অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নিখোঁজ ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভকে (২৫) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের কাছ থেকে তাকে পাওয়া যায়।


ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, ভোরে কে বা কারা চট্টগ্রামে নিখোঁজ সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভকে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনের রাস্তায় রেখে যায়।


এর পর সৌরভ ওই মিলে গিয়ে নিজের পরিচয় দিলে মিলের ম্যানেজার সমীর সৌরভের পরিবারকে খবর দেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়।


ভোর ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম এন্টি-টেররিজম ইউনিটের ডিসি আমাকে (ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার) ফোন করে জানান- তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনে সৌরভকে পাওয়া গেছে।


খবর পেয়ে তারাকান্দা থানার পুলিশসহ তিনি নিজে গিয়ে সৌরভকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। পরে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ পাহারায় তাকে বনানীতে পরিবারের কাছে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়। সৌরভের শারীরিক অবস্থা ভালো এবং তিনি সুস্থ আছেন।


গত ৯ জুন চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে সৌরভ অপহৃত হন।


গত শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ এমনই অভিযোগ করেন।


একই অভিযোগ করে ভাগ্নেকে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় ফেরত চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তার নিখোঁজ ভাগ্নের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান উপস্থিত ছিলেন।


সৌরভ ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করতেন। সৌরভ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মামাতো বোন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানের ছেলে।


[embed]https://www.youtube.com/watch?v=WnY7J113tEk&feature=youtu.be[/embed]
সেই সৌম্যই ফেরালেন ওয়ার্নারকে

সেই সৌম্যই ফেরালেন ওয়ার্নারকে

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে যান অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৭ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ। উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ।


ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর তৃতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

admin June 21, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনছে ফেসবুক। এর মধ্যে দিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং ছাড়িয়ে ই-কমার্স ও বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেন বাণিজ্যে পা রাখতে যাচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

মঙ্গলবার মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে বিশ্বের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সহযোগে লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন গঠনের ঘোষণা দেন, যার প্রধান দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনিভা শহরে।

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা লিব্রা অ্যাসোসিয়েশনে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছে মাস্টারকার্ড, ইবে, পেপাল, উবারের মতো নামি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গঠনের ঘোষণা এই জুনে এলেও ২০২০ সালের প্রথম ভাগে এই ডিজিটাল মুদ্রা ছাড়তে যাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকের লিব্রা প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেপালের সাবেক কর্মকর্তা ডেভিড মারকাস। তিনি রয়টার্সকে বলেন, স্বাধীনতা, ন্যায় এবং অর্থ, ঠিক এটাই আমরা এখানে এক করার চেষ্টা করছি।

মাস্টারকার্ডের ল্যামবার্ট বলেন, যদি এই প্রকল্প অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়ে, তবে হয়ত আমরা আর এটা চালু করব না।

নিজেদের সৃষ্টি এই মুদ্রা নিয়ে ফেসবুকের দাবি, কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই লিব্রা লেনদেনে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তারা এই ব্যাংকিং জগতে প্রবেশ করে টাকা পাঠাতে পারবে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ফেসবুক বলছে, এটা উন্নত এবং কম খরচে মুক্ত ব্যাংকিং সেবা।

নিরাপত্তা নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এর ক্রিপ্টোগ্রাফি পদ্ধতি লেনদেনে সুরক্ষা দেবে গ্রাহককে। গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট ক্যালিব্রা আনবে ফেসবুক, যা থাকবে দক্ষ কর্মীদের তদারকিতে। লেনদেনে যে কোনো ধোঁকাবাজি থেকে গ্রাহককে সুরক্ষা দেবে তারা।

ফেসবুকের অন্য দুটি সেবা হোয়াটস আপ ও মেসেঞ্জারে আগামী বছর থেকে ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ ক্যালিব্রা চালু করবে।

জাকারবার্গ বলেন, আমরা ধোঁকাবাজি থেকে সুরক্ষা দেব। যদি আপনি লিব্রা মুদ্রা হারান, আমরা তা ফেরত দেব। এটা একটি দুর্দান্ত যাত্রার কেবল শুরু।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের বরাতে গার্ডিয়ানের ভাষ্য, ফেসবুকের আর্থিক পড়তির এই সময়ে লিব্রা লাভের মুখ দেখাতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের তথ্যফাঁসে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। তাদের অনেক বিজ্ঞাপনদাতা ক্ষতিপূরণ দাবি করার পাশাপাশি চুক্তিও বাতিল করেছে। বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি পদ্ধতি নিয়ে ফেসবুকের নতুন বাণিজ্যিক পরিকল্পনাকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কীভাবে দেখছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা লাখ লাখ ডলার খুইয়েছেন হ্যাকারদের কবলে পড়ে। মানি লন্ডারিং, অবৈধ মাদক কেনাবেচায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একটি নীতিমালার আওতায় আনার প্রস্তাব উঠেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও। বাস্তব অস্তিত্ব না থাকা ক্রিপটোকারেন্সির চলে শুধু ইন্টারনেট জগতেই। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি বাজারে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে বিটকয়েনের নাম এখন অনেকেরই জানা।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তৃতীয় পক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা দিচ্ছে বা নিচ্ছে, তা অন্য কেউ জানতে পারে না। আবার পরিচয় গোপন রেখেও এটা দিয়ে লেনদেন করা যায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর কোনো দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না থাকায় অনেক দেশেই তা নিষিদ্ধ।

গার্ডিয়ান বলছে, এই ভার্চুয়াল ব্যাংকিং খাতে ফেসবুকের আগমনে এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ফেসবুকের নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং, আবাসন, নগরায়ন বিষয়ক সিনেট কমিটি।
কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ‘সাঁঝের মায়া’র কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন।


রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহীয়ষী এই নারীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।


সুফিয়া কামাল শৈশবে নানার বাড়ীতে থাকায় বহুভাষায় পন্ডিত বড় মামার সান্নিধ্য এবং তার সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর সংস্পর্শে জ্ঞানচর্চার প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন। সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা করেন। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্ত’ সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কোলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।


পাকিস্তন সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। এ বছর তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন।


১৯৭০ সালে তিনি মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন।


স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ কার্ফু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেন।


সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।


সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরী তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।


সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।


মহীয়ষী এই নারী ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদীঘি গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে আখেরুল ইসলাম, একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চুতুরপুর গ্রামের মো. সেন্টুর রাছেল তোহরুল ইসলাম টুটুল, রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে আবদুল মালেক, সাহাপাড়ার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চরভবানিপুরের কশিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, পারচৌকার রানীনগরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুল মাসুদ, রশিকনগরের হোসেন মণ্ডলের ছেলে সেন্টু এবং ছত্রাজিতপুরের মসলিম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম।


অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলের সঙ্গে বিরোধ হয় কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের।


এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিকালে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের একটি আমবাগানে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।


এ ঘটনায় নিহত মনিরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ২৫ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


এর পর ২০১৫ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এর পর ২৩ সাক্ষী সাক্ষ্য ও যুক্ততর্ক শেষে বিচারক আজ এ মামলার রায় দেন।

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশর উন্নয়নের দরকার কিন্তু এর সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন ও জলাধার নির্মাণেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষিত থাকে।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের ওপর আসবে। এর জন্য আমরা দায়ী না, আমরা ভুক্তভোগী। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা আমরা নিতে শুরু করেছি। এর জন্য ফান্ডও তৈরি করা হয়েছে।


বিদেশ থেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সহায়তা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্যারিসে পরিবেশ বিষয়ে একটা চুক্তি হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে এর সহায়তা পাওয়া যাবে।


পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকবো। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।


প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যতো ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।


এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন।


সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। এই বন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতিকর কিছু করার সাহস পায় না।


তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বনে বাঘের বিচরণ বেড়ে যায়। নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে।


সরকারপ্রধান এসময় বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ি বনাঞ্চল।

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। যুদ্ধ, জাতিগত সন্ত্রাসের কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ছয় কোটি মানুষ শরণার্থী। এটি এযাবৎ কালের শরণার্থী সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড।


বাংলাদেশেও জাতিগত সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্রোত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর থেকে সাত লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ঠাঁই নেয় বাংলাদেশে।


আগে থেকেই এ দেশে ছিল বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালীসহ ৫০ জেলায় এখন রোহিঙ্গাদের অবস্থান রয়েছে।


এদিকে রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ, নিরাপত্তা ও উগ্রপন্থি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়া ঠেকানো নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও নিজ দেশে তাদের প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তাও কমে আসছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংকট আরো গভীরতর হচ্ছে।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয় গ্রুপ আইএসসিজির কর্মকর্তা সৈকত বিশ্বাস বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের পুনর্বাসনে ব্যাপক কর্মসূচি নিতে হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে এরকম নানা উদ্বেগের মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। দিবস উপলক্ষে উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্টেপস উইথ রিফিউজিস’ বা ‘শরণার্থীদের সঙ্গে পথচলা’।


শরণার্থী দিবসে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ২ নম্বর ব্লক থেকে একটি র‌্যালি বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ওই ক্যাম্পে আলোচনা সভা, খেলাধুলাসহ রয়েছে নানা কর্মসূচি। রোহিঙ্গাদের জন্য অন্যতম বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের এসব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।


তবে এসব কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদের তেমন উৎসাহ নেই। নিজ দেশের বাইরে এভাবে অনিশ্চিত জীবনযাত্রায় রোহিঙ্গারাও হতাশ। রোহিঙ্গার জন্য তহবিল সংকটে এখানে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও উদ্বিগ্ন। তহবিল বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অব্যাহতভাবে ধরনা দিয়ে যাচ্ছে তারা।


কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা মারিন ডিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী তিন মাস পর্যন্ত খাবার ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পাওয়া না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। চলতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২ কোটি ডলার সাহায্য চেয়েছে জাতিসংঘ।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির এখন কক্সবাজারে। এ জেলায় চার দফায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখন এখানে ঠিক কত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।


জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৯ লাখ ১০ হাজার।


তবে বুধবার জেনেভা থেকে প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন অবস্থান করছে ৯ লাখ ছয় হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা।


শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে।


এদিকে, বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৪ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


সর্বশেষ রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘ তিন বছর হতে চলছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমে বাড়ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বের বিশাল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অস্থিরতা। বাড়ছে খুনখারাবি থেকে শুরু করে নানা অপরাধ। স্থানীয় লোকজনও ধৈর্য হারাচ্ছে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিক অপরাধী গ্রুপও সক্রিয় হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১০ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে ১৬টি অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক।


কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দেড় হাজার সদস্য রাত-দিন ব্যস্ত রয়েছেন রোহিঙ্গাদের সালিশ বিচার করতে। এখানে পুলিশ সদস্যদের কষ্টের সীমা নেই।


এদিকে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক হারে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় এখানে শিশু জন্মহারও অস্বাভাবিক বেশি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্মহার কত- এ নিয়ে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে জরিপ নেই। তবে বেসরকারি একটি সংস্থার মতে, এখানে প্রতিবছর অর্ধলক্ষ শিশু জন্ম হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সালে থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ কারণে এ দিনটি বাছাই করা হয় যে, ১৯৫১ সালে অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয় বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে।


২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিলো। জাতিসংঘ পরবর্তীকালে নিশ্চিত করে যে, অর্গানাইজেশন অফ আফ্রিকান ইউনিটি বা ওএইউ পরবর্তীকালে ২০ জুনকে আফ্রিকান শরণার্থী দিবস-এর পরিবর্তে আন্তর্জাতিকভাবে শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছে।

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

admin June 21, 2019

অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে বলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।


এর আগে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে।


ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেয়া হয়।


প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ শিরোনামে ৭ জানুয়ারি যুগান্তরে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।


‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে পরদিন ৮ জানুয়ারি আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।


এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।


এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

admin June 20, 2019

সম্প্রতি বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে গোপন বৈঠক করেছে বিমানের দুর্নীতিবাজরা। উদ্দেশ্য সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামিয়ে দেয়া। এ জন্য তারা তহবিল গঠন করে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খবর দৈনিক যুগান্তরের।


গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে যুগান্তর জানাচ্ছে, গেল মঙ্গলবার রাতে উত্তরায় একত্রিত হয়ে বৈঠক করে তারা। বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ বিমানেরই এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা, যিনি দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। তার নেতৃত্বে বিমান শ্রমিক লীগ, বিমান সিবিএ ও বিমান পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ১০-১২ জন প্রভাবশালী নেতা উপস্থিত ছিলেন।


এ ছাড়া জনসংযোগ বিভাগের সাবেক একজন কর্মকর্তা এবং ঢাকার বাইরে বদলি হওয়া ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


জানা গেছে, বৈঠকে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন অভিযোগে বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে।


যদি মন্ত্রণালয় তাতে রাজি না হয়, তাহলে বাপা ও সিবিএ মিলে আগামী হজ ফ্লাইট চলাকালে বড় ধরনের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দু’দফায় বৈঠকের স্থান বদল করেও তারা গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে পারেনি।


গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বুধবার সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি অবগত হয়েছে।


বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও জানতে পেরেছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব সোর্স থাকায় ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানা সম্ভব হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্র যুগান্তরকে জানায়, মূলত তারা বিমানের দুর্নীতিবিরোধী প্রক্রিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে অন্যত্র বদলি করার মিশন বাস্তবায়ন করতে চান। তারা মনে করেন, বিমান সচিবসহ এ বিষয়ে তৎপর কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই সবকিছু দফারফা হয়ে যাবে। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে আর শক্ত মনিটরিং ও ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে না।


এ ছাড়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেসব গণমাধ্যমে বিমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরকে নানাভাবে বয়কট করা হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যেসব কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে ওএসডি, বদলি কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে সেসব আদেশ বাতিল করে তাদেরকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে।


এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বিমানের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি প্রায় এক মাস বিদেশে অবস্থান করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।


সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ষড়যন্ত্রকারী এ অংশটি এহেন ঘটনার অবতারণা করে রীতিমতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কেননা, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা, সাহস ও উৎসাহ দেয়া এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে ইতিমধ্যে বিমানের টিকিটিং দুর্নীতিসহ ঘাটে ঘাটে দুর্নীতি জালিয়াতি অনেকাংশে কমে এসেছে।

এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

admin June 20, 2019

সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) মোয়াজ্জেম হোসেনের নানা কুকীর্তি বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য, থানা এলাকায় দালাল সিন্ডিকেট, চাঁদা আদায়ের জন্য ক্যাশিয়ার নিয়োগ, মাদক মামলা দিয়ে নিরীহ জনগণকে জেলহাজতে প্রেরণ, সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন থেকে মাসহারা আদায়সহ সকল ধরনের অপকর্মে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন বিতর্কিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।


সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করার পর নুসরাত জাহান রাফির পাশে দাঁড়াননি সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন (বরখাস্ত)। উল্টো রাফির পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছিলেন তিনি।


রাফির শ্লীলতাহানির ঘটনার পর জেরা করার নামে তাকে হয়রানি করে মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছড়িয়ে দেন।


অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। এ কারণে রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার পরও তিনি ঘটনাটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এবং এ ঘটনাটি আত্মহত্যার চেষ্টা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন।


রাফিকে ওসির জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওসির বিব্রতকর প্রশ্নে রাফি লজ্জায় পড়ে। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রাফি কেঁদে কেঁদে বলে, আলিম প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তার গায়ে হাত দেয় একজন (নূর উদ্দিন)। অধ্যক্ষ সিরাজ পিয়নের মাধ্যমে তাকে ডাকেন। এরপর শরীরে হাত দেয়। ওসি রাফিকে তখন বলেন, ‘হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে?’ রাফি বলে, ‘না, দিয়েছেন। ’ ওসি তখন বলেন, ‘তুমি নিজে গেছ?’


এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, সিরাজকে রক্ষা করতে তাঁর সহযোগীদের পক্ষ নিয়ে বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। সোনাগাজীতে ১৫ মাস ওসি থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজি ও অপকর্মের সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া ও সদর থানায় ওসি ছিলেন। ছাগলনাইয়া থানায়ও অভিযোগ ওঠায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সেখানে সোনার বার উদ্ধার করে গায়েব করে ফেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।


ছাগলনাইয়ার সাংবাদিক নূরুজ্জামান সুমন বলেন, ২০১২ সালে ছাগলনাইয়ার কাশিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১৩ বছরের এক শিশুকে আটক করে ১৮ বছর বলে গ্রেপ্তার দেখায়। অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় ওসিকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।


সোনাগাজী শহরের রিকশাচালক মোশারফ হোসেন ও জয়নাল আবদিন ওসি মোয়াজ্জেম দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, সোনাগাজী শহরে ব্যাটারিচালিত প্রতিটি রিকশার কাছ থেকে মাসে ২০০ টাকা করে চাঁদা নিতেন ওসি মোয়াজ্জেম। দরিদ্র রিকশাচালকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করেছিলেন পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। তখন ওসি সাফ জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে রিকশা চলবে না। রিকশাচালকরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একদিন ধর্মঘটও ডেকেছিল। শেষে উপায় না পেয়ে টাকা দিয়েই রিকশা চালু করে তারা।


সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে সরকারি খাতে ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার পরও ২ হাজার ৭০০ টাকার বেশি দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। তিনি নিজেই নিতেন ১ হাজার। বাকি টাকা পুলিশ সুপার ও অন্য অফিসাররা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মো. শামিম বলেন, ২০১৮ সালে কোরবানির ঈদের ২দিন আগে ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে আমাকে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া অন্যায়ভাবে একদিন থানায় আটকে রেখে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিকট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক সদস্য জানায়, উপজেলায় প্রতি মাসে একটি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও ওসি মোয়াজ্জেম কখনো সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন না।


তৎকালীন সময় ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।


সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নুরুল আমিন ও আবদুল মান্নান জানান, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওসি মোয়াজ্জেম গত জানুয়ারি মাসে তাদের নিকট থেকে জোর করে দুই লাখ টাকা করে আদায় করেছে।


সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মনগাজী বাজারের ব্যবসায়ী নূর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম আমাকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অজুহাতে দুইদিন থানায় আটকে রেখে আমার পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করেন।


এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে তার নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আবুল খায়ের মাদক ব্যবসায়ী, যানবাহন, ইটভাটা, করাতকল, বাজার ব্যবসায়ী, বালুমহল, মৎস্য আড়ৎসহ সমগ্র থানা এলাকা থেকে চাঁদা উঠিয়ে তাকে এনে দিতেন।


নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ওসি মোয়াজ্জেম থানায় মামলা নিতে চাইতেন না। ভুক্তভোগীরা খুব বেশি বিরক্ত করলে তিনি ডাকাতির ঘটনা চুরির মামলা হিসাবে রজু করতেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আমের ব্যবসা করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৫ নেতা

আমের ব্যবসা করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৫ নেতা

admin June 20, 2019

মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পাঁচজন যুগ্ম আহ্বায়ক আমের ব্যবসা শুরু করেছেন। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আম সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।


‘আমাদের দেখ, তোমরাও শেখ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যবসা করছেন বলে জানালেন রাশেদ।


তিনি বলেন, ব্যবসায়ের পাশাপাশি আমরা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজে নেমেছি। ছাত্রছাত্রী থাকা অবস্থায় বা চাকরির চেষ্টারত অবস্থায় কর্মব্যস্ত থাকার দৃষ্টান্ত তৈরির জন্য আমরা এটা করছি। আমাদের দেখে যেন শিক্ষার্থীরা বোঝে, অলস বসে না থাকে নিজেদের খরচ নিজেরা চালাতে পারে, এমন কিছু না কিছু যেন করতে থাকে। প্রথমবারের মতো বুধবার ২০ মণ আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। আরও অর্ডার হাতে রয়েছে।


রাশেদ ছাড়াও এ ব্যবসায় জড়িত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অপর চার যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পি এম সুহেল, ইডেন কলেজের লুৎফন্নাহার লুমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবুল বাশার ও ঢাকা কলেজের আরিফ হোসেন।


আমের মান যাচাইয়ের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রাশেদ বলেন, যারা রাসায়নিকমুক্ত আম করেন আমরা সেখান থেকেই আম সংগ্রহ করছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী নাফিউল ইসলাম তাঁদের নিজের বাগানসহ অন্যান্য ভালো লোকের বাগান থেকে আম বাছাই করে দিচ্ছেন। ঢাকা থেকে আমাদের আবুল বাশার ও আরিফ হোসেন সেখানে গিয়ে অবস্থান করে কাজ করছেন।

লালমনিরহাটে মেছো বাঘ আটক, কামড়ে আহত ২

লালমনিরহাটে মেছো বাঘ আটক, কামড়ে আহত ২

admin June 20, 2019

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বুধবার দুপুরে একটি মেছো বাঘকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় মেছো বাঘের কামড়ে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের শফিকুল ও মফিজুল। এরা দুইজনই ওই গ্রামের মামুন মিয়ার ছেলে।


হাতিবান্ধার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের শিয়ালটারী এলাকার বাঁশঝাড় থেকে মেছো বাঘটিকে আটক করা হয়। মেছো বাঘটি দৈর্ঘ্য এক হাত, ওজন প্রায় আড়াই কেজি। বাঘটি সুস্থ আছে।


বাঘের কামড়ে আহত শফিকুল বলেন, দুপুরে বাঁশঝাড়ে মেছো বাঘটিকে ওই এলাকার কয়েক জন দেখতে পায়। পরে তাদের চিৎকারে আমিসহ স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে মেছো বাঘটি আটকের চেষ্টা করলে আমাকে ও আমার ভাই মফিজুলকে কামড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে বাঘটিকে আটক করে।


এ সময় হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে খবর দেয়া হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রংপুর চিড়িয়াখানায় খবর দেয়া হয়েছে তারা এসে বাঘটি নিয়ে যাবেন।

রমেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জা-এর দেয়া গরম পানিতে দগ্ধ সাবিনা

রমেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জা-এর দেয়া গরম পানিতে দগ্ধ সাবিনা

admin June 20, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে জা-এর দেওয়া মরিচের গুড়া মেশানো গরম পানিতে দগ্ধ সাবিনা বেগম (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জুন সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রাইন গ্রামে। এ ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রাইন গ্রামে জমি সংক্রান্ত জের ধরে সাবিনা নামের এক গৃহ বধুকে মুখ ও বুকে গরম পানি ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দিয়েছে পাষণ্ড জা আমেনা বেগম ওরফে ময়না বুড়ি।


জানা যায়, গত ১১ জুন সকালে বাড়ি সংলগ্ন সাবিনা বেগমের স্বামী গোলাম রব্বানীর বসতভিটায় লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ৭/৮ টি গাছ দা দিয়া কোপাইয়া ও ভাঙতে থাকে ময়নাবুড়ি ও তার স্বামী তরিক মিয়া । সাবিনা বেগম তাদের বাধা-নিষেধ করলে ময়নাবুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সাবিনা বেগম কে বাঁশ দিয়ে বুকে পিঠে, হাতে-পায়ে ও মাথায় আঘাত করে। সাবিনা বেগম মাথা চাপিয়া মাটিতে পড়িয়া যায়। সে সময় ময়না বুড়ি তার বাড়িতে গিয়ে উনুনে থাকা ফুটন্ত গরম পানি মধ্যে মরিচের গুড়ো মিশিয়ে সাবিনা বেগমের মুখে ও বুকে ছুড়ে দেয়। এতে সাবিনার মুখ ও বুক দগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়।


এ সময় ময়না বুড়ি ও তার স্বামী সাবিনা বেগম কেগলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। সাবিনা আত চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে তিনি তাকে উদ্ধার করে। এদিকে ময়না বুড়ি ও তার স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সাবিনা অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।


সাবিনার ভাই প্রতিবন্ধি সাইদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর পরেই পুলিশ মামলা নিলেও আসামী গ্রেফতার বা আমার বোন সাবিনার কোন খোঁজ নেয়নি পুলিশ। তিনি আরও বলেন, আমি এক প্রতিবন্ধী। আমিই আমার পরিবারের বোঝা। তার উপর আমার সুস্থ্য বোনকে আমেনা বেগম ওরফে ময়না বুড়ি পরিকল্পিতভাবে মুখ ও বুকে গরম পানির সাথে মরিচের গুড়ো মিশিয়ে ছুড়ে দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। তাকে এখন কে দেখবে? তার উপর তার ছোট ছোট ২ টি মেয়ে রিতু ও রিশা মনি তাদের কি হবে। প্রতিবন্ধি ভাইয়ের আর্তনাদে রংপুর মেডিকেল কলেজের আকাশ বাতাস যেন ভারি হয়ে গেছে।


সাবিনা বেগমের ছোট শিশু রিতুমনি (১০) বলেন, আমার মাকে আমার চাচী ময়না বুড়ি আমার সামনে মরিচ মিশানো গরম পানি মুখে ঢেলে দেয়। তখন আমার মা যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। আমি আমার মায়ের যারা এ অবস্থা করেছে আমি তার বিচার চাই।


রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মারুফুল ইসলাম জানান, সাবিনার শরীরের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে সুস্থ্য করার আমরা যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি। তবে তার মুখের অবস্থা আগের মত ফিরানো যাবেনা।


তদন্তকারী অফিসার আবু বক্কর ফকরুল আলম জানান ঘটনাটি তদন্ত করছি। আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে গংগাচড়া থানার ও সি সুশান্ত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

টেন্ডার ছাড়াই পীরগাছা ভূমি অফিসের ৫ লাখ টাকার গাছ কর্তন, রাতের আধারে হরিলুট

টেন্ডার ছাড়াই পীরগাছা ভূমি অফিসের ৫ লাখ টাকার গাছ কর্তন, রাতের আধারে হরিলুট

admin June 20, 2019

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের শতবর্ষী বিভিন্ন প্রজাতির ৫টি মূল্যবান গাছ কর্তন করে আত্মসাত করার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো কর্তন করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


এদিকে কর্তন করা গাছগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি মহল রাতের আধারে হরিলুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।


জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন শতবর্ষী একটি আম, দুটি রেইন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫টি গাছ গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্তন করা হয়। ওই গাছগুলোর মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যোগসাজসে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) গাছগুলো কর্তন করেন। বর্তমানে গাছের গুল ও কান্ডগুলো আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গোপনে বিক্রি করা হলেও ডালপালাগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। সরকারী নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মতো আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


ভূমি অফিস সংলগ্ন বাসিন্দা আব্দুর রহিমসহ অনেকে বলেন, বিনা টেন্ডারে শতবর্ষী ৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বকুল মিয়া গাছগুলো কাটার পর কোন পরিমান না করেই রাখেন এবং রাতের আধারে গাছের গুলগুলো তহসিলদার বকুল মিয়ার বিশ্বস্ত লোকজন হরিলুট করে নিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী বাধা দেবার চেষ্টা করলেও বকুল মিয়ার লোকজন তাদের নানা ভয়ভীতি দেখান । ফলে শতবর্ষী গাছগুলো কর্তনের মাধ্যমে বৃক্ষ নিধন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


পীরগাছা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার বকুল মিয়া বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে।


পীরগাছা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেকেন্দার আলী জানান, সরকারি জমির গাছ কাটতে বা বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ওই গাছগুলো কাটা ও বিক্রির ব্যাপারে বন বিভাগের কাছে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি।


পীরগাছা উপজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, গাছ কর্তনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।

পীরগাছায় ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক

পীরগাছায় ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক

admin June 20, 2019

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছায় ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নাজমুল (২২) ও সুজা (২০)।


পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইডলাম নাজমুল (২২) ও সুজা (২০) নামের অপর এক যুবককে উপজেলা সংলগ্ন বটতলী থেকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।


অপরদিকে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রবিউল ইসলামকে (৩৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিউল উপজেলার জগজীবন গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।


পুলিশ জানায়, রবিউল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


ওসি রেজাউল করিম বলেন, বুধবার আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

admin June 20, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের উপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ মিনার চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা ও ঘোগাদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।


সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের, যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, ঘোগাদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সুবত আলী, যুবলীগ সভাপতি এনামুল হক মাষ্টার প্রমুখ।



বক্তারা বলেন, গত ১৭ জুন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদে ঘোগাদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম এবং ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ আইন শৃংখলা কমিটির সভায় আসেন।


সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জুর লোকজন তাদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে ঐ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন বক্তারা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three