রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
তার ভালবাসায় তো কোনও খামতি ছিল না। তাহলে কেন তাকে এভাবে ঠকতে হবে? কেন বিয়ের কথা উঠতেই বেঁকে বসলেন প্রেমিকা? সদুত্তর পেতে নিয়ে ফেললেন একটা বড়সড় সিদ্ধান্ত। না, আত্মহনন কিংবা প্রেমিকার জীবন নাশের মতো কোনও অপরাধের কথা ভাবেননি তিনি। বরং প্রেমিকাকে নিজের জীবনে ফেরাতে একেবারে অন্যরকম পন্থা অবলম্বন করলেন তিনি। যা দেখে থ সকলেই। কী করলেন? প্রেমিকার বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসে পড়লেন যুবক।
ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। ওই যুবককে স্রেফ চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। বাড়ির সামনে ভিড়ের ঠেলার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রেমিকার মা। তিনি ভরতি হাসপাতালে।
কখনও পরিবারের আপত্তিতে, তো কখনও আবার পরিস্থিতির কারণে এক হতে পারেন না প্রেমিকা-প্রেমিকারা। মানসিক আঘাতে আত্মহত্যার ঘটনাও বিরল নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যাটা ঠিক কোথায়, তা জানা যায়নি। তবে আট বছর প্রেম করার পরেও তাকে বিয়ে করতে রাজি নন প্রেমিকা লিপিকা বর্মন। অন্তত তেমনই দাবি অনন্ত বর্মনের। দু’জনেরই বাড়ি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে।
রবিবার থেকে শহরের চাকলাপাড়ায় লিপিকার বাড়ির সামনে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসেছেন অনন্ত। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমার ৮ বছর ফিরিয়ে দাও।’ আর অন্য প্ল্যাকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার ভালবাসার দাম দাও।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাতেও প্রেমিকার বাড়ির সামনে রাস্তায় মশারি টাঙিয়ে বসেছিলেন অনন্ত। ঘটনার খবর চাউর হতে সময় লাগেনি। অনন্তকে দেখতে ধূপগুড়ির চাকলাপাড়ায় ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। এদিকে এমন ঘটনায় মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি লিপিকা বর্মনের মা।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভরতি তিনি। সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছেন ধূপগুড়ির পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। দু’পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় অনন্ত বর্মন। ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।