যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

যশোর রোডের ভারতীয় অংশের প্রাচীনগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: যশোর রোডের ভারতীয় অংশে ৩৫৬টি অতি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা সংলগ্ন বারাসাত থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চেকপোস্ট পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচলে গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার পাঁচটি উড়ালপুল বা ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেজন্যই তারা গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অতি প্রাচীন ঐ গাছগুলি কেটে ফেলতে শুরু করেছিল।


স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা আদালত থেকে গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন, যা এতদিন বলবত ছিল। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে ৩৫৬টি গাছ কেটে ফেলা যেতে পারে। তবে প্রতিটি গাছের পরিবর্তে আইন অনুযায়ী পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগাতে হবে। যে পরিবেশকর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, তাঁরা শুক্রবারের রায়ের পরে বলছেন, "আমরা হতাশ, এতগুলো হেরিটেজ গাছ কেটে ফেলা হবে।"


অন্যতম মামলাকারী মানস দাস বলছিলেন, "এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আশা করি সেখানে আমরা সঠিক বিচার পাব। কিন্তু যে কারণে আমরা হতাশ এই রায়ে, তা হল, কোর্ট অফিসাররা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেগুলোকে কোনও মান্যতাই দেওয়া হল না? তারা তো সরকারের দেখানো রিপ্ল্যান্টেশনের ব্যবস্থাতে সন্তুষ্ট হন নি। ঐতিহ্যশালী গাছের বিষয়টাকেও মান্যতা দেওয়া হল না।"


এ নিয়ে ২০১৭ সালে যখন মামলা দায়ের হয়, তখন আদালত গাছ কাটার ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করে দুজন কোর্ট অফিসার নিয়োগ করেছিল, যারা সরেজমিনে দু'দিন ধরে সরকারের দেওয়া রি-প্ল্যান্টেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু প্রতিটি কেটে ফেলা গাছের বদলে যে পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, তার জায়গাই দেখাতে পারে নি সরকার, এমনটাই আদালতকে আগে জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। অন্যদিকে যশোর রোড সম্প্রসারণের দাবীও অনেকদিনের। স্থল সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুগম করতে রাস্তা চওড়া করাও দরকার।


পরিবেশকর্মীরা মামলায় এটাও বলেছিলেন যে পেট্রাপোল সীমান্ত চৌকি থেকে দু'কিলোমিটার রাস্তা যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে - পুরনো রাস্তার ধারে প্রাচীন গাছগুলিকে অক্ষত রেখে তার অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে - সেই ভাবেই যশোর রোডের বাকি অংশের সম্প্রসারণ হতে পারে।


বনগাঁর বাসিন্দা অজয় মজুমদার বিবিসিকে বলছিলেন, "আমরা কখনই রাস্তা চওড়া করার বিরোধী নই। আমরা শুধু বলেছিলাম গাছগুলোকে না কেটে পাশ দিয়ে রাস্তা হোক। বাঁধানো রাস্তা তো মিটার পাঁচেক, কিন্তু তার পাশে আরও প্রায় কুড়ি মিটার মতো জমি রয়েছে। যেভাবে সীমান্তের কাছে ভারতের দিকে শেষ দু কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে - মাঝখানে গাছও আছে, আর পাশে রাস্তাও হয়েছে - সেভাবেই পরিকল্পনা করা যায়।"




[caption id="" align="aligncenter" width="624"] আকাশ থেকে গাছে ঢাকা-যশোর রেডের ভারতীয় অংশের ছবি[/caption]

যদিও পুরো রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনার বদলে প্রথমে যশোর রোডের ওপরে পাঁচটি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্যই এই ৩৫৬টি গাছ কাটতে হবে। আজ শুক্রবারের রায়ের পরে আরেক পরিবেশকর্মী অমিতাভ আইচ বলছিলেন, "রায় হতাশাজনক তো বটেই, যদিও পুরো রায়ের কপি এখনও হাতে পাই নি। তবে শুনছি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে। কিন্তু আমার আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই রাতারাতি এই প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গাছগুলো কেটে না ফেলা হয়। এগুলো তো আইন অনুযায়ীই হেরিটেজ গাছে তকমা পাওয়ার কথা।"


মি. আইচ আরও বলছিলেন, "একটা বিকল্প হতে পারত যে টানেল বোরিং মেশিন বসিয়ে ফ্লাইওভারের বদলে ভূতল টানেল তৈরি। প্রাথমিক খরচ হয়তো বেশী, কিন্তু দীর্ঘকালের জন্য মেনটেনান্স খরচ বেশ কম। আবার পরিবেশও বাঁচানো যেত এর মাধ্যমে।" পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, যশোর রোড শুধু একটা রাস্তা নয় - এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য।



[বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী]

"আগে যখন আমরা পেট্রাপোল সীমান্ত অবধি যেতাম, গোটা রাস্তার ওপরে তাঁবুর মতো হয়ে থাকত গাছগুলো। আসলে গাছের তো ভোটাধিকার নেই, তাই ওগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই চায় না যে ভোট দেয় যারা - সেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষতি করতে। অথচ রাস্তা চওড়া করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করাই যেত। যশোর রোড তো নিছক কোনও রাস্তা নয় - এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য। সেটা রক্ষা করতে পারলে পৃথিবীর কাছে একটা উদাহরণ হয়ে উঠত," বলছিলেন সুভাষ দত্ত।


দমদম বিমানবন্দরের পরে বারাসাত শহর ছাড়িয়ে কিছুটা এগোলেই যশোর রোডের ওপরে ছাতার মতো বিছিয়ে থাকে কয়েক হাজার প্রাচীন গাছের পাতা - ডালপালা। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পর থেকে একসময়ে গোটা রাস্তাতেই গাছের ছায়া থাকত। কিন্তু নগরায়ণের জন্য আগেই কেটে ফেলা হয়েছে অনেক গাছ। তবুও পেট্রাপোল স্থল বন্দর অবধি এখনও যে চার হাজার ৩৬টি গাছ রয়েছে, সেগুলিকে মহীরুহ বলাটাই শ্রেয়।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষের দিকে এই যশোর রোড দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই কবি অ্যালেন গিনসবার্গ লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া কবিতা, 'সেপ্টেম্বর অন জেসোর রোড'। যুদ্ধের সময়ে এই রাস্তা দিয়ে যেমন মুক্তিযোদ্ধারা বা ভারতীয় বাহিনী যাতায়াত করতেন, তেমনই লক্ষ লক্ষ শরণার্থী ভারতে চলে আসার পরে এই রাস্তার দু'পাশেই আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে। বিবিসি

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

admin August 31, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আটক করেছে। পৌরসভার বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়। আহত সাজু মিয়াকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাজু মিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মীরগঞ্জ-থানাপাড়া) কাউন্সির ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি উপজেলা সদরের থানাপাড়ার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সাজু মিয়ার চাচা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেছেন।


সাজুর পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সাজু মিয়াকে ফোন করে তাদের থানাপাড়া বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কয়েকজন যুবক অতর্কিত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।


ওসি জানান, তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা সদর ও মীরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে। জনশূন্য হয়ে পরে উপজেলা সদর। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ মোতায়েত করা হয়।


ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সাজুর চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি দেখিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজার দাবি, তাদের সংগঠনের দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় জড়িত নয়, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত।

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় পারিবারিক কলহের ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছে।


আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা গ্রামে খড়ের পালা ও জমির সীমানায় বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের বড়ছেলে শামিম (৩৫) ও ছোটছেলে শাহিন(২৮)এর দ্বন্দ বাধে। এক পর্যায় ছোটভাই শাহিন বড়ভাই শামিম কে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই বড়ভাই শামিমের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শামিমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বড়ভাইকে খুনের অপরাধে ছোটভাই শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়।


ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শামিমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

নীলফামারীতে শতাধিক বস্তা ভিজিএফ চালসহ আটক ২

admin August 31, 2018

নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বটতলী এলাকা থেকে এক ট্রাক্টর ভিজিএফের চাল আটক করা হয়েছে। এ সময় ট্রাক্টর চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশ।


জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে ওই এলাকার চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়ন তার বাড়ি থেকে একটি ট্রাক্টরে করে প্রায় শতাধিক বস্তা ভিজিএফের চাল নীলফামারী নিয়ে আসার পথে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। নীলফামারী থানার এস আই হানিফ ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রাক্টর সহ চাল থানায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করে এবং ট্রাক্টর চালক বিকাশ ও হেলাপার হামিদকে আটক করেন। চাল ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম নয়নকে আটক করা না হলেও তাকে থানা চত্বরে ঘেরাঘুরি করতে দেখা গেছে।


ময়নুল ইসলাম নয়ন জানান, এই চালগুলো তার কেনা। একটি মাদ্রাসায় বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান পবিত্র ঈদুল আজহার আগে প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। আটককৃত চাল গুলো গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বলে তারা জানান।


নীলফামারী সদর থানার এসআই হানিফ জানান, ভিজিএফের চাল সন্দেহে আটক করা হয়েছে। চাল মালিকদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

খিলি পান বিক্রি করে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয়

admin August 31, 2018

নওগাঁ: একেকটি খিলি পান বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। একই স্থানে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ খিলি পানের ব্যবসা করছেন নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটির মোড়ে সুপরিচিত মূর্খ বীর মুক্তি যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলামের সন্তান পান বিক্রেতা কাজী আজিজুল ইসলাম। এতে একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্য দিকে পান বিক্রি করে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতি মাসে এখান থেকেই ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তার। আজিজুলের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি হরেক রকম জর্দ্দা ও মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পান তৈরি করেন। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে রেল ঘুমটির কাজী আজিজুলের দোকানে।
বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন কাজী আজিজুল। নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের সকলের পরিচিত মূর্খ কাজী আজিজুল। শুধু আত্রাই নয় বিভিন্ন এলাকার মানুষরা সখের বসে পান খেথে আসেন রেল ঘুমটির মোড়ের এ দোকানে। আজিজুল প্রতিটি মিষ্টি পানের মূল্য ৫টাকা থেকে ২০টাকা পর্যন্ত নেন। মিষ্টি পান ক্রেতা আত্রাই সদরের সাহেবগঞ্জ এলাকার সরদার কালাম বলেন, আমি সাধারণত পান খাই না।তবে যখন কোনো প্রয়োজনে এদিকে আসি তখন আজিজুলের এ মিষ্টি পান খেতে আমি ভ’ল করি না। ৫টাকা করে দুই টা পান কিনেছি খাওয়ার জন্য।
অপর ক্রেতা স্থানীয় বাব মিঞা জানান, এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে শুক্রবার দুপুরে রেল ঘুমটি মোড় এলাকা যখন প্রায় জনশূন্য তখনও দেখা যায় আজিজুলের পানের দোকানে অনেক ভিড়। পুরোদমে চলছে তার দোকান পান বিক্রি।
পান বিক্রি করে স্বালম্বী হওয়া আজিজুলের সঙ্গে উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ১০বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাহিরে অন্য কিছু করি না। আগে বাবা বীর মু্িক্ত যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলাম দোকানটি চালাতেন। এখন আমি চালাই। প্রতিমাসে এখান থেকেই ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এ দিয়ে খুব ভালো ভাবে আমার সংসার চলে। পান বিক্রি করে কিছু অর্থ সম্পদও কিনেছি। আমার কোনো াভাব নেই। অন্যান্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমি।

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

এদেশে বার বার কেন শিশু হত্যা ?

admin August 31, 2018

ময়মনসিংহে আবারও এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আগের মতোই তাকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অনেকে দাঁড়িয়ে তা দেখলেও শিশুটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি কেউ।


রংপুর এক্সপ্রেস: সিলেটে শিশু রাজন হত্যার ঘটনা এখনো দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। তাকেও চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় আসামিদের আটক এবং শাস্তির আওতায় আনা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। অপরাধজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর বাংলাদেশে দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মধ্যে একটি অংশ শিশু-কিশোর। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চোর অপবাদ দিয়ে এই পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকে প্রাভাবশালীরা।


ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে রিয়াদ নামে ১৪ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। উপজেলার উথুরী ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উথুরা ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের আশরাফুলের মনোহারী দোকানের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টার অপবাদ দিয়ে প্রথমে রিয়াদকে আটক করা হয়। তারপর বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল, কামরুল, রশিদ ও তার সহযোগীরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অনেকে সেখানে থাকলেও কেউ তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার মৃত্যু নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।



[ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি]

শিশুটির বাবার নাম সাইদুর রহমান। তিনি সৌদি প্রবাসী। তাঁর দু'টি বোন আছে। মা বাকপ্রতিবন্ধী। এলাকায় তাঁদের আর কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই বলে ডয়চে ভেলেকে জানান গফরগাঁও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন। তিনি বলেন, ‘‘আমি সকাল আটটার দিকে খবর পাই। খবর পেয়েই গ্রাম পুলিশ পাঠাই। কিন্তু সে গিয়ে দেখে রিয়াদ মারা গেছে।''


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সেখানে অনেকে থাকলেও কেউ রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। আর আমাকেও যদি আরো আগে খবর দেয়া হতো তাহলে আমি গিয়ে হয়তো রক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু কেন যথাসময়ে খবর দিলো না সেটা আমারও প্রশ্ন।''


স্থানীয় সাংবাদিক আতাউর রহমান জুয়েল জানান, ‘‘শিশুটি মারা যায় আটটার দিকে। ঘটনা শুরু হয় সকাল ৬ টার দিকে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্মমভাবে পিটানো হয়। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন, তারা গাছের সঙ্গে বাঁধার পরপরই থানায় খবর দিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ আসে সকাল ১০টার দিকে। শিশুটিকে হত্যার দুই ঘণ্টা পরে। কিন্তু গফরগাঁও থানা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। ঘটনাস্থল সদর ইউনিয়নে। পুলিশ সময়মতো এলে হয়তো শিশুটিকে প্রাণ দিতে হতো না।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার সময় সেখানে আরো ২০-২৫ জন লোক ছিল। তারা এগিয়ে গেলে তাদের হুমকি দেয়া হয়। যারা শিশুটিকে হত্যা করেছে, তারা এলাকায় প্রভাবশালী।''


এই ঘটনায় আশরাফুল, কামরুল, রশিদসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ খান ঘটনার দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকাল ৮টার দিকে খবর পাই, এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলে যেতে একটু দেরি হয়েছে, কারণ, ফোর্স অন্য ডিউটিতে ছিল। তাদের প্রস্তুত করতে এই দেরি হয়েছে। ঘটনার পর হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।''



[‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’]

থানা সূত্র জানায়, চুরির অপবাদ দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলেও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এদিকে বাংলাদেশে শিশু হত্যার এই প্রবণতা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘‘দু-একটি ঘটনার বিচার হলেও অধিকাংশ ঘটনায় বিচার হয় না। তাই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যারা এই সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা সমাজের প্রভাবশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতেও সাহস পায় না।


আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাক্ষী সুরক্ষা আইন নেই। ফলে কেউ সাক্ষী দিলে তাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কেউ কোনো অপরাধ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেই অনেক সময় আসামি হতে হয়।'' তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ বা মানবিকতা নেই, তা নয়। মানুষ বর্তমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তার প্রকাশ ঘটাতে পারে না। কারণ, বিচারহীনতায় সে ভীত এবং নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। কোনো ভালো কাজ বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে এখানে বিপদে পড়তে হয়।''


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন এমন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াইশ' মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে একটি অংশ শিশু।'' তাঁর মতে, ‘‘এর দু'টি দিক আছে। প্রথমত, মানুষ বিচার না পেয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আর এই বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে আরেকটি গ্রুপ তাদের স্বার্থে শিশুদের হত্যা করছে, নানা ধরনের অপরাধ করছে।''


তিনি বলেনন, ‘‘আমাদের সমাজ শিশুবান্ধব নয়। যতই বলি না কেন গফরগাঁওয়ে যথন শিশুটিকে হত্যা করা হয়, দীর্ঘ সময় গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়, তখন সেখানে আরো অনেকে ছিলেন। তারা কোনো-না-কোনোভাবে শিশুটিকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে পারতেন। তাদের সে উদ্যোগ না নেয়া আমাদের সমাজের নির্মম নিষ্ঠুরতারই প্রকাশ।'' ডয়চে ভেলে

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

ভোট জালিয়াতির মাস্টারপ্ল্যানেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত -বিএনপি

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বাকশালী বিবেকই সিইসি নিজের মধ্যে প্রোথিত করেছেন। এটা প্রমাণিত হলো যে, সব দিক থেকে বিরোধিতার পরও সিইসিসহ কয়েকজন কমিশনারের একতরফা ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত, আগামী নির্বাচন জালিয়াতি করারই চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যান।


আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ভিন্নমত থাকার পরও ইভিএম ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সুস্পষ্ট হলো, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। তিনি স্বাধীন বিবেক দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত নন।


বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি গোপন কোড জানা থাকলেই ইভিএমের গণনাপদ্ধতি সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলা যায়। ভোটারবিহীন আওয়ামী জোটের সরকার জনগণের টাকায় জালিয়াতি করার মেশিন কিনে জালিয়াতির নির্বাচন করতে চায়। তবে এবার জনগণ সরকারের সব মাস্টারপ্ল্যান ডাস্টবিনে ফেলে দেবে। ভোট নিয়ে অনাচারের পুনরাবৃত্তি জনগণ রুখে দেবে।


প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভোটের জন্য নয়, জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন, শুধু জনকল্যাণের জায়গায় সংশোধনী হবে আওয়ামী কল্যাণ। ভোটের জন্য যে রাজনীতি করেন না, তাও স্পষ্ট। কারণ, জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনেই তার ভোটারদের প্রয়োজন হয়নি।


সংবাদ সম্মেলন বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেয়া কর্মসূচি আবারও তুলে ধরেন রিজভী। তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের সিনিয়র নেতারা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় জনসভা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এসব কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান রিজভী আহমেদ।

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেই বিএনপি ইভিএম চায় না, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম দরকার। ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেট সিটি কর্পারেশন নির্বাচনে বিএনপি দু’টি ইভিএম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই তারা নানা অভিযোগ করছে।


ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কমিশন সভা বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে সবার মতামত এক হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচনও থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।


তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন করেছে। একটা দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ফাঁদ তৈরি করেছিল। সেটা তো সংবিধানের দোষ নয়। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটা তাদের দোষ নয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপি সরে গেলে কার কি করার আছে?


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েও বেশি দরকার নিরপেক্ষ ইলেকশন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের দরকার নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হবে কি না? নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভয় কোথায়? জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই, তারাই নানা অজুহাত খোঁজে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর বিএনপি নির্বাচিত হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা গাজির বাজারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ সরাসরি ভোট দিক আর ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেই দিক; যে কোনটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ ইভিএম মেশিনের প্রতি নির্ভরশীল নয়, জনগণের আস্থা আর ভোটের ওপর নির্ভরশীল।

বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বনেতাদের মানসিক রোগী বললেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী

admin August 31, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকারকারী বিশ্বনেতাদেরকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী তিউলিপা সাইলেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিডনি সফরের সময় দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। কয়েক দিন পরই নাউরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। ওই সম্মেলনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোয়ি ইন্সটিটিউটে বক্তব্য দেন তিউলিপা। সেসময় অস্ট্রেলিয়াকে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে দেশটির প্রতিশ্রæতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি সকল দুর্যোগের জন্য ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে দাযী করেন তিনি। তিউলিপা বলেন, ‘এসব দেশের নেতাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করেন জলবায়ু পরিবর্তন বলে কিছু নেই, আমি মনে করি তাদেরকে পাগলা গারদে পাঠাতে হবে। আক্ষরিক অর্থে তারা নির্বোধ। জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকারকারী যেকোনও নেতার ক্ষেত্রেই আমি একই কথাই বলব।’ জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-যাপন, নিরাপত্তা ও কল্যাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করেন তিউলিপা।

ডব্লিউটিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের

ডব্লিউটিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের

admin August 31, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সংস্থাটির আচরণের পরিবর্তন না ঘটলে ওয়াশিংটন সেখান থেকে সরে দাঁড়াবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ হুমকি দেন। ট্রাম্প মনে করেন, ডব্লিউটিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অন্যায্য আচরণ’ করছে। ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “যদি তারা সংস্কার না করে তবে আমি ডব্লিউটিও থেকে সরে যাব।”


বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়মকানুন নির্ধারণ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে ডব্লিউটিও গঠন করা হয়। ট্রাম্পের দাবি, সংস্থাটি প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে যে চুক্তির ভিত্তিতে ডব্লিউটিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা ‘এখন পর্যন্ত হওয়া বাণিজ্য চুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট’। এর আগে বছরের শুরুর দিকে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি সবার সুবিধার জন্য ডব্লিউটিও গঠন করা হয়েছে। আমরা সেখানে সব মামলায় হেরে যাই, আমরা ডব্লিউটিওতে যেসব বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গেছি তার প্রায় সবগুলোতে হেরে গেছি।” যদিও পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বাদী হয়ে ডব্লিটিওতে যতগুলো মামলা করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশতে জিতেছে। অন্য দিকে যতগুলো মামলায় বিবাদী ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই হেরেছে বলে জানায় বিবিসি। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষার’ বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ডব্লিউটিও মুক্ত বাণিজ্য নীতির বিষয়গুলো দেখভাল করে।


সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিও’র বিরোধ নিষ্পত্তি বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগ আটকে দিয়েছে। যে কারণে সংস্থাটির বিচার করার ক্ষমতা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ডবিøউটিও তে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটথিজারও একই অভিযোগ করে বলেন, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বাণিজ্য বিরোধে ‘উচিত জবাব’ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে; বিশেষ করে চীনের সঙ্গে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য বিরোধ বিশ্ববাজারকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র হাজার হাজার চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপ করেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্কারোপ করে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপ ‘পরিষ্কারভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিও নীতি লঙ্ঘন। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দফা শুল্কারোপের পর চীন ডবিøউটিওতে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছে।

মদ্রিচ রিয়ালেই সুখী

মদ্রিচ রিয়ালেই সুখী

admin August 31, 2018

খেলা ডেস্ক: ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে যাবার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ জানিয়েছেন, সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে থাকতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন মদ্রিচ। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন দল বদলের শেষ সময়ে তার ইন্টারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন চলছে।
তবে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক মদ্রিচ বলছেন, আর কোনো ক্লাবেই রিয়ালের মতো সুখী হবেন না তিনি। সাবেক ক্লাব সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবে আছি। আমি এখানে থাকতে চাই।”
“এখানে থাকতে পেরে আমি শুধু খুশি না, দারুণ খুশি। গত ছয় বছরের মতো ভালো কিছু করতে আমি কাজ চালিয়ে যেতে চাই।”
রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তোলায় বড় অবদান রেখে জিতেছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। চলতি বছরকে তাই ক্যারিয়ারের সেরা সময় মানছেন ৩২ বছর বয়সী মদ্রিচ।
“যতটা বেশি অর্জন করা সম্ভব আমি তার জন্য কাজ করছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি এখানে আছি। দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর। তাই আমি সত্যি উপভোগ করছি। আমাদের কাজ করাটা চালিয়ে যেতেই হবে।”

কোহলি আরও এক রেকর্ডে নাম লেখালেন

কোহলি আরও এক রেকর্ডে নাম লেখালেন

admin August 31, 2018

খেলা ডেস্ক: একের পর এক কীর্তি গড়েই চলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে ব্যাটিং করতে নেমে আরও এক নতুন রেকর্ড গড়েছেন টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।
ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৬০০০ রানের মালফলকে পৌঁছানোর কীর্তিতে দ্বিতীয় স্থানটি এখন বিরাট কোহলির। তার আগের নামটি ব্যাটিং কিংবদন্তী সুনিল গাভাস্কারের। কোহলিকে জায়গা করে দিতে রেকর্ড বইয়ের তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন আরেক ব্যাটিং জিনিয়াস বীরেন্দ্র শেবাগ।
৭০ টেস্টের ১১৯ ইনিংসেই ছয় হাজার রানের মাইলফলক পার হয়েছেন কোহলি। শীর্ষে থাকা সুনিল গাভাস্কারের সমান রান করতে ৬৫ টেস্টের ১১৭ ইনিংস লেগেছিল। তৃতীয় স্থানে আছেন শেবাগ (৭২ টেস্ট, ১২৩ ইনিংস), চতুর্থ স্থানে আরেক নিজেন্ড রাহুল দ্রাবিড় (৭৩ টেস্ট, ১২৫ ইনিংস), চতুর্থ স্থানে আছেন শচীন (৭৬ টেস্ট, ১২০ ইনিংস)। শচীনের অবশ্য সবচেয়ে কম বয়সে (২৬ বছর) ছয় হাজার রানের রেকর্ড গড়ার রেকর্ডটি অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলার পর কোহলির রান ছিল ১১৮ ইনিংসে ৫৪.৪৯ গড়ে ৫ হাজার ৯৯৪। চতুর্থ টেস্টে ব্যাটিংয়ে নেমে সাউদাম্পটনের রোজ বুলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে রানের খাতা খোলেন কোহলি। ইনিংসের ২২তম ওভারে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের করা ওভারের ৫ম বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার নিজের নাম নিশ্চিত করেন এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।
সবমিলিয়ে টেস্টে দ্রুততম ছয় হাজার রানের রেকর্ডের মালিক অজি ক্রিকেট কিংবদন্তী স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। মাত্র ৬৮ ইনিংসেই মাইলফলকে পৌঁছে যান তিনি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান স্যার গরফিল্ড সোবার্স ও সাময়িক নিষিদ্ধ সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ছয় হাজার রান করতে দু’জনেরই সমান ১১১ ইনিংস লেগেছিল।
কোহলি এখন নিজের আলাদা ইতিহাস গড়ায় ব্যস্ত। বিরুদ্ধ ইংলিশ কন্ডিশনেও প্রথম ও তৃতীয় টেস্টে গড়ে ২০০ রান করার পাশাপাশি দুই টেস্টেই সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ রান সংগ্রহ করেছেন কোহলি। সিরিজের এখনও চার ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ আছে কোহলির সামনে। ফলে রাহুল দ্রাবিড়ের গড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে এক টেস্ট সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০২ রানের রেকর্ড ভাঙার দারুণ সুযোগ আছে তার সামনে।
কোহলির সামনে সুযোগ আছে আরও এক রেকর্ড গড়ার। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডে রাহুল দ্রাবিড়ের নামের পাশে জায়গা করে নেওয়ার কিংবা তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০০২ ও ২০১১ সালের এই দু’বার এই কীর্তি গড়েছিলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
ইংল্যান্ডের মাটিতে চার সেঞ্চুরির কীর্তিও আছে ইংলিশ ব্যাটসম্যান হার্ব সুটক্লিফ (১৯২৯), ডেনিস কম্পটন (১৯৪৭), অতুলনীয় ডন ব্র্যাডম্যানের (১৯৩০)। এই কীর্তিতেও ভাগ বসানোর সুযোগ থাকছে কোহলির সামনে।

দুই নায়ক নিয়ে অধরা

দুই নায়ক নিয়ে অধরা

admin August 31, 2018

বিনোদন ডেস্ক: এবারের ঈদের আগে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ‘ড্রিমগার্ল’ নামে একটি ছবির ঘোষণা দেয়া হয়। সেখানে জানানো হয় এ ছবিতে ‘ড্রিমগার্ল’ এর চরিত্রে অভিনয় করবেন অধরা খান এবং ছবিটি পরিচালনা করবেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ইস্পাহানি এ ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ছবির নাম প্রাথমিকভাবে ‘ড্রিমগার্ল’ রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তনও হতে পারে। এ ছবিতে বাপ্পি, সাইমন ও অধরা খানকে নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এই তিনজনকে নিয়ে ডিসেম্বরের শুরুতে ছবিটির শুটিং শুরু করবো।
দারুণ একটি গল্পের ছবি হতে যাচ্ছে এটি। আশা করি, দর্শকরা এটি পছন্দ করবেন। একই পরিচালকের ‘নায়ক’ নামে একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন অধরা খান। এ ছবিতে তার নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। এবার একই পরিচালকের নতুন ছবিতে বাপ্পির সঙ্গে সাইমন সাদিকও যোগ দেবেন। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেয়া হবে।
ইস্পাহানি আরিফ জাহানের নতুন এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পর্দায় একসঙ্গে সাইমন ও বাপ্পির অভিনয় দর্শকরা দেখতে পাবেন। উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী বর্তমানে বেশকিছু ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর অন্যদিকে সাইমন সাদিক অভিনীত ‘জান্নাত’ ছবিটি এবারের ঈদে মুক্তি পায়।

আবারো ব্যাপক খোলামেলা রুপে নিতু

আবারো ব্যাপক খোলামেলা রুপে নিতু

admin August 31, 2018

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের বেশ কিছু ছবিতে খোলামেলা হয়ে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন নিতু চন্দ্রা। এর বাইরে তামিল, তেলেগু ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অভিয়ের পাশাপাশি নগ্ন ফটোশুট করেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মুখে অতীতে পড়েছেন তিনি। এ অভিনেত্রী বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নিউ ইয়র্কে। এরইমধ্যে হলিউডের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। সেটার শুটিং হবে কিছুদিন পরেই।
তবে তার আগে নতুন একটি গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে সেখানে অংশ নিচ্ছেন তিনি। রেখা ভরতবাজের গাওয়া ‘হু মে তুমহারি’ শীর্ষক এ গানের ভিডিওর শুটিং করছেন তিনি। আর এর ভিডিওতে ব্যাপক খোলামেলা রুপে দেখা যাবে নায়িকাকে। বিকিনি ও সুইমস্যুট পড়ে কয়েকটি দৃশ্যে অংশ নিয়েছেন নিতু। পাশাপাশি চুম্বন দৃশ্যও থাকবে। এ প্রসঙ্গে নিতু বলেন, যার যেমন ইমেজ তার এমন কাজই আসলে করা উচিত। আমার হট ইমেজ। তাই আমি সুপারহট রুপেই এ ভিডিওতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছি। আমার মনে আমার ভক্ত-দর্শক বেশ উপভোগ করবেন এটি। তার জন্য আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

ঈদের ছুটিতে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৯ জন -যাত্রী কল্যাণ সমিতি

ঈদের ছুটিতে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৯ জন -যাত্রী কল্যাণ সমিতি

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: এবার কোরবানির ঈদের মওসুমে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩৭টি দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ অগাস্ট থেকে ঈদের পর ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই হিসাবে গত রোজার ঈদের চেয়ে কোরবানির ঈদের সময় সড়ক দ্র্ঘুটনায় হতাহতের ঘটনা কমেছে। সেজন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কৃতিত্ব দিচ্ছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মোজাম্মেল বলেন, ঈদুল ফিতরের তুলনায় দুর্ঘটনা ১৪.৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩.৫৯ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ২৪.১১ শতাংশ কমেছে। তবে গতবছরের ঈদুল আজহার তুলনায় নিহত ১৩.৫০ শতাংশ এবং আহত ১১.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান খান ও আইনজীবী জোতির্ময় বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন এ সংবাদ সম্মেলনে।
‘জবাবদিহিতার অভাবকে’ সড়কের মূল সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা পৃথিবীর সব দেশেই হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলার কারণ আমাদের এখানে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর অর্ধেক চাইলে এড়ানো যেত। সরকারের দুজন মন্ত্রীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির শীর্ষ পদে থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে যারা নীতি নির্ধারণ করেন, তিনিই আবার মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি। জবাবদিহিতার ব্যাপারে যে অনাগ্রহ এর মূলে রয়েছে এই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বাংলাদেশে দুই ঈদের মওসুমে নগর থেকে গ্রামের বাড়িতে যায় কোটি মানুষ। ফলে ওই সময় সড়ক মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি চাপ থাকে। ফিটনেসহীন যানবাহন, বেপরোয়া চালনার পাশাপাশি সড়কের দুরবস্থার কারণেও ওই সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী অনেক বেড়ে যায়।
গত রোজার ঈদের পর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত এবং ১২৬৫ জন আহতের তথ্য দিয়েছিল। কিন্তু ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির বিরুদ্ধে ‘মনগড়া তথ্য’ প্রকাশের অভিযোগ আনেন এবং সমিতির নেতাদের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গত ১০ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী বলেন, একটা ভুয়া জনকল্যাণ সমিতি বাংলাদেশে আছে, যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করে এরকম একটি লোক ওই সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়। সময়ে সময়ে তাকে মতলবি মহল আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। আমি দেখি সমাজের অনেক বিশিষ্টজনও এই লোকটির সংবাদ সম্মেলনে এসে হাজির হয়।

রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বরিশালে ৬ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার

রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বরিশালে ৬ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার

admin August 31, 2018

সারাদেশ: রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বরিশাল থেকে ছয় জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। এরমধ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।


র‌্যাব ৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩২), চর বোয়ালমারী আদর্শ গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন মুরসালিন (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম কোদালকাটি মধ্যচর এলাকার গোলাম রাব্বানীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩২), রুস্তম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও আইনুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আবদুল মতিন (৪০)।


র‌্যাব কর্মকর্তা আশরাফুল বলেন, জেএমবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকার চরে সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০ গ্রাম গানপাউডারসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, একটি বিদেশি পিস্তাল, একটি ম্যাগাজিনসহ চারটি গুলি ও চারটি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, বরিশালে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির সন্দেহভাজন এক সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।


র‌্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর সজীব বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর দড়গা বাড়ি এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মিরাজ নামে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবককে আটক করা হয়। আটক মিরাজ বরগুনা সদরের মনশাতলী এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে। তাকে জেএমবি সদস্য বলা হলেও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি র‌্যাবের পক্ষ থেকে। মেজর সজীব বলেন, মিরাজের কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, ১৫টি ইলেকট্রনিক সার্কিট, একটি তাঁতাল, দুটি হেক্সো বেøড, ১৬টি উগ্র মতবাদের বই, একটি সিডি, একটি টেবিল ঘড়ি, একটি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেছেন তারা।

মেয়াদ বাড়াতে অ্যাকর্ড কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দিলেও রাজি নয় সরকার

মেয়াদ বাড়াতে অ্যাকর্ড কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দিলেও রাজি নয় সরকার

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বাাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মেয়াদ বাড়াতে দৌড়ঝাঁপ করছে ইউরোপের ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড। কিন্তু সরকার রাজি নয়। সরকারকে রাজি করাতে ক্রেতাজোটের নেতারা উন্নয়ন সহযোগী এবং কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাকর্ডের মেয়াদ আর না বাড়াতে আদালতের প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞার পর ওই বিষয়ে প্রভাব খাটাতে সরকারকে সরাসরি অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সব অনুরোধ আমলে নেয়নি সরকার। এমন অবস্থায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে শেষ হচ্ছে অ্যাকর্ডপর্ব। এর ফলে ২শ ব্র্যান্ডের জোট অ্যাকর্ডের এদেশে অধিককাল কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হতে পারে। পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


সূত্রমতে, বিগত ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে ইউরোপের ২০টি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ২শ ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতা ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড গঠিত হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ওই জোটটির ৫ বছরের নির্ধারিত মেয়াদ গত মে মাসে শেষ হয়েছে। যদিও সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ৬ মাস সময় এদেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে অ্যাকর্ড এবং অপর ক্রেতাজোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সকে। বর্ধিত ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী নভেম্বরে। ইতিমধ্যে গত ৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে অ্যাকর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই সময় পর্যন্ত তাদের সরকার গঠিত ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটির (টিএমও) তত্ত¡াবধানে কাজ করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া আগামী ৩ বছরের বর্ধিত মেয়াদের বিষয়ে সরকারের অনুমোদন থাকার তথ্যও আমলে নিয়েছেন আদালত। তাতে বলা হয়, আদালত খবর নিয়ে জেনেছেন এ-সংক্রান্ত কোনো অনুমোদন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। অ্যাকর্ডের পক্ষে আইনজীবী আদালতে এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। গত ২৬ অক্টোবর অ্যাকর্ড তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর সরকার অ্যাকর্ডের ৩ বছরের বর্ধিত মেয়াদ অনুমোদন করেছে।


সূত্র জানায়, বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে সেকেন্ড অ্যাকর্ড নামে ইউরোপীয় ক্রেতাজোটটি আগের মতোই এদেশের পোশাক খাতে স্বাধীনভাবে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতবছরের ২৭ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অ্যাকর্ডের অংশীদারদের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। তবে জোটের অনেক অংশীদার এখনো তাতে সই করেনি। যদিও ২০০ ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৪০টি ব্র্যান্ড মেয়াদ বাড়াতে সম্মত বলে দাবি করেছে অ্যাকর্ড। ওই জোটের দাবি, তাতেই ১২০০ কারখানায় বর্ধিত মেয়াদে কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ চালিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি।


সূত্র আরো জানায়, অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে অস্বস্তিতে আছে তৈরি পোশাক খাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিজিএমইএ। সরকারের কাছে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে বিজিএমইএ কয়েক দফা অভিযোগও করেছে। তারা কিছুতেই অ্যাকর্ডের অতিরিক্ত সময় কার্যক্রম চালানোর পক্ষপাতি নয়। অ্যাকর্ডভুক্ত ক্রেতারা যেসব কারখানা থেকে পোশাক নেয় ওই রকম ২ হাজার ৯৬টি কারখানাকে প্রাথমিক পরিদর্শনের জন্য বাছাই করা হয়। তারমধ্যে এক হাজার ৬৩১টি কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ হয়েছে। নতুন করে পরিদর্শনের কথা রয়েছে ৭৪টির। ৪৯টিকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৮৮টি। আর সংস্কার অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতার অভিযোগে ৯৬টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। তবে স্থানান্তর আবশ্যক হওয়া বাকি ৫৮টি কারখানা এখন আর অ্যাকর্ডের আওতায় নেই। অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক পরিদর্শনে চিহ্নিত ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ত্রুটির ৮৪ ভাগ ইতিমধ্যে সংশোধন হয়েছে।


এদিকে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু জানান, অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নই আসে না। বরং সরকার গঠিত রিমিডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলে (আরসিসি) তারা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। অ্যাকর্ডের প্রয়োজনীয়তা থাকলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করা যেত। কিন্তু তাদের আর প্রয়োজন নেই। কারণ অ্যাকর্ডভুক্ত কারখানার সংস্কার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া নেদারল্যান্ডসের আইনে একটা স্বাধীন দেশে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগান

নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগান

admin August 31, 2018

আন্তর্জাতিক: গতকাল ভারতের অাসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে চল্লিশ লাখ লোকের নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগানে বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা। এসময় ত্রুটিপূর্ণ এনআরসি বাতিল করার দাবি জানায় ক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও প্রতিবাদী জনতা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার বহন করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।


এনআরসির নামে বাঙালিদের হয়রানি করা চলবে না’, ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করো, দেশে কল্যাণের জন্য কাজ করো’, ‘নিরপেক্ষভাবে তথ্য যাচাই করে নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে’, ‘এনআরসি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করতে হবে’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে মানুষজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতল পুড়িয়ে প্রতিবাদী মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে মুসলিমদের পাশপাশি দলিত, আদিবাসী ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া মানুষজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।


পরে এক জমায়েতে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক আদিবাসী ভাইবোনেরা এখানে আছেন, যাদের কোনো নথি নেই, তাহলে তাদের কী বাংলাদেশে পার করে দেবে মোদি সরকার? আমরা মুসলিম হয়ে ওয়াদা করছি যে, আমরা আদিবাসী ভাইবোনেদের পাশি আছি। কোনোভাবেই তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, জুলুম, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার কোনরকম ষড়যন্ত্রকে আমরা বরদাস্ত করব না, মেনে নেবো না।’


অসমের করিমগঞ্জ উত্তরের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ তার ভাষণে বলেন, ‘আমার খুব দুঃখ হয় যে, ২০১৪ সালের ভোটার লিস্ট অনুযায়ী আমারা ভোট দিয়েছি, ২০১৬ সালের ভোটার লিস্টে নাম আছে, ২০১৮ সালের ভোটার লিস্টেও নাম আছে। কিন্তু সেই মানুষদেরও আবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়! বারবার অসমের বাঙালিদের এভাবে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। নথিপত্র কেবল বাঙালিদের জন্য দরকার, কিন্তু কিছু মানুষের জন্য নথির কোনো দরকার হয় না। যাদের নাম নেই তারা যখন এনআরসি কেন্দ্রে কারণ জানতে যাচ্ছেন তাদেরকে বলা হচ্ছে, ‘টেকনিক্যাল এরর’, ‘নো রিজন’ ইত্যাদি। কিন্তু এসব তো তাদের সমস্যা আমাদের কেন সেজন্য দুর্ভোগে পড়তে হবে?’


জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ফর বাঙালি রিফিউজিস-এর সর্বভারতীয় সভাপতি সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘দলিত ও মুসলিমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে কে কী আইন করল তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সেজন্য দলিত ও মুসলিমদের একে অন্যের সমস্যায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার অঙ্গীকার গ্রহণ করতে হবে।’


বিক্ষোভ সমাবেশে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, জামায়াতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি মুহাম্মদ নূরুদ্দিন, অসমের করিমগঞ্জ উত্তরের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ফর বাঙালি রিফিউজিস-এর সর্বভারতীয় সভাপতি সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস,স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন (এসআইও) পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন সম্পাদক শেখ খালিদ আলী, এসআইও’র জনসংযোগ সম্পাদক সুজাউদ্দিন আহমেদ, ‘সদ্ভাবনা মঞ্চ’-এর রাজ্য আহ্বায়ক মুহাম্মদ তাহেরুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশে সেবাখাতে দুর্নীতিতে শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

দেশে সেবাখাতে দুর্নীতিতে শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ সেবাখাতগুলোতে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাসপোর্ট অফিস, তৃতীয়- বিআরটিএ এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিচারিক ব্যবস্থা। দেশের সেবাখাতের দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭- এর ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।


গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান, “দেশজুড়ে একটি খানা জরিপ পরিচালনা করে টিআইবি। এতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়। যেখানে ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ সেবাখাতগুলোতে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭২.৫ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট অফিস ৬৭.৩ শতাংশ এবং বিআরটিএ-তে ৬৫.৪ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে।”


জরিপে বলা হয়, “বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।”




[caption id="" align="aligncenter" width="750"]বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।[/caption]

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, “২০১৭ সালে টিআইবি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রশাসন, ভূমি সেবা, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক সেবা, বিদ্যুৎ, ব্যাকিং, বিআটিএ, কর ও শুল্ক, এনজিও, পাসপোর্ট, বীমা, গ্যাস সেবা খাতে জরিপ করে টিআইবি। এর মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি দুর্নীতির শিকার ও ঘুষ দিতে বাধ্য হয়। এর পেছনে একটা বড় কারণ হলো, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না এমন একটা পরিবেশ ও ধারণা।”


‘সেবা খাতে দুর্নীতি, জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭’ শীর্ষ ওই গবেষণা জরিপে প্রধানত ১৫টি সেবা খাতে সেবা গ্রহণের দুর্নীতির শিকার হওয়ার বিষয় নিয়ে জরিপ চালানো হয়। সেবা খাতে দুর্নীতি হ্রাসে ১২ দফা সুপারিশও পেশ করে টিআইবি। অনুষ্ঠানে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

রংপুরে ধর্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মামলা

রংপুরে ধর্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মামলা

admin August 31, 2018

রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে তারাগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষিকা আনোয়ার নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র মেকানিকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।


পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র মেকানিক আনোয়ার হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুরের একটি বাসায় তারাগঞ্জে হাড়িয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসার ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শিক্ষিকা আনোয়ারকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।


ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, দেড় বছর আগে মুঠোফোনে আনোয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৬ আগস্ট আনোয়ার দৌলতপুরের একটি বাসায় আমাকে ডেকে নেন। একপর্যায় সেখানে আমাকে ধর্ষণ করেন। এখন বিয়ের কথা বললে আনোয়ার অসম্মতি জানান। বাধ্য হয়ে আমি আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা করার পর আনোয়ার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা তবে আনোয়ার দুই দিন থেকে হাসপাতালে অনুপস্থিত আছে বলে জানান তিনি। তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে থানায় তা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হবে।

রংপুরে হেলমেট ছাড়া জ্বালানি পাচ্ছে না মোটরসাইকেল চালকরা

রংপুরে হেলমেট ছাড়া জ্বালানি পাচ্ছে না মোটরসাইকেল চালকরা

admin August 31, 2018

রংপুর: রংপুরে পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানের সাড়া দিয়ে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের কাছে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করছেন না পাম্প মালিকরা। গতকাল সকাল থেকে সারাদিন নগরীর বেশ কয়েকটি তেল এমন চিত্র দেখা গেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে চালকরা পাম্পের পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকান থেকে নতুন হেলমেট কিনে তা দেখিয়ে পেট্রল বা অকটেন সংগ্রহ করছেন।


এর আগে গত বুধবার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটুকে হেলমেট ছাড়া চালকদের জ্বালানি বিক্রি না করার আহ্বান জানান। গত বৃহস্পতিবার সকালে শহরের শাপলা চত্বর ইউনিক পাম্প, শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন রহমান পাম্প, সাতমাথা রোডের আব্দুল্লাহ পাম্পসহ স্টেশন রোডের ছালেক পাম্প, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার পাম্পটিতে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের অনেকেই জ্বালানি নিতে এসে ফিরে যান।


রংপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও পেট্রল মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটু সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি অতি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। বৈঠক ডেকে এর কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবো এবং মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য পোস্টারিংও করা হবে।


তিনি জানান, রংপুরে ৩৭টি পেট্রল পাম্প রয়েছে। পেট্রল নিতে মোটরসাইকেল চালকদের পাম্পে আসতে হয়। এই পাম্প থেকে প্রতিদিন শত শত লিটার পেট্রল বিক্রি হয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।


রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও আঞ্চলিক সড়কেও এখন অহরহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটছে। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের প্রায়ই বড়ধরনের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। কিন্তু হেলমেট থাকলে এ ক্ষতিও কম হয়। তাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে পেট্রল পাম্প মালিকদের এ আহ্বান জানানো হয়। তারা এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

admin August 31, 2018

সারাদেশ: পটুয়াখালীতে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এক কিশোরীকে (১৭) বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার পর শহরের পিটিআই রোডের আনিস কন্টেকটারের বাসার ২য় তলার একটি রুমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিরাজ ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে কয়েকবন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে।


অভিযুক্তরা হলেন- শহরের সিমুলবাগ এলাকার হানিফ মোল্লার ছেলে মিরাজ (১৭), একই এলাকার সাদু সিকদারের ছেলে আরমান (২০), কলাতলা এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে হাসিব (২০) এবং পিটিআই রোডের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মারুফ রহমান তুষার (১৯)।


পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে মোবাইল ফোনে মিরাজের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঘটনার দিন রাতে শহরের পিটিআই রোডের আনিস কন্টেকটারের বাসার ২য় তলার একটি রুমে মিরাজ ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় উপস্থিত মিরাজের তিন বন্ধুও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই কিশোরীকে গত দুই দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে ঘোরাঘুরি করলেও তাকে বিয়ে করেনি মিরাজ। পরে গত বুধবার রাতে ওই কিশোরী সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে।


ওসি আরও জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আগুন, দুই চালক নিহত

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আগুন, দুই চালক নিহত

admin August 31, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুরের কাহারোলে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে একটি বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কাহারোল উপজেলার ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বটতলা পীরের হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুটি গাড়িতেই আগুন লেগে বাস ও ট্রাকের দুই চালকই দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী বাস কেয়া পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১৭৪০) এবং বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের (যশোর-ড-১১-৪১৩২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে রাত ১০ টা ২২ মিনিটে দিনাজপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তারা গাড়ির ভেতর থেকে দুই চালকের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।


প্রত্যক্ষদর্শী বীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান বিপ্লব জানান, দুর্ঘটনার পর বাসে আগুন ধরে য়ায়। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করে বাস থেকে নেমে পড়ে। আগুনের কারণে আশপাশের মানুষও ভয়ে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে যেতে পারেননি। এদিকে এই ঘটনার পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে রাত ১ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত ইসির

আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত ইসির

admin August 30, 2018

ঢাকা: আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহা‌রের বিধান রে‌খে আরপিও সংশোধ‌নের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনে বৃহস্পতিবার সকালে এক সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ব‌লেন, “আমরা (নির্বাচন কমিশন)আরপিও সং‌শোধনে একমত হ‌য়ে‌ছি, সং‌শোধিত আর‌পিও নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রনাল‌য়ে পাঠা‌নো হ‌বে।”


সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা বলেন, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি তারা। সংসদে (একাদশ সংসদ নির্বাচনে) ইভিএম ব্যবহার হবে- এমন সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমাদের প্রস্তুতি থাকবে।


বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ৫ সদস্যের কমিশনের একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।” মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতের ভিত্তিতে সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা বলেন “উনি (মাহবুব তালুকদার) ভিন্ন পোষণ করেছেন। আমরা চারজন সম্মত হয়েছি।”


তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি তারা। “সংসদে (একাদশ সংসদ নির্বাচনে) ইভিএম ব্যবহার হবে- এমন সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমাদের প্রস্তুতি থাকবে।” চালুর পর এতদিন ইভিএম সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বরাবরই ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে, অন্যদিকে বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি।


রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য না হলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না বলে এতদিন জানালেও হঠাৎ করেই ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিজেদের এই অবস্থানে পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। সংসদের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার হলে সংসদে ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি হবে। কমিশন কোনও সময়ে সিদ্ধান্ত নিলে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।”

বঙ্গমন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকরের দাবিতে কুড়িগ্রামে যুবলীগের সমাবেশ

বঙ্গমন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকরের দাবিতে কুড়িগ্রামে যুবলীগের সমাবেশ

admin August 30, 2018

কুড়িগ্রাম: ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবীতে ও ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টায় গ্রেনেড হামলাকারী খুনীদের ফাঁসির দাবীতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর শহরের কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিজয় স্তম্ভে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনিছুর রহমান চাঁদ, মমিনুর রহমান মমিন, যুবলীগ নেতা আতাউর রহমান বিপ্লবসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অবিলম্বে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানান। এছাড়াও ২১ আগষ্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দিশ্যে গ্রেনেড হামলাকারী খুনীদেরও ফাঁসির দাবী জানান।

কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

admin August 30, 2018

কুড়িগ্রাম: জলবায়ূ পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে মানুষের সহনশীল সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কুড়িগ্রামে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নে জলবায়ূ পরিবর্তনে সমন্বিত অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. আমিনুল ইসলাম, ড. রোকেয়া খাতুন প্রোগ্রাম ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট আরিফ এম রহমান ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ মন্ত্রণালয়ের ডিপুটি সেক্রেটারী এএসএম ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি ৫ বছর মেয়াদে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম, রাঙামাটি এবং চট্টগ্রাম-এই ৩ জেলা বাস্তবায়িত হবে।

রৌমারীতে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের লালসায় অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

রৌমারীতে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের লালসায় অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

admin August 30, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় উত্তর বাইটকামারী কওমী মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল বাছেদ হুজুরের লালসায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। উপজেলার উত্তর বাইটকামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাওলানা আব্দুল বাছেদ উত্তর বাইটকামারী গ্রামের মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে।
ছাত্রী পাখিউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আল কোরান শিক্ষা করার জন্য সাড়ে ৫মাস আগে ঐ কওমী মাদ্রাসার হুজুরের কাছে পড়তে যায় সে। সে সময় ঐ সুযোগে উত্তর বাইটকামারী গ্রামের মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে কওমী মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দ বাছেদ ঐ ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, উত্তর বাইটকামারী গ্রামের সাদিনা পাগলার মেয়ে ও পূর্ব পাখিউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীকে আল্লাহ্র গজবের ভয় দেখিয়ে মাওলানা আব্দুল বাছেদ তাকে সাড়ে ৫মাস থেকে একটানা ধর্ষন করে আসছে। ঐ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর পেট বড় হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ২৯ আগষ্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করে জানতে পারে সে ৫মাসের অন্তসত্তা । এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় শুরু হয়েছে।
মেয়ের বাবা সাদিনা পাগলা জানান, আমি গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে ৫মাসের গর্ভবতী করছে মাদ্রাসার হুজুর বাছেদ। আমি কার কাছে বিচার দিমু আমার বিচার কে করবো। গ্রামের বড় বড় দেওয়ানীরা হুজুরের পক্ষ নিয়া মিমাংসা হওয়ার জন্য চাপ দিতেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাবেল উদ্দিন জানান, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ৫মাসের অন্তসত্তার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য এলাকাবাসী বসে আপোষ মিমাংসা করার কথা শুনছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন পক্ষ আসে নাই।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঐ হুজুরের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মাওলানা আব্দুল বাছেদ এর মোবাইল নাম্বারটিও ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। পাশ্ববর্তী লোকজন জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ঐ হুজুরসহ তার পরিবারের লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

পঞ্চগড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে একজনের আত্বহত্যা

পঞ্চগড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে একজনের আত্বহত্যা

admin August 29, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় সদরের সাতমেড়া এলাকায় নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে জুল মোহাম্মদ (৪৫) নামে একজন আত্বহত্যা করেছে। আজ বুধবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার নুনিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। সে ওই গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে।


[নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত]


পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুল মোহাম্মদ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে বাড়ির লোকের অজান্তে আত্বহত্যা করেছে। পঞ্চগড় সদর থানার এসআই সাজু মিয়া জানান, কেন আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায় নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


 

[কাউনিয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে টানটান উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা]

কাউনিয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে টানটান উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা

কাউনিয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে টানটান উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা

admin August 29, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষের পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বেঁধে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ।


জানাগেছে, টেপামধুপুর বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হোসেন আলী অবসর গ্রহন করার পর কলেজের সিনিয়র শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে লিখিত দায়িত্ব দেন। এই দায়িত্ব নিয়ে অপর সিনিয়র শিক্ষক রবিউল করিম লিটন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, সেই মামলাটি এখনো বিচারাধীন। পরবর্তিতে উভয়ের সম্মতিতে কলেজের সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জুনিয়র শিক্ষক হাসিনা বুলবুলকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিলে তিনি সুষ্ঠু ভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্যে পত্রিকায় কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় নানা রাজনৈতিক সমীকরণ।


সভাপতির ভাষ্য অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা না করায় জটিলতা বারতে থাকে। ইতোমধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয় অধ্যক্ষ পদে আবেদনের যোগ্যতা সহকারী অধ্যাপক পদে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই যোগ্যতা সভাপতির মনোনিত প্রার্থীর না থাকায় জটিলতার মাত্রা নুতন রুপ নেয়। আর্থিক লেনদেনের কারনে কতিপয় দুর্বৃত্ত্বরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বুলবুলের স্বামী কাউনিয়া কলেজের লাইব্রেরিয়ান ফেরদৌস আলম লেলিনকে অপহরন করে। একদিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। সে বিষয়ে একটি মামলা হয়। এ মামলাটিও বর্তমানে বিচারাধীন। এরপর থেকে হাসিনা বুলবুলকে অধ্যক্ষের চেয়ার থেকে সরানোর নানা পায়তারা চলতে থাকে।


[বালিয়াডাঙ্গীতে স্লিপের বরাদ্দের টাকা হরিলুটের অভিযোগ]


সর্বশেষ সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ও শিক্ষক প্রতিনিধি বাদ দিয়ে গোপনে নতুন একটি রেজুলেশন খাতায় কমিটির কতিপয় সদস্য নিয়ে রেজুলেশন করে সিনিয়র শিক্ষক উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মিয়াকে দায়িত্ব দেয়। তারই প্রেক্ষিতে ঈদের ছুটি শেষে আজ বুধবার (২৯ আগষ্ট) কলেজ খুললে সভাপতি স্ব-দলবলে লোকজন নিয়ে শাহজাহান মিয়াকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসাতে গেলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ হাসিনা বুলবুলের লোকজন বাধঁসাধেঁ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উভয় পক্ষকে জানায়, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্শি এমপি সমাধান করবেন। সে পর্যন্ত নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না।


এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বুলবুল জানান, আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজি আছি কিন্তু সেটি নিয়ম মাফিক হতে হবে। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের কারনে তাকে সরিয়ে সিনিয়র শিক্ষক শাহজাহান মিয়াকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত গত ১৬আগষ্ট ২০১৮ ইং তারিখে নিয়েছে কমিটি। কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন অর রশীদ জানান, উত্তেজনা বিরাজ করছিল, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এলাকাবাসী জানান, উভয় দলের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে।

বালিয়াডাঙ্গীতে স্লিপের বরাদ্দের টাকা হরিলুটের অভিযোগ

বালিয়াডাঙ্গীতে স্লিপের বরাদ্দের টাকা হরিলুটের অভিযোগ

admin August 29, 2018

ঠাকুরগাঁও: বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বা স্কুল লেভেল ইমপ্রুভম্যান্ট (স্লিপ)-এর বরাদ্দের টাকা হরিলুট হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। বেশির ভাগ স্কুলে টাকা উত্তোলনের দুই মাস অতিবাহিত হলেও কাজ করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক নামমাত্র কাজ করে দায় সেরেছেন। আবার কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক জোড়াতালি কাজ করে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা হজমের চেষ্টা করেছেন।


উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদ হাসান জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় গত অর্থবছরে ৪০ হাজার করে স্লিপের টাকা বরাদ্দ পায়। এতে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরাদ্দের সমুদয় টাকা পাওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেননি ভানোর দীঘিপাড়া দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৌলা দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুপগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অথচ সকল বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে গত ৩০ জুনের মধ্যে। যদিও দাপ্তরিক নির্দেশনা ছিল নিজেদের টাকা দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানের কাজ শতভাগ সম্পাদন করে সঠিক বিল ভাউচার দেখিয়ে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করার। এ নির্দেশনাও মানা হয়নি। অন্যদিকে কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু হলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্লিপের টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর যাচ্ছেতাই করে চলেছেন স্কুল প্রধান শিক্ষকরা।


[ফকিরের আস্তানা থেকে গুপ্তধন চুরির গুঞ্জনে তোলপাড়! ]


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, চলতি অর্থ বছরে স্লিপের বরাদ্দের ৪০ হাজার টাকা মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সমাবেশ বেদী নির্মাণ, বছরে ৫টি দিবস পালনের জন্য ৫ হাজার টাকা, ক্যাচমেন্ট এলাকার ম্যাপ ক্রয়ের জন্য ১ হাজার টাকা, সাউন্ড সিস্টেম মেরামত বাবদ ১ হাজার, টাকা, সীমানা প্রাচীরের পার্শ্বে বৃক্ষরোপনের জন্য ১ হাজার টাকা, সিটিজেন চার্টার ক্রয় বাবদ ১ হাজার, কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা পুরস্কার, বিদ্যাললয়ের নাম ফলক, পতাকা স্ট্যান্ড পাইপ ক্রয়সহ অন্যান্য খাতে খরচের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ৪২ নং গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। বরাদ্দ পাওয়ার পর উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে গত ১৬ আগস্ট বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আঃ মান্নানের বরাবর স্লিপের কাজে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান আলী।


ইমরান আলীর সাথে কথা বলে ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারাভাবে কাজ করেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি করে সমাবেশবেদী নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়। তার বিপরীতে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই সমাবেশবেদী নির্মাণে নতুন ইট ব্যবহার না করে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুরাতন ইট অর্থাৎ পূর্বে ব্যবহৃত ইট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।


জানতে চাইলে গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লের প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর অভিযোগটি সত্য নয়। অন্য বিদ্যালয় সমাবেশবেদী দুই নম্বর ইট দিয়ে করলেও আমি এক নম্বর ইট দিয়ে করেছি।


[দিনাজপুরে বিশাল আকৃতির কাঁঠাল দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়]


এ বিষয়ে লালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, স্লিপের টাকার ভাগ বিভিন্ন জায়গায় দিতে হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিরাও এতে ভাগ বসায় এবং আমাকেও দিতে হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, ঢালাওভাবে সব প্রতিষ্ঠানে এ অভিযোগ সত্য নয়। কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষক এ বিষয়ে জড়িত মর্মে শুনেছি।


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, গত অর্থবছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সম্পাদন করে বিল তোলার কথা। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান নানা জটিলতার কারণে কাজ করতে পারেনি বলে আমি শুনেছি। তবে সরকারি নির্দেশনা ছিল নিজেদের টাকায় ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করার।


[কাউনিয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে টানটান উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা]


জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ. মান্নান বলেন, ভানোর গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী (পুরাতন ইট) দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বেদী নির্মাণ হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ স্থানীয়রা আমার দপ্তরে জমা দেয়। যেহেতু অভিযোগটি অন্য দপ্তরের, তাই অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে।


এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামশুল আলম বলেন, নিম্নমানের পুরাতন ইট দিয়ে সমাবেশবেদী নির্মাণের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেনি, তাদের তাগাদা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দিনাজপুরে বিশাল আকৃতির কাঁঠাল দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

দিনাজপুরে বিশাল আকৃতির কাঁঠাল দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

admin August 29, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় একটি কাঁঠাল দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন। কারণ কাঁঠালটির আকৃতি বেশ বড়। ওজন ৮০ কেজি। বর্তমানে কাঁঠালটি কাহারোল উপজেলা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। কাঁঠালটির মালিক কাহারোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাদীপুর গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম।


স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পূর্ব সাদীপুর গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের বসত বাড়ির আঙিনায় একটি গাছে তিনটি কাঁঠাল ধরে। প্রথম থেকেই কাঁঠালগুলোর আকৃতি গ্রামের মানুষকে আকৃষ্ট করে। গত মঙ্গলবার একটি কাঁঠাল ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরীফ উদ্দীন আহম্মেদ দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে কাঁঠালটি ওজন করা হয়। এতে দেখা যায় বিশাল আকৃতির কাঁঠালটির ওজন ৮০ কেজি।


কাঁঠালের মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, গাছটিতে এবারই প্রথম তিনটি কাঁঠাল ধরে। কাঁঠালগুলো আকারে বেশ বড় বড়। কিন্তু এতো বড় হবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। মঙ্গলবার কাঁঠালটি পাড়ার সময় চেয়ারম্যান সাহেবকে খবর দিলে তিনি কাঁঠালটি দেখতে আসেন। পরে কাঁঠালটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।


চেয়ারম্যান মো. শরীফ উদ্দীন আহম্মেদ কাঁঠালের ওজন ৮০ কেজি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি জীবনে এতো বড় কাঁঠাল দেখেননি। তাই তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার দৃষ্টিতে আনার জন্য কাঁঠালটি উপজেলা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কাঁঠালটি আমার চেয়ে ওজনে বেশি। এ সময় তিনি রসিকতা করে বলেন, আমার ওজন ৭২ কেজি আর কাঁঠালের ওজন ৮০ কেজি। এদিকে কাঁঠালের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক নজর দেখার জন্য মঙ্গলবার বিকেল থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমে হার দেখলো বাংলাদেশ

প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমে হার দেখলো বাংলাদেশ

admin August 29, 2018

নীলফামারী: আসছে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমে হার দেখলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের দল। এশিয়ান গেমসের মূল একাদশকে বিশ্রামে রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ ফুটবল দল। বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (২৯ আগস্ট) ম্যাচটি শুরু হয় বিকেল ৪ টায়।


তবে ১০ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ব্যাকপাসের খেসারত দিতে হয়। মাঝমাঠের ভুল পাস আর গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশের গোলরক্ষক শহিদুল আলমকে দূর পাল্লার শটে পরাস্ত করেন মোহাম্মদ ফজল (১-০)। প্রায় মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ফজল শট নেয়, বাংলাদেশের গোলরক্ষক তখন গোলবার ছেড়ে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ।


দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। বেশ কয়েকবার শক্ত আক্রমণে গিয়েও গোল বঞ্চিত হতে হয়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। এর আগে খেলা শুরুর আগেই স্টেডিয়ামে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে দর্শক মাঠে প্রবেশ করেন। এদিকে খেলা শুরুর আগে বসুন্ধরা কিংসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইমরুল হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম কে নীলফামারী বাসীর পক্ষ থেকে স্বাগতম জানান নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ।

বাঘায় এক ফকিরের আস্তানা থেকে গুপ্তধন চুরির গুঞ্জনে তোলপাড়!

বাঘায় এক ফকিরের আস্তানা থেকে গুপ্তধন চুরির গুঞ্জনে তোলপাড়!

admin August 29, 2018

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় ঘটু ফকিরের আস্তানায় মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তানার সিড়ির ইট খুলে মাটির নীচ থেকে গুপ্তধন নিয়ে গেছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (২৮-৮-১৮) স্থানটি পরিদর্শনে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তবে এটা কি সেই গুপ্তধন, সে বিষয়ে কেউ জানাতে পারেনি। মাটি থেকে উঠানো পাতিলের আকৃতি দেখে অনুমান করা হচ্ছে সেখানে গুপ্তধন ছিল। সোমবার (২৭-৮-১৮) গভীর রাতে ঘটু ফকিরের আস্তানা থেকে গুপ্তধন চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। আস্তানাটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের সোনাদহ গ্রামে অবস্থিত। সোনাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন নবাব ও স্থানীয় জামাল হোসেন ভান্ডারী জানান, তিন গম্বুজ বিশিষ্ট আস্তানাটি ঘটু ফকিরের আস্তানা বলে পরিচিত। বাপ দাদার কাছ থেকে তাদের শোনা, সেটি প্রায় পাঁচ’শ বছর আগের নির্মিত। ঘটু ফকিরের মৃত্যুর পর থেকে এই আস্তানা পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এই আস্তানার সিঁড়ির ইটখুলে মাটি নীচ থেকে গুপ্তধন চুরি হয়েছে। সেই মাটিতে পাতিল বসানোর আকৃতি দেখা গেছে। সেই পাতিলে গুপ্তধন ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। আড়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, এলাকায় গুঞ্জন শুনে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। দেখতে আসা মানুষের ধারনা সেখানে কোন গুপ্তধন ছিল। আড়ানী পৌর পৌর মেয়র মুক্তার আলী ও আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনারাও শুনেছেন।

জয়পুরহাটে চাঁদাবাজীর অভিযোগে সাংবাদিক জেলহাজতে

জয়পুরহাটে চাঁদাবাজীর অভিযোগে সাংবাদিক জেলহাজতে

admin August 29, 2018
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে মানবাধিকার ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির জয়পুরহাট জেলা শাখাার সভাপতি ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি এম এ কুদ্দুস ডলারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাট শহরর কাশিয়াবাড়ি এলাকায় তার অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডলার জয়পুরহাট শহরের বামনপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।

জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম হোসেন জানান, এম এ কুদ্দুস ডলার বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির জেলা সভাপতি ও সাংবাদিক পরিচয়ে দীঘ দিন থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। ইতি পূর্বেও তাকে আটক করা হয়েছিল ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ আগষ্ট জয়পুরহাট শহরের দেবিপুর এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে (অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য) আব্দুর রশীদের সঙ্গে তার ভাই ভাতিজাদের পারিবারিক ভাবে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে তার পার ১৬ আগষ্ট উক্ত ডলার তার দল বল নিয়ে দেবিপুরে আব্দুর রশিদের বাড়িতে গিয়ে খোজা খুজি করে তাকে না পয়ে মুঠো ফোনে পৌর এলাকার কাশিয়াবাড়ীর মানবাধিকার অফিসে আসতে বলে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় তার মানবাধিকার অফিসে গেলে তার পারিবারে গন্ডগলের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া দেওয়া হবে কিন্ত আমাদেরকে দেড় লাখ নগদ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আব্দুর রশীদ কাছে টাকা না থাকায় তার সঙ্গে থাকা বোনের কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা নিয়ে ডলারকে চাঁদা দেয়। পরে এক লাখ পয়ত্তালিশ হাজার টাকা কয়েক দিনের মধ্যে দিতে হবে। তা না হলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাকি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আবার ১৯ আগস্ট বেলা ১১টায় তার দল বল নিয়ে রশিদের বাড়িতে গিয়ে বাঁকি টাকার জন্য খোজা খুজি করে। পরে পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করিলে সরজমিনে তদন্ত পুর্বক ২৭ আগষ্ট অভিযোগ টি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলা নং- ৩৫ তাং ২৭/০৮/১৮ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ।

এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মোবাইলে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং তা সাংবাদিকরা মোবাইলে তার কন্ঠ রেকর্ড করে। ডলার গ্রেফতার হওয়ায় তার হয়রানির শিকার সাধারন মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তির নিস্বাস ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আরাফাত হোসেন মুন বলেন, এসব মানবাধিকার নামধারী ব্যাক্তিদের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আমরা প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছিনা। এদের তদন্ত স্বাপেক্ষে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জয়পুরহাট এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী অপুর্ব সরকার জানান, মানবাধিকার নাম দিয়ে প্রতারিত করছেন ডলার। তার মত ব্যাক্তিদের কঠোর শাস্তির দরকার এবং এদের ব্যাপারে প্রশাসনকে আরো সজাগ থাকার দরকার। এদিকে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রতন কুমার খাঁ জানান, এসব সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী যেই অপকর্ম করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত স্বাপেক্ষে শাস্তি দেওয়া উচিত।
পঞ্চগড় সীমান্তে ১ হাজার ৬০ কেজি ভারতীয় কাঁচা চা পাতা আটক

পঞ্চগড় সীমান্তে ১ হাজার ৬০ কেজি ভারতীয় কাঁচা চা পাতা আটক

admin August 29, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের পৃথম দুটি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১হাজার ৬০ কেজি ভারতীয় কাঁচা চা পাতাসহ দুটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। যার মোট বাজার মূল্য ১.৩২.১৮০ টাকা।


বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) রাত ৮ টার সময় জেলার ময়নাগুড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৪২৩ এর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালটুগছ এলাকায় ময়নাগুড়ি বিওপির টহল দলের হাতে ভারতীয় কাঁচা চা পাতা ৬৬০ কেজি, ব্যাটারী চালিত ভ্যান ২টি, প্লাষ্টিক বস্তা ২৮টি আটক হয়। যার বাজার মূল্য ১১.২০.০৮০ টাকা।
অপরদিকে জেলার মিস্ত্রীপাড়া সীমান্তের ৪২০/৫ এস পিলারের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গড়িয়ানপাড়া এলাকায় মিস্ত্রীপাড়া বিওপির টহল দলের হাতে ৪০০ কেজি ভারতীয় কাঁচা চা পাতা, ১০টি প্লাস্টিক বস্তা আটক হয়। যার বাজার মূল্য ১২.১০০ টাকা।


সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে মাদক, গরু, চা পাতাসহ সীমান্ত পথে অবৈধ চোরাচালান বন্ধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল হাকিম মো. নওশাদ জানান, সীমান্তে সকল প্রকার চোরাচালান বন্ধে ১৮ বিজিবির সদস্যরা সোযাগ আছে। যে কোন মূল্যে চোরাকারবারিদের ধরতে বিজিবি সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া আছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

admin August 29, 2018

নীলফামারী: প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছে। ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মর্মান্তিক এই সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়গ্রাম বাহারী পেট্রোল পাম্পের সামনে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায়, ঘটনার সময় দুইবন্ধু উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বৈইতপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে আমিন আলী (২২) ও একই ইউনিয়নের পূর্বদলিরাম গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে রিফাত (২০) মোটরসাইকেল যোগে জলঢাকা যাচ্ছিল। রংপুর-জলঢাকা সড়কের বিপরিত দিক হতে আসছিল একটি প্রাইভেট কার ( ঢাকা মেট্রো- গ- ২৮-২৩২৪)। গাড়াগ্রাম বাহারী পেট্রোল পাম্পের সামনে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুথি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে নিহত হয় মোটরসাইকেল চালক আমিন আলী। গুরুত্বর আহত হয় রিফাত। তাকে একটি মাইক্রোবাসে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসার আগেই তার মৃত্যু হয়।


এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রাইভেটকারটি সহ চালককে আটক করেছে। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


 

[সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার]

সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

admin August 29, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার কুন্দল কেন্দ্রীয় শ্মশান সংলগ্ন খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ ২৯ আগস্ট, বুধবার সকালে উদ্ধারকৃত ওই ব্যক্তির নাম আহসান হাবিব হৃদয় (৪০)। সে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজামের চৌপথী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্রকৌশলী মো: রুস্তম আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে তারা জীবিত আছে ভেবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে উদ্ধারকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকিয়া সুলতানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয়কে গত রাত থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে নিয়মিত নেশা করতো। এ কারণে প্রায়ই রাত-বিরাতে বাড়ির বাইরে থাকতো। সে কারণে তারা তার নিখোঁজের ব্যাপারে তেমন একটা উদ্বিগ্ন ছিলনা।
ফায়ার সার্ভিস ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তাছাড়া তার শরীর থেকে দেশীয় মদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। একারণে সন্দেহ করা হচ্ছে যে আহসান হাবিব হৃদয়ের মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত মদ পান হতে পারে। তবে লাশ নদীতে কেন এ নিয়ে এলাকাবাসীর ধারণা, সে গত ২৮ আগস্ট রাতে শহরের দেশীয় মদ ভাটি থেকে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় কুন্দল শ্মশান এলাকায় চলে আসে এবং রাতের যে কোন সময় সে নদীতে পড়ে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা মুঠোফোনে জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে সমাবেশ, ক্লাস বর্জন

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে সমাবেশ, ক্লাস বর্জন

admin August 29, 2018

রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ অভিভাবকরা। সম্প্রতি নির্বাচন ছাড়াই ভুয়া কাগজপত্রে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে বিক্ষুদ্ধরা এই কর্মসূচী পালন করেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় দিকে রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিক্ষুদ্ধরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন, পাঠদানে শিক্ষকদের অসহযোগিতাসহ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচীর ঘোষণা দেন তারা।


এদিকে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কৌশিক, দশম শ্রেণীর লুবণা আকতার, আফরিন জাহান, লিখন, সাগর, আশিক, তানবীরুল, অষ্টম শ্রেণীর মিজানুর রহমান মিজান, অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, স্কুলের সাবেক সভাপতি ও অভিভাবক মাহমুদুল হক তুষার, সবুজ, গোলাপ প্রমুখ।


এসময় তারা বলেন, সদ্য প্রয়াত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সময় স্কুলের নির্বাচনের জন্য তফশিল ঘোষনা করা হয়েছিল। প্রার্থীরা ব্যাংক ড্রাফট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ফরম তুলেছিলাম। কিন্ত আওয়ামীলীগ নেতা নান্নু প্রভাব খাটিয়ে সেই নির্বাচন স্থগিত করায়। পরবর্তীতে কোন ধরনের নির্বাচন ছাড়াই নান্নু মিয়া সাবেক প্রধান শিক্ষককে চাপের মুখে ফেলে একটি অবৈধ কমিটি গঠন করে নিজে সভাপতি হয়ে যান। এই চাপে ওই প্রধান শিক্ষক রফিকুল হার্ট এ্যটাক করে মারা যান। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকরা দিনাজপুর বোর্ডে এই অবৈধ কমিটি বাতিলের জন্য আবেদন করেছি। আমরা এই অবৈধ কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধ কমিটি চাই।


সহকারী শিক্ষক আখতারুজ্জামান জানান, স্কুলের কমিটি কিভাবে হলো তা আমরা জানি না। এখানে কমিটি গঠনের জন্য কোন ভোট হয় নি। ওই কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য স্বপন বাবু জানান, আগের প্রধান শিক্ষক সব প্রসেসিং মেনেই কমিটি গঠন করেছেন। তবে কমিটি গঠন নিয়ে স্কুলে কোন নির্বাচন বা ভোটাভুটি হয়নি। এনিয়ে স্থানীয়রাসহ অনেকেই ক্ষুদ্ধ রয়েছেন। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, নির্বাচনের মাধ্যমে সব কিছু ঠিকঠাক করেই আগের প্রধান শিক্ষক এই কমিটি করেছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ভোট হয় নি।


এ ব্যপারে স্কুলের সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু জানান, আগের প্রধান শিক্ষক আমাকে সব নিয়ম মেনে সভাপতি করেছেন। নির্বাচন হয়েছে। আমি ইউএনওর কাছে গেছিলাম। উনিও বলেছে ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে সাবেক সভাপতি তুষার মেনে নিতে পারছে না। সে কানোছগাড়ি এলাকার কিছু অভিভাবককে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অন্যদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কমিটি গঠনের বিষয়টি তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি রংপুরের বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিংয়ে থাকায় তদন্ত করতে না পারায় উপজেলা নির্বাহী স্যারকে কাগজপত্র ফিরিয়ে দিয়েছি।

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যার ঘটনায় শ্বশুর আটক

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যার ঘটনায় শ্বশুর আটক

admin August 29, 2018

পাবনা: আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ইদ্রাল ওষুধ কোম্পানি এবং শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।


জানা গেছে, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে নদীর দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু যৌতুকের দাবিতে নদীকে তালাক দেন রাজীব। এ ঘটনায় রাজীব ও আবুল হোসেনসহ ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নদী। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সেই মামলার শুনানি হয়।


নিহত নদীর বোন চম্পা খাতুন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, আবুল হোসেনের লোকেরাই নদীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।


এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। নদীর মা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পাবনা থানার ওসি ওবায়দুল হক। এর আগে জীবন নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীর। পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই ঘরে তাদের জান্নাত নামে ৭ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। পাবনা শহরের রাধানগরে একটি ভাড়া বাসায় মা ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নদী।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগরে নিজবাসার সামনে সাংবাদিক নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।

বিরামপুরে মায়েদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

বিরামপুরে মায়েদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

admin August 29, 2018

দিনাজপুর: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ধীন “কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা” তহবিল কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার উপকারভোগী মায়েদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষে গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এক হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আজ বুধার সকাল ১০ টায় হেলথ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিন, সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান প্রমূখ। এতে পৌরসভার প্রায় চার’শ মাকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।

যমুনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আলোর ঝিলিক

যমুনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আলোর ঝিলিক

admin August 29, 2018

সারাদেশ: যমুনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আলোর ঝিলিক দেখা দিয়েছে। আলোর ঝিলিক এনে দিয়েছে সৌর বিদ্যুৎ, স্থানীয়দের ভাষায় যা সোলার নামে পরিচিত। সৌর বিদ্যুতের এ ঝলকানিতে চরাঞ্চলের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। চরাঞ্চলের অর্থনীতিতেও এসেছে জোয়ার। সন্ধ্যার পরই যারা ঘুমিয়ে পড়ত, তারা এখন কাজকর্ম সেরে টেলিভিশন দেখে। ছেলে-মেয়েরা উজ্জল আলোয় অনেক রাত পর্যন্ত পড়ালেখা করে। যমুনা নদীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রুপসা। দ্বীপটি সিরাজগঞ্জের মেছড়া ইউনিয়নে অবস্থিত হলেও প্রমত্ত্বা যমুনার বুক চিরে রুপসা গ্রামের জন্ম। উত্তাল যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের বেশকিছু গ্রামের মধ্যে রুপসা অন্যতম।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের মালিকানাধীন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌর বিদ্যুৎ-মিনিগ্রীড চালু করে। প্রতিদিন এই প্রকল্পে ১৩০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর এই বিদ্যুতেই আলোকিত হয়েছে রুপসা চরের মানুষ। সোলারগাঁও লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এক একর জায়গার উপর স্থাপন করেছে সোলার মিনিগ্রীড (বিদ্যুৎ উৎপাদক কেন্দ্র)। এখান থেকে নয় কিলোমিটার সংযোগ লাইনও বসানো হয়েছে। এ লাইন থেকেই এক বছরে ৪৭৪জন গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ৩১০জন আবাসিক এবং ১৬৪জন বাণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছে। আট হাজার ১০৫ জন বসতির গ্রাম রুপসাকে বদলে দিয়েছে এই সোলার মিনিগ্রীড।
সোলার মিনিগ্রীড স্থাপনের মাধ্যমে ওই গ্রামের মানুষ ঘরে ঘরে বিদ্যুত পেয়ে আনন্দিত। তাদের প্রায় প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে টেলিভিশন, ফ্রিজ ও অন্যান্য ইলেক্টনিক্স সামগ্রী। এ গ্রামের মানুষ গত এক বছর আগেও বিদ্যুতের অভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। এখন প্রত্যেকের হাতে হাতে মোবাইল ফোন।
বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র ভরসা ছিল জেনারেটর। জেনারেটর দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে প্রতিদিন যে ডিজেল ফুরাত তাতে সবমিলিয়ে ব্যবসায় লাভের অংকটা খুবই সামান্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে রুপসা গ্রামের মানুষ জেনারেটরের পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছে।
যমুনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হলেও রুপসা গ্রামে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রয়েছে পাকা রাস্তাও। সেই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ায় সেই রাস্তা দিয়ে এখন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চলে। এলাকার মানুষের জীবন-মানের অভাবনীয় পরিবর্তনে সকলের চোখে-মুখে উৎফুল্লের হাসি।
রুপসা গ্রামের গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার জানান, আগে সন্ধ্যার পরই চরের মানুষ ঘুমিয়ে পড়ত। বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে সকল কাজকর্ম শেষ করে টেলিভিশন দেখে সময় কাটিয়ে যখন ইচ্ছে তখন ঘুমাচ্ছেন। ছেলে-মেয়েরাও বিদ্যুতের উজ্জল আলোয় লেখাপড়া করতে পারছে।
বিদ্যুতের কারণে পাল্টে গেছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রুপসা বাজারটির চিত্রও। মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, আগে জেনারেটরে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হত। বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে ঝামেলা ছাড়াই দিন-রাত কাজ করছেন তিনি। আগের তুলনায় প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে অনেক কম।
সোলারগাঁও লিমিটেডের প্ল্যান্ট প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, প্রতি গ্রাহককে সংযোগ নিতে আড়াই হাজার টাকা জমা দিতে হয়। লাইন থেকে ৬৫ ফুট পর্যন্ত সংযোগ তার বিনামূল্যে দেয়া হয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২০ টাকা। তবে এটি ১০টাকা বাড়িয়ে ৩০টাকা করা হবে। তিনি জানান, সোলার মিনিগ্রীড প্রকল্পে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন ইনফ্রাস্ট্রাকরচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড (ইডকল)। ৩০ভাগ দশ বছর মেয়াদী ছয় পার্সেন্ট সুদে ঋণ দিয়েছে তারা (ইডকল)। বাকী ২০ ভাগ বিনিয়োগ করেছে সোলারগাঁও।
মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ গত এক বছর আগেও বিচ্ছিন্ন এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। বিদ্যুৎ আসায় এ এলাকার মানুষের অভাবনীয় উপকার হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকরচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক জানান, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ২৭টি প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে সোলার মিনিগ্রীড প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। যার মধ্যে ১৭টি চালু হয়েছে। বাকীগুলো নির্মাণাধীন।

নবাবগঞ্জে আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানবন্ধন-স্বারকলিপি

নবাবগঞ্জে আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানবন্ধন-স্বারকলিপি

admin August 29, 2018

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আদিবাসী কোটা সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কোঠা বহাল রাখার দাবীতে মানবন্ধন, স্বারকলিপি প্রদান ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলার ক্ষুদ্র -নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়।


আজ বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে নবাবগঞ্জ-বিরামপুর সড়কে সান্তাল ষ্টুডেন্টস ফেডারেশনের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধন শেষে তারা প্রধান মন্ত্রার বরাবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করে। পরে তারা উপজেলা প্রেসক্লবে সাংবাদিক সম্মেলন করে। এত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সান্তাল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সভাপতি মিকাইল টুডু । সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরানের আহবায়ক শ্যামল মাডীর্ , স্টুডেন্ট ফেডারেশনর সহ-সভাপতি রবিন মুুর্মু , হাজি দানেশ বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট নিরালা সরেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান- চলমান কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৩ আগষ্ট কোটা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনে আদিবাসী কোটা সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কোটা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। আদিবাসী কোটা বাতিল হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আরও পিছিয়ে পড়বে। ফলে তাদের কোটা বহাল রাখার দাবি জানায়।

ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

admin August 29, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জাতীয় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার ১২ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।


আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং একই জায়গায় এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে প্রেসক্লাবের আনিসুল হক মিলনায়তনে আমাদের অর্থনীতি ১২ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়।


পরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিঠু, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি বকুল, দৈনিক খবর সাহিন ফেরদৌস প্রমুখ অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

পঞ্চগড়ে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুকে নির্মম নির্যাতন

পঞ্চগড়ে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুকে নির্মম নির্যাতন

admin August 29, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় শহরের নিউজ মার্কেট এলাকায় চুরির অপবাদে হাতুরি পিটাসহ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাকিন (১০) নামে এক শিশু। শিশু সাকিন পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগ এলাকার দরজি দুলাল মিয়ার পুত্র।


গত মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) রাতে খবর পেয়ে সকিনের বাবা-মা, পুলিশ তালাবদ্ধ ঘড় থেকে তালা ভেঙ্গে আশংখা জনক অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তিকরে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতক।


নির্যাতনের শিকার শিশু জানায়, চুরির অপবাদ দিয়ে দিন-রাত ঘরের ভিতর আটকিয়ে রেখে হাত পা বেঁধে মাথার চুল কেটে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রেখে হাতুরি দিয়ে সরিলের হাটু, পিঠ, পায়ের তালাসহ বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে সুলতান হাজীর পুত্র গুড়া হলুদ মরিচ ব্যাবসায়ী সফিকুল ইসলাম।


সাকিনের বাবা দুলাল মিয়া জানান, খবর পেয়ে সন্তানকে উদ্ধার করতে গেলে সফিকুলের হামলার শিকার হই আমরা। জানা যায়, সাকিনকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করায় মা সায়েদা বাদী হয়ে সফিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি রবিউল হাসান সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে সফিকুল গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে আটক করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারি: আরও ৮ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারি: আরও ৮ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

admin August 29, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা মামলায় নতুন করে আর আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।


এরা হলেন- কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহম্মদ; মহাব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবুল কাসেম প্রধানীয়া, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশারফ হোসেন সরকার; ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার; ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান; ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক।


এর আগে মঙ্গলবার অপর আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।


তারা হলেন- কোল মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর বিভাগ) এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোরশেদুজ্জামান; উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান; সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং) জোবায়ের আলী।


এর আগে গত ১৩ অগাস্ট মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করে নোটিস দেয় দুদক। তাদের মধ্যে দুই দফায় ১৫ জন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন।


বুধবার ওই আট জনের জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবারও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।


এদের মধ্যে রয়েছেন- কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি ও গোপাল চন্দ্র সাহা।


একই দিন ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন; ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) কামরুল হাসান; উপব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা আছে।


কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।


মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম।


এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত। অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ব্যবস্থাপক, উপ-ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা।

মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ভারতজুড়ে বুদ্ধিজীবী ধরপাকড়

মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ভারতজুড়ে বুদ্ধিজীবী ধরপাকড়

admin August 29, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে লেখক, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকও রয়েছেন। দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরেগাঁওয়ে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) একযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পুলিশের বিশেষ বাহিনী। অভিযান চালানো হয় ফরিদাবাদ, গোয়া, মুম্বাই, ঠাণে, রাঁচি, হায়দ্রাবাদে।


এ সময় ফরিদাবাদ থেকে সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, হায়দ্রাবাদ থেকে কবি ও মানবাধিকার কর্মী ভারভারা রাওকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পৃথক অভিযানে স্থানীয় এক সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী গৌতম নাভাকহামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এরইমধ্যে সমাজকর্মী অরুণ ফেরেইরা এবং ভেনন গঞ্জালভেসও নেওয়া হয়েছে পুলিশি হেফাজতে।


মঙ্গলবার সকালে রাঁচির ফাদার স্ট্যান স্বামীর বাসস্থানেও অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ল্যাপটপ, পেন-ড্রাইভসহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, এই সমাজকর্মীরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ সূত্রে আরো জানানো হয়েছে, মারাঠা পেশোয়াদের বিরুদ্ধে জয়কে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করতে এ বছরের ১লা জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরেগাঁও এলাকায় জমায়েত হয় দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। সেখানেই উচ্চ বর্ণের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষ বাঁধে।


পরে এই ঘটনার তদন্তে নেমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানতে পারে গোয়েন্দারা। সম্প্রতি মুম্বাই, নাগপুর এবং দিল্লী থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন মাওবাদীর ৫ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- দলিত নেতা সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, মহেশ রাউত, সোমা সেন এবং রোনা উইলসন।


গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে সেসময় একটি চিঠি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই চিঠিতে মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলে। এতে মোদীকে হত্যা করতে একটি এম-ফোর রাইফেল ও গুলি কেনার জন্য ৮ কোটি রুপি চাওয়া হয়েছিল। আর চিঠির শেষে উল্লেখ ছিল ভারাভারার রাওয়ের নাম। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তবে মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন ভারাভারা রাও।


অপরদিকে দেশ জুড়ে এভাবে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়ানোয় পুলিশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির বুদ্ধিজীবী সমাজ। লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘কবি, সাহিত্যিক, দলিত আন্দোলনকারী, আইনজীবীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। জেলে ভরা হচ্ছে। পুলিশের উচিত গো-রক্ষার নামে যারা গণপিটুনি দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে এবং উস্কানি দিচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করা।’


এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টির বদলে ভারতের উচিত মত প্রকাশ, সভা-সমিতি গঠন এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা করা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদী ভাবমূর্তি এবং কাজকর্মের জন্যই কি তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে?’

হাতিবান্ধায় হাজি কর্তৃক পূজা! মুসলমানদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া

হাতিবান্ধায় হাজি কর্তৃক পূজা! মুসলমানদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া

admin August 29, 2018

পাটগ্রাম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায় নুরল মাস্তান নামের এক হাজি কর্তৃক পূজা করায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় মুসলমানরা। বিক্ষুদ্ধ প্রতিবেশীরা গত সোমবার তার পূজার স্থানটি ভেঙ্গে দিয়েছেন।


জানা যায়, তার বাড়িতে পূজার বেদীতে মা মনসার মূর্তি, কাসার তালা, বাটি, গ্লাস ও সালু কাপড়সহ পূজার নানাবিধ উপকরণ পাওয়া গেছে। হাতিবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া এলাকার নুরল ইসলাম (মাস্তান) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মচারী ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। তিনি গত ৩ বৎসর আগে হজ্ব করে এসেছেন।


গত সোমবার দুপুরের দিকে নুরল হাজির প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি চাউর হলে হাতিবান্ধা থানা পুলিশ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়। পরে হাতিবান্ধা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আফাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরজমিনে দেখা গেছে, নুরল হাজির বাড়ির পিছনে আনুমানিক ২০ ফুট ব্যাসার্ধের গোলাকৃতি বাঁশের খোঁটা দিয়ে ঘেরা গাছগাছালিতে পূর্ণ নিরিবিলি একটি স্থান। এরইমধ্যে একটি অগভীর কূপ। কূপের পাশেই ইট দিয়ে বাাঁধানো তৈরীকৃত পূজার বেদী। তাতে সর্পদেবী মা মনসার মূর্তি বসানো। কূপের মধ্যে ও বেদীতে নানাবিধ পূজার উপকরণ সাজানো। এখানেই তিনি গত ৫ দিন ধরে মা মনসার পূজা করে আসছিলেন।



[পাবনায় নারী সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন]


নুরল ইসলামের (মাস্তান) প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নুরল ইসলাম বেশ কিছুদিন থেকেই অপ্রকৃতিস্থ আচরণ করে আসছিলেন। তার বাড়িতে তৈরী ইয়াতিম খানাটিও কিছু দিন হলো তিনি বন্ধ করে দেন। এবারে ঈদ-উল-আযহার কয়েক দিন পূর্ব থেকে তাঁর আচরণ আরো বেশি অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। তিনি একা একা থাকতে শুরু করছিলেন। ২২ আগস্ট, বুধবার ঈদের দিন থেকে তিনি হঠাৎ মনসা দেবীর পূজা-অর্চনা শুরু করেন। বিষয়টি প্রতিবেশীরা আঁচ করতে পারলে নুরল হাজি গত রবিবার একরকম বাধ্য হয়ে পরিবার-পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান।


বাড়ি ছাড়ার আগে কয়েকজন প্রতিবেশীকে তিনি বলেন, এখানে থাকলে মা মনসা তাকে মেরে ফেলতে পারেন তাই তিনি অন্যত্রে চলে গেলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, গোপন বাসনা চরিতার্থ করার জন্য তিনি মনসার পূজা শুরু করেছিলেন বলে নুরল ইসলাম তাদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর একটা ধর্মকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে। নুরল ইসলামের বিচার চাই।


এ ঘটনায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুদর্শন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ধর্মকে অবমাননা করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। হাতিবান্ধা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, পরিদর্শনের জন্য ফোর্স পাঠানো হয়েছে। ফকির পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পাবনায় নারী সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন

পাবনায় নারী সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন

admin August 29, 2018

পাবনা: পাবনায় সুবর্ণা নামে এক নারী সংবাদিককে বাসায় গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে আততায়ীরা। নিহত সুবর্ণা আক্তার নদী (৩২) বেসরকারি টেলিভিশন ‘আনন্দ টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি ছিলেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় সুবর্ণার ঘরে গিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবনা পুলিশ। পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলিয়া মাদরাসার পশ্চিম পার্শ্বের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সুবর্ণা। তবে কেন, কারা তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায় নি।


পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, “বাসার কলিং বেল টিপে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে ডেকে বের করে। সুবর্ণা নদী গেইট খোলার সাথে সাথে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।” পরে স্থানীয়রা সুবর্ণাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।


এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শামিমা আকতারসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে সুবর্ণা নদী হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে আমাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছেন প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারের জন্য।”


সুবর্ণা নদী আনন্দ টিভির পাশাপাশি দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তার ৯ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পাবনার একব্যবসায়ীর ছেলে রাজিব ছিলেন সুবর্ণার স্বামী। সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয়। এনিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছে বলে স্থানীয়রা জানান।


এদিকে সুবর্ণা হত্যার ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিয়ে জানিয়েছে সাংবাদিকরা। পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন, ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটর সাইকেলে এসে তাকে কুপিয়ে দ্রুতবেগে চলে যায়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”


পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেণ, সাংবাদিক সুবর্ণা খুনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

পীরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক ও প্রসুতির মৃত্যু, হাসপাতাল অবরুদ্ধ

পীরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক ও প্রসুতির মৃত্যু, হাসপাতাল অবরুদ্ধ

admin August 28, 2018

পীরগঞ্জ, রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক প্রসুতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর পরিবারের দু’শতাধিক স্বজন হাসপাতালটি সাড়ে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। গত সোমবার রাতে ৮ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ওই অবরুদ্ধ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের দাউদপুর গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩২)। সে দু’সন্তানের জননী, আবারো তার গর্ভে জমজ সন্তান আসে। দাউদপুর থেকে তাকে সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে একটি মাইক্রোযোগে পীরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে শিল্পীর এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় এবং জন্মের পর পরেই শিশু মারা যায়। ওই হাসপাতালে আনার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় বিনা চিকিৎসায় শিল্পীর আর এক সন্তান ভুমিষ্ঠ না হয়েইে সে মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে রোগীর দু’শতাধিক স্বজন এসে হাসপাতালটি ঘেরাও করলে রাতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শহিদুল ইসলাম পিন্টু জানান; সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় শিল্পী নামে রোগী ভর্তি হয় তার প্রাথমিক সেবা (আল্ট্রাসনোগ্রাম, ব্লাড টেস্ট) করে পেটের শিশুর ভাল অবস্থায় ছিল, তবে রাত ৮:০০ টার সময় রোগী অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু বরণ করে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি (অপারেশন্স) শুকুর আলী জানান, ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। শিল্পীর ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, আমার বোনসহ দু’সন্তানই মারা গেছে। আমরা মামলা মোকদ্দমা করবো না। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক কবর স্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three