রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবেই যোগ দিচ্ছে ১৯৯৬-এর চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কারণে র্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে থাকা লংকানদের কাছে খুব বেশি কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে মাঠের ভেতরে আর বাইরের নানা সমস্যায় জর্জরিত দলটার কাছ থেকে চমক প্রত্যাশা করছে লঙ্কান সমর্থকরা।
পুরো শ্রীলঙ্কা দল একসঙ্গে। বিশ্বকাপের আগে আশীর্বাদ নিয়ে নিচ্ছে ধর্মীয় গুরুর। আর এই আশীর্বাদ যদি কাজেই লেগে যায় তাহলে ৯৬ এর পুনরাবৃত্তি হতেই পারে। এমন বিশ্বাস সঙ্গে নিয়েই লঙ্কা ছাড়ছে করুনারত্নেরা।
১৯৯৬ এডিশনের ট্রফিটা গিয়েছিল শ্রীলংকার ঘরে। ২০০৩-এ সেমিফাইনাল, ২০০৭ আর ১১-তে টানা দুবার রানার্স আপ। তারপর থেকেই লঙ্কান ক্রিকেটের দুঃসময় শুরু। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর সাঙ্গাকারা- জয়াবর্ধনে জেনারেশনের অবসর।
পাইপলাইনে খেলোয়াড় সঙ্কট আর সেই সাথে যোগ হয়েছে নানা স্ক্যান্ডাল। বল টেম্পারিং থেকে শুরু করে আকসুর তদন্তে অসহযোগিতা নানা কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার খড়গ সাবেক আর বর্তমানদের অনেকের ওপরই। ২০১৫ সালের পর ৬ জন অধিনায়ক পেয়েছে টিম শ্রীলঙ্কা। থিতু হতে পারেনি কেউ। আর বিশ্বকাপের আগে সাত নম্বর হিসেবে দায়িত্বটা পেয়েছেন দিমুথ করুনারত্নে, চার বছরের বেশি সময় যার নেই ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা। শুধু অধিনায়কই নয়, লঙ্কানদের এবারের গোটা বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়েই সমালোচোনা মেলা।
তরুন ব্যাটিংলাইনের বিপরিতে শ্রীলঙ্কার বোলিং এন্ডে অভিজ্ঞতার ভার বেশি। যেখানে আগ্রহের কেন্দ্রে নিঃসন্দেহে লাসিথ মালিঙ্গা। যদিও ২০০৭ আর ১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের অভিজ্ঞতাই ওর সবচেয়ে বড় অর্জন।
সব মিলিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবে যোগ দিচ্ছে করুনারত্নের শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ আট ওয়ানডের সাতটাতেই হার। টেস্ট অ্যারেনায় কিছু সাফল্য থাকলেও ২০১৭ সালের পর খেলা প্রতি চারটা ম্যাচের তিনটাতেই হেরেছে তারা। ব্যাটিংটাই বেশি ভোগাচ্ছে। মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল ওরা। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি একটা ম্যাচেও।
এতো হতাশার মধ্যেও লংকান সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপ ট্রফিটা সবাইকে চমকে দিয়েই জিতেছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা।