সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরের এক বাসার মাটির নিচে বস্তাভর্তি অর্ধ শত কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের স্বর্ণ বা গুপ্তধন আছে বলে খবর ছড়ায়। আর ওই বাড়িরর মালিক বিষয়টি নিয়ে বিরম্বনায় পড়ে যান। তিনি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়রি করেন, যাতে বিষয়টির অনুসন্ধান করা হয়। তার ডায়রি ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে কথিত গুপ্তধনের সন্ধানে মাটি খোড়ার অভিযান চালায় প্রশাসন।
ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে বিষয়টি নিয়ে এর আগে প্রথম থানায় ডায়রি করেন কক্সবাজারের টেকনাফের এক বাসিন্দা মো. তৈয়ব। তিনি দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন।
মো. তৈয়ব এসব কথা জানলেন কি করে?
মোহাম্মদ তৈয়ব জানান, একথা তার পাকিস্তান প্রবাসী বন্ধু মো. আলম জানিয়েছে। যে কিনা দিলশাদ খানের ছেলে ইব্রাহিমের বন্ধু। দিলশাদ খান যুদ্ধের পর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় এসেছিলেন এবং ওই বাড়িরর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার পর তিনি মারা যান।
ইব্রাহিম খানের বক্তব্য মো. আলম ও মো. তৈয়ব পুরোপুরি বিশ্বাস করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটির উপর নজরও রাখছিলে বলে মো. তৈয়ব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গুপ্তধনের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি তৈয়ব ও তার বন্ধু আলমের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে তিনি থানায় ডায়রি করেন।
স্থানীয় প্রাশসন ওই ডায়রিটিকে আমলে নিয়ে গত শনিবার বাসায় খোড়াখুড়ির অভিযান চালায়। একপর্যায়ে দুটি রুম খোড়া হলেও কোনও গুপ্তধন মেলেনি। মাটি খোড়ার কারণে বাড়ির ভিত দুর্বল হলে বিকেল খোড়াখুড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা করা হয়েছে এ ব্যাপারে স্ক্যানার বা রাডার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অভিযান চালানো হবে। পরামর্শ নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদের।
এখন সবার মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলে কি ওই বাসায় গুপ্তধন আছে নাকি এটা নিছকই গুজব। তবে মো. তৈয়বের ভাষ্যমতে অনেকেই আশাবাদী ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে যখন গুপ্তধন পাওয়া যাবে!