রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি এলাকায় পালন করা হয়েছে পবিত্র ইদুল ফিতর। এসব এলাকায় সকালে ঈদের নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়।
দিনাজপুর সদরসহ ৫টি উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের ২ হাজার পরিবার আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দিনাজপুর শহরের পার্টি সেন্টারে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ঈমাম মতি করেন মাওলানা সাইদুর রহমান । শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে আগত প্রায় তিন শতাধিক মুস্ল্লী এখানে নামাজ অংশ নেয়।
এদিকে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী বাজার, বালান্দর, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দহাট, মুকুন্দপুর, গড়েয়াবাজার মাঠ, চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া রাবার ডেম মাঠ খানসামার পাকেরহাট,বিরামপুর উপজেলা বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এবং জোতবানি ইউনিয়নের খয়ের বাড়ি দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করে আরো প্রায় দু’হাজার পরিবার।
অপরদিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামেও আগাম ঈদ উদযাপন করা হয়। মঙ্গলবার (৪জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়ায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন মওলানা ইমান আলী। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এসব গ্রাম গুলো হল,কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ, মুন্সিপাড়া।
কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সিপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর ইসলাম বলেন, বংশানুক্রমে ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ পালন করে আসছেন।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করেন মুসল্লিরা। এরপর পারস্পরিক কুশল বিনিময়, কোলাকুলি আর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই সব স্থানে ঈদ উদযাপন করার মতবাদ থেকেই একদিন আগেই ঈদ উদযাপনে কথা জানালেন জামাতের মুসুল্লিরা।