রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিণয় ঘটলো সাড়ে তিন বছর ধরে চলা প্রেমের সম্পর্কের। সম্পর্কের একপর্যায়ে কিছুদিন আগে প্রেমিকা বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে প্রেমিক। দীর্ঘদিনের এমন প্রেমের কথা ভেবে নাছোড় বান্দা প্রেমিকা হাল ছাড়েন নি। গত ২১ আগস্ট ঈদ-উল-আযহার আগের দিন এসব অভিযোগ এনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিশালবাড়ী গ্রামের মহিশালবাড়ী মহিলা মাদ্রাসার ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্রী আবদুল মতিনের মেয়ে মাহফুজা খাতুন। গত সাড়ে ৩ বছর পূর্বে একই গ্রামের মো. শাহাদত হোসেনের ছেলে মো. রিজন (২৫) এর সাথে পরিচয় হয়ে মোবাইল ফোনে কতাবার্তা চলতে চলতে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেমিক রিজন মাহফুজাকে বিয়ে প্রলোভনে প্রেম দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। পরে প্রেমিকা মাহফুজা তার প্রেমিক রিজনকে বিয়ের কথা বললে তা প্রত্যাখান করে সে। অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় রিজন। বারবার বিয়ের কথা প্রেমিক রিজনকে বললে মাহফুজাকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বলে।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিমের ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে প্রেমিক মো. রিজন ও তার বাবা শাহাদত হোসেন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারকে অবগতা করা হলে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লার নির্দেশক্রমে প্রেমিক রিজন ও তার বাবাকে বিয়ের বিষয়ে বুঝিয়ে বলা হয়। তাতে ছেলের বিবাহের মন থাকলেও বাবা বাঁকিয়ে বসে। এই নিয়ে চলতে থাকে টানা পোড়ন।
একপর্যায়ে গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হলে প্রেমিকা মহাফুজা খাতুন ও প্রেমিক রিজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২১ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আড়াই লক্ষ টাকা দেন মহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলে দুই জনের মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যায়। মাহফুজা খাতুন বিয়ের দাবিতে সফল হওয়াতে আজ শনিবার (২৫ আগস্ট-২০১৮) গোদাগাড়ী থানায় এসে মিষ্টি মুখও করিয়ে গেছেন। প্রেমে সফল হওয়ায় মাহফুজা নিজে অনেক খুশি বলে জানান।