আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ পথ চাই’ আন্দোলন

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ পথ চাই’ আন্দোলন

admin August 05, 2018

নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে ‌‘নিরাপদ পথের দাবিতে’ আন্দোলন করছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এ খবর ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তারা নিয়মিত কভার করছে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের খবর।


আজ বিবিসি তাদের খবরে ঢাকায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মামলায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানায়। বিবিসি বলছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দমনে পুলিশ রাস্তার আবর্জনা ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানায় আহতদের কয়েকজনের অবস্থা খুব খারাপ। খবরে বলা হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।


ডয়েচে ভেলে তাদের আজকের খবরে জানায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলার খবর। ডয়েচে ভেলে বলছে, হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে গুজব স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগ বলছে, সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ১৮ জনের মত কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ দাবি করেছে বিএনপি-জামায়াত শিবির দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশিক্ষিত লোক এনে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে এসব হামলা করাচ্ছে।



[নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


বিবিসি ছাড়াও এএফপি, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পার্সটুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, স্ট্রেইট টাইমস, সিনহুয়াসহ প্রায় সব মিডিয়াই খবর প্রকাশ করেছে ছাত্রছাত্রীদের রোড সেফটি নিয়ে আন্দোলন। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয় দফা দাবি নিয়ে গত সাতদিন ধরে চলছে শিক্ষার্থীদের রোড সেফটি আন্দোলন ও নানান কর্মসূচি। আন্দোলন চলাকালে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকায় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের। তারা রাজধানীর মোড়ে মোড়ে গাড়ি-সিএনজিগুলোর লাইসেন্স চেক, শৃংখলামত গাড়ি ও রিকশা চলাচলে কঠোর ভূমিকা পালন করে। এতে করে রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরে সড়কে, সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সর্ব-সাধারনের অনেক প্রশংসা পেয়েছে।

নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

admin August 03, 2018

গত কয়েকদিন ধরে আপদশূন্য পথের দাবিতে সারাদেশ উত্তাল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে এসেছে পথে। তাদের নয় দফা বিভিন্ন দাবি দাওয়ার মূল কথাই হচ্ছে নিরাপদ সড়ক। গত রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলের কাছে বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষমান ছাত্র-ছাত্রী উপর একটি বাস তুলে দেওয়ার ঘটনায় দুই জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার পর থেকেই এ আন্দোলনের সূচনা ঘটে। নিহত দুই জনই শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।


ঘটনার চতুর্থ দিন পেরিয়ে গতকাল পঞ্চম দিনেও সেই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েও স্তিমিত করা যায়নি আন্দোলনের বেগ। ছুটির দিনেও ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে এসেছে রাজপথে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছে রাস্তার নিরাপত্তা। সেই লক্ষ্য তারা নিজেরাই গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করা শুরু করে দেয়। তাদের পরীক্ষার আওতা থেকে বাদ যায়নি মিডিয়া, পুলিশ কারোর গাড়িই। এমনকি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উন্টে পথে চলতে থাকা বাণিজ্যমন্ত্রীর গাড়িকেও ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য করার নজীর স্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা!



[সড়কদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


যেসব চালকের লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই সেসব পাড়ি তারা আটকে দেয়। সাথে সাথে জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত মিভিয়াকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে তারা লজ্জার মুখে ফেলে দেয়। তাদের প্রশ্ন, আপনারাই যদি আইন না মানেন তবে অন্যরা মানবে কেন? ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের পর থেকে টনক নড়েছে চালকদের মাঝেও। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সুন্দর শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে রাস্তায়। এমনকি রিক্সাচালকেরা পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে রিক্সা চালাচ্ছে এমন অনেক ছবি ও ভিডিও সামাণ্ডিকে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে।



[সড়কদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


অন্যদিকে বড় গাড়িগুলোও অাইন মেনে চলতে দেখা গেছে। সর্বডানের লেইনে নিরাপদে চলতে দেখা গেছে রােগীবাহী এম্বুলেন্সগুলোকে। শিক্ষার্থীদের এই অভূতপূর্ব ভূমিকায় সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও অকুন্ঠ সমর্থন জানানো হচ্ছে। তারা নানা স্থানে শিক্ষার্থীদেরকে রুটি, পানি ও ছাতা দিয়ে উৎসাহিত করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের রাজপথে নেমে আসায় পরিবহন কােম্পানিগুলো ঘাড় ঘুরিয়ে বসেছে। নিরাপত্তার অজুহাতে তারা রাস্তায় বাস নামাচ্ছে না। রাজধানীর সাথে অনেক রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী সাধারণ ভোগাস্তিতে পড়ে। কথা হচ্ছে এই আন্দোলন দিয়ে হয়তো আমাদের সিস্টেম পুরোপুরি বদলে যাবে না।



[মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি]


ছাত্ররা সারা জীবন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বও পালন করতে পারবে না। তাই ‌‌‌‌'রাস্তার ট্রাফিক পুলিশ পুরোপুরি দুর্নীতিহীন হয়ে যাবে, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানও একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে, বিআরটি এর অসাধু কর্মকর্তা ও দালালরা পুরোপুরি সাধু হয়ে যাবে'- এমনটা আশা করা হয়তো ঠিক হবে না। কিন্তু এদেশের মানুষ কেমন রাস্তা চায়, কেমন চালক চায়, কেমন ট্রাফিক পুলিশ চায়, কেমন প্রশাসন চায় সেই বার্তাটা রাষ্ট্রযন্ত্রের কানে পৌঁছে দিতে পেরেছে। সেই সাথে তারা দেখিয়ে দিয়েছে আন্তরিকতা থাকলে আসলেই রাস্তায় শৃঙ্খলা আনয়ন করা যায়।


এখন শিশুদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আন্তরিকতার সাথে দেশের স্ব-স্ব বিভাগগুলো কাজ করে তবে নিশ্চয় দেশের এই ঘুনে ধরা সিস্টেম পাল্টাতে বাধ্য। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পার হয়ে গেলেও এই দীর্ঘ সময়ে বড়রা যা করতে পারেনি ছোটরা তা করে দেখিয়েছে। তাই ছোটদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে দোষের কিছু নেই, লজ্জারও কিছু নেই। এখন সকলের উচিত এই শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে নিয়ে আসা।


[the_ad id="886"]
মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

admin August 01, 2018

দারিদ্র থেকে মুক্তির আশায় পুরুষের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারী কর্মীরাও বিদেশে  বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দিয়ে থাকেন। নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দেশ ছেড়ে অনেক স্বপ্ন নিয়েই সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু দেশে গিয়ে থাকেন। উন্নত দেশ হওয়ায় এসব দেশে সাধারণ কোনো কাজ পেলেই অর্থের অভাব হবে না- এই আশ্বাস দিয়ে দালালরা খুব সহজেই নারী শ্রমিকদের মনে আশার সঞ্চার করে। এভাবে তারা বিদেশে পাঠাতে যতটা না ব্যয় হয়, তার চেয়েও বেশি খরচ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর চরম বাস্তবতার সঙ্গে পরাজিত হয়ে সব স্বপ্নকে মধ্যপ্রাচ্যের ওই তপ্ত মরুতে চাপা ফিরে আসে তারা। না হয় তাদের দু:খের শেষ, না শেষ হয় কষ্টের সেই করুন গল্প। তাই বিদেশে এসব শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


মিডিয়ার কল্যাণে এ দেশের নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের ভয়াবহতা এখন প্রায়শই খবর পাওয়া যায়। নির্মম অত্যাচার সইতে না পেরে তারা দেশে ফিরে আসছে। আবার অনেকে সেখানে কি অবস্থায় আছে সেটা জানারও উপায় নেই। যারা ফিরে আসছেন তারা বলছেন, ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শক, অতিরিক্ত সময় কাজ করিয়ে নেওয়া, পাসপোর্ট রেখে দেওয়া, খাবার খেতে না দেওয়া, ধর্ষন ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। আর নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া চাকরিও ছাড়া যায় না; দেশেও ফেরত আসা যায় না।

আবার অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে গেলে জরিমানা থেকে শুরু করে তাদের ফেরত পাঠানোর ভয়তো আছেই। তাছাড়া কর্মী-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টো কর্মীর বিরুদ্ধে তখন চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। গৃহকর্তারা যখন নির্যাতন করে, তখন আসলে সেসব নির্যাতনের প্রমাণ রাখা খুবই কঠিন। কারণ এগুলোর বেশিরভাগই মালিকের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানে করা হয়ে থাকে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা যায় না।



[পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে, মধ্যপ্রাচ্যে এদেশের শ্রমিকদের সংখ্যা একুশ লাখের কাছাকাছি। দেশের ৭ লাখের বেশি নারী কর্মী বিদেশে কাজ করছেন, যার মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ সৌদিতে। এখন নির্যাতিত নারীরা ফেরত আসছে। এই বিষয়টি আসলে এখন নারী নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে দেশের জন্যও অপমানজনক হয়ে গেছে। সৌদিরা জানে, আইনগতভাবে কিছু করা যাবে না তাদের বিরুদ্ধে। আমাদের দেশটাকেও এ ধরনের আচরণের দ্বারা তারা যথেষ্ট অপমান করে যাচ্ছে। তবে নির্যাতন বাড়ার ফলে নারী শ্রমিক যাওয়ার সংখ্যা কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। কারণ পেটের দায়ে আমাদের নারীরা যেন বাধ্য হয়ে পড়েছে দাসত্ব খাটতে।




[মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ]



অন্যদিকে ভিন্ন গল্পও চালু আছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নারীরা খাপ খাওয়াতে পারছে না অথবা অধিকাংশই দেশে এসে মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে। কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ দাবি সর্বৈব সত্য হতে পারে না। কারণ এ ধরনের ঘটনার অহরহ বর্ণনা নিয়মিত শোনা যায়। তাছাড়া সৌদি গৃহমালিকরা যদি এ ধরনের অমানবিক আচরণ করেও থাকে তবে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসাও বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে উপায় একটাই- আর তা হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ওসব দেশে তাদেরকে পাঠানোই একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।


যেহেতু আমরা ওদের কাছে কর্মসংস্থানপ্রার্থী সেহেতু আমরা তাদেরকে বাগে আনতে পারছি না। বরং আমাদেরকেই নিচু হয়ে তাদের অমানবিক আচরণ মেনে নিতে হচ্ছে। এমতবস্থায়, আত্মমর্যাদার স্বার্থে, নির্যাতনের প্রতিবাদে অবশ্যই আমাদেরকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। এভাবে আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে রেমিটেন্স এনে দেশ উন্নত করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। রেমিট্যান্স আসার কারণে নারীদেরকে আমরা এভাবে বিকিয়ে দিতে পারি না। বিদেশে নির্যাতিত নারীদের কান্না নিয়ত দেশবাসীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করছে। তাই রাষ্ট্রকেই দেশের সম্মান ধরে রাখায় পদক্ষেপ নিতে হবে।

পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য

পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য

admin July 31, 2018

বাংলাদেশ সরকারেরর নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। তিনি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতিও। দেশের পার্লামেন্টের একজন সংসদ সদস্য, একজন মন্ত্রী। শ্রমিক সমিতির সভাপতি হওয়ার দরুন মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকে বরাবরই পথদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তিনি গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন তিনি। পথদুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও যেন তার কাছে হাস্যকর ব্যাপার। সম্প্রতি তার মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও। সোমবার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই দু:খ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তাকে সংযত হয়ে কথা বলা নির্দেশ দিয়েছেন।


গত রবিবার ঢাকার বিমানবন্দরে বেপরোয়া এক বাসের চাপায় মারা যান দুই কলেজ শিক্ষার্থী। এতেও মন্ত্রী পক্ষ নেন গাড়ির শ্রমিকদের, এ নিয়ে গত রবিবার থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় চলছে তার সমালোচনা। ওই পথদুর্ঘটনার পর তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ভারতের এক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে অট্টহাসি হাসেন।



আরও পড়তে পারেন


[পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


শুধই এই প্রথম নয় এর পূর্বে বরাবরই তিনি এমন বিরুপ মন্তব্য করেছেন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে। ২০১১ সালে এক সমাবেশে রাস্তার গরু-ছাগল বা মানুষ চিনতে পারলেই চালকদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিতে হবে এমন বক্তব্য দেন। এ নিয়ে ওই সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।


পথদুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় এক ড্রাইভারের যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আদালত। এতে পরিবহন শ্রমিকরা খুলনা বিভাগের ধর্মঘট শুরু করে। ওই সময়ই সাভারে পথদুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভারকে ফাঁসির দণ্ড দিলে সারা দেশে ধর্মঘট করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসব ধর্মঘটকে প্রকাশে সমর্থন দেন এই মন্ত্রী। ওই সময় তিনি বলেছিলেন শ্রমিকরা আর কাজ করবেনা । তারা অবসর নিয়েছে।


চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বাস চালকদের বেপরোয়া গতি, বাসের রেষারেষির কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ঘটলে ফুসে ওঠে সচেতন মহল। এ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে শাজাহান খান পথদুর্ঘটনার জন্য চালকদের সাজা বাড়ানো হলে দুর্ঘটনা কমবে না বলে মন্তব্য করে। এসব নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা ও চালকের শাস্তির সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ করায় অনেকেকেই তার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। শ্রমিক এসোসিয়েশনের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও এসব কিভাবে সম্ভব?

পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে

পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে

admin July 30, 2018

রাস্তায় গাড়ি চালকদের বেপরোয়া ও অসর্তকতার সাথে গাড়ি চালানোর কারণে কখনও প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ পথচারীদের, কখনবা যাত্রীদের। একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ ও ভীতি। প্রশ্ন উঠেছে বাস চালক-হেলপাররা কি তবে কিলিং মিশনে নেমেছে?


মাত্র কয়েকদিন আগে হানিফ পরিবহনের চালক -হেলপার কর্তৃক পায়েল নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে রীতিমতো হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হেলপার। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর বাস উঠিয়ে দিল আরেক চালক। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বারো জন। এভাবে শিক্ষার্থীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ অন্য শিক্ষার্থীরা বেশকিছু বাস ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়তেন।


প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, বিমানবন্দর সড়কের বাঁপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বাসে উঠার জন্য সিগন্যাল দিচ্ছিল। এসময় আরেক বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুতগতিতে আসা জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসটি শিক্ষার্থীদের না উঠিয়ে চাপা দিয়ে চলে যায়। গাড়ীর চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ঐ শিক্ষার্থীদের।


চালকদের এ ধরনের হটকারী কাণ্ডের প্রতিবাদে আজও বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে। বেলা বারো টার দিকে বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয়। দুপুর দেড়টা থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল চলাচলও বন্ধ রাখে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর সাড়ে তিনটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে নয় দফা দাবি আদায়ে চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিকেল চারটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।


এদেশের সৃষ্টিলগ্ন থেকে সড়ক, মহাসড়কে যত ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে, সন্দেহের প্রথম তীরটি কিন্তু ড্রাইভারদের গায়েই পরেছে। এর যথাযথ কারণও রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, দেশের সড়কগুলো প্রায় অর্ধকোটি অদক্ষ, ভুয়া ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের নিয়ন্ত্রণে। বলা যায়, বেপরোয়া গাড়ি চালাতেই এদের দক্ষতা রয়েছে।



আরও পড়তে পারেন


[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রায় ২৪ লাখ অদক্ষ ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভার আছে। অনেকের লাইসেন্স থাকলেও তা জাল বা নকল। ড্রাইভার অদক্ষ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের দ্বারা দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। শুধু তাই নয়, পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় মালিকদের দাপটের কারণেও আস্কারা পাচ্ছে ড্রাইভার-হেলপাররা। যে কারণে দুর্ঘটনার দায় নিতে তারা অস্বীকার করে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, এমনকি আইন প্রণয়নকারী মন্ত্রী- এমপি পর্যন্ত তাদের হাত বিস্তৃত। এ কারণে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর আইনও করা সম্ভব হচ্ছে না। এঁদের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত গেলে তারা সংঘবদ্ধভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশ অচল করে দেয়।


ড্রাইভার-হেলপারদের এই দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এখন ফুঁসে উঠছে। তাদের পক্ষ হয়ে দুর্ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে বক্তব্য প্রদান করায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক এসোসিয়েশনের প্রধান ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যে নয় দফা দাবিতে চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছাত্রছাত্রীরা দিয়েছে তার মধ্যে একটি দফা হচ্ছে তাঁর পদত্যাগ। এমতবস্থায় চালক-হেলপারদের বেপরোয়া মনোভাব দূরীকরণে কঠোর থেকে কঠোরতম আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে চাপে রাখা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। মানুষের প্রাণ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তাদেরকে দেওয়া যায় না। এখনই সময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চালক-হেলপারদের দৌরাত্ম্য রোধ করা।

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

admin July 28, 2018

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ক্রিক্রেট অলরাউন্ডার ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ফল আসার আগেই টেলিভিশনে জাতির উদ্দ্যেশ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী স্টাইলে’ দেওয়া এক ভাষণে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে দেন তার ভাষায় ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার ওয়াদা।


বর্তমানে সর্বত্র সন্ত্রাসবাদের বিস্তার, আত্মঘাতী হামলায়, রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিতে পাকিস্তান অনেকটা ভঙ্গুর রাষ্ট্রের রুপ ধারণ করেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও দেশটির অবস্থা শোচনীয়। এই মুহূর্তে পাকিস্তানকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আর সদ্য বিজয়ী ইমরান খানের ভাষ্য থেকে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরই একটি ইঙ্গিত প্রকাশিত হয়েছে।


ইমরান খান ভাষণের প্রথমেই দেশটিকে একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত মোহাম্মদ (স) এর গড়া মদীনা রাষ্ট্রের কথা, যার ভিত্তিই ছিল মানবিকতা। বক্তব্যে তিনি দুর্বল, শোষিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামর্থ্য দিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।


তবে ইমরান খান তার বক্তব্যে সবচেয়ে আশা জাগানিয়া যে কথাটি বলেছেন, যার চর্চা উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায় না, সেটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের ইতি ঘটানো। তিনি বলেছেন, তিনি একটি ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান দেখতে চান। যারা তাকে ভোট দেয়নি বা নির্বাচনের আগে যারা তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তাদের সে আচরণকে তিনি ভুলে গিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


পাশ্চাত্যের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যেকের জন্য আইনকে সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রচালকদের ভোগ বিলাসের কারণে প্রবাসী পাকিস্তানিরা দেশের বিনিয়োগ করেন না বলে তিনি রাষ্ট্রের দুর্নীতি ও বেহুদা খরচ কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন। নাগরিকরাও ট্যাক্স প্রদান করে না একই কারণে, যা তিনি বন্ধ করে পাকিস্তানকে একটি ব্যবসাবান্ধব দেশে পরিণত করার ব্যবস্থা তার সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন।


পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারেও পাকিস্তানকে তিনি অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। আফগানিস্তান, ইরান ও ভারতের সাথে তার উদারনীতি বাস্তবায়ন হবে বলে বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। আফগানিস্তান ভালো থাকলে পাকিস্তান ভালো থাকবে বলে তিনি মনে করেন। ভারতের সাথে কাশ্মির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাবেন। এক্ষেত্রে ভারত এক পা এগোলে তিনি দুই পা এগোনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


এদিকে ভারতীয় কূটনৈতিকরা মিডিয়াগুলো ইমরান খানের সরকার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে ভীত হয়ে যেভাবে তাকে খল চরিত্ররূপে প্রকাশ করতে সচেষ্ট হয়েছে তাতে তিনি দুঃখবোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সাথে তার গভীর আত্মীয়তাবোধ রয়েছে। বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানের ব্যাপারে সর্বদা সহযোগিতামূলক ভূমিকার জন্য চীন এবং সৌদি আরবের কথা স্মরণ করেন। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তিনি পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়তে চান।


দুর্নীতি ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের আখড়ায় নিমজ্জিত দেশটি সত্যিকার অর্থেই একটি শোচনীয় সময় পার করছে। ঠিক এই মুহূর্তে ইমরান খানের বিজয় এবং জাতির উদ্দেশে তিনি যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাতে সমস্যা সমাধানে তাকে যথেষ্ট পরিণত ও বিচক্ষণ বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।


তবে পাকিস্তানের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সব সময়ই অন্তরায় হয়ে দেখা গেছে দেশটির সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব খাটানো। বার বার সামরিক শাসনের কবলে পড়েছে দেশটি। এবারেও ইমরান খান যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন তাতে যদি সামরিক বাহিনী অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় তবে আশা করা যায় দেশটি একটি স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশে পরিণত হবে। এখন এই সব বিষয়ই দেখার অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বিশ্ববাসীর।


 

আরও পড়তে পারেন-


মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?

মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?

admin July 27, 2018

সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরের এক বাসার মাটির নিচে বস্তাভর্তি অর্ধ শত কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের স্বর্ণ বা গুপ্তধন আছে বলে খবর ছড়ায়। আর ওই বাড়িরর মালিক বিষয়টি নিয়ে বিরম্বনায় পড়ে যান। তিনি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়রি করেন, যাতে বিষয়টির অনুসন্ধান করা হয়। তার ডায়রি ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে কথিত গুপ্তধনের সন্ধানে মাটি খোড়ার অভিযান চালায় প্রশাসন।


ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে বিষয়টি নিয়ে এর আগে প্রথম থানায় ডায়রি করেন কক্সবাজারের টেকনাফের এক বাসিন্দা মো. তৈয়ব। তিনি দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন।




মো. তৈয়ব এসব কথা জানলেন কি করে?


মোহাম্মদ তৈয়ব জানান, একথা তার পাকিস্তান প্রবাসী বন্ধু মো. আলম জানিয়েছে। যে কিনা দিলশাদ খানের ছেলে ইব্রাহিমের বন্ধু। দিলশাদ খান যুদ্ধের পর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় এসেছিলেন এবং ওই বাড়িরর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার পর তিনি মারা যান।


ইব্রাহিম খানের বক্তব্য মো. আলম ও মো. তৈয়ব পুরোপুরি বিশ্বাস করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটির উপর নজরও রাখছিলে বলে মো. তৈয়ব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গুপ্তধনের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি তৈয়ব ও তার বন্ধু আলমের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে তিনি থানায় ডায়রি করেন।


স্থানীয় প্রাশসন ওই ডায়রিটিকে আমলে নিয়ে গত শনিবার বাসায় খোড়াখুড়ির অভিযান চালায়। একপর্যায়ে দুটি রুম খোড়া হলেও কোনও গুপ্তধন মেলেনি। মাটি খোড়ার কারণে বাড়ির ভিত দুর্বল হলে বিকেল খোড়াখুড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা করা হয়েছে এ ব্যাপারে স্ক্যানার বা রাডার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অভিযান চালানো হবে। পরামর্শ নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদের।


এখন সবার মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলে কি ওই বাসায় গুপ্তধন আছে নাকি এটা নিছকই গুজব। তবে মো. তৈয়বের ভাষ্যমতে অনেকেই আশাবাদী ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে যখন গুপ্তধন পাওয়া যাবে!


 

আরও পড়তে পারেন-


শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের পিটিআই শিবিরে বিজয়ের জয়োধ্বনি

শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের পিটিআই শিবিরে বিজয়ের জয়োধ্বনি

admin July 26, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বেশ কয়েকটি সহিংসতা, আত্মঘাতী হামলা, ৩২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে এগিয়ে আছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পিটিআই। আর ইতোমধ্যেই বিজয়ের উল্লাস দেখা গেছে পিটিআই শিবিরে।


গভীর রাতে দলটির ফেইসবুক পেজে ‘উজিরে আজম’ সম্বোধন করে স্বাগত জানানো হয় ইমরান খানকে। ইমরানের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই ‘উজিরে আজম’ হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে জয়োল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যদিও ফলাফল তখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।


পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলো জানাচ্ছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪২ ভাগ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। তাতেই ১১২ আসন পেয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল। আর এর মধ্যে নওয়াজ শরীফের দল ৬৫, বিলাওয়াল ভুট্টোর ৪৩ টির মতো আসন জিতেছে।


পাকিস্তানের এ নির্বাচনে জিততে হলে ১৩৭ আসন পেতে হবে দলকে। ফলাফলের চিত্রানুযায়ী, পুরোপুরি ভোট গণনা শেষ হলে পিটিআই ১৩৭ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী হতে ইমরান খানকে অন্য কোন দলের সাহায্য নিতে হবে না।


এদিকে পিএমএল এন ও পিপিপিসহ শীর্ষ দলগুলো পাতানো ভোটের অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে।


পাকিস্তান পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৩৪২
নির্বাচন হয়েছে ২৭২
সংরক্ষিত ৭০ টি আসন।



       আরও পড়তে পারেন-


গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান মুসলিম নেতার

গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান মুসলিম নেতার

admin July 26, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের এক শিয়া মতাবলম্বী মুসলিম নেতা ভারতীয় মুসলমানদের গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন ভারতে গোমাংশ খাওয়া বা গোহত্যা সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারি-হানাহানি বন্ধ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো এ খবর দিয়েছে। ওই মুসলিম নেতার নাম ওয়াসিম রিজভি। তিনি উত্তর প্রদেশের শিয়া ওয়াক্ফ বোর্ডের সভাপতি।


কয়েকদিন আগে রাজস্থানে এক মুসলিম গরু নিয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় তাকে গণধোলাই দিয়ে খুন করে আততায়ীরা। এই প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সমিতির নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের বক্তব্যকে সমর্থন করেন রিজভি। তিনি বলেন, গরুকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মায়ের মত দেখেন। তাই আমাদের উচিৎ তাদের ধর্মীয় অনূভূতি বিবেচনা করে গোহত্যা বন্ধ করা। আর গোমাংশ খাওয়া বাদ দেওয়া। এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার জন্য আইন প্রণয়ণের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।


ওয়াসিম রিজভি বরাবরাই মুসলমানদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করার জন্য নরেন্দ্র মোদির নিকট চিঠিও লিখেছিলেন। এ জন্য শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বী অধিকাংশ মুসলমান তাকে হিন্দুদের দালাল বলে মনে করে।


গণধোলাই দিয়ে হত্যা প্রসঙ্গে ইন্দ্রেশ বলেছিলেন, যিশু খ্রিস্ট গোশালায় জন্মগ্রহণ করেছিলে এজন্য বাইবেলে মাদার কাউয়ের কথা বলা আছে। আর মক্কা-মদিনাতেও গোহত্যা পাপ। তাই আমাদেরকে এই পাপ থেকে মুক্ত হতে হলে গোহত্যা হতে দেওয়া যাবে না।


ওয়াসিম রিজভি বরাবরাই মুসলমানদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। এর আগে ‘বেশির ভাগ মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়, শুধু দাড়ি রাখা মুসলমনার জঙ্গি হয়’ সহ নানান সময়ে নানান মন্তব্য করে বিতর্কিত হন রিজভি। তিনি ভারতের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করার জন্য নরেন্দ্র মোদির নিকট চিঠিও লিখেছিলেন। এজন্য শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বী অধিকাংশ মুসলমান তাকে হিন্দুদের দালাল বলে মনে করে।

তবে কি ইমরান নিয়াজীই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী?

তবে কি ইমরান নিয়াজীই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী?

admin July 26, 2018

পাকিস্তানে বুধবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সে দেশের জাতীয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা, আসতে শুরু করেছে ফলাফল। সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দুনিয়ার চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে। পাকিস্তানভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, এখন পর্যন্ত আসা ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নায়ক ইমরান খান নিয়াজী।


সর্বশেষ আসা ফলাফলে দেশটির জাতীয় এসেম্বলির ১৮১ আসনের মধ্যে ইমরান নিয়াজীর পিটিআই (Pakistan Tehrik-e-Insaf) লাভ করেছে ৬২ টি। নওয়াজ শরীফের Pakistan Muslim League (পিএমএলএন) ৪৩ এবং Pakistan Peoples Party (পিপিপি) পেয়েছে ২৬ টি। আর বাকি অন্যসব দল মোট পেয়েছে ৫০ টি আসন।


ফলে মোটামুটি আশা জেগেছে ইমরান খান নিয়াজীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে। তিনিই হয়তো হচ্ছেন পাকিস্তানের আগামীর প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য তার সাফল্যের বিষয়টি আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কেননা বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান নিয়াজীই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যার কোন করাপশনের রেকর্ড নেই। অন্য সকল রাজনীতিবিদদের করাপশনের রেকর্ড অনেকটা বিস্তৃত। নির্বাচনের আগেই করাপশনের অভিযোগে দেশটির ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বর্তমানে জেলে আছেন। আরও গুঞ্জন আছে, দেশটির সর্বময় ক্ষমতায় থাকা স্বশস্ত্র সেনাবাহিনীর সুদৃষ্টি আছে ইমরান ও তার দলের উপর।


এক সময়ের ক্রিক্রেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খান ও বর্তমান তেহরিক ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের পুরো নাম ইমরান খান নিয়াজী। তাঁরই অধিনায়কত্বে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ জয় করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ

মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ

admin July 25, 2018

বিশ্ব জনমত কিংবা মানবতার তোয়াক্কা না করে মিয়ানমার রাষ্ট্রটি সকলকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। যা মূলত বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশগুলোকে নিয়ে তামাশা ও মিয়ানমারের দাম্ভিক আচরণের বহি:প্রকাশ। তারা সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় হত্যা ও ধর্ষণ করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। হাজার হাজার বসতভিটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তারা নৃশংসতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্রগুলি তাদের অমানবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে। ফলে এক সময় রোহিঙ্গাদের প্রতি মৌখিকভাবে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করলেও তারা সেটা আন্তরিকভাবে করেনি বলে তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে বার বার প্রমাণিত হয়েছে।


অন্যদিকে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার ব্যাপারে চুক্তিও করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ দেশটিতে ফেরত যেতে চাচ্ছেন না। এর কারণ হিসেবে সেখানকার পরিস্থিতি এখনো শঙ্কাজনক বলে মনে করছেন জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারে এখনো নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। এখনো ‘হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া' অব্যাহত আছে। এ বছরও ১১ হাজার অধিবাসী রাখাইন থেকে পালিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এর অর্থ এখনো সেখানে সহিংসতা চলছে, যার ফলে তারা পালাতে বাধ্য হচ্ছে।


মিয়ানমারের প্রতিনিয়ত দাম্ভিক আচরণের প্রেক্ষিতে, তাদের জবাব কেবল ধিক্কার বা নিন্দা জানানোতেই যথার্থ নয়। তাই এখন মিয়ানমারকে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করে শায়েস্তা করা । এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসমূহের অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।


একদিকে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হওয়া ও অন্যদিকে তাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি না করার পাশাপাশি তারা ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদেরকে গ্রেফতার করছে। এটা শুধু রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্মমতা প্রদর্শনই নয়, বিশ্ববাসীর সাথে তামাশাও বটে। মিয়ানমারের মতো এমন ভণ্ডামিপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের একটা উচিত জবাব অবশ্যই বিশ্ববাসীর তরফ থেকে আসা উচিত। কিন্তু মিয়ানমারের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাম্ভিক আচরণে খোদ জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মুখ থেকে যথার্থ শক্ত প্রতিবাদ বা পদক্ষেপ আসছে না। এখনো ধিক্কারসূচক শব্দেই প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ রয়েছে।


যেমন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জাইদ রা’দ আল হুসেইন মিয়ানমারের এ ধরনের তামাশাসূচক আচরণে ’মিয়ানমারের লজ্জা থাকা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। মিয়ানমারের এমন আচরণের প্রেক্ষিতে, তাদের এমন অসভ্য দাম্ভিক আচরণের জবাব কেবল ধিক্কার বা নিন্দা জানানোতেই যথার্থ নয়। মিয়ানমার নিজেদের ন্যূনতম মানবিকতার মাথা খেয়েই রোহিঙ্গা নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাই এখন মিয়ানমারকে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করে শায়েস্তা করা । এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসমূহের অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের উচিত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মিয়ানমারের অসভ্য কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী হচ্ছে মূলত বাংলাদেশ। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশরও মিয়ানমারের বারংবার দাম্ভিকতা প্রদর্শনের উচিৎ জবাব দিতে জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

গুলাশানে আক্রমণ মামলার অভিযোগপত্র ও প্রত্যাশা

গুলাশানে আক্রমণ মামলার অভিযোগপত্র ও প্রত্যাশা

admin July 25, 2018

গুলশানের হোলি আর্টিসান জঙ্গি হামলার দুই বছর ২২ দিনের দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত সোমবার দায়ের করা ওই কেসের অভিযোগপত্র (Charge sheet) কোর্টে জমা দিয়েছে ইনভেসটিগেশন টিম। কেসটি ইনভেসটিগেশন করে পুলিশের Counter Terrorism and Trans-National Crimes (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযোগপত্রে জীবিত ৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (Charge sheet) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে অন্য অভিযুক্ত ১৩ জঙ্গি ২০১৬ সালের ০১ জুলাই থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়। জঙ্গি হামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক রেজাউল হাসনাত করিমকে। একই ঘটনায় আটক কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটির ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে এক বছর আগে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ হেফাজতে ও দুই জঙ্গি পলাতক আছে। পলাতক দুই জন ভারতে লুকিয়ে আছে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। অভিযানে নিহত হোলি আর্টিসানের পাচক সাইফুল ইসলামকে শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও তার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি। এমনকি জঙ্গি হামলার পর আটক হোলি আর্টিসানের কর্মী জাকির হোসেন শাওনের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
অভিযোগপত্র প্রদানের দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, এ হামলাটি চালানোর পেছনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান, আল কায়েদা, আইএস’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা। জঙ্গিরা মনে করতো, ওসব জঙ্গি সংগঠনের অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আছে। তাই তাদের দৃষ্টিতে আসতে পারলে এসব অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। সিসিটিসির প্রধান আরও জানান, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বেকায়দায় ফেলার। তারা মনে করেছিল, এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সরকার পড়বে বিপদে।


ঢাকায় হামলা চালানোর পেছনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ। জঙ্গিরা মনে করতো, তাদের দৃষ্টিতে আসতে পারলে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পাবে। এছাড়াও জঙ্গিরা আক্রমণ করে বিভিন্নভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছিলো।


২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিসান বেকারিতে থাকা বিদেশিসহ সব অতিথিকে জিম্মি করে ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। রাতে পুলিশ-র‌্যাবের যৌথ অভিযানে জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় ৩৩ পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালেহ উদ্দিন রাতেই মারা যান। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অপারেশনে ৫ জঙ্গিসহ ৬ নিহত হয়।
বাংলাদেশে সংঘটিত এ জঙ্গি হামলাটি সারা বিশ্বে ঘটা বড় বড় জঙ্গি হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা। ঘটনার রাত ও পরে বিশ্ববাসীর নজর ছিল ঢাকার এই ঘটনার দিকে। ঐ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে গজিয়ে ওঠা চরমপন্থী সংগঠন আইসিস এর রমরমা অবস্থা। তারা বিশ্বজুড়েই নানা নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই হত্যকারী তরুণ জঙ্গিগুলোগুলো এ অভিযানে নামে। ইসলামের নামে গজিয়ে ওঠা এসব উগ্রপন্থীরা মূলত ধর্মীয় বিকৃত ব্যাখ্যা দ্বারা উদ্ভুদ্ধ হয়ে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল। অর্থাৎ এদের পেছনে একটা আদর্শ কাজ করেছে। যে কারণে তারা আত্মঘাতী হতেও দ্বিধা বোধ করে না। কিন্তু তাদের এ আদর্শ ছিল ভুল আদর্শ। যে কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ আমাদের দেশের এসব ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা বর্তমানে একেবারে নির্মূলের পথে। মানুষ মেরে ধর্মপালন, নৃশংসতা চালানোর নীতিকে সাধারণ মানুষও সমর্থন করেনি। যে কারণে তারা কোথাও সহযোগিতা না পেয়ে ধরাশায়ী হয়ে জেল খাটছে।
আত্মঘাতী নীতিতে (ধর্মীয় বিকৃত নীতি) উদ্বুদ্ধ সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা সহজ কোনো কাজ ছিল না। তবে বেশকিছু সামাজিক ও ধর্মীয় আদর্শভিত্তিক দল এদের আদর্শকে বিকৃত ও অগ্রহণযোগ্য আদর্শ হিসেবে প্রমাণ করে দেওয়ার কাজটি করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র মোকাবেলা- এই দুইয়ের সম্মিলনেই আজ এ সফলতা এসেছে। দুই পক্ষকেই আমরা অভিনন্দন জানাই। একই সাথে প্রত্যাশা করি, অভিযোগপত্রে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা আইনের দ্বারা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবে এবং যারা পলাতক রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এভাবেই ভবিষ্যতে ধর্মের নামে উগ্রবাদের উত্থান একদিন পুরোপুরি বন্ধ হবেই হবে।



আরও পড়তে পারেন-


যেভাবে ধরা পড়লো কয়লা খনির দুর্নীতি

admin July 25, 2018

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও। কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, এতো বড় কারসাজি হলো কীভাবে। কয়লা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলছেন, খনি শ্রমিকদের প্রায় এক মাস আন্দোলনের সময়ে কয়লা উত্তোলন না হওয়া এবং কিছুদিন আগে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেইজ বন্ধ করে দেওয়ার ফলেই কয়লার ঘাপলা ধরা পড়েছে। তবে খনির কয়লা গায়েব বা ঘাপলার এই ঘটনা নতুন নয় জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিও বাণিজ্য, উত্তোলনকৃত কয়লার হিসেবে গড়মিল, কাগজ-কলমে ও ওজনে কারচুপিসহ কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অজানা ছিল না।  

এদিকে দুদক বলছে, কাগজে-কলমে যে পরিমাণ কয়লা থাকার কথা সেই পরিমাণ কয়লা বাস্তবে নেই। হিসেবের গরমিলেই এই দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা ১৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ফলে খনি থেকে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে এই খনির ১২১০ নম্বর ফেইজ থেকে দিনে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হতো। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, কোল ইয়ার্ডে (কয়লা রাখার জায়গা) প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। এই পরিমাণ দিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কোনও সমস্যা হবে না।

দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ২১ দিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখার পর গত ৩ জুন কাজে যোগদান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু ওই ফেইজে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ১৬ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। গত ২০ জুনও কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। কিন্তু গত ১৬ জুলাই কর্তৃপক্ষ ফের জানায়, কয়লার মজুত শেষের দিকে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পিডিবিকে জানালে তারা এটি পেট্রোবাংলাকে অবহিত করে। এরপরই বের হয়ে আসে কয়লার ঘাপলার বিষয়টি।

খনির কোল ইয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৯ জুন খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা। একই সঙ্গে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলায় সংযুক্ত ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। এই ঘটনায় পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মাহবুবুর রহমান জানান, ‘গত ২০ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে বলে জানায়। সেই হিসেবেই পরিকল্পনা করে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে জানিয়ে দেয় খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত প্রায় শেষের দিকে। বিষয়টি জানার পর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অবশেষে গত রবিবার (২২ জুলাই) রাতে কয়লার অভাবে বন্ধ করে দিতে হয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।’

তিনি জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২’শ মেট্রিক টন কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি চলতি জুলাই মাস থেকে কয়লার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট। অপর ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ইউনিট মেইনটেনেন্সের জন্য এর আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়। ফলে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি কোনোমতে চালু রাখা হয়েছিল। এরপরও এখানে দৈনিক প্রায় ৮শ’ থেকে এক হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হতো।

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই ধরা পড়েছে কয়লা গায়েব হওয়ার বিষয়টি। কাগজ-কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তবে কয়লা ছিল না। ডিও বাণিজ্য, ওজনে কারচুপি এবং কাগজে-কলমে হেরফের দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন কর্মকর্তারা।

কয়লা ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বুলবুল বলেন, ‘কয়লা খনির কর্মকর্তারা কাগজ-কলমে হেরফের করে এবং ওজনে কারচুপি করে অবৈধভাবে কয়লা বিক্রি করে থাকে। প্রায় দেড় মাস ধরেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বিক্রি বন্ধ থাকলেও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কয়লা দিতে হতো। তাই যে পরিমাণ কয়লা মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কাগজ-কলমে মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও বাস্তবে তা ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই কয়লা খনির কিছু কর্মকর্তা অবৈধভাবে কয়লার ঘাপলা করে আসছিল। কিন্তু উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই এবারে ঘাপলার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।’

কয়লা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা বিক্রি হয়, কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ কয়লা দিয়ে দেওয়া হয়। ভুয়া কাগজপত্র ও হেরফেরের মাধ্যমে এই কয়লা বিক্রি করে আসছে কিছু কর্মকর্তা। তাই কাগজপত্রে ঠিক থাকলেও বাস্তবে সেই পরিমাণ কয়লা ছিল না। কয়লার উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হয়, কাগজ-কলমে তার চেয়ে বেশি দেখানো হয়। এতে করে প্রফিট-বোনাস বেশি পান কর্মকর্তারা। ২০০৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত কোল ইয়ার্ডে কয়লা থাকায় বিষয়টি ধরা পড়েনি। ঘাপলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে এটি কেউই ভাবেনি।’ 

তিনি আরও জানান, ‘কর্মকর্তাদের যে বেতন তাতে করে সচ্ছলভাবে চলা সম্ভব। কিন্তু তারা প্রতিজন বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়ার ঢাকায় চারটি বাড়ি, মাসুদুর রহমান হাওলাদারের দুইটি বাড়ি ও ৩৫/৪০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি মাইক্রোবাস রয়েছে। একইভাবে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী, কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও বাড়ি-গাড়ির মালিক ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’

কয়লা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ‘২০১৭ সালে খনি থেকে ৩০০ টন কয়লা চুরি হয়েছিল। পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে খনির কর্মকর্তারা রাতারাতি সেই ৩০০ টন কয়লার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে সমন্বয় করে। এতেই প্রমাণিত হয় কর্মকর্তারাই এই কয়লা চুরি ও ঘাপলার সঙ্গে জড়িত।’

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান জানান, ‘মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন নামে কয়লার ডিও দেন। এই ডিওতে যে পরিমাণ কয়লা দেওয়ার কথা তার বেশি পরিমাণ কয়লা দেওয়া হয়। এতে করে লাভবান হন কর্মকর্তারা। ডিওর মাধ্যমে খনি থেকে নেওয়া এক টন কয়লার দাম ১৭ হাজার টাকা হলেও বাজারে এর দাম ২০ হাজার টাকা। ১০০ টন কয়লার ডিও মানে দুই লাখ টাকা, এভাবে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হয় কয়লা খনিতে। আর এই টাকা ভাগাভাগি হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিন্তু এবারে তারা আটকে গেছেন গ্যাঁড়াকলে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ‘আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে সামান্য কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ফলে কয়লার যে মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।’

এদিকে কয়লা গায়েবে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। কাগজ-কলমের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই বলে জানিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, ‘আমরা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লার কোনও হদিস নেই। বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায় এখানে প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি  ইতোমধ্যেই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে দুদকের কর্মকর্তারা ঘটনার অধিকতর তদন্ত শেষেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ (বাংলাট্রিবিউন)

অপুর ‘শর্টকাট’ শেষদিকে

admin July 20, 2018

ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ অপু বিশ্বাস গত জুনে কলকাতার নতুন একটি ছবিতে কাজ শুরু করেন। ছবির নাম ‘শর্টকাট’। কলকাতার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা গল্প নিয়ে করা এ ছবিতে অপু অভিনয় করছেন নূরজাহান চরিত্রে। এ ছবির বেশিরভাগ অংশের কাজ শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন অপু। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ছবির গল্পটি অসাধারণ। ছবিটিতে আমি নূরজাহান চরিত্রে অভিনয় করছি।
এটি একটি চমৎকার চরিত্র। কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবিটি। এটি পরিচালনা করছেন কলকাতার পরিচালক সুবীর মণ্ডল। আমরা সবাই অনেক আনন্দের সঙ্গে কাজটি করছি। কলকাতার ছবিতে আমার প্রথম কাজ এটি। আমার অংশের অল্প কিছু কাজ বাকি। বলতে গেলে শেষদিকের কাজ চলছে এখন। শিগগিরই ভারতে গিয়ে বাকি কাজের পাশাপাশি ছবির ডাবিংয়ে অংশ নেব। আশা করি, ছবিটি দর্শক পছন্দ করবেন। এ ছবিটিতে আরো অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অরিন, কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, 
অনিন্দিতা বসু, চন্দন সেন প্রমুখ। ছবিটির সংগীতের দায়িত্বে থাকছেন নচিকেতা নিজেই। দুই যুবকের গল্প নিয়ে তৈরি হতে যাওয়া ‘শর্টকাট’-এ দেখা যাবে বিত্তবান পরিবারের এক ছেলে আর ঠিক পাশের বস্তিতে থাকা আরেকটি ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে অবস্থান আলাদা হলেও তাদের দুজনের জীবনেই ব্যর্থতা রয়েছে। তবে কোথাও গিয়ে তারা যেন মিলে যায়। দুই ধরনের জীবনের গল্প দেখা যাবে ছবিতে। এদিকে এ ছবির বাইরে অপু বিশ্বাস বর্তমানে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবির কাজ করছেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন এই প্রজন্মের নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। ছবিটি প্রযোজনা করছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। 
সবশেষ গত ঈদে অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে দেখেছেন। আবদুল মান্নানের পরিচালনায় এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন। 

রিতা ওরা সমুদ্র সৈকতে নগ্ন

admin July 20, 2018
ব্রিটিশ গায়িকা ও অভিনেত্রী রিতা ওরা । এরইমধ্যে নিজের গান, অভিনয় ও স্টেজ পারফরমেন্সের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সী এ তারকা এখন রয়েছেন সুইজারল্যান্ড ট্যুরে। এখানকার বিভিন্ন স্থানে তিনি গান পরিবেশন করেছেন। তবে এখন চলছে বিরতি। আর এই কয়েকদিনের বিরতিটা আরও খানির রঙিন করতে চাইছেন তিনি।
আর তাইতো বিভিন্ন বার, সমুদ্র সৈকত ও পার্টিতে বেপরোয় রিতা ওরাকে আবিষ্কার করা যাচ্ছে। অবাক করার বিষয় হলো এবার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে নগ্ন প্রায় হলেন রিতা ওরা। আর সেই নগ্ন ছবি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ইনসটাগ্রামে। একটি হলুদ রঙা বিকিনি পড়লেও তার গোপন অঙ্গ পরিস্কারভাবে দেখা যাচ্ছে সেই ছবিতে। এরইমধ্যে এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছে নেটদুনিয়ায়। বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি। তবে এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। নিজের মতো করেই দিনরাত্রী কাটাচ্ছেন এ গ্লামারাস কন্যা। 

পীরগঞ্জে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

admin July 20, 2018


রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার “স্বয়ং সম্পুর্ণ মাছে দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
 উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -রংপুর জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা নুরুল আমীন রাজা, পৌর আ. লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী ও মৎস্যচাষী লিটন। এর আগে এক বর্ণঢ্য র‌্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক সমুহ প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের পুকুরে পেনা অবমুক্ত করা হয়।

দিনাজপুরে জিপিএ- ৫ মেয়েদের তুলানায় ছেলেরা এগিয়ে

admin July 20, 2018
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাসের হারে বেড়েছে। এই বোর্ডে এবার পাসের হার ৬০ দশমিক২১ শতাংশ।  গত বছর এই বোর্ডে পাশের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।  গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমেছে ৫ শতাংশের ওপর। ছাত্রীর পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫১ এবং  ছাত্রের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ।  ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই পাশ করেনি। 
 দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডেও চেয়ারম্যান প্রভেসর আবু বকর সিদ্দিকী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি  সূত্রে জানাগেছে, এবার ১ লাখ ১৯  হাজার ৫০৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ২ হাজার ২৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯৫৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ হাজার ৯৫১ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। 
বহিস্কৃত হয়েছে ৬২ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ করেছে ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।  ৬৫৩ কলেজের শিক্ষার্থীরা মোট ১৯৬ টি কেন্দ্রে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে।  
এদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাল করেছে। এরমধ্যে রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে  সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জনই। ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ৯৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯৩৬জন। এর মধ্যে  জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন্। মিলিনিয়াম স্টার্রস স্কুল এণ্ড কলেজে ৮৪ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। লায়ন্স স্কুল এণ্ড কলেজে ৪০২ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েঝে ১০২ জন।

ব্যাকডেটেট বেরোবির ওয়েবসাইট, নেই পর্যাপ্ত তথ্য

admin July 20, 2018
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। গোটা বিশ্বের সকল তথ্য এখন হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই পর্যাপ্ত তথ্য, আর যে তথ্য রয়েছে সেগুলোর নেই কোন আপডেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি হলেও সে সম্পর্কে কোন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। সাইটটিতে প্রবেশ করলে যে তথ্য গুলো দেখা যায়, সেগুলো অনেক আগের হালনাগাদ করা। দীর্ঘ দশ বছরেও ওয়েব সাইটটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, হোম পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরি রয়েছে। তার মধ্যে ‘কন্টাক্ট আস’-এ সাব-ক্যাটেগরি হোম, এ্যাবাউট আস, এডমিনিস্ট্রেশন, ডিপার্টমেন্ট, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী এণ্ড ইনফরমেশন সেন্টার (সিএলআইসি) এবং সাইবার সেন্টার রয়েছে। ‘ডিপার্টমেন্ট’ ক্যাটেগরিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ বিভাগের নতুন শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি এবং বিভাগীয় প্রধান পরিবর্তন হলেও আপডেট কোন তথ্য নেই। এমনকি কোন কোন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একাধিক ব্যাক্তির নাম হালনাগাদ করা রয়েছে। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ হলেও ওয়েবসাইটে অর্থনীতি বিভাগরে শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের নাম হালনাগাদ করা রয়েছে। গণিত বিভাগ এবং লোক-প্রশাসন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের হালনাগাদ করা হয়নি নতুন বিভাগীয় প্রধানের নাম। এ ছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ও গণিত বিভাগের সবশের্ষ আপডেট করা হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর বিভাগ দুটির কোন তথ্যই হালনাগাত করেনি কর্তৃপক্ষ। ফাইন্যান্স এণ্ড ব্যাংকিং বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ এবং এ্যাকাউন্টিং এণ্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগসহ ওয়েব সাইটটির বিভিন্ন অপশনে ক্লিক করলে প্রক্রিয়াধীন হয়ে পূনরায় হোম পেজে ফিরে আসে।
২০১৭ সালের ২৫শে জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি পরিচালনার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মুহাঃ শামসুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও দীর্ঘ এক বছরেও বাস্তবে কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি এই কমিটির। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটির এরকম ব্যাকডেট থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও  সাইবার সেন্টারের পরিচালক মুহাঃ শামসুজ্জামানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three