পাটগ্রাম প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল বন্দরে তুচ্ছ ঘটনায় বন্দরকর্তৃপক্ষ-শ্রমিক উত্তেজনা চলছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম দালাল মুক্ত স্থলবন্দর করার পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ ও স্থানীয় লোকজনকে মফিজ বলে গালি দেয়ায় স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন ওই মনিরুলের বদলির দাবি করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন। বিষয়টি নিয়ে বন্দর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৮৮ সালে স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে দূরবর্তী যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করনে স্থানীয় গরীব শ্রেণির এক প্রকার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন। তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীদের ব্যাংক ও পাসপোর্টের যাবতীয় কাজের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আসছে। ওই সময় দূরবর্তী যাত্রীরা খাওয়া, গোসল, বিশ্রাম সেরে ভারতের গমনের প্রস্তুতি নেয়। এসব সেবার জন্য যাত্রীরা তাদেরকে উপঢৌকন ও দিয়ে থাকেন।
“অপরদিকে বন্দর কতৃপক্ষ যাত্রীদের পাসপোর্ট চার্জ ৪১.৭৫ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা নেয়া শুরু করে। এর প্রতিবাদ করে স্থানীয় শ্রমিকরা। এ নিয়ে গন্ডগোল শুরু হলে স্থানীয় শ্রমিকদের “মফিজ” বলে গালি দেয়। এবং লাথি মেরে শ্রমিকদের বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ কারনে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়।”
ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ইসলাম আজম বলেন, আমাদের স্থানীয় শ্রমিকদের “মফিজ” বলে গালি দিয়ে লাথি মেরে বন্দর এলাকা থেকে শ্রমিকদের বের করে দেয়ার ঘোষণা দেয় বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ পরিচালক মনিরুল ইসলাম। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তাই ওই মনিরুল ইসলামকে ৭ দিনের মধ্যে বদলির আদেশ কার্যকর করতে হবে। তা ন হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে বিতাড়িত করা হবে।
সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের যুগ্ন সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে মনিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ যাত্রী অপেক্ষা ঘরে সরাসরি যাত্রীগণের কাছ থেকে বন্দরের “প্যাসেঞ্জার ফ্যামিলি চার্জ” আদায়ের পক্ষ্যে রয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কোন অনুমোদিত লোক অথবা ব্যক্তি ওই ঘরে প্রবেশ বন্ধের পক্ষে কর্তৃপক্ষ। আর এ বন্ধ করণের নিমিত্তে আইন শূংখলা বাহিনীর যথাযথ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ যতবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ততবারই অবৈধ সুবিধাকারীরা এ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।’
এ শুভ উদ্যোগের কারণে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে লক্ষ্যে অবৈধ সুবিধাভোগীরা উদ্যোক্তাকে দায়ী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লালমনিরহাট সহকারি পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার বলেন, যে কোন ধননের অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।