সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রীর

সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রীর

admin August 20, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির বিলাসবহুল জীবন-যাপনকে ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা আখ্যা দিয়ে সাধারণ ও সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই তিন বেডরুমের আবাসিক বাড়িতে উঠবেন তিনি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িটি ব্যবহার করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।


ইমরান খান বলেছেন, প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চান তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরের দিন গতকাল জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতায় একথা বলেন ইমরান খান। গতকাল রবিবার রাতে ঘণ্টাখানেকের ওই বক্তৃতায় ভারত বা অন্য কোনও দেশের নাম উচ্চারণ না করে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি সম্পর্কের উন্নতি চাই। তা না-হলে পাকিস্তানে শান্তি আসবে না।’


দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট, ২৮ লাখ কোটি রুপি দেনার বোঝার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করে ইমরান আবার বলেছেন, অর্থের অপচয় রুখবেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৫২৪ জন পরিচারক, ৮০টা গাড়ি, তার মধ্যে ৩৩ টা বুলেটপ্রুফ। আমি দু’জন সাহায্যকারীকে রাখব, দু’টো বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে। বাকি গাড়িগুলো নিলাম করে টাকাটা সরকারি কোষাগারে দিয়ে দেব। আমার কোনও ব্যবসা নেই। আমার জীবনযাত্রাও সাদামাটা।


দেশটির তহবিল ঘাটতি মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন ইমরান। জঙ্গিদের হুমকির মুখে থাকা পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ পদক্ষেপকে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষকে আমি বলতে চাই যে, আমি সাদাসিধে জীবন যাপন করবো। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ইমরান খান।


প্রবাসী পাকিস্তানিদের নিজের দেশে বিনিয়োগ ও ধনীদের নিয়ম মেনে কর দেয়ারও আহ্বান জানান ইমরান। ব্যক্তি পর্যায়ে কর ফাঁকির জন্য পাকিস্তান বিখ্যাত, দেশটির মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম লোক নিয়মিত আয়কর দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পিটিআই প্রধান বলেন, কর দেয়া আপনাদের দায়িত্ব। মনে করুন এটি জিহাদ, আপনার দেয়া কর দেশের উন্নতিতে ব্যয় হবে।


গতকাল ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তার দল। এদের মধ্যে ১২ জনই পারভেজ় মুশাররফের জমানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ সোমবার সকালে ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে ইমরানের ২১ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার মধ্যে ১৬ জন শপথ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন মনোনীত মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে আসবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

চামড়ার দাম কমলে, কমবে কওমি মাদ্রাসার আয়

চামড়ার দাম কমলে, কমবে কওমি মাদ্রাসার আয়

admin August 20, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: পশুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কমানোর কারনে কওমি মাদ্রাসাগুলোর আয় কমবে, আর এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করছে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সংগঠন কওমি ফোরাম। ফোরামের সমন্বয়ক মু. সাখাওয়াত হুসাইন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, চামড়ার দাম কমার কারণে অনেক কওমি মাদ্রাসার আয় কমে যাবে, যার ফলে সেসব মাদ্রাসায় পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।


তিনি আরও বলেন, মানুষের সাদকার পাশাপাশি যাকাত, ফিতরা ও কোরবানির সময় দান করা চামড়া বিক্রির আয়ে ওপরই নির্ভরশীল অধিকাংশ মাদ্রাসার পরিচালনা ব্যয়। প্রতি বছর কুরবানির পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা এই চামড়া সংগ্রহ করেন। অথবা অনেকে নিজ দায়িত্বে তা মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। চামড়ার দাম কমানোর ফলে ওইসব মাদ্রাসার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে যাবে।


তিনি বলছিলেন, এমন কিছু মাদ্রাসা আছে যারা দানের ওপর পুরো নির্ভরশীল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে তাদের । দাম প্রতিবছর কমতে থাকায় এরই মধ্যে বহু ক্ষুদ্র মাদ্রাসা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


জানা যায়, ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতি বছরই দেশে চামড়ার দাম সরকারিভাবে কমানো হয়েছে।


কওমি ফোরাম বলছে, ২০১৩ সালে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণ যুক্ত গরুর চামড়া ৯০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনা হয়। ঢাকার বাইরে তা ছিল ৮০ টাকা পর্যন্ত। তা প্রতি বছর কমানো হচ্ছে। এবছর তা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুটে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা।


কওমি ফোরাম আরও বলছে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত মূল্যের চেয়ে দেশের বাজারে সবসময় বেশি দামে বিক্রি হয়। কিন্তু কয়েক বছর সরকার ঘোষিত মূল্যে তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাদের দাবি এর কারণ হল চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। অন্যদিকে চামড়া পাচার হচ্ছে বলেও তারা দাবি করছেন।


অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই কাঁচা চামড়ার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।


বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, পশুর চামড়ার দাম কমানোর মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নিশ্চিত করা।


তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া শিল্প পড়তির দিকে। তাই স্থানীয় বাজারে যদি বেশি দামে আমরা চামড়া কিনি তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বেশি হবে এবং বিক্রি কমে যাবে। বিবিসি বাংলা।

ভাড়া বেশি নেয়ায় টিকিটমাস্টাদের বেঁধে থানায় নিতে বললেন ডিএমপি কমিশনার

ভাড়া বেশি নেয়ায় টিকিটমাস্টাদের বেঁধে থানায় নিতে বললেন ডিএমপি কমিশনার

admin August 20, 2018

রংপুর এক্সপেস: ইদুল আযহা উপলক্ষে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় যাচ্ছে ঢাকাবাসী। কিন্তু এই যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে প্রায় সব জায়গায়। যেন ইদ এলেই গাড়ির স্টাফদের মোক্ষম সুযোগ এসে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ২০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিছুই করার নেই তাদের। বাধ্য হয়ে বাড়ি যেতেই হবে।


এদিকে আজ সোমবার ঢাকার গাবতলীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সময় কয়েক টিকিটমাস্টারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কোন রকম ঝুট ঝামেলা ছাড়ায় যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পারছেন কিনা তা দেখতে গাবতলীতে যান ডিএনপি কমিশনার। এসময় অতিরিক্ত বাস ভাড়ার অভিযোগ জানায় যাত্রীরা । যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগের পরে সরেজমিনে কাউন্টারে যেয়ে দেখতে পান অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিষয়ে স্বচক্ষে দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।


একযাত্রী অভিযোগ করেন, ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত ভাড়া ভাড়া হওয়ার কথা ২৭৮ টাকা। এরপরেই টিকিট কাউন্টারে যেয়ে জিজ্ঞাসা করে বলেন, 'আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা আমি জানি ভাড়া ২৭৮ টাকা কিন্তু ৫০০ টাকা নিচ্ছেন কেন! এরপর টিকিট মাস্টার বলেন, বিআরটিএ চার্ট দিয়েছে স্যার। তখন ডিএমপি কমিশনার চার্ট দেখতে চান।


চার্ট দেখে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'চার্টে আছে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা ৩৫০ টাকা, তাহলে ৫০০ টাকা কেন নিলে' এরপর টিকিট মাস্টার অজুহাত খাঁড়া করার চেষ্টা করেন । তখন ডিএনপি কমিশনার বলেন '৫০০ টাকা কেন নিলা বল। এইরকম কয়টা টিকিট কাটছো তোমরা। মেরে একাবারে হাড় গুঁড়ো করে দিবো। এই টাকা ফেরত দে। এই মাসুদ এদের সবগুলাকে বেঁধে থানায় নিয়ে যাও। এই বাসের মালিক কে। মালিকের নাম কি!' তখন টিকিটি মাস্টার বলেন, 'মালিকের নাম আশরাফ আলী' এরপর ডিএনপি কমিশনার বলেন , 'বাবা আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা, আমি চিনি। ভাড়া কেন বেশি নিচ্ছ। সব টাকা ফেরত দাও। আর ফেরত না নিলে আমারে জানাও। বাকি টাকা ফেরত দাও।'


পরে পুলিশ এসে ওই টিকিট মাস্টারকে থানায় নিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিককে জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিককে জরিমানা

admin August 20, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও শহরের ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় নোংরা পরিবেশে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে প্রদান করা হয়েছে অর্থদণ্ড। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাইম হোসেন খানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।


জানা যায়, আজ সোমবার দুপুরে কালিবাড়ী বাজার এলাকায় অবস্থিত ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হামিদুল হক (৪৫) কে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাইম হোসেন খান বলেন, নোংরা পরিবেশে ল্যাবের কার্যক্রম পরিচালনাসহ মেয়াদউত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে ল্যাবএইডের পরিচালক হামিদুল হক দোষ স্বীকার করলে তাকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।


অভিযানে আরও ছিলেন ঠাকুরগাঁও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুকসহ কয়েককজন আনসা সদস্য।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে থানা হেফাজতে মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে থানা হেফাজতে মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

admin August 20, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতখানায় হাসানুর রহমান মিলন (২২) নামের এক মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের দাবি সে হাজত খানার বাথরুমে কম্বল দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আজ সোমবার (২০ আগষ্ট) সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় এ ঘটনাটি ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে দেবীগঞ্জ উপজেলার থানা পাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে মিলনকে মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়। মিলন মাদক মামলার আসামি তার বিরুদ্ধে রাতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরোও জানায় সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাজতখানায় জীবিত অবস্থায় ছিলো। এর পর তার বাবা-মা আসলে বাথরুমে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
আজ সোমবার দুপুরে থানার পুলিশ হেফাজতখানার বাথরুম থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র সৈয়দ মাহমুদ হাসান এর উপস্থিতিতে পুলিশ মিলনের ঝুলন্ত লাশ নামায়। তার লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এদিকে স্থানীয় জনতা মিলনের মৃত্যতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রায় ৩ ঘন্টা দেবীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত মিলনের বাবা ও মা জানায়, পুলিশ আমার ছেলে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমরা বিচার চাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। থানা হাজতের বাথরুমে কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যার সুরত হাল করেছি। লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মিলন মাদক মামলার এক জন আসামী। তাকে আমরা মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করি। সে থানা হাজতখানায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিটের উৎপাদন শুরু

বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিটের উৎপাদন শুরু

admin August 20, 2018

দিনাজপুর: দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন আজ সোমবার শুরু হয়েছে। ইদ উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আগামী একসপ্তাহ কেন্দ্রটি চালু রাখা যাবে বলে জানা গেছে। কয়লা সঙ্কটে পরে গত এক মাস বন্ধ ছিল দেশের এ একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট।


বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, তিনটি ইউনিটের মধ্যে আজ সোমবার একটি ইউনিটে বিশেষ ব্যবস্থায় উৎপাদন শুরু করা হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উন্নয়ন কাজের সময় উত্তোলিত কয়লা দিয়ে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ওই দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু করা হয়েছে।


তিনি বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় ইউনিটটি এক সপ্তাহ চালু রাখার প্রস্তুতি নিয়ে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বেলা আড়াইটায় থেকে এই ইউনিটে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।


দেশের এই একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা দুইটি এবং ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিটে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।


উল্লেখ্য বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা কেলেঙ্কারির কারণে কয়লা সঙ্কটে গত ২২ জুলাই রাত থেকে সাড়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যার কারণে চলমান তীব্র গরমে চরম অতিষ্ঠ রংপুর বিভাগের মানুষ। এরই মধ্যে একটি ইউনিট চালু হওয়ায় আসছে ইদে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভ্যাটের ক্ষেত্রে হয়রানি ও আইনি জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ

ভ্যাটের ক্ষেত্রে হয়রানি ও আইনি জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ

admin August 20, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ভ্যাট আদায়ে মাঠপর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের সিন্তান্ত নিয়ে ব্যবসায়িরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) দীঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। মূলত কয়েক বছরের পুরনো ভ্যাট সংক্রান্ত ফাইল পুনরায় অডিট এবং ভ্যাটের অর্থ দাবি করার কারণেই ব্যবসায়িরা আপত্তি জানাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআর পুরনো ফাইল অডিটের নামে হয়রানি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি এনবিআর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কয়েক বছরের আগের ফাইল পরীক্ষা করে ভ্যাট দাবি করার ক্ষেত্রে হয়রানি ও আইনি জটিলতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রতি বছর ফাইল পরীক্ষা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি কর মেয়াদে আইনানুগ ভ্যাট আদায় মাঠপর্যায়ের একটি রুটিন দায়িত্ব। নির্ধারিত সময়ে ওই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে হঠাৎ ৫/৬ বছরের পুরনো ফাইল পরীক্ষা করে ভ্যাট দাবি করায় হয়রানির আশঙ্কা তৈরি হয়। তা চাইতে প্রতি কর মেয়াদে দাখিলপত্র পরীক্ষাসহ অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম সঠিকভাবে পালনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এনবিআর সূত্র বলছে, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা গত কয়েক বছর ধরেই এনবিআরের কাছে পুরনো ফাইল অডিটের নামে হয়রানির বিষয়টি জানিয়ে আসছিল। ওই বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এনবিআরকে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, পুরনো ফাইল পরীক্ষার নামে লাখ লাখ কিংবা কয়েক কোটি টাকারও ভ্যাট দাবি করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। ফলে তাতে প্রচুর অবৈধ লেনদেন হয়। এনবিআরের নতুন উদ্যোগের ফলে হয়রানি কমতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। আর যেসব ক্ষেত্রে ভ্যাটের চালান নেয়া কার্যত সম্ভব নয়, তাতে ভ্যাট দাবি করাও অযৌক্তিক। কারখানায় শ্রমিকদের বিকেলে নাস্তা খরচ, আপ্যায়ন বা স্টেশনারি ক্রয়ের মত খরচে ভ্যাট চালান পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ ওসব খাতে ভ্যাট দেয়া হয়নি বলে কোটি কোটি টাকা ভ্যাট দাবি করা হয়। এভাবে পুরনো ফাইল ঘাটাঘাটির কারণে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
সূত্র জানায়, নতুন নির্দেশনার ফলে পুরনো ফাইল অডিটের হয়রানি কমবে বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। কারণ স¤প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুরনো ফাইল পরীক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো। ওসব ফাইল পরীক্ষা করে বিশাল অঙ্কের ভ্যাটের অর্থ দাবি করা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র জব্দ করা হচ্ছে। তাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো তার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকেও মাঠ পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে এনেছে। সংগঠনটি মনে করছে, অত্যধিক রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নেয়ায় এ হয়রানি বেড়েছে।
এদিকে নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে এনবিআরের প্রথম সচিব হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার জানান, এনবিআরের নির্দেশনা সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযোজ্য হবে। ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানগুলো যে রিটার্ন জমা দেয়, তা মাসে মাসে কিংবা প্রতি বছরই অডিট করার নিয়ম। কিন্তু কর্মকর্তারা তা না করে একসাথে কয়েক বছরের পুরনো ফাইল অডিট করেন। ফলে একসাথে দাবিকৃত ভ্যাটের অর্থ অনেক বড় হয়ে যায়। সেটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সমস্যা হয়ে যায়। নিয়মিত যাচাই করে ভ্যাট দাবি করা হলে ভ্যাটের অঙ্ক বড় হবে না। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্যও তা পরিশোধ করা সম্ভব।

দিনাজপুরে বিষধর সাপের দংশনে শিশুর মৃত্যু

দিনাজপুরে বিষধর সাপের দংশনে শিশুর মৃত্যু

admin August 20, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিষধর সাপের দংশনে ফরহাদ হোসেন (৯) নামক এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্বে খেলা করার সময় তাকে সাপে দংশন করে। সে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিল্ল্যাখুর গ্রামের মো. মোজাম্মেল হকের পুত্র।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ফরহাদ দুপুরে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করছিল। এসময় তাকে একটি বিষধর সাপ দংশন করে। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যা। পরে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছলিমুল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

admin August 20, 2018

লালমনিরহাট: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা না থাকায় সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এতে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যার কারণে চলমান তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ। আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়াও ব্যাহত হচ্ছে। যদিও আজ সোমবার থেকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের একটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে করে ইদে কিছুটা হলেও কমতে পারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।


এরই মধ্যে লালমনিরহাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। আজ সোমবার বুড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে তারা।মহাসড়ক দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ থাকায় উভয় পাশ্বে দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। জনদুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখি যাত্রীরা।


শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরমে গত একমাস ধরে বিদ্যুতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তিন ঘন্টা পরে বিদ্যুতের দেখা মিলে মাত্র ১০ মিনিট। এছাড়াও নতুন করে যুক্ত হয়েছে লো ভোল্টেজ। সারা দিন বিদ্যুতহীন থাকলেও সন্ধ্যায় পড়াশুনার পুরো সময় জুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং অব্যহত থাকছে।Lalmonirhat-Studens-Road-Blockade


বিদ্যুতের এ অব্যহত লোডশেডিং বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে কাকিনা উত্তর বাংলা অনার্স কলেজ ও কাকিনা মহিমারঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল দিতে থাকে। এসময় উভয় পাশে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।


অবরোধের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতেও অবরোধ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, যোগাযোগ সচল রাখতে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।

হাতুড়ি -লোহার শব্দে মুখর কামারপাড়া

হাতুড়ি -লোহার শব্দে মুখর কামারপাড়া

admin August 20, 2018

সারাদেশ: আসন্ন কোরবানির ইদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাটের কামারিরা। কারও চোখে ঘুম নেই। দিন রাত সমানভাবে কাজ করছেন তারা। কোরবানি উপলক্ষে কামারপট্টি গরম লোহা পেটানোর শব্দে মুখরিত। হাটে বাজারে বা বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে বসবাসকারী লোকজনের ঘুম ভাঙছে কামারদের লোহা পেটানোর শব্দে। আর মাত্র দু’দিন বাকী পবিত্র ইদুল আজহার। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানাতে ছুরি, চাপাতি, দা, বটি ও কুড়াল খুব দরকার। কোরবানির আগে এ সব উপকরণ হাতের কাছে না থাকলেই নয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে সবাই ব্যস্ত। এগুলো নতুনভাবে তৈরি ও শান দেওয়ার জন্য বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলাসহ ৭৫াট ইউনিয়ন কেন্দ্রিক বাজারের কামার শিল্পীরা এখন সবাই ব্যস্ত।


সরেজমিনের ঘুরে দেখা যায়, কামারদের দম ফেলানোর সময় নেই এখন। একের পর এক ক্রেতা এসে দোকানে ভিড় করছে। ফলে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার কোনরকম দোকানে বসেই খেতে হয়। কামার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দু’টি দা, একটি বটি ও একটি ছুরিতে শান দেওয়া বাবদ দু’শত টাকা রাখছেন। অন্য সময় হলে এগুলোর মূল্য ছিল এক’শত টাকা। সন্ন্যাসী বাজারের কামারিরা বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময় কাজ বেশি হয়। তাই দামও একটু বেশি। যে কারণে অন্য সময়ের চেয়ে এখন আয় অনেক ভাল। তারা আরও বলেন, লাভ ক্ষতি যাই হোক পেশা টিকিয়ে রাখার জন্য সবাই আমরা কাজ করছি।

বাগেরহাটের ফয়লা বাজারের বিক্রেতা ইমান আলী বলেন, ইদের দিন ঘনিয়ে আসায় বিক্রি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন এলাকার কামাররা তাদের দোকানে এসেই এ সব সরঞ্জামাদি বিক্রি করে যায়। প্রয়োজনে তারা নিজেরাও কামার শালায় গিয়ে সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এদিকে ইদ উপলক্ষে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানির একটি ছোরা ৩৫০ থেকে ৪’শ, বিভিন্ন সাইজের চাকু ৩০ থেকে ১’শ, বটি ১’শ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম আরও বাড়বে বলে তারা জানান।

কামারিরা বলেন, সরকারিভাবে সহজশর্তে আর্থিক সহযোগিতা না থাকায় লোহা, ইস্পাত ও কয়লার মূল্য বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে এ শিল্প দিন দিন পঙ্গু হয়ে পড়ছে। হাট বাজারে সরঞ্জামের চাহিদা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উৎপাদন খরচ উঠছে না। তাছাড়া এ সব দ্রব্য তৈরির জন্য প্রচুর পুঁজির দরকার, যা তাদের নেই। বাড়তি পুঁজির যোগান দিতে গিয়ে গ্রাম্য মহাজন ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে কোন কোন সময় ব্যবসায় তাদের লোকসান দিতে হচ্ছে।

কামারিরা আরও বলেন, বছরে একবার অর্থাৎ কোরবানি ইদে আমাদের দা, বটি, ছুরি ও চাকু বিক্রি হলেও আমাদের সারা বছরের সংসার চলে না। আমরা চাই কোরবানির ইদের মত সারা বছর আমাদের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে।
ইদ-উল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে ছ’দিন কার্যক্রম বন্ধ

ইদ-উল আযহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে ছ’দিন কার্যক্রম বন্ধ

admin August 20, 2018

হিলি, দিনাজপুর: মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ইদ-উল আযহা উপলক্ষে আজ সোমবার থেকে টানা ছয় দিন হিলি স্থলবন্দরের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আর এর ফলে এ বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে সাধারণ যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।


হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২০ আগস্ট সোমবার থেকে টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি সহ বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আগামী ২৬ আগষ্ট রোববার থেকে যথারিতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবারও চালু হবে।


হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি আব্দুস সবুর মিয়া জানায়, বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্টে সাধারণ যাত্রী পারাপার স্বাভাবিকভাবে চলবে।

করনজিৎ কউরের সেকেন্ড পর্বও আসছে শিগগিরই -টুইটে সানি

করনজিৎ কউরের সেকেন্ড পর্বও আসছে শিগগিরই -টুইটে সানি

admin August 20, 2018

বিনোদন ডেস্ক: এইতো কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হলো সাবেক পর্ণস্টার সানি লিওনির জীবনী নিয়ে ওয়েবসিরিজ ‘করণজিৎ কউর : দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’ বা ‘করনজিৎ কউর: সানির জীবনের না বলা কথা’। এবার আসছে এ’র দ্বিতীয় পর্ব, জানালেন সানি নিজেই। এটি নির্মাণ করবে জি-৫। এক টুইটে সানি জানায়, খুব শিগগিরই জি-৫ নিয়ে আসছে তার জীবনী নিয়ে সেকেন্ড সিজন।


Sunny_Leone_Photoঅনেক নাটকীয়তা আর কষ্টে ভরা সানি লিওনের জীবন। পর্ণস্টার থেকে বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জীবনী নিয়ে অনেক আগ্রহ তার সাবেক ও বর্তমান ভক্তদের। সানি লিওনের নাম যে করণজিৎ কউর, এই সেদিনও তা কেউ জানতো কেউ কেউ। পর্ণ দুনিয়া থেকে থেকে তাকে যখন তুলে এনেছিল ভাটক্যাম্প, তখন তার পরিচয় ছিল পর্ণস্টারই। তিনি যতই নিজেকে মডেল হিসেবে তুলে ধরুন না কেন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির এক নম্বর নায়িকাকে চেনা তকমা দিয়ে দিতে ভুল করেননি বলিপাড়া। সেখান থেকে অভিনেত্রী হয়ে উঠতে সানিকে যত না অভিনয়ে কসরত করতে হয়েছে, তার থেকে বেশি পেরোতে হয়েছে সামাজিক ও মানসিক বাধা।


তবে পর্ণ দুনিয়া পেছনে ফেললেও, সে দুনিয়ার বাইরে তাকে কেউ ভাবতেই নারাজ। তার জেরেই কতরকম বিতর্কিত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। তার সাহসী উত্তর কোন একদিন ভাবিয়েছিল বলিপাড়াকে। একে একে বড় বড় তারকারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তার। পরে অবশ্য সানি সম্পর্কে ভাবমূর্তিটা অনেকটা পালটেও গেছে। তবে কার্যত দেখা গিয়েছিলো কিছুতেই কিছু হয়নি। এমনকি সন্তান দত্তক নেওয়ার পরও সেই অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। ওইসব জীবনের কথাই এবার উঠে এসেছে বায়োপিকে।


জানা গেছে, বায়োপিকের প্রথম ভাগে উঠে এসেছে সানির অনেক না বলা কথা কথাও। দ্বিতীয় সিজনেও থাকছে তার আরও অনেক রহস্য। গলে ১৬ জুলাই সানির জীবনীর ওয়েব সিরিজের প্রথম ভাগ প্রকাশ্যে আসে। সেসময় অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সানি লিওনের গল্প, আলোচিত ছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় সিজনেও প্রথম ভাগের মতোই জনপ্রিয়তা পাবে।

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‌‘your time on Facebook’, সময় বাঁচাবে আপনার!

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‌‘your time on Facebook’, সময় বাঁচাবে আপনার!

admin August 20, 2018

প্রযুক্তি ডেস্ক: অনেক সময় ফেসবুকের জগতে ঢুকে নষ্ট হয় অনেক সময়। ব্রাউজ করতে করতে অনেকসময় খেয়াল থাকে না খাওয়া-দাওয়া বা অন্য কোন কাজের কথা। যদি এমন হতো যে ফেসবুক আপনাকে বলে দিচ্ছে আপনি এতক্ষণ সময় ধরে আপনি এই স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন, আপনার তো এখন ফেসবুক চালানোর কথা নয়।


হ্য এমনটাই ফিচার যুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যার নাম “Your Time On Facebook’ বা ফেসবুকে আপনার সময়। এবার সেই সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে ফেসবুকই। এ ফিচারের মাধ্যমে আপনি সময় বেঁধে দিতে পারবেন ফেসবুককে।


ফেসবুকের এই নতুন প্রযুক্তি আপনাকে বলে দেবে কতটা সময় এই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন আপনি ৷ নতুন ফিচারের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিতে পারবেন ফেসবুকের জন্য। সেই সময় অতিক্রম হলেই আপনাকে জানান দেবে এ নতুন ফিচারটি।


আরও বেশ কিছু সুবিধা আছে এই ফিচারে। ফেসবুকের নোটিফিকেশনও আপনার আয়ত্বে রাখতে সাহায্য করবে এই নতুন ফিচার ৷ এক সপ্তাহ পরপর পুরো সপ্তাহের ফেসবুকে কাটানো গড় সময়টাও জানা যাবে এর মাধ্যমে ৷


এছাড়া ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের সময় কমানো হবে, যাতে এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মানুষের কোন বিরক্তি না আসে। এসবের মাধ্যমে ফেসবুক বলছে, ফেসবুকে সময় কাটান, কিন্তু একে নিজের নেশা বানাবেন না ৷ তাই তো এই সময় মাপার ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষও।

চরম আর্থিক সঙ্কট: উত্তরের আটজেলার চামড়া বাজারে ধসের আশঙ্কা

চরম আর্থিক সঙ্কট: উত্তরের আটজেলার চামড়া বাজারে ধসের আশঙ্কা

admin August 19, 2018

রংপুর: একদিকে ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পাওনা, অব্যাহত লোকসানে পড়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে উত্তরের ৮ জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। আট জেলার প্রায় দুই হাজার চামড়া ব্যবসায়ী তাদের পাওনা প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা আদায় করতে না পারায় চলতি মৌসুমে এসে চরম অর্থাভাবে পড়েছেন। কাজ হচ্ছে না ট্যানারি মালিকদের দফায় দফায় চাপ দেয়ার পরও। এবার অর্থ সংগ্রহ করতে না পারলে তাদের পক্ষে চামড়া ক্রয় করা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতের চামড়া ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারী দলের সদস্যরাও। ফলে সীমান্ত জেলা দিয়ে এবার ছাগলের চামড়ার পাশাপাশি গরুর চামড়াও পাচারের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে চরম হতাশ এ অঞ্চলের চামড়া ব্যবসাীয়রা। তাদের আশঙ্কা এবার কোরবানী ঈদে চামড়ার বাজারে ধস নামার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চামড়া পাচার রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চামড়া পাচার রোধে সীমান্তের যে সকল এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নেই এবং অরক্ষিত সেসকল এলাকায় বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হবে। ওইসব এলাকায় টহল জোরদার করাসহ দিন-রাত সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান রাখা হবে। এছাড়া ওইসব এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, চামড়া পাচার রোধে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। চামড়ার ট্রাক কোনো সীমান্ত যেন অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে সকল রুটে চামড়া পাচারের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে। কোন অবস্থায় রংপুর বিভাগের সীমান্ত দিয়ে কোন চামড়া পাচার করতে দেয়া হবে না।


#ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা দেড়’শ কোটি টাকা #ব্যাংক ঋণ না পেয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা #ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এ দেশের ফড়িয়া দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকা #চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় প্রশাসন’


চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ছোট-বড় মিলে চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে রংপুর জেলায় চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ৩’শ। এদের মধ্যে আড়তদার রয়েছেন প্রায় ১’শ জন। ঢাকার ট্যানারি মালিক ও নাটোরের আড়তদারদের কাছে রংপুর বিভাগের চামড়া ব্যবসায়ীর বকেয়া পাওনা রয়েছে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা। এর মধ্যে রংপুর জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা রয়েছে ৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই বকেয়া পাওনা আদায়ে দফায় দফায় চাপ দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ছোট ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া দালালদের কাছ থেকে চামড়া কিনে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারিতে সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু এবারে আর্থিক সঙ্কটের কারণে বড় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া দালালরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে এদেশের ফড়িয়া দালালদের হাতে আগাম টাকা তুলে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে পুঁজি সঙ্কটের কারণে প্রায় ২’শ ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন। চামড়ার আড়তে এখন অটো বাইকের শোরুম করা হয়েছে।
রংপুর নগরীর চামড়ার মোকাম শাপলা চত্বরের চামড়া পট্টির ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুঁজি সঙ্কটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিনের চামড়ার আড়তে এখন অটোরিকসার শো-রুম দিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ১০/১২ জন চামড়া ব্যবসায়ী কোন রকমে চামড়ার ব্যবসা ধরে রেখেছেন। চামড়া ব্যবসায়ী মতিউর রহমান চৌধুরী, মতিয়ার রহমান, মজিবর রহমান, আবুল খায়েরসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, কোরবানীর ঈদের আগেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। প্রকার ভেদে গরুর চামড়া ৫’শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কেনা হচ্ছে।
চামড়া ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ জানান, চামড়া ব্যবসায় অব্যাহত লোকসানের কারণে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। জীবন-জীবিকার তাগিদে চামড়া ব্যবসা বাদ দিয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যাটারী চালিত অটো রিকসার ব্যবসা শুরু করেছি। চামড়া ব্যবসায় অব্যাহত লোকসানে পড়ে বেশীর ভাগ চামড়া ব্যবসায়ীই চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করছেন। তিনি জানান, চামড়া ব্যবসায় লোকসানের কারণে বর্তমানে চামড়া পট্টিতে ১০/১২ জন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা টিকে রেখেছেন। আগে যেখানে ১’শ থেকে দেড়’শ ব্যবসায়ী ছিল। এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ মেলেনি ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা লতিফ খান, মহসিন আলমসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে রংপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে রংপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

admin August 19, 2018

রংপুর: বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস । আজ রবিবার বিকেলে দিবসটি উপলক্ষ্যে রংপুর টাউন হল মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিটি পার্ক মার্কেটের ৩য় তলায় সংগঠনের কার্যালয়ে ‘সংবাদ সংগ্রহে ফটো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সভাপতি কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক ও বৈশাখী টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আফতাব হোসেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মিডিয়া ইন্সটিটিউট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আশরাফ খান কিরণ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সদস্য আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফরহাদুজ্জামান ফারুক, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেল, সিএনএন বাংলা টিভির রংপুর স্টাফ রিপোর্টার আফরোজা সরকার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মেজবাহুল হিমেল, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য ময়নুল হক, মেরাজুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদ রংপুর ব্যুরো প্রধান আব্দুর রহমান রাসেল, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক রনজিৎ দাস, ফটো সাংবাদিক আল আমিন, উত্তর বাংলার স্টাফ রিপোর্টার হাসান আল সাকিব, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর রংপুরের ক্যামেরাপার্সন শরীফ হোসেন, চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাপার্সন সাইফুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। এর আগে র‌্যালির উদ্বোধন করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও বৈশাখী টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আফতাব হোসেন।

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

admin August 19, 2018

রংপুর: রংপুর নগরীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ। আজ রোববার দুপুরে ধাপ এলাকায় অবস্থিত আরপিএমপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরএমপি প্রধান বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদ, সহিংসতা ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশা অনুসরণ করব। রংপুর মহানগরীর মানুষকে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কমিশনার বলেন, রংপুর মহানগর পুলিশ আইন নতুন। নগরীতে আরপিএমপি পুলিশের পোষাক নতুন। জনবল নতুন। তাই আমাদের এখানকার পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নতুন উদ্যোমে নতুন মন মানসিকতা নিয়ে এই নতুন মেট্রোপলিটনে শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে হবে। আরপিএমপি প্রধান বলেন, সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুষ্টু লোকরাই আমাদের শত্রু। এদের দ্বারাই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এরা মানুষকে নিরাপদে থাকতে দিতে চায় না। আমরা এমন দুষ্টু লোকদের কোন ছাড় দিতে চাই না। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আরপিএমপিতে শুধু প্রশাসনিক কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের যে কোন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবগঠিত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধনের পর থেকে ২৩৯ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে গঠিত রংপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের জনবল নতুন ৬টি থানার মানুষকে আইনি সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আরপিএমপি’র উপ-কমিশনার মেহেদুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান। সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দাবানলের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার অনু, ক্রীড়া সম্পাদক ও করতোয়ার রংপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমান হাবু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুর এর সাধারণ ও দৈনিক পরিবেশের সিনিয়র রিপোর্টার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক দাবানল এর রিপোর্টার ফরহাদুজ্জামান ফারুক।


এসময় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও আলোকিত বাংলাদেশ এর রংপুর ব্যুরো আব্দুর রহমান মিন্টু, মাছরাঙা টেলিভিশন এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রফিক সরকার, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের রংপুর প্রতিনিধি নজরুল মৃধা, সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগের আলোর বার্তা সম্পাদক আবু তালেব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক খোলাকাগজ রংপুর প্রতিনিধি হারুন-উর-রশিদ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক যুগের আলোর ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আফজাল, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠ’র রংপুর ব্যুরো স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার রংপুর ব্যুরো এসএম পিয়াল, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির রংপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, দৈনিক মায়াবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বপন মিঞাজী, দৈনিক সংগ্রামের রংপুর ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, দৈনিক লাখোকন্ঠের রংপুর ব্যুরো প্রধান শীতুজ্জামান শীতু, রংপুর প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক প্রথমখবরের ফটো সাংবাদিক মেজবাহুল হিমেল প্রমুখ।

বড়পুকুরিয়ার এক ইউনিট চালু মঙ্গলবার, ইদে উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তা
নেই

বড়পুকুরিয়ার এক ইউনিট চালু মঙ্গলবার, ইদে উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তা নেই

admin August 19, 2018

ঢাকা: ইদের সময় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে আগামী মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি এও বলেন, ইদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা থাকবে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যমুনার এপারে বিদ্যুৎ সারপ্লাস থাকলেও তা উত্তরাঞ্চলে নেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পুরোপুরি লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না। বলেন, বড় পুকুরিয়ার একটি চালু করার পর রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ ওঠানামা বন্ধ হবে। ইদের সময় মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইদের সময়ে চালু রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরো সময়ে চালু রাখা গেলে অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতো বিদ্যুৎ সরবরাহ। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সেখানে কাছে পাঁচ-ছয় হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ৮০ মেগাওয়াট লোডে একটি ইউনিট ছয়-সাতদিন চালানো সম্ভব হবে। যাতে উত্তরাঞ্চলে কিছুটা দুর্ভোগ কমে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সোমবার সকালে উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, পিকআওয়ার নাগাদ (সন্ধ্যা) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। আবার বন্ধ করতে হলেও কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা প্রয়োজন হয়।


বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মুখে স্থাপিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে গত জুলাই মাসের ২২ তারিখে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তরাঞ্চলের বাড়ন্ত চাহিদায় লোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতো এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বসে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি)। উত্তরের ৮ জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে একটি ইউনিট নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে রয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। এই ইউনিটটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ চালুর উপযোগী হবে। ১২৫ ও ২৭৫ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট এখনই উৎপাদনের উপযোগী রয়েছে।


২০১৭ সাল থেকে বড় পুকুরিয়ার ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় বছরখানেক ভ‚গর্ভের এই ফেস থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ। নতুনভাবে ১ হাজার ৩১৪ নম্বর ফেসে উত্তোলনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পুরনো ফেসের উৎপাদিত সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেসে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে আরও প্রায় একমাস সময় প্রয়োজন হবে বলে জানায় খনি সূত্র। তবে নতুন স্তর থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি অভ্যন্তরে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই টানেল তৈরি করতে গিয়ে কিছু কয়লা পাওয়া যাচ্ছে যা জমিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুল হাকিম সরকার। ১২৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু রাখতে হলে দৈনিক ১২শ’ টন ও ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২৮শ’ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। আটদিন পুরোপুরি চালাতে গেলে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।

একটি গরু নিয়ে মামলা: গরুর দাম ২৩ হাজার, মামলায় খরচ ৪৫ হাজার

একটি গরু নিয়ে মামলা: গরুর দাম ২৩ হাজার, মামলায় খরচ ৪৫ হাজার

admin August 19, 2018

ময়মনসিংহ: ২৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরুর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে আশ্চর্যজনক ঘটনা। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিশ মামলা, এমনকি আদালত পর্যন্ত গড়েছে। আদালতের নিদের্শে গঠন করা হয় দুইটি তদন্ত কমিটি। যার একটি করে পুলিশ, অন্যটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জানা গেছে, এ মামলায় বাদী-বিবাদী পক্ষের এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা, কিন্তু গরুটির দাম ২৩ হাজার টাকা। নান্দাইল থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির এখন পর্যন্ত সমাধান হয়নি।
এদেিক ওই গরুটি নিয়ে বিপাকে আছে নান্দাইল থানার পুলিশ। কেননা, গরুটি এখন আছে থানা হেফাজতে। যার দেখাশোনার জন্য একজন কনস্টেবলকে রুটিন করে গরুটির যত্ন নিতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস তিনেক আগে নান্দাইল থানার হেফাজতে আসা গরুটির মালিকানা দাবি করে ২ কৃষক। থানায় মীমাংশা না হওয়ায় বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বর্তমানে উপজেলার কৃষক আব্দুল গনী ও হুমায়ুন মিয়া গরুর মালিকানা দাবি নিয়ে আদালতে লড়ছেন। এদিকে আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার একটি করে পুলিশ অপরটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, গরুটি আব্দুল গনীর, আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিবেদন বলছে, গরুর মালিক হুমায়ুন মিয়া। দুই কর্মকর্তার দাবি তাদের তদন্তই সঠিক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নান্দাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিষয়টির প্রতিটি স্তরে গিয়ে তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টে কোনো ভুল নেই বলে মনে করছেন তারা। অপরদিকে নান্দাইল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মলয় কান্তি মোদক বলেন, পুলিশ গরুর কি বুঝে? আমরা এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। অবশ্যই আমার তদন্তই ঠিক।
গরুর মালিকানা দাবিকারী আব্দুল গনী দাবি করেন ওই গরুটি তার। প্রায় বছরখানেক ধরে তিনি এটির লালন-পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে গরুটি তার। আদালতে হুমায়ুন মিয়া পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করলে আদালত আবার তদন্ত করতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। আব্দুল গনী জানান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত না করে রিপোর্ট দেন গরুটি হুমায়ুন মিয়ার। অপরদিকে হুমায়ুন মিয়ার দাবি, তার গরুটি বেশ কিছুদনি আগে হারিয়ে যায়। এখন সেটি খুঁজে পেয়েছেন। তাই তিনি এর মালিকানা চান। কিন্তু আব্দুল গনী দাবি করছেন গরু তার। তাই মামলা চলছে।
এদিকে গরু নিয়ে আদালতে যিনি জিতবেন তিনি একপ্রকার বিপাকে পরতে যাচ্ছেন। কেননা গরু থানায় থাকাকালীন যা খরচ হচ্ছে তা গুণতে হবে তাকেই।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three