পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে গরু নিয়ে রয়েছে রাজনীতি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গরুকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হয়। সংখ্যাগুরু হিন্দুরা গো-হত্যাকে চরম অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। মূলত এরই প্রভাবে বাংলাদেশে গরু রপ্তানিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে রপ্তানি না করেও বিশ্বে গরুর গোস্ত রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে দেশটি।
মার্কিন এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন গরুর গোস্ত রপ্তানি করে। ২ মিলিয়ন টন রফতানি করে দ্বিতীয়স্থানে ছিল ব্রাজিল। তালিকায় তিন নম্বরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের পরিমাণ দেড় মিলিয়ন টন। আর তিন দেশ মোট গরুর গোস্ত রপ্তানি করছে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ভারত একাই সাড়ে ২৩ শতাংশ রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশে গরু না পাঠিয়েই তারা গোস্ত রপ্তানিতে এই অবস্থান ধরে রেখেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে কোরবানির পশু হিসেবে ভারতীয় গরুর উপর নির্ভরতা ছিল। কিন্তু ভারত সরকার হঠাৎ বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সাময়িকভাবে কোরবানির বাজারে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। সাধারণ বাজারেও বেড়ে যায় গরুর গোস্তের দাম। এ কারণে বেড়ে যায় দেশীয় গরুর চাহিদা। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত কার্যত বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কয়েক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ এখন গরু উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। এর কারণ হচ্ছে দেশীয় গরুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এমনিতেও দেশীয় গরুর গোস্তের স্বাদ ও গুণগত মানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল আগে থেকেই। ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হওয়ায় ঘরে ঘরে গরু পালন হচ্ছে এবং সেই সাথে খামারীর সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে বর্তমানে ৫ লাখ ২২ হাজার খামারী তৈরি হয়েছে, যারা গরু, ছাগলসহ সব ধরনের গবাদি পশু লালন- পালন করে থাকে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, সব মিলিয়ে দেশে এবার কোরবানি উপযোগী ১ কোটি ১৬ লাখ পশু উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০/৪৫ লাখই গরু।
তবে বাংলাদেশ প্রাণীজ মাংস উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করলেও এদেশের খামারীরা এখনও লাভজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি। তাই এই পেশাটি এখনও একটি স্থিতিশীল পেশায় রূপ নিতে পারেনি। এর পেছনে দুটো প্রধান কারণ রয়েছে। একটি হচ্ছে, ভারত বৈধভাবে গরু রপ্তানি না করলেও চোরাই পথে কিছু গরু ঠিকই বাংলাদেশে আসছে। ইদ বাজারে হঠাৎ ভারতীয় গরুর উপস্থিতি দেশীয় গরুর বাজারে দামের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। দ্বিতীয়ত, দেশে পশুখাদ্যের উচ্চমূল্য। পশু খাদ্যের সংকট হোক অথবা খাদ্য বিক্রেতাদের কারসাজিই হোক, উচ্চমূল্যের কারণে পশু পালনের ক্ষেত্রে খামারীদেরকে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় মূল্য না পাওয়ায় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পশুপালনকে বড় পরিসরে পেশা বাছাই করার ধারণাটা এদেশে নতুন। এক্ষেত্রে খামারীদের অভিজ্ঞতা ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও কৃষি মন্ত্রণালয় তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে পশুখাদ্যের উচ্চমূল্য রোধে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। খামারীদের সমস্যা দূর করে তাদেরকে লাভজনক অবস্থানে পৌঁছে দিতে পারলে আশা করা যায় এদেশে পশু উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট বিপ্লব ঘটে যাবে। সেই সাথে বাজারে গরুর গোস্তের মূল্যেও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
বোদায় বাগানের দেড় হাজার আম গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
আম গাছ উত্তরাঞ্চল বোদাপঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদায় এক কৃষকের আমবাগানের প্রায় দেড় হাজার আমগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাতের কোন একসময় দুর্বৃত্তরা ওই বাগানের গাছ কাটা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আমবাগানের মালিক সাগর ইসলাম বাদি হয়ে বোদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে, সাগর ইসলাম জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান করেছিলেন। গাছগুলো এক বছর আগে ওই জমিতে রোপণ করেছিলেন তিনি। মামলায় ওই জমির লিজ প্রদানকারী বিভুরঞ্জন সরকার, মনোরঞ্জন সরকার, প্রিয়রঞ্জন সরকার, মোকলেছার রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্তদের অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে পঞ্চগড় জেলা শহরের সাগর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বোদা উপজেলার বেংহাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নের দেবীডাঙ্গা এলাকায় করতোয়া নদীর চরে ৪২ বিঘা জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নেয়। এর মধ্যে নিয়ে ২১ বিঘা জমি দখল পায় সাগর। এরপর তিনি প্রায় ২০ লাখেরও বেশি টাকা খরচ করে ব্যাপক পরিচর্যার মাধ্যমে নদীর পতিত বালুচরকে আম বাগানে রূপ দেন। ২১ বিঘার মধ্যে ১৫ বিঘা জমিতে আমরুপালির বাগান গড়ে তোলেন। গত এক বছরের আমের চারাগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। এরই মধ্যে গত সোমবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত তার ১৫ বিঘা জমির আম বাগানের প্রায় দেড় হাজার গাছ কেটে দিয়ে চলে যায়। এতে ওই কৃষকের প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাগর ইসলামের অভিযোগ, ২০১৭ সালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বিভুরঞ্জন সরকার তার ভাই মনোরঞ্জন সরকার, প্রিয়রঞ্জন সরকারসহ ৮ জনের কাছ থেকে ৪২ বিঘা জমি বার্ষিক লক্ষাধিক টাকা হারে ১০ বছরের জন্য লিজ নেন তিনি। এর মধ্যে ২১ বিঘা জমি দখল পান। এক বছর আগে ১৫ বিঘা জমিতে আম বাগান করেন তিনি। কিন্ত কিছুদিন ধরে জমির মালিক পক্ষ তাকে জমি ছেড়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন এবং নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন। এই শত্রুতার জের ধরেই জমির মালিক পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাগানের মালিক সাগর ইসলাম বলেন, আমি খুব কষ্ট করে বালুচরে এই আম বাগান গড়ে তুলেছি। আম বাগান করার পর থেকেই বিভুরঞ্জন সরকারসহ তার ভাইয়েরা আমাকে বিভিন্নভাবে লিজ বাতিল করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমার মনে হয় তারাই তাদের লোকজন দিয়ে আমার আম বাগানের দেড় হাজারেরও বেশি গাছ কেটে ফেলেছে। ওই এলাকার মাহামুদুল হাসান জানান, এতগুলো আম গাছ কেটে কেউ কাউকে ক্ষতি করতে পারে এটা ধারণার বাইরে। যশোরের নার্সারি মালিক আব্দুল মোমিন জানান, এক বছর আগে এই আম গাছের চারাগুলো নিয়ে এসে আমিই রোপণ করে দেই। আগামী বছর এই বাগান থেকে ১৫ লাখ টাকারও বেশি আম বিক্রি করতে পারতো। এখন তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো।
বেংহাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, সাগর ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে খুব কষ্ট করে আম বাগানটি করেছে। সাগরের ও লিজ প্রদানকারীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলছিল। রাতের আঁধারে লিজ প্রদানকারী বিভুরঞ্জন সরকার ও তার ভাই মনোরঞ্জন সরকারসহ তাদের সহযোগিরা ওই বাগানের দেড় হাজার আম গাছ কেটে ফেলেছে বলে আমরা ধারণা করছি। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে লিজ প্রদানকারী বিভুরঞ্জন সরকারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকরা কিভাবে নিউজ করে তা দেখার নেয়ার হুমকি দেন। বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হারেস জানান, আমি ক্ষতিগ্রস্ত আমবাগান পরিদর্শন করেছি। এটি আসলেই অমানবিক কাজ। তবে কারা এই বাগানের গাছ কেটেছে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বোদা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, বোদা উপজেলার বেংহারি বনগ্রাম ইউনিয়নের নন্দরাম মণ্ডল মৌজার জেএল নং ৬৫ আওতাধীন ওই আমবাগানসহ প্রায় ৪শ’ বিঘা জমি বাংলাদেশ বন বিভাগের নামে খতিয়ানভুক্ত।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে রংপুর বিভাগে ইদ-উল-আযহা উদযাপন
ঈদ উদযাপন উত্তরাঞ্চল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রংপুর বিভাগরংপুর: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় রংপুর বিভাগে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ইদুল আযহা। ইদের নামাজ শেষে সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেন এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মাঠে-ময়দানে ও মসজিদে ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে পারস্পরিক কোলাকুলি ও কুশলবিনিময় করে। বেশিরভাগ ইদগাঁ মাঠে পুলিশ ও র্যাবের কঠোর নজরকারী রাখা হয়।
রংপুর বিভাগীয় শহরসহ বিভাগের ৮ জেলায় ৭ হাজার ৩৩২ টি স্থানে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত পবিত্র ইদুল আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে উপ-মহাদেশের সবচেয়ে বড় ইদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে। এখানে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ ইদের নামাজ আদায় করেন।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ইদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮ টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি, স্থানীয় মেয়রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ প্রায় বিশ হাজার মুসল্লি পবিত্র ইদুল আযহার নামাজ জামাতে আদায় করেন।
[caption id="attachment_1286" align="aligncenter" width="600"] নীলফামারী জেলার কেন্দ্রীয় ইদগাহে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন সংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।[/caption]
নামাজ শুরুর পূর্বে রংপুরসহ পুরো দেশবাসীকে ইদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এসময় তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি রংপুর সদর আসন থেকে নির্বাচন করব। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি আপনাদের ঋৃণ কোন দিনও শোধ করতে পারব না। সামনের নির্বাচনই হয়তো আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। এজন্য আমি আপনাদের পাশে থেকে কিছু করতে চাই। কোরবানির পশুর বর্জ্য সংরক্ষণ ও অপসারণে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিচ্ছনতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এছাড়াও শুভেচ্ছা জানান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রবিউল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সেক্রেটারী এস এম ইয়াছির, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাফিউল ইসলাম সাফি, প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
রংপুর পুলিশ লাইন ইদগাহ মাঠে সকাল আটটায় ইদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি ইদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে নগরবাসীকে ইদ শুভেচ্ছা জানান নবাগত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
এছাড়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইদগাহ মাঠে ইদের জামাতে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের লালমনিরহাটে ইদের নামাজ আদায় করেন। মিঠাপুকুরে আশিকুর রহমান এমপি, কাউনিয়ায় টিপু মুন্সি এমপি, বদরগঞ্জে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরি ডিউক এমপিসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাতে ইদের জামাতে অংশ নেন ।
সেফাত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার মামলা
জাতীয় মামলা সিফাত উল্লাহ সিফাত উল্ল্যাহ সেফাত উল্লাহ সেফাত উল্ল্যাহরংপুর এক্সপ্রেস: ফেসবুক ও ইউটিউবে নানা নেতবিাচক ও অশ্লীল মন্তব্যকারী সেফাত উল্ল্যাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জার্মান আওয়ামী লীগের এক নেতা। গত সোমবার জার্মানের বোন পুলিশ স্টেশনে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, অশ্লীল কথাবার্তা ছড়ানোয় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা বিরুদ্ধে মামলা করেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না। গত সোমবার জার্মান বোন পুলিশ স্টেশনে এই মামলাটি করেন তিনি।
বর্তমানে সাইবার জগতে বেশ আলোচিত-সমালোচিত-বিতর্কিত ব্যক্তির নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। এই সেফাত উল্ল্যাহ বাংলাদেশ ও সম-সাময়িক বিষয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আর অদ্ভুত, বেপরোয়া কথাবার্তা বলে থাকে ফেসবুক লাইভে। তার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এছাড়াও সেফাত সরকারের মন্ত্রী, এমপি, নেতা, বিরোধী দলীয় নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলে।
মেহেদী হাসান মুন্না জানান, যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে গালাগালি করছে তার ছবি দিয়ে বাঙালিরা ট্রল করে মজা নিচ্ছে। ইউরোপে বসে একজন ব্যক্তি এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে, দেশটিতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছে। তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই বিষয়ে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি এবং ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে মামলার ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে জানান।
মুন্না বলেন, বর্তমানে সিফাত উল্লাহ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করেছে তার পরিবার। কিন্তু আমি বিদেশের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন এই ব্যক্তি তেমন কোনো রোগে আক্রান্ত নয়। কোনো পাগল এতো পুরনো ইতিহাস মনে রাখতে পারে না। সে এসব পরিকল্পিতভাবে করছে বলেও জানিয়েছেন ডাক্তারগণ।
কোরবানির বর্জ্য যথাস্থানে ফেলুন
অপিনিয়ন কোরবানির বর্জ্যপ্রতি বছর কোরবানিতে পশুর বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে পরিবেশ দুষিত হয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য নগরীগুলোতে যত্রতত্র পশু কোরবানি দেওয়ার কারণে দুই-তিন যাবত দুর্গন্ধ ও রাস্তায় ময়লা আবর্জনার রাজত্ব বিরাজ করে। এ নিয়ে সিটি করপোশন কর্মীদের গলদঘর্ম হতে হয়। নির্ধারিত সময়ে নগরীগুলো বর্জমুক্ত করাই যেন করপোরেশনগুলোর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা লোকবল সংকটের সেই চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হয়। ফলে নগরবাসীদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে পশু কোরবানির ক্ষেত্রে অবশ্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করা হয় এবং একটি নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য জমা হওয়ার কারণে সেগুলো দ্রুততার সাথেই সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। কিন্তু আমাদের দেশে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হলেও এখন পর্যন্ত তা শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করায় অনাগ্রহের পেছনে সুযোগ সুবিধার অভাবের পাশাপাশি অনভ্যস্ততা একটি বড় ব্যাপার। আমাদের দেশের লোকজন সাধারণত বাড়ির সামনে, গলিতে, রাস্তায় পশু কোরবানি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এতে পশুর গোস্ত আনা-নেওয়ায় সুবিধা ও পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এছাড়া পশুর গোস্ত কাটার কাজে পরিবারের সকলকেই কাছে পাওয়া যায়। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন স্থান নির্ধারণ করে দিলেও পশু জবাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি রয়েছে। পানি সমস্যা ও পরিবেশগত দিক ভালো না হওয়ায় এসব স্থানে যেতে আগ্রহ দেখান না সাধারণ মানুষ।
তবে নগরীগুলোর পরিবেশ পরিষ্কার রাখার স্বার্থে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন। এ জন্য পবিত্র ইদুল আযহার ছয় দিন আগেই জবাইয়ের স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে মোট দুই হাজার ৯৩৬টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২০, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪৩, রাজশাহী সিটিতে ২১০, চট্টগ্রাম সিটিতে ৩১৪, খুলনা সিটিতে ১৬৩, বরিশাল সিটিতে ১৩৫, সিলেট সিটিতে ৩৬, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ১৮৩, কুমিল্লা সিটিতে ১৯০, রংপুর সিটিতে ৯৯ ও গাজীপুর সিটিতে ৪৪৩টি স্থান রয়েছে।
যথাস্থানে কোরবানি করানোর ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্য সিটি করপোরেশনগুলোকে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। এ জন্য এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তাগুলোর প্রচার আরো বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরও ভ‚মিকা রয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলোতে যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এটা করা গেলে দেখা যাবে সিটি করপোরেশনগুলোর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নগরীগুলোকে পরিষ্কার করতে গিয়ে যে পরিমাণে গলদঘর্ম হন তার অনেকটাই লাঘব হয়ে যাবে। শতভাগ পশু নির্ধারিত স্থানে কোরবানি নিশ্চিত করার আগে পর্যন্ত যেহেতু যত্রতত্র পশু জবাই হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যার যার পশুর বর্জ্য অলি-গলিতে জমা না করে করে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে কর্তব্যরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেগুলো সহজেই ট্রাকে করে সরিয়ে নিতে পারেন। সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এটুকু সহযোগিতা করা আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ইদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। আমাদের বসবাসের পরিবেশ হোক আরো সুন্দর। সবাইকে ইদুল আযহার শুভেচ্ছা।
আজ পবিত্র ইদ-উল-আযহা
ইদ ইদ-উল-আযহা এক্সক্লুসিভ জাতীয়রংপুর এক্সপ্রেস: পিতা ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর রাহে ত্যাগ আর পিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে পুত্র ইসমাইলের (আ) জীবন উৎসর্গের মহিমান্বিত ঘটনা থেকে পবিত্র বায়তুল্লাহয় পশু কোরবানি এবং হজের সূচনা হয়। আর জিলহজ মাসের ১০ তম দিনটি পবিত্র ইদুল আযহা হিসেবে ঘোষিত হয়। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এ দিনটিতে সামর্থবান মুসলিমগণ আরাফাতের ময়দানে মিলিত হন, যা রোজ হাশরে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়ার একটি প্রতীকি রূপ। সেখানে তারা হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতাসহ পশু কোরবানি করেন। ইসলামে বৈরাগ্য না থাকলেও কেবল দু’টো স্থানে তা অনুমোদিত। এর একটি জেহাদের ময়দানে ও অপরটি পবিত্র হজে। হজে ঈমানদার ব্যক্তিগণ সমস্ত দুনিয়াবী কর্মকাণ্ড ও চিন্তা-ভাবনা পরিত্যাগ করে সেলাইবিহীন অনাড়ম্বর পোশাকে আল্লাহর ঘরে হাজিরা দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজে হাজির হওয়া হাজীদের সাথে সংহতি প্রকাশার্থে হজে অনুপস্থিত ব্যক্তিরাও পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
আরবি মাস চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় বিধায় মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর আমাদের দেশে আরবি মাসের তারিখ পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে গতকাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জিলহজ মাসের ১০তম দিন হলেও আমাদের দেশে দিনটি পালিত হচ্ছে আজ। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশেরও বেশ কিছু জায়গায় গতকাল ইদ উদযাপিত হয়।
পবিত্র ইদুল আযহা উপলক্ষে দূর-দূরান্তে থাকা মানুষজন আপনজনদের সাথে মিলিত হওয়ার আশায় কয়েক দিন ধরেই রাস্তা-ঘাটের নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ঘরে ফেরায় ব্যস্ত ছিলেন। আজ যে যেখানেই থাকুক, সকলেই নিকটস্থ ইদগাহ বা মসজিদে ইদুল আযহার দুই রাকাত সালাহ কায়েম করবেন। খতিব খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে সালাহ কায়েম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক, সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনগণ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ইদগায় ইদের নামাজ আদায় করবেন।
[জানুন: রংপুরের প্রধান প্রধান ইদের জামাত কখন কোথায়]
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বুধবার গণভবনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে বেলা ১১টায় বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। অন্যদিকে দেশবাসীকে ইদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ইদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ইদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। ইদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত মানের বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। এদিকে রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ইদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইদের জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।
রংপুরে ইদের প্রধান প্রধান জামাত কখন কোথায়
ইদ উত্তরাঞ্চল প্রধান প্রধান জামাত রংপুররংপুর: আজ বুধবার সারাদেশে উৎযাপিত হবে মুসলমানদের বৃহত্তম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদ-উল-আযহা। এ উপলক্ষে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে ইদ উৎযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হবে এ দিনটি।
বিভাগীয় শহর রংপুরে ইদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায় কালেক্টরেট ইদগাহে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এখানে নামাজ আদায় করবেন বলে জানা গেছে। তবে বৃষ্টি হলে রংপুরের ইদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কোর্ট জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৯ টায় এবং ২য় জামাত হবে সোয়া ৯ টায়।
পুলিশ লাইন্স মাঠ, মুন্সিপাড়া ইদগাহ, নিউআদর্শ পাড়া ইদগাহ ও মুলাটোল আলীয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৮ টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কেরামতিয়া জামে মসজিদে ৯ টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
শালবন মিস্ত্রিপাড়া জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, মণ্ডল পাড়া বড় ইদগাহ ও দামোদরপুর বড় ময়দানে , রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ইদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় এবং সাতমাথা জামে মসজিদ, ধাপ ষ্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ, বাবুখাঁ ইদগাহ মাঠ ও খটখটিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯ টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রংপুর সদর উপজেলা ও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ ইদগাহে এবং পীরগাছা কারবালা মাঠ, তারাগঞ্জ চৌপথী ইদগাহ ও গঙ্গাচড়ার পাইকান জামে মসজিদে সকাল ৯ টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ইদগাহ, গঙ্গাচড়া ও পীরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ইদগাহে সকাল সাড়ে ৯ টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বদরগঞ্জের চান্দামারী কারামতিয়া ইদগাহে ১০টায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্রেতার মারধরে দোকানি নিহত
দোকানি নিহত মারধর সারাদেশসারাদেশ: লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্রেতার মারধরে নবী উল্যা (৩৬) নামে এক মুদি দোকানির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মুকতারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নবী উল্যা একই এলাকার মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, উপজেলার মুকতারামপুর গ্রামের নবী উল্যার কাছ থেকে সম্প্রতি শাহ আলম মুদি সওদা বাকি নেয়। শাহ আলম একই গ্রামের শহিদ উল্যার ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে ফের তিনি ওই দোকানে বাকি সওদা নিতে আসেন। এসময় পূর্বের পাওনা টাকা চাওয়াতে শাহ আলম দোকানির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় তাদের দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বুকে ঘুষি লেগে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে দোকানি মাটিতে লুটে পড়েন। এসময় দোকানে থাকা তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম এগিয়ে এলে তাকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন নবী উল্যাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কত টাকা পাওনা ছিল তা জানা যায় নি।।
নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার স্বামীকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। এসময় আমাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় আমি বিচার চাই।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। দ্রুত তার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, মরহেদের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে তেঁতুলিয়ায় আ.লীগের মানববন্ধন
উত্তরাঞ্চল গ্রেনেড হামলা তেঁতুলিয়া মানববন্ধনতেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মানববন্ধন করেছে আওয়ামী যুবলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার (২১ আগষ্ট) সন্ধায় উপজেলার ভজনপুর এলাকায় মহাসড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ জানায় এবং গ্রেনেড হামলায় জড়িতের বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকরের দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ডি ফজলু, সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আলীমুল রাজী, তেঁতুলিয়া উপজেলা যুবলীগ সদস্য নাছির উদ্দীন লিটন, রেজাউল, প্রদীপ, বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সলাইমান বাদশা, ভজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আফসার আলী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাইফুদ্দিন মানিক প্রমূখ।
বালিয়াডাঙ্গী অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে মামুন-ইলিয়াস
অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন উত্তরাঞ্চল বালিয়াডাঙ্গীবালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও: সাংবাদিক আল মামুন জীবনকে সভাপতি ও ইলিয়াস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যের বালিয়াডাঙ্গী অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মার্কেটে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দেন ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম (বাংলানিউজ২৪ ডটকম) ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ (বিডিনিউজ২৪ ডটকম)। এ সময় ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের (প্রিয়ডটকম) ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল আওয়াল (শিক্ষার কন্ঠস্বর) উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আল মামুন জীবনকে সভাপতি (বিডিমর্নিং ডটকম) ও ইলিয়াস আলী (আমাদের সকাল ২৪ ডটকম) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সাধারণ সম্পাদক আজাদ আল শামস (বালিয়াডাঙ্গী টোয়েন্টিফোর ডটকম), সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (ক্রাইমভিশন ২৪ ডটকম), দপ্তর সম্পাদক সুজন শর্মা(সংবাদ গ্যালারী ডটকম), অর্থ সম্পাদক আব্দুস সবুর (একটি বাংলাদেশ ডটকম)।
নব গঠিত এ কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, সামানুর ইসলাম (আইপি রিপোর্ট২৪ ডটকম), নজরুল ইসলাম (ঢাকার ডাক ডটকম) ও মকবুল হোসেন (বিজয় নিউজ ২৪ ডটকম)। ঠাকুরগাঁও থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশকগণ এ সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
অবশেষে ১ অক্টোবর পর্যন্ত নওশাবার জামিন মঞ্জুর
জামিন মঞ্জুর নওশাবা আহমেদ বিনোদনবিনোদন ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ইন্টারনেটে গুজব ছড়ানোর দায়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদের ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার ছুটির দিনের জরুরি আদালতের বিচারক ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। তার আইনজীবী কাওসার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট দুই দিনের এবং ৫ আগস্ট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট আদালতে পাঠানোর পর নওশাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালতে সোপর্দ করার আগেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর ঘাতক জাবালে নূর বাসের চালকের ফাঁসি এবং নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে টানা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে। একাধিক স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে ৪ আগস্ট বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার খবর লাইভে জানান কাজী নওশাবা আহমেদ। ওইদিন রাতেই তাকে আটক করা হয় এবং পরদিন তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার দেখানো হয় নওশাবাকে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানচলাচলে ধীরগতি
উত্তরবঙ্গগামী জাতীয় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধীরগতি যানচলাচলটাঙ্গাইল: ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশে বৃষ্টির পানির কারণে যানজটের ফলে যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই এ সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গাড়ির বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো চলছে ধীরগতিতে। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে খণ্ড যানজটেরও।
সোমবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে টোল আদায় কিছুটা সময় বন্ধ থাকায় সেতু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর এবং এলেঙ্গা থেকে কালিহাতী রোডে যানজট দেখা দেয়। দুপুরে করটিয়া হাটবাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া গাজীপুরের চন্দ্রা হতে মির্জাপুর পর্যন্ত থেমে থেমে যান চলাচল করছে।
টাঙ্গাইল অংশের মির্জাপুর, বাঐখোলা, করাতিপাড়া, ভাককুড়া, তারটিয়া, বারনা বাইপাস, এলেঙ্গাসহ বেশ কয়েক জায়গায় যান আটকে রয়েছে। মূলত বৃষ্টির পানির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানায়। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে লক্ষ করা যায়, মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে ট্রাক ও বাসের ছাদে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আজিজুর রহিম তালুকদার বলেন, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় টোল আদায় কিছু সময় বন্ধ থাকায় যানজট ছিল। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় উত্তরবঙ্গগামী যানগুলো ধীর গতিতে চলছে।
চন্দ্র থেকে সিরাজগঞ্জগামী স্টারলিট পরিবহনের যাত্রী সাবিরুল ইসলাম বলেন, করটিয়া থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত যানজট রয়েছে। চন্দ্রা থেকে ঢাকামুখী যানগুলো বন্ধ করে দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানগুলো চার লেনেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গেছে। গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের ওসি একেএম কাউছার বলেন, আমার এলাকায় মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। পুলিশের ৭২৩ জন সদস্য ও ২০০ জন আনসার সদস্য নিরলসভাবে কাজ করছেন।
দিনাজপুর ও লালমনিরহাটে আগাম ইদ উদযাপন
আগাম ইদ উদযাপন উত্তরাঞ্চল দিনাজপুর লালমনিরহাটদিনাজপুর ও লালমনিরহাট: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি এলাকায় পালন করা হয়েছে পবিত্র ইদুল আযহা। এসব এলাকায় সকালে ইদুল আজহার নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়।
দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ তিনটি উপজেলায় আজ মঙ্গলবার ইদুল আযহার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামের কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ইদুল আযহার নামাজ আদায় করেন।
সকাল সোয়া ৮টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ইদুল আযহার নামাজ আদায় করেন শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামাতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহন ১৫০-১৬০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামাতে ইমামতি করেন সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি কওমি মাদরাসার ছাত্র।
এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহ জংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামের কিছু মানুষ আজ মঙ্গলবার ইদুল আযহার নামাজ আদায় করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ইদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ।
অপরদিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে ইদু আযহার নামাজ ও পশু কুরবানি দিয়েছেন মুসল্লিরা। সকাল ৯ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়ায় ইদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইদু আযহার নামাজ পরিচালনা করেন ওই মসজিদের খতিব মাওলানা ইমান আলী।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা মুন্সিপাড়ার মসজিদ ইদগাহ মাঠে এসে ইদের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ইদুল ফিতর ও ইদুল আযহা উৎযাপন করেন আসছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার বগুড়াপাড়া গ্রামের নওশের আলী বলেন, বাংলাদেশের নিয়মে ইদ উৎসব পালন করলেও গ্রামবাসীর দেখাদেখি এ বছর তিনিও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইদুল আযহা নামাজ আদায় করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সিপাড়ার ইদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি।
তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর ইসলাম বলেন,বংশানুক্রমে ইউনিয়নের মুন্সি পাড়া গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ইদ পালন করে আসছেন।
ভোগান্তি ছাড়াই ইদযাত্রা করছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ
ইদ যাত্রা ইদযাত্রা ঈদ যাত্রা ঈদযাত্রা উত্তরাঞ্চল উত্তরাঞ্চলের মানুষ এক্সক্লুসিভ জাতীয় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ভোগান্তি ছাড়া যানজট স্বস্তি স্বস্তির ইদযাত্রারংপুর এক্সপ্রেস: এবার ইদ যাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছেন উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই চলছে পশু, পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। গতকাল সোমবার বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সরেজমিনে এ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় স্বস্তির চিত্র দেখা গেছে। ইদ ঘনিয়ে আসায় ও সোমবার থেকে সকল প্রকার সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ গার্মেন্টস এর ছুটি হওয়ার ফলে বিকেল থেকে পরিবহনের চাপ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অনেক সময় স্বাভাবিকের চেয়েও ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর যাবৎ মহাসড়কে ৪ লেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। ফলে ইদ কিংবা স্বাভাবিক যাত্রায় প্রায় প্রতিদিনই যানজট এবং সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো সাধারণ যাত্রী ও গাড়ির স্টাফদের।
জানা গেছে, ইদ উপলক্ষে এবার মহাসড়কে ৭২৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ২০০ জন আনসার সদস্য কাজ করছেন। বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্টসহ বিশেষ টহল জোড়দার রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক দিনগুলোতে প্রত্যহ ১৪ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন সেতু পাড়াপাড় হতো। আর ইদ উপলক্ষে ২২ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন পাড়াপাড় হচ্ছে। টোল আদায়েও সৃষ্টি হয়েছে রেকর্ড বলে জানায় সেতুর কর্মকর্তারা। জানা যায়, উত্তরবঙ্গসহ ২৩ টি জেলার মানুষ এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।
[নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪]
দিনাজপুরগামী এক বাস ড্রাইভার বলেন, মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে নির্দিষ্ট সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। বগুড়াগামী এক যাত্রী বলেন, অত্যন্ত ভালোভাবেই এ পর্যন্ত এসেছি। রাস্তা খুবই ভালো। মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই এবার বাড়ি ফিরতে পারবেন।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এবার ইদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। চারলেন প্রকল্প কর্মকর্তা জিকরুল হাসান বলেন জানান, এলেঙ্গা থেকে ভোগড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার রাস্তার চারলেনের কাজ শেষ ও চালু হয়েছে। এতে করে পূর্বের থেকে এবার ইদে মানুষ দুর্ভোগ ছাড়াই বাড়ি ফিরবেন বলে তিনিও আশা প্রকাশ করেন।
[চামড়ার দাম কমলে, কমবে কওমি মাদ্রাসার আয়]
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, গত রোববার রাতে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে হাতিয়া এলাকায় দু'টি দুর্ঘটনার কারণে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও পরে সকালে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবার ইদ যাত্রায় মহাসড়কে যানজট নেই কিন্তু গাড়ির চাপ রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বেপরোয়া গতি: নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪
গাইবান্ধা জাতীয় নরসিংদী বাস-লেগুনার সংঘর্ষ বেপরোয়া গতি সারাদেশরংপুর এক্সপ্রেস: বেপরোয়া গতির কারণে নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাত যাত্রী। সোমবার রাত ৯ টার দিকে দিকে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দরিকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মহেশপুর নামক স্থানে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস পলাশবাড়ী অভিমুখী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে চালকসহ ৪ জন নিহত হয়। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, বাস ও লেগুনা দুটি দ্রুতগতিতে চলছিল। এখানে কোনো জ্যাম ছিলনা। ওভারস্পিডের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ থেকে 'বস' পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল। গাড়িটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দরিকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভৈরবগামী একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৮ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলাধীন আজমেরীগঞ্জের আবুল হোসেন (৩০), আবদুল মিয়া (২৪), মোবারক মিয়া (১৮), সুজন মিয়া (২২), তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (২০), আবুল হোসেন (৫৫), শামীম (১৮) ও রাকিবুল (৩০)।
তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহ একজন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে মারা যান। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি তৈফিকুর ইসলাম জানান, বাসটির চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী ‘জেনিন পরিবহন’ নামে একটি দ্রুত গতির বাস মহেশপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ২ যাত্রী মারা যায়, আহত হয় ২ অটোরিকশা যাত্রী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মারা যায়।
নিহতরা হলেন-আব্দুল হান্নান (৫০) ও তার ছেলে আব্দুর রহমান (১৫), চালক সুমন, আরজিনা বেগম (২৬)। নিহত আব্দুল হান্নানের অপর ছেলে মো. আব্দুল্লাহকে (১০) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আখতারুজ্জামান আরও জানান, নিহতদের লাশ ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় বাসটি আটক করা হলেও ঘাতক বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রীর
অঙ্গীকার ইমরান খান নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব সাদাসিধে জীবনযাপনআন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির বিলাসবহুল জীবন-যাপনকে ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা আখ্যা দিয়ে সাধারণ ও সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই তিন বেডরুমের আবাসিক বাড়িতে উঠবেন তিনি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িটি ব্যবহার করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ইমরান খান বলেছেন, প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চান তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরের দিন গতকাল জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতায় একথা বলেন ইমরান খান। গতকাল রবিবার রাতে ঘণ্টাখানেকের ওই বক্তৃতায় ভারত বা অন্য কোনও দেশের নাম উচ্চারণ না করে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি সম্পর্কের উন্নতি চাই। তা না-হলে পাকিস্তানে শান্তি আসবে না।’
দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট, ২৮ লাখ কোটি রুপি দেনার বোঝার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করে ইমরান আবার বলেছেন, অর্থের অপচয় রুখবেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৫২৪ জন পরিচারক, ৮০টা গাড়ি, তার মধ্যে ৩৩ টা বুলেটপ্রুফ। আমি দু’জন সাহায্যকারীকে রাখব, দু’টো বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে। বাকি গাড়িগুলো নিলাম করে টাকাটা সরকারি কোষাগারে দিয়ে দেব। আমার কোনও ব্যবসা নেই। আমার জীবনযাত্রাও সাদামাটা।
দেশটির তহবিল ঘাটতি মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন ইমরান। জঙ্গিদের হুমকির মুখে থাকা পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ পদক্ষেপকে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষকে আমি বলতে চাই যে, আমি সাদাসিধে জীবন যাপন করবো। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ইমরান খান।
প্রবাসী পাকিস্তানিদের নিজের দেশে বিনিয়োগ ও ধনীদের নিয়ম মেনে কর দেয়ারও আহ্বান জানান ইমরান। ব্যক্তি পর্যায়ে কর ফাঁকির জন্য পাকিস্তান বিখ্যাত, দেশটির মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম লোক নিয়মিত আয়কর দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পিটিআই প্রধান বলেন, কর দেয়া আপনাদের দায়িত্ব। মনে করুন এটি জিহাদ, আপনার দেয়া কর দেশের উন্নতিতে ব্যয় হবে।
গতকাল ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তার দল। এদের মধ্যে ১২ জনই পারভেজ় মুশাররফের জমানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ সোমবার সকালে ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে ইমরানের ২১ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার মধ্যে ১৬ জন শপথ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন মনোনীত মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে আসবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
চামড়ার দাম কমলে, কমবে কওমি মাদ্রাসার আয়
এক্সক্লুসিভ কওমি মাদ্রাসা জাতীয়রংপুর এক্সপ্রেস: পশুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কমানোর কারনে কওমি মাদ্রাসাগুলোর আয় কমবে, আর এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করছে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সংগঠন কওমি ফোরাম। ফোরামের সমন্বয়ক মু. সাখাওয়াত হুসাইন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, চামড়ার দাম কমার কারণে অনেক কওমি মাদ্রাসার আয় কমে যাবে, যার ফলে সেসব মাদ্রাসায় পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের সাদকার পাশাপাশি যাকাত, ফিতরা ও কোরবানির সময় দান করা চামড়া বিক্রির আয়ে ওপরই নির্ভরশীল অধিকাংশ মাদ্রাসার পরিচালনা ব্যয়। প্রতি বছর কুরবানির পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা এই চামড়া সংগ্রহ করেন। অথবা অনেকে নিজ দায়িত্বে তা মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। চামড়ার দাম কমানোর ফলে ওইসব মাদ্রাসার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে যাবে।
তিনি বলছিলেন, এমন কিছু মাদ্রাসা আছে যারা দানের ওপর পুরো নির্ভরশীল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে তাদের । দাম প্রতিবছর কমতে থাকায় এরই মধ্যে বহু ক্ষুদ্র মাদ্রাসা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতি বছরই দেশে চামড়ার দাম সরকারিভাবে কমানো হয়েছে।
কওমি ফোরাম বলছে, ২০১৩ সালে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণ যুক্ত গরুর চামড়া ৯০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনা হয়। ঢাকার বাইরে তা ছিল ৮০ টাকা পর্যন্ত। তা প্রতি বছর কমানো হচ্ছে। এবছর তা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুটে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা।
কওমি ফোরাম আরও বলছে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত মূল্যের চেয়ে দেশের বাজারে সবসময় বেশি দামে বিক্রি হয়। কিন্তু কয়েক বছর সরকার ঘোষিত মূল্যে তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাদের দাবি এর কারণ হল চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। অন্যদিকে চামড়া পাচার হচ্ছে বলেও তারা দাবি করছেন।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই কাঁচা চামড়ার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, পশুর চামড়ার দাম কমানোর মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া শিল্প পড়তির দিকে। তাই স্থানীয় বাজারে যদি বেশি দামে আমরা চামড়া কিনি তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বেশি হবে এবং বিক্রি কমে যাবে। বিবিসি বাংলা।
ভাড়া বেশি নেয়ায় টিকিটমাস্টাদের বেঁধে থানায় নিতে বললেন ডিএমপি কমিশনার
জাতীয় ডিএমপি কমিশনাররংপুর এক্সপেস: ইদুল আযহা উপলক্ষে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় যাচ্ছে ঢাকাবাসী। কিন্তু এই যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে প্রায় সব জায়গায়। যেন ইদ এলেই গাড়ির স্টাফদের মোক্ষম সুযোগ এসে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ২০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিছুই করার নেই তাদের। বাধ্য হয়ে বাড়ি যেতেই হবে।
এদিকে আজ সোমবার ঢাকার গাবতলীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সময় কয়েক টিকিটমাস্টারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কোন রকম ঝুট ঝামেলা ছাড়ায় যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পারছেন কিনা তা দেখতে গাবতলীতে যান ডিএনপি কমিশনার। এসময় অতিরিক্ত বাস ভাড়ার অভিযোগ জানায় যাত্রীরা । যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগের পরে সরেজমিনে কাউন্টারে যেয়ে দেখতে পান অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিষয়ে স্বচক্ষে দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
একযাত্রী অভিযোগ করেন, ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত ভাড়া ভাড়া হওয়ার কথা ২৭৮ টাকা। এরপরেই টিকিট কাউন্টারে যেয়ে জিজ্ঞাসা করে বলেন, 'আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা আমি জানি ভাড়া ২৭৮ টাকা কিন্তু ৫০০ টাকা নিচ্ছেন কেন! এরপর টিকিট মাস্টার বলেন, বিআরটিএ চার্ট দিয়েছে স্যার। তখন ডিএমপি কমিশনার চার্ট দেখতে চান।
চার্ট দেখে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'চার্টে আছে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা ৩৫০ টাকা, তাহলে ৫০০ টাকা কেন নিলে' এরপর টিকিট মাস্টার অজুহাত খাঁড়া করার চেষ্টা করেন । তখন ডিএনপি কমিশনার বলেন '৫০০ টাকা কেন নিলা বল। এইরকম কয়টা টিকিট কাটছো তোমরা। মেরে একাবারে হাড় গুঁড়ো করে দিবো। এই টাকা ফেরত দে। এই মাসুদ এদের সবগুলাকে বেঁধে থানায় নিয়ে যাও। এই বাসের মালিক কে। মালিকের নাম কি!' তখন টিকিটি মাস্টার বলেন, 'মালিকের নাম আশরাফ আলী' এরপর ডিএনপি কমিশনার বলেন , 'বাবা আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা, আমি চিনি। ভাড়া কেন বেশি নিচ্ছ। সব টাকা ফেরত দাও। আর ফেরত না নিলে আমারে জানাও। বাকি টাকা ফেরত দাও।'
পরে পুলিশ এসে ওই টিকিট মাস্টারকে থানায় নিয়ে যায়।