অনলাইন ডেস্ক:
পাবনার আমিনপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ সজি খাতুন (৩২) মারা গেছেন। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দগ্ধ গৃহবধূর ভাই সাগর মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাগর মণ্ডল জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরে আমিনপুর থানার তালিমনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সজির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আগুনে সজির শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। টানা পাঁচদিন তীব্র যন্ত্রণায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার রাতে মারা যান সজি।
সাগর মণ্ডল আরো জানান, সজির দেবর, ননদ, শাশুড়ি এবং ভাসুরের বউ মিলে তাকে পুড়িয়ে মেরেছে। ঘটনার দিন ননদ সামেলা খাতুনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, সজির মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনার দিনই আমিনপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদেরও দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে সজিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার পরিবার, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন নারী সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। সজির পরিবারকে আইনি সহযোগিতাসহ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছেও আহ্বান জানিয়েছেন সবাই।