জয়পুরহাটে চাঁদাবাজীর অভিযোগে সাংবাদিক জেলহাজতে

admin August 29, 2018
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে মানবাধিকার ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির জয়পুরহাট জেলা শাখাার সভাপতি ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি এম এ কুদ্দুস ডলারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাট শহরর কাশিয়াবাড়ি এলাকায় তার অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডলার জয়পুরহাট শহরের বামনপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।

জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম হোসেন জানান, এম এ কুদ্দুস ডলার বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির জেলা সভাপতি ও সাংবাদিক পরিচয়ে দীঘ দিন থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। ইতি পূর্বেও তাকে আটক করা হয়েছিল ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ আগষ্ট জয়পুরহাট শহরের দেবিপুর এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে (অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য) আব্দুর রশীদের সঙ্গে তার ভাই ভাতিজাদের পারিবারিক ভাবে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে তার পার ১৬ আগষ্ট উক্ত ডলার তার দল বল নিয়ে দেবিপুরে আব্দুর রশিদের বাড়িতে গিয়ে খোজা খুজি করে তাকে না পয়ে মুঠো ফোনে পৌর এলাকার কাশিয়াবাড়ীর মানবাধিকার অফিসে আসতে বলে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় তার মানবাধিকার অফিসে গেলে তার পারিবারে গন্ডগলের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া দেওয়া হবে কিন্ত আমাদেরকে দেড় লাখ নগদ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আব্দুর রশীদ কাছে টাকা না থাকায় তার সঙ্গে থাকা বোনের কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা নিয়ে ডলারকে চাঁদা দেয়। পরে এক লাখ পয়ত্তালিশ হাজার টাকা কয়েক দিনের মধ্যে দিতে হবে। তা না হলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাকি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আবার ১৯ আগস্ট বেলা ১১টায় তার দল বল নিয়ে রশিদের বাড়িতে গিয়ে বাঁকি টাকার জন্য খোজা খুজি করে। পরে পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করিলে সরজমিনে তদন্ত পুর্বক ২৭ আগষ্ট অভিযোগ টি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলা নং- ৩৫ তাং ২৭/০৮/১৮ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ।

এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মোবাইলে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং তা সাংবাদিকরা মোবাইলে তার কন্ঠ রেকর্ড করে। ডলার গ্রেফতার হওয়ায় তার হয়রানির শিকার সাধারন মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তির নিস্বাস ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আরাফাত হোসেন মুন বলেন, এসব মানবাধিকার নামধারী ব্যাক্তিদের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আমরা প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছিনা। এদের তদন্ত স্বাপেক্ষে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জয়পুরহাট এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী অপুর্ব সরকার জানান, মানবাধিকার নাম দিয়ে প্রতারিত করছেন ডলার। তার মত ব্যাক্তিদের কঠোর শাস্তির দরকার এবং এদের ব্যাপারে প্রশাসনকে আরো সজাগ থাকার দরকার। এদিকে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রতন কুমার খাঁ জানান, এসব সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী যেই অপকর্ম করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত স্বাপেক্ষে শাস্তি দেওয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three