সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে কবীরুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্তে তার উপর নির্যাতন চালায় বিএসএফ।
শুক্রবার মধ্যরাতে লাশ কুশখালি সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় রেখে যায় বিএসএফ। তবে এ ঘটনার জন্য বিএসএফ দায়ী নয় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নিহত কবীরুল ইসলাম কুশখালী গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।
নিহত কবিরুলের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, বাড়ির কাউকে কিছু না বলে শুক্রবার রাতে কবিরুল ইসলাম কুশখালি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের দুবলি এলাকায় যায়। সেখান থেকে ভারতীয় চাপাতাসহ অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রী নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফএর নজরে পড়ে। বিএসএফ তাকে মারপিট করে। পরে তার মুখে পেট্রল ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় কবিরুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে যায় বিএসএফ।
পরে তাকে বাড়িতে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হলে রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক কবিরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুশখালি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, কবিরুল চাপাতা আনতে ভারতে গিয়েছিলেন। বিএসএফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে পরে মুখে পেট্রল ঢেলে দেয়।
সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মুখে পেট্রল ঢেলে দেয়ার বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। জানতে চাইলে বিজিবির কুশখালি বিওপির নায়েক সুবেদার আরিফ বলেন, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।
অপরদিকে বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, ঘটনাটি আমিও শুনেছি। হাসপাতালে লোক পাঠিয়েছি। তবে এ ঘটনার জন্য বিএসএফ দায়ী নয়। এমনকি ঘটনাটি ভারতীয় এলাকারও নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে দেখতে হবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী।