অনলাইন ডেস্ক:
অবশেষে স্বপ্নপূরণ হলো পঞ্চগড়বাসীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চালু হলো বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের এই ট্রেনটির উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রেল যোগাযোগ সম্পন্ন হলো।
ট্রেনটি চালু হলে উত্তরবঙ্গবাসীর পাশাপাশি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনেচ্ছুরাও অনেক উপকৃত হবেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের পাশাপাশি পঞ্চগড়বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেল নতুন আরো একটি উপহার। ‘পঞ্চগড় কমলাপুর’ রেলস্টেশনের নামের পরিবর্তে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পঞ্চগড়’ করা হয়েছে। ট্রেনটির পাশাপাশি আজ এই রেলস্টেশনেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের আগেই বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ট্রেন। দ্রুতগতির এই ট্রেন ৫৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে ১০ ঘণ্টায়।
ট্রেনটি প্রতিদিন দুপুর সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে রাত ১০টায় ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছাবে। যাওয়া ও আসার পথে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে।
ট্রেনটিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও ভাড়া একতা ও দ্রুতযানের সমান রাখা হয়েছে। ট্রেনটির ৩০ শতাংশ আসন পঞ্চগড়ের জন্য, ৩০ শতাংশ দিনাজপুর, ২৫ শতাংশ ঠাকুরগাঁও এবং ১৫ শতাংশ পার্বতীপুরের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সব মিলে প্রায় এক হাজার যাত্রী বহন করবে ট্রেনটি।
এদিকে এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।