চরম আর্থিক সঙ্কট: উত্তরের আটজেলার চামড়া বাজারে ধসের আশঙ্কা

চরম আর্থিক সঙ্কট: উত্তরের আটজেলার চামড়া বাজারে ধসের আশঙ্কা

admin August 19, 2018

রংপুর: একদিকে ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পাওনা, অব্যাহত লোকসানে পড়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে উত্তরের ৮ জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। আট জেলার প্রায় দুই হাজার চামড়া ব্যবসায়ী তাদের পাওনা প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা আদায় করতে না পারায় চলতি মৌসুমে এসে চরম অর্থাভাবে পড়েছেন। কাজ হচ্ছে না ট্যানারি মালিকদের দফায় দফায় চাপ দেয়ার পরও। এবার অর্থ সংগ্রহ করতে না পারলে তাদের পক্ষে চামড়া ক্রয় করা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতের চামড়া ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারী দলের সদস্যরাও। ফলে সীমান্ত জেলা দিয়ে এবার ছাগলের চামড়ার পাশাপাশি গরুর চামড়াও পাচারের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে চরম হতাশ এ অঞ্চলের চামড়া ব্যবসাীয়রা। তাদের আশঙ্কা এবার কোরবানী ঈদে চামড়ার বাজারে ধস নামার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চামড়া পাচার রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চামড়া পাচার রোধে সীমান্তের যে সকল এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নেই এবং অরক্ষিত সেসকল এলাকায় বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হবে। ওইসব এলাকায় টহল জোরদার করাসহ দিন-রাত সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান রাখা হবে। এছাড়া ওইসব এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, চামড়া পাচার রোধে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। চামড়ার ট্রাক কোনো সীমান্ত যেন অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে সকল রুটে চামড়া পাচারের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে। কোন অবস্থায় রংপুর বিভাগের সীমান্ত দিয়ে কোন চামড়া পাচার করতে দেয়া হবে না।


#ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা দেড়’শ কোটি টাকা #ব্যাংক ঋণ না পেয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা #ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এ দেশের ফড়িয়া দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকা #চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় প্রশাসন’


চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ছোট-বড় মিলে চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে রংপুর জেলায় চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ৩’শ। এদের মধ্যে আড়তদার রয়েছেন প্রায় ১’শ জন। ঢাকার ট্যানারি মালিক ও নাটোরের আড়তদারদের কাছে রংপুর বিভাগের চামড়া ব্যবসায়ীর বকেয়া পাওনা রয়েছে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা। এর মধ্যে রংপুর জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা রয়েছে ৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই বকেয়া পাওনা আদায়ে দফায় দফায় চাপ দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ছোট ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া দালালদের কাছ থেকে চামড়া কিনে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারিতে সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু এবারে আর্থিক সঙ্কটের কারণে বড় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া দালালরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে এদেশের ফড়িয়া দালালদের হাতে আগাম টাকা তুলে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে পুঁজি সঙ্কটের কারণে প্রায় ২’শ ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন। চামড়ার আড়তে এখন অটো বাইকের শোরুম করা হয়েছে।
রংপুর নগরীর চামড়ার মোকাম শাপলা চত্বরের চামড়া পট্টির ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুঁজি সঙ্কটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিনের চামড়ার আড়তে এখন অটোরিকসার শো-রুম দিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ১০/১২ জন চামড়া ব্যবসায়ী কোন রকমে চামড়ার ব্যবসা ধরে রেখেছেন। চামড়া ব্যবসায়ী মতিউর রহমান চৌধুরী, মতিয়ার রহমান, মজিবর রহমান, আবুল খায়েরসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, কোরবানীর ঈদের আগেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। প্রকার ভেদে গরুর চামড়া ৫’শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কেনা হচ্ছে।
চামড়া ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ জানান, চামড়া ব্যবসায় অব্যাহত লোকসানের কারণে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। জীবন-জীবিকার তাগিদে চামড়া ব্যবসা বাদ দিয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যাটারী চালিত অটো রিকসার ব্যবসা শুরু করেছি। চামড়া ব্যবসায় অব্যাহত লোকসানে পড়ে বেশীর ভাগ চামড়া ব্যবসায়ীই চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করছেন। তিনি জানান, চামড়া ব্যবসায় লোকসানের কারণে বর্তমানে চামড়া পট্টিতে ১০/১২ জন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা টিকে রেখেছেন। আগে যেখানে ১’শ থেকে দেড়’শ ব্যবসায়ী ছিল। এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ মেলেনি ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা লতিফ খান, মহসিন আলমসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে রংপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে রংপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

admin August 19, 2018

রংপুর: বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস । আজ রবিবার বিকেলে দিবসটি উপলক্ষ্যে রংপুর টাউন হল মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিটি পার্ক মার্কেটের ৩য় তলায় সংগঠনের কার্যালয়ে ‘সংবাদ সংগ্রহে ফটো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সভাপতি কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক ও বৈশাখী টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আফতাব হোসেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মিডিয়া ইন্সটিটিউট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আশরাফ খান কিরণ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সদস্য আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফরহাদুজ্জামান ফারুক, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেল, সিএনএন বাংলা টিভির রংপুর স্টাফ রিপোর্টার আফরোজা সরকার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মেজবাহুল হিমেল, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য ময়নুল হক, মেরাজুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদ রংপুর ব্যুরো প্রধান আব্দুর রহমান রাসেল, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক রনজিৎ দাস, ফটো সাংবাদিক আল আমিন, উত্তর বাংলার স্টাফ রিপোর্টার হাসান আল সাকিব, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর রংপুরের ক্যামেরাপার্সন শরীফ হোসেন, চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাপার্সন সাইফুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। এর আগে র‌্যালির উদ্বোধন করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও বৈশাখী টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আফতাব হোসেন।

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

admin August 19, 2018

রংপুর: রংপুর নগরীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ। আজ রোববার দুপুরে ধাপ এলাকায় অবস্থিত আরপিএমপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরএমপি প্রধান বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদ, সহিংসতা ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশা অনুসরণ করব। রংপুর মহানগরীর মানুষকে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কমিশনার বলেন, রংপুর মহানগর পুলিশ আইন নতুন। নগরীতে আরপিএমপি পুলিশের পোষাক নতুন। জনবল নতুন। তাই আমাদের এখানকার পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নতুন উদ্যোমে নতুন মন মানসিকতা নিয়ে এই নতুন মেট্রোপলিটনে শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে হবে। আরপিএমপি প্রধান বলেন, সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুষ্টু লোকরাই আমাদের শত্রু। এদের দ্বারাই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এরা মানুষকে নিরাপদে থাকতে দিতে চায় না। আমরা এমন দুষ্টু লোকদের কোন ছাড় দিতে চাই না। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আরপিএমপিতে শুধু প্রশাসনিক কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের যে কোন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবগঠিত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধনের পর থেকে ২৩৯ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে গঠিত রংপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের জনবল নতুন ৬টি থানার মানুষকে আইনি সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আরপিএমপি’র উপ-কমিশনার মেহেদুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান। সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দাবানলের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার অনু, ক্রীড়া সম্পাদক ও করতোয়ার রংপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমান হাবু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুর এর সাধারণ ও দৈনিক পরিবেশের সিনিয়র রিপোর্টার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক দাবানল এর রিপোর্টার ফরহাদুজ্জামান ফারুক।


এসময় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও আলোকিত বাংলাদেশ এর রংপুর ব্যুরো আব্দুর রহমান মিন্টু, মাছরাঙা টেলিভিশন এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রফিক সরকার, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের রংপুর প্রতিনিধি নজরুল মৃধা, সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগের আলোর বার্তা সম্পাদক আবু তালেব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক খোলাকাগজ রংপুর প্রতিনিধি হারুন-উর-রশিদ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক যুগের আলোর ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আফজাল, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠ’র রংপুর ব্যুরো স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার রংপুর ব্যুরো এসএম পিয়াল, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির রংপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, দৈনিক মায়াবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বপন মিঞাজী, দৈনিক সংগ্রামের রংপুর ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, দৈনিক লাখোকন্ঠের রংপুর ব্যুরো প্রধান শীতুজ্জামান শীতু, রংপুর প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক প্রথমখবরের ফটো সাংবাদিক মেজবাহুল হিমেল প্রমুখ।

বড়পুকুরিয়ার এক ইউনিট চালু মঙ্গলবার, ইদে উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তা
নেই

বড়পুকুরিয়ার এক ইউনিট চালু মঙ্গলবার, ইদে উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তা নেই

admin August 19, 2018

ঢাকা: ইদের সময় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে আগামী মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি এও বলেন, ইদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা থাকবে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যমুনার এপারে বিদ্যুৎ সারপ্লাস থাকলেও তা উত্তরাঞ্চলে নেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পুরোপুরি লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না। বলেন, বড় পুকুরিয়ার একটি চালু করার পর রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ ওঠানামা বন্ধ হবে। ইদের সময় মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইদের সময়ে চালু রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরো সময়ে চালু রাখা গেলে অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতো বিদ্যুৎ সরবরাহ। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সেখানে কাছে পাঁচ-ছয় হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ৮০ মেগাওয়াট লোডে একটি ইউনিট ছয়-সাতদিন চালানো সম্ভব হবে। যাতে উত্তরাঞ্চলে কিছুটা দুর্ভোগ কমে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সোমবার সকালে উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, পিকআওয়ার নাগাদ (সন্ধ্যা) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। আবার বন্ধ করতে হলেও কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা প্রয়োজন হয়।


বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মুখে স্থাপিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে গত জুলাই মাসের ২২ তারিখে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তরাঞ্চলের বাড়ন্ত চাহিদায় লোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতো এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বসে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি)। উত্তরের ৮ জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে একটি ইউনিট নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে রয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। এই ইউনিটটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ চালুর উপযোগী হবে। ১২৫ ও ২৭৫ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট এখনই উৎপাদনের উপযোগী রয়েছে।


২০১৭ সাল থেকে বড় পুকুরিয়ার ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় বছরখানেক ভ‚গর্ভের এই ফেস থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ। নতুনভাবে ১ হাজার ৩১৪ নম্বর ফেসে উত্তোলনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পুরনো ফেসের উৎপাদিত সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেসে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে আরও প্রায় একমাস সময় প্রয়োজন হবে বলে জানায় খনি সূত্র। তবে নতুন স্তর থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি অভ্যন্তরে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই টানেল তৈরি করতে গিয়ে কিছু কয়লা পাওয়া যাচ্ছে যা জমিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুল হাকিম সরকার। ১২৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু রাখতে হলে দৈনিক ১২শ’ টন ও ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২৮শ’ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। আটদিন পুরোপুরি চালাতে গেলে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।

একটি গরু নিয়ে মামলা: গরুর দাম ২৩ হাজার, মামলায় খরচ ৪৫ হাজার

একটি গরু নিয়ে মামলা: গরুর দাম ২৩ হাজার, মামলায় খরচ ৪৫ হাজার

admin August 19, 2018

ময়মনসিংহ: ২৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরুর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে আশ্চর্যজনক ঘটনা। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিশ মামলা, এমনকি আদালত পর্যন্ত গড়েছে। আদালতের নিদের্শে গঠন করা হয় দুইটি তদন্ত কমিটি। যার একটি করে পুলিশ, অন্যটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জানা গেছে, এ মামলায় বাদী-বিবাদী পক্ষের এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা, কিন্তু গরুটির দাম ২৩ হাজার টাকা। নান্দাইল থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির এখন পর্যন্ত সমাধান হয়নি।
এদেিক ওই গরুটি নিয়ে বিপাকে আছে নান্দাইল থানার পুলিশ। কেননা, গরুটি এখন আছে থানা হেফাজতে। যার দেখাশোনার জন্য একজন কনস্টেবলকে রুটিন করে গরুটির যত্ন নিতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস তিনেক আগে নান্দাইল থানার হেফাজতে আসা গরুটির মালিকানা দাবি করে ২ কৃষক। থানায় মীমাংশা না হওয়ায় বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বর্তমানে উপজেলার কৃষক আব্দুল গনী ও হুমায়ুন মিয়া গরুর মালিকানা দাবি নিয়ে আদালতে লড়ছেন। এদিকে আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার একটি করে পুলিশ অপরটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, গরুটি আব্দুল গনীর, আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিবেদন বলছে, গরুর মালিক হুমায়ুন মিয়া। দুই কর্মকর্তার দাবি তাদের তদন্তই সঠিক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নান্দাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিষয়টির প্রতিটি স্তরে গিয়ে তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টে কোনো ভুল নেই বলে মনে করছেন তারা। অপরদিকে নান্দাইল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মলয় কান্তি মোদক বলেন, পুলিশ গরুর কি বুঝে? আমরা এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। অবশ্যই আমার তদন্তই ঠিক।
গরুর মালিকানা দাবিকারী আব্দুল গনী দাবি করেন ওই গরুটি তার। প্রায় বছরখানেক ধরে তিনি এটির লালন-পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে গরুটি তার। আদালতে হুমায়ুন মিয়া পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করলে আদালত আবার তদন্ত করতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। আব্দুল গনী জানান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত না করে রিপোর্ট দেন গরুটি হুমায়ুন মিয়ার। অপরদিকে হুমায়ুন মিয়ার দাবি, তার গরুটি বেশ কিছুদনি আগে হারিয়ে যায়। এখন সেটি খুঁজে পেয়েছেন। তাই তিনি এর মালিকানা চান। কিন্তু আব্দুল গনী দাবি করছেন গরু তার। তাই মামলা চলছে।
এদিকে গরু নিয়ে আদালতে যিনি জিতবেন তিনি একপ্রকার বিপাকে পরতে যাচ্ছেন। কেননা গরু থানায় থাকাকালীন যা খরচ হচ্ছে তা গুণতে হবে তাকেই।

বিনা অপরাধে বিএনপি আমাকে জেলে দিয়েছিল -এরশাদ

বিনা অপরাধে বিএনপি আমাকে জেলে দিয়েছিল -এরশাদ

admin August 19, 2018

কুড়িগ্রাম: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে আমি জোটে নির্বাচন করবো। আমি সরকারের সাথে আছি, জোটে আছি। আর বিএনপি না আসলে আলাদাভাবে ৩শ আসনেই নির্বাচন করবো। এখন এটাই আমাদের পরিস্থিতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। সেখানে ৭/৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে আমরাও থাকবো। এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি আমার উপর যে অত্যাচার করেছে, আমি ৬ বছর জেলে ছিলাম। বিনা অপরাধে আমার বউ, ছেলে-মেয়েকেও জেলে দিয়েছিল তারা। এসব ভোলা কঠিন।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইফ তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি খালি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আসনটি সবে মাত্র খালি হয়েছে। এখানে চৌধুরী শফিকুল ইসলামসহ যারা যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী তাদের ব্যাপারে পরে বসে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আক্কাছ আলী সরকার, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সার্কিট হাউজে পৌছিলে তাকে গার্ড অব অর্নার দেয়া হয়। পরে তিনি চিলমারী উপজেলায় জাতীয় পার্টি আয়োজিত কর্র্মীসভায় যোগ দেন।

নীলফামারীতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ উপলক্ষে সমন্বয় সভা-টিকেট মিলবে সৈয়দপুরেও

নীলফামারীতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ উপলক্ষে সমন্বয় সভা-টিকেট মিলবে সৈয়দপুরেও

admin August 19, 2018

নীলফামারী: আগামী ২৯ আগস্ট নীলফামারীতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-শ্রীলংকা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বক্তৃতা করেন। সমন্বয় সভায় জানানো হয়, আগামী ২৯ আগষ্ট নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা জাতীয় ফুটবল দলের একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটিকে সফল ও উপভোগ্য করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হবে। মোট ২০ হাজার ৩৬৯ জন দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলাটি উপভোগ করতে পারবেন।
এর মধ্যে এক হাজার টাকা মূল্যের ৩৬৯ টি ভিআইপি ও একশত টাকা মূল্যের ২০ হাজার সাধারণ টিকেট বিক্রয় করা হবে। টিকেট কালোবাজারী রোধে ম্যাচের মাত্র তিন দিন আগে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা।
এদিকে খেলাটিকে সফল করতে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করেছেন সংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ফুটবল ম্যাচের টিকিট


Ticketনীলফামারী: নীলফামারীতে আগামী ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রীতি ম্যাচের টিকিট সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। ২৯ আগষ্ট বিকেল ৪টায় নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন জানান, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে যশোরে ফুটবল আয়োজন করে সফল হয়েছে বাফুফে। এবারে উত্তরবঙ্গে ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার বাহিনী মাঠে কাজ করবে। প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স।

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

admin August 19, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ৮৮০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৪৩ হাজার নয়শত সাতানব্বই পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপিসদস্যদের নামে ভাগাভাগি করে নেওয়ার কারণে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়, শৌলমারী, রৌমারী ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচি চাউল বিতরণের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাউল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এসব চাউলের নামের স্লিপ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার দলীয় নেতাকর্মীসহ একশ্রেণির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
যাদুরচর ইউনিয়নের চাউল নিতে আসা ধনারচর গ্রামের হযরত আলী,আবু সমা, বাইমমারী গ্রামের শুকুর আলী, ইসরাফিল জানান, তালিকায় নাম আছে চাউলের জন্য আসছিলাম, আমাদের নামে স্লিপ বিক্রি হয়ে গেছে, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাছে বিচার দিলাম কোন লাভ হয় নাই। খালি হাতে বাড়ীতে ঘুইড়া যাই। আমাগো গরীব মানুষের চাল বেইচা চেয়ারম্যান মেম্বার দলের নেতার্কমীর ঈদ উৎসব করবো। আমরা না খাইয়া থাকুম আল্লাহ্ কাছে একদিন গরীবের চাল খায়ার হিসাব হবে।



[কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা]


রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদশা মিয়া বলেন, প্রতি বস্তায় কেজি চাউল কম হয়। আমার আরো এক শ’ পঞ্চশটি নাম চাউল দেওয়া বাকী আছে চাউল আছে সাত বস্তা। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করে দশ কেজি করে চাউল দিতে বলছে। চাউল নাই তালিকায় নাম আছে তাদের কম বেশি চাউল বিদায় করতে হবে।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মণ্ডল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, রৌমারী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারঃ) লালমিয়া জানান, আমরা অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করেছি। তালিকাভূক্ত সবাই চাউল পাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে জন্য মিটিং করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করার কথা। এত নাম মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখা সম্ভব না। চাউল না পাওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের জানান। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আমি দশ কেজি করে চাউল দিতে বলি নাই। চাউল বিতরণ করে বেশি হলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে বিতরণ করতে বলেছি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় শতকরা পঞ্চশ জন লোক চাল পায় নাই। চুয়াল্লিশ পরিবারে মাঝে সঠিক ভাবে চাউল বিতরণ করলে একটি গরীব মানুষ বাদ যাবেনা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, দলীয় নেতাকর্মীরা গরীবের চাউল বিক্রয় করে ঈদের টাকা খরচের ব্যস্ত আছে। ভিজিএফ কর্মসূচির উপকাভোগীদের নামে তালিকা সঠিক ভাবে করা হয় নাই। এক পরিবারে একাধিক মানুষের নাম আছে, পাশে বাড়ী গরীব মানুষটির নাম নাই। ৬টি ইউনিয়নের একাধিক মানুষের অভিযোগ তালিকায় নাম আছে চাউল পায় নাই। ২০কেজি করে চাউল বিতরণে নিয়ম থাকালেও উপকাভোগীদের দেওয়া করা হচ্ছে ১২/১ কেজি করে চাউল।

দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক যুবতীকে গণধর্ষণ

দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক যুবতীকে গণধর্ষণ

admin August 19, 2018

টাঙ্গাইল: ভূঞাপুরে দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পুখুরিয়া শিয়ালকোল কবিরের ইট ভাটা এলাকায় এঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সাথে যুক্ত দুই পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো- অটোচালক জাহিদ ও হিটলার। জানা গেছে, ধর্ষিতা ছাত্রী ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের ফাজিল মাদ্রাসায় ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।


জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে পরিবারের সাথে অভিমান করে ভূঞাপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক অটোরিকশায় উঠতে গেলে ওই দুইজন তার কাছে যায় এবং গন্তব্যের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে তাকে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেয়। এতে ভিকটিমের সন্দেহ হলে সে পায়ে হেঁটে শিয়ালকোলের দিকে রওনা দিলে ওই দুই অটোচালক তার পিছু নেয়। মেয়েটি পুখুরিয়া শিয়ালকোল কবিরের ইট ভাটার কাছে পৌঁছলে হিটলার ও জাহিদ তার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং প্রথমে জাহিদ ও পরে হিটলার তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।


পরে ওই মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হিটলারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং হিটলারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে হিটলারের দেয়া তথ্য মতে অপর জাহিদকে নিজ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।


ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, ঘটনার রাতেই দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে হিটলার ও জাহিদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

দুই জমজ গরু সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি!

দুই জমজ গরু সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি!

admin August 18, 2018

বাগেরহাট: অবশেষে এলাকায় ব্যাপক আলোচিত জমজ ভাই গরু দুটি সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি হলো। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী গতকাল শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২ টায় নিজ গ্রামের এই একজমজ গরু ক্রয় করেছেন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকাহাঁকি-জাতীয় ব্যাপক প্রচারণার পর অবশেষে তাদের দুজনকে বিক্রি করা হলো। আর এরি সাথে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হলেন জমজ দু’ভাইয়ের লালন-পালনকারী।
হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী বলেন, ‘আমার বাবার বয়স একশ’ বছরের বেশি, তাঁর ইচ্ছে এবছর বড় আকারে কোরবানী দেবে। এলাকাবাসীও চেপে ধরলো। আমি মেম্বারদের সাথে কথা বললাম, তারাও রাজি। এদিকে মুনজুরুল আলম চৌধুরী গ্রামের আত্মীয়। তার গরু নিয়ে নানা ধরণের প্রচারণার প্রেক্ষিতে তা বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। সবদিক বিবেচনা করে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় গরু দু’টি কিনলাম।’
মুনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জমজ গরুর ওজন হবে প্রায় ৪০ মন। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তাদের কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাপারী বাড়িতে আসেন, নানা জায়গা হতে ফোনও আসে। প্রথমে চার লাখ থেকে পরে ১৫/ ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকানো হয়। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই দুভাইকে দেখতে আসে। কিন্তু বাস্তুবে কেনার জন্য টাকা নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এদিকে এবারের ঈদে তাদের বিক্রি করতে না পারলে মহা মুশকিলে পড়ে যাবো! ফি’ বছর তাদের রাখতে গেলে প্রতিটি গরুর পেছনে বছরে এক লক্ষাধিক টাকা ব্যায় গুনতে হবে। ঢাকার বাজারে নিতেও অনেক খরচ, গরুগুলোর শরীর ভারী, নিতে পথে মারা যাবে কি-না কে জানে! এমনি দুঃশ্চিন্তার মধ্যে যখন আমার সময় যাচ্ছে, তখন শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান গরু দু’টি কিনে আমাকে দুঃশ্চিন্তামুক্ত করেন।’
গরুর ফার্ম মালিক মুনজুরুল আলম চৌধুরী আরো জানান, প্রত্যেকটি গরু লালন-পালনের পেছনে অনেক ব্যায়। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারদর কম। বাজারদর বাড়লে আগামীতে এই ফার্ম টেকাতে পারবো। চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মুনজুরুল আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন। ২০১৩ সালে চাকুরীতে অবসর গ্রহণ শেষে গ্রামে ফেরেন। নানা জাতের ৩২টি গরু নিয়ে শুরু করেন গরুর ফার্ম। সেই ফার্মে ‘হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান’ জাতের গাভী হতে জন্ম নেয় জমজ দু’টি এঁড়ে গরু। ফার্মের তত্ত্বাবধানকারী তুষার শেখ প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রমে দুইভাইকে হৃষ্টপুষ্ঠ করে তোলেন। তুষার শেখ (১৮) বলেন, ‘এই দুই ভাইকে আমি অনেক ভালবাসি, রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি। ওরা চলে গেলেঅনেক কষ্ট হবে।’

বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

admin August 18, 2018

রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাড়ি বানিয়াপাড়া এলাকার বৃদ্ধা সায়েদা বেগমের হত্যাকান্ডে বাদীপক্ষের সাজানো মামলায় হয়রানীর শিকার গ্রামের অসহায় কৃষকরা মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সাথে ওই হত্যায় জড়িত মূলহোতা ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলামসহ তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মোড় থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভ শেষে শহীদ মিনার চত্ত¡রে মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ।


মানববন্ধন সমাবেশ থেকে বাদীপক্ষের সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে গ্রামের নিরহ অসহায় কৃষক পরিবারের সদস্যদের অব্যহতি দিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণকমিটির আহবায়ক আতাউর রহমান রেজা, জাসদ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক নূর সুমন, সমাজসেবক মুকুল, মাহফুজার রহমান, আব্দুল হাই, সাহাবুল ইসলাম, মেঘনা, গোলাপী বেগম, রমিজা খাতুন, খয়বার হোসেন প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, মামলার বাদী ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার আপন ফুফু সায়েদা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় মমিনুলকে সহায়তা করে তার পিতা অহিদুল ইসলাম। পিতা-পুত্রের হামলায় সায়েদা বেগমের মৃত্যু হলে মমিনুল নিজেই বাদি হয়ে এলাকার নিরীহ অসহায় ২২টি কৃষক পরিবারকে জড়িয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর থেকে গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাটি এখন পুরুষশুন্য হয়ে আছে। এসময় বক্তারা অবিলম্বে হয়রানীমূলক সাজানো মামলা থেকে গ্রামের অসহায় পরিবারের সদস্যদেরকে অব্যহতি দিতে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। এরআগে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও কৃষক পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

হিলিতে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও দোয়া

হিলিতে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও দোয়া

admin August 18, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুর হিলি বাজার রেলস্টেশন এল এস ডি গোডাউন মোড়ে গতকাল ৬ টার দিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা ৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরল ইসলাম ডাবলু, সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক, হাকিমপুর উপেজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, হাকিমপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারনউর রশিদ হারন,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক,হাকিমপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শ্রী জর্নাদ্দন,সাধারণ সম্পাদক মহসিন মন্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাহের মন্ডল,সাধারণ সম্পাদক ছদরুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি আতাউর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, হাকিমপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আমিরল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল মল্লিক টগর, পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান উজ্জ্বল, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ডালিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রী সুমন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মহাবুব রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল সরকার প্রমুখ । পরে দেশ ও জাতি কল্যণে দোয়া হয়েছে।



আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষকে কাচা রাস্তায় হাটতে হবে না-শিবলী সাদিক


দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে ভাদুরিয়া বাজারে গ্রোথ সেন্টার মার্কেটে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকাল ৬ টায় উপজেলা ভাদুরিয়া বাজারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এ এল জি ই ডি) এর অর্থায়নে ১ কোটি ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৮ শ ৩৮ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার পক্ষে ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি।
এ উপলক্ষে ভাদুরিয়া বাজার কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভাদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. জহুরুল ইসলাম রাজা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি তিনি তার বক্তব্যে বলেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হলে গ্রামে জনসাধারন কে আর কাচা রাস্তায় হাটতে হবে না। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আমির হোসেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসমান জামিন ও উপজেলা পরিষদের ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

admin August 18, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে চরম অনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের কার্ড প্রতি ২০ কেজির স্থলে দেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল। মহিলা মেম্বার সহ অনেক ওয়ার্ড মেম্বার তাদের বরাদ্দকৃত কার্ড সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে চালের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে গরীব দুস্থরা চাল না পেয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। আবার অনেকে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনের কাছে কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে।


সরেজমিনে উপজেলার খাতামধুপুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতেই কার্ডপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীর ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্নপাত করছেন না। খাতামধুপুর ইউনিয়নের সাধাপাড়ার বিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বিনা রানী (৩৫) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বের হয়ে পাশেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে চাল ওজন করে কম পান। তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি।‌




#সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম #কার্ড প্রতি ২০ কেজির জায়গায় ১৫ কেজি বিতরণ #মেম্বারের কার্ড বিক্রির অভিযোগ



বটতলী বছির উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল (৪০) এসময় বলেন, তার চালও কম হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১৪ কেজি। একই অভিযোগ করেন আরাজি পানিশালার খগেন্দ্র চন্দ্র রায় (৬৫)। তিনিও তাৎক্ষণিক চাল ওজন করে দেখেন তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি ৩ শ’ গ্রাম। এসময় উপস্থিত সুবিধাভোগী শেফালী বেগম আক্ষেপের সাথে বলেন, সরকার দেয় হামাক গরিবের জন্য চাল, কিন্তু মেম্বার-চেয়ারম্যানরা তা মারি খায়ছে। কাহো চাল কম দেয়ছে আবার কাহো স্লীপ (কার্ড) বেচে (বিক্রি) দেয়ছে পাইকারের ঠে (কাছে)।


এদিকে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেতা জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে তার বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪০০ কার্ডই বিতরণ না করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, তার ওয়ার্ডের কোন সুবিধাভোগীই কোন কার্ড পায়নি। একইভাবে এই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেত্রী জেবুন্নেসা তার প্রাপ্ত ৩৫০টি বিতরণ না করে বিক্রি করেছেন। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশেদা বেগমও তার প্রাপ্ত ৪৬৬টি কার্ড বিক্রি করেছেন। এনিয়ে চরম তোলপাড় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে ইউনিয়ন জুড়ে।


এ বিষয়ে খাতামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাইরে কেউই ১৮ কেজির বেশি চাল দিতে পারবেনা। তবে ১৫/১৬ কেজিও দেয়া হয়নি। তারপরও কারো কম হলে সেটা মিসটেক, ইচ্ছেকৃত নয়। এমতাবস্থায় চালের কার্ড বিক্রি করে দেয়ায় প্রকৃত গরীব ও দুস্থরা সরকারের দেয়া চাল না পেয়ে অসুবিধায় পড়েছে। তাছাড়া যারা কার্ড পেয়েছে তারাও চাল কম পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সরকারের সমালোচনা করছেন। এতে জনমনে বিরুপ প্রভাব পরছে।

কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা

কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা

admin August 18, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার এক পুলিশ ও এক কলেজছাত্রীকে 'দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত অবস্থায়' একই রুমে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে দেড়লাখ টাকায় ঘটনার মীমাংশা করা হয় বলে জানা গেছে। যদিও ওই পুলিশ সদস্যের দাবি, ধর্মবোন হওয়ার সুবাদে তার বাসায় মাঝেমধ্যে যেতেন তিনি। ঘটনার দিন ওই এলাকায় গেলে তিনি ওঁদের বাড়িতে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে জোর করে ওই কলেজছাত্রীর রুমে ঢুকিয়ে ‌দেয়। ঘটনাটি ওই এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর বলছেন, কলেজছাত্রী ও ওই পুলিশ সদস্যের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিনও তারা দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত ছিল।


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া যুবতীর বাড়িতে মাঝেমধ্যে অবাধে যাতায়াত করতেন। এতে করে ওই এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীর রুমে গেলে তাকে আটকে রাখে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ওই কক্ষ ঘিরে রাখে। পরে শতশত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে আসতে থাকে। অনেকে মিজানুর রহমানকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে।


জানা গিয়েছে, ঘটনা জানাজানি হলে ওই থানার অপর এক এসআই আই নুর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংশার প্রস্তাব দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভোর রাত ৫ টার দিকে নগদ দেড়লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টির মীমাংশা হয়।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ওই কলেজছাত্রী আমার ধর্মবোন হওয়ায় মাঝে মধ্যে ওঁদের বাসায় যাতায়াত করতাম। বৃহস্পতিবার রাতে একটা কাজ শেষে ওই এলাকা দিয়ে আসার পথে ওঁদের বাড়ি যাই। পরে কিছু লোক আমাকে ওই ধাক্কা দিয়ে ওর রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে আটকে রাখে।


আপোস-মীমাংশার সময় উপস্থিত ইউপিসদস্যদের মধ্যে বিপ্লব আলী জানান, রাজারহাট থানার এসআই নুর আলম তাকে বিষটি জানিয়ে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংশা করা হয়।


মীমাংশাকারী এস আই নুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ওই ঘটনার আপোস মিমাংসা করতে যেয়ে রাতে ঘুমোতে পারিনি পরে কথা বলব। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে সবাই যা শুনেছে তিনিও তা শুনেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলেও জানান। তবে এসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ওই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাড়ির 'গেটম্যানের' লাশ উদ্ধার

বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাড়ির 'গেটম্যানের' লাশ উদ্ধার

admin August 17, 2018

বাঘা, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় মফিজ উদ্দিন নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাশে নিজ আম বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। মফিজ উদ্দিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যখন বাসায় আসতেন তখন আড়ানীর বাড়ির গেটম্যান হিসেবে দায়িত্বে পালন করতেন এবং পাশাপাশি রাজশাহী শহরে অটো রিকশা চালাতেন বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিন (৫২)। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে নিজ আম বাগান দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে স্থানীয়রা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ দিয়াড়পাড়া গ্রামের তার নিজ আম বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যখন আড়ানীর বাড়ি আসে এ সময় মন্ত্রীর বাড়ির গেটম্যান হিসেবে দায়িত্বে পালন করতেন। আর মন্ত্রী চলে গেলে সে রাজশাহী শহরে অটো রিকশা চালাতেন। তবে সে তিনদিন আগে নিজ বাড়িতে এসেছে বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত মফিজ উদ্দিনের মৃত্যুও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মফিজের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে তার মৃত্যুর রহস্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

১৩ বছর পূর্তি জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার, কুড়িগ্রামে সমাবেশ

১৩ বছর পূর্তি জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার, কুড়িগ্রামে সমাবেশ

admin August 17, 2018

কুড়িগ্রাম: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারা দেশে জামায়াতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)র সিরিজ বোমা হামলার ১৩ বছর আজ। ভয়াবহ এ বোমা হামলার প্রতিবাদে সকালে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ঘোষপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম, সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, জেএমবির মুল হোতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের শাস্তি হলেও তাদের মদদ দাতাদের শাস্তি হয়নি এখনও। মদদ দাতাতের শনাক্ত করে শাস্তির দাবী জানান তারা।


২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ওইদিন সকাল সাড়ে বেলা ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মধ্যে দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪ টিসহ সাড়ে ৪শ’ স্পটে প্রায় ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এই হামলায় দুই জন মারা যায় এবং আহত হয় দু’শতাধিক মানুষ। ওই দিন কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গন ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বোমা হামলা করে তারা। বিস্ফোরণ স্থলে লিফলেট রেখে আত্ম প্রকাশ করে তারা। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলায়।


জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১শ ৬১টি মামলা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বিচার কাজ শেষ হয়েছে ১শ ০২টি মামলার। নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলোয় শীর্ষ জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইসহ ৩৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৩১ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে আরও ১৮৪ জনকে সাজা দেওয়া হয়। খালাস পান ১১৮ জন।

মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

admin August 16, 2018

রংপুর: রংপুরের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টরের চলাচল। সড়কে এসব যানের উপস্থিতি গণমানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সড়কে চলাচলের জন্য এসব পরিবহনের কোনো রুট পারমিট না থাকলেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এসব যানের অবাধ চলাচল লক্ষ্য করেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ এসকল ট্রলি-ট্রাক্টরের মালিকের কাছে মাসোহারা আদায়ের কারণেই এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, কৃষি কাজের জন্য ভুর্তুকি দিয়ে বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানি করা হয়। আমদানিকারকরা এসব ট্রাক্টর বিক্রি করে ইটভাটার মালিক, মাটি ও বালু ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরের পিছনে ট্রলির বডি লাগিয়ে মহাসড়কে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে।
রংপুর জেলায় অবৈধ এসব ট্রলি-ট্রাক্টরের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কারও কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে জেলাজুড়ে হাজার হাজার ট্রলি-ট্রাক্টর হাইওয়ে থেকে শুরু করে গ্রামের রাস্তাগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রংপুরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ট্রাক্টর মাঠে কৃষিকাজের জন্য অনুমোদিত, সড়ক-মহাসড়কে চলাচল কিংবা পণ্য সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই। সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে এ যানটি সড়কে চলাচল করছে।
স¤প্রতি নগরীর টার্মিনাল, মডার্ণ মোড়, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলাচলকারী মালবোঝাই ট্রাক্টরের কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। এ ছাড়া ট্রাক্টরের কোনো নম্বর-প্লেটও নেই। কোনো কোনো ট্রাক্টর ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মালামাল বোঝাই করে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। চালকেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স।



[এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প]


টার্মিনাল এলাকার ট্রাক্টর চালক সুজা মিয়া জানায়, তৃতীয় শ্রেণি পাস করে সে বেকার ছিলো। গত দুই বছর ধরে ট্রাক্টর চালাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বিষয়টি তার জানা নেই। রাস্তায় পুলিশ ধরলে মালিকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে দিতে হয়। পরে তারা ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়। ব্যস্ত সড়কের মধ্যে দ্রুত ট্রাক্টর চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বালুবাহী ট্রাক্টরের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী দ‚র থেকে বালু আনতে হয়। কম সময়ের মধ্যে যত বেশি বালু আনতে পারব, ততই আমার লাভ। তাই একটু দ্রুত চালিয়ে যেতে হয়।
নগরীর কেরানীপাড়া এলাকার খোরশেদুল আলম জানান, ট্র্রাক্টরগুলো অদক্ষ চালকদের হাতে থাকায় তাঁরা প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি পিটিসি’র মোড়ে একটি আটোরিকশার ওপর ট্রাক্টর উঠে গেলে তিনজন গুরুতর আহত হন। এছাড়া আমার চোখের সামনে এর আগেও অনেকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক্টর মালিক জানান, প্রতিটি ট্রাক্টরের জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা হারে পুলিশকে মাসোহারা দিতে হয়। হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের লোক নির্ধারিত স্থান থেকে এ মাসোহারা আদায় করেন। প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই এ মাসোহারা আদায় করা হয়। কোনো ট্রাক্টর মালিক যদি মাসোহারা দিতে কালক্ষেপন করেন কিংবা মাসোহারা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে তার ট্রাক্টর আটকে রেখে জরিমানাসহ বিভিন্ন হয়রানি করা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর সদর এলাকাসহ জেলায় যে সকল ট্রাক্টর চলাচল করে তার প্রত্যেকটির জন্য মালিকের কাছ থেকে ১/২ হাজার টাকা মাসোহারা আদায় করা হয়। যে সকল ট্রাক্টর মালিক মাসোহারা দেন না, বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে তাদের ট্রাক্টর আটক করে জড়িমানা করা হয়। শুধু তাই নয়, সড়কে যে সকল ফিটনেস বিহীন ট্রাক চলাচল করে তাদের কাছ থেকেও প্রকারভেদে দেড় থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসোহারা আদায় করা হয়। যারা মাসোহারা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
তবে মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রংপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ খান মো. মিজানুর ফাহিমী বলেন, লোকে এ ধরনের অনেক অভিযোগ করে। আসলে এ ধরণের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যানের চলাচল প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যারা ধরা পড়ছেন তাদের যান আটকে রাখা ও জরিমানা করাসহ প্রয়োজনী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের সংবাদ লিখে কোন লাভ নেই। বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অবৈধ এ যানের চলাচল প্রতিরোধে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সড়কে বেআইনিভাবে ট্রাক্টর চলাচল করছে। আমরা যতটুকু সম্ভব অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক্টর মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। মাসোহারা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।

রাজারহাটে চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বরাদ্দ বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ

রাজারহাটে চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বরাদ্দ বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ

admin August 16, 2018

কুড়িগ্রাম: সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এনামুল হকের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের একজন মহিলা সদস্য। রাজারহাট ইউনিয়নের ১, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছা. জাহানারা বেগম জেলা প্রশাসক, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আজ বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ মে রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ঐ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে বিভিন্ন ভাবে কাম চারিতার্থ করার জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় এবং তার স্বামীকে বিষয়টি অবহিত করায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে তাকে বঞ্চিত করে আসছেন। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে ক্ষমতাহীন সদস্য করে রাখার হুমকীও প্রদান করেন। এমনকি গত ১৩ ও ১৪ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদেই জনসম্মুখে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, লাঞ্চিত করাসহ বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে এবং তার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকীসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকী দেন। এছাড়াও এবার কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে তার বিতরণ করা ভিজিএফ’র কার্ডধারীদেরও চাউল দেয়া হয়নি মর্মে তিনি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগকারী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা: জাহানারা বেগম বলেন, একমাত্র চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিভিন্ন সময় জনসম্মুখে লাঞ্চিত করাসহ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করে আসছেন। বিষয়টি আমার স্বামী মাহবুবকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের দু’জনকেই মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন। এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও থানার ওসি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে আমি নিজেই ভিজিএফের কার্ড বিতরন করায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরন করেন। পরে তার স্বামী আমাকে হুমকী প্রদর্শন করায় আমি রাজারহাট থানায় জিডি করেছি। আমি কখনই কোন মহিলা সদস্যকে কুপ্রস্তাব দেইনি।
রাজারহাট থানার অফিসার রাজারহাট থানা অফিসার ইন-চার্জ মোখলেসুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাজারহাট ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেন। এর আগে বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মহিলা সদস্যের স্বামী কর্তৃক তাকে হুমকী প্রদর্শনের বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান মহিলা ইউপি সদস্যের একটি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three