রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

admin August 13, 2018

রংপুর: ঢাকায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র তানভির আহমেদ জিয়নের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে অকে বিক্ষুব্ধ রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিয়নের মৃত্যুর সাথে জড়িত চালক ও হেলপারের ফাঁসিসহ ৪ দফা দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকে রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে, চেষ্টা করে সড়ক অবরোধ করার। ছাত্র-ছাত্রীরা সকাল পৌনে ৯ টায় স্কুল থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ নিয়ে সেনপাড়া রোড দিয়ে জীবনবীমা ভবনের সামনে নগরীর প্রধান সড়কে অবরোধ করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিপুল পরিমাণ পুলিশ। Md-Tanvir-Ahmed-Jion


এসময় বিপুল পরিমাণ পুলিশ তাদেরকে নিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা স্কুলে প্রবেশ করেনি। শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে এক পর্যায়ে ছুটে আসেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন। শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করলে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বন্দি অবস্থাতেই বিক্ষোভ করতে থাকে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ সামলাতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে এনে মানববন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়।




[caption id="attachment_1024" align="alignnone" width="800"]Rangpur Students Human Chain (2) ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট টু নো’, ‘তোমরা ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, যেখানেই অন্যায় অবিচার দেখবে-সেখানেই চরম আঘাত হানবে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই- যানবাহনের চাকার নিচে গণতন্ত্র নাই’- এ ধরনের শত শত লেখা সাদাকাগজ হাতে নিয়ে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা।[/caption]

বেলা সাড়ে ১২টায় স্কুলের প্রধান ফটক খুলে দিলে কড়া পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীরা বের হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় দুই পাশে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা এসময় জিয়ন হত্যাকারীদের ফাঁসি, কলেজের রাস্তায় দুই পাশে স্পিড ব্রেকার, ওভার ব্রিজ নির্মাণ এবং কলেজের রাস্তায় সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভারি যানবাহন চলাচল না করার দাবি জানায়।


‘অ্যাম আই দ্যা নেক্সট?’ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো দশম শ্রেণীর ছাত্রী জাফরিন শেখ জানায়, বাস-ট্রাক আর কত জিয়নকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিবে। আমরা এটা মানবো না। এটা হতে দিবো না। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র প্রান্ত বলে, আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়। আমরা আর লাশের পর লাশ চাই না। জিয়নকে যারা বাস চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের ফাঁসি দিতে হবে। ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট নো’- প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সাদাফ বলে, আমার প্রশ্নের উত্তর চাই।


মানবন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু হাসান মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ (এ সার্কেল)। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, সহপাঠী জিয়ন নিহতের ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে গেছি। এরপর তারা মানববন্ধন করে বাসায় বাসায় ফিরে গেছে। কোনো বিশৃংখলা তৈরি হয়নি। ইতোমধ্যেই আমরা বাসের চালক ও ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন জানান, জিয়নের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা হত্যকারীদের ফাঁসি এবং বিভিন্ন দাবি প্রশাসনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠার কারণে স্কুল ছুটি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে।

গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

admin August 13, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: মিরপুরের একটি বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন আছে! এমন খবর নিয়ে গতমাসের শেষের দিকে একটি বাড়িতে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ২১ জুলাই সারাদিন খোঁড়াখুড়ির পরও মেলেনি কোনও গুপ্তধন-সোনা। জানা গিয়েছিল, ওই বাড়ির নিচে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে কোন এক ব্যক্তি স্বর্ণ-রৌপ্য বস্তায় পুড়ে চলে যান পাকিস্তানে। যা কোন এক মাধ্যমে জানতে পারেন টেকনাফের এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি জানিয়ে জিডি করেন থানায়। পরে প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। চলে খোঁড়াখুড়ির কাজ।


তবে এরই মধ্যে প্রথমে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারনে স্থগিত হয়ে যায় ওই বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজ। তবে জানা গেছে, খুব তারাতারি ওই বাড়িতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হবে। তারপর যদি কোন কিছুর সত্যতা পাওয়া যায় তবে পুনরায় খোঁড়াখুড়ির কাজ করা হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপালন করছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই বাড়ির দারোয়ান সুরুজ আলী জানান, গুপ্তধনের খবর শুনে এর আগে অনেক জায়গা থেকে মানুষ আসতো, বাড়ির সামনে ভিড় জমাতো। কিন্তু এখন আর কেউ আসে না।



[মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?]


কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির জিডির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গত ২১ জুলাই ঢাকার মিরপুর-১০ নং সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়। ২০ জন শ্রমিক ছয়ঘন্টা কাজ করার পরও কোনকিছুর সন্ধান মেলেনি সেদিন। পরে চার ফুট খোঁড়া হলে বাড়ির ভিত্তি দুর্বল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগে যন্ত্রপাতি দিয়ে বাড়ির ভূ-গর্ভ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানোর।


মো. তৈয়ব জিডিতে দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। তবে বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ওই বাড়িটিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হয় নি।


ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তারা বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কথা বলেছেন। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দক্ষ লোক ও যন্ত্র (জিপিআর স্ক্যানার) দিয়ে পরীক্ষা করা হবে ওই বাড়ির ভূগর্ভ। জানা যায়, যেকোন সময় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সিডিউল নিয়ে তারা ওই বাড়িতে আদৌ কোন গুপ্তধন আছে কিনা, পরীক্ষা করবে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম জানান, ওইসময় যা যা খোঁড়া হয়েছিল, ওইভাবেই রয়েছে। বর্তমানে বাসাটি পুলিশের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে।

রৌমারীতে শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি

রৌমারীতে শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি

admin August 13, 2018

রৌমারী, কুড়িগ্রাম: স্কুল ও বাড়ির লেখাপড়ার কঠোর শাসন, তীব্র প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য একটি শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাবাসীর। ইতোপুর্বে উপজেলা পরিষদের পাশে একটি মিনি শিশুপার্ক স্থাপন করা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং স্থানীয়দের অযত্নে তা নষ্ট হয়। পরবর্তীতে ওইস্থানে একটি সরকারী নার্সারী করা হয়। বর্তমানে যার অস্তিত্বই নেই।


জানা যায়, রৌমারী উপজেলা সদরে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর ও যুবক। তবুও এখন পর্যন্ত এখানে গড়ে উঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র। রৌমারীর মানুষ খেলা পাগল, ফুটবল খেলা হলে হাজার হাজার দর্শক খেলার আনন্দে মেতে উঠে। উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, বিনোদন বা খেলাধুলার স্থান না থাকায় রৌমারীর যুব সমাজ অলস সময় কাটায়। এতে করে মাদকব্যবসা, মাদকসেবনসহ মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারে তারা। এসব থেকে মুক্ত করার জন্য খেলাধুলা ও শিক্ষা সংস্কৃতির চর্চাসহ বিনোদনের বিকল্প নেই।


মুক্তিযুদ্ধে রৌমারীবাসীর গৌরবগাঁথা ভূমিকা যেমন মুছে ফেলার নয় তেমনি আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তর গৌরবময় ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য, স্মরণীয় করে রাখার জন্য রৌমারীতে সাধারণ জনতার অনেক দাবি সত্ত্বেও গড়ে উঠেনি মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কার্য বা স্মৃতিস্তম্ভ। জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয়েছিল রৌমারিতেই ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে বেশ সম্মৃদ্ধ এই এলাকাটি।


জাগরণ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মো. সামছুল আলম জানান, আমরা লক্ষ করেছি ঈদ বা পুজো কিংবা সরকারি ছুটিতে রৌমারীবাসী বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনসহ পরিবার পরিজন নিয়ে একটু বিনোদন বা মুক্ত বাতাসে নিঃস্বাস নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলার মধুটিলা কেন্দ্র, ঝিনাইগাতি, গজনি অবকাশ, লাউচাপড়া, কর্ণঝড়া, রাবারড্রাম, রৌমারী স্থলবন্দর, ব্রহ্মপুত্রে বালু চরে ছুটে যায়। ফলে এ উপজেলার শিশু-কিশোর, যুবকদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার বলে মত দেন তিনি।


সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, শিশুপার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা যেতে পারে রৌমারী স্থলবন্দর সংলগ্ন স্থানে অথবা এর আশপাশে জিঞ্জিরাম নদীর তীরে। এটা নির্মাণ হতে পারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আবার সরকারী অর্থায়নে। সরকারি ভাবে নির্মাণ করলে সরকার এই শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে। আর বিনোদন কেন্দ্র হলে তা কোমলমতি ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভুমিকা রাখবে। সরকারের আয়ও বাড়বে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, যুব সমাজ দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে।


রৌমারীতে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জোর দাবি জানিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজার রহমান, সোনালী ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখার সাবেক এজিএম মো. হাছানুজ্জামান, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি সদস্য সচিব এবং মাদকমুক্ত সমাজ বাংলাদেশ’র রৌমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোমেন, রৌমারী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের (আরএসডাব্লিউএ) সভাপতি ফাহিম আকবর মাসুক প্রমুখ।

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

admin August 12, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গাইবান্ধায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গত ১৪৬ বছরে আশ্রয়হীন হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এ দীর্ঘ সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর অববাহিকায় থাকা গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ৫’ ৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়েছে এই ৪ উপজেলার প্রায় চার লাখ বাসিন্দা। জেলা ও উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৮৭২ সালে ভবানীগঞ্জ মহকুমার পূর্বপাড় জুড়ে ভাঙন দেখা দিলে ১৮৭৫ সালে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে গাইবান্ধা নামক স্থানে মহকুমা সদর স্থানান্তর করে নামকরণ করা হয় গাইবান্ধা মহকুমা। এই গাইবান্ধা মহকুমাকে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


পরিসংখ্যান বলছে, ১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে নদী ভাঙনে ভবানীগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার দিকে ৭ কিলোমিটার এলাকা (কোথাও ৭ কিলোমিটারেরও বেশি) ভেঙ্গেছে। ফলে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরোটা পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় চার লাখেওর বেশি মানুষ।


এ জেলায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ১৬৫ টি চরে বসবাস করে ৩ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা এবং ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে আরও অনেক মানুষ। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হওয়াদের একটা বিশাল অংশ নদী তীরবর্তী এলাকা ছেড়ে অনেক দূরে বা অন্য এলাকায় চলে গেছে। হিসাব অনুযায়ী, গত ৪৭ বছরে (আদমশুমারী অনুযায়ী) প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার নদীপাড়ের বাসিন্দা নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন। এই সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা।


১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরো পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় ৪ লাখেওর বেশি মানুষ।


এছাড়াও বর্তমানে নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, উদাখালি, গজারিয়া, এরেণ্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি এবং সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি, সাঘাটা, হলদিয়া ও জুমারবাড়ি ইউনিয়ন। নদী ভাঙন রোধে সরকার বিভিন্নভাবে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চালালেও আটকানো যায় না ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই চেষ্টা অনেক সময় বিফলে যায়। ফলে নদীভাঙন রোধ প্রকল্পে প্রতিবছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হয়।


এ দিকে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তা-ঘাট ও বসতভিটাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নদী ভাঙনরোধে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসিঘাট এলাকা, সিংড়িয়া-রতনপুর-কাতলামারী ও গজারিয়ার গণকবর এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকার সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার কাজ চলছে। এ ছাড়া নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর তীর সংরক্ষণে কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।


Gaibandha-River erosion-Photo001 (2)

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর নদী ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারালেও ভাঙন মোকাবেলায় কাজ খুবই কম হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থায়ীভাবে নদীর তীর সংরক্ষণ করা আছে মাত্র সাড়ে নয় কিলোমিটার এলাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ নয় কি. মি এলাকা হচ্ছে- পুরাতন ফুলছড়ি হেডকোয়ার্টার এলাকা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজার, সদর উপজেলার কামারজানী বাজার ও বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর, কঞ্চিপাড়া ও বালাসীঘাট এবং সাঘাটা বাজার এলাকা। জানা গেছে, এসব এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, আর শেষ হয় ২০১৬ সালে।


নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি দেশে সহযোগিতায় নদীর তীর সংরক্ষণে গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ হয়েছিল। যা শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। গ্রোয়েন নদী ভাঙনরোধে খুবই কার্যকরী হয়। তাই আরও গ্রোয়েন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন নদী ভাঙন এলাকার লোকজন। জানা গেছে, নদী ভাঙন ঠেকাতে কয়েকটি দেশের অনুদানে ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের আনালেরছড়া ও ধুতিচোরা গ্রামে নদীর তীর সংরক্ষণসহ গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে।

অবৈধপথে প্রতিবেশি দেশ থেকে গবাদিপশু আসায় লোকসান আতঙ্কে খামারিরা

অবৈধপথে প্রতিবেশি দেশ থেকে গবাদিপশু আসায় লোকসান আতঙ্কে খামারিরা

admin August 12, 2018

ইদুল আজহাকে ঘিরে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এদেশে গবাদি পশু ঢুকতে শুরু করেছে। মূলত সীমান্তের দুদিকেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই আসছে পশু। তাতে খরচ অবশ্য একটু বেশি পড়ছে। আর কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে এ প্রবণতাও বাড়বে। তবে অবৈধপথে বিদেশি পশু আসাতে শুরু করায় দেশীয় খামারিরা আতঙ্কে রয়েছে। তাদের আশঙ্কা ভারতীয় গরু এলেই দাম কমে যাবে। ফলে খামারিদের লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে অনুমোদন না থাকলেও প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পশু আসার ক্ষেত্রে সরকারের সংস্থাগুলো নীরবতা পালন করতো। আর এ বছর একটু কড়াকড়ি রয়েছে। খামারি এবং গবাদি পশু ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কোরবানি উপলক্ষে দেশে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে ১ কোটি ১৬ লাখ গবাদি পশু প্রস্তু রয়েছে। কিন্তু দেশে এ বছর কোরবানির চাহিদা ১ কোটি ৪ লাখ পশু। ফলে দেশীয় পশু দিয়ে চাহিদা পূরণ হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির ঈদের সময়ে গবাদিপশু আমদানি হলে তা মূল্যে প্রভাব ফেলবে।


সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়িরা ভারতীয় গরু আমদানিতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। গত দেড় মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি করিডোর দিয়ে ৪৭ হাজার গবাদিপশু ছাড় করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে এই সময় ব্যাপক গরু আমদানি হলেও এ বছর তা তুলনামূলক কম। সেখানে জেলা টাস্কফোর্স এখন পর্যন্ত তিনটি বিট-খাটালের অনুমোদন দিয়েছে। তবে তার বাইরেও উচ্চ আদালতে রিটের মাধ্যমে বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে আরো কয়েকটি বিট খাটাল দিয়ে গরু আসা শুরু হয়েছে। ওসব বিট খাটাল অনুমোদন দেয়া হলেও আর্থিক লেনদেনের বৈধতা নেই। আর ভারত থেকে আসা গরুগুলোর মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে মূলত হুন্ডির মাধ্যমে। তাতে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাছাড়া রাজশাহী ও গোদাগাড়ির কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমেও মধ্যপ্রাচ্যের চ্যানেল ব্যবহার করে ভারতে অর্থ প্রেরণ করা হচ্ছে।


সূত্র আরো জানায়, গরু আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বৈধ কোনো চুক্তি নেই। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার ভিত্তিতে অলিখিত সমঝোতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গবাদিপশুর কারবার চলছে। তাতে প্যাডের নামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গরু জোড়াপ্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০ থেকে ৫৬ হাজার ভারতীয় রুপি। ওসব ক্ষেত্রে নগদ অর্থ ব্যবহার হয় না। প্রতি চালানে গরু আনা-নেয়াকারী রাখালদের মাধ্যমে ¯িøপ প্রেরণ করা হয়। বিভিন্ন মানের ছেঁড়া টাকা নির্ধারণ করে গবাদিপশুর সংখ্যা ও মূল্য। আর মোটা অঙ্কের টাকা বাঁচাতে চোরাই অথবা নদীপথ ব্যবহার করে আনা হচ্ছে গরু। তাছাড়া বিট খাটালগুলোতে করিডোর ফি বাবদ জোড়াপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ফলে দেশে ওসব গরু বিক্রি করা হচ্ছে অত্যন্ত চড়া মূল্যে। ইতিমধ্যে ভারত থেকে চোরাই পথে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বিপুল সংখ্যক গরু আসতে শুরু করেছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে সেখানে পশু আমদানি ধীরগতিতে হচ্ছে। আবহাওয়া প্রতিকূল ও বাজারে গরুর মূল্য না থাকায় এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ গবাদিপশু আমদানির করিডোর দিয়ে ওসব গরু-মহিষ এদেশে ঢুকছে। জুলাই মাসে ৬ হাজারের বেশি গবাদিপশু এসেছে। তবে জুলাই মাসের তুলনায় জুন মাসে দ্বিগুণের বেশি গবাদিপশু আমদানি হয়।


এদিকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানির কারণে দেশের বাজাওে পশুর দাম কমে গেছে। এমন অবস্থায় লোকসানের আশঙ্কায় আপাতত মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা।


অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে গবাদিপশু যেন দেশের কোরবানির হাটগুলোতে আসতে না পারে সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিজিবিসহ জেলা প্রশাসনের কাছে খামারিরা দাবি জানিয়েছে। বর্তমানে ঈদের বিক্রির জন্য ওসব খামারি এবং সাধারণ গৃহস্থরা গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। ক্ষতিকারক ওষুধে নয়, বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছে দেশের খামারি ও কৃষকরা।

তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

admin August 12, 2018

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: হত্যা নাকি পানিতে ডুবে ‍মৃত্যু তা জানতে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর পঞ্চগড়েরর তেঁতুলিয়ায় এক শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার গনাগছ গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমার উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে ওই লাশ তোলা হয়।


জানা যায়, ৬ দিন আগে গত মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) সকালে বাড়ির টিউবওয়েলের পানির গর্তে আরব (১৯ মাস বয়সী) নামে ওই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। পরে পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে ওই দিন শিশুটির দাফন সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে শিশুটির দাদা জহিররুল ইসলাম গত বুধবার (৮ আগষ্ট) থানায় একটি ইউডি মামলা করেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, শিশুটির পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় নি। তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শিশুটির সৎ বড়মায়ের হাত দেখছে। তারা মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বড় স্ত্রী রূপালী জরিত।


শিশুটির দাদা জানান, আমাদের বাড়ির চারপাশে শক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা, শিশুটি সহজে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু বাড়ির পিছনে প্রায় ৫০ গজ দূরে টিউবওয়েলের পানি নিষ্কাশনের দুই আড়াই ফিট গর্তে আরব বাবু মরতে পারে না। তিনি দাবি করেন, আরবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ শিশুটিকে হত্যার পর বাড়ির পিছনে ব্যাড়া ভেঙ্গে গর্তে ফেলানো হয়েছে। যে কেউ হত্যা কণ্ডের সাথে জড়িত থাকুক না কেন আমি আরবের হত্যার সুষ্ঠু চাই।


শিশুটির পিতা শাহজাহান আলীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রূপালী আক্তার ও দিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। শিশু আরব দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। শিশুটির পিতা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার দিন আমি ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছোট বউয়ের একমাত্র ছেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ওইসময় তার মৃত্যু আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমার বড় স্ত্রী রূপালী প্রায় আমার ছোট স্ত্রীর একমাত্র সন্তান আরবকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো বলেও জানান তিনি।


তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, গত ৭ আগস্ট শিশুটির মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে তার দাফন করে। দাফনের পরদিন শিশুটির একটি ইউডি মামলা করেন। আইন গত জটিলতা সৃষ্টি যেন না হয় সে লক্ষে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শিশু আরবের লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অশালীন শব্দে ফেসবুকে রাজনীতিবিদদের মানহানি করছে সেফাত উল্লাহ

অশালীন শব্দে ফেসবুকে রাজনীতিবিদদের মানহানি করছে সেফাত উল্লাহ

admin August 12, 2018

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতায় বিরক্ত প্রবাসীরা


 

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বসবাসকারী সেফাত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী বেশিরভাগ লোকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন, তার অশালীন শব্দের মাধ্যমে। তিনি সাধারনত ফেসবুক লাইভে এসে দেশের রাজনীতিবিদ কিংবা সেলিব্রিটিদের নিয়ে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করেন। সেফাত যেসব ভিডিও ছেড়েছেন তা অত্যন্ত মানহানিকর ও মিথ্যা অপবাদ।


যার মধ্যে তিনি অত্যন্ত নোংরা শব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিভিন্ন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে থাকেন। এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাদেরও গালিগালাজ করতে দেখা গেছে এই সেফাত উল্লাহকে। সেফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে মদ্যপান করেন এবং তা মানুষকে দাম্ভিকতার সাথে জানান। এসময় তিনি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন অশালীন শব্দ ব্যবহার করে থাকেন।


আর সেফাত উল্লার এইসব ভিডিওকে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রোমেট করছে কিছু বিকৃত মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারী ও ইউটিউবার। এরা ফেসবুক পেজ বা ইউটিব চ্যানেলগুলোয় বিভিন্ন আকর্ষনীয় টাইটেল দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বেশি ভিউ বা লাইক পাওয়ার আশায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে হুমকি, বিশেষ করে যারা ফেইসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করেন। সেফাত মদ পান করার জন্য ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার জন্য তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছেন।


বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য এশিয়ান এজ তাদের খবরে জানিয়েছে, ওই দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রিয়া সরকারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়। যাতে সে দেশের সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বা তাকে দেশে ফের এনে বিচারের মুখোমুখি করে। তারা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতায় তারা অনেকটা বিরক্ত। অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেফাত উল্লাহর এহেন অপমানজনক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নীরবতা প্রকাশ করেছে। যা মোটেই কাম্য নয়।


বাংলাদেশি প্রবাসীরা এ বিষয়ে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বললেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি বলে অভিযোগ ওই দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা। এ বিষয়ে ভিয়েনার দূতাবাসের পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলমকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। দ্য এশিয়ান এজ।

কখনো কখনো নিজেকে ‘আহাম্মক’ ভাবেন কঙ্গনা

কখনো কখনো নিজেকে ‘আহাম্মক’ ভাবেন কঙ্গনা

admin August 12, 2018

বিনোদন ডেস্ক: বেশকিছুদিন ধরে ভারতে গো-রক্ষকদের কর্তৃক মানুষকে পেটানো বা হত্যার সংখ্যা বেড়ে গেছে। কঙ্গনার মতে, গরু বাঁচানোর ইচ্ছাটা ঠিকই, তবে এ কারণে যদি কাউকে হত্যা করতে বা পেটানো হয় এটা মোটেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। কঙ্গনা রানাওয়াত মনে করেন, এটা মোটেও ঠিক নয়।


ভারতীয় এই অভিনেত্রীর মতে, ভারতে যারা গরুর ভালোমন্দ বা গরুকে বাঁচানো নিয়ে চিন্তিত, তাদের বিরুদ্ধে একটা বৈষম্য তৈরি হয়েছে। অবশ্য তিনিও গরু বাঁচানো নিয়ে চিন্তিত। তবে এ কারণে যখন কারও মৃত্যুর খবর পান তখন নিজেকে তার ‘আহাম্মক’ মনে হয়। বলেন, ‌‌“এরকম ঘটনায় যখন কোন মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাই, তখন মনে হয় আমরা কি করছি, তখন আমার নীতিবোধই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। নিজেকে তখন ইডিয়ট ছাড়া বৈ আর কিছু মনে হয় না”।


সম্প্রতি কয়েকবছর ধরে ভারতে গো রক্ষাকারীদের হাতে মানুষকে বিশেষ করে মুসলমানদেরকে পেটানো বা হত্যা করার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন এ অভিনেত্রী। যাতে বোঝা যায়, বিষয়টি নিয়ে বেশ ভয়ে আছেন তিনি।


কঙ্গনা রানাওয়াত বর্তমানে ব্যস্ত আছে 'মণিকর্ণিকা' মুভির শ্যুটিং নিয়ে। যে ছবিতে একটি দৃশ্য ছিলো এরকম, তার চরিত্র রানি লক্ষ্মীবাঈ, একটি দৃশ্যে তিনি একটি বাছুরকে বাঁচাচ্ছিলেন। তবে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি একজন দেশপ্রেমী, মণিকর্ণিকার চরিত্রে অভিনয় করছি। আমাদের একটি দৃশ্য ছিল, যে দৃশ্যে আমার একটি বাছুরটিকে বাঁচানোর কথা। পরে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করলাম,পরে ওই দৃশ্যের শ্যুট স্থগিত করা হয়।’ কেননা ‘আমরা বাছুরকে বাঁচাচ্ছি এরকম দৃশ্যতে আপত্তি উঠতে পারে, সেখানে আমাদেরকে গোরক্ষক বলে ধরে নেওয়া হতে পারে।”

ইদুল আজহা ঘিরে উত্তরাঞ্চলে জমছে পশুর হাট, দাম কম থাকায় নিরাশ খামারিরা

ইদুল আজহা ঘিরে উত্তরাঞ্চলে জমছে পশুর হাট, দাম কম থাকায় নিরাশ খামারিরা

admin August 12, 2018

রংপুর  এক্সপ্রেস: আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহা। ইদুল আজহায় সাধ্যমত পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। তাই ইদের আগেই পশু কেনা-বেচার হিড়িক পরে হাটগুলোতে। আর এবছর ইদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জমছে উত্তরাঞ্চলের কোরবানির পশুর হাটগুলো। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ি ও খামারিরা হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু বাজারে ঢুকতে না পারায় দেশি গরুর খামারিরা অনেকটা খুশি। তবে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকায় দাম অনেকটা কম, এতে অনেকটা নিরাশ গরু খামারিরা।


গরু খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান যে বাজার মূল্যে তাতে গরু বিক্রি করলে তাদের অনেকটা ক্ষতি হবে তাদের। গুনতে হতে পারে লোকশান। জানা গেছে, এ অঞ্চলে চাহিদার তুলনায় ৩ লাখ পশু অতিরিক্ত রয়েছে।


তবে বাজারে গরুর দাম কম থাকার বিষয়টিকে নিছক গুজব উল্লেখ করে রংপুর বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শেখ আজিজুর রহমান জানান, বেশি মুনাফা লাভের আশায় খামরিদের থেকে কম দামে গরু হাতিয়ে নিতে দালাল ও ব্যবসায়িরা এসব গুজব রটায়। মূলত খামারিরা ঠিকই দাম পাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ইদ যত নিকটে আসবে সাথে সাথে গরুর দামও বাড়বে। ক্ষতিকারক কোনো ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে যাতে কোনো খামারি গরু মোটাতাজা করতে না পারে সে জন্য মাঠ কর্মীরা দিনরাত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।


চাহিদার চেয়ে বেশি ৩ লাখ পশু
* দাম না থাকায় হতাশ খামারিরা
* দেশি গরু-ছাগলের প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা


বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উত্তরের ৮ জেলায় ৫৪ হাজার ২১ জন খামারি ও ২ লক্ষাধিক গৃহস্থ মিলে মোট ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩১ টি পশু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু এবারে বিভাগে কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১২ লাখ পশু। ফলে অতিরিক্ত প্রায় ৩ লাখ পশু অতিরিক্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পশু ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলেও জানায় তারা।


রংপুর নগরীর এক খামারি জানান, তিনি আসন্ন কোরবানি ইদ সামনে রেখে ৬০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ওই গরুগুলো বিক্রি করলে তাকে অনেক লোকসান গুনতে হবে। তাই এখনো গরু বিক্রি করেননি। তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে ইদের আগে দেশি গরুর দাম বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


সরেজমিনে কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি। হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। হাটে হাটে ক্রেতারা ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরু ও ছাগলের দিকেই। এসব গরুর দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় এবং দেশীয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওসব গরুর প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।


পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ি এবং ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন অঞ্চলের হাটগুলোতে। তবে দাম না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিক্রেতাদের। ক্রেতারা আসছেন, পছন্দ করছেন তবে কিনছেন কম। পাইকারি গরুর ব্যবসায়িরাই মূলত গরু কিনছেন বেশি। হাটগুলোতে প্রকারভেদে দেশি গরু ৩৫ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এখন যে দাম যাচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছেন না তারা।


বাচ্চা মিয়া ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন বিক্রেতা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম কম। ক্রেতা কম থাকায় গরুর দাম উঠছে না। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, পশুর মালিক তার পশুটি ঠিকই কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন, কিন্তু দালাল ও ব্যবসায়িরা সেটি কিনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন উচ্চ মূল্য হাঁকিয়ে।


Rangpur Cow Market

অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন এবারে গরুর দাম গতবারের তুলনায় একটু বেশি। তারা মনে করেন ভারতীয় গরু ঢুকলে গরুর দাম অনেকটা কমবে। বুড়িরহাটে গরু কিনতে আসা রংপুর নগরীর ইসলামবাগ এর বাসিন্দা এস.এম মোহসীন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। গত দুই হাট ঘুরেও আমার সামর্থের মধ্যে গরু কিনতে পারিনি। অথচ এর চেয়ে কম দামে গত বছর গরু কিনেছি।


ওই হাটের ইজারাদার বাবুল মিয়া জানান, বুড়িরহাটে দেশি ছোট ও মাঝারি গরু বেশি কেনাবেচা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হাটে ভারতীয় গরু ওঠেনি। ইদের আগের দুই হাটে বেশি দেশি গরু বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

admin August 11, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মাববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এসময় সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।


সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব, সহ-সভাপতি রফিক সরকার, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক লঙ্কীণ চন্দ্র রায়।


সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা দায়িত্বপালনের সময় বিগত সময়ে এমন হামলার শিকার হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করায় এবারো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিন্থিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসএ টিভির রংপুর প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম বাবু, ফটো সাংবাদিক রণজিৎ দাস, ভিডিও জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুকুল, রংপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক উৎপল ভৌমিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুরের দপ্তর সম্পাদক মেজবাহুল হিমেলসহ রংপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরাবৃন্দ।


উল্লেখ্য, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর উত্তরা, বনানী, সায়েন্সল্যাব, ল্যাবএইড মোড়, শাহবাগ ও রামপুরা এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভির একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এরই প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সাংবাদিকরা।

কেন ফেসবুক নিয়ে বিরক্ত সরকার

কেন ফেসবুক নিয়ে বিরক্ত সরকার

admin August 11, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে ঘটনা ভিন্নখাতে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে একটি কুচক্রীমহল। এ নিয়ে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা ও বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখসহ ৪৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মধ্যে ঢাকা এ্যাটাক মুভির অভিনেত্রী নওশবাকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়াও রিমান্ডে নেওয়া হয় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকেও।


আন্দোলন চলাকালে গত ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে Facebook লাইভে এসে চারজন নিহত ও চারজনকে ধর্ষণের তথ্য প্রচার করেন, যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সংঘর্ষ বাধে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পথের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়।


এসব নিয়ে নিয়ে অনেকটা বিরক্ত সরকার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে খোলাখুলি বিরক্তিপ্রকাশ এবং নেতিবাচক মন্তব্যও করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্লক করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও প্রয়োজনে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে বলেও বলা হয়েছিল ওই সময়।


এনিয়ে গত ৬ আগস্ট সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রীও ফেসবুককে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়া নানান ইস্যুতে গুজব চালানোয় ফেসবুক এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈঠকে ফেসবুকের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্যও সকলকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আধুনিক এসব প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে ভালো কাজে ব্যবহার করার নির্দেশও দেন তিনি।


আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হলে ফেসবুকসহ যে কোন কিছু বন্ধ করতে হবে। কেননা রাষ্ট্রটা অনেক বড়। আমরা রক্ত দিয়ে ওটা তৈরি করেছি। রাষ্ট্রকে আমরা কোনভাবে বিপন্ন হতে দিতে পারি না।


শুধু ছাত্র ছাত্রীদের এ আন্দোলনেই নয় এর আগেও বাংলাদেশে Facebook ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সহিংসতা চালানো হয়েছে। অপপ্রচার চালানো হয়েছে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের নিয়ে। ২০১২ সালে রামুর বৌদ্ধ বিহারে ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়, যার নেপথ্যে ছিলো ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচার। এছাড়াও রংপুরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে।

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

admin August 10, 2018

এক লক্ষ চব্বিশ হাজার আল্লাহ নাম, খতমে খাজনা, ইউনুছ খতম, দোয়া মাহফিল


রৌমারী, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছ, দোয়া মাহফিলসহ এক লক্ষ ২৪ হাজার আল্লাহ নাম লিখে নদে ফেলা হয়েছে।


Rowmari-Kurigram-Photo-11


আজ শুক্রবার জুমা’র নামাজ আদায় শেষে বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলা বাগুয়ারচর নৌকাঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী গাছ,বাঁশ ফেলে রোধে চেষ্টাসহ বাইটকামারী ক্বওমি মাদ্রাসার মাওলানা মো. আব্দুল বাছেদ মাদ্রাসার ছাত্রসহ এলাকার মুসল্লীদের সাথে নিয়ে নদের ভ্ঙান রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছসহ এক লক্ষ ২৪হাজার বার আল্লাহ্র নাম কাগজে লিখে ময়দা দিয়ে গুটি তৈর করে চার কিলোমিটার ভাঙন এলাকা জুড়ে নদে পানিতে ফেলা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী নদী ভাঙন প্রতিরোধ আনন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের যুদ্ধাহতমুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হানিফ মাস্টার প্রমূখ।


ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাল্লা দিয়ে শুরু হয় ভাঙন। গত ৯ দিনে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর বলদমারা নৌকাঘাট, পশ্চিম পাখিউড়া, বাইসপাড়াসহ প্রায় দুই কি.মি. এর বেশি এলাকায় গাছ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন এলাকাবাসী। তাতেও কাজ না হওয়ায় বাধ নির্মাণের দাবিতে গত ৬ আগস্ট নদীপাড়ে মানবন্ধন করা হয়। এ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে ২০০ টিরও বেশি পরিবারের সবকিছু। ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে মাথা গোঁজার ঠাই হারানোর আতঙ্ক নিয়ে আছেন নদীপারের মানুষ। বাঁধ নির্মাণে ‌'তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের' জন্য বরাদ্দ ছিল ৯০ লাখ টাকা। পুরো কাজ না হওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে এ উপজেলার নদী পাড়ের মানুষ।

এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

admin August 10, 2018

একাধিকবার সময় নির্ধারণ করেও এখন পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে শেষ হচ্ছে না অপেক্ষার প্রহর। কবে তা সরবরাহ করা সম্ভব হবে তাও নিশ্চিত নয়। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যোক্তারা। অনেকেই উৎপাদন শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছেন গ্যাসের অপেক্ষায়। এলএনজির জন্য আবেদন করা নতুন শিল্পের মধ্যে ভারি, হালকা ও মাঝারি ধরনের শিল্প রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও পুরাতন শিল্পে গ্যাসের লোড বৃদ্ধির আবেদন। ভুক্তভোগী সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।


সূত্র অনুযায়ী, সরকারিভাবে চট্টগ্রাম ৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি সার কারখানা এলএনজির অপেক্ষায় রয়েছে। গ্যাস সঙ্কটে দীর্ঘদিন যাবত রাউজান ও শিকলবাহায় অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ওসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮০ মেগাওয়াট। তাছাড়া সিইউএফএল গ্যাস সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে। এলএনজি দিয়ে ওসব কারখানা চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে শিল্পের ৬৭৬টি গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দিয়েছে। ওসব সংযোগের বিপরীতে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। শিল্পের এলএনজির ২৬৮টি সংযোগের জন্য গ্রাহকরা ডিমান্ডনোটের টাকাও পরিশোধ করেছে। ওসব গ্রাহকের গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট। তারা নিরাপত্তা জামানত বাবদ পরিশোধ করেছেন প্রায় ১৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। কিন্তু গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ১ লাখ ৩৩ হাজার ঘনমিটার এলএনজিবাহী জাহাজটি মহেশখালীতে সমুন্দ্রে নোঙর করে। কিন্তু প্রায় সাড়ে ৩ মাস কেটে গেলেও গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হয়নি। সরকারের প্রথম ঘোষণায় গত ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপর আরো কয়েক দফায় তারিখ ঘোষণা করা হলেও সরবরাহ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।


সূত্র আরো জানায়, মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত এলএনজি সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে গ্যাসের রিং মেইন পাইপ লাইনও ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। পাইপ লাইনে কোনো ত্রæটি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যমান বিতরণ লাইন দিয়ে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যায়। তাই ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।


এদিকে শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, এলএনজি সংযোগের ডিমান্ডনোটের টাকা দীঘদিন আগে পরিশোধ করার পরও গ্যাসের জন্য অন্তহীন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। গ্যাস না পাওয়ায় অনেক কারখানাই ডিজেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। তাতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহাবুব চৌধুরী জানান, উৎপাদনে যাওয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। গ্যাস সরবরাহ বিলম্বে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

লালমনিরহাটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, মৃত তিন

লালমনিরহাটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, মৃত তিন

admin August 10, 2018

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে একটি রিকশায় মালবাহী ট্রাকের চাপায় রিকশার চালক ও রিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের বিজিবি ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাক লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের বিজিবি ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে একটি চলন্ত রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশার চালক ও দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।


দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট শহরের খাতাপাড়ার রিকশাচালক দুলাল মিয়া (২৮) ও দুই যাত্রীরা হলেন, জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী ও পাটগ্রাম উপজেলার কুচলীবাড়ি ইউনিয়নের লিয়াকত হোসেন প্রধানের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রধান (৪০) এবং পাটগ্রাম পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ার আব্দুর রশিদের পুত্র মোতালেব হোসেন (৪০)। তারা পৌরবাজার থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন।


সদর থানার ওসি মো. মাহফুজ আলম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাহাঙ্গির ও মোতালেব রিকশাযোগে পৌরবাজার থেকে তাদের রেজিস্ট্রি কার্যালয় সংলগ্ন বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে আছে। তবে ট্রাকটির চালককে আটক করা যায়নি।



কক্সবাজারে মাইক্রোর ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু


এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারে এক মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক পথচারী মারা গেছেন। রাত ১১ টার দিকে বাইপাস সড়কের জেল গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম মো. রশিদ। তার বাড়ি পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায়।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়া একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস পথচারী রশিদকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তারগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে সাথে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে মাইক্রোবাসটি আটক করা সম্ভব হয়। মৃতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে বলেও জানান তিনি।

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

admin August 09, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৯ আগষ্ট ১৮) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলার ১৭ টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।


মাছের পোনা অবমুক্তিকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাফুজার রহমান মিঠু, জেলা সিনিয়র সহকারি পরিচালক মস্য অধিদপ্তর আনোয়ারুল কবির, জেলা জরিপ কর্মকর্তা মো. রেজাউল কবির, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক, পৌর মেয়র হাকিবুর রহমান মাষ্টার, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাজেদ আলী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোতাহার হোসেন ডালু।


উপজেলা মৎস্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় পোনামাছ অবমুক্ত কার্যক্রমে ১০-১৫সে. মি. সাইজের রুই কাতলা মৃগেল জাতীয় পোনা মাছ উপজেলার থানা পুকুর, হারাগাছ পৌরসভার ধুমনদী বিল, তফসীডাঙ্গা বিল, রেলবাজার জোরা পূকুর হেকোডাজ্ঞা বিলসহ ১৭টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম, মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ভোলারাম দাশ, মাইদুল ইসলাম, উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, সাগঠনিক সম্পাদক নিতাই রায়, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জসিম সহ মৎস্য চাষী ও এলাকার সুধীবৃন্দ।

পাটগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ জেএমবির চার সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

পাটগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ জেএমবির চার সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

admin August 09, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেএমবির (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩। গতকাল রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর এলাকার একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আজ  বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব-১৩ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।


আটককৃতরা হলো- পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি (৩০), সরদার পাড়া গ্রামের সরদার মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৯), রসুলগঞ্জের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক (২৩), সোহাগপুর গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩০)। এরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য।


তারা পাটগ্রাম পৌর এলাকার এমএম প্লাজা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে একটি ফার্নিচারের দোকানে থেকে ছদ্মবেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। ওই ফার্নিচারের দোকানটির মালিক গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি আপেল মিস্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।


এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২টি দেশীয় ওয়ান স্যুটার গান, ২ রাউন্ড ওয়ান স্যুটার গান এর গুলি, ধর্মীয় উস্কানীমূলক ও উগ্রবাদী বিপুল পরিমান বইপত্র, লিফলেট এবং জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবর্হত ০৪ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।


র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা গত এক-দেড়বছর যাবৎ গোপণে থেকে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো এবং নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। র‌্যাব জানায়, তারা জঙ্গি সংগঠনে তরুনদের উদ্ভূদ্ধকরণ, নতুন জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ, সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ, সংগৃহীত অর্থ দ্বারা অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহসহ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে তারা লিপ্ত ছিল। আটকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাব জানায়, জঙ্গিরা বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ও পাটগ্রাম এলাকায় তাদের বিভিন্ন রকমের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।


র‌্যাব-১৩ জানায়, জেএমবির সাথে জড়িত অন্যান্যদের ব্যাপারে গোপন অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় র‌্যাব-১৩।



[কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির]

কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

admin August 08, 2018

ধুমপান বিরোধী প্রচারণা, সরকারগুলোর সচেষ্টতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে উন্নত দেশগুলোতে ধুমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমলেও এদেশে তা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো ওদের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবসার সুবিধা করতে না পেরে ঝুঁকছে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ ট্যোবাকো বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারে একটা বড় স্থান করে নিয়েছে। আর এখন স্থান করে নেওয়ার পথে জাপানের সর্ববৃহৎ ট্যোবাকো কোম্পানি জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (JTI)।


দেশে বর্তমানে ধুমপায়ীর সংখ্যা এক কোটি আশি লাখেরও বেশি। পরিসংখ্যানে জানা গেছে এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে জাপানের সর্ববৃহৎ এ ট্যোবাকে কোম্পানিটি। আর এ জন্য ইতোমধ্যেই তারা কিনেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম এক ট্যোবাকো কোম্পানির পুরো মালিকানা। যা কিনতে তাদের লেগেছে ১২ হাজার ৪ শ কোটি টাকা।



[নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


জাপানে বিড়ি-সিগারেটের উপর দিন দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ায় জাপান ট্যোবাকো মূলত বাইরের দেশ গুলোয় বিনিয়োগ জোর দিয়েছে। ইতোমধ্যে গতবছরে এরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশের অনেক কোম্পানির পুরো মালিকানা বা শেয়ার কিনে নিয়েছে।



কেন টাকা ঢালছে জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (জেটিআই)?


জাপান ট্যোবাকো মনে করে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম সিগারেট বাজার। কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, 'সিগারেটের চাহিদায় বাংলাদেশ দুনিয়ার অষ্টম বৃহত্তম বিড়ি-সিগারেটের বাজার।' মূলত এখানের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করার মতো স্থান পৃথিবীতে অনেক কম। এসব কারণেই তারা এ দেশের সিগারেট খাতে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি আকিজ গ্রুপের মালিকানা কেনার পর জাপানি ওই কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারের অন্তত বিশ শতাংশে তারাই অংশীদার হবে।


জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজস্বের এক বিরাট অংশ আসে ট্যোবাকো থেকে। যার পরিমাণ প্লাস-মাইনাস ১৫ শত কোটি টাকারও বেশি। আর ধুমপান বিরোধীরা মনে করেন, এ কারণেই দেশের সরকার বিড়ি-সিগারেটের কর-কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে আনছে না। ফলে দিন দিন বাড়ছে ধুমপায়ী মানুষের সংখ্যা।

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

admin August 07, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বছরের পর বছর মরুকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা সমগ্র বন যখন শুষ্ক হয়, তখন বাইরে থেকে অগ্নিসংযােগের প্রয়োজন হয় না, সামান্য দুটো শাখার ঘর্ষণেই দাবানল জ্বলে উঠে অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র বন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তেমনি দশকের পর দশক ধরে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থার প্রতিটি পদে পদে দুর্নীতি, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, অনিয়ম চলতে চলতে কোথাও আস্থা ও বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও নেই।


এজন্য যে কোনো একটা ইস্যুতেই দাবানল জ্বলে ওঠে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় তেমনি জ্বলে ওঠে ছাত্রসমাজ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শহরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলো। ট্রাফিক পুলিশকে ধুয়ো ধ্বনি শুনিয়ে পুরো রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো ছোট ছোট ছোলমেয়েরা। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়াকে কেবল একটি দুর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থীয় মৃত্যুর প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। বরং এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার প্রতি আমাদের নতুনপ্রজ্যন্মর অনান্থা আর অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


প্রমাণ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। তাদেরকে একটা কথাই বারবার বলতে শোনা গেছে, আগে দাবি বাস্তবায়ন হোক, তারপর আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব। পুরো রাজধানী এক সপ্তাহের জন্য যেভাবে অচল হয়ে পড়ে, শেষ পর্যন্ত তারা যে সেই অবস্থান থেকে সরে এলো। তার বড় কারণ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।



[নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


এই ভোগান্থির কষ্ট বিবেচনা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য সবমহল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি যখন অনুরোধ করা হলো তখনই তারা স্কুলে ফিরে গেছে। কথা হচ্ছে এই অবিশ্বাস, এই অনান্থা নিয়ে রাষ্ট্র বেশিদিন চলতে পারে না।আজকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে, কিছুদিন আগে দেখা গেছে শিক্ষকরা নেমেছিলেন। আগামীতে দেখা যাবে অভিভাবকেরা নামবেন। কোনো ইস্যু পেলে শ্রমিক, মজুর, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, কেউ বাদ যায় না, হয় রাস্তায় নেমে আসেন, না হয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে সবকিছু অচল করে দেন। এর কারণ কি?



[আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন]


আমাদের নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। গোটা ব্যবস্থাটা এত অবিশ্বাস আর অনাস্থার উপর কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে যে কোনো সময় এটা ধসে পড়তে পারে, যে কোনো ক্ষুদ্র একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুষ্ক বনের ন্যায় দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পায়ে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাত্তব্যেবন্থা প্রতিষ্ঠা না করে জোড়াতালি দিয়ে দিয়ে তৈরি ভঙ্গুর এ ব্যবস্থাকে ঠেকানোর জন্য এই দাবানলকে কতদিন ফিরিয়ে রাখা যাবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three