প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সম্প্রতি ইরানে কয়েকটি শহরে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছিল। এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় ইস্পাহান মেডিক্যেল বিশ্ববিদ্যালয় ইরান থেকে সে এলাকার মানুষদের সেবা দিতে কয়েক বার ক্যাম্প করা হয়েছিল। ক্যাম্পগুলোর প্রায় প্রতিটি সাজানো হয়েছিল কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অথবা অন্যকোন ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ সঙ্গে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে।


লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি ক্যাম্পে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিছু ক্যাম্প শুধুমাত্র মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল। বিষয়টি শুনে কৌতূহল হয়েছিলাম এজন্য যে বন্যাদূর্গত এলাকায় আদৌ কি এত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


সরাসরি বন্যা দূর্গত এলাকায় যাওয়া সম্ভব না হলেও যারা বন্যাদূর্গত এলাকায় সেবা দিতে ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন ডাক্তারের সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তাঁরা ক্যাম্পগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, মূলত এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরা। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কম সময় নিয়ে এলেও এর প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে সেসব এলাকার মানুষদের মনে দীর্ঘস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। যা তাঁদের ভবিষৎ জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।


এসব মানুষের পাশে গিয়ে সমবেদনা জানানো সাথে যতটুকু পারা যায় তাঁদের সাহস দেয়া এবং তাঁদের অবস্থা শুনতে চাওয়া ইত্যাদি তাঁদের মানসিকভাবে অনেক সহযোগীতা করতে পারে। অনুরোধ করবো বাংলাদেশের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের, প্রাকৃতিক দুযোগ যেমন বন্যা, ভুমিকম্প অথবা অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্তদের মানসিকভাবে সাহস দিতে তাঁদের পাশে থাকার।

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। অসুস্থ হলেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। আর তাই সবাই সুস্থ থাকতে চায়। বিজ্ঞানীদের মতে, একজন মানুষ যদি চারটি কাজ নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে বোঝা যায় যে সেই মানুষটি সুস্থ। জেনে নিন সেই চারটি কাজ সম্পর্কে।


এক পায়ে ভারসাম্য: শুনতে অদ্ভুত শোনাতে পারে যে যদি আপনি এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেন, তাহলে আপনার ব্রেইন ভালো আছে। এক পায়ের উপর ভর করে ৬০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করুন। যদি ২০ সেকেন্ড পরেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, তাহলে ব্রেইনের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে আছেন আপনি। জাপানের একটি গবেষণায় যেই ৩০ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তি এই পরীক্ষায় ভারসাম্য রাখতে পারেননি তাদের প্রত্যেকেরই মস্তিষ্কে সামান্য হলেও রক্তক্ষরণের ইতিহাস হয়েছে। মাইক্রোবিøডিং এর কারণে শরীরের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। এই মাইক্রোব্লিডিং পরবর্তীতে মস্তিষ্কের বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে।


চেয়ার টেস্ট: চেয়ারে বসুন। এরপর দাঁড়ান। এভাবে টানা দশবার করুন। দেখুন পুরো কাজটি করতে কতক্ষণ সময় লাগলো। যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক যেই অংশগ্রহণকারীরা দশ বার চেয়ারে উঠা-বসার এই কাজটি ২১ সেকেন্ড অথবা তার কম সময়ে করতে পেরেছে তারা অন্যান্যের তুলনায় শারীরিক ভাবে বেশি সুস্থ এবং সবল। এই কাজটি করতে শরীরের নিচের অংশের মাংসপেশির জোর থাকতে হয় এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকতে হয়।


পায়ের আঙুল স্পর্শ: মেঝেতে পা মেলে বসুন। এরপর পা সোজা রেখে পায়ের আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। যদি ব্যর্থ হন তাহলে আপনার হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে। নর্থ টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে শরীরের নমনীয়তার সঙ্গে রক্তনালীর নমনীয়তার সম্পর্ক আছে। রক্তনালী যদি অনমনীয় হয়ে যায় তাহলে রক্ত পাম্প করতে হার্টের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ফলে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উঠা: গ্যালিসিয়ার ইউনিভার্সিটি হসপিটাল করুনার একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বিরতি ছাড়া চার ফ্লাইট সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে কেউ, তাহলে তার অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি কম। গবেষকদের মতে একজন মানুষ যদি সুস্থ হয়, তাহলে এই পরীক্ষাটি তার এক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারার কথা। যারা পারেন না, তাদের হার্টের সমস্যা এবং ক্যানসারে ভুগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে হুড়মুড় করতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে যেন পড়ে না যান, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন চান? তাহলে প্রথমেই যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো, সঙ্গীকে সুখে রাখা। কারণ গবেষণায় জানা গেছে, যদি স্বামী বা স্ত্রী উৎফুল্ল থাকেন, তাহলে সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।


সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গী যদি উৎফুল্ল মেজাজে থাকেন সবসময়ে তাহলে শুধু যে দাম্পত্য সুখের হয় তাই নয়, আয়ু বাড়ে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


গবেষণাটির গবেষক নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটির অলগা স্টাভরোভা বলেন, ‘আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং দেশ ভেদে দাম্পত্য জীবনের সুখের সঙ্গে মৃত্যুর হার এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে।’


গবেষণাটি করা হয়েছে আমেরিকার ৪৪০০ দম্পতির উপরে। তার সবার বয়স পঞ্চাশের বেশি। সেখানে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন ভালো থাকার জন্য এবং দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য নিজের সুখের চাইতেও সঙ্গীর সুখের দিকে খেয়াল রাখা বেশি জরুরি।


স্টাভরোভার মতে, যাদের সঙ্গী হাসিখুশি এবং কর্মব্যস্ত থাকেন, তাদের জীবনযাত্রার মানও অন্যান্যের তুলনায় বেশি ভালো। অন্যদিকে সঙ্গী যদি বিষণ্ণ থাকেন, তাহলে জীবন যাত্রার মান কমে যায়। এর প্রভাব পরে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যে।

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেহকে কালজয়ী করে তুলতে হলে আয়ু ও বয়স সম্পর্কিত কিছু সার্বজনীন ভ্রান্ত ধারণা প্রথমে দূর করতে হবে। কারণ এ ধারণাগুলো আসলেই সত্য নয়। এ ব্যাপারে মূল ভুল ধারণা হচ্ছে, বার্ধক্যের প্রক্রিয়ায়ই মানুষ মারা যায়। সত্যি কথা হচ্ছে, বার্ধক্যের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বরা-ব্যাধিই মৃত্যুর কারণ।


সবাই চায় একশ’ বছর বেঁচে থাকতে, নিরোগময় দীর্ঘ আয়ু। কিন্তু, দীর্ঘ আয়ু তো আর বললেই পাওয়া যায় না। এর জন্য আপনাকে করতে হবে অনেক সাধনা। শুধু মনে মনে আশা করলেই হবে না।


একশ’ বছর বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে জীবনযাত্রায় আনতে হবে অনেক পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে অনেক কিছু। আবার ত্যাগ করতে হবে অনেক কিছু। আসুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই- জীবনযাত্রায় এমন কিছু নিয়ম আছে- যা মেনে চললে আপনি পেতে পারেন একশ’ বছর আয়ু।


পরিমিত ঘুম
দিনে ঠিক কতটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন এবং সেই ঘুম কেমন হচ্ছে সেটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ঘুম যেমন খারাপ, তেমনি খারাপ অল্প ঘুমও। চিকিৎসকরা বলেন, সে কারণে ঠিকঠাক মতো ঘুমাতে হবে। ঠিক মতো ঘুমানো খুব জরুরি। ফলে আমরা যারা ঘুমের চাহিদা মিটিয়ে নিতে অল্প একটু সময় চোখ বন্ধ রেখে ভাবছি যে আমাদের ঘুম হয়ে গেছে, তাদের একটু সতর্ক হতে হবে।


ওজন নিয়ন্ত্রণ
দিনে একবার খান। ডিনারে মাছ ও সবজির ওপর বেশি জোর দিন। মাংস অবশ্যই খেতে হবে। তবে সপ্তাহে দু’বারের বেশি নয়। অলিভ অয়েল খাওয়ার ওপর জোর দিন। শরীরের ত্বক, শিরা ও ধমনি ভালো রাখার জন্য জলপাই তেল ভালো কাজ করে।


কার্বোহাইড্রেট নিয়ে সচেতনতা
ভাত ও রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করা আজকালকার দিনে হয়তো একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, ব্যালেন্সড ডায়েটের জন্য আমাদের এসবও খেতে হবে। খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। সবসময় রিফাইন বা মসৃণ কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে বরং একটু ফাইবার যুক্ত (মোটা আটার) কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ভালো। যেমন: বাদামি চাল, আস্ত শস্য দানা সমেত মোটা আটার রুটি ইত্যাদি।


নেশাকে না বলুন
দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন: এক গস্নাস রেড ওয়াইন হয়তো অনেকের কাছে খুব আনন্দের কিছু। কিন্তু, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।


দেরিতে অবসর নিন
যত দেরিতে কর্মজীবন থেকে অবসর নেবেন, তত ভালো। সাধারণত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অবসর নেয়ার পর যেন তাদের বার্ধক্য হু হু করে বাড়ে। দেখা দিতে থাকে নানা অসুখ-বিসুখ। কাজ মানুষের বার্ধক্য আটকে রাখে।


হাঁটা-চলা করুন
অফিসে যারা কাজ করে থাকেন তারা ছাড়াও বাড়িতে আমাদের অনেকেই প্রচুর সময় বসে থেকে কাটাই এবং এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য যেটা করতে হবে সেটা হলো শরীরটাকে একটু নাড়ানো, অর্থাৎ নিয়ম করে হাঁটা-চলা করা।

জিন সম্পর্কে জানুন
জিন আমাদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই মুহূর্তে হয়তো আপনি আপনার জিন নিয়ে বেশি কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু, কোনো কোনো জিনের কারণে আমরা বিশেষ একটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি কিনা সেটা জানলে আমাদের সুবিধা হবে। বিশেষ কোনো অসুখে পডার প্রবণতা হয়তো আপনার মধ্যে বেশি থাকতে পারে। কিন্তু, আপনার পরিবারের বা বংশের অন্যান্য সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ইতিহাস জানা থাকলে সেটা আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে সাহায্য করতে পারে।


প্রাণ খুলে হাসুন
সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত আনন্দের, এটা মনে রাখতে হবে। এটাকে দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজের অংশ হিসেবে দেখলে হবে না। এখানে মানসিকতার একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই থাকতে হবে হাসিখুশি। এমন কিছু করুণ যা প্রতিদিন আপনাকে হাসিখুশি রাখবে।


স্ট্রেস বা চাপ কমান
আজকের দিনে নানা কারণে স্ট্রেসের সৃষ্টি হয়। সেটা কাজের কারণে হতে পারে, হতে পারে সম্পর্কের কারণেও। পারিবারিক কারণেও হয়। কিন্তু, এসব চাপ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় তার উপায় প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে খুঁজে নিতে হবে। কারণ, একেজনের বেলায় এটা একেকভাবে কাজ করে। এজন্য একজন চিকিৎসক অথবা এ-সংক্রান্ত অন্যান্য পেশাজীবীদের কাছ থেকেও সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।


এছাড়া এত কিছু করতে না চাইলেও শুধু এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে অন্তত তিনটি উপায় মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো- ছয় ঘণ্টা ঘুম, এক ঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।

সৌদি আরবকে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছেন ট্রাম্প

সৌদি আরবকে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছেন ট্রাম্প

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের কাছে আটশো কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এধরণের অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সাধারণত মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের দরকার হলেও জরুরি অবস্থায় প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে তা অনুমোদনের ক্ষমতা রাখেন প্রেসিডেন্ট। এ ক্ষেত্রে ওই সুযোগই ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প। জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণ হিসেবে ইরানের কাছ থেকে হুমকি বৃদ্ধির দাবি করেছেন তিনি।


গত শুক্রবার ট্রাম্পের প্রশাসনিক এই আদেশের বিষয়টি কংগ্রেসকে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের অভিযোগ পার্লামেন্টে কঠোর বিরোধীতার মুখে পড়ার আশঙ্কাতেই কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েছেন ট্রাম্প।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরব ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছেও অস্ত্র বিক্রি করতে পারেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন।


যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী, ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে দেড় হাজার সেনা, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। ওই ঘোষণার পরেই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে ট্রাম্পের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।


গত শুক্রবার কংগ্রেসকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জানানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি চিঠি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচার পাচ্ছে। ওই চিঠিতে মাইক পম্পেও বলেন, ‘ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের’ কারণেই তাৎক্ষনিকভাবে অস্ত্র বিক্রির দরকার। পম্পেও লেখেন, ‘ইরানের কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা এবং ভেতরে-বাইরে আমেরিকার নিরাপত্তার ওপর মৌলিক হুমকি সৃষ্টি করেছে। পম্পেও বলেন, উপসাগরীয় এলাকা ও পুরো মধ্যপ্রাচ্যে হঠকারি সিদ্ধান্ত থেকে ইরানকে বিরত রাখতে যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র অবশ্যই হস্তান্তর হতে হবে।


মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি সৌদি আরব। ইরান ও সৌদি আরব আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী। মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া ও ইয়েমেন যুদ্ধ ছাড়াও ইরাক ও লেবাননে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে তাদের অবস্থানও বিপরীতমুখী। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সৌদি আরব। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বেসামরিক মানুষের ওপর মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও রিয়াদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা বেশ কয়েকবারই স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প।


ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনিক আদেশে সৌদি আরবের কাছে বিক্রি হতে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে নির্ভুল লক্ষ্যভেদে সক্ষম সামরিক সরঞ্জাম, ট্যাঙ্কবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্রও বিভিন্ন ধরনের বোমা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতারা। সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ডেমোক্র্যাট সদস্য রবার্ট মেনেনদেজ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী দেশের পক্ষাবলম্বনের অভিযোগ আনেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আরও একবার তিনি (ট্রাম্প) আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে আর মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলেন’।

মধ্যপ্রাচ্যে আরো দেড় হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে আরো দেড় হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত আরো দেড় হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিকল্পনা সম্পর্কে ইতোমধ্যে কংগ্রেসকে জানানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান।


বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেড় হাজার সৈন্যের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে আরো যুদ্ধ বিমান ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। গত শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। এই সৈন্য ও সমরাস্ত্র মোতায়েনকে ‘তুলনামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে’ মোতায়েন বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।


বিশ্বজুড়ে ইরান সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তবে তারপরও তিনি বিশ্বাস করেন না যে, ইরান যুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, তাদের (ইরানের) হাতে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। সম্ভবত বিষয়টি তারা অনুধাবন করতে পেরেছে।


চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করার পর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেট্রিক শাহনাহান জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ১০ হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। তবে তার কয়েকদিন পরই তিনি জানান, মধ্যপ্রচ্যে ঠিক কত সেনা পাঠানো হবে সেটা এখনো নির্ধারণ করেনি নীতি নির্ধারকরা।

এইডস প্রতিরোধে কলা

এইডস প্রতিরোধে কলা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কলার মধ্যে রয়েছে এমন এক পদার্থ, যা মানব দেহে রোগ সংক্রামক ও মারণাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে যে পদার্থ রয়েছে তা এইডস, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মারাত্মক ব্যাধির ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।


গবেষকদের দাবি, কলার মধ্যে যে প্রোটিন রয়েছে তার নাম ব্যানানা ল্যাকটিন। এই ল্যাকটিন মানব শরীরের কোষগুলোর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে।


গবেষকদের মতে ইধহখবপ (ব্যানানা ল্যাকটিন) মানব শরীরে এইডস, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসগুলোকে বিনাশ করে দেয়। আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। কলার বিভিন্ন নমুনা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। কলার মধ্যেকার প্রোটিন থেকে যদি প্রতিষেধক কিছু আবিষ্কার করা যায় তবে তা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সহায়তা করবে।

ভালো বাজেটের কাজ এখন খুব কম: নিপুণ

ভালো বাজেটের কাজ এখন খুব কম: নিপুণ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা নিপুণ। চলচ্চিত্রে সবশেষ উত্তম আকাশের পরিচালনায় ‘ধূসর কুয়াশা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রের বাইরে ওয়েব সিরিজেও এবার প্রথমবার কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী।


তিনি বলেন, এবার ঈদে দর্শকরা আমার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘গার্ডেন গেম’ দেখতে পাবেন। এটি নির্মাণ করেছেন তৌহিদ মিটুল। এর কাহিনি দারুণ। লিখেছেন অদিতি মজুমদার। এই ওয়েব সিরিজের টিমটাও ভালো। এখানে আমার চরিত্রের নাম থাকছে ইলোরা। সিলেটে এর দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। এখানে রিয়াজ, পপি, মনির খান শিমুলসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট বায়োস্কোপে দর্শকরা এটি দেখতে পাবেন। এ ছাড়া এবারের ঈদে ইত্যাদি’তেও কাজ করেছি আমি। হানিফ সংকেতের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে দর্শকরা আমাকে ভিন্ন রূপে দেখতে পাবেন।


গত বছর ঈদে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের ‘মহব্বত ব্যাপারী টু’ এবং এস এ হক অলীকের ‘একটুস খানি প্রেম’ নাটকে দর্শকরা নিপুণকে দেখেছেন। এবার ঈদে কোনো নাটকে তিনি কাজ করছেন কি-না জানতে চাইলে নিপুণ বলেন, না, এবার কোনো নাটকে কাজ করিনি। এখন পর্যন্ত করার পরিকল্পনাও নেই। বর্তমানে আমি আমার প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এখানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা সময় দিতে হচ্ছে। ঈদের জন্য কাজের চাপও বেড়েছে।


২০০৬ সালে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ। দেখতে দেখতে এক যুগ পার হয়েছে। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘রত্নগর্ভা মা’। এ ছবিটি মুক্তি না পেলেও নিপুণ অভিনীত ‘পিতার আসন’ ছবিটি সর্বপ্রথম বড় পর্দায় দর্শকরা দেখেন। এফ আই মানিক পরিচালিত এ ছবিতে তিনি শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছবিটি খুব ভালো ব্যবসা করে। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নিপুণ চলতি বছরের কাজ নিয়ে বলেন, এ বছরের শুরুতে আমি ভারতে ‘তিব্বত ৫৭০’ সাবানের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের সৈনক মিত্র। ভালো হয়েছে কাজটি।


এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রগতি নামের একটি গাড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন শাওন। নিপুণ ‘পিতার আসন’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘বাবার কসম’, ‘মেয়ে অপহরণ’, ‘বাবার জন্য যুদ্ধ’, ‘বড় ভাই জিন্দাবাদ’, ‘জমিদার বাড়ির মেয়ে’, ‘বড়লোকের জামাই’, ‘কোটি টাকার ফকির’, ‘চাঁদের মত বউ’, ‘শুভ বিবাহ’, ‘রিটার্ন টিকিট’, ‘অবুঝ বউ’, ‘বড়লোকের দশদিন গরিবের একদিন’, ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’, ‘আত্মদান’, ‘হঠাৎ সেদিন’, ‘ঢাকার কিং’, ‘একাত্তরের মা জননী’, ‘স্বর্গ থেকে নরক’, ‘কার্তুজ’, ‘অজ্ঞাতনামা’সহ আরো বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করে পান দর্শকপ্রিয়তা। তবে বর্তমানে অনেক কম ছবিতে তাকে দর্শকরা দেখতে পাচ্ছেন।


বতর্মানে দেশীয় চলচ্চিত্রের সময়টাও খারাপ যাচ্ছে। এসব প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, এখন মানসম্পন্ন কাজের অনেক অভাব। ভালো বাজেটের কাজ এখন খুব কম। হাতে গোনা দু-একটা কাজ হচ্ছে এখন। আমি অভিনয়শিল্পী। একজন শিল্পীর ভালো কাজ করার ক্ষুধা সব সময়ই থাকে। আমি ভালো চিত্রনাট্য পেলে সামনে আবার কাজ করবো। কাজ তো করতেই চাই। তবে সেজন্য ভালো গল্প খুবই জরুরি। ভালো গল্প যত আমরা উপহার দিতে পারবো তত বেশি দর্শক ছবি দেখার জন্য সিনেমা হলে ভিড় জমাবে। আর চলচ্চিত্রে বর্তমান সময়ে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশা করছি। সামনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবার নিপুণকে বড় কোনো পদে দেখা যাবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। সমিতির কিছু পরিবর্তন আসা দরকার। আর কিছুদিন পর এ বিষয়ে কথা বলবো।

উপস্থাপনাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন নোভা

উপস্থাপনাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন নোভা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জনপ্রিয় টিভি মডেল-অভিনেত্রী নোভা। অভিনয়ের বাইরে উপস্থাপনায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। একসঙ্গে তিনটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন এখন।


নোভা রমজানের পুরোটা জুড়ে থাকছেন একুশে টিভিতে। এখানে ‘ঝটপট ইফতার’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। প্রতিদিন বেলা তিনটায় এটি প্রচার হচ্ছে।


এছাড়াও নোভা চ্যানেল আইয়ে ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’ ও বাংলাভিশনে ‘সৌন্দর্য কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।


উপস্থাপনা প্রসঙ্গে নোভার ভাষ্য, টিভি নাটকের বাইরে আমি গেল কয়েক বছর উপস্থাপনা করছি। তবে সব ধরনের অনুষ্ঠানে আমি নেই। বাংলাভিশনে ‘সৌন্দর্য কথা’ অনুষ্ঠানটি দীর্ঘদিন থেকে করছি। ‘ঝটপট ইফতার’ শুধু রমজান উপলক্ষে প্রচার হচ্ছে।


এছাড়া চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানটিও বেশ মজার। সত্যি বলতে উপস্থাপনাতেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছি। ২০০৭ সালের দিকে এই অভিনেত্রী উপস্থাপনা শুরু করেন। ‘বউ কথা’ নামের একটা ফ্যামিলি গেইম শোর মধ্য দিয়ে উপস্থাপনা শুরু করেন তিনি।

হট না বলায় আক্ষেপ দিশার

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে তার সাহসী স্থিরচিত্র উষ্ণতা ছড়ায়। ছবি বা ভিডিও, যা-ই শেয়ার করে দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।


আর সেই আবেদনময়ীই কি না বললেন, আজও কোনো পুরুষ নাকি তাকে ‘হট’ বলেননি। এমনকি কেউ ‘ফ্লার্ট’ করার চেষ্টাও করেনি।




[caption id="" align="alignleft" width="226"]দিশা পাটানি। সাম্প্রতিক ছবি দিশা পাটানি। সাম্প্রতিক ছবি[/caption]

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিশা পাটানি আক্ষেপ করে বলেছেন, পুরো জীবনে কোনো মানুষ কাছে এসে বলল না, আমি হট। কেউ আমার সঙ্গে ফ্লার্টও করেনি; ওসব করার কোনো চেষ্টাই করেনি কেউ।


তবে কি পুরুষেরা ভয় পান? এর জবাবে ২৬ বছরের সুন্দরী হেসে বলেন, কেন ভয় পাবে? সেই বেড়ে ওঠার পর থেকে কেউ এখনো আমাকে প্রস্তাবই দেয়নি।




[caption id="" align="alignright" width="175"]দিশা পাটানি। সাম্প্রতিক ছবি দিশা পাটানি। সাম্প্রতিক ছবি[/caption]

দিশা পাটানি আরো বলেন, টিনএজ বয়সে তিনি ‘টমবয়’ ছিলেন। ছোটবেলায় আমি কিছুটা টমবয় প্রকৃতির ছিলাম। বাবা আমাকে ছেলের মতো করে বড় করেছে। নবম গ্রেড পড়া পর্যন্ত আমার চুল ছোট ছিল। দশম গ্রেডে ওঠার পর আমি চুল বড় করা শুরু করি। আমি অন্তর্মুখীও ছিলাম। স্কুলে আমি শান্ত শিক্ষার্থী ছিলাম, বসতাম লাস্ট বেঞ্চে,’ বলেন দিশা পাটানি।

জন্মবার্ষিকীতে নানা আয়োজনে জাতীয় কবিকে স্মরণ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার, ২৫ মে ২০১৯, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ ছিল কবির ১২০তম জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষে এ মহাপুরুষের সৃষ্টকর্ম নিয়ে আলোচনা, আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে কবি বন্দনায় মুখর ছিল পুরো দেশ।


এদিকে জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান নজরুল স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিকাল ৩ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী এমপি ও জাতীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল।


এবার জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘নজরুল-চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এছাড়াও কবির স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুর, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।


এছাড়াও সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চিরনিন্দ্রায় শায়িত কবির সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় জাতীয় কবির সমাধি। সকাল সাড়ে ৭ টায় সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে রাজধানীতে কবির জন্মবার্ষিকী পালনের সূচনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গ জাতীয় কবির সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।




[caption id="" align="alignnone" width="720"]কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল, সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। ছবি: সংগৃহীত কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল, সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। ছবি: সংগৃহীত[/caption]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে সকাল সোয়া সাতটায় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জমানসহ শিক্ষক ও কর্মচারীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, হল সংসদ, শিক্ষক সমিতিসহ ছাত্র-ছাত্রীরা কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে কবির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। একটানা দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত কবির সমাধিতে জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।


সকাল সাড়ে ৮ টায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উদ্যোগে সমাধি প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিতত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভায় উপাচার্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার, সম্প্রীতির, সাম্যের ও মানবতার কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, নজরুল ইসলাম সবসময় অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও অসাম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদী ছিলেন। তাঁর লেখা গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছে।


আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়-য়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।


বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্ব-পরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালে শোকের মাসেই (১২ ভাদ্র) শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

‘জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার’

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা। তিনি বলেন, দারিদ্র্য হ্রাসের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি ...আমাদের সর্বদা একটি লক্ষ্য- দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, তাদের দারিদ্র থেকে মুক্ত করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করা।


শনিবার গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতি সেতু উদ্বোধনের পর সরকারপ্রধান এসব বলেন। নবনির্মিত সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুবই সহায়ক হবে। সেতুগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বর্তমান বিশ্ব এখন একটি বৈশ্বিক গ্রাম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে মিলে চলতে হবে। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও অনেক অবদান রাখবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সড়ক, নৌ, রেলপথ ও বিমান যোগাযোগ উন্নয়ন করছে এবং দেশের জনগণ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে। ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মেট্রোরেল নির্মাণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে ১৬টি স্টেশন থাকবে এবং এতে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে। একবার এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে, ভোগান্তি থাকবে না।



শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, উন্নয়ন সহযোগী, সর্বোপরি দেশের জনগণের সকল ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে সরকার। সড়কে চলাচলের সময়, বিশেষ করে রাস্তা পারাপারের সময় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে সবাইকে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।


পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত একই প্রকল্পের আরেকটি সেতু- দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।


প্রকল্প সূত্র জানায়, জাপানি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেতু তিনটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে আট হাজার ৪৮৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ছয় হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।


চুক্তি অনুযায়ী, জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের জুনে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। পরে সরকার নির্মাণ কাজের সময়সীমা ছয় মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। এটি পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে দুই মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।


এদিকে ৯৩০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয় এক হাজার ৭৫০ কোটি এবং ১,৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ ব্যয় এক হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করেন তিনি।


এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত মেঘনা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট একেবারে নেই বললেই চলে। সেতুটি হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবার আর ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার পথে মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে আশা করছে চালক-যাত্রীরা। শনিবার উদ্বোধনের পর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হতো দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে, সেখানে একেবারেই ফাঁকা এ সড়কটি। এখানে শুধুমাত্র টোল আদায়ের সময়টুকু ছাড়া আর কোনো জটলাও নেই। জানা যায়, প্রতিবছর ঈদসহ বড় কোনো ছুটি এলেই বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এ সড়কে। এ যানজট ছাড়িয়ে যায় কাঁচপুর সেতু ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কেও। গত বছর রমজানের শেষ দিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে এ যানজট ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে আসে। তবে এবার আর সে ধরনের কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।


স্থানীয় সূত্র মতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিলো। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গোমতী-মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

এবার ধান কাটলেন আরপিএমপি পুলিশ কমিশনার

admin May 25, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
কৃষকের পাশে দাঁড়ালো রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শনিবার দুপুরে নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের খটখটিয়াা এলাকার কৃষক আবদুল মজিদের ১১ শতাংশ জমির ধান কাঁটা মাড়াই করেন তারা।


রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদের নেতৃত্বে এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, অতিরিক্ত পুলিশ উপকমিশনার (হেডকোয়ার্টার) আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ কমিশনার নাদিয়া জুঁই, আলতাফ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশের মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে।


তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মানুষের আয় বেড়েছে। দেশে এখন অভাব নেই। কৃষকের পাকা ধান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ নিজ তাড়না থেকে ধান কাঁটা কর্মসূচি শুরু করেছে। বোরো ধান কাঁটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোপলিটন পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


এদিকে কৃষক আবদুল মজিদ, পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিযয়ে, অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এবং ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানান।

পঞ্চগড় এক্সপ্রেস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পঞ্চগড় এক্সপ্রেস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

admin May 25, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
অবশেষে স্বপ্নপূরণ হলো পঞ্চগড়বাসীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চালু হলো বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের এই ট্রেনটির উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রেল যোগাযোগ সম্পন্ন হলো।


ট্রেনটি চালু হলে উত্তরবঙ্গবাসীর পাশাপাশি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনেচ্ছুরাও অনেক উপকৃত হবেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের পাশাপাশি পঞ্চগড়বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেল নতুন আরো একটি উপহার। ‘পঞ্চগড় কমলাপুর’ রেলস্টেশনের নামের পরিবর্তে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পঞ্চগড়’ করা হয়েছে। ট্রেনটির পাশাপাশি আজ এই রেলস্টেশনেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের আগেই বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ট্রেন। দ্রুতগতির এই ট্রেন ৫৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে ১০ ঘণ্টায়।


ট্রেনটি প্রতিদিন দুপুর সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে রাত ১০টায় ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছাবে। যাওয়া ও আসার পথে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে।


ট্রেনটিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও ভাড়া একতা ও দ্রুতযানের সমান রাখা হয়েছে। ট্রেনটির ৩০ শতাংশ আসন পঞ্চগড়ের জন্য, ৩০ শতাংশ দিনাজপুর, ২৫ শতাংশ ঠাকুরগাঁও এবং ১৫ শতাংশ পার্বতীপুরের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সব মিলে প্রায় এক হাজার যাত্রী বহন করবে ট্রেনটি।


এদিকে এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আন্ডারডগ শ্রীলঙ্কা!

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আন্ডারডগ শ্রীলঙ্কা!

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবেই যোগ দিচ্ছে ১৯৯৬-এর চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কারণে র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে থাকা লংকানদের কাছে খুব বেশি কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে মাঠের ভেতরে আর বাইরের নানা সমস্যায় জর্জরিত দলটার কাছ থেকে চমক প্রত্যাশা করছে লঙ্কান সমর্থকরা।


পুরো শ্রীলঙ্কা দল একসঙ্গে। বিশ্বকাপের আগে আশীর্বাদ নিয়ে নিচ্ছে ধর্মীয় গুরুর। আর এই আশীর্বাদ যদি কাজেই লেগে যায় তাহলে ৯৬ এর পুনরাবৃত্তি হতেই পারে। এমন বিশ্বাস সঙ্গে নিয়েই লঙ্কা ছাড়ছে করুনারত্নেরা।


১৯৯৬ এডিশনের ট্রফিটা গিয়েছিল শ্রীলংকার ঘরে। ২০০৩-এ সেমিফাইনাল, ২০০৭ আর ১১-তে টানা দুবার রানার্স আপ। তারপর থেকেই লঙ্কান ক্রিকেটের দুঃসময় শুরু। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর সাঙ্গাকারা- জয়াবর্ধনে জেনারেশনের অবসর।


পাইপলাইনে খেলোয়াড় সঙ্কট আর সেই সাথে যোগ হয়েছে নানা স্ক্যান্ডাল। বল টেম্পারিং থেকে শুরু করে আকসুর তদন্তে অসহযোগিতা নানা কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার খড়গ সাবেক আর বর্তমানদের অনেকের ওপরই। ২০১৫ সালের পর ৬ জন অধিনায়ক পেয়েছে টিম শ্রীলঙ্কা। থিতু হতে পারেনি কেউ। আর বিশ্বকাপের আগে সাত নম্বর হিসেবে দায়িত্বটা পেয়েছেন দিমুথ করুনারত্নে, চার বছরের বেশি সময় যার নেই ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা। শুধু অধিনায়কই নয়, লঙ্কানদের এবারের গোটা বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়েই সমালোচোনা মেলা।


তরুন ব্যাটিংলাইনের বিপরিতে শ্রীলঙ্কার বোলিং এন্ডে অভিজ্ঞতার ভার বেশি। যেখানে আগ্রহের কেন্দ্রে নিঃসন্দেহে লাসিথ মালিঙ্গা। যদিও ২০০৭ আর ১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের অভিজ্ঞতাই ওর সবচেয়ে বড় অর্জন।


সব মিলিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবে যোগ দিচ্ছে করুনারত্নের শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ আট ওয়ানডের সাতটাতেই হার। টেস্ট অ্যারেনায় কিছু সাফল্য থাকলেও ২০১৭ সালের পর খেলা প্রতি চারটা ম্যাচের তিনটাতেই হেরেছে তারা। ব্যাটিংটাই বেশি ভোগাচ্ছে। মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল ওরা। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি একটা ম্যাচেও।


এতো হতাশার মধ্যেও লংকান সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপ ট্রফিটা সবাইকে চমকে দিয়েই জিতেছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা।

প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না আফগানরা

প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না আফগানরা

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষেই হেরে গেলো পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি পাত্তাই পায়নি আফগানদের সামনে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে বিশ্বকাপে চমক দেখানোর রসদ পেলো রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা।


শুক্রবার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজমের সেঞ্চুরির পরও ৪৭.৫ ওভারে ২৬২ রানে অলআউট পাকিস্তান।টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। দলের জয়ে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। তার ইনিংসটি ১০২ বলে সাতটি চারে সাজানো।


দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের দুর্বলতা ফুটে ওঠেছে। বাজে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ও ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে।


২৬৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। উদ্বোধনীতে ৮০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।


তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া আফগানিস্তানের সেরা ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ৬.৩ ওভারে হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তার আর খেলা হয়নি। রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২৩ রান করেন শেহজাদ।


তার বিদায়ের পর রহমত উল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া হযরতউল্লাহ ফিফটির পথেই ছিলেন। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি।


পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে মাত্র ২৮ বলে আটটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৯ রান করে ফেরেন হযরতউল্লাহ।


এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ে আফগানদের। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। তিনি একাই লড়াই করে যান। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নবী।


শেষ ২৪ বলে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। হাতে ৬ উইকেট। ৪৭তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোহাম্মদ হাসনাইন। সেই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া নবীর উইকেট তুলে নেন হাসনাইন।


১৮ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। ৪৮তম ওভারে আগুনঝড়া বোলিং করেন ওয়াহাব রিয়াজ। মাত্র ২ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। তার বোলিং নৈপূণ্যে সে সময় জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল পাকিস্তান।


১২ বলে আফগানদের দরকার ছিল ১৪ রান। ৪৯তম ওভারে শাদাব খান খরচ করেন ১০ রান।


শেষ ওভারে হাসমতউল্লাহ ও রশিদ খানকে জয়ের জন্য মাত্র ৪ রান করতে হতো। এমন কঠিন মুহূর্তেও দুর্দান্ত বোলিং করেন ওয়াহাব রিয়াজ। ইনিংসের শেষ দিকে অসাধারণ ভালো বোলিং করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি ওয়াহাব। পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।


এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনার পরও ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে পাকিস্তানের। উদ্বোধনীতে ৪৭ রান করা পাকিস্তান এরপর ১৮ রানের ব্যবধানে হারায় প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট।


ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফেরা ইমাম-উল-হক ৩৫ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করতেই হামিদ হাসানের বলে বোল্ড হন।


ইমামুলের বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি অন্য ওপেনার ফখর জামান। মোহাম্মদ নবীর অফ স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন পাকিস্তান সেরা এই ওপেনার। তার আগে ২৩ বলে ১৯ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি করা ফখর।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা হারিস সোহেল ফেরেন রানের খাতা খুলেই। মোহম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার।


১৮ রানের ব্যবধানে ইমাম-উল-হক, ফখর জামান ও হারিস সোহেল মতো সেরা তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তনা। মজার ব্যাপার হলো তিন ব্যাটসম্যানই বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন।


৬৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলীয় ১০০ রানে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। এরপর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক।


পঞ্চম উইকেটে দায়িত্বশীল ব্যাটিং কর দলকে খেলায় ফেরান বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। এই জুটিতে তারা ১০৩ রান যোগ করেন। হামিদ হাসানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫১তম বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাবর।


ফিফটির পথেই ছিলেন শোয়েব মালিক। মোহাম্মদ নবীর কারণে ফিফটির দেখা পাননি। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করেন শোয়েব মালিক।


তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান বাবর আজম। অনবদ্য ব্যাটিং করে ৯৯তম বলে তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি বাবর। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১১২ রান করেন বাবর আজম।


শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনশ রান করতে পারেনি পাকিস্তান।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


পাকিস্তান: ৪৭.৫ ওভারে ২৬২/১০ (বাবর আজম ১১২, শোয়েব মালিক ৪৪, ইমাম-উল ৩২; মোহাম্মদ নবী ৩/৪৬, রশিদ খান ২/২৭, দৌলত জাদরান ২/৩৭)।


আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৩/৭ (হাসমত ৭৪*, হযরতউল্লাহ ৪৯, মোহাম্মদ নবী ৩৪, রহমত শাহ ৩২; ওয়াহাব ৩/৪৬)।


ফল: আফগানিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর সময়সূচি

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর সময়সূচি

admin May 25, 2019

গামী ৩০ শে মে পর্দা উঠছে ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার আসর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের। তবে টাইগার ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে ২ জুন পর্যন্ত। ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টাইগাররা শুরু করবে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।


এদিকে ১৯৯২ সালের পর আবারও বিশ্বকাপে ফেরত এসেছে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতি, অর্থাৎ গ্রুপপর্বে প্রতিটি দল প্রত্যেক দলের সাথে খেলবে। সে হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই খেলবে নয়টি ম্যাচ।


এর আগে অবশ্য আগামী ২৬শে মে পাকিস্তানের ও ২৮শে মে ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ দুটি ম্যাচই হবে কার্ডিফে।



বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর সময়সূচি:


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর সময়সূচি:

wcc-ads300x250-1এতদিন আইসিসি ইভেন্টে শুধু মাত্র ভারতের সকল প্রস্তুতি ম্যাচ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো, বাকিদের ম্যাচগুলো সাধারণত দেখানো হতো না টিভিতে। তবে এবার এই নিয়মের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।


বিশ্বকাপে এইবার ১০টি প্রস্তুতি ম্যাচের সবগুলোই সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস। যার ফলে বাংলাদেশের ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের বিপক্ষেই ম্যাচগুলো টিভিতে দেখা যাবে।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

admin May 25, 2019

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। এর পরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। চলতি বছরের ৩০ মে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে পর্দা উঠছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।


সূচি অনুযায়ী, আগামী ৩০ মে বিশ্বকাপের এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ১৪ জুলাই ফাইনালের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের এবারের আসরের পর্দা নামবে। তবে ফাইনাল ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে একটি রিজার্ভ ডে।


এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। টুর্নামেন্টের এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে ১০টি দেশ। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হবে। লিগ পর্বে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। প্রতিটি সেমির জন্য রয়েছে রিজার্ভ ডে।



২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি:
























































































































































































































































































































তারিখ



ম্যাচ শুরুর সময় (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)



ম্যাচ



ভেন্যু



৩০ মে


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা


ওভাল


৩১ মে


বিকেল সাড়ে ৩ টা


উইন্ডিজ-পাকিস্তান


নটিংহাম


১ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা


কার্ডিফ


১ জুন


সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা


আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া


ব্রিস্টল (দি/রা)


২ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা


ওভাল


৩ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড- পাকিস্তান


নটিংহাম


৪ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা


কার্ডিফ


৫ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা


সাউদাম্পটন


৫ জুন


সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা


বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড


ওভাল (দি/রা)


৬ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ


নটিংহাম


৭ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা


ব্রিস্টল


৮ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড


কার্ডিফ


৮ জুন


সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা


আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড


টন্টন (দি/রা)


৯ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-অস্ট্রেলিয়া


ওভাল


১০ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


দক্ষিণ আফ্রিকা-উইন্ডিজ


সাউদাম্পটন


১১ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা


ব্রিস্টল


১২ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান


টন্টন


১৩ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-নিউজিল্যান্ড


নটিংহাম


১৪ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ


সাউদাম্পটন


১৫ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান


কার্ডিফ (দি/রা)


১৬ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-পাকিস্তান


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড


১৭ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-উইন্ডিজ


টন্টন


১৮ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড


১৯ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা


এজবাস্টন


২০ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া


নটিংহাম


২১ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা


হেডিংলি


২২ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-আফগানিস্তান


সাউদাম্পটন


২২ জুন


সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা


উইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড (দি/রা)


২৩ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা


লর্ডস


২৪ জুন


বিকেল সাড়ে ৩টা


বাংলাদেশ-আফগানিস্তান


সাউদাম্পটন


২৫ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া


লর্ডস


২৬ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান


এজবাস্টন


২৭ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


উইন্ডিজ-ভারত


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড


২৮ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা


ডারহাম


২৯ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


পাকিস্তান-আফগানিস্তান


লিডস


২৯ জুন


সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা


নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া


লর্ডস (দি/রা)


৩০ জুন


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ভারত-ইংল্যান্ড


এজবাস্টন


১ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


শ্রীলঙ্কা-উইন্ডিজ


ডারহাম


২ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-ভারত


এজবাস্টন


৩ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড


ডারহাম


৪ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


আফগানিস্তান-উইন্ডিজ


হেডিংলি


৫ জুলাই


সন্ধ্যা সাড়ে ৩ টা


বাংলাদেশ-পাকিস্তান


লর্ডস


৬ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


শ্রীলঙ্কা-ভারত


হেডিংলি


৬ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৬ টা


অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড (দি/রা)


৯ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


প্রথম সেমিফাইনাল


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড


১০ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


রিজার্ভ ডে


ওল্ড ট্র্যাফোর্ড


১১ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


দ্বিতীয় সেমিফাইনাল


এজবাস্টন


১২ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


রিজার্ভ ডে


এজবাস্টন


১৪ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


ফাইনাল


লর্ডস


১৫ জুলাই


বিকেল সাড়ে ৩ টা


রিজার্ভ ডে


লর্ডস

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three