তিউনিশিয়ায় নৌকা ডুবে নিহতদের ৬ জনের বাড়ি সিলেটে

admin May 12, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ছয়জনই সিলেটের বাসিন্দা। এর মধ্যে চারজনের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। তারা হলেন- উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল মিয়া (২৫), একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪) এবং দিনপুর গ্রামের আফজাল হোসেন (২৫)।


ফেঞ্চুগঞ্জ উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়মের চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু জানান, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বেলাল আহমেদ নামে একজন রয়েছেন, যার বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। তিনি-ই ফোনে এ খবর দিয়েছেন। তিনি জানান- নৌকায় তারা ৮০ জন ছিলেন। এর মধ্যে ১৪ জন বেঁচে ফিরেছেন। বাকিরা সবাই সাগরে নিখোঁজ। ‘নৌকা ডুবিতে নিহত হওয়ার খবর শোনার পর বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে,’ বলেন তিনি।


এ ঘটনায় নিহত অন্য দুজন হলেন- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বকশিমইলের বাসিন্দা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই শামীম আলম ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমদের ছোট ভাই কামরান আহমদ (মারুফ)। তার বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ইয়াকুব আলী।


নিহত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান বলেন, শনিবার (১১ মে) বিকেল ৩টার দিকে তিউনিসিয়া উপকূল থেকে বেঁচে যাওয়া তারই চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল মিয়া ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুজ্জামান জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।


এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহবুবুল আলমও। গত ৯ মে (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসীবাহী একটি বড় নৌকা ইতালি পাড়ি জমায়। ভূমধ্যসাগরে গিয়ে নৌকাটি ডুবে গেলে প্রায় ৬০ জন অভিবাসী প্রাণ হারান।


এর অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট। সংস্থাটি বলছে, গভীর সাগরে বড় নৌকা থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ডুবে যায়।


১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার (১২ মে) সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসেন তিউনিসিয়ার জেলেরা। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, সাগরের ঠাণ্ডা পানিতে প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three