছিলেন। ছাত্রদল নেতারা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মহাসচিবের কক্ষে গিয়ে তার সাথে দেখা করবেন, -এমন খবর পাওয়ার পর দ্রুত দলীয় কার্যালয় থেকে সটকে পরেন মির্জা ফখরুল।


ছাত্রদল নেতারা দলীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের অফিসে গিয়ে অবস্থান করেন। সেখানে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কমিটি ঘোষণার দাবিতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে বলে জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, আব্দুল ওহাব, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নুরুল হুদা বাবু, আবুল হাসান, শামছুল আলম রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিম, আজিজুল হক পাটোয়ারী, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ, সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. শামীম ইকবাল খান, সদস্য মোমিনুর রহমান প্রমুখ।


এর আগে গত শনিবার বিএন‌পির ৪০তম প্র‌তিষ্ঠাবা‌র্ষিকীর জনসভায় নতুন ক‌মি‌টি ঘোষণার দা‌বি‌তে নিজ সংগঠ‌নের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী‌দের রোষের মু‌খে প‌ড়েছিলেন ছাত্রদ‌লের বর্তমান সভাপ‌তি রা‌জিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। তারা বক্তব্য দি‌তে ম‌ঞ্চে উঠ‌লে এ ঘটনা ঘ‌টে। এসময় নতুন ক‌মি‌টির দা‌বি‌তে অন্তত ৩০-৩৫ জন ছাত্রদল নেতা তখন ম‌ঞ্চে উ‌ঠে সংগঠ‌নের সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদক‌কে বক্তব্য দি‌তে বাধা প্রদান ক‌রেন। সে সময় তা‌দের ম‌ধ্যে কথা কাটাকা‌টি হয়।


একপর্যায়ে পদপ্রত্যাশী ছাত্রদল নেতা‌রা সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদকের উ‌দ্দেশে স‌ম্মি‌লিতভা‌বে বলতে থাকেন, ‘সংগঠ‌নের মেয়াদ অ‌নেক আ‌গেই শেষ হ‌য়ে গে‌ছে। তাই ছাত্রদ‌লের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন কোনো নেতৃত্ব নাই, ক‌মি‌টি নাই।’


প্রসঙ্গত, গত বছরই ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিএনপির এ ছাত্র সংগঠনের সিনিয়র শতাধিক নেতা। ফলে ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজমান আছে। জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়েছিলো, যা এখনও বলবৎ আছে।

ডোমারে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নিহত ১, মামলা দায়ের

ডোমারে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নিহত ১, মামলা দায়ের

admin September 03, 2018

নীলফামারী: নীলফামারী জেলার ডোমারে কবিরাজের দেওয়া যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নাজিমুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অপর তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রোববার (২ সেপ্টেম্বর) লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মৃত নাজিমুল ইসলাম হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।


স্থানীয়রা জানান, ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ধরনীগঞ্জ হাটের চা বিক্রেতা কবিরাজ সাইফুল ইসলাম শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে কয়েক জনের কাছে ওষুধ বিক্রি করে।


জানা গেছে, শেওটগাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজিমুল ইসলাম (২২), নরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়ন্ত রায় (৩০), হরিহরা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) এবং আব্দুল মান্নানের ছেলে সামসুল হক (২৫) কবিরাজ সাইফুলের ওষুধ সেবন করে। গাছ-গাছরার যৌন উত্তেজক ওষুধ খাওয়ার ঘন্টা খানেক পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।


এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দ্রুত ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদেরকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে নাজিমুল ইসলামের মৃত্যু হয়। অপর তিন জনের মধ্যে জয়ন্ত কুমার রায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মিজানুর রহমান ও সামসুল হক দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


এ ঘটনায় রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মৃত নাজিমুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

সিওবাজারে দুই বাসের সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু

সিওবাজারে দুই বাসের সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু

admin September 02, 2018

রংপুর: রংপুর মহানগরীর রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সিওবাজার এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন; এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ জন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নুর বানু (৪৪), সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অমিজন নেছা (৪৬), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তালুকবর্মণ এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী রোখসানা বেগম (২৪), পঞ্চগড়ের শাহিন মিয়া (১২), পঞ্চড়ের তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী সুমি আখতার (২৪) এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষ। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, বগুড়া থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাগামী বিআরটিসি একটি বাসের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরগামী একটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাস দুটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং বিআরটিসি বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।


পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষ ও তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী সুমি আখতারের মৃত্যু হয় বলে জানান সাইফুর। তিনি বলেন, দুটি বাসের চালক ও সহকারীরা পলাতক নাকি তারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তা এখনও জানা যায়নি। তাদের সন্ধান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।


রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা পৌনে ৩টায় আহত সুমি আখতারের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় প্রচণ্ড জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজন বলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শফিকুল জানিয়েছেন।


রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মুক্তারুল আলম জানান, সুমি আখতার পঞ্চড়ের তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে বিআরটিসি বাসে করে স্বামীর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ডিসেম্বর

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ডিসেম্বর

admin September 02, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: আগামী ২৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছে সরকার দলীয় একটি সূত্র। তবে সম্ভাব্য এ তারিখের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। সূত্র খবর, আগামী ২৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।


তবে কিছুদনি আগে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি। নির্দিষ্ট দিনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অন্য কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন-সংক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে।


ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে জন্য ৪০ হাজার ৬৫৭টি ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা করেছে ইসি। এর মধ্যে সম্ভাব্য ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৪ হাজার ৪৫৩ টি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর আসন অনুসারে ভোটকেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই কার্যক্রম শুরু করেছে। এমনকি তাদের প্রার্থী বাচাইও প্রায় চূড়ান্ত। নেতারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তবে এ বিষয়ে বাইরে তারা কিছু প্রকাশ করছেন না।


আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিশন আগামী ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার কথাবার্তার মধ্যদিয়েও জানা গেছে, ২৭ ডিসেম্বরই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ।


এদিকে বিরোধীদল জাতীয় পার্টিও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদও স্বীকার করেছেন যে তিনি ৩০০ আসন এবং ১০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রেখেছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে মহাজোটে এবং না এলে বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।


তবে দেশের আরেক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কিছুই বলছে না। তারা এখন পর্যন্ত বলছে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোটখাট দলগুলোও জোট করে মাঠে নামার জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে।

টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, আটক ১

টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, আটক ১

admin September 01, 2018

টাঙ্গাইল: এক বছরের মাথায় টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে ধারণা পুলিশের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, টাঙ্গাইল থেকে বাসে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় এলাকায় যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ‘ধর্ষণের’ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির চালকের সহকারী নাজমুলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকালে আদালতে হাজির করা হলে হেলপার নাজমুলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হলপার নাজমুল, চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষুকে আসামি করা হয়েছে।


এর আগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত বছর চলন্ত বাসে সিরাজগঞ্জের এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ শেষে হত্যা এবং তারও এক বছর আগে মধুপুরে চলন্ত বাসে আরেক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। রাতে যাত্রী কম থাকায় পথে ওই মেয়েটি (২৫) ছাড়া সবাই তাদের গন্তব্যে নেমে যায়। এ সুযোগে একা পেয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।


ওসি বলেন, মহাসড়কে টহলরত পুলিশ মেয়েটির চিৎকার শুনে বাসটিকে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হাতেনাতে হেলপারকে ধরতে সক্ষম হয়। চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষু পালিয়ে যায়। তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। মেয়েটি তার নাম আর বাড়ি কুষ্টিয়া ছাড়া কিছু বলতে পারছে না। তাই তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে ধারণা করছে পুলিশ।


টাঙ্গাইলের কালিহাতি সার্কেলের জৈষ্ঠ্য পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির বলেন, অপর দুইজনকে আটকে রাতভর অভিযান চলবে।


গত বছরের ২৫ অগাস্ট রাতে বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাস চালক ও হেলপারের হাতে ধর্ষণের পর খুন হন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জাকিয়া সুলতানা রুপা। ওই রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানা পুলিশ ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে বাস চালক ও দুই সহকারী বাসের মধ্যে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

admin September 01, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গত রাত ১২ টার কিছু পরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে রাইচমিল এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরবার সাউদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচ গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। কোচটি রাত সোয়া ১২টার দিকে রাইচমিল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নৈশকোচের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে শিশুসহ ছয়জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় কোচটির পেছনের অংশ সড়কের পাশে বিদ্যুতের তারে হেলে যায়। তখন পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।


খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। বাস ও ট্রাক্টরের চালক এবং তাদের সহকারীরা পলাতক।


পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাসের যাত্রী সালমা বেগম জানান, বাসে সাঘাটা, সদর ও সাদুল্যাপুরের যাত্রীরা ছিল। বাসের অধিকাংশ যাত্রীই শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। বৃষ্টির সময় চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই জোরে শব্দের পর বাস উল্টে যায়। এরপর আর কিছুই জানেন না তিনি।



গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে। আহতদের মধ্যে চারজনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজ সন্তানদের হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

নিজ সন্তানদের হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

admin September 01, 2018

সারাদেশ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নিজের দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিনগত রাত ৯ টার দিকে মাধবপুর উপজেলায় ধর্মঘর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী নিজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ওই নারীর নাম হাদিছা বেগম (২৫)। তার শিশু সন্তানরা হল- ৭ মাস বয়সী সন্তান মোজাহিদ ও মীমকে (২)।


স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের বাসিন্দা ধর্মঘর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাদিছা বেগম (২৫) নিজের ৭ মাস বয়সী সন্তান মোজাহিদ ও মীমকে (২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তিনি নিজেও ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। সন্তানদের কোপানোর সময় তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তারা ডাকাডাকি করলে ঘর থেকে কোনো সারা মেলেনি। এক পর্যায়ে ঘরে কোনো শব্দ শুনতে না পেয়ে তারা মাধবপুর থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, মা দুই সন্তানকে প্রথমে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু কি কারণে ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ইউএনওর উদ্যোগে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখির আবাসন নির্মাণ

ইউএনওর উদ্যোগে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখির আবাসন নির্মাণ

admin September 01, 2018

দিনাজপুর: প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিরাপদে থাকবে, আবাসন ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ায় বংশ বিস্তার হবে, পাখিদের কলরবে মুখরিত হবে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের সুবিশাল শালবন। এমন প্রত্যাশা থেকে নবাবগঞ্জের জাতীয় উদ্যানের শালবনের বিভিন্ন অংশে গাছের মধ্যে মাটির পাতিল ঝুলিয়ে দিয়ে পাখিদের আবাসন তৈরী করে দিলেন প্রকৃতি প্রেমী নবাবগঞ্জের ইউএনও মো. মশিউর রহমান। পাশপাশি জাতীয় উদ্যানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের লক্ষ্যে স্কাউটদের সাথে নিয়ে জাতীয় উদ্যানের ঐতিহ্যবাহী আশুড়ার বিলের পাড়ে প্রকৃতি প্রেমীদের আকৃষ্ট করতে কাঞ্চন, অর্জুন, জারুল, শিমুল সোনালু, কদম, জাম গাছের চারা রোপণ করেন।


nawabganj-UNO (2)

গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সামাজিক বন বিভাগের দিনাজপুর জেলার সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম, নবাবগঞ্জ বিট কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেফাউল আজম, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ -এর এজিএম মো. আইয়ুব আলী সহ স্থানীয় গণ্যমাধ্যম কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান জানান- নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পাখিদের অভয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৫ হাজার পাখির আবাসন তৈরী করা হবে।


এছাড়া পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আশুড়ার বিলের পাড়ে সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছের চারা লাগানো, বিলের পানিতে শাপলা ও পদ্ম ফুলের গাছ সৃজনের মাধ্যমে আশুড়ার বিলের পুর্বের সৌন্দর্য ফিরে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও উপজেলাবাসীর জাতীয় উদ্যানের প্রতি প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে। ইউ,এন,ও‘র প্রকৃতির প্রতি এমন ভালবাসা ও মহতী উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে আ.লীগের দুর্গ দিনাজপুরের ৪ উপজেলা

শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে আ.লীগের দুর্গ দিনাজপুরের ৪ উপজেলা

admin September 01, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুর -৬ আসন নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত। ৪ টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ২৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন-১১ দিনাজপুর-৬। ওসব এলাকা একসময় বিএনপি-জামায়াতের দুর্গ হিসেবে বিবেচিত ছিল। কিন্ত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর সুযোগ‍্য সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক এমপি'র যোগ্য নেতৃত্ব বলে আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে।


শিবলী সাদিক এমপি ১৯৮২ সালের ২৮ শে আগস্ট নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের ইসলাম পুর মৌজার আফতাবগঞ্জ বাজারের সম্ভ্রান্ত মুসলিম আফতাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে আফতাবগঞ্জের চান্দের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া শুরু হয় তার। এরপর আফতাবগঞ্জ বিইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার জন্য ভর্তি হন। বিএনপি জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপির ছেলে হওয়ায় কলেজে পড়াশুনা অবস্থায় তার নামে ১৮ টি মামলা হলে থমকে যায় তার পড়াশোনা। পরে আফতাবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ হতে এইচএসসি এবং ২০১০ সালে বিএসএস পাস করেন শিবলী সাদিক।



প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু ১৯৯৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একাধারে আওয়ামী লীগ দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । পিতার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে পা রাখেন শিবলী সাদিক। ২০০৩ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ২০১২ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।


এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। শিবলী সাদিক এমপির যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দিনাজপুর-৬ আসনে বদলে গেছে আওয়ামী লীগ। ফলে তার নেতৃত্বে একদিকে এলাকার উন্নয়ন ও অপরদিকে আওয়ামীলীগ হয়েছে শক্তিশালী। তার সময়েই দিনাজপুর ৬ আসনের নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, উপজেলা বাসিকে আলোকিত করে ইতিহাস রচনা করেছেন, যা ইতি পূর্বে কোনো এমপি এতো পরিমাণ বিদ্যুৎ দিতে পারেননি, রাস্তা ব্রিজ কালভার্ট রেকর্ড পরিমাণ নির্মাণ করেছেন। অনেক স্কুল কলেজ এর নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন ভুবনের বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া নিতি ৪ উপজেলায় ৪ টি সরকারি কলেজ এবং নবাবগঞ্জ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করতে ব্যাপক সহায়তা করেছেন। সাংগঠনি দিক তিনি তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যয়নের ইতািহাস রচনা করেছেন। দিনাজপুর ৬ আসনের ৩ টি পৌরসভার ২টি পৌর মেয়র আওয়ামী লীগকে উপহার দিয়েছেন। ইউনিয়ন নির্বাচনে ২৩ টি ইউনিয়ানের মধ্য ১৬ টি ইউপি চেয়ারমান আওয়ামী লীগ পরিবারকে উপহার দিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে তার নেতৃত্বেই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাংস্কৃতিমনা একজন ব্যক্তি। কলেজ জীবনে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।


নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আরিফুর জামান জনি জানান- শিবলী সাদিক এমপির কঠোর পরিশ্রম ও আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ও তাদের মতামত গ্রহণ করে কাজ করছেন। এছাড়াও দেশব্যাপি চলমান মাদক নির্মূল অভিযান সফল করতে এলাকার ও পাড়ায় মহল্লায় তার উদ্যোগে প্রচারিত জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এসব এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও মোটামুটি ভাল। শিবলী সাদিক এমপি’র দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে শিবলী সাদিক এমপি'র যোগ্য নেতৃত্বে এ আসনে নৌকার বিজয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে -রমেশ চন্দ্র সেন

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে -রমেশ চন্দ্র সেন

admin September 01, 2018

ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঠাকুরগাঁওসহ সারা বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি-জামায়াতের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’ তাই দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার আহ্বান জানান তিনি।


শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচন সেন্টার কমিটি গঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে। এবার আর তেমন সুযোগ নেই। গতবারের মত যদি এবার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুনরায় দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তা মেনে নিব না। শক্তভাবে তাদেরকে দমন করা হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এবার সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবে। এই সুন্দর পরিবেশ যদি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে জনগণ এবার তার উচিৎ জবাব দেবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এই উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নাই। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াফু তপু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবে।

যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: যশোর রোডের ভারতীয় অংশে ৩৫৬টি অতি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা সংলগ্ন বারাসাত থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চেকপোস্ট পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচলে গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার পাঁচটি উড়ালপুল বা ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেজন্যই তারা গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অতি প্রাচীন ঐ গাছগুলি কেটে ফেলতে শুরু করেছিল।


স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা আদালত থেকে গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন, যা এতদিন বলবত ছিল। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে ৩৫৬টি গাছ কেটে ফেলা যেতে পারে। তবে প্রতিটি গাছের পরিবর্তে আইন অনুযায়ী পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগাতে হবে। যে পরিবেশকর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, তাঁরা শুক্রবারের রায়ের পরে বলছেন, "আমরা হতাশ, এতগুলো হেরিটেজ গাছ কেটে ফেলা হবে।"


অন্যতম মামলাকারী মানস দাস বলছিলেন, "এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আশা করি সেখানে আমরা সঠিক বিচার পাব। কিন্তু যে কারণে আমরা হতাশ এই রায়ে, তা হল, কোর্ট অফিসাররা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেগুলোকে কোনও মান্যতাই দেওয়া হল না? তারা তো সরকারের দেখানো রিপ্ল্যান্টেশনের ব্যবস্থাতে সন্তুষ্ট হন নি। ঐতিহ্যশালী গাছের বিষয়টাকেও মান্যতা দেওয়া হল না।"


এ নিয়ে ২০১৭ সালে যখন মামলা দায়ের হয়, তখন আদালত গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করে দুজন কোর্ট অফিসার নিয়োগ করেছিল, যারা সরেজমিনে দু'দিন ধরে সরকারের দেওয়া রি-প্ল্যান্টেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু প্রতিটি কেটে ফেলা গাছের বদলে যে পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, তার জায়গাই দেখাতে পারে নি সরকার, এমনটাই আদালতকে আগে জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। অন্যদিকে যশোর রোড সম্প্রসারণের দাবীও অনেকদিনের। স্থল সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুগম করতে রাস্তা চওড়া করাও দরকার।


পরিবেশকর্মীরা মামলায় এটাও বলেছিলেন যে পেট্রাপোল সীমান্ত চৌকি থেকে দু'কিলোমিটার রাস্তা যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে - পুরনো রাস্তার ধারে প্রাচীন গাছগুলিকে অক্ষত রেখে তার অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে - সেই ভাবেই যশোর রোডের বাকি অংশের সম্প্রসারণ হতে পারে।


বনগাঁর বাসিন্দা অজয় মজুমদার বিবিসিকে বলছিলেন, "আমরা কখনই রাস্তা চওড়া করার বিরোধী নই। আমরা শুধু বলেছিলাম গাছগুলোকে না কেটে পাশ দিয়ে রাস্তা হোক। বাঁধানো রাস্তা তো মিটার পাঁচেক, কিন্তু তার পাশে আরও প্রায় কুড়ি মিটার মতো জমি রয়েছে। যেভাবে সীমান্তের কাছে ভারতের দিকে শেষ দু কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে - মাঝখানে গাছও আছে, আর পাশে রাস্তাও হয়েছে - সেভাবেই পরিকল্পনা করা যায়।"




[caption id="" align="aligncenter" width="624"] আকাশ থেকে গাছে ঢাকা-যশোর রেডের ভারতীয় অংশের ছবি[/caption]

যদিও পুরো রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনার বদলে প্রথমে যশোর রোডের ওপরে পাঁচটি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্যই এই ৩৫৬টি গাছ কাটতে হবে। আজ শুক্রবারের রায়ের পরে আরেক পরিবেশকর্মী অমিতাভ আইচ বলছিলেন, "রায় হতাশাজনক তো বটেই, যদিও পুরো রায়ের কপি এখনও হাতে পাই নি। তবে শুনছি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে। কিন্তু আমার আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই রাতারাতি এই প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গাছগুলো কেটে না ফেলা হয়। এগুলো তো আইন অনুযায়ীই হেরিটেজ গাছে তকমা পাওয়ার কথা।"


মি. আইচ আরও বলছিলেন, "একটা বিকল্প হতে পারত যে টানেল বোরিং মেশিন বসিয়ে ফ্লাইওভারের বদলে ভূতল টানেল তৈরি। প্রাথমিক খরচ হয়তো বেশী, কিন্তু দীর্ঘকালের জন্য মেনটেনান্স খরচ বেশ কম। আবার পরিবেশও বাঁচানো যেত এর মাধ্যমে।" পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, যশোর রোড শুধু একটা রাস্তা নয় - এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য।



[বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী]

"আগে যখন আমরা পেট্রাপোল সীমান্ত অবধি যেতাম, গোটা রাস্তার ওপরে তাঁবুর মতো হয়ে থাকত গাছগুলো। আসলে গাছের তো ভোটাধিকার নেই, তাই ওগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই চায় না যে ভোট দেয় যারা - সেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষতি করতে। অথচ রাস্তা চওড়া করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করাই যেত। যশোর রোড তো নিছক কোনও রাস্তা নয় - এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য। সেটা রক্ষা করতে পারলে পৃথিবীর কাছে একটা উদাহরণ হয়ে উঠত," বলছিলেন সুভাষ দত্ত।


দমদম বিমানবন্দরের পরে বারাসাত শহর ছাড়িয়ে কিছুটা এগোলেই যশোর রোডের ওপরে ছাতার মতো বিছিয়ে থাকে কয়েক হাজার প্রাচীন গাছের পাতা - ডালপালা। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পর থেকে একসময়ে গোটা রাস্তাতেই গাছের ছায়া থাকত। কিন্তু নগরায়ণের জন্য আগেই কেটে ফেলা হয়েছে অনেক গাছ। তবুও পেট্রাপোল স্থল বন্দর অবধি এখনও যে চার হাজার ৩৬টি গাছ রয়েছে, সেগুলিকে মহীরুহ বলাটাই শ্রেয়।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষের দিকে এই যশোর রোড দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই কবি অ্যালেন গিনসবার্গ লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া কবিতা, 'সেপ্টেম্বর অন জেসোর রোড'। যুদ্ধের সময়ে এই রাস্তা দিয়ে যেমন মুক্তিযোদ্ধারা বা ভারতীয় বাহিনী যাতায়াত করতেন, তেমনই লক্ষ লক্ষ শরণার্থী ভারতে চলে আসার পরে এই রাস্তার দু'পাশেই আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে। বিবিসি

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

admin August 31, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আটক করেছে। পৌরসভার বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়। আহত সাজু মিয়াকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাজু মিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মীরগঞ্জ-থানাপাড়া) কাউন্সির ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি উপজেলা সদরের থানাপাড়ার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সাজু মিয়ার চাচা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেছেন।


সাজুর পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সাজু মিয়াকে ফোন করে তাদের থানাপাড়া বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কয়েকজন যুবক অতর্কিত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।


ওসি জানান, তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা সদর ও মীরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে। জনশূন্য হয়ে পরে উপজেলা সদর। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ মোতায়েত করা হয়।


ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সাজুর চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি দেখিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজার দাবি, তাদের সংগঠনের দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় জড়িত নয়, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত।

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় পারিবারিক কলহের ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছে।


আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা গ্রামে খড়ের পালা ও জমির সীমানায় বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের বড়ছেলে শামিম (৩৫) ও ছোটছেলে শাহিন(২৮)এর দ্বন্দ বাধে। এক পর্যায় ছোটভাই শাহিন বড়ভাই শামিম কে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই বড়ভাই শামিমের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শামিমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বড়ভাইকে খুনের অপরাধে ছোটভাই শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়।


ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শামিমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বটতলী এলাকা থেকে এক ট্রাক্টর ভিজিএফের চাল আটক করা হয়েছে। এ সময় ট্রাক্টর চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশ।


জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে ওই এলাকার চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়ন তার বাড়ি থেকে একটি ট্রাক্টরে করে প্রায় শতাধিক বস্তা ভিজিএফের চাল নীলফামারী নিয়ে আসার পথে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। নীলফামারী থানার এস আই হানিফ ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রাক্টর সহ চাল থানায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করে এবং ট্রাক্টর চালক বিকাশ ও হেলাপার হামিদকে আটক করেন। চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়নকে আটক করা না হলেও তাকে থানা চত্বরে ঘেরাঘুরি করতে দেখা গেছে।


ময়নুল ইসলাম নয়ন জানান, এই চালগুলো তার কেনা। একটি মাদ্রাসায় বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান পবিত্র ঈদুল আজহার আগে প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। আটককৃত চাল গুলো গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বলে তারা জানান।


নীলফামারী সদর থানার এসআই হানিফ জানান, ভিজিএফের চাল সন্দেহে আটক করা হয়েছে। চাল মালিকদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

admin August 31, 2018

নওগাঁ: একেকটি খিলি পান বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। একই স্থানে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ খিলি পানের ব্যবসা করছেন নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটির মোড়ে সুপরিচিত মূর্খ বীর মুক্তি যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলামের সন্তান পান বিক্রেতা কাজী আজিজুল ইসলাম। এতে একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্য দিকে পান বিক্রি করে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতি মাসে এখান থেকেই ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তার। আজিজুলের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি হরেক রকম জর্দ্দা ও মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পান তৈরি করেন। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে রেল ঘুমটির কাজী আজিজুলের দোকানে।
বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন কাজী আজিজুল। নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের সকলের পরিচিত মূর্খ কাজী আজিজুল। শুধু আত্রাই নয় বিভিন্ন এলাকার মানুষরা সখের বসে পান খেথে আসেন রেল ঘুমটির মোড়ের এ দোকানে। আজিজুল প্রতিটি মিষ্টি পানের মূল্য ৫টাকা থেকে ২০টাকা পর্যন্ত নেন। মিষ্টি পান ক্রেতা আত্রাই সদরের সাহেবগঞ্জ এলাকার সরদার কালাম বলেন, আমি সাধারণত পান খাই না।তবে যখন কোনো প্রয়োজনে এদিকে আসি তখন আজিজুলের এ মিষ্টি পান খেতে আমি ভ’ল করি না। ৫টাকা করে দুই টা পান কিনেছি খাওয়ার জন্য।
অপর ক্রেতা স্থানীয় বাব মিঞা জানান, এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে শুক্রবার দুপুরে রেল ঘুমটি মোড় এলাকা যখন প্রায় জনশূন্য তখনও দেখা যায় আজিজুলের পানের দোকানে অনেক ভিড়। পুরোদমে চলছে তার দোকান পান বিক্রি।
পান বিক্রি করে স্বালম্বী হওয়া আজিজুলের সঙ্গে উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ১০বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাহিরে অন্য কিছু করি না। আগে বাবা বীর মু্িক্ত যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলাম দোকানটি চালাতেন। এখন আমি চালাই। প্রতিমাসে এখান থেকেই ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এ দিয়ে খুব ভালো ভাবে আমার সংসার চলে। পান বিক্রি করে কিছু অর্থ সম্পদও কিনেছি। আমার কোনো াভাব নেই। অন্যান্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমি।

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

admin August 31, 2018

ময়মনসিংহে আবারও এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আগের মতোই তাকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অনেকে দাঁড়িয়ে তা দেখলেও শিশুটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি কেউ।


রংপুর এক্সপ্রেস: সিলেটে শিশু রাজন হত্যার ঘটনা এখনো দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। তাকেও চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় আসামিদের আটক এবং শাস্তির আওতায় আনা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। অপরাধজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর বাংলাদেশে দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মধ্যে একটি অংশ শিশু-কিশোর। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চোর অপবাদ দিয়ে এই পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকে প্রাভাবশালীরা।


ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে রিয়াদ নামে ১৪ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। উপজেলার উথুরী ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উথুরা ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের আশরাফুলের মনোহারী দোকানের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টার অপবাদ দিয়ে প্রথমে রিয়াদকে আটক করা হয়। তারপর বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল, কামরুল, রশিদ ও তার সহযোগীরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অনেকে সেখানে থাকলেও কেউ তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার মৃত্যু নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।



[ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি]

শিশুটির বাবার নাম সাইদুর রহমান। তিনি সৌদি প্রবাসী। তাঁর দু'টি বোন আছে। মা বাকপ্রতিবন্ধী। এলাকায় তাঁদের আর কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই বলে ডয়চে ভেলেকে জানান গফরগাঁও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন। তিনি বলেন, ‘‘আমি সকাল আটটার দিকে খবর পাই। খবর পেয়েই গ্রাম পুলিশ পাঠাই। কিন্তু সে গিয়ে দেখে রিয়াদ মারা গেছে।''


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সেখানে অনেকে থাকলেও কেউ রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। আর আমাকেও যদি আরো আগে খবর দেয়া হতো তাহলে আমি গিয়ে হয়তো রক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু কেন যথাসময়ে খবর দিলো না সেটা আমারও প্রশ্ন।''


স্থানীয় সাংবাদিক আতাউর রহমান জুয়েল জানান, ‘‘শিশুটি মারা যায় আটটার দিকে। ঘটনা শুরু হয় সকাল ৬ টার দিকে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্মমভাবে পিটানো হয়। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন, তারা গাছের সঙ্গে বাঁধার পরপরই থানায় খবর দিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ আসে সকাল ১০টার দিকে। শিশুটিকে হত্যার দুই ঘণ্টা পরে। কিন্তু গফরগাঁও থানা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। ঘটনাস্থল সদর ইউনিয়নে। পুলিশ সময়মতো এলে হয়তো শিশুটিকে প্রাণ দিতে হতো না।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার সময় সেখানে আরো ২০-২৫ জন লোক ছিল। তারা এগিয়ে গেলে তাদের হুমকি দেয়া হয়। যারা শিশুটিকে হত্যা করেছে, তারা এলাকায় প্রভাবশালী।''


এই ঘটনায় আশরাফুল, কামরুল, রশিদসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ খান ঘটনার দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকাল ৮টার দিকে খবর পাই, এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলে যেতে একটু দেরি হয়েছে, কারণ, ফোর্স অন্য ডিউটিতে ছিল। তাদের প্রস্তুত করতে এই দেরি হয়েছে। ঘটনার পর হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।''



[‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’]

থানা সূত্র জানায়, চুরির অপবাদ দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলেও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এদিকে বাংলাদেশে শিশু হত্যার এই প্রবণতা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘‘দু-একটি ঘটনার বিচার হলেও অধিকাংশ ঘটনায় বিচার হয় না। তাই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যারা এই সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা সমাজের প্রভাবশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতেও সাহস পায় না।


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাক্ষী সুরক্ষা আইন নেই। ফলে কেউ সাক্ষী দিলে তাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কেউ কোনো অপরাধ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেই অনেক সময় আসামি হতে হয়।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ বা মানবিকতা নেই, তা নয়। মানুষ বর্তমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তার প্রকাশ ঘটাতে পারে না। কারণ, বিচারহীনতায় সে ভীত এবং নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। কোনো ভালো কাজ বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে এখানে বিপদে পড়তে হয়।''


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন এমন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে একটি অংশ শিশু।'' তাঁর মতে, ‘‘এর দু'টি দিক আছে। প্রথমত, মানুষ বিচার না পেয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আর এই বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে আরেকটি গ্রুপ তাদের স্বার্থে শিশুদের হত্যা করছে, নানা ধরনের অপরাধ করছে।''


তিনি বলেনন, ‘‘আমাদের সমাজ শিশুবান্ধব নয়। যতই বলি না কেন গফরগাঁওয়ে যথন শিশুটিকে হত্যা করা হয়, দীর্ঘ সময় গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়, তখন সেখানে আরো অনেকে ছিলেন। তারা কোনো-না-কোনোভাবে শিশুটিকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে পারতেন। তাদের সে উদ্যোগ না নেয়া আমাদের সমাজের নির্মম নিষ্ঠুরতারই প্রকাশ।'' ডয়চে ভেলে

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বাকশালী বিবেকই সিইসি নিজের মধ্যে প্রোথিত করেছেন। এটা প্রমাণিত হলো যে, সব দিক থেকে বিরোধিতার পরও সিইসিসহ কয়েকজন কমিশনারের একতরফা ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত, আগামী নির্বাচন জালিয়াতি করারই চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যান।


আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ভিন্নমত থাকার পরও ইভিএম ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সুস্পষ্ট হলো, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। তিনি স্বাধীন বিবেক দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত নন।


বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি গোপন কোড জানা থাকলেই ইভিএমের গণনাপদ্ধতি সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলা যায়। ভোটারবিহীন আওয়ামী জোটের সরকার জনগণের টাকায় জালিয়াতি করার মেশিন কিনে জালিয়াতির নির্বাচন করতে চায়। তবে এবার জনগণ সরকারের সব মাস্টারপ্ল্যান ডাস্টবিনে ফেলে দেবে। ভোট নিয়ে অনাচারের পুনরাবৃত্তি জনগণ রুখে দেবে।


প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভোটের জন্য নয়, জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন, শুধু জনকল্যাণের জায়গায় সংশোধনী হবে আওয়ামী কল্যাণ। ভোটের জন্য যে রাজনীতি করেন না, তাও স্পষ্ট। কারণ, জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনেই তার ভোটারদের প্রয়োজন হয়নি।


সংবাদ সম্মেলন বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেয়া কর্মসূচি আবারও তুলে ধরেন রিজভী। তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের সিনিয়র নেতারা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় জনসভা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এসব কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান রিজভী আহমেদ।

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেই বিএনপি ইভিএম চায় না, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম দরকার। ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেট সিটি কর্পারেশন নির্বাচনে বিএনপি দু’টি ইভিএম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই তারা নানা অভিযোগ করছে।


ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কমিশন সভা বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে সবার মতামত এক হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচনও থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।


তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন করেছে। একটা দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ফাঁদ তৈরি করেছিল। সেটা তো সংবিধানের দোষ নয়। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটা তাদের দোষ নয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপি সরে গেলে কার কি করার আছে?


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েও বেশি দরকার নিরপেক্ষ ইলেকশন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের দরকার নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হবে কি না? নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভয় কোথায়? জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই, তারাই নানা অজুহাত খোঁজে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর বিএনপি নির্বাচিত হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা গাজির বাজারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ সরাসরি ভোট দিক আর ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেই দিক; যে কোনটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ ইভিএম মেশিনের প্রতি নির্ভরশীল নয়, জনগণের আস্থা আর ভোটের ওপর নির্ভরশীল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three