রংপুর এক্সপ্রেস: ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে ঘটনা ভিন্নখাতে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে একটি কুচক্রীমহল। এ নিয়ে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা ও বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখসহ ৪৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মধ্যে ঢাকা এ্যাটাক মুভির অভিনেত্রী নওশবাকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়াও রিমান্ডে নেওয়া হয় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকেও।
আন্দোলন চলাকালে গত ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে Facebook লাইভে এসে চারজন নিহত ও চারজনকে ধর্ষণের তথ্য প্রচার করেন, যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সংঘর্ষ বাধে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পথের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়।
এসব নিয়ে নিয়ে অনেকটা বিরক্ত সরকার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে খোলাখুলি বিরক্তিপ্রকাশ এবং নেতিবাচক মন্তব্যও করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্লক করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও প্রয়োজনে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে বলেও বলা হয়েছিল ওই সময়।
এনিয়ে গত ৬ আগস্ট সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রীও ফেসবুককে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়া নানান ইস্যুতে গুজব চালানোয় ফেসবুক এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈঠকে ফেসবুকের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্যও সকলকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আধুনিক এসব প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে ভালো কাজে ব্যবহার করার নির্দেশও দেন তিনি।
আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হলে ফেসবুকসহ যে কোন কিছু বন্ধ করতে হবে। কেননা রাষ্ট্রটা অনেক বড়। আমরা রক্ত দিয়ে ওটা তৈরি করেছি। রাষ্ট্রকে আমরা কোনভাবে বিপন্ন হতে দিতে পারি না।
শুধু ছাত্র ছাত্রীদের এ আন্দোলনেই নয় এর আগেও বাংলাদেশে Facebook ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সহিংসতা চালানো হয়েছে। অপপ্রচার চালানো হয়েছে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের নিয়ে। ২০১২ সালে রামুর বৌদ্ধ বিহারে ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়, যার নেপথ্যে ছিলো ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচার। এছাড়াও রংপুরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে।