রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও 'বন্দুকযুদ্ধে' ১০ মামলার আসামি জিয়ারুল ইসলাম কালু (৩৯) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শকসহ মোট ৯ জন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেশবপুর এলাকার একটি আম বাগানে এ ঘটনা ঘটে। কালু উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, রাত আড়াইটার দিকে বাঘা সীমান্ত এলাকার কেশবপুর গ্রামের একটি আম বাগানে চোরাকারবারীদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে। এ খবর পেয়ে সেখানে রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত হই আমি এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান ও বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসিন আলী। আমরা সেখানে সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছিলাম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, আমিসহ ৯ পুলিশ আহত হই।
বাঘা থানা অফিসার ইনচাজ (ওসি) মহসিন আলী জানান, চোরাকারবারীদের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও গুলিতে আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসিন আলী নিজে, জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) উৎপল কুমার, এস. আই উসমান গনি এবং বাঘা থানা উপপুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম এবং বাঘা থানার দু’জন কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ও মাহাফুজুল আলম।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায় চোরাকারবারীরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলে আম বাগানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালুর লাশ, এক বস্তা ফেন্সিডিল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কালুর নামে বাঘা ও চারঘাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা সহ মোট ১০ টি চোরাচালান মামলা রয়েছে।
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডা. আক্তারুজ্জামান গুলিবিদ্ধ জিয়ারুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর আহত ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরপর কালুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ( রামেক) হাসপাতালের মর্গে নিয়েছে পুলিশ।