ছাত্রকে হাত-পা-মুখ বেঁধে রড দিয়ে পেটালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

admin June 22, 2019

চোর সন্দেহে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় সুমন চৌকিদার (১৩) নামের এক ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ এঁটে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক আহসানউল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।


শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করা হলে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


মারধরের শিকার সুমন সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বশাকবাজার এলাকার রহিম চৌকিদারের ছেলে ও হেতালিয়া বাধঘাট আকন বাড়ি হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক আহসানউল্লাহ একই উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের আওলিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা।


সুমনের মামা ইলিয়াস বলেন, ‘হেতালিয়া বাধঘাট আকন বাড়ি হাফেজি মাদ্রাসার পাশেই একটি দোকান আছে শিক্ষক আহসানউল্লাহর। সম্প্রতি সেই দোকান থেকে দুই হাজার টাকা চুরি হয়। সে টাকা চুরির সন্দেহে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে সুমনকে বেত দিয়ে মারধর করেন আহসানউল্লাহ। একপর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে তিনি রড দিয়ে সুমনকে পেটান।’


একই কথা জানান ওই মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, মারধরের একপর্যায়ে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ওই কক্ষে রেখে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যান আহসানউল্লাহ। এরপর সুমনের বাড়িতে খবর পাঠালে তার স্বজনেরা মাদ্রাসায় গিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতলে ভর্তি করেন।


সুমনের বাবা রহিম চৌকিদার বলেন, ‘আমরা আহসানউল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার ছেলের অবস্থা খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বরিশালে নিয়ে যাচ্ছি।’


পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিম মাতুব্বর বলেন, ‘সুমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।’


ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় সুমনের মা রেহেনা বেগম থানায় মামলা করেছেন। গ্রেফতার আহসানউল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three