ইংল্যান্ড কোহলি-ফিঞ্চের ‘ফেভারিট’

ইংল্যান্ড কোহলি-ফিঞ্চের ‘ফেভারিট’

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
৩০ জুন শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সিংহাসন জয়ের লড়াই। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ্বকাপে কে ফেভারিট -এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের অলিগলিতে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সব দলের অধিনায়কের সঙ্গে মুক্ত আলোচনাতেও উঠেছিল প্রশ্নটি। অন্য সবাই ঘুরিয়ে-পেচিয়ে বলায় চেষ্টা করলেও বিরাট কোহলি ও অ্যারন ফিঞ্চ স্পষ্টই ফেভারিট মানছেন ইংল্যান্ডকে।


একে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ, এর ওপর ইংলিশরা আছে দুর্দান্ত ফর্মে। দিনকয়েক আগে রানের বৃষ্টি ঝরিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৪-০ ব্যবধানে। এউইন মরগানের অধীনে গত কয়েক বছর ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ইংল্যান্ডকেই বিশ্বকাপে ফেভারিট মনে করছেন ভারতের অধিনায়ক কোহলি ও অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ।


এবারের বিশ্বকাপ জয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় আছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সেই দল দুটির অধিনায়কই কিনা মেনে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের ‘শ্রেষ্ঠত্ব’। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলের অধিনায়কের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা পর্ব ছিল। ওই অনুষ্ঠানেই প্রশ্ন ছিল- এবারের বিশ্বকপের ফেভারিট কে?


উত্তরটা সবার আগে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ফিঞ্চ, ‘খুব ভালো প্রশ্ন। আমার মতে, গত কয়েক বছর ইংল্যান্ড দারুণ সময় পার করেছে, তার সঙ্গে ভারতও আছে। পারফরম্যান্সের দিকে থেকে তারাই সম্ভবত এগিয়ে। তাই আমি বলব, ইংল্যান্ড নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট।’


ফিঞ্চের কথার সঙ্গে গলা মিলিয়ে কোহলিও ফেভারিট মানছেন ইংলিশদের, ‘আমরা বিশ্বের যেখানেই খেলি না কেন, দর্শক সমর্থন সবসময় পাই। তবে (ফেভারিটের ব্যাপারে) আমি অ্যারনের (ফিঞ্চ) সঙ্গে একমত। আমার মতে, নিজেদের চেনা কন্ডিশনে ইংল্যান্ড এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল।’


বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামছে ‘হট’ ফেভারিট ইংল্যান্ড। ৩০ মে দ্য ওভালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকইনফো

স্মার্টফোন ব্যবসা নিয়ে এখনও আশাবাদী Sony’র প্রধান

স্মার্টফোন ব্যবসা নিয়ে এখনও আশাবাদী Sony’র প্রধান

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন ব্যবসায় ক্ষতির মুখে থাকলেও এই খাত নিয়ে এখনও আশাবাদী সনি’র প্রধান নির্বাহী। এক্সপেরিয়া স্মার্টফোনকে এবার বিনোদন বিভাগের মধ্যে আনছে প্রতিষ্ঠানটি।


রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের মন্তব্যে সনি প্রধান ইয়োশিদা বলেন, “আমরা স্মার্টফোনকে বিনোদনের হার্ডওয়্যার হিসেবে দেখি এবং এমন একটি উপাদান যা আমাদের হার্ডওয়্যার ব্র্যান্ডকে টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি। আর তরুণ সমাজ এখন টিভি দেখে না। তাদের প্রথম পছন্দ এখন স্মার্টফোন,” যোগ করেন ইয়োশিদা।


স্মার্টফোন ব্যবসায় এখন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে সনি। সর্বশেষ আর্থিক বছরে মাত্র ৬৫ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতে তাদের পরিচালন ক্ষতি বলা হয়েছে ৮৭ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।


এই খাতে ব্যবসা বাড়াতে এবার লক্ষ্য বদলাতে যাচ্ছে সনি। স্মার্টফোনের জন্য এবার জাপান, ইউরোপ, হংকং এবং তাইওয়ান এই চার বাজারে বেশি নজর দেবে প্রতিষ্ঠানটি। অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বাজারগুলোতে তেমন নজর দেওয়া হবে না।


ভবিষ্যতে স্মার্টফোন খাত থেকে সনি আবারও লাভ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেক। কিন্তু এটিকে এখনও তাদের ব্র্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবেই স্মার্টফোন বানিয়ে যাচ্ছে সনি।

ম্যাকবুক প্রো আপডেট করেছে অ্যাপল

ম্যাকবুক প্রো আপডেট করেছে অ্যাপল

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
১৫ইঞ্চি ও ১৩ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো মডেলে আবারও স্পেসিফিকেশন আপডেট ঘোষণা করেছে অ্যাপল। দ্রুতগতির প্রসেসর এবং ত্রুটি সারাতে কিবোর্ডে আনা হয়েছে ‘সামান্য’ পরিবর্তন।প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো মডেলে এখন আসছে নবম প্রজন্মের ইনটেল প্রসেসর। এবার বেইজ মডেলে থাকছে ২.৬ গিগাহার্টজের ৬-কোর আই৭ প্রসেসর, যা ৪.৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত টার্বো বুস্ট করা যাবে। আরেকটি মডেলে যোগ হয়েছে ২.৩ গিগাহার্টজের ৮-কোর আই৯ প্রসেসর, যা ৪.৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত টার্বো বুস্ট করা যাবে।


একইভাবে বাড়ানো হয়েছে ১৩ ইঞ্চি টাচ বার মডেলের কনফিগারেশনও। এখন এটির বেইজ মডেলে পাওয়া যাবে অষ্টম প্রজন্মের ২.৪ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর আই৫ প্রসেসর, যা ৪.১ গিগাহার্টজ পর্যন্ত টার্বো বুস্ট হবে। এ ছাড়া কোয়াড-কোর আই৭ প্রসেসরের আরেকটি মডেলে টার্বো বুস্ট হবে ৪.৭ গিগাহার্টজ পর্যন্ত। প্রসেসর ছাড়া নতুন ম্যাকবুক প্রো’র জিপিইউ, র‍্যাম এবং অন্যান্য নকশা আগের মতোই রাখা হয়েছে।


আগের ম্যাকবুকের কিবোর্ড নিয়ে অনেক গ্রাহকই অভিযোগ করেছেন। এবার আপডেটে ডিভাইসগুলোর কিবোর্ডে নতুন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই সমস্যা সমাধান করবে বলে দাবি করেছে অ্যাপল। ভেতরের উপাদান পরিবর্তন করা হলেও কিবোর্ডের নকশা আগের মতো রাখা হয়েছে।


নতুন এই আপডেট আনা হয়েছে শুধু ম্যাকবুক প্রো’র টাচ বার মডেলে। ১৩ ইঞ্চি টাচ বার ছাড়া মডেলে আগের মতোই সপ্তম প্রজন্মের ডুয়াল-কোর প্রসেসর থাকছে।

নবাবগঞ্জে হোটেল থেকে ভিজিডির ১০ বস্তা চাল জব্দ

নবাবগঞ্জে হোটেল থেকে ভিজিডির ১০ বস্তা চাল জব্দ

admin May 24, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ভিজিডির ১০ বস্তা চাল হোটেল থেকে জব্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. মশিউর রহমান। শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার দাউদপুর বাজারের রাজু দই মিষ্টি ভাণ্ডারের ভিতর থেকে সেগুলো উদ্ধার করেন তিনি।


হোটেল মালিক মো. মজমুল হক জানান, তার খালা দাউদপুর ইউনিয়নের ৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্যা মোছা. জামেলা বেগম তার অনুপস্থিাতিতে তার হোটেলে চালগুলি রেখে গেছেন।


ঘটনার সতত্য যাচাইয়ে ইউপি সদস্যা জামেলার সাথে সাথে মুঠো যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল আজিম সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিগত ৫ মাসের ভিজিডির চাল সঙ্গে দেয়া হয়। লাভলী বেগম ও হাবিবা বেগম নামক ২ কার্ডধারীর চাল একত্রিত করে ইউপি সদস্যা তার ভাগিনার হোটেলে রাখেন। নিজে বাড়িতে না নিয়ে কেন হোটেলে চালগুলি সংরক্ষন করা হয়েছিল এ বিষয়ে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থাা গ্রহণ করবেন বলে জানান।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।

কাউনিয়াতেও কৃষকদের ধান কাটার সহযোগিতায় ছাত্রলীগ

কাউনিয়াতেও কৃষকদের ধান কাটার সহযোগিতায় ছাত্রলীগ

admin May 24, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
ধানের দরপতন আর শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশীর ফলে ক্ষেতে পাকা ধান নিয়ে যখন বিপাকে পরেছেন কৃষকরা, এ পরিস্থিতিতে তাদের পাশে ‘কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’-স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকার গরীব কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগিতার কর্মসূচি শুরু করেছে কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ।


বৃহঃস্পতিবার (২৩ মে) উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জামিল হোসাইন এর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলার আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামের দরিদ্র চাষী আব্দুল কুদ্দুসের ক্ষেতে ধান কাটার মধ্যদিয়ে স্থানীয় কৃষকদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ সহযোগিতা কার্যক্রম আরম্ভ করেন।


এসময় জামিল হোসাইন বলেন, চলতি মওসূমে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কৃষকদের পাশে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবী জানান ছাত্রলীগের এ নেতা। তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষেতে ধান কাটার মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতা করছি।


উল্লেখ্য ইতোপূর্বে কৃষকদের ধান কাটাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষথেকে স্ব-স্ব এলাকায় চাষীদের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থেকে ধান কাটাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রঙিন পোশাক, সাদা বল। কালো সাইটস্ক্রিন, কৃত্রিম আলো। টিভি সম্প্রচারে নতুনত্ব, দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। অনেক দিক থেকেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ ছিল চমক জাগানিয়া। তবে আলো ঝলমলে আসরের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ছিল পাকিস্তান। খাদে2র কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে শিরোপা জিতেছিল ইমরান খানের দল, তা চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে ক্রিকেটীয় রূপকথায়।


বিদায়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক ইমরান খান সেদিন টস করতে নামলেন জার্সির বদলে সাদা টি শার্ট গায়ে, যেখানে আঁকা বাঘের ছবি। ধারাভাষ্যকারের প্রশ্নে ইমরান বললেন, “আমি দলকে বলেছি কোণঠাসা বাঘের মতো লড়াই করতে। নিশ্চয়ই জানেন, কোণঠাসা বাঘ কতটা বিপজ্জনক!”


ইমরানের কথাকে সত্যি প্রমাণ করেছিল দল। সেই ম্যাচ থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের শিরোপা জয় ছিল উত্তেজনাপূর্ণ নাটকের শেষ অঙ্ক। তবে নাটকীয়তার অনেক রসদ ছিল শুরু থেকেই।


৬০ ওভার থেকে ওয়ানডে ৫০ ওভারে নেমে এসেছিল আগের বিশ্বকাপেই। ৩০ গজের বৃত্তের সঙ্গেও পরিচয় হয়ে গিয়েছিল সেবার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ হয়ে যাওয়া পঞ্চম আসরে দেখা মেলে অনেক নতুনের, অনেক প্রথমের।


সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বদল ছিল, প্রথম ১৫ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ২ জনের বেশি ফিল্ডার রাখতে না পারা। ক্রিকেটের চিরায়ত ঘরানা বদলে যাওয়ার মূলে ছিল সেই নিয়ম। এই নিয়মের সুবিধা নিতেই জন্ম হয় পিঞ্চ হিটিংয়ের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের যে ধারা পরবর্তীতে নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে এখন রূপ নিয়েছে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের স্বাভাবিকতায়।


তাসমান পারের দুই দেশের ১৮টি ভেন্যুতে সেবার হয়েছিল ৩৯ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার ১১ ভেন্যুতে ২৫ ম্যাচ, নিউ জিল্যান্ডের ৭ ভেন্যুতে ১৪টি। দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপেই প্রথমবার রঙিন পোশাকে খেলে দলগুলো। সামঞ্জস্য রাখতে খেলা হয় সাদা বলে, কালো সাইটস্ক্রিনে। প্রথমবারের মতো কিছু ম্যাচ হয় দিন-রাতের। দুই সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ছিলেন ম্যাচ রেফারি।


শুরুতে আগের চার আসরের মতোই আট দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা ছিল। বর্ণবাদ প্রথার অবসানের পর ২১ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরায় পরিবর্তন আনতে হয় ফরম্যাটে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় ৯ দল। লিগের মতো একে অন্যের বিপক্ষে খেলে দেশগুলো। সেরা চার দল জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। এই ফরম্যাটেই হবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।


টানা তৃতীয়বারের মতো বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় জিম্বাবুয়ে। এই আসরের পরপরই পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেয়ে যায় তারা। জিম্বাবুয়ের কাছে বাছাই পর্বের সেমি-ফাইনালে হেরে ভেঙে যায় বাংলাদেশের আরেকটি বিশ্বকাপ স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথমবারের মতো হয় বাছাই পর্ব। ফাইনালে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।


ব্রায়ান লারা, ইনজামাম-উল-হকের মতো কিংবদন্তিদের আগমণী বার্তা ছিল এই বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের গল্পগাঁথায় স্থায়ী আসন পেয়ে গেছে কিছু পারফরম্যান্স। ইনজামামকে জন্টি রোডসের ডাইভ দিয়ে করা রান আউট কিংবা ওয়াসিম আকরামের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিস লুইসের বোল্ড হয়ে যাওয়া আজও হয়ে আছে ওয়ানডে ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন।


১৯৯২ বিশ্বকাপে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ততদিনে আরও পরিণত। নিজ আঙিনায় খেলা, ক্রিকেটাররাও ছিলেন ছন্দে। কিন্তু বদলে যাওয়া নিয়মের সঙ্গে হয়তো মানিয়ে নিতে পারেনি শিরোপাধারীরা। ঠিক উল্টো কাজটা করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয় নিউ জিল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মার্টিন ক্রো। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেন উদ্ভাবনী অধিনায়কত্বে। জেতেন এই আসর দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।


প্রথম ১৫ ওভারের ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার সুবিধা নিতে মারকুটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্ক গ্রেটব্যাচকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেন ক্রো। নতুন ভ‚মিকায় দারুণ সফল হন গ্রেটব্যাচ।
ক্রোর আরেকটি বড় চমক ছিল অফ স্পিনার দীপক প্যাটেলকে দিয়ে বোলিংয়ের সূচনা করা। এখন স্পিনে শুরু নিয়মিত হলেও সেই সময়ে এটি ছিল প্রায় অভাবনীয়। বিস্মিত প্রতিপক্ষরা ভড়কে যায় এই পদক্ষেপে।


ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অমন বিপ্লবী ভাবনা আর মিডল অর্ডারে ক্রোর অসাধারণ ধারাবাহিকতায় নিউ জিল্যান্ড হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। টানা সাত ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচ জয়, দুই হার এবং এক পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের অবস্থান ছিল টেবিলের দুইয়ে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালের তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দশকের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা দলটি নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই উপহার দেয় বিস্ময়। দুর্দান্ত ফিল্ডিং, দারুণ পেস বোলিং আর ব্যাটিং গভীরতা- সর্বোপরি ক্রিকেট বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও দারুণ পেশাদারীত্বের পরিচয় দেয় প্রোটিয়ারা।


সেরা চমক ছিল পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে ওঠা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয় তারা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে একমাত্র জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর একটি পয়েন্ট ঝুলিতে ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। ৭৪ রানে অলআউট হলেও বৃষ্টি বাঁচিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া ওই ১ পয়েন্ট পরে হয়ে ওঠে মহামূল্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ‘কোণঠাসা বাঘ’ হিসেবে খেলতে নামা ম্যাচে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আখ্যানের শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কা ও শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজেয় নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ইমরানের দল।


তারপরও সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত ছিল না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সেমিতে উঠত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু আগেই বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ৫৭ রানে হারিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানদের। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৪টি করে ম্যাচ জিতলেও পরিত্যক্ত ম্যাচের ১ পয়েন্টে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পায় পাকিস্তান।


সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ফলের দেখা মেলে প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনে। মাত্র ১৩৪ রান করেও ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচের ফল পরবর্তীতে ভ‚মিকা রেখেছিল তাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্য নির্ধারণের নিয়মে পরিবর্তন এসেছিল; সেমি-ফাইনালে যে নিয়মের বলি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে ইংলিশরা ৬ উইকেটে তোলে ২৫২ রান। জবাবে জয়ের পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একসময় তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান, হাতে চার উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ব্রায়ান ম্যাকমিলানের মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। সেই সময় কেঁদে ওঠে সিডনির আকাশ। মাত্র ১০ মিনিটের বর্ষণে কাঁদিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকানদের। নতুন নিয়মের ফাঁদে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্যটা যে পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ১ বলে ২১ রানে! হৃদয় ভাঙা হারে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরেক সেমিতে পাকিস্তানের নিয়তি এঁকে দেয় তরুণ ইনজামামের ব্যাট। সাত উইকেটে ২৬২ রান করে একরকম নিশ্চিন্ত ছিল নিউ জিল্যান্ড। ১৪০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের চার উইকেট তুলে জয় দেখছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে ইনজামামের ৩৭ বলে ৬০ রানের সাইক্লোন-ইনিংস অবিশ্বাস্যভাবে চার উইকেটে জিতিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপে চতুর্থ সেমি-ফাইনালে এসে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকেট পায় তারা।


ইংল্যান্ডের সেটি তৃতীয় ফাইনাল। আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফোটার কারণ ছিল। গ্রুপ পর্বে এই পাকিস্তানকেই তো মাত্র ৭৪ রানে অলআউট করে দিয়েছিল তারা! প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা তাই খুব স্বাভাবিকই ছিল ইংলিশদের। ফাইনালে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ২৫ রানের মধ্যেই তুলে নেন ডেরেক প্রিঙ্গেল। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদ এরপর পাকিস্তানের ইনিংসকে দেন স্থিতি। রানের পেছনে না ছুটে উইকেট আগলে রাখেন শুরুতে। ইমরানের ৭২ ও মিয়াঁদাদের ৫৮ রানের পর শেষ দিকে ইনজামাম (৩৫ বলে ৪২) ও ওয়াসিম আকরামের (১৮ বলে ৩৩) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে ২৪৯ রানে ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান।


জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল এলোমেলো। স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অ্যালান ল্যাম্ব ও নিল ফেয়ারব্রাদারের ৭১ রানের জুটি তাদের ফেরায় কক্ষপথে। ম্যাচ মুঠো ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে আকরামকে তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় স্পেলে ফেরান ইমরান। সেটি কাজ করে জাদুর মতো। ল্যাম্ব ও লুইসকে জাদুকরী দুটি ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার। ব্যস, ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। কিছুক্ষণ পর আকিব জাভেদ ফেয়ারব্রাদারকে আউট করলে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের আশা। তাদের ২২৭ রানে অলআউট করে পাকিস্তান ফাইনাল জিতে নেয় ২২ রানে।

এই সময়ই সবচেয়ে উপভোগ্য লাগছে: মাশরাফি

এই সময়ই সবচেয়ে উপভোগ্য লাগছে: মাশরাফি

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেড় যুগের পথচলা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক রঙ দেখা হয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার। সাফল্যের আলোয় সিক্ত হয়েছেন, হতাশার আঁধারে হয়েছেন ম্লান। ভালো সময়ের দোলা, খারাপ সময়ের ঝাপটা, সবই লেগেছে গায়ে। তবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার আনন্দ, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সত্যিকারের সমীহ মিলিয়ে এই সময়ই সবচেয়ে উপভোগ্য লাগছে মাশরাফির কাছে।


বিশ্বকাপের আগে ১০ দলের অধিনায়ককে নিয়ে বৃহস্পতিবার লন্ডনে বিশেষ আয়োজন ছিল আইসিসির। মূল আয়োজন শুরুর আগে একসঙ্গে খানিকটা সময় কাটিয়েছেন অধিনায়কেরা। এরপর আলোচনা শেষে ফটোশুটের সময়ও নিজেদের মধ্যে তাদের কথা হয়েছে অনেক। মজা-খুনসুটির পাশাপাশি ছিল বিশ্বকাপ নিয়ে নানা কথাও। সেই আলোচনায় কতটা ছিল বাংলাদেশ? সব আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তির পর মাশরাফি জানালেন, বাংলাদেশ ছিল প্রবলভাবেই।


এমনিতে মাশরাফির নিজের জন্যও এই আয়োজনের অংশ হতে পারা একটি বড় অর্জন। দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপে বিতর্কিতভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি যাকে, তিনিই বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন দুটি বিশ্বকাপে। টানা দ্বিতীয়বার অধিনায়কদের এই আয়োজনে থাকলেন। শুনলেন বাংলাদেশ নিয়ে অন্য অধিনায়কদের ভাবনা। খেয়াল করলেন আগের সঙ্গে এখনকার পার্থক্যও।


একটা সময় বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিপক্ষের স্তুতিতে বেশি মিশে থাকত মূলত ক্রিকেটীয় ভব্যতা। কিন্তু এখনকার কথাগুলো যে প্রতিপক্ষের উপলব্ধি সেটি পরিষ্কার ধরতে পারছেন মাশরাফি। উপভোগও করেছেন দারুণ। বাংলাদেশ যখন গুরুত্ব পায়, তখন আলাদা একটি অনুভ‚তি কাজ করে। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দলের অধিনায়কের কাছ থেকে যখন বাংলাদেশকে গুরুত্ব পেতে দেখি, ভালো লাগে।


“মঞ্চে প্রশ্নে যেমন জিজ্ঞেস করেছে গত বিশ্বকাপের পর ৯টি ওয়ানডে সিরিজ জয় নিয়ে। অন্য অধিনায়কেরা সেটি আগে থেকেই জানত। আমাকেই বলছিল সেসব কথা। এটাও বলছিল, গত ২ বছরে আমাদের জয়ের হার অনেক ভালো। একটা সময় এসব দেখিনি যে ওরা এসব চিন্তা করেছে। এখন এসব নিয়ে গবেষণা করছে, গুরুত্ব দিয়ে বলছে, তার মানে বড় দলগুলি এখন আমাদের নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবে। এটা অবশ্যই উন্নতির একটা চিহ্ন।”


এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশের ক্রিকেটকে দেখতে চান আরও উচ্চতায়। আশা করি, আমরা আরও ওপরে যাব। একটা পর্যায় থেকে আমরা পরের পর্যায়ে আসতে পেরেছি। এই ধরনের টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করলে আরও ওপরের ধাপে যাব। তবে বাংলাদেশকে দলকে ওরা সবাই দারুণ সমীহ করছে, এটা ভালো লাগার ব্যাপার।

আয়ারল্যান্ডের সাফল্যে পড়ে থাকতে চান না মাশরাফি

আয়ারল্যান্ডের সাফল্যে পড়ে থাকতে চান না মাশরাফি

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আয়ারল্যান্ড ছেড়ে বিশ্বকাপের দেশে চলে এসেছে বাংলাদেশ দল। তবে আয়ারল্যান্ডের সাফল্যের রেশ রয়ে গেছে এখনও। প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার সুবাস যেন এখনই যাবার নয়! তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার চাওয়া, ত্রিদেশীয় সিরিজের সাফল্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে নিজেদের উজাড় করে দেওয়া।


বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে পেয়েছে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে প্রথম ট্রফির দেখা। শুধু শিরোপা খরা ঘোচানোই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপুটে ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।


বহু আরাধ্য ট্রফি বলেই এই উচ্ছ্বাসকে অস্বাভাবিক কিছু মনে করছেন না মাশরাফি। তবে এটিও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দুয়ারে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ। উদযাপনের পালা থামিয়ে দলকে বিশ্বকাপে মন দিতে হবে।


“আয়ারল্যান্ডে জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাসী থাকাই উচিত। তবে এটা নিয়ে পড়ে থাকাও ঠিক হবে না। আত্মবিশ্বাস পেয়েছি, মাঠে গিয়ে সেটি দেখাতে হবে। কিন্তু জিতেছি, ভালো লাগা, এই অনুভ‚তি নিয়ে পড়ে থাকা ঠিক হবে না, আমি মনে করি।”


“প্রথম যে কোনো কিছুরই আলাদা আনন্দ থাকে। যেহেতু আমরা আগে ছয়বার ফাইনালে গিয়ে পারিনি, প্রথমবার পেরে দলের সবাই ভালো বোধ করছে। পাশাপাশি আমি এটিও বলব, এটা কিন্তু সাময়িক ব্যাপার। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ যখন খেলতে নাম, এসব কিছু পেছনে পড়ে যাবে। কোনো মূল্য থাকবে না। তাই লোকে কী বলছে, তা না ভেবে ২ জুনের ম্যাচ নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।”


২ জুন ওভালে দক্ষিণ আাফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। এই ম্যাচ তো বটেই, বিশ্বকাপে প্রথম তিনটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য হতে পারে ভীষণ কঠিন। অধিনায়ক তাই এই সময়ই দলের কাছ থেকে দারুণ কোনো পারফরম্যান্স মনেপ্রাণে চাইছেন।


“প্রথম তিনটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। অন্যতম সেরা তিন দল। এক দিক থেকে ভালো যে এখান থেকে একটি-দুটি ম্যাচ বের করতে পারলে অনেক আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে। তবে আমার মনে হয় সবার আগে প্রথম ম্যাচটি নিয়ে ভাবতে হবে।”

তিনশ’ কোটি প্রোফাইল ডিলিট করেছে ফেইসবুক

তিনশ’ কোটি প্রোফাইল ডিলিট করেছে ফেইসবুক

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ ‘এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে ফেইসবুক। ২০১৮ সালের অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কী পরিমাণ পোস্ট এবং অ্যাকাউন্টের ওপর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।


বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ছয় মাসের মধ্যে তিনশ’ কোটির বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে ফেইসবুক, যা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।


ভুয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে রেকর্ড ৭০ লাখ “ঘৃণামূলক বক্তব্যের” পোস্ট সরিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।


কী পরিমাণ মুছে ফেলা পোস্টের জন্য আপিল করা হয়েছে এবং যাচাইয়ের পর তা অনলাইনে ফেরত আনা হয়েছে তাও প্রথমবারের মতো জানিয়েছে ফেইসবুক।


বৃহস্পতিবার ফেইসবুকে ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে সা¤প্রতিক আলোচনার বিপক্ষে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।


জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করিনা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আমাদেরকে এই উদ্যোগগুলোকে বিশাল পরিসরে তহবিল জোগাতে আমাদেরকে অনুমোদন দেয়। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে পরিমাণ বাজেট খরচ করা হয়, আমি বিশ্বাস করি তা এ বছর টুইটারের আয়ের চেয়েও বেশি।”


স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে অসংখ্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফেইসবুক। এই অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আগেই কয়েক মিনিটের মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।


মাদক এবং বন্দুকের মতো মালামাল বিক্রির জন্য কী পরিমাণ পোস্ট সরানো হয়েছে তাও জানাবে ফেইসবুক। ছয় মাসে বন্দুক বিক্রির দশ লাখের বেশি পোস্ট সরিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।


শিশু নির্যাতনের ছবি, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পোস্ট কী পরিমাণ গ্রাহক দেখেন তারও একটি ধারণা দিয়েছে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি ১০ হাজার কনটেন্টের মধ্যে ১৪ জন নগ্নতা দেখতে পারেন, ২৫ জন সহিংতা এবং তিন জনের কম শিশু নির্যাতনের ছবি দেখেন। সার্বিকভাবে ফেইসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর মধ্যে পাঁচ শতাংশ অ্যাকাউন্ট ভুয়া।


এই প্রথমবারের মতো, ঘৃণামূলক পোস্টের জন্য সরিয়ে দেওয়া পোস্টগুলো নিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে ১০ লাখেরও বেশি আবেদন পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি এমন প্রায় দেড় লাখ পোস্ট ফিরিয়ে আনা হয়েছে।


“আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে এমন মানুষদের জন্য আরও জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা তৈরিতে যে জায়গাগুলো নিয়ে আমরা আরও উন্মুক্ত হতে পারি” প্রতিবেদনে সেই জায়গাগুলোতেই আলোকপাত করা হয়েছে বলে ভাষ্য ফেইসবুকের।

এবার মালায়ালাম ছবিতে সানি লিওন

এবার মালায়ালাম ছবিতে সানি লিওন

admin May 24, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমানে সানি লিওন হিন্দী ছাড়াও বিভিন্ন ভাষার ছবির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরইমধ্যে তামিল, তেলেগু ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। আর এবার মালায়ালাম ছবিতে অভিষেক হলো তার। ছবির নাম ‘রঙ্গিলা’।


আর এখানে প্রধান ভ‚মিকায় দেখা যাবে তাকে। তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা কৃষ মেনন। বর্তমানে এ ছবির শুটিং চলছে। আর এ ছবির একটি গান করতে গিয়ে সানি লিওন ক্যামেরার সামনে আসলেন নগ্ন হয়ে। একটি বাথটাবে সানি স্নানের দৃশ্য করতে গিয়ে কোন ধরনের কাপর পড়েননি।


শুধু তাই নয়, এ গানটিতে একাধিক রগরগে দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি। আর এ গানের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে একেবারেই গোপনে। বিষয়টি এখনই কাউকে জানাতে চাননি ছবির পরিচালক সন্তোষ নায়ের। কিন্তু শুটিং সেট থেকেই বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।


সানির এ গানের একটি ছবিও প্রকাশ হয়ে যায়। মুহুর্তে ছবিটি ভাইরাল হয় অনলাইন দুনিয়ায়। নতুন করে আলোচনায় আসেন সানি। জানা গেছে সানি অভিনীত এ ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের শেষের দিকে।

কলেজে ভর্তির আবেদন করেনি আড়াই লাখ শিক্ষার্থী

কলেজে ভর্তির আবেদন করেনি আড়াই লাখ শিক্ষার্থী

admin May 24, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েও এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে এখনও আবেদন করেননি, যাদের বেশিরভাগই ঝরে পড়বে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা মনে করছেন। ১২ থেকে ২৩ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছেন বলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ জানিয়েছেন। মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।


এরমধ্যে কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করেছেন ৯১ হাজার ২৯৮ জন। কারিগরি বাদে সব বোর্ড থেকে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮৬৭ জন। আর কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন। এই হিসেবে এবার মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েও ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করেননি; যা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর এক-সপ্তাংশ।


এ বিষয়ে কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন শুক্রবার বলেন, যারা আবেদন করেননি তাদের অনেকে ঝরে পড়বে, কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়তে যাবেন। তবে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কিছু শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তি হতে আবেদন করবেন বলে মনে করছেন তিনি।


ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হল প্রথম ধাপে যারা আবেদন করেন না, তাদের বেশিরভাগই ঝরে পড়েন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে হাতেগোনা কিছু শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেন। কলেজ পরিদর্শক জানান, এবার কলেজে ভর্তি হতে ১০ লাখ ৫২ হাজার ১৮৪ জন অনলাইন এবং ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২২২ জন এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছেন।


২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে জানিয়ে অধ্যাপক হারুণ বলেন, পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ৩ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে ৫ জুন।


১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে। এরপর ১৯ থেকে ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে ২১ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৫ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে।


এবার ঢাকা বোর্ডের ৩ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৫ জন, রাজশাহীর ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮২ জন, চট্টগ্রামের ১ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন, কুমিল্লার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫ জন, যশোরের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৪ জন, বরিশালের ৭৭ হাজার ৪২০ জন, সিলেটের ৮০ হাজার ১৬২ জন, দিনাজপুরের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৮ জন, ময়মনসিংহের ৯৬ হাজার ৫৪৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডের ১ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন বলে জানান ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক। এবারও সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অধ্যাপক হারুন জানান, ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে অনলাইনে ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯৫টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫১টি আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।

ঝড়ে পড়ল গাছ, গড়ে উঠছে মাজার!

admin May 24, 2019

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন জেলা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঝড়ে পড়ে যাওয়া একটি গামার গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে তুফান পীরের মাজার। যেখানে কাগজে লিখে দেওয়া হয়েছে নিয়ত করলে ফল মিলবে। আর এতেই অন্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে মানত করতে শুরু করেছেন অনেকে।


মাজারে জ্বলতে শুরু করেছে আগরবাতি, মোমবাতি। আর টাকা-পয়সা, আগরবাতি, গোলাপ জল পড়ছে প্রতিনিয়ত। এ যেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালুরই একবিংশ শতকের এক নতুন সংস্করণ।


গত ১৭ মে ভোরবেলায় উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের গজপুরী গ্রামে ঝড়ো বাতাসে সেই এলাকার সাবেক গ্রাম সরকার তোফাজ্জল হোসেনের দুটি বড় আকৃতির গামার গাছ পড়ে যায়। গাছটি স্থানীয়ভাবে পিঠালি গাছ নামে পরিচিত। গাছ মূলত পাশের সড়কের ওপর পড়লে পথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাছের মালিক তাৎক্ষণিক গাছটি স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী বাবুল হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন এবং দ্রুত কাঠুরিয়া দিয়ে গাছটি কেটে ফেলার নির্দেশ দেন।


আর এতেই কাঠুরিয়ারা এসে প্রথমে সড়কের ওপরে থাকা গাছের ডালপালা ছাঁটিয়ে দেন। ডালপালা কাটার পর গোড়ালির ভর বেশি হওয়ায় গাছটি নিজে থেকেই আবারও ধীরে ধীরে আগের মতো দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করে। এলাকাবাসীর মতে এই গাছটি ৫/৬ বছর আগেও আরও একবার ঠিক একইভাবে পড়ে গিয়ে পুনরায় উঠে যায়। মূলত গোঁড়ালির মাটির ভরের কারণে গাছটি সে বার উঠে গেলেও স্থানীয় একটি চক্র গাছের অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়।


যে কারণে কাঠুরিয়ারা জীবন বাঁচাতে গাছ কাটা বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। আর এই কথা দশ কান পর্যন্ত পৌঁছাতেই রাতারাতি এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন লালসালু এনে তা মাজারের আদলে ঘেরাও করে তুফান পীরের মাজার হিসেবে ঘোষণা করে দেন। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে কথিত সেই মাজারটির মুরিদ ও খাদেম বলেও দাবি করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে সে কাজে তার সঙ্গে যোগ হয় গ্রামের আরও কিছু মানুষ।


স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মামুন শাহ প্রথমে তার ফেসবুকে ‘দুইশ বছরের আগের পীরের সন্ধান, ওপরে পড়া গাছকে বার বার জীবন্ত করে’ শিরোনাম দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। মূলত এরপরই আর দশটি মাজারের মতই ওই গামার গাছের প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে তুফান পীরের মাজার।


সেখানে লেখা হয় নিয়ত করলে ফল মিলবে। আর এরপরই জেলার দূর দূরান্ত থেকে মানুষরা মাজার পরিদর্শনে আসতে শুরু করে। টাকা পয়সা দান দক্ষিণা করার পাশাপাশি মাজারে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালানো হয়। এছাড়া কেও দুধ ঢেলে মানত করে যাচ্ছেন বলেও দাবি স্থানীয়দের।


স্থানীয়দের মতে, ওই স্থানটিতে আগে কোনো মাজার ছিল না। তাছাড়া এখানে কোনো কবরও ছিল না। কিছু সংখ্যক লোক এখন সেটিকেই মাজার বানানোর চেষ্টা করছে। মাজারের প্রতি দুর্বল মানুষরা প্রতিদিন ছুটে আসছে এখানে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই এলাকার এক হিন্দু গৃহবধূ বলেন, ‘আমি গাছের পাশেই কাজ করছিলাম। গাছটি নিজে থেকেই উঠে গেলে ইসমাইল আমার কাছে লাল কাপড় চায়। তখন আমি তা না দেওয়ায় সে কোথা থেকে যেন একটা লাল কাপড় এনে ঘেরা দিলে আর একটা বস্তা বিছিয়ে দিল। তারপর থেকেই এখানে টাকা পয়সা পড়তে শুরু করেছে।’


এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শী কাঠুরিয়া জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘গাছটির গোড়ালিতে অনেক মাটি ছিল। আমরা ডালগুলো কেটে দেওয়ার পরেই গাছটি আবার দাঁড়িয়ে যায়। এরপর ভয়ে আমরা চলে যাই। পরে এসে দেখি লাল কাপড় দিয়ে ঘেরা দিয়ে তুফান পীরের মাজার করা হয়েছে। মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসে মানত করতে শুরু করেছে, তারা নাকি টাকা পয়সাও দিচ্ছে।’


এলাকাটির প্রবীণ বাসিন্দা ওমর আলী বলেন, ‘আমি এখানে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করেছি। কখনো শুনিনি এখানে মাজার আছে। গাছ পড়ে দাঁড়িয়েছে গোড়ালিতে ভার বেশি ছিল তাই। কিন্তু এখন মাজার বানিয়ে ফেলেছে। অনেকে টাকা পয়সাও দান করতেছে।’


গাছের মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি তো গাছটি বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু কাঠুরিয়ারা ভয়ে কাটছে না। এখানে কে লালসালু দিয়ে মাজার করেছে আমি তাও বলতে পারছি না। তবে এখানে মাজার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।’


অপর দিকে সোনাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন শাহ বলেন, ‘কিছু দুষ্ট ছেলের কাজ এটা। তবে কিছু মানুষ এসব বিশ্বাস করে। এখানে যেন মাজার হতে না পারে আমরা সেটাই চেষ্টা করব।’


যদিও মাজারের কথিত খাদেম ইসমাইল তুফান পীরের মাজার ঘোষণায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।



দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বলেন, ‘তুফান পীরের মাজার নাম দিয়ে একটি গাছকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক ব্যবসায়িক কিংবা অন্ধ বিশ্বাসে মাজারের রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’


দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বলেন, তুফান পীরের মাজার নাম দিয়ে একটি গাছকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক ব্যবসায়িক কিংবা অন্ধ বিশ্বাসে মাজারের রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলেছি। আমরা প্রথমে স্থানীয়দের সচেতন করে কথিত মাজার প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবো। তবে তারপরও যদি তারা সরে না আসে তাহলে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও মাজার প্রতিষ্ঠা বন্ধ করা হবে।

৭ জুন পদত্যাক করছেন তেরেসা মে’র

৭ জুন পদত্যাক করছেন তেরেসা মে’র

admin May 24, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ব্রেক্সিট চুক্তিতে এমপির সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা বলেছেন, আগামী ৭ জুন তিনি কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।


এর মাধ্যমে তার তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।


শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা সবসময় আমার জন্য অনুশোচনার বিষয় হয়ে থাকবে যে আমি ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারিনি।


ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডলির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। তেরেসা পদত্যাগে অস্বীকার জানালে ওই কমিটির তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।


তার এ পদত্যাগের ঘটনায় দলটিতে নতুন করে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হবে। মে বলেন, ৭ জুন কনজারভেটিভ পার্টি ও ইউনিওনিস্ট পার্টির প্রধান থেকে আমি পদত্যাগ করবো।


তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আসছে সপ্তাহে শুরু হবে। এতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে এএফপির খবরে বলা হয়েছে।

দিনাজপুরে আদিবাসী কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

দিনাজপুরে আদিবাসী কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

admin May 24, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হচ্ছে। কৃষকের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় বোরো মৌসুমের প্রায় শেষ দিকে এসে কৃষকের খেতের ধান কেটে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ।


জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়মল্লিকপুর গ্রামের আদিবাসী রবি টুডুর এক বিঘা জমির ধান কাটছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


কৃষক রবি টুডু এবং স্ত্রী বাসন্তী হাজদাসহ ছাত্রলীগের দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি দল জমির ধান কেটে দেন। ধান কাটার পর তা মাথায় করে কৃষক রবি টুডুর বাড়িও পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।


এ বিষয়ে জমির মালিক রবি টুডু বলেন, ‘সকাল থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে জমির ধান কিছুটা কেটেছিলাম। জমিতে ধান লাগিয়ে যে টাকা খরচ হয়েছে তা ধান বিক্রি করে ওঠান সম্ভব না। তাই অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার সামর্থ্য আমার নেই। এমন সময় বেশ কিছু ছেলে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে ধান কাটার প্রস্তাব দেন। আমি এক বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। অল্প একটু সময়ের মধ্যেই সবাই মিলে ধান কেটে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’


বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবীদের ধান কাটার দৃশ্য দেখা গেলেও তা মাথায় নিয়ে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দৃশ্য এটাই প্রথম। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ধান কাটতে আসা দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জারিফ খান জিওন বলেন, ‘ধানের বাজার বর্তমানে কম। আবার ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি এবং স্বল্পতার কারণে অনেক কৃষকই হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা দলের নির্দেশে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনান ভাইয়ের নেতৃত্বে এখানে এসে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি।’


গোলাম ইমতিয়াজ ইনান বলেন, ‘বর্তমানে কৃষকদের ধানের বাজার কম থাকায় তারা হতাশায় পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষকদের জমির ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নেই’।


‘শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগের কর্মী ইব্রাহিম হোসেন হিমেল আমাদের জানায়, কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়মল্লিকপুর গ্রামের আদিবাসী কৃষক রবি টুডু ও তার স্ত্রীসহ জমিতে ধান কাটছেন। আমরা খবর পেয়ে ছাত্রলীগের প্রায় ৫০ জনের মতো এসে এক বিঘা জমির ধান কেটে সেগুলো মাথায় করে ধান ভাঙানোর নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসি।’

ব্যাকলেস টপ, সানগ্লাস চোখে কৌশানী

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টলিউডের হাল প্রজন্মের নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বালিতে ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। তার কয়েক ঝলক দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবিতে।


এর মধ্যে একটি ছবি সবার নজর করেছে। যেখানে ব্যাকলেস টপ, চোখে সানগ্লাস ও উঁচু করে বাঁধা চুলে বেশ লাগছে তাকে। আর গা ডুবিয়েছেন সুইমিং পুলের ঠান্ডা পানিতে।


জানা গেছে, কৌশানী ছুটি কাটাচ্ছেন তার দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়া তার সাক্ষী।


রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ দিয়ে সিনেমায় পা রাখেন কৌশানী। বিপরীতে ছিলেন বনি।


এর পর রবি কিনাগি, রাজীব কুমার বিশ্বাস, রাজা চন্দ, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, অনুপ সেনগুপ্তর মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন নায়িকা।


অনস্ক্রিন বনি-কৌশানীর জুটিকে পছন্দ করেন দর্শক। অফস্ক্রিনেও তারা কবে সাতপাকে বাঁধা পরবেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে অনুরাগীরা।


কৌশানীকে বাংলাদেশের দর্শক দেখেছেন ইমরানের ‘ইশশ’ শিরোনামের মিউজিক ভিডিওতে। এছাড়া সাফটা চুক্তির আওতায় তার সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পেলেও খুব একটা চলেনি।


বিজেপির জয়: এই সময়ে এসেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী?

বিজেপির জয়: এই সময়ে এসেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী?

admin May 24, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির দেয়ালে লেখা- ‘এই সময়ে এসে ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী হয়েছে’। আর এটিই প্রজাতন্ত্রটির ভবিষ্যৎ নিরূপণ করে দেবে। বুদ্ধিজীবীদের দেয়া পূর্বাভাসকে নাকচ করে দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভারতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।


বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, ভারতের অর্থনৈতিক সংকটে মোদির ভোট ব্যাংকে ভাটা পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের এই ফল সত্যিই বিস্ময়কর ও দুঃখজনকভাবে দেখিয়েছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ব্যবহার করেও ভোটারদের প্রলুব্ধ করা সম্ভব হচ্ছে।


উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নির্বাচনের আগের কয়েকটি মাস মোদির প্রচার মুসলিমবিদ্বেষ ও পাকিস্তানবিরোধী বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতায় টইটম্বুর ছিল। জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলতে এই সময়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের সরাসরি বোমা হামলা চালিয়েছে ভারত।


এখন সেই উত্তেজনা নেই। আমরা আশা রাখছি, সংখ্যালঘুদের ভীতি প্রদর্শন জোরদারে হিন্দু উগ্রপন্থীদের উসকানি দিতে পারে এমন গলাবাজি বন্ধ করবেন মোদি।


এবং উপমহাদেশে টেকসই শান্তির জন্য বাস্তবিক পথকে এগিয়ে নিতে তিনি অবশ্যই মনোযোগ দেবেন বলে আশা রাখছি। আর এটা সম্ভব কেবল সংলাপের অবিচল প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে, পাকিস্তান বারবার যে প্রস্তাব দিয়েছে এবং ভারত অনবরত তা প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।


নির্বাচনের ফল ঘোষণার একদিন আগে কিরগিজস্তানের বিসকেকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানে তার সমকক্ষ শাহ মেহমুদ কোরাইশি। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলেছে বলে আশা জাগিয়েছে।


পত্রিকার খবরে দেখা গেছে, সুষমা স্বরাজ মিষ্টি ভাগাভাগি করেছেন এবং স্বীকার করেছেন, অতীতের আলাপচারিতা ছিল তিক্ততায় পূর্ণ।


আগের ঘটনাবলিকে পেছনে ফেলে ওই বৈঠক বলে দিচ্ছে, গত কয়েক মাসের সম্পর্কের অবনতির পর ওই বৈঠকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠা হয়েছে।


কিন্তু এই আশাবাদ থাকলেও ভারতের অতীত ইতিহাস বলছে না দেশটির সত্যিকার শান্তির আকাঙ্ক্ষা লালন করছে। এমনকি পুলওয়ামায় হামলার আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কার্তারপুরের অনুষ্ঠানে একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।


এতে নিজের অনুপস্থিতি দিয়ে সুষমা স্বরাজ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলনের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেনও তিনি।


পাকিস্তানে পিটিআই ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কয়েকবার ভারতের সঙ্গে সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শান্তির সুযোগ দিতে মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইমরানের এসব আমন্ত্রণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি।


ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে ধারাবাহিক শীতল আচরণ আসা সত্ত্বেও পাকিস্তান সংযম ও বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়েছে। বুধবার বিসকেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরাইশি তেমনই একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংলাপের প্রস্তাব ফের টেবিলে রেখেছেন।


ভারতে কট্টরপন্থী সরকার শান্তি আলোচনার জন্য ভালো বলে যে দাবি ইমরান খান করেছেন, সেটির সত্যাসত্য নিয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এসবের অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের আচরণের পরিবর্তনের ওপর।


শান্তির পথে এগোনোর প্রধান বাধা হচ্ছে দেশটির কট্টরপন্থী আচরণ। তবে এই আশাবাদ পুরোটাই যে ভুল, তা বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এ জন্য বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করতে ভারতের ব্যর্থতা আঞ্চলিক শান্তির জন্য মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি।

ঢাবির জগন্নাথ হলের পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

ঢাবির জগন্নাথ হলের পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের পাশের ফুটপাত থেকে এক মেয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে একদিন বয়সের মেয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।


শাহবাগ থানার এসআই গোলাম রসুল জানান সকালে খবর পেয়ে হলের পাশে একটি বড় গাছের নিচে পড়ে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে মৃত নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়।


মৃত অবস্থায় নবজাতকটিকে ফেলে যাওয়া হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এ কাজ করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

উইন্ডোজের ফ্রি ৫ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার

উইন্ডোজের ফ্রি ৫ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:


পিসি ব্যবহারকারীর বড় একটি অংশই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন উইন্ডোজের কয়েক রকমের সংস্করণ। উইন্ডোজে নানান কাজের জন্য নানান সফটওয়্যার পাওয়া যায়। তবে অনেক সময়ই প্রয়োজনের সফটওয়্যাারগুলো বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। আবার ওপেন সোর্স অনেক সফটওয়্যারই পাওয়া যায় বিনামূল্যে। নানা কাজের এ রকম কিছু সফটওয়্যারের কথা তুলে ধরা হলো এই লেখায়।



ডেস্কটপের ভিডিও ধারণে ‘ক্যামস্টুডিও’


অনেক সময় আমাদের ডেস্কটপে চলমান সব ঘটনার ভিডিও ধারণ করার প্রয়োজন হতে পারে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে এ কাজটি করা গেলেও ওয়েবক্যাম ছাড়াও কাজটি করা যায় ‘ক্যামস্টুডিও’ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে। ডেস্কটপের যেকোনো অংশেই ধারণ করা যায় এতে। বিশেষ করে কোনো সফটওয়্যারের ডেমনেস্ট্রেশন বা কোনো ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি বা এই ধরনের কাজে এটি হতে পারে চমত্কার একটি সফটওয়্যার। এর সাহায্যে ধারণকৃত ভিডিওটি পাওয়া যাবে হাই-রেজ্যুলেশন এভিআই ফরম্যাটে। তবে বিল্ট-ইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা এসডাব্লিউএফ ফরম্যাটেও রূপান্তর করা যায়। ভিডিও ধারণের সাথে সাথে এতে মন্তব্য যোগ করার সুযোগও রয়েছে। পুরো স্ক্রিনের পাশাপাশি ডেস্কটপের নির্দিষ্ট কোনো অংশের ভিডিও ধারণ করতে চাইলে সেটাও সম্ভব এর মাধ্যমে। ওপেন সোর্স এই কাজের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে camstudio.org সাইট থেকে। আর camstudio.org/forum লিংকে গেলে পাওয়া যাবে ক্যামস্টুডিও সাপোর্ট ফোরাম।



অন্য পিসির নিয়ন্ত্রণে ‘ক্রসলুপ’


মনে করুন, কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে আপনি কোথাও আটকে গেছেন। আর আপনার একজনই বন্ধু আছে যে এই জায়গায় আপনাকে সহায়তা করতে পারে। তবে সে আপনার থেকে অনেক দূরে কোথাও অবস্থান করছে। ফলে উপস্থিত হয়ে সে আপনাকে সাহায্য করতে পারছে না। এই অবস্থায় আপনার সহায় হতে পারে ‘ক্রসলুপ’। উভয়ের পিসিতে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা থাকলে আর উভয় কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনার বন্ধু ওই দূর থেকেই প্রবেশ করতে পারবে আপনার কম্পিউটারে, আর করে দিতে পারবে আপনার কাজটি। বিনামূল্যের এই সফটওয়্যারটি মূলত ডেস্কটপ শেয়ারিং এবং রিমোট অ্যাকসেস সফটওয়্যার, যা এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে ঢুকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। www.crossloop.com সাইট থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন ‘ক্রসলুপ’।



একাধিক ডেস্কটপের জন্য ‘ডেক্সপোট’


উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম একটিমাত্র ডেস্কটপেই সব কাজ সারতে হয়। তবে যারা নিজেদের কাজের জন্য একাধিক ডেস্কটপ ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য উইন্ডোজের নিজস্ব কোনো বিল্ট-ইন ব্যবস্থা নেই। একাধিক ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ব্যবহার করতে চাইলে এ ক্ষেত্রে সহায় হতে পারে ডেস্কপোট। মাল্টিটাস্কিংয়ে অভ্যস্তদের প্রায়ই দেখা যায় তার ওপেন করা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে টাস্কবার পূর্ণ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ডেস্কটপ ব্যবহারকে অনেকেই সুবিধাজনক মনে করে থাকেন। তাদের জন্যই ‘ডেক্সপোট’-এ রয়েছে চারটি ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ব্যবহারের সুবিধা। প্রতিটি ডেস্কটপ ব্যবহার করলে মনে হবে যেন নতুন নতুন পিসি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে আলাদা আলাদা ডেস্কটপে আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম রান করানো যায়। আর কি-বোর্ড শর্টকাটের মাধ্যমেই এক ডেস্কটপ থেকে অন্য ডেস্কটপে সহজেই সুইচ করা যায়। এর ডেস্কটপগুলোর একটি থেকে আরেকটিতে যেতে রয়েছে নানান ধরনের থ্রিডি ট্রানজিশন ইফেক্ট। এর ডেস্কটপগুলোতে নানান ডিজাইনও ব্যবহার করা যায়। dexpot.de থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই সফটওয়্যারটি।



হার্ডড্রাইভের তথ্য মুছতে ‘ইরেজার’



সময়ের সাথে সাথে আমরা পুরোনো কম্পিউটার বা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বিক্রি করে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে সেইসব হার্ডডিস্কে আমাদের ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই থাকতে পারে যা অন্যদের কাছে যাওয়াটা নিজেদের জন্য ক্ষতি নিয়ে আসতে পারে। কম্পিউটারে আমাদের আর্থিক লেনদেন বা অনেক সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও থাকতে পারে, যা অন্যদের হাতে গেলে সেটা সুখকর হবে না। এসব ফাইল পিসি থেকে ডিলিট করে দিলেও ডাটা রিকভারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেগুলোকে আবার উদ্ধার করা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে, অর্থাত্ হার্ড ড্রাইভের তথ্যকে হার্ডডিস্ক থেকে পরিপূর্ণভাবে মুছে দিতে রয়েছে ‘ইরেজার’ নামের সফটওয়্যারটি। এটি এমনভাবে পুরো হার্ডডিস্কের সব তথ্য অথবা নির্বাচিত কিছু তথ্যকে মুছে দেয়, যাতে করে ডাটা রিকভারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এগুলোতে আর অ্যাকসেস না পাওয়া যায়। উইন্ডোজ সমর্থিত যেকোনো ইন্টারনাল হার্ডডিস্ক, এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক বা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভের ক্ষেত্রেও কাজ করে এই সফটওয়্যারটি। eraser.heidi.ie থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন এটি।



পাসওয়ার্ড সংরক্ষণে ‘কিপাস’


ইন্টারনেটের এই যুগে এসে আমাদের প্রচুর অনলাইন অ্যাকাউন্ট চালাতে হয়। ই-মেইল অ্যাকাউন্ড, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর অ্যাকাউন্ট, ব্লগের অ্যাকাউন্ট, অন্যান্য নিবন্ধিত সাইটের অ্যাকাউন্টসহ নানান ধরনর অ্যাকাউন্টে নানান পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার পাসওয়ার্ডগুলো যাতে কেউ সহজে অনুমান না করতে পারে, সেজন্য প্রতিটি পাস ওয়ার্ডকেই করতে হয় ব্যতিক্রমী। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকেই কম ব্যহার করা পাসওয়ার্ডগুলো ভুলে যান। অথচ একটিমাত্র পাসওয়ার্ড মনে রেখেই নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায় সব পাসওয়ার্ড। ‘কিপাস’ নামের পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব। এটি পিসিতে ব্যবহূত সব ধরনের পাসওয়ার্ডকে শক্তিশালী এনক্রিপশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারে। এতে রয়েছে বহনযোগ্যতা, মাল্টি ইউজার সুবিধা, একাধিক ভাষা সমর্থন করে। keepass.info ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে এটি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three