নীলফামারী: আগামী ২৯ আগস্ট নীলফামারীতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-শ্রীলংকা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বক্তৃতা করেন। সমন্বয় সভায় জানানো হয়, আগামী ২৯ আগষ্ট নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা জাতীয় ফুটবল দলের একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটিকে সফল ও উপভোগ্য করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হবে। মোট ২০ হাজার ৩৬৯ জন দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলাটি উপভোগ করতে পারবেন।
এর মধ্যে এক হাজার টাকা মূল্যের ৩৬৯ টি ভিআইপি ও একশত টাকা মূল্যের ২০ হাজার সাধারণ টিকেট বিক্রয় করা হবে। টিকেট কালোবাজারী রোধে ম্যাচের মাত্র তিন দিন আগে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা।
এদিকে খেলাটিকে সফল করতে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করেছেন সংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ফুটবল ম্যাচের টিকিট
নীলফামারী: নীলফামারীতে আগামী ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রীতি ম্যাচের টিকিট সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। ২৯ আগষ্ট বিকেল ৪টায় নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন জানান, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে যশোরে ফুটবল আয়োজন করে সফল হয়েছে বাফুফে। এবারে উত্তরবঙ্গে ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার বাহিনী মাঠে কাজ করবে। প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স।