রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

admin June 21, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
‘তামাকে হয় ফুসফুসে ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় শহর রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২০ জুন) র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় পালন করা হয় দিবসটি।


জানা গেছে, তামাকমুক্ত দিবস পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি রংপুর মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে তামাকের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরতে রংপুর সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। এসময় তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন, এসিডি’র এডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।


আলোচনা সভায় বক্তারা তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো বিষয়টি নজরে এনেছে যে, ধূমপানের ক্ষতির পাশাপাশি অন্য সব প্রকার তামাকদ্রব্য সেবন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুধু ধূমপান থেকে নয়; এই দিনে সব প্রকার তামাকদ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে তামাক ও তামাকজাতদ্রব্য গ্রহণের কারণে প্রতিদিন ৪৪১ জন মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। সেই হিসেবে বছরে তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তামাকের কারণে মানুষের অকাল মৃত্যুরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।


এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং এসিডি’র অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।



বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি কুড়িগ্রাম শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।


জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এসময় জেলা সেনিট্যারি ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম, এসিডি’র প্রোগ্রাম অফিসার (রংপুর অফিস) মো. তৌফিকুল ইসলাম জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া রংপুর বিভাগের বাকি ছয় জেলায় অর্থাৎ দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়র ও ঠাকুরগাঁও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে এবং এসিডি ও এর পার্টনার অর্গানাইজেশন ‘পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিইউপি)’ ও ‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিসি)’ এর অংশগ্রহণে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়।


উল্লেখ্য, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ বছর সারাদেশে ২০ জুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের মত রংপুরে পালিত হয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।

হাতীবান্ধায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের বিদায়ী সংবর্ধনা

হাতীবান্ধায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের বিদায়ী সংবর্ধনা

admin June 21, 2019

হাতীবান্ধা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফের বদলী জনিত বিদায় উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


গত বুধবার বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ হল রুমে ইউএনও সামিউল আমিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


এতে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কুমার সরকার, অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল, প্রধান শিক্ষক রেজাউর করিম প্রধান, প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার, চেয়ারম্যানদের মধ্যে নূরল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুর রহমান ও পিআইও ফেরদৌস আহমেদ প্রমূখ।

কুড়িগ্রামে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালা

কুড়িগ্রামে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালা

admin June 21, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে সবার জন্য স্বাস্থ্য অধিকার, দক্ষিণ এশিয়ায় বাধামুক্ত চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ আদান-প্রদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এএফএডি কনফারেন্স হলরুমে সাইটসেভার্সের সহযোগিতায় ইউকেএইড এর অর্থায়নে এ অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালার আয়োজন করে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল, উলিপুর।


এ সময় বক্তব্য রাখেন, মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের এসিস্টেন জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাহিদ আলম খন্দকার, সাইটসেভার্সের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার মাসুদ রানা, উন্নয়নের অক্ষমতার জন্য কেন্দ্রের সহকারী সমন্বয়ক এমএ কুদ্দুস জাহিদ, মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের মো: হাসিবুল হাসান এবং অরবিন্দু রায় প্রমুখ।


কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পটি সরকারী ও বেসরকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১ জুলাই হতে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় ২৫ হাজার ৩শ ৭৮জন প্রতিবন্ধী, শিশু, বয়স্ক, হতদরিদ্র, গরীব, আদিবাসী, দুস্থ ও দলিত শ্রেনীর চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৬৮জন চক্ষু রোগীর ছানী অপারেশন করা হয়েছে।


প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ৪শ ৫২ সরকারী স্বাস্থ্যকর্মীকে ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।


কর্মশালায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন এনজিও কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রামে এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

কুড়িগ্রামে এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

admin June 21, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
২২ জুন প্রথম রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে এ সভার আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।


সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদুল্ল্যা লিংকন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।


অবহিতকরন সভায় জানানো হয়, ২০১৯ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডে জেলার ৯ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৩৪ হাজার ২শ ৩৬ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২লাখ ৯০ হাজার ৫৬ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

কুড়িগ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কুড়িগ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

admin June 21, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে তিতাস বাবু (০২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলার সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের শান্তির ভিটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিতাস বাবু ফুলবাড়ী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের রাবাইতারী গ্রামের শ্রী শিবু চন্দ্রের পুত্র।


নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, তিতাস বাবু বাবা ও মায়ের সাথে নানা বাড়ি সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে শান্তির ভিটা বেড়াতে আসে। সেখানে খেলাধুলা করার সময় বাড়ীর পাশের একটি পুকুরে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এতে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


ঘোগাদহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শিশুটির পানিতে পড়ে মৃত্যুর খবর শুনে সেখানে যাই এবং পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেই।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি কাউনিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ক্ষতির মুখে কৃষকরা

admin June 21, 2019

মিজানুর রহমান, কাউনিয়া প্রতিনিধি:
‘ধানের দাম নাই তাই বাঁচিয়া থাইকপ্যার জন্যে কতো কষ্ট করি চরোত বাদাম আবাদ করনো তাও তিস্তার পানিত ডুবি গেলো, এলা হামার কী হইবে?’ কান্না আর আহাজারীতে কথা গুলো বললেন উপজেলার চর বিশ্বনাথ গ্রামের আছমা বেগম। তিনি আরও জানান, ‘এগুলায় যদি হামার কপালোত থাকে তাইলে হামরা বাঁচমো কী করি?’


অথচ একদিন আগেও হাস্যোজ্জ্বল বদনে ক্যামেরায় বন্দী হয়ে ছিলেন আছমা বেগম। একই ভাবে কান্নায় ভেঙ্গে আহাজারী করে চর গোপীডাংগা এলাকার আবুল কাশেম বলেন, ‘একনা জমি আদি (বর্গা ) নিয়া বাদাম আবাদ করনু সেকনাও বানোত ভাসি গেলো।’




[caption id="" align="alignnone" width="700"]পানিতে হাতিয়ে উদ্ধার করা বাদাম বাছাই করছেন কৃষাণীরা। ছবি: মিজানুর রহমান পানিতে হাতিয়ে উদ্ধার করা বাদাম বাছাই করছেন কৃষাণীরা। ছবি: মিজানুর রহমান[/caption]

গত মঙ্গলবার রাতের বেলা হঠাৎ করেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চর বিশ্বনাথ, চর গোপীডাঙ্গা, চর ঢুষমারা, চর হয়বৎখাঁ, চর পাঞ্জরভাঙ্গা, হরিশ্বর, গদাইসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে বাদাম, মরিচ, পাট ও শাক-সব্জী ক্ষেতে পানি ঢুকে যায়।


এতে উপজেলার প্রায় ৫০ একর (২’শ দোন) জমির আবাদ বিনষ্ট হয়ে গেছে। অকালের এ বন্যার পানি আরও কয়েক দিন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়বে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি দপ্তর।


বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আকস্মিক এ বন্যার ক্ষতি কৃষকরা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাবেন। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে।

হারাগাছে শিশু নাতনিকে ধর্ষণ, দাদা গ্রেফতার

হারাগাছে শিশু নাতনিকে ধর্ষণ, দাদা গ্রেফতার

admin June 21, 2019

মিজানুর রহমান, কাউনিয়া প্রতিনিধি:
রংপুরের হারাগাছে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু নাতনিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল হক (৫৫) নামে প্রতিবেশী এক দাদার বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করেছে হারাগাছ থানা পুলিশ।


জানা যায়, বুধবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরপিএমপি-হারাগাছ থানা এলাকার রংপুর সিটির ৮নং ওয়ার্ডের কার্তিক মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


ওই শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন দুপুরের দিকে ৫ বছর ৪ মাস বয়সের শিশু কন্যা বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এরই একপর্যায়ে প্রতিবেশী দাদা সর্ম্পকের মোজাম্মেল হক তার শিশু কন্যাকে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে। এসময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।


তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে আরপিএমপি-হারাগাছ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাজমুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে আটক করা হয়েছে।


মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নিখোঁজ ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভকে (২৫) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের কাছ থেকে তাকে পাওয়া যায়।


ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, ভোরে কে বা কারা চট্টগ্রামে নিখোঁজ সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভকে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনের রাস্তায় রেখে যায়।


এর পর সৌরভ ওই মিলে গিয়ে নিজের পরিচয় দিলে মিলের ম্যানেজার সমীর সৌরভের পরিবারকে খবর দেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়।


ভোর ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম এন্টি-টেররিজম ইউনিটের ডিসি আমাকে (ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার) ফোন করে জানান- তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনে সৌরভকে পাওয়া গেছে।


খবর পেয়ে তারাকান্দা থানার পুলিশসহ তিনি নিজে গিয়ে সৌরভকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। পরে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ পাহারায় তাকে বনানীতে পরিবারের কাছে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়। সৌরভের শারীরিক অবস্থা ভালো এবং তিনি সুস্থ আছেন।


গত ৯ জুন চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে সৌরভ অপহৃত হন।


গত শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ এমনই অভিযোগ করেন।


একই অভিযোগ করে ভাগ্নেকে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় ফেরত চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তার নিখোঁজ ভাগ্নের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান উপস্থিত ছিলেন।


সৌরভ ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করতেন। সৌরভ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মামাতো বোন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানের ছেলে।


[embed]https://www.youtube.com/watch?v=WnY7J113tEk&feature=youtu.be[/embed]
সেই সৌম্যই ফেরালেন ওয়ার্নারকে

সেই সৌম্যই ফেরালেন ওয়ার্নারকে

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে যান অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৭ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ। উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ।


ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর তৃতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

admin June 21, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনছে ফেসবুক। এর মধ্যে দিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং ছাড়িয়ে ই-কমার্স ও বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেন বাণিজ্যে পা রাখতে যাচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

মঙ্গলবার মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে বিশ্বের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সহযোগে লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন গঠনের ঘোষণা দেন, যার প্রধান দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনিভা শহরে।

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা লিব্রা অ্যাসোসিয়েশনে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছে মাস্টারকার্ড, ইবে, পেপাল, উবারের মতো নামি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গঠনের ঘোষণা এই জুনে এলেও ২০২০ সালের প্রথম ভাগে এই ডিজিটাল মুদ্রা ছাড়তে যাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকের লিব্রা প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেপালের সাবেক কর্মকর্তা ডেভিড মারকাস। তিনি রয়টার্সকে বলেন, স্বাধীনতা, ন্যায় এবং অর্থ, ঠিক এটাই আমরা এখানে এক করার চেষ্টা করছি।

মাস্টারকার্ডের ল্যামবার্ট বলেন, যদি এই প্রকল্প অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়ে, তবে হয়ত আমরা আর এটা চালু করব না।

নিজেদের সৃষ্টি এই মুদ্রা নিয়ে ফেসবুকের দাবি, কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই লিব্রা লেনদেনে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তারা এই ব্যাংকিং জগতে প্রবেশ করে টাকা পাঠাতে পারবে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ফেসবুক বলছে, এটা উন্নত এবং কম খরচে মুক্ত ব্যাংকিং সেবা।

নিরাপত্তা নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এর ক্রিপ্টোগ্রাফি পদ্ধতি লেনদেনে সুরক্ষা দেবে গ্রাহককে। গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট ক্যালিব্রা আনবে ফেসবুক, যা থাকবে দক্ষ কর্মীদের তদারকিতে। লেনদেনে যে কোনো ধোঁকাবাজি থেকে গ্রাহককে সুরক্ষা দেবে তারা।

ফেসবুকের অন্য দুটি সেবা হোয়াটস আপ ও মেসেঞ্জারে আগামী বছর থেকে ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ ক্যালিব্রা চালু করবে।

জাকারবার্গ বলেন, আমরা ধোঁকাবাজি থেকে সুরক্ষা দেব। যদি আপনি লিব্রা মুদ্রা হারান, আমরা তা ফেরত দেব। এটা একটি দুর্দান্ত যাত্রার কেবল শুরু।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের বরাতে গার্ডিয়ানের ভাষ্য, ফেসবুকের আর্থিক পড়তির এই সময়ে লিব্রা লাভের মুখ দেখাতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের তথ্যফাঁসে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। তাদের অনেক বিজ্ঞাপনদাতা ক্ষতিপূরণ দাবি করার পাশাপাশি চুক্তিও বাতিল করেছে। বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি পদ্ধতি নিয়ে ফেসবুকের নতুন বাণিজ্যিক পরিকল্পনাকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কীভাবে দেখছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা লাখ লাখ ডলার খুইয়েছেন হ্যাকারদের কবলে পড়ে। মানি লন্ডারিং, অবৈধ মাদক কেনাবেচায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একটি নীতিমালার আওতায় আনার প্রস্তাব উঠেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও। বাস্তব অস্তিত্ব না থাকা ক্রিপটোকারেন্সির চলে শুধু ইন্টারনেট জগতেই। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি বাজারে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে বিটকয়েনের নাম এখন অনেকেরই জানা।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তৃতীয় পক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা দিচ্ছে বা নিচ্ছে, তা অন্য কেউ জানতে পারে না। আবার পরিচয় গোপন রেখেও এটা দিয়ে লেনদেন করা যায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর কোনো দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না থাকায় অনেক দেশেই তা নিষিদ্ধ।

গার্ডিয়ান বলছে, এই ভার্চুয়াল ব্যাংকিং খাতে ফেসবুকের আগমনে এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ফেসবুকের নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং, আবাসন, নগরায়ন বিষয়ক সিনেট কমিটি।
কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ‘সাঁঝের মায়া’র কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন।


রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহীয়ষী এই নারীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।


সুফিয়া কামাল শৈশবে নানার বাড়ীতে থাকায় বহুভাষায় পন্ডিত বড় মামার সান্নিধ্য এবং তার সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর সংস্পর্শে জ্ঞানচর্চার প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন। সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা করেন। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্ত’ সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কোলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।


পাকিস্তন সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। এ বছর তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন।


১৯৭০ সালে তিনি মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন।


স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ কার্ফু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেন।


সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।


সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরী তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।


সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।


মহীয়ষী এই নারী ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদীঘি গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে আখেরুল ইসলাম, একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চুতুরপুর গ্রামের মো. সেন্টুর রাছেল তোহরুল ইসলাম টুটুল, রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে আবদুল মালেক, সাহাপাড়ার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চরভবানিপুরের কশিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, পারচৌকার রানীনগরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুল মাসুদ, রশিকনগরের হোসেন মণ্ডলের ছেলে সেন্টু এবং ছত্রাজিতপুরের মসলিম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম।


অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলের সঙ্গে বিরোধ হয় কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের।


এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিকালে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের একটি আমবাগানে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।


এ ঘটনায় নিহত মনিরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ২৫ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


এর পর ২০১৫ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এর পর ২৩ সাক্ষী সাক্ষ্য ও যুক্ততর্ক শেষে বিচারক আজ এ মামলার রায় দেন।

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশর উন্নয়নের দরকার কিন্তু এর সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন ও জলাধার নির্মাণেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষিত থাকে।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের ওপর আসবে। এর জন্য আমরা দায়ী না, আমরা ভুক্তভোগী। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা আমরা নিতে শুরু করেছি। এর জন্য ফান্ডও তৈরি করা হয়েছে।


বিদেশ থেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সহায়তা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্যারিসে পরিবেশ বিষয়ে একটা চুক্তি হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে এর সহায়তা পাওয়া যাবে।


পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকবো। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।


প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যতো ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।


এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন।


সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। এই বন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতিকর কিছু করার সাহস পায় না।


তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বনে বাঘের বিচরণ বেড়ে যায়। নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে।


সরকারপ্রধান এসময় বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ি বনাঞ্চল।

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। যুদ্ধ, জাতিগত সন্ত্রাসের কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ছয় কোটি মানুষ শরণার্থী। এটি এযাবৎ কালের শরণার্থী সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড।


বাংলাদেশেও জাতিগত সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্রোত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর থেকে সাত লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ঠাঁই নেয় বাংলাদেশে।


আগে থেকেই এ দেশে ছিল বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালীসহ ৫০ জেলায় এখন রোহিঙ্গাদের অবস্থান রয়েছে।


এদিকে রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ, নিরাপত্তা ও উগ্রপন্থি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়া ঠেকানো নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও নিজ দেশে তাদের প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তাও কমে আসছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংকট আরো গভীরতর হচ্ছে।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয় গ্রুপ আইএসসিজির কর্মকর্তা সৈকত বিশ্বাস বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের পুনর্বাসনে ব্যাপক কর্মসূচি নিতে হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে এরকম নানা উদ্বেগের মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। দিবস উপলক্ষে উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্টেপস উইথ রিফিউজিস’ বা ‘শরণার্থীদের সঙ্গে পথচলা’।


শরণার্থী দিবসে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ২ নম্বর ব্লক থেকে একটি র‌্যালি বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ওই ক্যাম্পে আলোচনা সভা, খেলাধুলাসহ রয়েছে নানা কর্মসূচি। রোহিঙ্গাদের জন্য অন্যতম বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের এসব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।


তবে এসব কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদের তেমন উৎসাহ নেই। নিজ দেশের বাইরে এভাবে অনিশ্চিত জীবনযাত্রায় রোহিঙ্গারাও হতাশ। রোহিঙ্গার জন্য তহবিল সংকটে এখানে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও উদ্বিগ্ন। তহবিল বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অব্যাহতভাবে ধরনা দিয়ে যাচ্ছে তারা।


কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা মারিন ডিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী তিন মাস পর্যন্ত খাবার ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পাওয়া না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। চলতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২ কোটি ডলার সাহায্য চেয়েছে জাতিসংঘ।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির এখন কক্সবাজারে। এ জেলায় চার দফায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখন এখানে ঠিক কত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।


জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৯ লাখ ১০ হাজার।


তবে বুধবার জেনেভা থেকে প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন অবস্থান করছে ৯ লাখ ছয় হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা।


শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে।


এদিকে, বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৪ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


সর্বশেষ রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘ তিন বছর হতে চলছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমে বাড়ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বের বিশাল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অস্থিরতা। বাড়ছে খুনখারাবি থেকে শুরু করে নানা অপরাধ। স্থানীয় লোকজনও ধৈর্য হারাচ্ছে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিক অপরাধী গ্রুপও সক্রিয় হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১০ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে ১৬টি অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক।


কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দেড় হাজার সদস্য রাত-দিন ব্যস্ত রয়েছেন রোহিঙ্গাদের সালিশ বিচার করতে। এখানে পুলিশ সদস্যদের কষ্টের সীমা নেই।


এদিকে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক হারে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় এখানে শিশু জন্মহারও অস্বাভাবিক বেশি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্মহার কত- এ নিয়ে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে জরিপ নেই। তবে বেসরকারি একটি সংস্থার মতে, এখানে প্রতিবছর অর্ধলক্ষ শিশু জন্ম হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সালে থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ কারণে এ দিনটি বাছাই করা হয় যে, ১৯৫১ সালে অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয় বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে।


২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিলো। জাতিসংঘ পরবর্তীকালে নিশ্চিত করে যে, অর্গানাইজেশন অফ আফ্রিকান ইউনিটি বা ওএইউ পরবর্তীকালে ২০ জুনকে আফ্রিকান শরণার্থী দিবস-এর পরিবর্তে আন্তর্জাতিকভাবে শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছে।

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

admin June 21, 2019

অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে বলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।


এর আগে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে।


ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেয়া হয়।


প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ শিরোনামে ৭ জানুয়ারি যুগান্তরে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।


‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে পরদিন ৮ জানুয়ারি আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।


এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।


এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

admin June 20, 2019

সম্প্রতি বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে গোপন বৈঠক করেছে বিমানের দুর্নীতিবাজরা। উদ্দেশ্য সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামিয়ে দেয়া। এ জন্য তারা তহবিল গঠন করে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খবর দৈনিক যুগান্তরের।


গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে যুগান্তর জানাচ্ছে, গেল মঙ্গলবার রাতে উত্তরায় একত্রিত হয়ে বৈঠক করে তারা। বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ বিমানেরই এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা, যিনি দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। তার নেতৃত্বে বিমান শ্রমিক লীগ, বিমান সিবিএ ও বিমান পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ১০-১২ জন প্রভাবশালী নেতা উপস্থিত ছিলেন।


এ ছাড়া জনসংযোগ বিভাগের সাবেক একজন কর্মকর্তা এবং ঢাকার বাইরে বদলি হওয়া ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


জানা গেছে, বৈঠকে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন অভিযোগে বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে।


যদি মন্ত্রণালয় তাতে রাজি না হয়, তাহলে বাপা ও সিবিএ মিলে আগামী হজ ফ্লাইট চলাকালে বড় ধরনের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দু’দফায় বৈঠকের স্থান বদল করেও তারা গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে পারেনি।


গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বুধবার সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি অবগত হয়েছে।


বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও জানতে পেরেছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব সোর্স থাকায় ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানা সম্ভব হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্র যুগান্তরকে জানায়, মূলত তারা বিমানের দুর্নীতিবিরোধী প্রক্রিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে অন্যত্র বদলি করার মিশন বাস্তবায়ন করতে চান। তারা মনে করেন, বিমান সচিবসহ এ বিষয়ে তৎপর কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই সবকিছু দফারফা হয়ে যাবে। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে আর শক্ত মনিটরিং ও ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে না।


এ ছাড়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেসব গণমাধ্যমে বিমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরকে নানাভাবে বয়কট করা হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যেসব কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে ওএসডি, বদলি কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে সেসব আদেশ বাতিল করে তাদেরকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে।


এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বিমানের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি প্রায় এক মাস বিদেশে অবস্থান করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।


সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ষড়যন্ত্রকারী এ অংশটি এহেন ঘটনার অবতারণা করে রীতিমতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কেননা, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা, সাহস ও উৎসাহ দেয়া এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে ইতিমধ্যে বিমানের টিকিটিং দুর্নীতিসহ ঘাটে ঘাটে দুর্নীতি জালিয়াতি অনেকাংশে কমে এসেছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three