চিংড়ি রফতানিতে স্থবিরতা

admin June 30, 2018
সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বে চিংড়ি সিফুড হিসেবে সমাদৃত। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এর চাহিদাও অনেক। কিন্তু নানা কারণে দেশের দ্বিতীয় রফতানিকারক পণ্য চিংড়ি রফতানিতে এসেছে স্থবিরতা। ক্রমান্বয়ে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। বিশ্বব্যাপী ভেনামি (এক প্রকার হাইব্রিড) চিংড়ির বাজার দখলের কারণে দেশের চিংড়ি রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বেকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে লাখো মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাজার আবারও বাংলাদেশের দখলে আনতে বাগদার পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি চাষের প্রয়োজন। ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ ও দাম কম আর উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। যদিও নানা অজুহাতে বাংলাদেশে এই চিংড়ি চাষের অনুমোদন নেই। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এর চাষ হচ্ছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে বাগদা চিংড়ির বাজার ছিল ১২ লাখ টন। ৯০ দশক থেকে প্যাসিফিক সাদা চিংড়ি বা ভেনামী চিংড়ির বাজার বড় হতে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এ চিংড়ি চাষ হয়।
বাগদা আগে থেকে শুরু হলেও এর চাষ বাড়ানো যায়নি, অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন অনেক বেশি। বাগদার উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি, ঘেরে বা হ্যাচারিতে এটির উৎপাদন ৩ থেকে ৬ হাজার কেজি অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কেজি। দেশে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চিংড়ি রফতানি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। ২০১৮ সালের তিন মাসে (মার্চ, এপ্রিল, মে) ৪ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি হয় যার বাজার মূল্য ৫৮ হাজার ৮৯৬ মার্কিন ডলার। তার আগের বছরে (২০১৭) একই সময়ে রফতানি হয় ৭ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন যার বাজার ম্ল্যূ ছিলো ৮৬ হাজার ৬১৩ মার্কিন ডলার। বিশ্বে রফতানির ৭৭ শতাংশ অবদান ভেনামির যেগুলো ৭২ শতাংশ এশিয়ায় উৎপাদন। বাগদার অবদান ১২ শতাংশ। শুধু রোগের কথা বলে ভেনামি চাষ বর্জন করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, এখন বিশ্ববাজারে বাগদার বাজার হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি ভেনামি চাষের জন্য। কিন্তু নানা অজুহাতে আজও অনুমতি পায়নি। কক্সবাজার চকোরিয়া বা পাইকগাছাতে জমি চেয়েছিলাম সেটা পায়নি। এ চিংড়ি চাষে যদি রোগ হবে তাহলে ভারত কেন প্রতিবছর চাষ বাড়াচ্ছে। মৎস্য গবেষক ও সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, সরকার ভেবেছিল ভেনামি চিংড়ি চাষ করলে বাগদা হারিয়ে যাবে। তবে এটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। যেহেতু এ চিংড়ির উৎপাদন বেশি, বিশ্বে চাহিদা বেশি তাই করপোরেট হাউজকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এটার চাষ নিয়ে ভাবতে হবে। এতে আমাদের রফতানি বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো ধান সংগ্রহে পিছিয়ে পড়েছে সরকার

admin June 30, 2018
অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বোরো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর। বরং সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সরকার চলতি বছর বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে দেড় লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খাদ্য অধিদফতর মাত্র ২ হাজার ৫০০ টনের মতো ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে। খাদ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ৮ এপ্রিলের সভায় বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি ৩৮ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৭ টাকা কেজি দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকায় ধান কেনা হবে। বিগত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করতে পারছে না। কৃষকরা ধান দিচ্ছে না।
সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদফতর গত ২৫ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৩ টন, আতপ চাল সংগ্রহ করেছে ৩২ হাজার ৯৬১ টন। পাশাপাশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৩ টন। আর ২৫ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৮ টন সিদ্ধ এবং ৬৫ হাজার ৩৮১ টন আতপ চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন। গতবছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার।
এদিকে এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) জানান, যেখানে ধান সংগ্রহের অগ্রাধিকার আছে সেখানে সংগ্রহ হচ্ছে। ধান রক্ষণাবেক্ষণে একটু সমস্যা হয়। সেজন্য যেখান থেকে ধান সংগ্রহ করলে কৃষক লাভবান হবে এবং ধান পরিবহন সহজ হবে, সেখান থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি গুদাম খালি হওয়া সাপেক্ষে ধান কেনা হয়ে থাকে। সেজন্য ক্রমান্বয়ে ধান কেনা হয়। বর্তমানে ধান কম কেনা হচ্ছে না। বরং সরকারি সংরক্ষণ সক্ষমতা অনুযায়ী ধান কেনা হচ্ছে। আর ধান কিনতে না পারলে দেড় লাখ টন সমপরিমাণ চাল সংগ্রহ করা যাবে। সেই সুযোগও রয়েছে।

হ্যাটট্রিক মারলেন ববি

admin June 29, 2018
২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্য সাচর্’ ছবি দিয়ে রুপালি পদার্য় পা রাখেন এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এরপর ববি একে একে উপহার দিয়েছেন দেহরক্ষী, ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম, রাজত্ব, অ্যাকশন জেসমিন, স্বপ্নছোঁয়া, ওয়ান ওয়ে, হিরো : দ্যা সুপারস্টার, আই ডোন্ট কেয়ার, বিজলীর মতো দশর্কপ্রিয় কিছু ছবি। চলতি বছর আরও তিন ছবি নিয়ে আশাবাদী ববি। এগুলো হচ্ছে-নোলক, বেপরোয়া ও বৃদ্ধাশ্রম। ববির মতে, তিনটি ছবি চার ধরনের। একটির সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। শুধু কথার কথা নয়। ছবিগুলো দশর্করা দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে এর মধ্যে ‘নোলক’ ছবিকেই এগিয়ে রাখছেন ববি। গত ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় শাকিব খান-ববি অভিনীত ‘নোলক’ ছবির শুটিং। টানা ৩২ দিন শুটিং চলে ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে। তখন ছবির ৮০ ভাগের বেশি শুটিং শেষ হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত মাস! এই সময়টায় ‘নোলক’-এ শাকিবের কয়েকটি লুক ও স্থিরচিত্র প্রকাশ পেয়েছে। তারপর থেকে দশর্কদের আগ্রহ বাড়ে ছবিটি নিয়ে। আন-অফিসিয়ালি শোনা যায়, ঈদুল আজহায় ‘নোলক’ মুক্তি পাবে। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে নোলকের মতো এমন ব্যতিক্রমী গল্পের ছবিতে কাজ করিনি। নোলকের জন্য আমার অন্য রকম একটা মায়া জন্মেছে। মুক্তির পর নোলক ছবি ভালো লাগবে না, এমন দশর্ক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা আমি আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছবির প্রযোজক সব কিছুই সুন্দর আর গোছানো কাজ হয়েছে। নোলকের ৮০ শতাংশ শুটিং শেষ। বাকি আছে দুটি ও মাত্র একটি সিকোয়েন্স বাকি আছে। তবে ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে এটি প্রযোজক ও পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন।’ এ ছাড়া বৃদ্ধাশ্রম নামের ছবিতে কাজ করেছেন ববি। শুটিং শেষ, শুধু এই ছবির গান বাকি আছে বলে জানান তিনি। ববি বলেন, এটা পুরোপুরি সমাজসেবামূলক একটা ছবি। আমার সঙ্গে কাজ করেছেন এস ডি রুবেল। এটাও খুব ভালো ছবি হবে আমি মনে করি। সবশেষে ববি জানালেন, বেপরোয়া ছবির খবর। বললেন, এটা পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার একটি ছবি। কলকাতার নিমার্তা রাজা চন্দ ছবিটি বানাচ্ছেন। ববি বলেন, চারটি ছবি একটার পর একটা মুক্তি পাবে। সবগুলো ছবি এই বছরেই আসবে। ছবিগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। প্রতিটি ছবিটি আমার লুক, গেটআপে দশর্ক ভিন্নতা পাবে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।

হিনা খোলামেলা ছবি শেয়ার করে তোপের মুখে

admin June 29, 2018

হিনা খান। ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। টিভি সিরিয়াল ‘ইয়ে রিশতা কিয়া কেহলাতা হ্যায়’র মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। বিগ বস-১১-এর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও আলোচনায় আসেন তিনি। এদিকে স¤প্রতি বিকিনি পরিহিত বেশ কিছু খোলামেলা ছবি ইন্সটাগ্রামে  শেয়ার করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, বয়ফ্রেন্ড রকি জয়সওয়ালের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন হিনা খান।
আর  সেখানে গিয়ে কালো বিকিনি পরে ছবি শেয়ার করেন হিনা খান। কখনও পুলে বসে নিজের সেই খোলামেলা ছবি শেয়ার করেন হিনা, আবার কখনও রকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করতে দেখা যায় তাকে। আর এরপরই আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বিগ বসের প্রাক্তন এই  প্রতিযোগীকে। হিনা কীভাবে ওই ধরনের ছবি শেয়ার করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নেটদুনিয়ায়। এটা কী ধরনের পোশাক এবং ছবি বলেও তোলা হয় প্রশ্ন। পাশাপাশি ‘ধর্মের উপর সম্মান প্রদর্শন করুন’ বলেও আক্রমণ করা হয় হিনাকে। যদিও এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোনো কথা বলেননি হিনা।

বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে

admin June 29, 2018
ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। গত জুলাই-মে সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। মোট আয় ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। দেশি মুদ্রায় পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে চা, সবজি, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবার ইত্যাদি। তার মধ্যে ১১ মাসে চা ও সবজি বাদে অন্যান্য সবগুলো উপখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। আর বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ২০১৬-১৭ প্রথম ১১ মাসে এ খাতের আয় ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে এদেশ থেকে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই- মে মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৪ কোটি ৬ লাখ ডলার, শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার, তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তবে কৃষি পণ্যের মধ্যে চা রপ্তানি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। দিন দিন পণ্যটির রপ্তানির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। একই সাথে বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও ৪১ দশমিক ০৩ শতাংশ আয় কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রপ্তানি হয়েছিল ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। 
সূত্র আরো জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে ৭ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আয় হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একই সাথে আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।
কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

admin June 28, 2018


লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ধর্মশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির খণ্ডকালীন শিক্ষক তোফায়েল আহমদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠার পর থেকে সে কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনসহ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের করাতির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিম নগর গ্রামে। নিয়োগ পাওয়ার পর স্থানীয় হাওলাদার বাড়িতে লজিং মাস্টার থেকে পাশ্ববর্তী একটি মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি। পাশাপাশি সকালে মক্তবে শিশুদের আরবি শিক্ষা ও রাতে প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক। এ সুবাদে কোমলমতি শিশু ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন তিনি। কোরআন হাদিসের ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের সকল কথা মানার ও কাউকে না বলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যৌন হয়রানি (ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি) করে আসছিলেন শিক্ষক তোফায়েল। গত ২৬ জুন মঙ্গলবার এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করলে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে এবং ঘটনা জানাজানি হলে অন্য ৭-৮জন ছাত্রীও তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে বলে জানায়। ফাঁস হয়ে যায় শিক্ষক তোফায়েলের অপকর্ম। বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা ইয়াছমিন পিঙ্কি।
ঘটনার শিকার একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হুজুর স্যার (তোফায়েল আহমদ) খারাপ কাজ (ধর্ষণ) করতো, শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতো, কাউকে না বলার জন্য কোরআন হাদিস ধরিয়ে ভয় দেখাতো। আর কাউকে বললে রূপালী পাগলীর মতো হয়ে যাবি, বলে ভয় দেখাতো। এ কারণে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলে নি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি। একইভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাজান আলী।

জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে ঐশ্বর্যের মেয়ে!

জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে ঐশ্বর্যের মেয়ে!

admin June 27, 2018

বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের হায়দরাবাদের এক জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার মেয়ে আরাধ্য। ওই জৌতিষী এও বলেছেন, এ জন্য আরাধ্যর নাম পরিবর্তন করতে হবে। তার নতুন নাম রাখতে হবে রোহিনী। আর তাতে করেই ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হবে সে । ভবিষ্যৎবাণী করা ওই জ্যেতিষীর নাম ডি জ্ঞানেশ্বর। গত রোববার হায়দরাবাদে সংবাদ সম্মেলন করে জ্ঞানেশ্বর নিজেই এই বাণী করেন।


তবে এই ভবিষ্যৎবাণীর ব্যাপারে বচ্চন পরিবার থেকে কোন প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। হ্য এটা সত্য, বচ্চন পরিবারে অনেক আগে থেকেই ‘জ্যোতিষীদের ভবিষৎবাণী’র প্রতি এক প্রকার আনুগত্য আছে বটে। মাঙ্গলিক মেয়েদের ভবিষ্যৎ, মেয়ের বিয়ের পর তার স্বামীর মৃত্যু ঘটবে। ঐশ্বর্য মাঙ্গলিক, যে কারণে এক জ্যোতিষের পরামর্শে কুষ্ঠির দোষ দূর করতে অভিষেকের সাথে বিয়ের আগে কলাগাছকে বিয়ে করেছিলেন ঐশ্বরিয়া।


জ্যোতিষি জ্ঞানেশ্বরের সংবাদ সম্মেলনে দাবি, এর আগে তিনি তেলেগু সুপারস্টার চিরঞ্জিবী এবং রজনীকান্তের রাজনীতিতে যোগদান নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বলেছিলেন, তারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন এবং পরে তা বাস্তবও হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জ্ঞানেশ্বর আরও কিছু ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে, ২০১৯ সালে নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদী আর রজনীকান্ত হবেন তামিলনাড়ুর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। আগামীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও পাঁচ বছরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টে পদে নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও ২০২৪ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধেরও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন জ্ঞানেশ্বর।


ভারতের পত্রিকা গুলোর সংবাদ, হায়দরাবাদে জ্যোতিষী জ্ঞানেশ্বরের ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাপারে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আছে। ইতোপূর্বে তিনি কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা পরে বাস্তবে রূপ পেয়েছে। এতে করে তার উপর হায়দরাবাদের বাসিন্দাদের আস্থা বেশ পোক্ত । এখন দেখার বিষয়, বচ্চন পরিবার এই ভবিষ্যৎবাণীকে কিভাবে দেখেন?

BMW গাড়িতে পিতাকে দাফন করল পুত্র

BMW গাড়িতে পিতাকে দাফন করল পুত্র

admin June 27, 2018

এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অবাক করা কাণ্ড ঘটিয়েছে নাইজেরিয়ান এক যুবক, যিনি তার সদ্য মৃত পিতাকে গাড়িতে করে দাফন করেছেন। নাইজেরিয়ান সংবাদমাধ্যম নাইজ ডট কম বলছে, তার পিতাকে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা ছিল ওই যুবকের। কিন্তু গাড়ি কিনে দেওয়ার পূর্বেই পিতা মারা যাওয়ায় নগদ অর্থ পরিশোধ করে সে গাড়িটি কেনে এবং পিতাকে দেওয়া কথা রাখে। নাইজ ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, ওই যুবকের নাম আযুবুইকে। গাড়িটি কিনতে তার ব্যয় হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা।


ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা যায়, একটি চকচকে রূপালি রঙের BMW গাড়ি কবরের মধ্যে প্রবেশ করানো হচ্ছে, যে গাড়ির মধ্যে ওই পিতার লাশ রাখা হয়েছে। ছবির কমেন্টেস -এ লোকজন মন্তব্য করছে, বিএমডব্লিউ’র স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম মৃত লোকটিকে স্বর্গের পথ দেখাতে সাহায্য করবে।


গরিব একটি দেশে এরকম একটি কাজে টাকা ব্যয় করার সমালোচনাও কম হয়নি ওই ছবি নিয়ে। একজন সমালোচনাকারী লিখেছেন, পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় তাকে গাড়ি কিনে দেয়া উচিত, আর মারা গেলে কিনে দিতে হয় কফিন। এই ধরণের কাজকে লোক দেখানো আচরণ বলেও সমালোচনা করেন এক ব্যক্তি।

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ -এর সময়সূচি

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ -এর সময়সূচি

admin June 01, 2018
ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ -এর সময়সূচি




#Tags
fifa world cup 2018 fixtures
fifa world cup 2018 fixtures bd time
world cup football 2018 bangla fixture
world cup football schedule
world cup football schedule 2018 pdf
russia world cup 2018
fifa world cup 2022
2022 qatar world cup
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ ফিকচার
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ ফিকচার ডাউনলোড
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ এর সময়সূচি
ফিফা কাপ ২০১৮
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা কাপ ২০১৮ সময়সূচি
রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী-২০১৮
ফিফা কাতার বিশ্বকাপ ২০২২
২০২২ ফিফা কাতার বিশ্বকাপ
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ

মাদকবিরোধী অভিযান: উত্তরাঞ্চলে একরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

মাদকবিরোধী অভিযান: উত্তরাঞ্চলে একরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

admin May 26, 2018

ডেস্ক রিপোর্ট:
উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের সবাই মাদকব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। অভিযানের সময় দেশীয় অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা, গাঁজা উদ্ধার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে জয়পুরহাটরে পাঁচবিবিতে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন, দিনাজপুর সদরের রামসাগর ও বীরগঞ্জ উপজেলায় রাত ৩ টর দিকে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন, পাবনায় শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন এবং কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় শনিবার ভোরে ১ জনসহ মোট ৬ জন মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়।


পুলিশের ভাষ্য, উল্লিখিত স্থানে অভিযানের সময় মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণ করে। এময় পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশও পাল্টা আক্রমণ চালালে এসব নিহতের ঘটনা ঘটে।


প্রসঙ্গত, মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত ১৯ মে রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের সবাই মাদক কারবারির সাথে যুক্ত বলে দাবি আইনশৃংখলা বাহিনীর।


অপরদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের ঘটনা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে তারা।

সারাদেশে ৬ দিনে নিহত ৪৫ মাদকব্যবসায়ী

সারাদেশে ৬ দিনে নিহত ৪৫ মাদকব্যবসায়ী

admin May 25, 2018

ডেস্ক রিপোর্ট:


গত বুধবার (২৩ মে) রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকাল পর্যন্ত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১০ জন মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে গত ৬ দিনে কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৪৫ জন।


পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সবাই মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালানোয় পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি চালায়। এতেই এই নিহতের ঘটনা ঘটে।


এদিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এসব ঘটনাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবিও জানিয়েছে তারা।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, “মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। যে কেউই মাদকব্যবসার সাথে যুক্ত হলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এই ব্যাপারে কিছুই সহ্য করা হবে না। সে সাংসদ হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও ব্যক্তি হোক।”


তিনি বলেন, “মাদকব্যবসার সাথে সাধারনত সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত এবং যেখানেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানেই তারা অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমণ করছে। আক্রমণ করলে তো পাল্টা আক্রমণতো হবেই, সেই কাউন্টার এ্যাটাকেই এ নিহতের ঘটনাগুলো ঘটছে।” মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে এসব অভিযান চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতে যাওয়ার ছুটি চেয়ে হজে যাওয়ার ছুটি পেলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যাপক!

ভারতে যাওয়ার ছুটি চেয়ে হজে যাওয়ার ছুটি পেলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যাপক!

admin May 02, 2018


এক্সপ্রেস ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক অধ্যাপককে হজে যেতে ৫০ দিনের ছুটি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যিনি ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ থেকে জারি করা ওই আদেশের স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৮.০১০.৪৩৪। ওই অধ্যাপকের নাম অরুন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের অধ্যাপক। জারিকৃত ছুটির আদেশে তাকে আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৫০ দিন ছুটি দেওয়া হয়।


বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুরশিদা শারমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে জেনে বিষয়টি জানাতে পারবো।’


এ বিষয়ে ‘ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন’ উল্লেখ করে অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমি সরকারি আদেশটি আমি দেখেছি। সেখানে ভারতে ছুটিতে যাওয়ার কথা না লিখে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয়ের ভুল। কলেজটির অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, ‘মন্ত্রণালয় এর আগেও এমন ভুল করেছিল। অরুন চন্দ্রের বিষয়টি আমিসহ অনেকেই জানি’। তিনিও বলেন, এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয়ের ভুল।


মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা যে আদেশে অধ্যাপক অরুন চন্দ্রের ছুটি দিয়েছে, ওই আদেশেই নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কালেজের এক সহযোগী অধ্যাপককেও ওমরা পালনের জন্য ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ২১ দিন ছুটির আদেশ দেয়। নাছিমা বেগম নামে ওই সহযোগী অধ্যাপক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার ছুটির আদেশনামায় গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ আছে। আমাদের ছুটির একসঙ্গে আদেশ হলেও আমি ওনাকে চিনি না। তবে হয়তো আমরা একই ক্যাডারের, তাই একসঙ্গে।’

জানেন ফুটপাতের শরবত পান কতটা ক্ষতিকর?

জানেন ফুটপাতের শরবত পান কতটা ক্ষতিকর?

admin April 21, 2018
[caption id="attachment_399" align="aligncenter" width="1111"] ফাইল ছবি[/caption]

হেলথ ডেস্ক: গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে প্রকৃতি। গ্রীষ্ম শুরুর আগেই থেকেই প্রখর রোদে রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করাটা বেশ কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষণীয় গরমকালে শীতল পানীয়র চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের রাস্তাঘাটের অস্থায়ী বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয় আখের রস, তরমুজ-আনারসের শরবতসহ বিভিন্ন ধরনের ঠাণ্ডা জ্যুসের শরবত। আর এইসব শরবত তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ঠাণ্ডা বরফ। ব্যস্ততম শহরে গাড়ি-ঘোরা, ধুলো-বালি আর মানুষের ঠেলাঠেলি সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত শরীরে গলা শুকিয়ে আসা স্বাভাবিক। প্রকৃতির গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানীয়ের চাহিদা বাড়তে থাকে। এমতাস্থায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ছুটে যায় এস অস্থায়ী দোকানে।


চিকিৎসকরা বলছেন, ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের শরবত নিরাপদ নয়। তাদের শরবতের পানি, বরফ কোথা থেকে আসে ঠিক নেই। এ শরবত পান করলে কিডনি বিকল, পানিবাহিত রোগ, গ্যাস্ট্রিক, হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস, লিভারের জটিলতা, পাকস্থলীতে প্রদাহ, খাদ্যনালিতে সমস্যা, পেপটিক আলসারসহ মারাত্মক জটিল রোগ হতে পারে। জানা গেছে, রাস্তার এই ঠাণ্ডা পানীয়তে বরফ দেওয়া হয়, তা মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত বরফ।


সরেজমিনে দেখা গেছে, শরবতকে সুস্বাদু করার জন্য পানির সঙ্গে কনডেন্সড মিল্ক, শরবতের চেহারা দেখতে সুন্দর করার জন্য রং, স্বাদে মিষ্টি করার জন্য সেকারিন, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যেসব ফল থেকে এসব পানীয় তৈরি হয়, তা বেশিরভাগ সময়ই খোলাভাবে রেখে দেওয়া । এগুলোর ওপর পড়তে থাকে ধুলো-বালি, বসতে থাকে মশা-মাছি। আর অনেক সময় ফল বা গ্লাস-মগ ধোয়া হয় নোংরা পানিতে। আর বিক্রতেরা এসব পানীয় পরিবেশন করেন নোংরা হাতে।


ফুটপাতের এসব শরবত পান করা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর -এই কথা এখন সর্বসম্মত। আসুন জেনে নেওয়া যাক এসব শরবত পানের ব্যাপারে ডাক্তারগণ কি বলছেন-


ঠাণ্ডা শরবত শরীরকে সাময়িকভাবে ঠাণ্ডা রাখছে বলে মনে হলেও এটি আসলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ঠাণ্ডা রাখার বিষয়টা পুরোটাই মানসিক। আর প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে। ফলে হতে পারে ডায়রিয়ার মতো রোগ-ব্যধি। রাজধানী ঢাকার উত্তরার ডা. রাশিদা কেয়া রাস্তার দোকানের শরবত, আখের রস ইত্যাদি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, খোলা শরবত খেয়ে নিজের অজান্তে বহু রোগ-জীবাণু প্রতিনিয়তই নিজের শরীরে অবাধে ঢুকার ব্যবস্থা ভুলেও করবেন না। কেননা এতে প্রাথমিক পর্যায়ে জানতে না পারলেও ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, কলেরা ও হেপাটাইটিস 'এ' এবং 'ই'র মতো রোগগুলো বহন করছে পরে। এছাড়াও তিনি বাইরের খোলা খাবার, অনিরাপদ পানি না খাওয়ারও পরামর্শ দেন।


বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞানী খাদিজা খাতুন বলেন, ফল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আর গরমে তা খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু রাস্তার শরবত দেহে বিপরীত কাজ করে। পেটে পীড়া, গ্যাসটিকসহ বিভিন্ন ছোট-বড় রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই এসব বর্জন করা উচিৎ। আর বাচ্চাদের জন্য এ ধরনের খাবার একদমই খাওয়া ঠিক নয়। তিনি পরামর্শ দেন, ফল কিনে বাসায় নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে খাওয়া উচিৎ। এমনিতেই বাজারের ফলে কেমিক্যাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর ওপর যদি তা অস্বাস্থ্যকর ফলের দোকান থেকে কিনে খাওয়া হয়, তবে সমস্যা বিকট আকার ধারণ করতে পারে।


জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সামিহা শবনব জানান, অনিরাপদ পানি জারে ভরে শরবত বানিয়ে বিক্রি করা হয় ফুটপাতে। এসব জারে থাকে ব্যকটেরিয়া আর রোগজীবাণু। বিশুদ্ধ পানি দিয়ে বরফ জমানো না হলে সেই পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। উত্তরার এক হোমিও চিকিৎসক জানান, ‘বেশির ভাগ শরবত বিক্রেতার কাছে যে পানি ও বরফ রয়েছে তা নিরাপদ নয়। এ কারণে লোকজন অসুস্থ হচ্ছে। ঘনচিনি দেওয়া শরবত স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ চিকিৎসকদের মতে, তীব্র গরমে প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সে পানি হতে পারে লেবু শবরত, ডাবের পানি। এছাড়াও উচ্চরক্তচাপ না থাকলে খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ পান করা যেতে পারে বলে মত দেন তারা।

কাউনিয়ায় ইলেক্ট্রনিক্স দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি

কাউনিয়ায় ইলেক্ট্রনিক্স দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি

admin April 19, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: কাউনিয়া থানায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে। মটরসাইকেল ও গরু চুরির পাশাপাশি দোকান চুরিও এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ থানায়। গত কয়েক দিনে দুটি দোকান চুরি যাওয়ার পর আবারও ঘটলো দোকান চুরির ঘটনা।


জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কাউনিয়ার বালাপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তকিপল হাটের একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানের লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। বাজারের সালমা মোবাইল জোন এন্ড ইলেকট্রনিক্স দোকানের সাঁটার বাঁকা করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোররা।


দোকানটির মালিক সাখাওয়াত হোসেন জানান, রাত ১১টায় দোকান তালাদিয়ে বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। সকালে দোকানে এসে দেখেন দোকানের সাঁটার বাঁকা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানে থাকা ৫০টি মোবাইল ৩২ হাজার টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে।


উপজেলা মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মাসুদ আলম বলেন, এভাবে একের পর এক দোকান চুরি যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশিদ জানান, দোকান চুরির ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে চুরি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত এশিয়ান টিভির সাংবাদিক

রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত এশিয়ান টিভির সাংবাদিক

admin April 19, 2018


রংপুর এক্সপ্রেস: একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সংবাদ সংগ্রহের সময় দুবৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এশিয়ান টিভির ক্যামেরাপার্সন ও রংপুর ভিডিও জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক একেএম সুমন মিয়া। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে -এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার জনসেবা ক্লিনিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বুধবার রাত ৯টার দিকে এ হামলার শিকার হন তিনি।
তার সহকর্মীরা জানান, ওই ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে -এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পিছন থেকে সুমনের মাথায় আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই সঙ্গা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন তিনি। সুমনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর বলেও জানান তার সহকর্মীরা।

জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেরোবি ছাত্রী গ্রেপ্তার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
বহিস্কার

জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেরোবি ছাত্রী গ্রেপ্তার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার

admin April 06, 2018


রংপুর: জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সাদিয়া আফরোজ নীনা (২৪) নামে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স (স্নাতক) চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হাতীবান্ধার ধুবনী গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে বহিস্কার করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাদিয়া আফরোজ নীনা হাতীবান্ধার ধুবনী গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে।


সাদিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য ও সে জেএমবির তামিম গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত দাবি করে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘উদ্ধারকৃত ফোনে বিভিন্ন মানসিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের জখমের ছবি, অস্ত্র ব্যবহারের ফুটেজ এবং বিভিন্ন জঙ্গি নেতার ছবি ও তাদের বক্তব্যের রেকর্ড পাওয়া গেছে।’ ‘এছাড়াও তার ফেনে যোগাযোগ স্থাপনসংক্রান্ত অ্যাপস, টেলিগ্রাম, অরবিট, অরফক্স নামে তিনটি অ্যাপস (ফিচার) পাওয়া গেছে, যার মাধ্যমে সে অন্য জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ করত।’ -বলেন ওসি।


পুলিশ বলছে, সাদিয়া জঙ্গিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং জঙ্গি সদস্যদেরকে দেশের অভ্যন্তরে নাশকতা করার জন্য বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করতো। গ্রেপ্তারের পর সাদিয়ার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে (১৫(৩)/১৬(২) ধারায়) মামলা করা হয়। অভিযানের সময় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন আসামি পালিয়ে যায় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বেরোবি উপচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর এক নির্বাহী আদেশে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আপনার ফেসবুক প্রোফাইল নিরাপদ? দেখুন কারা কিভাবে তথ্য হাতাচ্ছে

আপনার ফেসবুক প্রোফাইল নিরাপদ? দেখুন কারা কিভাবে তথ্য হাতাচ্ছে

admin April 06, 2018

টেক এক্সপ্রেস: ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের কাজে যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Cambridge Analytica ফেসবুক থেকে আট কোটি সত্তর লাখ ইউজারের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিলো বলে মনে করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার এক ব্লগপোস্টে ফেসবুকের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ফেসবুক থেকে তথ্য বেহাত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে। গ্রাহকের না জানিয়ে তাদের তথ্য ব্যবহারের এই খবরে ফেসবুক জনক মার্ক জাকারবার্গকে ইতোমধ্যেই তলব করেছে ব্রিটিশ সংসদ। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পরলে ‘ডিলিট ফেসবুক বা বয়কট ফেসবুক’ হ্যাশট্যাগ (#DeleteFacebook) দিয়ে ফেসবুক বয়কট করার প্রচারণাও চালাচ্ছেন অনেকে। এছাড়াও অনলাইন জগতের বাসিন্দাদের চাপে এরই মধ্যে তথ্য হাতানোর ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন জাকারবার্গ।


এখন নতুন বিশ্বের ফেসবুক ইউজারদের মনে সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ফেসবুকে দেওয়া তার তথ্য কেউ হাতিয়ে নিচ্ছে কিনা বা তার প্রোফাইলটি নিরাপদ কিনা? আমরা অনেক সময় আমাদের নিউজ ফিডে বিভিন্ন আকর্ষণীয় কুইজ দেখে তাতে ক্লিক করি এবং ওই অ্যাপসটি আমাদের একাউন্টে যোগ করি। এসব কুইজের মধ্যে রয়েছে- “অতীতে আপনি কে ছিলেন? আপনার গুণ কী? আপনাকে কোন মেয়েটি পছন্দে করে বা আপনার ব্যক্তিত্ব কিংবা আপনাকে কে ফলো করছে” ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে আমাদের প্রোফাইলে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য অন্য কোম্পানির (থার্ড পার্টি) কাছে চলে যাচ্ছে, যারা কিনা এটি বিক্রি করে দিতে পারে বা নিজেদের স্বার্থে  ব্যবহার করতে পারে! ঠিক এমন পদ্ধতি প্রয়োগ করেই Cambridge Analytica ফেসবুক থেকে আট কোটি সত্তর লাখ ইউজারের তথ্য হাতিয়ে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, ‘This Is Your Digital Life’সহ কয়েকটি অ্যাপস কুইজের মাধ্যমে এসব ইউজারের তথ্য হাতিয়ে নেয় Cambridge Analytica.



দ্য ডিজিটাল লাইফ অ্যাপস এর লোগো


এসব কুইজে অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশ করতে চাইলে, আগে ওই অ্যাপসগুলো আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে প্রবেশের অনুমতি চায় বা বিভিন্ন তথ্য চায়। হালকা বিনোদনের জন্যই এসব কুইজ শেষ করতে চাইলে এসব তথ্য দিতে আপনি একরকম বাধ্য। বিনোদনের ছলে আপনার অজ্ঞাতসারে আপনার প্রোফাইলের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে সেই কুইজ বা অ্যাপের মালিকরা। এখানেই শেষ নয়। তারা অন্য কোম্পানির কাছে তথ্য বিক্রি করার জন্য এটি করছে অথবা তাদের উদ্দেশ্যই অন্য কোম্পানির কাছে তথ্য বিক্রি করে দেওয়া, যা তারা অনায়াশেই করতে পারে।



ফেসবুক নিউজ ফিডে আসা অ্যাপগুলোতে ক্লিক করলে বলা হয় ‘ফেসবুক থেকে লগ ইন করুন’। সব অ্যাপসে প্রায় একই নিয়ম।



ফেসবুক থেকে লগ ইন করতে চাইলে প্রায় সব অ্যাপস -এ  উপরের স্ক্রিনশটে দেওয়া অপশনটি আসে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের উচিৎ এসব তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) কোন অ্যাপসের প্রতি আকৃষ্ট না হই। তবেই আমাদের প্রোফাইল সুরক্ষিত থাকবে। হ্যা, প্রযুক্তিবিদরা অনেক আগে থেকেই আমাদের এসব বিষয়ে সতর্ক করছেন। তারা বলছেন, বিভিন্ন অ্যাপসের হাতে আমরা যেসব তথ্য তুলে দিচ্ছি এগুলো তারা চাইলেই ভিন্ন কোন উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এসব অ্যাপস কোম্পানি বিভিন্ন ‘গোপনীয়তা নীতি’দিয়ে থাকে।


নেমটেস্ট ডটকম এভোবেই বিভিন্ন আকর্ষণীয় কুইজ শেয়ার করে ফেসবুকে। ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া স্ক্রিন শট।



নববর্ষে কে আপনাকে পান্তা খাওয়াবে? আসছে নববর্ষ তাই এমন একটি আকর্ষনীয় কুইজ শেয়ার করেছে একটি  সাইট। 



  এ রকম কুইজ দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করে এরকম কিছু অ্যাপসের নাম ও লোগো -


 

মার্ক জাকার্বাগের ফেসবুক যদি তার ইউজারদের তথ্য সুরক্ষিত না রাখতে পারে তবে এ সব অ্যাপস তাদের ইউজারদের তথ্য নিরাপদ রাখবে?


তাই আর দেরি নয় এখনই অ্যাপসকে ঝাটিয়ে বিদায় দিন আপনার প্রোফাইল থেকে। ফেসবুক সেটিং > অ্যাপস > ওইসব অ্যাপেটিক দিন > রিমোভ।


আপনার প্রোফাইলের অ্যাপসগুলো। দেখুন > সেটিং > অ্যাপস; এসব অ্যাপস এ টিক দিয়ে ডান সাইডের উপরে থাকা রিমোভ বাটনে ক্লিক করলে অ্যাপসগুলো ডিলিট হবে -



ধন্যবাদ
ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে সৈয়দপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে সৈয়দপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

admin April 04, 2018


সৈয়দপুর, নীলফামারী: ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলা চত্বর থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


র‌্যালি শেষে উপজেলা কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বজলুর রশীদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওনক জাহান রিনু, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কণিকা রাণী সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।



এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের ভূমি সহকারীগণসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধিগণ।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three