নীলফামারীতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ উপলক্ষে সমন্বয় সভা-টিকেট মিলবে সৈয়দপুরেও

নীলফামারীতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ উপলক্ষে সমন্বয় সভা-টিকেট মিলবে সৈয়দপুরেও

admin August 19, 2018

নীলফামারী: আগামী ২৯ আগস্ট নীলফামারীতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-শ্রীলংকা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বক্তৃতা করেন। সমন্বয় সভায় জানানো হয়, আগামী ২৯ আগষ্ট নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা জাতীয় ফুটবল দলের একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটিকে সফল ও উপভোগ্য করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হবে। মোট ২০ হাজার ৩৬৯ জন দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলাটি উপভোগ করতে পারবেন।
এর মধ্যে এক হাজার টাকা মূল্যের ৩৬৯ টি ভিআইপি ও একশত টাকা মূল্যের ২০ হাজার সাধারণ টিকেট বিক্রয় করা হবে। টিকেট কালোবাজারী রোধে ম্যাচের মাত্র তিন দিন আগে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা।
এদিকে খেলাটিকে সফল করতে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করেছেন সংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ফুটবল ম্যাচের টিকিট


Ticketনীলফামারী: নীলফামারীতে আগামী ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রীতি ম্যাচের টিকিট সৈয়দপুরেও পাওয়া যাবে। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগষ্ট নীলফামারী শহরের সব ব্যাংক এবং সৈয়দপুরে শুধু ঢাকা ব্যাংক থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। ২৯ আগষ্ট বিকেল ৪টায় নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন জানান, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে যশোরে ফুটবল আয়োজন করে সফল হয়েছে বাফুফে। এবারে উত্তরবঙ্গে ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার বাহিনী মাঠে কাজ করবে। প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স।

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

admin August 19, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ৮৮০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৪৩ হাজার নয়শত সাতানব্বই পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপিসদস্যদের নামে ভাগাভাগি করে নেওয়ার কারণে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়, শৌলমারী, রৌমারী ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচি চাউল বিতরণের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাউল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এসব চাউলের নামের স্লিপ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার দলীয় নেতাকর্মীসহ একশ্রেণির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
যাদুরচর ইউনিয়নের চাউল নিতে আসা ধনারচর গ্রামের হযরত আলী,আবু সমা, বাইমমারী গ্রামের শুকুর আলী, ইসরাফিল জানান, তালিকায় নাম আছে চাউলের জন্য আসছিলাম, আমাদের নামে স্লিপ বিক্রি হয়ে গেছে, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাছে বিচার দিলাম কোন লাভ হয় নাই। খালি হাতে বাড়ীতে ঘুইড়া যাই। আমাগো গরীব মানুষের চাল বেইচা চেয়ারম্যান মেম্বার দলের নেতার্কমীর ঈদ উৎসব করবো। আমরা না খাইয়া থাকুম আল্লাহ্ কাছে একদিন গরীবের চাল খায়ার হিসাব হবে।



[কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা]


রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদশা মিয়া বলেন, প্রতি বস্তায় কেজি চাউল কম হয়। আমার আরো এক শ’ পঞ্চশটি নাম চাউল দেওয়া বাকী আছে চাউল আছে সাত বস্তা। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করে দশ কেজি করে চাউল দিতে বলছে। চাউল নাই তালিকায় নাম আছে তাদের কম বেশি চাউল বিদায় করতে হবে।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মণ্ডল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, রৌমারী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারঃ) লালমিয়া জানান, আমরা অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করেছি। তালিকাভূক্ত সবাই চাউল পাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে জন্য মিটিং করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করার কথা। এত নাম মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখা সম্ভব না। চাউল না পাওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের জানান। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আমি দশ কেজি করে চাউল দিতে বলি নাই। চাউল বিতরণ করে বেশি হলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে বিতরণ করতে বলেছি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় শতকরা পঞ্চশ জন লোক চাল পায় নাই। চুয়াল্লিশ পরিবারে মাঝে সঠিক ভাবে চাউল বিতরণ করলে একটি গরীব মানুষ বাদ যাবেনা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, দলীয় নেতাকর্মীরা গরীবের চাউল বিক্রয় করে ঈদের টাকা খরচের ব্যস্ত আছে। ভিজিএফ কর্মসূচির উপকাভোগীদের নামে তালিকা সঠিক ভাবে করা হয় নাই। এক পরিবারে একাধিক মানুষের নাম আছে, পাশে বাড়ী গরীব মানুষটির নাম নাই। ৬টি ইউনিয়নের একাধিক মানুষের অভিযোগ তালিকায় নাম আছে চাউল পায় নাই। ২০কেজি করে চাউল বিতরণে নিয়ম থাকালেও উপকাভোগীদের দেওয়া করা হচ্ছে ১২/১ কেজি করে চাউল।

দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক যুবতীকে গণধর্ষণ

দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক যুবতীকে গণধর্ষণ

admin August 19, 2018

টাঙ্গাইল: ভূঞাপুরে দুই পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পুখুরিয়া শিয়ালকোল কবিরের ইট ভাটা এলাকায় এঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সাথে যুক্ত দুই পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো- অটোচালক জাহিদ ও হিটলার। জানা গেছে, ধর্ষিতা ছাত্রী ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের ফাজিল মাদ্রাসায় ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।


জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে পরিবারের সাথে অভিমান করে ভূঞাপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক অটোরিকশায় উঠতে গেলে ওই দুইজন তার কাছে যায় এবং গন্তব্যের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে তাকে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেয়। এতে ভিকটিমের সন্দেহ হলে সে পায়ে হেঁটে শিয়ালকোলের দিকে রওনা দিলে ওই দুই অটোচালক তার পিছু নেয়। মেয়েটি পুখুরিয়া শিয়ালকোল কবিরের ইট ভাটার কাছে পৌঁছলে হিটলার ও জাহিদ তার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং প্রথমে জাহিদ ও পরে হিটলার তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।


পরে ওই মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হিটলারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং হিটলারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে হিটলারের দেয়া তথ্য মতে অপর জাহিদকে নিজ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।


ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, ঘটনার রাতেই দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে হিটলার ও জাহিদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

দুই জমজ গরু সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি!

দুই জমজ গরু সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি!

admin August 18, 2018

বাগেরহাট: অবশেষে এলাকায় ব্যাপক আলোচিত জমজ ভাই গরু দুটি সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি হলো। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী গতকাল শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২ টায় নিজ গ্রামের এই একজমজ গরু ক্রয় করেছেন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকাহাঁকি-জাতীয় ব্যাপক প্রচারণার পর অবশেষে তাদের দুজনকে বিক্রি করা হলো। আর এরি সাথে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হলেন জমজ দু’ভাইয়ের লালন-পালনকারী।
হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী বলেন, ‘আমার বাবার বয়স একশ’ বছরের বেশি, তাঁর ইচ্ছে এবছর বড় আকারে কোরবানী দেবে। এলাকাবাসীও চেপে ধরলো। আমি মেম্বারদের সাথে কথা বললাম, তারাও রাজি। এদিকে মুনজুরুল আলম চৌধুরী গ্রামের আত্মীয়। তার গরু নিয়ে নানা ধরণের প্রচারণার প্রেক্ষিতে তা বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। সবদিক বিবেচনা করে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় গরু দু’টি কিনলাম।’
মুনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জমজ গরুর ওজন হবে প্রায় ৪০ মন। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তাদের কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাপারী বাড়িতে আসেন, নানা জায়গা হতে ফোনও আসে। প্রথমে চার লাখ থেকে পরে ১৫/ ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকানো হয়। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই দুভাইকে দেখতে আসে। কিন্তু বাস্তুবে কেনার জন্য টাকা নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এদিকে এবারের ঈদে তাদের বিক্রি করতে না পারলে মহা মুশকিলে পড়ে যাবো! ফি’ বছর তাদের রাখতে গেলে প্রতিটি গরুর পেছনে বছরে এক লক্ষাধিক টাকা ব্যায় গুনতে হবে। ঢাকার বাজারে নিতেও অনেক খরচ, গরুগুলোর শরীর ভারী, নিতে পথে মারা যাবে কি-না কে জানে! এমনি দুঃশ্চিন্তার মধ্যে যখন আমার সময় যাচ্ছে, তখন শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান গরু দু’টি কিনে আমাকে দুঃশ্চিন্তামুক্ত করেন।’
গরুর ফার্ম মালিক মুনজুরুল আলম চৌধুরী আরো জানান, প্রত্যেকটি গরু লালন-পালনের পেছনে অনেক ব্যায়। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারদর কম। বাজারদর বাড়লে আগামীতে এই ফার্ম টেকাতে পারবো। চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মুনজুরুল আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন। ২০১৩ সালে চাকুরীতে অবসর গ্রহণ শেষে গ্রামে ফেরেন। নানা জাতের ৩২টি গরু নিয়ে শুরু করেন গরুর ফার্ম। সেই ফার্মে ‘হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান’ জাতের গাভী হতে জন্ম নেয় জমজ দু’টি এঁড়ে গরু। ফার্মের তত্ত্বাবধানকারী তুষার শেখ প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রমে দুইভাইকে হৃষ্টপুষ্ঠ করে তোলেন। তুষার শেখ (১৮) বলেন, ‘এই দুই ভাইকে আমি অনেক ভালবাসি, রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি। ওরা চলে গেলেঅনেক কষ্ট হবে।’

বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

admin August 18, 2018

রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাড়ি বানিয়াপাড়া এলাকার বৃদ্ধা সায়েদা বেগমের হত্যাকান্ডে বাদীপক্ষের সাজানো মামলায় হয়রানীর শিকার গ্রামের অসহায় কৃষকরা মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সাথে ওই হত্যায় জড়িত মূলহোতা ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলামসহ তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মোড় থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভ শেষে শহীদ মিনার চত্ত¡রে মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ।


মানববন্ধন সমাবেশ থেকে বাদীপক্ষের সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে গ্রামের নিরহ অসহায় কৃষক পরিবারের সদস্যদের অব্যহতি দিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণকমিটির আহবায়ক আতাউর রহমান রেজা, জাসদ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক নূর সুমন, সমাজসেবক মুকুল, মাহফুজার রহমান, আব্দুল হাই, সাহাবুল ইসলাম, মেঘনা, গোলাপী বেগম, রমিজা খাতুন, খয়বার হোসেন প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, মামলার বাদী ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার আপন ফুফু সায়েদা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় মমিনুলকে সহায়তা করে তার পিতা অহিদুল ইসলাম। পিতা-পুত্রের হামলায় সায়েদা বেগমের মৃত্যু হলে মমিনুল নিজেই বাদি হয়ে এলাকার নিরীহ অসহায় ২২টি কৃষক পরিবারকে জড়িয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর থেকে গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাটি এখন পুরুষশুন্য হয়ে আছে। এসময় বক্তারা অবিলম্বে হয়রানীমূলক সাজানো মামলা থেকে গ্রামের অসহায় পরিবারের সদস্যদেরকে অব্যহতি দিতে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। এরআগে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও কৃষক পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

হিলিতে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও দোয়া

হিলিতে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও দোয়া

admin August 18, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুর হিলি বাজার রেলস্টেশন এল এস ডি গোডাউন মোড়ে গতকাল ৬ টার দিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা ৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরল ইসলাম ডাবলু, সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক, হাকিমপুর উপেজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, হাকিমপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারনউর রশিদ হারন,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক,হাকিমপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শ্রী জর্নাদ্দন,সাধারণ সম্পাদক মহসিন মন্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাহের মন্ডল,সাধারণ সম্পাদক ছদরুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি আতাউর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, হাকিমপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আমিরল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল মল্লিক টগর, পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান উজ্জ্বল, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ডালিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রী সুমন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মহাবুব রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল সরকার প্রমুখ । পরে দেশ ও জাতি কল্যণে দোয়া হয়েছে।



আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষকে কাচা রাস্তায় হাটতে হবে না-শিবলী সাদিক


দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে ভাদুরিয়া বাজারে গ্রোথ সেন্টার মার্কেটে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকাল ৬ টায় উপজেলা ভাদুরিয়া বাজারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এ এল জি ই ডি) এর অর্থায়নে ১ কোটি ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৮ শ ৩৮ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার পক্ষে ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি।
এ উপলক্ষে ভাদুরিয়া বাজার কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভাদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. জহুরুল ইসলাম রাজা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি তিনি তার বক্তব্যে বলেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হলে গ্রামে জনসাধারন কে আর কাচা রাস্তায় হাটতে হবে না। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আমির হোসেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসমান জামিন ও উপজেলা পরিষদের ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

admin August 18, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে চরম অনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের কার্ড প্রতি ২০ কেজির স্থলে দেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল। মহিলা মেম্বার সহ অনেক ওয়ার্ড মেম্বার তাদের বরাদ্দকৃত কার্ড সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে চালের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে গরীব দুস্থরা চাল না পেয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। আবার অনেকে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনের কাছে কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে।


সরেজমিনে উপজেলার খাতামধুপুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতেই কার্ডপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীর ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্নপাত করছেন না। খাতামধুপুর ইউনিয়নের সাধাপাড়ার বিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বিনা রানী (৩৫) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বের হয়ে পাশেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে চাল ওজন করে কম পান। তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি।‌




#সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম #কার্ড প্রতি ২০ কেজির জায়গায় ১৫ কেজি বিতরণ #মেম্বারের কার্ড বিক্রির অভিযোগ



বটতলী বছির উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল (৪০) এসময় বলেন, তার চালও কম হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১৪ কেজি। একই অভিযোগ করেন আরাজি পানিশালার খগেন্দ্র চন্দ্র রায় (৬৫)। তিনিও তাৎক্ষণিক চাল ওজন করে দেখেন তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি ৩ শ’ গ্রাম। এসময় উপস্থিত সুবিধাভোগী শেফালী বেগম আক্ষেপের সাথে বলেন, সরকার দেয় হামাক গরিবের জন্য চাল, কিন্তু মেম্বার-চেয়ারম্যানরা তা মারি খায়ছে। কাহো চাল কম দেয়ছে আবার কাহো স্লীপ (কার্ড) বেচে (বিক্রি) দেয়ছে পাইকারের ঠে (কাছে)।


এদিকে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেতা জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে তার বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪০০ কার্ডই বিতরণ না করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, তার ওয়ার্ডের কোন সুবিধাভোগীই কোন কার্ড পায়নি। একইভাবে এই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেত্রী জেবুন্নেসা তার প্রাপ্ত ৩৫০টি বিতরণ না করে বিক্রি করেছেন। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশেদা বেগমও তার প্রাপ্ত ৪৬৬টি কার্ড বিক্রি করেছেন। এনিয়ে চরম তোলপাড় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে ইউনিয়ন জুড়ে।


এ বিষয়ে খাতামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাইরে কেউই ১৮ কেজির বেশি চাল দিতে পারবেনা। তবে ১৫/১৬ কেজিও দেয়া হয়নি। তারপরও কারো কম হলে সেটা মিসটেক, ইচ্ছেকৃত নয়। এমতাবস্থায় চালের কার্ড বিক্রি করে দেয়ায় প্রকৃত গরীব ও দুস্থরা সরকারের দেয়া চাল না পেয়ে অসুবিধায় পড়েছে। তাছাড়া যারা কার্ড পেয়েছে তারাও চাল কম পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সরকারের সমালোচনা করছেন। এতে জনমনে বিরুপ প্রভাব পরছে।

কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা

কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা

admin August 18, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার এক পুলিশ ও এক কলেজছাত্রীকে 'দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত অবস্থায়' একই রুমে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে দেড়লাখ টাকায় ঘটনার মীমাংশা করা হয় বলে জানা গেছে। যদিও ওই পুলিশ সদস্যের দাবি, ধর্মবোন হওয়ার সুবাদে তার বাসায় মাঝেমধ্যে যেতেন তিনি। ঘটনার দিন ওই এলাকায় গেলে তিনি ওঁদের বাড়িতে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে জোর করে ওই কলেজছাত্রীর রুমে ঢুকিয়ে ‌দেয়। ঘটনাটি ওই এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর বলছেন, কলেজছাত্রী ও ওই পুলিশ সদস্যের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিনও তারা দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত ছিল।


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া যুবতীর বাড়িতে মাঝেমধ্যে অবাধে যাতায়াত করতেন। এতে করে ওই এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীর রুমে গেলে তাকে আটকে রাখে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ওই কক্ষ ঘিরে রাখে। পরে শতশত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে আসতে থাকে। অনেকে মিজানুর রহমানকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে।


জানা গিয়েছে, ঘটনা জানাজানি হলে ওই থানার অপর এক এসআই আই নুর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংশার প্রস্তাব দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভোর রাত ৫ টার দিকে নগদ দেড়লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টির মীমাংশা হয়।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ওই কলেজছাত্রী আমার ধর্মবোন হওয়ায় মাঝে মধ্যে ওঁদের বাসায় যাতায়াত করতাম। বৃহস্পতিবার রাতে একটা কাজ শেষে ওই এলাকা দিয়ে আসার পথে ওঁদের বাড়ি যাই। পরে কিছু লোক আমাকে ওই ধাক্কা দিয়ে ওর রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে আটকে রাখে।


আপোস-মীমাংশার সময় উপস্থিত ইউপিসদস্যদের মধ্যে বিপ্লব আলী জানান, রাজারহাট থানার এসআই নুর আলম তাকে বিষটি জানিয়ে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংশা করা হয়।


মীমাংশাকারী এস আই নুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ওই ঘটনার আপোস মিমাংসা করতে যেয়ে রাতে ঘুমোতে পারিনি পরে কথা বলব। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে সবাই যা শুনেছে তিনিও তা শুনেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলেও জানান। তবে এসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ওই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাড়ির 'গেটম্যানের' লাশ উদ্ধার

বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাড়ির 'গেটম্যানের' লাশ উদ্ধার

admin August 17, 2018

বাঘা, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় মফিজ উদ্দিন নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাশে নিজ আম বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। মফিজ উদ্দিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যখন বাসায় আসতেন তখন আড়ানীর বাড়ির গেটম্যান হিসেবে দায়িত্বে পালন করতেন এবং পাশাপাশি রাজশাহী শহরে অটো রিকশা চালাতেন বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিন (৫২)। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে নিজ আম বাগান দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে স্থানীয়রা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ দিয়াড়পাড়া গ্রামের তার নিজ আম বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যখন আড়ানীর বাড়ি আসে এ সময় মন্ত্রীর বাড়ির গেটম্যান হিসেবে দায়িত্বে পালন করতেন। আর মন্ত্রী চলে গেলে সে রাজশাহী শহরে অটো রিকশা চালাতেন। তবে সে তিনদিন আগে নিজ বাড়িতে এসেছে বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত মফিজ উদ্দিনের মৃত্যুও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মফিজের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে তার মৃত্যুর রহস্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

১৩ বছর পূর্তি জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার, কুড়িগ্রামে সমাবেশ

১৩ বছর পূর্তি জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার, কুড়িগ্রামে সমাবেশ

admin August 17, 2018

কুড়িগ্রাম: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারা দেশে জামায়াতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)র সিরিজ বোমা হামলার ১৩ বছর আজ। ভয়াবহ এ বোমা হামলার প্রতিবাদে সকালে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ঘোষপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম, সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, জেএমবির মুল হোতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের শাস্তি হলেও তাদের মদদ দাতাদের শাস্তি হয়নি এখনও। মদদ দাতাতের শনাক্ত করে শাস্তির দাবী জানান তারা।


২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ওইদিন সকাল সাড়ে বেলা ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মধ্যে দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪ টিসহ সাড়ে ৪শ’ স্পটে প্রায় ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এই হামলায় দুই জন মারা যায় এবং আহত হয় দু’শতাধিক মানুষ। ওই দিন কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গন ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বোমা হামলা করে তারা। বিস্ফোরণ স্থলে লিফলেট রেখে আত্ম প্রকাশ করে তারা। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলায়।


জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১শ ৬১টি মামলা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বিচার কাজ শেষ হয়েছে ১শ ০২টি মামলার। নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলোয় শীর্ষ জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইসহ ৩৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৩১ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে আরও ১৮৪ জনকে সাজা দেওয়া হয়। খালাস পান ১১৮ জন।

মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

admin August 16, 2018

রংপুর: রংপুরের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টরের চলাচল। সড়কে এসব যানের উপস্থিতি গণমানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সড়কে চলাচলের জন্য এসব পরিবহনের কোনো রুট পারমিট না থাকলেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এসব যানের অবাধ চলাচল লক্ষ্য করেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ এসকল ট্রলি-ট্রাক্টরের মালিকের কাছে মাসোহারা আদায়ের কারণেই এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, কৃষি কাজের জন্য ভুর্তুকি দিয়ে বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানি করা হয়। আমদানিকারকরা এসব ট্রাক্টর বিক্রি করে ইটভাটার মালিক, মাটি ও বালু ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরের পিছনে ট্রলির বডি লাগিয়ে মহাসড়কে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে।
রংপুর জেলায় অবৈধ এসব ট্রলি-ট্রাক্টরের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কারও কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে জেলাজুড়ে হাজার হাজার ট্রলি-ট্রাক্টর হাইওয়ে থেকে শুরু করে গ্রামের রাস্তাগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রংপুরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ট্রাক্টর মাঠে কৃষিকাজের জন্য অনুমোদিত, সড়ক-মহাসড়কে চলাচল কিংবা পণ্য সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই। সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে এ যানটি সড়কে চলাচল করছে।
স¤প্রতি নগরীর টার্মিনাল, মডার্ণ মোড়, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলাচলকারী মালবোঝাই ট্রাক্টরের কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। এ ছাড়া ট্রাক্টরের কোনো নম্বর-প্লেটও নেই। কোনো কোনো ট্রাক্টর ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মালামাল বোঝাই করে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। চালকেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স।



[এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প]


টার্মিনাল এলাকার ট্রাক্টর চালক সুজা মিয়া জানায়, তৃতীয় শ্রেণি পাস করে সে বেকার ছিলো। গত দুই বছর ধরে ট্রাক্টর চালাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বিষয়টি তার জানা নেই। রাস্তায় পুলিশ ধরলে মালিকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে দিতে হয়। পরে তারা ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়। ব্যস্ত সড়কের মধ্যে দ্রুত ট্রাক্টর চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বালুবাহী ট্রাক্টরের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী দ‚র থেকে বালু আনতে হয়। কম সময়ের মধ্যে যত বেশি বালু আনতে পারব, ততই আমার লাভ। তাই একটু দ্রুত চালিয়ে যেতে হয়।
নগরীর কেরানীপাড়া এলাকার খোরশেদুল আলম জানান, ট্র্রাক্টরগুলো অদক্ষ চালকদের হাতে থাকায় তাঁরা প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি পিটিসি’র মোড়ে একটি আটোরিকশার ওপর ট্রাক্টর উঠে গেলে তিনজন গুরুতর আহত হন। এছাড়া আমার চোখের সামনে এর আগেও অনেকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক্টর মালিক জানান, প্রতিটি ট্রাক্টরের জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা হারে পুলিশকে মাসোহারা দিতে হয়। হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের লোক নির্ধারিত স্থান থেকে এ মাসোহারা আদায় করেন। প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই এ মাসোহারা আদায় করা হয়। কোনো ট্রাক্টর মালিক যদি মাসোহারা দিতে কালক্ষেপন করেন কিংবা মাসোহারা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে তার ট্রাক্টর আটকে রেখে জরিমানাসহ বিভিন্ন হয়রানি করা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর সদর এলাকাসহ জেলায় যে সকল ট্রাক্টর চলাচল করে তার প্রত্যেকটির জন্য মালিকের কাছ থেকে ১/২ হাজার টাকা মাসোহারা আদায় করা হয়। যে সকল ট্রাক্টর মালিক মাসোহারা দেন না, বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে তাদের ট্রাক্টর আটক করে জড়িমানা করা হয়। শুধু তাই নয়, সড়কে যে সকল ফিটনেস বিহীন ট্রাক চলাচল করে তাদের কাছ থেকেও প্রকারভেদে দেড় থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসোহারা আদায় করা হয়। যারা মাসোহারা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
তবে মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রংপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ খান মো. মিজানুর ফাহিমী বলেন, লোকে এ ধরনের অনেক অভিযোগ করে। আসলে এ ধরণের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যানের চলাচল প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যারা ধরা পড়ছেন তাদের যান আটকে রাখা ও জরিমানা করাসহ প্রয়োজনী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের সংবাদ লিখে কোন লাভ নেই। বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অবৈধ এ যানের চলাচল প্রতিরোধে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সড়কে বেআইনিভাবে ট্রাক্টর চলাচল করছে। আমরা যতটুকু সম্ভব অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক্টর মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। মাসোহারা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।

রাজারহাটে চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বরাদ্দ বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ

রাজারহাটে চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বরাদ্দ বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ

admin August 16, 2018

কুড়িগ্রাম: সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এনামুল হকের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের একজন মহিলা সদস্য। রাজারহাট ইউনিয়নের ১, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছা. জাহানারা বেগম জেলা প্রশাসক, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আজ বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ মে রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ঐ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে বিভিন্ন ভাবে কাম চারিতার্থ করার জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় এবং তার স্বামীকে বিষয়টি অবহিত করায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে তাকে বঞ্চিত করে আসছেন। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে ক্ষমতাহীন সদস্য করে রাখার হুমকীও প্রদান করেন। এমনকি গত ১৩ ও ১৪ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদেই জনসম্মুখে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, লাঞ্চিত করাসহ বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে এবং তার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকীসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকী দেন। এছাড়াও এবার কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে তার বিতরণ করা ভিজিএফ’র কার্ডধারীদেরও চাউল দেয়া হয়নি মর্মে তিনি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগকারী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা: জাহানারা বেগম বলেন, একমাত্র চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিভিন্ন সময় জনসম্মুখে লাঞ্চিত করাসহ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করে আসছেন। বিষয়টি আমার স্বামী মাহবুবকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের দু’জনকেই মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন। এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও থানার ওসি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে আমি নিজেই ভিজিএফের কার্ড বিতরন করায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরন করেন। পরে তার স্বামী আমাকে হুমকী প্রদর্শন করায় আমি রাজারহাট থানায় জিডি করেছি। আমি কখনই কোন মহিলা সদস্যকে কুপ্রস্তাব দেইনি।
রাজারহাট থানার অফিসার রাজারহাট থানা অফিসার ইন-চার্জ মোখলেসুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাজারহাট ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেন। এর আগে বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মহিলা সদস্যের স্বামী কর্তৃক তাকে হুমকী প্রদর্শনের বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান মহিলা ইউপি সদস্যের একটি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলা নিয়ে জলঢাকায় উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ

‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলা নিয়ে জলঢাকায় উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ

admin August 16, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় ১৫ আগষ্টের আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবিতে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
এদিকে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেও বাহাদুরকে গ্রেফতার করাতে পারেনি এমপি গোলাম মোস্তফা। জলঢাকা শহরের উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগের মূল সড়কে এমপি’র অবরোধের ফলে চারিদিকে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে এতে চরম জন দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে অতিরিক্ত র‌্যাব,পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধায় উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দোগ্যে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে উম্মুক্ত আলোচনা ও কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা অতিথি না থাকলেও অতর্কিত ভাবে মঞ্চে আসেন এবং বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় এমপি’র বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, জামায়াত প্রীতিসহ দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে আন্দোলন করে আসছে বাহাদুরের নেতৃত্বাধীন উপজেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ। তার উপস্থিতি দেখে এমপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে শ্লোগান দিয়ে, কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন তা জানতে চায়।
এসময়ে উপস্থিত এমপি সমর্থকরা তার পক্ষে পাল্টা শ্লোগান দিলে উত্তেজনার সৃস্টি হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্ঠা করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরসহ তার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে এমপি তার সমর্থকদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪ঘন্টা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সড়ক অবরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার বলেন,‘আমাদের শোক দিবসের আলোচনা সভায় কাউকে অতিথি করি নাই। তবে যারাই এসেছে তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’
এ বিষয় অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,‘আমার নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে শ্লোগান দিতে থাকলে আমি গিয়ে তাদেরকে শান্ত করি। যেহেতু এবারে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই এমপি প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।’
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন,‘এটা অন্তঃদলীয় কোন্দল,বিষয়টি আমরা উদ্ধের্তন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে আলোচনা সভায় বাহাদুরের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে গালমন্দ করে। এরই প্রতিবাদে আমার সমর্থকরা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবী করে।

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

admin August 16, 2018

রংপুর ও নীলফামারী:  পৃথক ঘটনায় রংপুর নগরী ও নীলফামারী ডিমলা থেকে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রংপুর মহানগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের সিট মহব্বত খাঁ বুদুকমলা এলাকার লাবলু মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।


অভিযোগ উঠেছে, আমেনা বেগমকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে পরিবারের সবাই। আমেনার বেগম ৪ নং ওয়ার্ডের বোল্লার চাক আমাশু এলাকার শাহেদ আলীর কন্যা। আমেনার পিতা শাহেদ আলী আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে আমেনাকে তার স্বামী নির্যাতন করতো। তিনি দাবি করেন, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাদের। আমেনা এবং লাবলু দুজনেরই আগেও একবার করে বিয়ে হয়েছিল। আমেনার আগের সংসারে আকাশ নামে একটি পুত্র আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।



[এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প]


লাবলুর বড় ভাইয়ের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী জানান, প্রতিদিন রাতে তার দেবর মাছ ধরে আসার পর সেই মাছ স্বামী-স্ত্রী মিলে ধোয়ার পর শুতে যায়। কিন্তু ভোরে হঠাৎ করে লাবলু ডাকাডাকি করে যে, আমেনা গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা উঠে গিয়ে দেখি গলায় ওড়া পেচানো। পরে এলাকাবাসি আসলে ওড়না কেটে তাকে ফাঁস থেকে নামানো হয়। তাকে মারপিট করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চান নি।


কোতয়ালী থানার এস আই মামুনুর রশিদ জানান, আমেনা বেগমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানা যাবে যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে সুরুতহাল রিপোর্টে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।


অপরদিকে নিখোঁজের একদিন পর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রী রেনু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রেনু বেগম ওই গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী। এসময় তার শরীরে ইটবাঁধা ছিল। এর আগে গত সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায় নি। এ ব্যাপরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিমলা থানার এসআিইড শাহ সুলতান মোহম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, লাশ উদ্ধারের সময় কোমরে ৪ টি ইট বাঁধা ছিল। রেনু বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। ময়নাদতন্ত রিপোর্ট আসলে রহস্য উদঘাটন হবে।

এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প

এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প

admin August 15, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ‘মডেল কন্যা’ মাহমুদা আক্তার। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের নাগবাড়ী এলাকার আক্কাস মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী স্বামী হাফিজুর রহমান ও একসন্তান নিয়ে থাক নারায়ণগঞ্জ শহরে। মাহমুদার পাঁচ বছর বয়সী রিয়ানা রহমান জারা নামে একটি ফুটফুটে মেয়ে আছে। ২০১৬ সালে মাহমুদা আক্তার নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় মেগাশপ ‘টপটেন’ এ কাজ নেয়। সে ছিল ওই সময়ে টপটেন শাখার প্রথম নারী বিক্রয়কর্মী।


মাহমুদার চাকুরির একপর্যায়ে সেখানে চাকরি নেয় সাগর ইসলাম বাপ্পি নামে এক যুবক। সে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার রিকাবীবাজার পূর্বপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মাসরিফ ও ফারদিন ইসলাম থাকতো মুন্সীগঞ্জে। কাজের সূত্র ধরে মাহমুদার সঙ্গে পরিচয় হয় বাপ্পির। এক সময় তারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে একসময় ভেঙে যায় মাহমুদার সংসার। পরকীয়া প্রেমের লীলায় মেতে ওঠে বাপ্পি ও মাহমুদা।



[গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?]


মাহমুদা টপটেনের কাজ করার একপর্যায়ে সেখান থেকে চাকুরি ছেড়ে দে। এরপর আর ওখানের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি সে। এমনকি কাজের সহকর্মীদের ফেসবুকও ব্লক করে দেয়। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর তার সন্তান জারাকে নানীর বাসায় পাঠিয়ে দেয়। একসময় নিজের সন্তানেরও খবর রাখতো না সে। বাপ্পিও চাকুরি ছেড়ে দেয় টপটেন ফ্যাশন হাউজের। সবশেষ সে গত রমজান মাসে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠে ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’ এ এক মাস সেলসম্যানের চাকরি করে। থামেনি তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাদের পরকীয়ার গভীরতা। একসময় তা ঠেকে ‘লিভ টুগেদারে’।


গত ইদুল ফিতরের পর দুই পরিবারের অজান্তে মাহমুদা ও বাপ্পি গোগনগরে গোপনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে। চলতে থাকে তাদের লিভ টুগেদার । যা তাদের পরিবারের কেউই জানতো না। কিন্তু বেশিদিন তাদের সুখের হয় নি তাদের এ সম্পর্ক। তাদের রঙ্গলীলা একসময় দু’জনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাহমুদাকে খুন করে ঘাতক ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়ে। ফ্লাটে ওঠার এক মাস ২০ দিনের মাথায় গত ৩০ শে জুলাই রাতে তালাবব্ধ ওই ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ মাহমুদার লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে মাহমুদার মৃত্যুর একদিন পর গত ৩১ শে জুলাই মারা যায় বাপ্পি। শেষ হয়ে যায় তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। এখানেই শেষ নয়। তাদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এতিম হয় দুই পরিবারের অবুঝ তিন সন্তান। আর সন্তান হারা কষ্ট নিয়ে আছেন তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা।


মাহমুদাকে হত্যাকাণ্ডের পরদিন বাপ্পির মৃত্যুর বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সর্বত্র। কিন্তু প্রশ্ন যা-ই হোক মাহমুদা ও বাপ্পির পরকীয়াই তাদের ৩ সন্তান আজ এতিম। তাদের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। শুধু কি তাই? দুই পরিবারের সদস্যরা আজ তাদের সন্তান হারা। তাদের সন্তানেরা হয়তো আদরে-অনাদরে তারা একদিন বড় হবে। কিন্তু একজন ফিরে পাবে না তার মাকে আর দুইজন ফিরে পাবে না তাদের বাবাকে। নিষ্পাপ এই শিশুদের কোন অপরাধ ছিল না। শুধু বাবা-মায়ের পাপের শিকার হয়েছে তারা। যুগান্তর।

এক্সরে ও ইসিজি মেশিন নষ্ট: রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না
মানুষ

এক্সরে ও ইসিজি মেশিন নষ্ট: রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না মানুষ

admin August 14, 2018

কুড়িগ্রাম: তিন লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার একমাত্র সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে ও ইসিজি কার্যক্রম বন্ধ সহ নানা সমস্যার কারণে জনসাধারণ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৫ সনে জনসাধারনকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার অত্যাধুনিক মানের একটি এক্সরে মেশিন বরাদ্দ প্রদান করেন। শুরুতে মেশিনটি চালুর অল্পদিনের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মেশিনটি মেরামত করেও কাজ হয়নি। ফলে এক্সরে মেশিন স্থাপনের পর থেকেই তা বিকল হয়ে পরে রয়েছে। ইসিজি মেশিনটির ও একই অবস্থা। একমাস চললে ছয় মাসেই বন্ধ থাকে। বর্তমানে এটি দিয়েও কাজ চলছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে যন্ত্রপাতি ও ওষুধের অপ্রতুলতা, অপারেশন থিয়েটারের লাইট ও টেবিল না থাকায় কোন অপারেশনও হয় না ।


এদিকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০১২ সনের শুরুতে ৪ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। ৫০ শয্যার অবকাঠামোয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানাসথেশিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) সহ মোট ২১জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সহ মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সটি। ফলে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণে অসামর্থ ও নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে ।



[রৌমারীতে শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি]


সবমিলে প্রায় তিন লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলাবাসীর একমাত্র ভরসা রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এখন নাই, নাই অবস্থা বিরাজ করছে। জনসংখ্যা অনুপাতে উপজেলাবাসীর চিকিৎসক এখন লাখে একজন। এ কারণে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণে যাদের সামর্থ নেই সে সব নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তাকে ও নিয়মিত অফিসে উপস্থিত পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ উঠেছে।


এলাকাবাসীর অনেকে অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরর আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে দীর্ঘদিন যাবৎ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরের ভিতরে চিকিৎসকদের বসবাসের কোয়ার্টার গুলোতেও এখন কেউ থাকেন না। প্রায়ই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চিকিৎসক শুন্য থাকে বলে তারা অভিযোগ করেন। এতে করে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।


বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আছমা বেগম জানান, ডাক্তার দেখাতে আসলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। আবার ওষুধও কিনতে হয় বাইরে থেকে। মুহাম্মদ আলী জানান, প্যারাসিটামল ও স্যালাইন ছাড়া প্রায় সব ঔষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। মিজানুর, রমজান আলীও জানান নানা হয়রানীর কথা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল্লাহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও তার অফিসে অনুপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাসপাতাল সৃষ্টির পর থেকে বর্তমানের মতো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কখনই ছিল না।

উত্তরের ৮ জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াটের চাহিদায় সরবরাহ ১২৫ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎবিভ্রাট
চরমে

উত্তরের ৮ জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াটের চাহিদায় সরবরাহ ১২৫ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎবিভ্রাট চরমে

admin August 14, 2018

বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, চরম বিদ্যুৎবিভ্রাটে উত্তরের ৮ জেলার মানুষ


রংপুর এক্সপ্রেস: তিন মাস ধরে কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকায় বর্তমানে পুরো বন্ধ রয়েছে বড় পুকুরিয়ার কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এতে অন্ধকার যেন সঙ্গী হয়েছে উত্তরের আট জেলার মানুষের। প্রতিদিন গড়ে ৮ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে এ অঞ্চলে। এতে করে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের। সেই সাথে কল কারখানাগুলিতে চলছে চরম বিপর্যয়কর অবস্থা।


জানা যায়, রংপুর বিভাগের আট জেলার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতো ৬৫০ মেঘাওয়াট। যার ৫২৫ মেগাওয়াট আসতো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। কিন্তু গত তিনমাস ধরে কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।


বড় পুকুরিয়ার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, তাদের ৩ টি উইনিট চালু রাখতে প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন। যা নিকটস্থ খনি থেকে নেওয়া হতো। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ড সম্পূর্ণটাই ফাঁকা। সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে কয়লা উত্তোলনের কথা বলা হলেও বিষয়টি খুব একটা নিশ্চিত নয়। কোলইয়র্ড ফাঁকার বিষয়টি জানাজানি হলে জ্বালানী মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন আলামত পাওয়া যায়নি।


রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েছে দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরাও। এই মৌসুমের অত্র এলাকার ধান আবাদ বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না হলে চাষিরা স্যালো, ডিপ ও অন্যান্য উৎস ব্যবহারের কথা ভাবেন। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুতের এই অবস্থায় তাও করতে পারছেন না কৃষকরা।


জানা যায়, গত মে মাসের পুরোটাই কয়লা শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকে। আর গত ১৬ জুন থেকে খনির নতুন ফেইজ নির্মাণের জন্য ভূ-অভন্তর থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।


তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী আবদুল হাকিম জানান, গত জুন মাসে খনি কর্তৃপক্ষের কাছে সে সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল এর কোনো প্রভাব নিকটস্থ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উদপাদনের ক্ষেত্রে পড়বে কিনা। সেসময় তারা সাফ জানিয়েছিলেন কখনই না। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, যে পরিমাণ কয়লা কোলইয়র্ডে উদ্বৃত্ত থাকার কথা তা নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেস্কোর রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেন জানান, কিছুই করার নেই। ৮ জেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা ৬৫০ মেগাওয়াট, যার ৫২৫ মেগাওয়াট বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসতো। এখন কয়লার অভাবে কেন্দ্রটি বন্ধ।


উল্লেখ হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা থাকার কথা ছিল খনির কোল ইয়র্ডে। যার কোনো হদিস নেই। কয়লা গায়েবের ঘটনা জানাজানি হলে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলাও দায়ে করা হয়। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন।

রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

admin August 13, 2018

রংপুর: ঢাকায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র তানভির আহমেদ জিয়নের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে অকে বিক্ষুব্ধ রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিয়নের মৃত্যুর সাথে জড়িত চালক ও হেলপারের ফাঁসিসহ ৪ দফা দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকে রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে, চেষ্টা করে সড়ক অবরোধ করার। ছাত্র-ছাত্রীরা সকাল পৌনে ৯ টায় স্কুল থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ নিয়ে সেনপাড়া রোড দিয়ে জীবনবীমা ভবনের সামনে নগরীর প্রধান সড়কে অবরোধ করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিপুল পরিমাণ পুলিশ। Md-Tanvir-Ahmed-Jion


এসময় বিপুল পরিমাণ পুলিশ তাদেরকে নিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা স্কুলে প্রবেশ করেনি। শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে এক পর্যায়ে ছুটে আসেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন। শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করলে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বন্দি অবস্থাতেই বিক্ষোভ করতে থাকে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ সামলাতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে এনে মানববন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়।




[caption id="attachment_1024" align="alignnone" width="800"]Rangpur Students Human Chain (2) ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট টু নো’, ‘তোমরা ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, যেখানেই অন্যায় অবিচার দেখবে-সেখানেই চরম আঘাত হানবে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই- যানবাহনের চাকার নিচে গণতন্ত্র নাই’- এ ধরনের শত শত লেখা সাদাকাগজ হাতে নিয়ে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা।[/caption]

বেলা সাড়ে ১২টায় স্কুলের প্রধান ফটক খুলে দিলে কড়া পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীরা বের হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় দুই পাশে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা এসময় জিয়ন হত্যাকারীদের ফাঁসি, কলেজের রাস্তায় দুই পাশে স্পিড ব্রেকার, ওভার ব্রিজ নির্মাণ এবং কলেজের রাস্তায় সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভারি যানবাহন চলাচল না করার দাবি জানায়।


‘অ্যাম আই দ্যা নেক্সট?’ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো দশম শ্রেণীর ছাত্রী জাফরিন শেখ জানায়, বাস-ট্রাক আর কত জিয়নকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিবে। আমরা এটা মানবো না। এটা হতে দিবো না। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র প্রান্ত বলে, আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়। আমরা আর লাশের পর লাশ চাই না। জিয়নকে যারা বাস চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের ফাঁসি দিতে হবে। ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট নো’- প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সাদাফ বলে, আমার প্রশ্নের উত্তর চাই।


মানবন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু হাসান মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ (এ সার্কেল)। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, সহপাঠী জিয়ন নিহতের ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে গেছি। এরপর তারা মানববন্ধন করে বাসায় বাসায় ফিরে গেছে। কোনো বিশৃংখলা তৈরি হয়নি। ইতোমধ্যেই আমরা বাসের চালক ও ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন জানান, জিয়নের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা হত্যকারীদের ফাঁসি এবং বিভিন্ন দাবি প্রশাসনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠার কারণে স্কুল ছুটি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three