আর অভিনয় করবো না, আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই: পুষ্পিতা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো চিত্রনায়িকা পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘এখন থেকে আর অভিনয় করবো না। বাকি জীবনটা ইবাদত বন্দেগী করেই কাটাতে চাই। আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই।’ কয়েক বছর ধরে মিডিয়া থেকে আড়ালে আছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।


এ ব্যাপারে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘আমি ধার্মিক পরিবারের মেয়ে। শখ বা নেশার ঘোরে বলা যায় অভিনয়ে পা রেখেছিলাম। অভিনয়ে পা রাখার পরও আমি কিন্তু নিয়মিত নামাজ পরতাম, জিকির আসকার করতাম। সিনেমার অনেকেই তা জানেন।’



‘অভিনয়ের থাকাকালীন বারবার মনে হয়েছিল, ক্ষণিকের আনন্দের জন্য আমি সব হারাচ্ছি। একটা সময় আমার মধ্যে সে বোধটা চলে আসে। এরপরই আমি সিনেমার জীবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’


এ সময় বলা হয়, আপনার অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবির কাজ তো অসমাপ্ত আছে। সেগুলোর কি হবে? জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু হুট করে অভিনয় থেকে বিদায় নেইনি। অভিনয় ছাড়ার আগে সময় নিয়েছি। অসমাপ্ত ছবির কাজ শেষ করতে নির্মাতাদের বারবার তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু তারা ছবিগুলোর কাজ শেষ করেনি। আমার অভিনীত তিনটি ছবির কাজ অসমাপ্ত আছে। এগুলো হলো- ঠোকর, প্রেম হতেই পারে ও ফাগুনের আগুন।’



তাহলে তো ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তা জানি না। আমি তো ওই সময় ছবির কাজ শেষ করতে নির্মাতাদের বলেছি। কিন্তু তারা ছবিগুলোর কাজ শেষ করেনি। নির্মাতারা খুব ভালো করেই জানেন, এখন আর আমি অভিনয় করবো না।’


সম্প্রতি পুষ্পিতা পপি অভিনীত ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’ ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত এই ছবিতে পুষ্পিতা পপির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ। ছবির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ।


এ সময় এই ছবি প্রসঙ্গে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘২০১৫ সালের প্রথম দিকে এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। শুরুতে এই ছবির নাম ছিল ‘বিধ্বস্ত’। পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’।’


রিনি বলেন, ‘শুনেছি ঈদের পরপরই এটি মুক্তি দেওয়া হবে। আমি অনেক খুশি কারণ, এরপর আমার আর কোনো ছবি মুক্তি পাবে না। আল্লাহর কাছে চাওয়া, এটাই যেন আমার শেষ ছবি হয়। নিজেকে আর পর্দায় দেখতে চাই না। বাকি জীবনটা আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির সামনে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি। শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।


ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।


ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পাকিস্তান। ইনিংসের মাত্র ১৩.১ ওভারে দলীয় ৬২ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। দলীয় ৬২ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, হারিস সোহেল ও বাবর আজম।


শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

admin May 31, 2019

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষদের ঈদযাত্রা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন। এসময় বাসের ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।


ঈদযাত্রায় যানজট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথাও কোনো যানজট তৈরি হয়নি, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের মতো ভালো রাস্তা আর কখনো ছিল না। খুবই প্রশস্ত ও মসৃণ একেকটি সড়ক। ফেরিতে যেন যানবাহনের পারাপারে সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখছি আমরা। এবার ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে।


তিনি বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা চালকদের সাথে কথা বলুন, তাদের পরামর্শ দিন যাতে সড়কের শৃঙ্খলা মেনে গাড়ি চালায়। অতি উৎসাহ নিয়ে কোনো যানকে অতিক্রম (ওভারটেকিং) না করে।


এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ও টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজি-অনিয়ম রোধে র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সতর্ক রয়েছে।


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না।


তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তবে এই মুহূর্ত যানজট সৃষ্টি করবে তাই সে কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাবু রমেশ চন্দ্র দাস, শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশ, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাস মালিক সমিতির নেতারা।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। শুক্রবার নটিংহ্যামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা।


টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অতীত থেকেও সাহস সঞ্চার করতে পারেন তারা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজ ৭টিতে।


শাই হোপ, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছেন তারা। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।



উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।

এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

admin May 31, 2019

আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এটি দ্বাদশ আসর। এর আগে এগারো আসরে এশিয়ার তিন দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা সব মিলিয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর মধ্যে ভারত দু’বার (১৯৮৩ ও ২০১১) এবং একবার করে পাকিস্তান (১৯৯২) ও শ্রীলংকা (১৯৯৬) শিরোপা জিতেছে।


১৯৭৫ থেকে ২০১৫- ক্রিকেট বিশ্বকাপের এগারো আসরে অংশ নেয়া এশিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সম্মিলিত সেরা এশীয় একাদশ বাছাই করেছে স্পোর্টসকিডা ডটকম। এশিয়ার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশের নেতৃত্ব দেবেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।


১. শচীন টেন্ডুলকার (ভারত): জাভেদ মিয়াঁদাদের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি বিশ্বকাপে খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। ৪৫ ম্যাচে রান করেছেন ২২৭৮।


২. সাঈদ আনোয়ার (পাকিস্তান)


তর্কাতীতভাবে পাকিস্তানের সেরা ওপেনার। বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে রান করেছেন ৯১৫।


৩. কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলংকা)


শ্রীলংকার হয়ে ৩৭ ম্যাচে ১৫৩২ রান করেছেন সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শচীন টেন্ডুলকার ও রিকি পন্টিংয়ের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই লিজেন্ড উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।


৪. অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলংকা)


বিশ্বকাপে শ্রীলংকার দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক ডি সিলভা। ৩৫ ম্যাচে ১০৬৪ রান। ’৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করে শ্রীলংকাকে প্রথম শিরোপা জিতিয়ে দেন তিনি।


৫. যুবরাজ সিং (ভারত)


২৩ বিশ্বকাপ ম্যাচে ৭৩৮ রান। ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রাখায় হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরা। ৩৬২ রান করার পাশাপাশি সেবার নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।


৬. ইমরান খান (অধিনায়ক/পাকিস্তান)


’৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান তাদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের যোগ্য নেতৃত্বে। বিশ্বকাপে ৬৬৬ রান ও ৩৪ উইকেট নেয়া অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এশিয়ান বিশ্বকাপ একাদশের নেতৃত্ব দেবেন।


৭. কপিল দেব (ভারত)


তার নেতৃত্বে ভারত প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জেতে ’৮৩-তে। ২৬টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৬৬৯ রান করার পাশাপাশি ২৮ উইকেট নিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম এই সেরা অলরাউন্ডার।


৮. ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান)


বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বোলার। ৩৮ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়েছেন এই সাবেক ফাস্ট বোলার।


৯. জহির খান (ভারত)


২৩ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নেয়া জহির খান বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার।


১০. লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলংকা)


২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম বোলার হিসেবে পরপর চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৩ বিশ্বকাপ উইকেট।


১১. মুত্তিয়াহ মুরালিধরন (শ্রীলংকা)


একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ উইকেটের মালিক মুরালি। এই অফ-স্পিনার ৪০টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৬৮ উইকেট নিয়েছেন।

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেই খেলাটির সবচেয়ে অনুমানের বাইরে থাকা দলটির নাম পাকিস্তান। টানা হারতে থাকা এই দলটি হুট করে জয়ের ধারায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইদানিং ‘আনপ্রেডিক্টেবেল’ তালিকায় পাকিস্তানের সঙ্গে নাম উঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাছাইপর্ব খেলে কোনোক্রমে বিশ্বকাপে আসা দলটি হঠাত্ হঠাত্ ফেভারিটদের উড়িয়ে দিয়ে চমকে দিচ্ছে। ফলে দুটি দলই হয়ে উঠেছে অনিশ্চয়তার সমার্থক।


আর আজ বিশ্বকাপে যার যার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই অননুমেয় দল। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


দুই দলেরই সাম্প্রতিক ফলাফল একেবারে বিস্মরণযোগ্য। পাকিস্তান সর্বশেষ ১০ ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে তারা ১২টি ম্যাচ হেরেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ৯টি ম্যাচই হেরেছে। যে ৫টি জিতেছে, তার মধ্যেও ২টি জয় এসেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।


তবে মজার ব্যাপার হলো, দুই দলই যার যার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দেখিয়েছে, ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন রানবন্যা করতে পারে তারা। সিরিজ কোনো দলই জিততে পারেনি। কিন্তু রানের উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানউৎসব করার জায়গাটাই দুই দলের মূল শক্তি।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে আশাভরসার মূল ব্যাপার হলো তাদের দানবীয় ব্যাটিং। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, সেই হোপ এবং আন্দ্রে রাসেল; কাগজে কলমে অন্তত বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাটিং অর্ডার তাদের। নিজেদের দিনে যে কোনো বোলিংকে ম্লান করে বিশাল স্কোর করে ফেলতে পারে তারা।


পাকিস্তানেরও মূল ভরসা ব্যাটিং তরুণ ইমাম-উল হক, ফাখার জামান বা বাবর আজম ভয়ানক যে হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ তারা রেখেছেন। এই তিন জনের সঙ্গে নবীন আসিফ আলী যোগ দিলে পাকিস্তানও বিশাল স্কোরের পথে হাঁটতে পারে।


তবে দুই দলেরই দুর্বলতা বোলিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাসকে বাদ দিলে বাকিরা সেভাবে দাঁত বসাতে পারছেন না। তাদের বাকি পেসাররা ইংলিশ কন্ডিশনে সেভাবে নিজেদের লাইন লেন্থই খুঁজে পাননি। স্পিনাররাও এ কন্ডিশনে কোনো ভূমিকা রাখার মতো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আছে রহস্যের মধ্যে। দলে শুরুতে রাখা হয়নি মোহাম্মদ আমিরকে। তাকে ছাড়া বোলিং খুব খারাপ করার পর আমিরকে দলে যোগ করা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তাকে বাজিয়ে দেখতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ফলে বোলিং নিয়ে তারাও সংকটে আছে। আজ বলা যায়, একই ধরনের দুই দলের লড়াই। কে বেশি অনিশ্চিত, সেটা প্রমাণের লড়াই।


উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

admin May 31, 2019

আর মাত্র পাঁচ বা ছয় দিন। তারপরই ঈদুল ফিতর। খুশির এই দিনটি উদযাপনে কমবেশি সবাই ঢাকা ছাড়ছে। ট্রেনে-বাসে-লঞ্চে করে শুরু হয়েছে বাড়িমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। গতকাল সকাল থেকেই বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে।


তবে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই রেলের শিডিউলে কিছুটা বিপর্যয় দেখা দেয়। অন্যদিকে বাস বা লঞ্চের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। সদরঘাটে মানুষের চাপ থাকলেও টিকিট নিয়ে কোনো ভোগান্তি চোখে পড়েনি। আর বাসে করে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন মানুষ।


সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, সকাল ৮টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। সে হিসেবে এই ট্রেনের যাত্রীরা ভোর থেকে স্টেশনে ছিলেন অপেক্ষায়। আর ঈদের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে অনেকেই আরও আগে এসে প্লাটফর্মে বসেছিলেন। কিন্তু ৮টার ট্রেন শেষে ঢাকা ছেড়ে যায় সোয়া ১০টায়।


ঈদ যাত্রার শুরু হতে না হতেই সঙ্গী হয়েছে এমন দেরি। তবু বাড়ির টানে এসব দেরিকে তেমন আমলে নিচ্ছেন না কেউ। নাড়ির টানে গ্রামের পথে এবার ঢাকার দুই স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রতিদিন ঢাকা ছাড়ছেন অর্ধলাখ যাত্রী। এর মধ্যে ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট রয়েছে। বাকিরা স্ট্যান্ডিং টিকিটে যাবেন। গতকালও ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।


কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, ঈদের ৩৭ টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের ১৬টি ট্রেনের প্রতিদিন ১৪০৯৫টি টিকিট ছিল। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৬টি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয়েছে। ঢাকা নোয়াখালী রোডসহ সাতটি ট্রেনের টিকিট ৪৮৭৯টি। ঢাকা জামালপুর রুটের স্পেশালসহ পাঁচটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।


ঢাকা নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ ভোটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট টিকিট ১২৫৮ টি। ঢাকা-সিলেট রুটে ৪টি এবং ঢাকা কিশোরগঞ্জের রুটে তিনটিসহ সাতটি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে মোট টিকিট ৪ হাজার ৫৪৮টি। সব মিলিয়ে দিনে ঢাকা থেকে ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ছিল ২৮ হাজার ২২৪টি।


তিনি আরও জানান, চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর নির্ভর করছে ৫ ও ৭ জুনের ঈদের টিকিট বিক্রি। ৫ জুন ঈদ না হলে ৪ জুন সন্ধ্যা থেকে দেওয়া হবে পরের দিনের টিকিট।


এদিকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে গতকাল সদরঘাটেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাড়িমুখো মানুষের ভিড় ছিল। তবে আজ থেকে ভিড় আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দিনে গড়ে দূরপাল্লার নৌযান চলাচল করে ৯০টি। ঢাকা থেকে ১৫০টি রুট ধরে এক লাখ ৭০ হাজার যাত্রী সদরঘাট হয়ে চলাচল করে স্বাভাবিক সময়ে। ঈদ যাত্রায় নৌপথে যাত্রীর চাপ পড়ে দ্বিগুণের বেশি। তবে এসময় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদরঘাট পৌঁছতে গিয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বাস কম থাকায় গুলিস্তান থেকে হেঁটে সদরঘাটে ছুটতে হয় অনেককে।


সদরঘাট থেকে গতকাল বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে গেছে অন্তত ২১৫টি লঞ্চ। আর এসব লঞ্চে করে ঢাকা ছেড়েছেন বিপুল যাত্রী।


বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ঢাকা নদীবন্দরের হিসেবে এ বছর ঈদ করতে সদরঘাট হয়ে নৌপথে ঘরে ফিরবেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। ৪৩টি রুটে প্রতিদিন লঞ্চ চলবে ২১৫টি। তবে এবার ঈদে ঝড়বাদল থাকতে পারে। সে আশংকায় তিন নম্বর বিপদসংকেত দিলেই নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।


ঢাকা নদী বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এ ঈদে ঢাকা বরিশাল রুটে লঞ্চ চলবে ২৩টি, ঢাকা চাঁদপুর রুটে ২৫টি, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে ১৩টি, ঢাকা হুলারহাট ভান্ডারিয়া রুটে চলবে ১০ টি, ঢাকা ভোলা রুটে ৮টি।


এদিকে সড়কপথে এবার যাত্রার আগে থেকেই টিকিটের হাহাকার দেখা গেছে। সড়কপথে ঢাকার মহাখালী, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে উত্তর-দক্ষিণের জেলাগুলোর বাস ছাড়ে। গতকাল এসব টার্মিনাল থেকে মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। তবে বেশি যাত্রীর চাপ পড়বে ১ থেকে ৩ জুন। এর মধ্যে ৩ জুনের কোনো এসি বা নন এসি বাসের সিট পাওয়া যাচ্ছে না।


মহাখালি টার্মিনাল সূত্র জানায়, চাঁদরাত পর্যন্ত এখান থেকে বাস চলবে। তবে ঈদের দিন বেশিরভাগ দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রাত থেকেই আবার কিছু কিছু রুটে বাস চলাচল শুরু হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

admin May 31, 2019

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর একে একে শপথ নিচ্ছেন ৫৫ জন মন্ত্রী। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজনের আসন নিশ্চিত হয়েছে।


নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতিভবনে করা হয় এলাহি আয়োজন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। তারা সবাই যথাসময়ে সেখানে পৌঁছান। অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত হন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীও।


২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদীর শপথের সময় রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।


বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে শপথগ্রহণে যোগ দেওয়ার কথা বললেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন।



বাংলায় তিন মন্ত্রী


মন্ত্রিসভায় নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার পদোন্নতিও হতে পারে। পেতে পারেন পূর্ণ মন্ত্রক। আগের বারের মন্ত্রী ও সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার মন্ত্রিত্বও কার্যত নিশ্চিত। অন্য দিকে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন এসেছে বলে দেবশ্রী নিজেই জানিয়েছেন।

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

admin May 31, 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতেরভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এর বিরোধীতা করেন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।


ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীতে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


এর আগে, সভায় গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

চেহারা নিয়ে কটূক্তি: কেঁদে ফেললেন বিদ্যা (ভিডিও)

চেহারা নিয়ে কটূক্তি: কেঁদে ফেললেন বিদ্যা (ভিডিও)

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিদ্যা বালান, তিনি এমন একজন অভিনেত্রী যার শারীরিক গঠন নিয়ে কিছু কম কথা শুনতে হয়নি। অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যা কেন এত মোটা! এটা নিয়ে জনসমক্ষে কম আলোচনা হয়না।


তবে শুধুই বিদ্যা কেন, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের অত্যাধিক মোটা অথবা রোগা হওয়ার জন্য, কিংবা গায়ের রং, উচ্চতার জন্যও নিত্যদিনই নানান লোকজনের থেকে বিভিন্ন কটূকথা শুনতে হয়েছে বা হয়। যাঁরা এধরনের কথা বলেন, তারা হয়ত যাকে বলছেন তার মানসিক অবস্থার কথা একবারের জন্যও ভাবার প্রয়োজন বোধ করেন না।


সম্প্রতি, বডি শেমিং নিয়ে বলিউডের গান ব্যবহার করে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছেন বিদ্যা বালান। যেখানে তাকে কালো শাড়ির উপর ওড়না গায়ে দিয়ে নিজের গলাতেই বলিউডের বিভিন্ন গানকে এই বডি শেমিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে প্রথম গানটাই হল কভি তো মোটি ক্যাহেতা হ্যায়, কভিতো ছোটি ক্যাহেতা হ্যায়। এছাড়াও হিন্দি ছবির আরও বেশকিছু গান ব্যবহার করতে দেখা গেছে বিদ্যাকে। গান গাইতে গাইতে ক্রমশ যেন বিষন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। গান গাইতে গাইতেই কেঁদে ফেলতে দেখা গেছে তাকে।


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও 'বডি শেমিং' নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিদ্যা। তাঁর মোটা হওয়া নিয়ে ছোট থেকেই তাঁকে নানান কথা শুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।


বিদ্যার কথায়, ‘যখন আমি কিশোরী ছিলাম, তখনই অনেকে আমায় বলতো এতো সুন্দর দেখতে, কিন্তু তুমি ওজন কেন কমাও না? এটা হয়তো বলা সহজ। রোগা হওয়ার জন্য আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন বহুবার আমি অনেক সময় উপোস করে থেকেছি, পাগলের মতো শরীরচর্চা করেছি। তবে কোনওকিছুতেই কিছু হতো না। এর প্রধান কারণ হল হরমোন। শরীরচর্চার কারণে হরমণের সমস্যা হয়তো কিছুটা কমে তবে কিছুদিন পরেই আবার তা যে কে সেই।’


বিদ্যার কথায়, ‘তাই পরবর্তীকালে যখন কেউ আমায় শরীরচর্চার কথা বলো আমার ভীষণই রাগ হতো। লোকে কীভাবে বলতে পারে আমি শরীরচর্চা করি না। আমি যে রোগা হওয়ার জন্য কতটা পরিশ্রম করি, তা কি তাঁদের জানা আছে?’


https://youtu.be/rOunvdHHNYU
পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

admin May 31, 2019

বেজে গেল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দ্বাদশ বিশ্বকাপ। ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্বকাপ, সর্বশেষ আসর বসে ২০১৫ সালে।


এই ১১টি আসরে বিশ্ববাসী দেখেছে অনেক পরিবর্তন। এ সময়ের মধ্যে ৬০ থেকে কমিয়ে ৫০ ওভারে আনা হয়েছে ম্যাচের পরিধি, প্রবর্তন হয়েছে রঙ্গীন পোশাকের। প্রবর্তন হয়েছে সাদা বলের, দিবা-রাত্রির ম্যাচসহ অনেক পরিবর্তনই সাধিত হয়েছে।


এ পর্যন্ত মোট ২০ দেশ অংশ নিয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। তবে তাদের মধ্যে কোবলমাত্র ৭টি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড অংশ নিয়েছে ১১টি টুর্নামেন্টের সব আসরেই। সর্বোচ্চ ১৬টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপ।


দীর্ঘ দিন পর ২০১৯ আসরে প্রথমবার কোন সহযোগী দেশ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরে টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। উপরোল্লিখিত দেশগুলো ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।


বিশ্বকাপে সেরা দল কোনটি প্রশ্ন আসলেই নাম আসে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিযা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছে এবং তারাই একমাত্র দল যারা এক নাগারে তিন বার বিশ্বকাপ জয় করেছে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর পর দুই বার জিতেছে বিশ্বকাপ শিরোপা।



বিশ্বকাপ ‘রোল অব অনার’


১৯৭৫-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৭৯-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৮৩-ভারত
১৯৮৭-অস্ট্রেলিয়া
১৯৯২-পাকিস্তান
১৯৯৬-শ্রীলংকা
১৯৯৯-অস্ট্রেলিয়া
২০০৩-অস্ট্রেলিয়া
২০০৭-অস্ট্রেলিয়া
২০১১-ভারত
২০১৫-অস্ট্রেলিয়া।



ব্যাটিং পারফরমেন্স:


৪১৭/৬ অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ২০১৫। বিশ্ব্কাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
৩৬ কানাডা প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ২০০৩। বিশ্বকাপে সর্ব নিম্নদলীয় সংগ্রহ।
২২৭৮ ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের রান। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান।
২৩৭* মার্টিন গাপটিলের রান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
১৬৫- বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সেঞ্চুরি সংখ্যা।
২৬- অস্ট্রেলিয়া দলের সেঞ্চুরি সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন দলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি।
৬- শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
১৫- শচিন টেন্ডুলকারের হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
৬৭৩-২০০৩ আসরে শচিন টেন্ডুলকারের রান সংখ্যা। বিশ্বকাপের কোন এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান সংখ্যা।



বোলিং পারফরমেন্স :


৭১- অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার উইকেট সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা।
৭/১৫-নামিবিয়ার বিপক্ষে ২০০৩ আসরে গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিং ফিগার। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
৫৪- বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা।
১৩-অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা। বিশ্বকাপে যা কোন দলের সর্বোচ্চবার পাঁচ উইকেট শিকার।
২-বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ বার পাঁচ উইকেট শিকার। অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রাকেস, শ্রীলংকার অশান্তা ডি মেল, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার করে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
২৬- এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা।



উইকেটকিপিং পারফরমেন্স:


৫৪-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। যে রেকর্ডটি শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারার দখলে।
৬ -বিশ্বকাপের কোন আসরে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট এবং ২০১৫ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ এ রেকর্ডের মালিক।
২১- এক আসরে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ বিশ্বকাপে এ রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট।



ফিল্ডিং পারফরমেন্স :


২৮ : বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। যার মালিক অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।
৪-বিশ্বকাপের কোন এক ম্যাচে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের মোহাম্মদ কাইফ, ২০১৫ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, একই আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের উমর আকমলের দখলে রয়েছে রেকর্ডটি।
১১- বিশ্বকাপের এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ আসরে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

০১৫ বিশ্বকাপ, ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো নিউজিল্যান্ড আরো একবার শূন্য হাতে ফিরলো ওই অজিদের সাথে হেরে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনালী ট্রফি ছুঁয়ার সেরা সুযোগ হারালো ব্ল্যাকক্যাপরা। প্রথমবার যে ফাইনালে উঠেছিলা আসরের সহ আয়োজকরা। চ্যাম্পিয়ন না হয়ে সবচেয়ে বেশিবার সেমি ফাইনালে ওঠা দলের নামও নিউজিল্যান্ড। সংখ্যাটা ছয়।মাত্র দুবার গ্রুপ পর্ব বাধা পেরুতে পারেনি কিউইরা।


শুধু বিশ্বকাপ কেনো, আন্তর্জাতিক যে কোন টুর্নামেন্টেই রহস্যের নাম নিউজিল্যান্ড। বরাবরই ডার্ক হর্স হয়ে আসর শুরু করা ব্ল্যাকক্যাপদের ট্রফিটাই শুধু অধরা থেকে যায়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের শোকেসে তাই একমাত্র অর্জন ২০০০ সালে কেনিয়ায জেতা আইসিসি নক আউট ট্রফি।


স্বপ্ন দেখেছিলেন, দলকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একজন। তিনি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফরমার মার্টিন ক্রো। ১৯৯২ আসরের টুর্নামেন্ট সেরা শেষ পর্যন্ত পারেননি। পাকিস্তানের কাছে হেরে সেবার সেমিফাইনালে থেমেছিলো বিশ্বকাপ অভিযান


অথচ বিশ্বকাপের ৭৯ ম্যাচের ৪৮টিতে জয়ে সেরা তিনে জায়াগ পেয়েছে র্যাংকিংয়ের ৪ নম্বর দলটি। তবে সবমিলিয়ে ৭৫৯ মচে অর্ধেকের চেয়ে বেশি হেরেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কিউইরা। এক জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু হবে কেন উইলিয়ামসনের দলের।


এবারের আসরের যথারীতি সমীহ জাগানো দল কিউইরা। যেখানে ভরসার প্রতীক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এ ব্যাটিং স্তম্ভের সঙ্গী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলায় অপেক্ষায় থাকা রস টেলর।সাম্প্রতিক দারুন ফর্মে র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে এ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা মার্টিন গাপটিলকেও রাখতে হবে এই তালিকায়।


পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের পেস অ্যাটাক। র্যাংকিংয়ে দু নম্বরে থাকা ট্রেন্ট বোল্ড, অভিজ্ঞ টিম সাউদিরা ই্ংলিশ উইকেটে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরিরাও গতিময়ততার প্রতীক।


আছে শক্তিশালী অল রাউন্ডার ডিপার্টমেন্ট। কলিন মানরো, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, এমনকি মিচেল স্যান্টনার সকলেই ব্যাটে বলে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের দূর্বলতার জায়গা তাই কোন নির্দিষ্ট বিভাগ নয়। অতীত আর পরিসংখ্যান।

পাকিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

পাকিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

০১৫ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গত আসরের কোয়ার্টারফাইনালে চ্যাম্পিয়ন অসি টিমের কাছে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। এবারের আসরের ডার্ক হর্স পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে টিমটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:


বিশ্বকাপে পাকিস্তান টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে ১৯৭৫, ২০০৩ এবং ২০০৭ তিন আসরে গ্রুপ পর্বে থেকে ছিটকে পড়েছে পাকিস্তান। ১৯৯৬ এবং ২০১৫ দুইবার বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয়েছে ১৯৯৯ আসরে। চার বার (১৯৭৯,১৯৮৩,১৯৮৭ এবং ২০১১) খেলেছে সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা মুহূর্ত আসে ১৯৯২ আসরে। ইমরান খানের নেতৃত্বে এ আসরে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান।


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
বিশ্বকাপে এক ম্যাচে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৪৯। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি গড়ে পাকিস্তান। সর্বনিম্ন ৭৪ রানের রেকর্ডটি গড়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপে এডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।


ইমরান নাজির, শহিদ আফ্রিদির ব্যক্তিগত রেকর্ড:
পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরান নাজির। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক শহিদ আফ্রিদি। ২০১১ বিশ্বকাপে হাম্বানটোটায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট শিকার করে এ রেকড গড়েন তিনি। অবশ্য দ্বিতীয় সেরা ৫/২৩ বোলিং ফিগারের মালিকও তিনি।


পারফরমেন্স বিবেচনায় সবচেয়ে সফল জাভেদ মিঁয়াদাদ ও ওয়াসিম আকরাম
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ। এক সেঞ্চুরি ও নয় হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ১০৮৩ রান নিয়ে তালিকায় সবার শীর্ষে বআছেন তিনি। সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তার অবস্থান ১১তম। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারী পেসার ওয়াসিম আকরাম। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) এবং শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরলিধরনের (৬৮) পর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।


পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ড:
তিনটি করে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন রমিজ রাজা এবং সাঈদ আনোয়ার। সবচেয়ে বেশি নয়টি হাফ সেঞ্চুরি জাভেদ মিঁয়াদাদের। সেরা ৫৩ দশমিক ৮৪ ব্যাটিং গড়েরর মারিক রামিজ রাজা। এক ইনিংসে সর্বাধিক ৪ উইকেটের মারিক শহিদ আফ্রিদি।

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ফগানিস্তান টিমের বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে বিশ্বকাপের একাদশ আসরে। লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টিমটি। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়েই ছিটকে পড়ে আফগানরা। তাদের একমাত্র জয়টি এসেছে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়ার টিমটির জয়ের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে টিমটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:


অতীত পারফরমেন্স:
২০১৫- লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ স্থান


ব্যাটিং পারফরমেন্স :
২৩২-বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৫ আসরে যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল তারা।
১৪২- বিশ্বকাপে আফগান টিমের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
২৫৪- বিশ্বকাপে কোন আফগান খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। রেকর্ডটির মালিক সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
৯৬- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
২-হাফ সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ অর্ধশতকের ইনিংস। যার মালিক সামিউল্লাহ শনওয়ারি।


বোলিং পারফরমেন্স :
১০ উইকেট- বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। যার মালিক শাপুর জাদরান।
৪/৪৮- বিশ্বকাপে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃত্তি গড়েন শাপুর জাদরান।


উইকেটরক্ষক পারফরমেন্স :
৭-ডিসমিজাল-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। যার মালিক আফসার জাজাই।
৩-ডিসমিজাল- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আফসার জাজাইর সাফল্য।


ফিল্ডিং পারফরমেন্স :
৩ ক্যাচ- বিশ্বকাপে আফগান কোন ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান এবং নওরোজ মঙ্গল তিন জনই তিনটি করে ক্যাচ নিয়েছেন।
২ ক্যাচ- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ নবী অস্ট্রেলিয়া, নজিবুল্লাহ জাদরান অস্ট্রেলিয়া এবং নওরোজ মঙ্গল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

পাঁচ বার শিরোপা জিতে বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল টিম অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া দ্বাদশ বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এবারের আসরে এ্যারন ফিঞ্চের টিমের জন্য কাজটি কিছুটা কঠিন হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপের প্রথম ও দ্বিতীয় (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ আসরে বিস্ময়করভাবে রাউন্ড রবীন পর্বে ছিটকে পড়ে। ২০১১ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয় দুই বার(১৯৭৫ এবং ১৯৯৬) বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সফল টিম এবং পাঁচ বার ( ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া টিমের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি হয় ২০১৫ আসরে। নিজ মাঠে এ আসরে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের রেকর্ড গড়ে। বিস্ময়করভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৯৮৩ আসরে চেমসফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে ১২৯ রান।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: ওয়ার্নার এবং ম্যাকগ্রা
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগ ইনিংসটির মালিক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষ ওয়ার্নারের করা ১৭৮ রানের ইনিংসটি। বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২০ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এন্ডি বিচেল।


রিকি পন্টিং এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রভাব:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৪৩ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ রিকি পন্টিং। পাঁচ সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চরি নিয়ে তিন টিমের সর্বোচ্চ স্কোরার এবং সর্বকালের সেরাদের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারী ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপেরও শীর্ষে আছেন।


অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পন্টিং ছাড়া এক হাজারের বেশি রান করেছেন অপর দুই ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ (১০০৪) এবং এডাম গিলক্রিস্ট (১০৮৫) পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পন্টিং। উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ টি ডিসমিজালের মালিক গিলক্রিস্ট। উইকেটরক্ষকের বাইরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড রয়েছে পন্টিংয়ের।

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

তিহাসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:


আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্বনিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।


সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব। বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি। ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।


বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সর্বোচ্চ জুটি।


২০১৯ বিশ্বকাপ কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার টিমের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা টিমকে ভোগাতে পারে। তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে টিমটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

ইংল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

ইংল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এরআগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৯৯’র পর ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা হবে বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসরের আয়োজক হলেও একবারও টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি ইংলিশরা। তিনবার রানার্স-আপ হয়েছে দেশটি। তবে সার্বিক এবার সার্বিক বিবেচনায় এবং হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে এবার শিরোপা জয়ের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে র‌্যাকিংয়ের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের।


বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে ১৯৭৯,১৯৮৭ এবং ১৯৯২ আসরে তিনবার রানার্স আপ হয়েছে ইংল্যান্ড। দুইবার ১৯৭৫ এবং ১৯৮৩ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের। তিন সিংহরা ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। তিন বার (১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১৫) ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে। কেবলমাত্র ২০০৭ আসরে সুপার এইট পর্বে খেলেছে তারা।


বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে এক ম্যাচে ইংল্যান্ডর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৮ রান। ২০১১ আসরে ভারতের ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল ইংলিশরা। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ৯৩। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিার বিপক্ষে এ সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যায় তারা।


ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রেকর্ডের মালিক সাবেক ব্যাটসম্যান এন্ড্রু স্ট্রস। ২০১১ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে এ রেকর্ডের মালিক হন তিনি। বিশ্বকাপে ইংলিশদের ইনিংস সেরা বোিলং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন ভিক মার্ক। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে টনটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে রেকর্ডের মালিক হন মার্ক। দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার টিম ব্রেসনানের ৪৮ রানে ৫ উইকেট শিকার।


গুচ এবং বোথাম:
বিশ্বকাপে ইংলান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী কিংবদন্তী গ্রাহাম গুচ। ২১ ম্যাচ খেলে ৪৪ দশমিক ৮৫ গড়ে তার মোট রান ৮৯৭। একটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। টুর্নামেন্টে টিমের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট (৩০) শিকারের রেকর্ডটি গড়েছেন গুচের সতীর্থ এবং আরেক কিংবদন্তী ইয়ান বোথাম। বোথামের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/৩১।


ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরির মালিক কেভিন পিটারসেন। সাবেক উইকেটরক্ষক এ্যালেক স্টুয়ার্ট টিমের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩টি ডিসমিজালের রেকর্ড গড়েছেন। উইকেটরক্ষক তালিকায় তার নবম স্থানে আছেন তিনি।


ফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অংশ নেয়ায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জেমস এন্ডারসন এবং এ্যালেক স্টুয়ার্ট। দুজনেই ২৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন।

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দ্বাদশ আসরে ফেবারিটদের একটি ভারত। গত আসরে টিমটি সেমফিাইনাল থেকে বিদায় নেয়। টিমটির অতীতের কিছু পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক।


আইসিসি বিশ্বকাপ ইভেন্টে ভারত কেমন করেছে?
বিশ্বকাপের তিন আসর ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ১৯৯২ আসরে রাউন্ড-রবীন পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা। এছাড়া ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বে বিদায় ঘটে তাদের।
১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১৫ তিন বার সেমিফাইনাল খেলেছে উপমহাদেশের টিমটি। রানার্স আপ হয় ২০০৩ বিশ্বকাপে। ১৯৯৩ ও ২০১১ দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত।


বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর
বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এসেছে ২০০৭ আসরে। বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১২৫ রান ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে।


ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় টিমের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। ১৯৯৯ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি।
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার আশিষ নেহরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে এ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।


শচিন টেন্ডুলকার
বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ রানের মালিক কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার। রেকর্ড ৬ আসরে অংশ নিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৫৬ দশমিক ৯৫ গড়ে তার মোট রান ২২৭৮। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির মালিকও টেন্ডুলকার। ৫টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।


ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু রেকর্ড :
সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটিবদ্ধভাবে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১৮ রান করে তারা এ রেকর্ডের মালিক হন। বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে এ তালিকার শীর্ষে আছেন দুই পেসার জহির খান ও জাভাগল শ্রীনাথ। ৩১ উইকেট শিকার করে ভারতের সেরা স্পিনার অনিল কুম্বলে।

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এই নিবদ্ধে আমরা দেখাতে চাই বিগত আসরগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের কিছু পরিসংখ্যান এবং রেকর্ডসমূহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমে সব সময়ই বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় থাকে এবং তারা সত্যিকারার্থেই বিশ্ব ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী টিম। তবে সব টুর্নামেন্টেই গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে তারা খেই হারিয়ে ফেলে কিংবা জিততে পারেনা বলে ‘চোকার’ শব্দটি প্রোটিয়া টিমের সঙ্গে মিশে আছে। দেখার বিষয় হচ্ছে এবারের আসরে টিমটি কেমন করে। এবার আমরা বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কিছু পরিসংখ্যান এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তুলে ধরব।


আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা?
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে ১৯৯২ আসরে। বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো। গত সাত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রোটিয়ারা চার বার ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৭ এবং ২০১৫ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০১১ বিশ্বকাপে তারা দুইবার কোর্য়াারফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। একবার ২০০৩ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে টিমটি।


বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন রান:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১১। ২০১৫ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের এ রেকর্ডটি গড়ে প্রোটিয়ারা। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৪৯। ২০০৭ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।


কার্স্টেন ও হলের রেকর্ড:
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান গ্যারি কার্স্টেন। ১৯৯৬ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে এটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন খেলোয়াড় হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি এন্ড্রু হল’র। ২০০৭ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের হয়ে এ রেকর্ড গড়েন।


এবি ডি ভিলিয়ার্স ও এ্যালান ডোনাল্ডের প্রভাব:
সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১ হাজার ২০৭ রান করেছেন। ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ তিন বিশ্বকাপে তিনি এ রান করেন। ৬৩ দশমিক ৫২ গড়ে তার রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। সাদা বিদ্যুৎ হিসেবে পরিচিত ফাস্ট বোলার এ্যালান ডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট শিকার করেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২০ দশমিক ৩১ গড়ে তিনি শিকার করেন ১৬ উইকেট।


দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের আরও কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া বিশ্ব আসরে এক হাজারের বেশি রান করা অপর দুই খেলোয়াড় জক ক্যালিস (১১৪৮) এবং হার্শেল গিবস (১০৬৭)। বিশ্বকাপে প্রোটিয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি ডাক মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স।


এবারের বিশ্বকাপে যে বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে:
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। বিশ্বকাপে চোকার তকমাও তাদের একটা সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের রয়েছে একটি থিতু টিম এবং শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ বিভাগ। উপড়ন্ত তাদের রয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের মত সক্ষম অধিনায়ক। আমরা মনে করি ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা সেমিফাইনালে যেতে পারে।

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের সঠিক কম্বিনেশন ঠিক করতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে ভাল কিছু করতে পারেনি টিমটি। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলছে উপমহাদেশের টিমটি। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা টিমের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন যাবতই টিমটি খুব বেশি ভাল করতে পারছে না। বিশ্বকাপে টিমটির কিছু পরিসংখ্যানের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক।


অতীতে আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে শ্রীলঙ্কা?
একটি ম্যাচেও পরাজিত না হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া ২০০৭ এবং ২০১১ আসরেও তারা হয়েছে রানার্স-আপ। দ্বীপ রাষ্ট্রটি ছয় বার ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩,১৯৮৭,১৯৯২ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৩ আসরে সেমিফাইনাল খেলা টিমটি ২০১৫ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল খেলে।


বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ ও নর্বনিম্ন স্কোর:
শিরোপা জয় করা ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই টিমটির রয়েছে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এ আসরে নিজ মাঠ ক্যান্ডিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৯৮ রান ছিল বিশ্ব আসরে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮৬। যে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৭৫ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।


ব্যক্তিগত রেকর্ডের মালিক দিলশান ও ভাস:
২০১৫ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ১৬১ রান বিশ্বকাপ ইতিহাসে লংকান খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। অসাধারণ এ ইনিংস খেলার পথে ২২টি বাউন্ডারি হাকান তিনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দিলশান। বিশ্বকাপে এক ইনিংসে লংকান টিমের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক চামিন্ডা ভাস।


২০০৩ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২৫ রানে ৬ উইকেট শিকার টিমটির হয়ে সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ৬/৩৮। মালিঙ্গা এবং ভাস উভয়েই বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেছেন।


সাঙ্গাকারা এবং মুরলিধরনের ছিল ব্যপক প্রভাব:
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা টিমের সর্বোচ্চ ১৫৩২ রান সংগ্রহকারী কুমার সাঙ্গাকারা। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা একই সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ উইকেট শিকারী মুত্তিয়া মুরলিধরন। বিশ্ব আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।


শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের আরো কিছু রেকর্ড:
সাঙ্গাকারা ছাড়াও টিমটির আরো চার খেলোয়াড় সনত জয়সুরিয়া, দিলশান, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং অরবিন্দ ডি সিলভা বিশ্বকাপে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৪টি ডিসমিজালের রেকর্ড রয়েছে সাঙ্গাকারার দখলে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৬টি ক্যাচ নিয়েছেন জয়সুরিয়া। এ ইভেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৮২ রানের পার্টনারশীপ উপুল থারাঙ্গা দিলশান জুটির।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

প্রথম দু বিশ্বকাপ জয়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে ধীরে ধীরে আধিপত্য হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হট ফেভারিটের তালিকায় এবারো নেই ক্যারিবীয়রা। তবে গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের গেম চেঞ্জিং পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখতেই পারেন সমর্থকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সাথে অপূর্ব মেলবন্ধন ক্রিকেটের। আমুদে জাতি হিসেবে পরিচিত ক্যারিবীয়দের ক্রিকেট দর্শনে ট্রফি জয়ের চেয়ে আনন্দ উপজীব্য।


১৯৭০, ৮০র দশকে ক্রিকেট সাম্রাজ্য শাসন করা উইন্ডিজের গৌরব শুধুই অতীত। ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসের মত সোনলী প্রজন্মের হাত ধরে ক্যালিপসো সুরের তালে প্রথম দুই বিশ্বকাপ জয়। তৃতীয় টায় রানার্সআপ। এরপর আর কখনোই ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ উইন্ডিজদের। তারপরও বিশ্বকাপে ৯১ ম্যাচের ৬০ শতাংশ জয় ইংল্যান্ডের চেয়েও এগিয়ে রাখছে মধ্য আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জকে। সবমিলিয়ে ৭৯৯ ওয়ানডেতে জয় ৩৯২ টিতে। তবে র‍্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে উইন্ডিজ।


২০১৫ তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩৭১ ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ। আর সর্বনিম্ন ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ৯৩ রান। টিমটির বিশ্বকাপ সেরা ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা। ৩৩ ম্যাচে ১২২৫ রান ব্যাটিং জিনিয়াসের। আর ২৭ উইকেট নিয়ে কোর্টনি ওয়ালশ সেরা বোলার। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চ ত্রিদেশীয় সিরিজে হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিলো হোল্ডারের টিমের। টানা তিন ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশের সাথে। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাত ক্রিকেটার ছিলেননা সিরিজে।



এক্স ফ্যাক্টর বিধ্বংসী ক্রিস গেইল তাদের একজন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ৫ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় থাকা গেইল নিজের শেষ বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই রাঙ্গাতে চাইবেন চার, ছয়ের ঝলকে। এছাড়াও ড্যারেন ব্র্যাভো, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়াররা ব্যাটিংয়ের ভরসা। তবে ক্যারিবীয়দের শক্তির জায়গা অলরাউন্ডার ত্রয়ী। আইপিএলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল, ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো কার্লোস ব্রাথওয়েট আর অধিনায়ক জেসন হোল্ডারে আস্থা ক্যারিবীয়দের।


সে তুলনায় দূর্বলতা বোলিংয়ে। ওশানে থমাস, শেলডন কটরেলের মত পেসাররা একদিকে যেমন অনভিজ্ঞ তেমনি স্পিনে এখনো পর্যন্ত নির্বীষ অ্যাশলে নার্স, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ৩১ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে উইন্ডিজের। এপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত শক্ত প্রতিপক্ষরা অপেক্ষায়।


টেস্ট, ওয়ানডেতে রাজত্ব হারানো উইন্ডিজ টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিছুটা জ্বলজ্বলে। শেষ তিন ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টির দুটিতে জয় তাই বলছে। ছোট ফরম্যাটের ঝলকটা যদি এবারের বিশ্বকাপে দেখাতে পারেন হোল্ডার, রাসেল, গেইলরা তবে র‍্যাংকিং, ফর্মের হিসাব নিকাশ ভুল হওয়া সময়ের ব্যাপার।

১০ দলের ১০ অধিনায়ক

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হওয়া ১২তম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে দশটি দল। প্রতিটি দলেরই অনেক কিছু নির্ভর করবে তাদের অধিনায়কদের ওপর। এই দশ অধিনায়কের মধ্যে তিন জন মাশরাফি বিন মর্তুজা, ইয়োইন মরগান এবং জেসন হোল্ডার গত আসরেও নিজ নিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাকি সাত জনের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেক এবারই। এবারের বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া ১০ দেশের ১০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অতীত ওয়ানডে রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া


আফগাানিস্তান দল:
অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। তিনি আফগানিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক। গুলবাদিনের কেবলমাত্র অধিনায়ক হিসেবেই বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটবে তা নয়, একই সাথে প্রথমবার তিনি আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।


আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) তিন ফর্মেটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিলে আসগর আফগানের কাছ থেকে সদ্যই নেতৃত্ব পান নাইব। অতীতে নেতৃত্ব দেয়ার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় নাইব কিভাবে নেতৃত্ব দেন এটাই দেখার বিষয়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে ৫২ ওয়ানডেতে নাইবের আছে ৮৩০ রান এবং ৫০ উইকেট।



 

অস্ট্রেলিয়া দল:
এ্যারন ফিঞ্চ। এ্যারন ফিঞ্চের অধীনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা আটটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ফিঞ্চ। তার অধীনে এ পর্যন্ত ২৫ ওয়ানডে ম্যাচের ১৭ম্যাচে জয় পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি বাদে বাকি আটটি জয় এসেছে এ বছর। এ বছর মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরি এবং সমসংখ্যক হাফ-সেঞ্চুরির আগে অধিনায়ক হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই রান খড়ায় ছিলেন ফিঞ্চ।


বাংলাদেশ
মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাশরাফি দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল খেলে বাংলাদেশ।


যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দলকে ১৫ রানে পরাজিত করা। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিরেদশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মাশরাফির দল। যেখানে শক্তিশলিী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই হারায় টাইগাররা। তার অধীনে ৭৭ ম্যাচের ৪৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।


ইংল্যান্ড দল:
অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর ইয়োইন মরগানের নেতৃত্বে ৮০ ওয়ানডের মধ্যে ৫৪ ম্যাচে জয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড।


গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই লজ্জাস্কর বিদায়ের পর মরগানের নেতৃত্বে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। তার অধীনেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ইংলিশরা এখন শীর্ষ দল।


শুধু তাই নয় মরগানের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে দলটি হট ফেবারিট এবং প্রথমবারের মত মেগা এ ইভেন্টের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে।


ভারত
অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার মেরুদণ্ড বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের ইয়োইন মরগানের ন্যায় বিরাট কোহলিও টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতয়ি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর দিনকে দিন কোহিলির নেতৃত্ব গুন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের রেকর্ড ৭৩.৮৮ শতাংশে পৌঁছেছে।


কোহলির অধীনে ভারত ৭৮ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৪৯টিতে জয় পেয়েছে। ইতোপুর্বে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিশ্ব ইভেন্টে দলের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির।


সে আসরে লর্ডসের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে অবশ্য হারতে হয়েছিল ভারতকে। এই প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং স্পট লাইটে থাকা খেলোয়াড়দের অন্যতম একজন এ তারকা ব্যাটসম্যান।


নিউজিল্যান্ড দল:
কেন উইলিয়ামসন। প্রথমবার বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দেয়া সাত জনের একজন কেন উইলিয়ামসন। ২০১৫ আসরের ফাইনাল খেলা দলের সদস্য ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক। অধিনায়কত্বে নতুনত্ব আনা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ছায়া তলে বেড়ে উঠেছেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব উভয় বিভাগেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদন্ড হবেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ক হিসেবে বর্তমানে তার জয়ের হার ৫৩.৯৬ শতাংশ।


পাকিস্তান
পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সরফরাজ আহমেদের নেতৃতত্বেই পাকিস্তান প্রথমবারের মত ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওযার গৌরব অর্জন করে।


একইভাবে এবার ৫০ ওভার বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিতে চাইবেন তিনি। তার অধীনে ৩৯ ওয়ানডের মধ্যে ২১ ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান দল।


বিশ্বকাপে অধিনায়ক, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক তিন ভূমিকা পালন করতে হবে সরফরাজকে।


 

 

দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ফাফ ডু প্লেসিসের অধীনে ৩০ ওয়ানডের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৫টিতে পরাজিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সফল অধিনায়কদের মধ্যে একজন ডু প্লেসিস। তার অধীনে প্রোটিয়াদের জয়ের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ।


২০১৮ সালের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে, জিতেছে পাঁচটি। ওয়ানডেতে গড়ে ৪৬.৫৪ রার করা এ স্টাইলিশ মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান মিডল অর্ডারে অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। এমনকি লোয়ার মিডল অর্ডারেও ব্যাটিং করতে সক্ষম তিনি।


শ্রীলংকান দল:
দিমুথ করুনারত্নে। ২০১৫ বিশ্বকাপে মার্চ মাসে নিজের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন দিমুথ করুনারত্নে। নিরোশান ডিকবেলা, দিনেশ চান্ডিমাল, উপুল তারাঙ্গা এবং আকিলা ধনঞ্জয়ার মত কিছু নিয়মিত ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সেবা পাচ্ছেনা শ্রীলংকা।


২০১৯ বিশ্বকাপের কয়েক দিন আগে অধিনায়ক হিসেবে করুনারত্নের নাম ঘোষণা করে শ্রীলংকা ক্রিকেট। এ বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে করুনারত্নের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করে শ্রীলংকা। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে এখনো তার অভিষেক হয়নি। রান করার টেকনিক এবং কিভাবে রান পেতে হয় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সেটা ভাল জানেন তিনি। তবে ১৮ গড়ে ১৭ ওয়ানডেতে তার রান মাত্র ১৯০।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
জেসন হোল্ডার। প্রথম দুই বিশ্বকাপ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ আসরের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দলটির বর্তমান অধিনায়ক শিরোপা জয়ী তৎকালীন নেতা ক্লাইভ লয়েডের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। হোল্ডার সম্প্রতি ক্লাইভ লয়েডের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে হোল্ডার এবারের বিশ্বকাপেও লর্ডসের ফাইনালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আশা ব্যক্ত করেছেন।


সর্বশেষ এই লর্ডসেই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের টুর্নামেন্টে সর্ব কনিষ্ঠ অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন হোল্ডার। তবে নবীন-প্রবীণ এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে গড়া দল নিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতেই নজর তার। অবশ্য ২০১৪ সালের পর কোন ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ফেব্রুয়ারীতে নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজ ড্র করেছে। তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই বাংলাদেশের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে।

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে ওয়াশিংটন ডিসি'র এলিপস পার্কে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে দর্শকদের সামনেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।


৫২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এলিপস পার্কটি হোয়াইট হাউসের দক্ষিণে অবস্থিত। এর অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি'র কেন্দ্রস্থলে, ন্যাশনাল মলের উত্তরে এবং ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভ'র ঠিক উত্তরে।


দেশটির সিক্রেট সার্ভিস'র মুখপাত্র জেফ্রে অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, 'খবর পেয়ে মুহূর্তেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা ওই ব্যক্তির শরীরের আগুন নিভিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


ওয়াশিংটনের ফায়ার সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'এলিপস পার্ক থেকে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে সহায়তা করছি।


ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।


একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ন্যাশনাল মলের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তিকে এলিপস পার্কের ভেতর দৌড়ে যেতে দেখেন। এরপরই দেখা যায় ওই ব্যক্তির সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।


এর আগে গত ১২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের গেইটের সামনে একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নিজের জ্যাকেটে আগুন ধরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সূত্র : সিএনবিসি

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

admin May 31, 2019

বেন স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঘরের মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করলো ইংল্যান্ড। এদিন ইংলিশদের সামনে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আর স্টোকসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের আলোচিত পেসার জোফরা আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে যেন আত্মসমর্পণই করে ডু প্লেসিসবাহিনী।


ইংল্যান্ডের দেয়া ৩১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। বেন স্টোকস, ইয়ন মরগান, জেসন রয় এবং জো রুটরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। বোলিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেন জোফরা আর্চার।


তরুণ এই পেস বোলারের গতির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিস ও জেপি ডুমিনিরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং ভেন দার দাসুনের জোড়া ফিফটি আফ্রিকার পরাজয় এড়াতে পারেনি। বিশ্বকাপের ১২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটে বলের অসাধারণ নৈপুণ্যে ১০৪ রানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি রয়েছে জেসন রয়ের।


জেসন রয়ের বিদায়ের ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস।


দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


৩১২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংলিশ তরুণ জোফরা আর্চারের গতিকে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৪ রানে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ফিরলেও সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে আউট হন আমলা।


দক্ষিণ আফ্রিকার এই মুসলিম ক্রিকেটারকে বাউন্সার দেন জোফরা। কপালে চোট নিয়ে মাঠ থেকে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েন অ্যাডাম মার্কওরাম। ১২ বলে ১১ রান করে জোফরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মার্কওরাম।


৮ রানের ব্যবধানে জোফরাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানে আমলা রিটায়ার্ড হার্টসহ তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ভেন দার দাসুনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানে জুটি গড়ে ধকল সামাল দেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন তিনি। দলীয় ১২৯ রানে ফেরেন ডি কক। তার আগে ৭৪ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডি কক।


ডি ককের বিদায়ের পর রীতিমতো উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্য্যত ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দাসুন। তিনি ৬১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন জোফরা আর্চার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯.৫ ওভারে ২০৭/১০ (ডি কক ৬৮, দাসুন ৫০, ফেয়ালুকাওয়ে ২৪; আর্চার ৩/২৭)। ফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

admin May 31, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম (২৫) এর লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ার চর গ্রাম এলাকায় জিঞ্জিরাম নদী তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


এর আগে বুধবার রাত ৩টার দিকে রৌমারী উপজেলার পুর্বকানিয়ারচর সীমান্তের ১০৫৮ নম্বর আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলারের নিকট বাংলাদেশী কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলিতে মাইদুল নিহত হয়।


ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ মাইদুলকে তার অন্যান্য সঙ্গিরা কাঁধে করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতা এড়াকে নিহত মাইদুলের লাশ তার সঙ্গিরা জিঞ্জিরাম নদীতে ফেলে দেয়। নিহত গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের সাইজুদ্দিনের পুত্র।


৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সতত্য স্বীকার করে জানান, এঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়া অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪ ও জো রুট ৫১ রান করেন। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন রয়।


জেসন রয়ের বিদায়ের চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন বেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস। দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

admin May 31, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগম।


এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রইচ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) শামীমা নাসরিন, প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল প্রমূখ।


এবারে চলতি মওসুমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ২’শ ৩৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামী ৩১ আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে এ ধান সংগ্রহ করা হবে।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

admin May 30, 2019

অপেক্ষার পালা শেষ। শুরু হলো ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। যদিও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেছে আগের দিনই। ব্যাকিংহ্যাম প্যালেসের সামনে ঐতিহ্যবাহী লন্ডন মলে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। আর মাঠের লড়াই শুরু আজ। প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আর শুরুর শুরুটা ভালো হয়েছে স্বাগতিকদের। টস জিতে নিয়েছে তারা। তবে ব্যাটিং স্বর্গে আগে বল করবে দলটি। বাংলাদেশ বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।


জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো সম্ভবত চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটি। তিন জো রুট, এরপর ইয়ন মরগান। শেষ দিকে ঝড় তুলতে আছেন জস বাটলার, বেন স্টোকসের মতো খেলোয়াড়। তাই নিঃসন্দেহে এবারের সেরা ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। বোলিং বিভাগও দারুণ। শেষ দিকে দলে ঢুকেছেন বিস্ময় পেসার জোফরা আর্চার। স্পিন আক্রমণে আদিল রশিদ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তবে ইনজুরির কারণে এদিন নেই দলের অন্যতম ভরসা পেসার মার্ক উড।


ব্যাটিং লাইন আপটা খারাপ নয় দক্ষিণ আফ্রিকারও। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি যে কোন দলকে ভোগাতে পারে। এরপর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি, জেপি ডুমিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং বিভাগটা আরও বেশি শক্তিশালী তাদের। যদিও এদিন দলের সেরা পেসার দেল স্টেইনকে পাচ্ছে না তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক পেসার কাগিসো রাবাদা একাই ধসিয়ে দিতে পারেন যে কোন দলকে। এক্স ফ্যাক্টর হতে পারে ইমরান তাহিরের লেগ স্পিন।


গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই টনক নড়েছিল ইংলিশদের। এরপর থেকে গেল চার বছরে ঢেলে সাজিয়েছে ক্রিকেটকে। তার ধারাবাহিকতায় শেষ ১৯টি সিরিজের ১৫টিতেই জিতেছে তারা। বিশেষ করে ঘরের মাঠে দারুণ শক্তিশালী দলটি। কদিন আগে পাকিস্তানকে দিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। আর এবার বিশ্বকাপ তো ঘরের মাঠেই। ভালো কিছু করতে চায় দলটি।


অন্যদিকে এবারই হয়তো প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার দল নিয়ে ততোটা হাঁকডাক নেই। আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামছে দলটি। আর নিজেদের এ আন্ডারডগ তকমাটাও পছন্দ প্রোটিয়াদের। প্রত্যাশার চাপ থেকে মুক্ত থাকার দাওয়াই হয়তো এতেই মিলবে। কে না জানে বিশ্বকাপের মঞ্চে যে বরাবরের চাপে ভেঙে পড়েছে এ দলটি। তাই তো তাদের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে চোকার্স তকমা।


ইংল্যান্ড একাদশ:


জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:


হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক),আইডেন মার্করাম, ফাফ দু প্লেসি (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।

বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

admin May 30, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের কাচা রাস্তার পাশ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।


নিহত ব্যক্তিরা হলেন নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর খোলাপাড়া গ্রামের রাজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র রায় (৩৩) এবং একই উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে হানিফুর রহমান (৩৩)। নিহত দুই ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানা গেছে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের কাচা রাস্তার ধারে স্থানীয়রা দুইজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।


নিহত হানিফুর রহমানের বড় ভাই আবদুল হালিম বলেন, তার ভাই বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। তার ভাই হানিফ ও বিপ্লব ছোটবেলা থেকে খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।


দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে অভিযান চলছে।


বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক শাকিলা পারভীন জানান, ‘মরদেহ দুটি উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’

রানী এলিজাবেথের সঙ্গে মাশরাফিসহ ১০ অধিনায়ক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটেনের রানী আলেকজান্দ্রা মেরি বা দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা ওঠে।


তার আগে বিশ্বকাপের ১২তম আসরে অংশ নেয়া ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করা অধিনায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রানী এলিজাবেথ।পৃথিবীর বৃহত্তম রাজকীয় রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেটের রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়ক।


৩০মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।



প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়স্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান এই ১০টি দেশ অংশ নিচ্ছে।


আর এ ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন- ইংল্যান্ড- ইয়ন মর্গান, অস্ট্রেলিয়া-অ্যারন ফিঞ্চ, ভারত-বিরাট কোহলি, পাকিস্তান-সরফরাজ আহমেদ, বাংলাদেশ-মাশরাফি বিন মুর্তজা, দক্ষিণ আফ্রিকা-ফাফ ডু প্লেসিস, নিউজিল্যান্ড-কেন উইলিয়ামসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জেসন হোল্ডার, শ্রীলংকা-দিমুথ করুনারত্নে, আফগানিস্তান-গুলবাদিন নায়েব।


বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জয়া-রাজ্জাক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক ও অভিনেত্রী জয়া আহসান। অনুষ্ঠানে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়। ক্রিকেটা তারকা আব্দুর রাজ্জাক মাত্র ৪ বল খেলে ২২ রান করেন। অভিনেত্রী জয়া আহসান কোনো রান নিতে পারেননি।


পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধি হিসেবে আসেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আজহার আলী। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জায়ী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েসমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্টান শুরু হয়।



আগামী সাত সপ্তাহে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসজুড়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ওভালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে এই বড় আয়োজন। বুধবার টিকিট পাওয়া কয়েক হাজার ক্রিকেট ভক্ত বাকিংহাম প্রসাদের সামনে আইকনিক সড়ক দ্যা মলে গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেট উদযাপনে অংশ নেন।


ব্রিটেনের বিখ্যাত পত্রিকা ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু এটাকে একটা স্মরণীয় রাত হিসাবে উদযাপনের সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠান শুরুর সহায়তায় বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিও উপস্থিত থাকবেন।

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রাসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০ টায় বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে।


শুরুতেই প্রতিটি দলের দুজন করে প্রতিনিধিকে ডেকে নেন উপস্থাপক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় দলের ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন ক্রিকেটার আজহার আলী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নারী মালালা ইউসুজাই।


বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণকারী ১০টি দলের প্রতিনিধিদের খোলা সড়কে ৬০ সেকেন্ডের মায়াবী ক্রিকেটে মুগ্ধতা ছড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়। সেই সুযোগ সবাই লুফে নেন। টেবিল টেনিসের বলে খেলা সেই এক মিনিটের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ড।


মজার ক্রিকেটে জয়া আহসান মাত্র একটি বলে ব্যাট লাগাতে সক্ষম হন। তবে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০৭টি উইকেট শিকার করা বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বদৌলতে ২২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ পিছিয়ে ছিল ভারত। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহানা আখতার মাত্র ১৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।


৬০ সেকেন্ডের মজার ক্রিকেট শেষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী লরিন গেয়ে শোনান ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সং ‘স্ট্যান্ড বাই...’। পাশে থেকো সারা বিশ্বের ক্রিকেটানুরাগীদের ইংল্যান্ডের আহবান, পাশে থেকো। কাছে থেকো।


এরইমাঝে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও হাতে নিয়ে মঞ্চে রাখেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্র ফ্লিনটফ।


তার আগে দ্য মলের শেষ মাথায় লন্ডনের বিখ্যাত বাকিংহাম রাজ প্রাসাদের ১৮৪৪ কক্ষে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি দলের অধিনায়ক। তাদের মাঝে লাল-সবুজের পতাকা বহনকারী মাশরাফি মুর্তজাকে দারুণ সপ্রতিভ দেখাল।

একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি সাদেক কুরাইশী

admin May 30, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
দেশে যখন খাদ্য সঙ্কট, মানুষের দ্বাারে দ্বারে অভাব, খেয়ে না খেয়ে মানুষ যখন জীপন যাপন করছিলো। উচ্চশিক্ষা অর্জন যে সময় অনিশ্চিত চাওয়া ছিলো শিক্ষার্থীদের। সে সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন তিনি। এ জেলাতেই শৈশব, কৈশর কাটিয়ে বেড়ে উঠা তাঁর। এ অঞ্চলের মানুষের সেই দুঃসমের চিত্র তাঁর মনে ছাপ ফেলে। তখনই বুকের ভেতর স্বপ্ন বুনে একটি স্বচ্ছল দিনের। যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকবেনা আর শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেনা কোন শিক্ষার্থী।


তাঁর জন্মস্থানে তারই শৈশব ও কৈশরকাল খুঁজতে গিয়ে মিলেছে নানা অজানা তথ্য। তিনি তখন থেকেই ভাবতেন দেশ ও দেশের মানুষের জীবন মান কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে কথা? নিজের জন্মভূমিতে প্রতবেশীদের অভাব অনটন আর মানুষের জীবনের সঙ্কটময় সময় তিনি দেখেছেন খুব কাছ থেকে। মানুষের দুঃসময়ে শৈশবকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে উজার করছেন তিনি। এমনকি নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে মেধাবী গরীব সহপাঠীদের লেখাপড়ার জন্য করেছেন নানা রকম সাহায্য সহযোগীতা। সে সময় থেকেই তিনি এলাকার একটি সোনার টুকরো ছেলে। যিনি ভাবেন অসহায় প্রতিবেশী, সহপাঠী আর গরীব মেহনতী মানুষদের নিয়ে। এমনই অজানা তথ্য এই প্রতিবেদককে জানাচ্ছিলেন তাঁরই একাধিক প্রতিবেশী ও সহপাঠী।


আরও জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত তিনি। মানুষের সেবায় নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত করতে প্রস্তুত তিনি। সে ইচ্ছা ও মানুষের পাশাপাশি থেকে মানুষের অধিকারে কথা বলতে করেছেন ছাত্র রাজনীতি। অনেক মেধা, শ্রম ত্যাগের বিনিময়ে তিনি আজ একজন আপাদমস্তত রাজনীতিবিদ। তাঁর রাজনীতি জীবন যাত্রা শুরু হয়ে আজও থামেনি। পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোনোদিন।



তিনি তার রাজনৈতিক দলকে সুসংগঠিত করেছেন। কাঙ্খিত লক্ষ্যেও নিয়েছেন প্রিয় দলকে। নজর কেড়েছেন দলের শীর্ষ নেতাসহ সভানেত্রী শেখ হাসিনারও। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ছিলেন কাণ্ডারি। তিনি হলেন-ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।


তিনি ১৯৬০ সালের ৩১ শে আগস্ট ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন। এরপর ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণি পড়েছেন বর্তমান ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭৫ সালে ঠাকুরগাঁও রোডের ইসলাম নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৭৭ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৯ সালে বিএ পাস করেন মুহা. সাদেক কুরাইশী।


সরকারি কলেজে পড়াকালে ছাত্ররাজনীতি করেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সামরিক আইন জারির সময় গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের সুসংগঠিত করে সভা, সমাবেশ মিছিলসহ বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংগ্রামেও লিপ্ত ছিলেন তিনি। সে সময় অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আন্দোলনে আরও কার্যকরি হন মুহা. সাদেক কুরাইশী। আন্দোলনের পর পুনঃরায় চাকরিতে যোগদান করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগ হয়ে ওঠে গঠনমূলক ও শক্তিশালী। তার দক্ষতা ও নেতৃত্বের অগ্রগতিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। পরে চলে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে।


১৯৯১ সালে দায়িত্ব পান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের। ১৯৯৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে দলীয় কোন্দলে দল জড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্র থেকে ভেঙ্গে দেয়া হয় কমিটি। সেই সময় ছিল দলের দুঃসময়। দলের ভার পড়ে যায় তার কাঁধে। সাদেক কুরাইশী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদে থেকে তিনি দলের কোন্দল দূর করে সুসংগঠিত করেছেন। দিনরাত শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছেন। ২০০৫ সালের দলীয় কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাদেক কুরাইশী। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।


২০১১ সালের ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেন সাদেক কুরাইশীকে। নিয়োগ প্রাপ্তির পর জেলা পরিষদ সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা পাল্টিয়ে ইতিবাচকে নিয়ে এসেছেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জেলার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যুরাল ও স্মৃতি ফলক স্থাপন করেছেন জেলা পরিষদ থেকে।


জেলার ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বালিয়াডাঙ্গী মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরাল, জাতীয় চার নেতার ছবি সম্বলিত ম্যুরাল, জেলা পরিষদ হল রুমের সামনে ৭ বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল, ডাকবাংলো হলের সামনে ও নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ম্যুরাল। এছাড়াও জেলা পরিষদের অর্থায়নে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, এডিবির উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহা. সাদেক কুরাইশী। বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার অনগ্রসর এলাকা চিহ্নিত করে সুপেয় পানির জন্য শতাধিক স্থানে টিউবয়েল স্থাপন করেছেন। সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলা কর্মকান্ডের জন্য জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা।


সর্বশেষ ২০১৫ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে আবারো ঠাকুরগাঁওজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।


তিনি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য নির্মূলে দলীয় অবস্থান থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত দূর্গ গড়ে তুলেছেন। সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তিনি জনগণকে এক্যবদ্ধ করেছেন। সকল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।


উল্লেখ্য সাদেক কুরাইশী ২০০৯ সালে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দিনের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ পরিষদে যোগ দেন। ২০১৫ সালেও কোরিয়া ও চীনে সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রণ পান।


সাদেক কুরাইশীর রাজনৈতিক উত্থান কোন গল্প নয় একটি বাস্তব ইতিহাস। তাঁর নিরলস ও কঠোর পরিশ্রমে দল আজ গোছানো। ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চেনে এবং জানে। এক কথায় বলতে গেলে আ. লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাণ্ডারী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও মানুষের নেতা মুহা. সাদেক কুরাইশী। তাই দলীয় নেতাকর্মীসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাওয়া ও বিশ্বাস যে, জননেতা সাদেক কুরাইশী একদিন ভবিষ্যতে রাজনীতির আরও ভালো স্থানে গিয়ে নেতৃত্ব দেবে এবং এভাবেই মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে তাঁর সকল ভালো কাজের জন্য তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে।

মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে রংপুরের তৈরি টুপি

মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে রংপুরের তৈরি টুপি

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদকে সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদার কারণে কঠোর পরিশ্রম করে টুপি তৈরি করছেন রংপুরের টুপি শ্রমিকরা। টুপি শ্রমিকদের নিপুন হাতের কারুকার্য সম্বলিত টুপি এখন ওমান, সৌদি আরব, কাতার ও জাপানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। আর এতে করে গ্রামের হতদরিদ্র প্রায় ২৫ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গৃহস্থলির কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি থেকে আয় দিয়ে পরিবারগুলো দারিদ্র্য জয় করেছে।


রংপুরের পীরগাছা উপজেলার নব্দিগঞ্জ, ইটাকুমারীর হাসনা গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার নারী এ কাজ করছেন। শুধু পীরগাছা উপজেলায় নয়, রংপুর সদর, কাউনিয়া, লালমনিরহাটের তিস্তার চর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীরা টুপি বানিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করেছেন। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের খোপাতি গ্রামের হাফেজ আবদুল আউয়াল। তার টুপি ফ্যাক্টরির নাম দিয়েছেন ‘এমএইচ টুপি কারখানা’।


টুপি তৈরিতে আবদুল আউয়ালের সাফল্য সম্পর্কে জানা যায়, তিনি সিলেট টেক্সটাইল জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করতেন। পরে বদলি হয়ে আসেন কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলে। এরপর সরকার ২০০২ সালে বাধ্যতামূলক অবসরের ঘোষণা দিলে তিনি অবসরে যান। এসময় তিনি অবসরে যাওয়ার কারণে সরকার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পান। কিছুদিন বসে থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেন। এরপর মনে মনে ভাবেন, যে টাকা রয়েছে, তা টাকা দিয়ে এমন কিছু করবেন যাতে নিজে এবং সমাজের অবহেলিত মানুষও উপকৃত হয়। এ সময় তিনি জানতে পারেন তাদেরই গ্রামের পাশে ফেনী ও নোয়াখালী থেকে এসে টুপি বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেকে।


পরে ২০০৫ সালে তার পূর্বপরিচিত এক লোকের মাধ্যমে ফেনী চলে যান। সেখান গিয়ে তিনি ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের কাছে প্রায় ২ মাস টুপি বানানোর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তার কাছ থেকে ৩০০ পিস টুপি বানানোর কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে আসেন বাড়িতে। নিজে এবং বাড়ির পাশের কয়েক নারীকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলোর কাজ শেষ করে আবার তা ফেনিতে পাঠিয়ে দেন। কাজ দেখে মালিক আবুল খায়ের বেশ খুশি হন। এ জন্য প্রতিটি টুপি তৈরি বাবদ তাকে দেওয়া হয় ৫শ’ টাকা। যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রতি টুপিতে তার লাভ হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এভাবে শুরু হয় তার ব্যবসা। অবসর থেকে পাওয়া ও জমি বন্ধকের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে নিজেই কিনে ফেলেন মোটরচালিত ৫০টি সেলাই মেশিন। ওইসব মেশিন দিয়ে চলে টুপি সেলাই ও এম্ব্রয়ডারির কাজ। কাউনিয়ার বালাপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে করেছেন অফিস ও কারখানা। আস্তে আস্তে তার ব্যবসা প্রসারিত হতে থাকে।


কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের তহুরা বেগম। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। সংসারে জমি-জিরাত বলতে শুধু চার শতক ভিটা। তহুরা বলেন, স্বামী মজুরি দিয়ে সংসার চালাত। তিনি মারা যাওয়ার পর খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে কেটেছে সংসার। এরপর হাফেজ আউয়ালের টুপি তৈরির কারখানায় দেড় মাস প্রশিক্ষণ নেন। শুরু করেন টুপি বানানোর কাজ।


তিনি বলেন, এখন আর না খেয়ে থাকতে হয় না, ভালোই চলছে সংসার। তিনি জানান, তার কাজ হচ্ছে টুপির চারদিকে মোটা সুতা ঢোকানো। যাকে আঞ্চলিকভাবে বলা হয় হাসু। এতে তিনি পান প্রতিটি টুপির জন্য ২০ টাকা। এতে তার মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আয় হয়।


শহীদবাগ ইউনিয়নের ছাত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, যখন আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। এক সময় টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এখন আমি টুপি তৈরির কাজ করে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাই। পাশাপাশি বাবা-মাকেও কিছু সংসার খরচ দিই।


কাউনিয়ার জয়ন্তী রাণী জানান, তার স্বামী একটি এনজিওতে কাজ করেন। বেতন খুব একটা বেশি পান না। তাই তিনি টুপিতে নকশার কাজ করেন। তিনি আরও জানান, মাসে তিনটির বেশি টুপিতে নকশা করা যায় না। তিনটি টুপি নকশা করে তার আয় হয় ১২শ’ টাকা, যা দিয়ে স্বামী আর এক মেয়েসহ ভালোভাবেই দিন কেটে যায়।


এমএইচ টুপি কারখানার সুপারভাইজার খোরশেদ আলম বলেন, আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সুতাসহ টুপি দিয়ে আসি নকশা করার জন্য। নকশা হয়ে গেলে তা আবার ফেরত নিয়ে আসি টাকা দিয়ে। এতে আমরা পাই প্রতি টুপি বাবদ ২০ টাকা।


মাহমুদিয়া হস্তশিল্প টুপি (এমএইচ টুপি) কারখানার মালিক হাফেজ আবদুল আউয়ালের ছেলে মাহামুদুল হাসান জানান, তার বাবা ব্যবসার প্রয়োজনে বেশির ভাগ সময় ওমানে থাকেন। ওমানের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার সঙ্গে তাদের কয়েক বছর আগে চুক্তি হয়েছে। তখন থেকে সরাসরি তারা নিজেরাই ওমানে টুপি রফতানি করছেন। তিনি জানান, এখন সপ্তাহে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টুপি তৈরি হচ্ছে।


টুপির উৎপাদন খরচ ও বিক্রি প্রসঙ্গে মাহামুদুল হাসান জানান, সুতা, কাপড়, পরিবহন খরচ, বিদ্যুৎ, মজুরিসহ অন্যান্য খরচ মিলে একটি টুপিতে খরচ পড়ছে ৫শ’ থেকে ৫১৫ টাকা। ওমান পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ পড়ে ৬শ’ টাকা থেকে ৬১৫ টাকা। ওই টুপি তিনি বিক্রি করেন ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি টুপিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা লাভ থাকছে।


তিনি বলেন, এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। যার ওপর অনেক সুদ দিতে হয়। কম সুদে টাকা পাওয়া গেলে ব্যবসা আরও বাড়ানো যেত। আয়ও বেশি করা যেত। মাসে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টুপি রফতানি করা হচ্ছে। এ থেকে মাসে আয় হচ্ছে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। তবে সব মাসেই আয় এক রকম থাকে না।


তিনি বলেন, এই টুপিতে উন্নতমানের কাপড়ের ওপর বাহারি সুতার কাজ করা হয়। ফলে কারুকার্য বেশি হওয়ায় টুপির দাম একটু বেশি পড়ছে। এ টুপি আমাদের দেশে বিক্রি হয় না। বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই রফতানিযোগ্য করে এসব টুপি তৈরি করা হয়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three