হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

admin August 11, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মাববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এসময় সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।


সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব, সহ-সভাপতি রফিক সরকার, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক লঙ্কীণ চন্দ্র রায়।


সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা দায়িত্বপালনের সময় বিগত সময়ে এমন হামলার শিকার হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করায় এবারো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিন্থিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসএ টিভির রংপুর প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম বাবু, ফটো সাংবাদিক রণজিৎ দাস, ভিডিও জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুকুল, রংপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক উৎপল ভৌমিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুরের দপ্তর সম্পাদক মেজবাহুল হিমেলসহ রংপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরাবৃন্দ।


উল্লেখ্য, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর উত্তরা, বনানী, সায়েন্সল্যাব, ল্যাবএইড মোড়, শাহবাগ ও রামপুরা এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভির একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এরই প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সাংবাদিকরা।

কেন ফেসবুক নিয়ে বিরক্ত সরকার

কেন ফেসবুক নিয়ে বিরক্ত সরকার

admin August 11, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে ঘটনা ভিন্নখাতে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে একটি কুচক্রীমহল। এ নিয়ে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা ও বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখসহ ৪৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মধ্যে ঢাকা এ্যাটাক মুভির অভিনেত্রী নওশবাকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়াও রিমান্ডে নেওয়া হয় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকেও।


আন্দোলন চলাকালে গত ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে Facebook লাইভে এসে চারজন নিহত ও চারজনকে ধর্ষণের তথ্য প্রচার করেন, যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সংঘর্ষ বাধে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পথের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়।


এসব নিয়ে নিয়ে অনেকটা বিরক্ত সরকার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে খোলাখুলি বিরক্তিপ্রকাশ এবং নেতিবাচক মন্তব্যও করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্লক করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও প্রয়োজনে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে বলেও বলা হয়েছিল ওই সময়।


এনিয়ে গত ৬ আগস্ট সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রীও ফেসবুককে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়া নানান ইস্যুতে গুজব চালানোয় ফেসবুক এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈঠকে ফেসবুকের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্যও সকলকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আধুনিক এসব প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে ভালো কাজে ব্যবহার করার নির্দেশও দেন তিনি।


আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হলে ফেসবুকসহ যে কোন কিছু বন্ধ করতে হবে। কেননা রাষ্ট্রটা অনেক বড়। আমরা রক্ত দিয়ে ওটা তৈরি করেছি। রাষ্ট্রকে আমরা কোনভাবে বিপন্ন হতে দিতে পারি না।


শুধু ছাত্র ছাত্রীদের এ আন্দোলনেই নয় এর আগেও বাংলাদেশে Facebook ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সহিংসতা চালানো হয়েছে। অপপ্রচার চালানো হয়েছে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের নিয়ে। ২০১২ সালে রামুর বৌদ্ধ বিহারে ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়, যার নেপথ্যে ছিলো ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচার। এছাড়াও রংপুরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে।

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

admin August 10, 2018

এক লক্ষ চব্বিশ হাজার আল্লাহ নাম, খতমে খাজনা, ইউনুছ খতম, দোয়া মাহফিল


রৌমারী, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছ, দোয়া মাহফিলসহ এক লক্ষ ২৪ হাজার আল্লাহ নাম লিখে নদে ফেলা হয়েছে।


Rowmari-Kurigram-Photo-11


আজ শুক্রবার জুমা’র নামাজ আদায় শেষে বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলা বাগুয়ারচর নৌকাঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী গাছ,বাঁশ ফেলে রোধে চেষ্টাসহ বাইটকামারী ক্বওমি মাদ্রাসার মাওলানা মো. আব্দুল বাছেদ মাদ্রাসার ছাত্রসহ এলাকার মুসল্লীদের সাথে নিয়ে নদের ভ্ঙান রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছসহ এক লক্ষ ২৪হাজার বার আল্লাহ্র নাম কাগজে লিখে ময়দা দিয়ে গুটি তৈর করে চার কিলোমিটার ভাঙন এলাকা জুড়ে নদে পানিতে ফেলা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী নদী ভাঙন প্রতিরোধ আনন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের যুদ্ধাহতমুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হানিফ মাস্টার প্রমূখ।


ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাল্লা দিয়ে শুরু হয় ভাঙন। গত ৯ দিনে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর বলদমারা নৌকাঘাট, পশ্চিম পাখিউড়া, বাইসপাড়াসহ প্রায় দুই কি.মি. এর বেশি এলাকায় গাছ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন এলাকাবাসী। তাতেও কাজ না হওয়ায় বাধ নির্মাণের দাবিতে গত ৬ আগস্ট নদীপাড়ে মানবন্ধন করা হয়। এ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে ২০০ টিরও বেশি পরিবারের সবকিছু। ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে মাথা গোঁজার ঠাই হারানোর আতঙ্ক নিয়ে আছেন নদীপারের মানুষ। বাঁধ নির্মাণে ‌'তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের' জন্য বরাদ্দ ছিল ৯০ লাখ টাকা। পুরো কাজ না হওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে এ উপজেলার নদী পাড়ের মানুষ।

এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

admin August 10, 2018

একাধিকবার সময় নির্ধারণ করেও এখন পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে শেষ হচ্ছে না অপেক্ষার প্রহর। কবে তা সরবরাহ করা সম্ভব হবে তাও নিশ্চিত নয়। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যোক্তারা। অনেকেই উৎপাদন শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছেন গ্যাসের অপেক্ষায়। এলএনজির জন্য আবেদন করা নতুন শিল্পের মধ্যে ভারি, হালকা ও মাঝারি ধরনের শিল্প রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও পুরাতন শিল্পে গ্যাসের লোড বৃদ্ধির আবেদন। ভুক্তভোগী সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।


সূত্র অনুযায়ী, সরকারিভাবে চট্টগ্রাম ৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি সার কারখানা এলএনজির অপেক্ষায় রয়েছে। গ্যাস সঙ্কটে দীর্ঘদিন যাবত রাউজান ও শিকলবাহায় অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ওসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮০ মেগাওয়াট। তাছাড়া সিইউএফএল গ্যাস সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে। এলএনজি দিয়ে ওসব কারখানা চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে শিল্পের ৬৭৬টি গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দিয়েছে। ওসব সংযোগের বিপরীতে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। শিল্পের এলএনজির ২৬৮টি সংযোগের জন্য গ্রাহকরা ডিমান্ডনোটের টাকাও পরিশোধ করেছে। ওসব গ্রাহকের গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট। তারা নিরাপত্তা জামানত বাবদ পরিশোধ করেছেন প্রায় ১৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। কিন্তু গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ১ লাখ ৩৩ হাজার ঘনমিটার এলএনজিবাহী জাহাজটি মহেশখালীতে সমুন্দ্রে নোঙর করে। কিন্তু প্রায় সাড়ে ৩ মাস কেটে গেলেও গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হয়নি। সরকারের প্রথম ঘোষণায় গত ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপর আরো কয়েক দফায় তারিখ ঘোষণা করা হলেও সরবরাহ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।


সূত্র আরো জানায়, মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত এলএনজি সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে গ্যাসের রিং মেইন পাইপ লাইনও ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। পাইপ লাইনে কোনো ত্রæটি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যমান বিতরণ লাইন দিয়ে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যায়। তাই ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।


এদিকে শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, এলএনজি সংযোগের ডিমান্ডনোটের টাকা দীঘদিন আগে পরিশোধ করার পরও গ্যাসের জন্য অন্তহীন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। গ্যাস না পাওয়ায় অনেক কারখানাই ডিজেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। তাতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহাবুব চৌধুরী জানান, উৎপাদনে যাওয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। গ্যাস সরবরাহ বিলম্বে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

লালমনিরহাটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, মৃত তিন

লালমনিরহাটে রিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, মৃত তিন

admin August 10, 2018

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে একটি রিকশায় মালবাহী ট্রাকের চাপায় রিকশার চালক ও রিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের বিজিবি ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাক লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের বিজিবি ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে একটি চলন্ত রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশার চালক ও দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।


দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট শহরের খাতাপাড়ার রিকশাচালক দুলাল মিয়া (২৮) ও দুই যাত্রীরা হলেন, জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী ও পাটগ্রাম উপজেলার কুচলীবাড়ি ইউনিয়নের লিয়াকত হোসেন প্রধানের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রধান (৪০) এবং পাটগ্রাম পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ার আব্দুর রশিদের পুত্র মোতালেব হোসেন (৪০)। তারা পৌরবাজার থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন।


সদর থানার ওসি মো. মাহফুজ আলম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাহাঙ্গির ও মোতালেব রিকশাযোগে পৌরবাজার থেকে তাদের রেজিস্ট্রি কার্যালয় সংলগ্ন বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে আছে। তবে ট্রাকটির চালককে আটক করা যায়নি।



কক্সবাজারে মাইক্রোর ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু


এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারে এক মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক পথচারী মারা গেছেন। রাত ১১ টার দিকে বাইপাস সড়কের জেল গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম মো. রশিদ। তার বাড়ি পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায়।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়া একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস পথচারী রশিদকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তারগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে সাথে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে মাইক্রোবাসটি আটক করা সম্ভব হয়। মৃতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে বলেও জানান তিনি।

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

admin August 09, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৯ আগষ্ট ১৮) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলার ১৭ টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।


মাছের পোনা অবমুক্তিকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাফুজার রহমান মিঠু, জেলা সিনিয়র সহকারি পরিচালক মস্য অধিদপ্তর আনোয়ারুল কবির, জেলা জরিপ কর্মকর্তা মো. রেজাউল কবির, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক, পৌর মেয়র হাকিবুর রহমান মাষ্টার, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাজেদ আলী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোতাহার হোসেন ডালু।


উপজেলা মৎস্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় পোনামাছ অবমুক্ত কার্যক্রমে ১০-১৫সে. মি. সাইজের রুই কাতলা মৃগেল জাতীয় পোনা মাছ উপজেলার থানা পুকুর, হারাগাছ পৌরসভার ধুমনদী বিল, তফসীডাঙ্গা বিল, রেলবাজার জোরা পূকুর হেকোডাজ্ঞা বিলসহ ১৭টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম, মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ভোলারাম দাশ, মাইদুল ইসলাম, উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, সাগঠনিক সম্পাদক নিতাই রায়, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জসিম সহ মৎস্য চাষী ও এলাকার সুধীবৃন্দ।

পাটগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ জেএমবির চার সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

পাটগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ জেএমবির চার সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

admin August 09, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেএমবির (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩। গতকাল রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর এলাকার একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আজ  বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব-১৩ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।


আটককৃতরা হলো- পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি (৩০), সরদার পাড়া গ্রামের সরদার মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৯), রসুলগঞ্জের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক (২৩), সোহাগপুর গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩০)। এরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য।


তারা পাটগ্রাম পৌর এলাকার এমএম প্লাজা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে একটি ফার্নিচারের দোকানে থেকে ছদ্মবেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। ওই ফার্নিচারের দোকানটির মালিক গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি আপেল মিস্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।


এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২টি দেশীয় ওয়ান স্যুটার গান, ২ রাউন্ড ওয়ান স্যুটার গান এর গুলি, ধর্মীয় উস্কানীমূলক ও উগ্রবাদী বিপুল পরিমান বইপত্র, লিফলেট এবং জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবর্হত ০৪ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।


র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা গত এক-দেড়বছর যাবৎ গোপণে থেকে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো এবং নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। র‌্যাব জানায়, তারা জঙ্গি সংগঠনে তরুনদের উদ্ভূদ্ধকরণ, নতুন জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ, সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ, সংগৃহীত অর্থ দ্বারা অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহসহ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে তারা লিপ্ত ছিল। আটকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাব জানায়, জঙ্গিরা বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ও পাটগ্রাম এলাকায় তাদের বিভিন্ন রকমের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।


র‌্যাব-১৩ জানায়, জেএমবির সাথে জড়িত অন্যান্যদের ব্যাপারে গোপন অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় র‌্যাব-১৩।



[কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির]

কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

admin August 08, 2018

ধুমপান বিরোধী প্রচারণা, সরকারগুলোর সচেষ্টতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে উন্নত দেশগুলোতে ধুমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমলেও এদেশে তা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো ওদের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবসার সুবিধা করতে না পেরে ঝুঁকছে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ ট্যোবাকো বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারে একটা বড় স্থান করে নিয়েছে। আর এখন স্থান করে নেওয়ার পথে জাপানের সর্ববৃহৎ ট্যোবাকো কোম্পানি জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (JTI)।


দেশে বর্তমানে ধুমপায়ীর সংখ্যা এক কোটি আশি লাখেরও বেশি। পরিসংখ্যানে জানা গেছে এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে জাপানের সর্ববৃহৎ এ ট্যোবাকে কোম্পানিটি। আর এ জন্য ইতোমধ্যেই তারা কিনেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম এক ট্যোবাকো কোম্পানির পুরো মালিকানা। যা কিনতে তাদের লেগেছে ১২ হাজার ৪ শ কোটি টাকা।



[নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


জাপানে বিড়ি-সিগারেটের উপর দিন দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ায় জাপান ট্যোবাকো মূলত বাইরের দেশ গুলোয় বিনিয়োগ জোর দিয়েছে। ইতোমধ্যে গতবছরে এরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশের অনেক কোম্পানির পুরো মালিকানা বা শেয়ার কিনে নিয়েছে।



কেন টাকা ঢালছে জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (জেটিআই)?


জাপান ট্যোবাকো মনে করে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম সিগারেট বাজার। কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, 'সিগারেটের চাহিদায় বাংলাদেশ দুনিয়ার অষ্টম বৃহত্তম বিড়ি-সিগারেটের বাজার।' মূলত এখানের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করার মতো স্থান পৃথিবীতে অনেক কম। এসব কারণেই তারা এ দেশের সিগারেট খাতে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি আকিজ গ্রুপের মালিকানা কেনার পর জাপানি ওই কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারের অন্তত বিশ শতাংশে তারাই অংশীদার হবে।


জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজস্বের এক বিরাট অংশ আসে ট্যোবাকো থেকে। যার পরিমাণ প্লাস-মাইনাস ১৫ শত কোটি টাকারও বেশি। আর ধুমপান বিরোধীরা মনে করেন, এ কারণেই দেশের সরকার বিড়ি-সিগারেটের কর-কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে আনছে না। ফলে দিন দিন বাড়ছে ধুমপায়ী মানুষের সংখ্যা।

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

admin August 07, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বছরের পর বছর মরুকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা সমগ্র বন যখন শুষ্ক হয়, তখন বাইরে থেকে অগ্নিসংযােগের প্রয়োজন হয় না, সামান্য দুটো শাখার ঘর্ষণেই দাবানল জ্বলে উঠে অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র বন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তেমনি দশকের পর দশক ধরে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থার প্রতিটি পদে পদে দুর্নীতি, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, অনিয়ম চলতে চলতে কোথাও আস্থা ও বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও নেই।


এজন্য যে কোনো একটা ইস্যুতেই দাবানল জ্বলে ওঠে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় তেমনি জ্বলে ওঠে ছাত্রসমাজ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শহরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলো। ট্রাফিক পুলিশকে ধুয়ো ধ্বনি শুনিয়ে পুরো রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো ছোট ছোট ছোলমেয়েরা। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়াকে কেবল একটি দুর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থীয় মৃত্যুর প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। বরং এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার প্রতি আমাদের নতুনপ্রজ্যন্মর অনান্থা আর অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


প্রমাণ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। তাদেরকে একটা কথাই বারবার বলতে শোনা গেছে, আগে দাবি বাস্তবায়ন হোক, তারপর আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব। পুরো রাজধানী এক সপ্তাহের জন্য যেভাবে অচল হয়ে পড়ে, শেষ পর্যন্ত তারা যে সেই অবস্থান থেকে সরে এলো। তার বড় কারণ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।



[নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


এই ভোগান্থির কষ্ট বিবেচনা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য সবমহল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি যখন অনুরোধ করা হলো তখনই তারা স্কুলে ফিরে গেছে। কথা হচ্ছে এই অবিশ্বাস, এই অনান্থা নিয়ে রাষ্ট্র বেশিদিন চলতে পারে না।আজকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে, কিছুদিন আগে দেখা গেছে শিক্ষকরা নেমেছিলেন। আগামীতে দেখা যাবে অভিভাবকেরা নামবেন। কোনো ইস্যু পেলে শ্রমিক, মজুর, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, কেউ বাদ যায় না, হয় রাস্তায় নেমে আসেন, না হয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে সবকিছু অচল করে দেন। এর কারণ কি?



[আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন]


আমাদের নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। গোটা ব্যবস্থাটা এত অবিশ্বাস আর অনাস্থার উপর কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে যে কোনো সময় এটা ধসে পড়তে পারে, যে কোনো ক্ষুদ্র একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুষ্ক বনের ন্যায় দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পায়ে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাত্তব্যেবন্থা প্রতিষ্ঠা না করে জোড়াতালি দিয়ে দিয়ে তৈরি ভঙ্গুর এ ব্যবস্থাকে ঠেকানোর জন্য এই দাবানলকে কতদিন ফিরিয়ে রাখা যাবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ পথ চাই’ আন্দোলন

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ পথ চাই’ আন্দোলন

admin August 05, 2018

নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে ‌‘নিরাপদ পথের দাবিতে’ আন্দোলন করছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এ খবর ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তারা নিয়মিত কভার করছে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের খবর।


আজ বিবিসি তাদের খবরে ঢাকায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মামলায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানায়। বিবিসি বলছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দমনে পুলিশ রাস্তার আবর্জনা ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানায় আহতদের কয়েকজনের অবস্থা খুব খারাপ। খবরে বলা হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।


ডয়েচে ভেলে তাদের আজকের খবরে জানায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলার খবর। ডয়েচে ভেলে বলছে, হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে গুজব স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগ বলছে, সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ১৮ জনের মত কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ দাবি করেছে বিএনপি-জামায়াত শিবির দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশিক্ষিত লোক এনে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে এসব হামলা করাচ্ছে।



[নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


বিবিসি ছাড়াও এএফপি, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পার্সটুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, স্ট্রেইট টাইমস, সিনহুয়াসহ প্রায় সব মিডিয়াই খবর প্রকাশ করেছে ছাত্রছাত্রীদের রোড সেফটি নিয়ে আন্দোলন। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয় দফা দাবি নিয়ে গত সাতদিন ধরে চলছে শিক্ষার্থীদের রোড সেফটি আন্দোলন ও নানান কর্মসূচি। আন্দোলন চলাকালে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকায় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের। তারা রাজধানীর মোড়ে মোড়ে গাড়ি-সিএনজিগুলোর লাইসেন্স চেক, শৃংখলামত গাড়ি ও রিকশা চলাচলে কঠোর ভূমিকা পালন করে। এতে করে রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরে সড়কে, সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সর্ব-সাধারনের অনেক প্রশংসা পেয়েছে।

নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

admin August 03, 2018

গত কয়েকদিন ধরে আপদশূন্য পথের দাবিতে সারাদেশ উত্তাল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে এসেছে পথে। তাদের নয় দফা বিভিন্ন দাবি দাওয়ার মূল কথাই হচ্ছে নিরাপদ সড়ক। গত রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলের কাছে বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষমান ছাত্র-ছাত্রী উপর একটি বাস তুলে দেওয়ার ঘটনায় দুই জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার পর থেকেই এ আন্দোলনের সূচনা ঘটে। নিহত দুই জনই শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।


ঘটনার চতুর্থ দিন পেরিয়ে গতকাল পঞ্চম দিনেও সেই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েও স্তিমিত করা যায়নি আন্দোলনের বেগ। ছুটির দিনেও ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে এসেছে রাজপথে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছে রাস্তার নিরাপত্তা। সেই লক্ষ্য তারা নিজেরাই গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করা শুরু করে দেয়। তাদের পরীক্ষার আওতা থেকে বাদ যায়নি মিডিয়া, পুলিশ কারোর গাড়িই। এমনকি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উন্টে পথে চলতে থাকা বাণিজ্যমন্ত্রীর গাড়িকেও ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য করার নজীর স্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা!



[সড়কদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


যেসব চালকের লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই সেসব পাড়ি তারা আটকে দেয়। সাথে সাথে জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত মিভিয়াকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে তারা লজ্জার মুখে ফেলে দেয়। তাদের প্রশ্ন, আপনারাই যদি আইন না মানেন তবে অন্যরা মানবে কেন? ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের পর থেকে টনক নড়েছে চালকদের মাঝেও। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সুন্দর শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে রাস্তায়। এমনকি রিক্সাচালকেরা পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে রিক্সা চালাচ্ছে এমন অনেক ছবি ও ভিডিও সামাণ্ডিকে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে।



[সড়কদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


অন্যদিকে বড় গাড়িগুলোও অাইন মেনে চলতে দেখা গেছে। সর্বডানের লেইনে নিরাপদে চলতে দেখা গেছে রােগীবাহী এম্বুলেন্সগুলোকে। শিক্ষার্থীদের এই অভূতপূর্ব ভূমিকায় সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও অকুন্ঠ সমর্থন জানানো হচ্ছে। তারা নানা স্থানে শিক্ষার্থীদেরকে রুটি, পানি ও ছাতা দিয়ে উৎসাহিত করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের রাজপথে নেমে আসায় পরিবহন কােম্পানিগুলো ঘাড় ঘুরিয়ে বসেছে। নিরাপত্তার অজুহাতে তারা রাস্তায় বাস নামাচ্ছে না। রাজধানীর সাথে অনেক রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী সাধারণ ভোগাস্তিতে পড়ে। কথা হচ্ছে এই আন্দোলন দিয়ে হয়তো আমাদের সিস্টেম পুরোপুরি বদলে যাবে না।



[মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি]


ছাত্ররা সারা জীবন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বও পালন করতে পারবে না। তাই ‌‌‌‌'রাস্তার ট্রাফিক পুলিশ পুরোপুরি দুর্নীতিহীন হয়ে যাবে, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানও একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে, বিআরটি এর অসাধু কর্মকর্তা ও দালালরা পুরোপুরি সাধু হয়ে যাবে'- এমনটা আশা করা হয়তো ঠিক হবে না। কিন্তু এদেশের মানুষ কেমন রাস্তা চায়, কেমন চালক চায়, কেমন ট্রাফিক পুলিশ চায়, কেমন প্রশাসন চায় সেই বার্তাটা রাষ্ট্রযন্ত্রের কানে পৌঁছে দিতে পেরেছে। সেই সাথে তারা দেখিয়ে দিয়েছে আন্তরিকতা থাকলে আসলেই রাস্তায় শৃঙ্খলা আনয়ন করা যায়।


এখন শিশুদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আন্তরিকতার সাথে দেশের স্ব-স্ব বিভাগগুলো কাজ করে তবে নিশ্চয় দেশের এই ঘুনে ধরা সিস্টেম পাল্টাতে বাধ্য। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পার হয়ে গেলেও এই দীর্ঘ সময়ে বড়রা যা করতে পারেনি ছোটরা তা করে দেখিয়েছে। তাই ছোটদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে দোষের কিছু নেই, লজ্জারও কিছু নেই। এখন সকলের উচিত এই শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে নিয়ে আসা।


[the_ad id="886"]
মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

admin August 01, 2018

দারিদ্র থেকে মুক্তির আশায় পুরুষের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারী কর্মীরাও বিদেশে  বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দিয়ে থাকেন। নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দেশ ছেড়ে অনেক স্বপ্ন নিয়েই সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু দেশে গিয়ে থাকেন। উন্নত দেশ হওয়ায় এসব দেশে সাধারণ কোনো কাজ পেলেই অর্থের অভাব হবে না- এই আশ্বাস দিয়ে দালালরা খুব সহজেই নারী শ্রমিকদের মনে আশার সঞ্চার করে। এভাবে তারা বিদেশে পাঠাতে যতটা না ব্যয় হয়, তার চেয়েও বেশি খরচ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর চরম বাস্তবতার সঙ্গে পরাজিত হয়ে সব স্বপ্নকে মধ্যপ্রাচ্যের ওই তপ্ত মরুতে চাপা ফিরে আসে তারা। না হয় তাদের দু:খের শেষ, না শেষ হয় কষ্টের সেই করুন গল্প। তাই বিদেশে এসব শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


মিডিয়ার কল্যাণে এ দেশের নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের ভয়াবহতা এখন প্রায়শই খবর পাওয়া যায়। নির্মম অত্যাচার সইতে না পেরে তারা দেশে ফিরে আসছে। আবার অনেকে সেখানে কি অবস্থায় আছে সেটা জানারও উপায় নেই। যারা ফিরে আসছেন তারা বলছেন, ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শক, অতিরিক্ত সময় কাজ করিয়ে নেওয়া, পাসপোর্ট রেখে দেওয়া, খাবার খেতে না দেওয়া, ধর্ষন ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। আর নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া চাকরিও ছাড়া যায় না; দেশেও ফেরত আসা যায় না।

আবার অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে গেলে জরিমানা থেকে শুরু করে তাদের ফেরত পাঠানোর ভয়তো আছেই। তাছাড়া কর্মী-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টো কর্মীর বিরুদ্ধে তখন চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। গৃহকর্তারা যখন নির্যাতন করে, তখন আসলে সেসব নির্যাতনের প্রমাণ রাখা খুবই কঠিন। কারণ এগুলোর বেশিরভাগই মালিকের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানে করা হয়ে থাকে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা যায় না।



[পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে, মধ্যপ্রাচ্যে এদেশের শ্রমিকদের সংখ্যা একুশ লাখের কাছাকাছি। দেশের ৭ লাখের বেশি নারী কর্মী বিদেশে কাজ করছেন, যার মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ সৌদিতে। এখন নির্যাতিত নারীরা ফেরত আসছে। এই বিষয়টি আসলে এখন নারী নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে দেশের জন্যও অপমানজনক হয়ে গেছে। সৌদিরা জানে, আইনগতভাবে কিছু করা যাবে না তাদের বিরুদ্ধে। আমাদের দেশটাকেও এ ধরনের আচরণের দ্বারা তারা যথেষ্ট অপমান করে যাচ্ছে। তবে নির্যাতন বাড়ার ফলে নারী শ্রমিক যাওয়ার সংখ্যা কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। কারণ পেটের দায়ে আমাদের নারীরা যেন বাধ্য হয়ে পড়েছে দাসত্ব খাটতে।




[মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ]



অন্যদিকে ভিন্ন গল্পও চালু আছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নারীরা খাপ খাওয়াতে পারছে না অথবা অধিকাংশই দেশে এসে মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে। কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ দাবি সর্বৈব সত্য হতে পারে না। কারণ এ ধরনের ঘটনার অহরহ বর্ণনা নিয়মিত শোনা যায়। তাছাড়া সৌদি গৃহমালিকরা যদি এ ধরনের অমানবিক আচরণ করেও থাকে তবে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসাও বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে উপায় একটাই- আর তা হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ওসব দেশে তাদেরকে পাঠানোই একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।


যেহেতু আমরা ওদের কাছে কর্মসংস্থানপ্রার্থী সেহেতু আমরা তাদেরকে বাগে আনতে পারছি না। বরং আমাদেরকেই নিচু হয়ে তাদের অমানবিক আচরণ মেনে নিতে হচ্ছে। এমতবস্থায়, আত্মমর্যাদার স্বার্থে, নির্যাতনের প্রতিবাদে অবশ্যই আমাদেরকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। এভাবে আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে রেমিটেন্স এনে দেশ উন্নত করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। রেমিট্যান্স আসার কারণে নারীদেরকে আমরা এভাবে বিকিয়ে দিতে পারি না। বিদেশে নির্যাতিত নারীদের কান্না নিয়ত দেশবাসীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করছে। তাই রাষ্ট্রকেই দেশের সম্মান ধরে রাখায় পদক্ষেপ নিতে হবে।

পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য

পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য

admin July 31, 2018

বাংলাদেশ সরকারেরর নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। তিনি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতিও। দেশের পার্লামেন্টের একজন সংসদ সদস্য, একজন মন্ত্রী। শ্রমিক সমিতির সভাপতি হওয়ার দরুন মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকে বরাবরই পথদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তিনি গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন তিনি। পথদুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও যেন তার কাছে হাস্যকর ব্যাপার। সম্প্রতি তার মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও। সোমবার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই দু:খ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তাকে সংযত হয়ে কথা বলা নির্দেশ দিয়েছেন।


গত রবিবার ঢাকার বিমানবন্দরে বেপরোয়া এক বাসের চাপায় মারা যান দুই কলেজ শিক্ষার্থী। এতেও মন্ত্রী পক্ষ নেন গাড়ির শ্রমিকদের, এ নিয়ে গত রবিবার থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় চলছে তার সমালোচনা। ওই পথদুর্ঘটনার পর তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ভারতের এক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে অট্টহাসি হাসেন।



আরও পড়তে পারেন


[পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে]


শুধই এই প্রথম নয় এর পূর্বে বরাবরই তিনি এমন বিরুপ মন্তব্য করেছেন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে। ২০১১ সালে এক সমাবেশে রাস্তার গরু-ছাগল বা মানুষ চিনতে পারলেই চালকদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিতে হবে এমন বক্তব্য দেন। এ নিয়ে ওই সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।


পথদুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় এক ড্রাইভারের যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আদালত। এতে পরিবহন শ্রমিকরা খুলনা বিভাগের ধর্মঘট শুরু করে। ওই সময়ই সাভারে পথদুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভারকে ফাঁসির দণ্ড দিলে সারা দেশে ধর্মঘট করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসব ধর্মঘটকে প্রকাশে সমর্থন দেন এই মন্ত্রী। ওই সময় তিনি বলেছিলেন শ্রমিকরা আর কাজ করবেনা । তারা অবসর নিয়েছে।


চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বাস চালকদের বেপরোয়া গতি, বাসের রেষারেষির কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ঘটলে ফুসে ওঠে সচেতন মহল। এ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে শাজাহান খান পথদুর্ঘটনার জন্য চালকদের সাজা বাড়ানো হলে দুর্ঘটনা কমবে না বলে মন্তব্য করে। এসব নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা ও চালকের শাস্তির সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ করায় অনেকেকেই তার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। শ্রমিক এসোসিয়েশনের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও এসব কিভাবে সম্ভব?

পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে

পথদুর্ঘটনা: বেপরোয়া ড্রাইভারদের বাগে আনতে হবে

admin July 30, 2018

রাস্তায় গাড়ি চালকদের বেপরোয়া ও অসর্তকতার সাথে গাড়ি চালানোর কারণে কখনও প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ পথচারীদের, কখনবা যাত্রীদের। একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ ও ভীতি। প্রশ্ন উঠেছে বাস চালক-হেলপাররা কি তবে কিলিং মিশনে নেমেছে?


মাত্র কয়েকদিন আগে হানিফ পরিবহনের চালক -হেলপার কর্তৃক পায়েল নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে রীতিমতো হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হেলপার। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর বাস উঠিয়ে দিল আরেক চালক। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বারো জন। এভাবে শিক্ষার্থীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ অন্য শিক্ষার্থীরা বেশকিছু বাস ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়তেন।


প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, বিমানবন্দর সড়কের বাঁপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বাসে উঠার জন্য সিগন্যাল দিচ্ছিল। এসময় আরেক বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুতগতিতে আসা জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসটি শিক্ষার্থীদের না উঠিয়ে চাপা দিয়ে চলে যায়। গাড়ীর চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ঐ শিক্ষার্থীদের।


চালকদের এ ধরনের হটকারী কাণ্ডের প্রতিবাদে আজও বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে। বেলা বারো টার দিকে বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয়। দুপুর দেড়টা থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল চলাচলও বন্ধ রাখে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর সাড়ে তিনটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে নয় দফা দাবি আদায়ে চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিকেল চারটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।


এদেশের সৃষ্টিলগ্ন থেকে সড়ক, মহাসড়কে যত ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে, সন্দেহের প্রথম তীরটি কিন্তু ড্রাইভারদের গায়েই পরেছে। এর যথাযথ কারণও রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, দেশের সড়কগুলো প্রায় অর্ধকোটি অদক্ষ, ভুয়া ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের নিয়ন্ত্রণে। বলা যায়, বেপরোয়া গাড়ি চালাতেই এদের দক্ষতা রয়েছে।



আরও পড়তে পারেন


[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রায় ২৪ লাখ অদক্ষ ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভার আছে। অনেকের লাইসেন্স থাকলেও তা জাল বা নকল। ড্রাইভার অদক্ষ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের দ্বারা দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। শুধু তাই নয়, পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় মালিকদের দাপটের কারণেও আস্কারা পাচ্ছে ড্রাইভার-হেলপাররা। যে কারণে দুর্ঘটনার দায় নিতে তারা অস্বীকার করে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, এমনকি আইন প্রণয়নকারী মন্ত্রী- এমপি পর্যন্ত তাদের হাত বিস্তৃত। এ কারণে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর আইনও করা সম্ভব হচ্ছে না। এঁদের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত গেলে তারা সংঘবদ্ধভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশ অচল করে দেয়।


ড্রাইভার-হেলপারদের এই দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এখন ফুঁসে উঠছে। তাদের পক্ষ হয়ে দুর্ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে বক্তব্য প্রদান করায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক এসোসিয়েশনের প্রধান ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যে নয় দফা দাবিতে চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছাত্রছাত্রীরা দিয়েছে তার মধ্যে একটি দফা হচ্ছে তাঁর পদত্যাগ। এমতবস্থায় চালক-হেলপারদের বেপরোয়া মনোভাব দূরীকরণে কঠোর থেকে কঠোরতম আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে চাপে রাখা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। মানুষের প্রাণ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তাদেরকে দেওয়া যায় না। এখনই সময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চালক-হেলপারদের দৌরাত্ম্য রোধ করা।

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

admin July 28, 2018

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ক্রিক্রেট অলরাউন্ডার ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ফল আসার আগেই টেলিভিশনে জাতির উদ্দ্যেশ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী স্টাইলে’ দেওয়া এক ভাষণে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে দেন তার ভাষায় ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার ওয়াদা।


বর্তমানে সর্বত্র সন্ত্রাসবাদের বিস্তার, আত্মঘাতী হামলায়, রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিতে পাকিস্তান অনেকটা ভঙ্গুর রাষ্ট্রের রুপ ধারণ করেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও দেশটির অবস্থা শোচনীয়। এই মুহূর্তে পাকিস্তানকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আর সদ্য বিজয়ী ইমরান খানের ভাষ্য থেকে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরই একটি ইঙ্গিত প্রকাশিত হয়েছে।


ইমরান খান ভাষণের প্রথমেই দেশটিকে একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত মোহাম্মদ (স) এর গড়া মদীনা রাষ্ট্রের কথা, যার ভিত্তিই ছিল মানবিকতা। বক্তব্যে তিনি দুর্বল, শোষিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামর্থ্য দিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।


তবে ইমরান খান তার বক্তব্যে সবচেয়ে আশা জাগানিয়া যে কথাটি বলেছেন, যার চর্চা উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায় না, সেটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের ইতি ঘটানো। তিনি বলেছেন, তিনি একটি ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান দেখতে চান। যারা তাকে ভোট দেয়নি বা নির্বাচনের আগে যারা তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তাদের সে আচরণকে তিনি ভুলে গিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


পাশ্চাত্যের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যেকের জন্য আইনকে সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রচালকদের ভোগ বিলাসের কারণে প্রবাসী পাকিস্তানিরা দেশের বিনিয়োগ করেন না বলে তিনি রাষ্ট্রের দুর্নীতি ও বেহুদা খরচ কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন। নাগরিকরাও ট্যাক্স প্রদান করে না একই কারণে, যা তিনি বন্ধ করে পাকিস্তানকে একটি ব্যবসাবান্ধব দেশে পরিণত করার ব্যবস্থা তার সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন।


পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারেও পাকিস্তানকে তিনি অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। আফগানিস্তান, ইরান ও ভারতের সাথে তার উদারনীতি বাস্তবায়ন হবে বলে বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। আফগানিস্তান ভালো থাকলে পাকিস্তান ভালো থাকবে বলে তিনি মনে করেন। ভারতের সাথে কাশ্মির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাবেন। এক্ষেত্রে ভারত এক পা এগোলে তিনি দুই পা এগোনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


এদিকে ভারতীয় কূটনৈতিকরা মিডিয়াগুলো ইমরান খানের সরকার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে ভীত হয়ে যেভাবে তাকে খল চরিত্ররূপে প্রকাশ করতে সচেষ্ট হয়েছে তাতে তিনি দুঃখবোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সাথে তার গভীর আত্মীয়তাবোধ রয়েছে। বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানের ব্যাপারে সর্বদা সহযোগিতামূলক ভূমিকার জন্য চীন এবং সৌদি আরবের কথা স্মরণ করেন। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তিনি পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়তে চান।


দুর্নীতি ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের আখড়ায় নিমজ্জিত দেশটি সত্যিকার অর্থেই একটি শোচনীয় সময় পার করছে। ঠিক এই মুহূর্তে ইমরান খানের বিজয় এবং জাতির উদ্দেশে তিনি যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাতে সমস্যা সমাধানে তাকে যথেষ্ট পরিণত ও বিচক্ষণ বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।


তবে পাকিস্তানের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সব সময়ই অন্তরায় হয়ে দেখা গেছে দেশটির সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব খাটানো। বার বার সামরিক শাসনের কবলে পড়েছে দেশটি। এবারেও ইমরান খান যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন তাতে যদি সামরিক বাহিনী অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় তবে আশা করা যায় দেশটি একটি স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশে পরিণত হবে। এখন এই সব বিষয়ই দেখার অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বিশ্ববাসীর।


 

আরও পড়তে পারেন-


মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?

মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?

admin July 27, 2018

সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরের এক বাসার মাটির নিচে বস্তাভর্তি অর্ধ শত কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের স্বর্ণ বা গুপ্তধন আছে বলে খবর ছড়ায়। আর ওই বাড়িরর মালিক বিষয়টি নিয়ে বিরম্বনায় পড়ে যান। তিনি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়রি করেন, যাতে বিষয়টির অনুসন্ধান করা হয়। তার ডায়রি ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে কথিত গুপ্তধনের সন্ধানে মাটি খোড়ার অভিযান চালায় প্রশাসন।


ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে বিষয়টি নিয়ে এর আগে প্রথম থানায় ডায়রি করেন কক্সবাজারের টেকনাফের এক বাসিন্দা মো. তৈয়ব। তিনি দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন।




মো. তৈয়ব এসব কথা জানলেন কি করে?


মোহাম্মদ তৈয়ব জানান, একথা তার পাকিস্তান প্রবাসী বন্ধু মো. আলম জানিয়েছে। যে কিনা দিলশাদ খানের ছেলে ইব্রাহিমের বন্ধু। দিলশাদ খান যুদ্ধের পর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় এসেছিলেন এবং ওই বাড়িরর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার পর তিনি মারা যান।


ইব্রাহিম খানের বক্তব্য মো. আলম ও মো. তৈয়ব পুরোপুরি বিশ্বাস করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটির উপর নজরও রাখছিলে বলে মো. তৈয়ব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গুপ্তধনের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি তৈয়ব ও তার বন্ধু আলমের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে তিনি থানায় ডায়রি করেন।


স্থানীয় প্রাশসন ওই ডায়রিটিকে আমলে নিয়ে গত শনিবার বাসায় খোড়াখুড়ির অভিযান চালায়। একপর্যায়ে দুটি রুম খোড়া হলেও কোনও গুপ্তধন মেলেনি। মাটি খোড়ার কারণে বাড়ির ভিত দুর্বল হলে বিকেল খোড়াখুড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা করা হয়েছে এ ব্যাপারে স্ক্যানার বা রাডার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অভিযান চালানো হবে। পরামর্শ নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদের।


এখন সবার মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলে কি ওই বাসায় গুপ্তধন আছে নাকি এটা নিছকই গুজব। তবে মো. তৈয়বের ভাষ্যমতে অনেকেই আশাবাদী ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে যখন গুপ্তধন পাওয়া যাবে!


 

আরও পড়তে পারেন-


শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের পিটিআই শিবিরে বিজয়ের জয়োধ্বনি

শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের পিটিআই শিবিরে বিজয়ের জয়োধ্বনি

admin July 26, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বেশ কয়েকটি সহিংসতা, আত্মঘাতী হামলা, ৩২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে এগিয়ে আছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পিটিআই। আর ইতোমধ্যেই বিজয়ের উল্লাস দেখা গেছে পিটিআই শিবিরে।


গভীর রাতে দলটির ফেইসবুক পেজে ‘উজিরে আজম’ সম্বোধন করে স্বাগত জানানো হয় ইমরান খানকে। ইমরানের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই ‘উজিরে আজম’ হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে জয়োল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যদিও ফলাফল তখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।


পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলো জানাচ্ছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪২ ভাগ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। তাতেই ১১২ আসন পেয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল। আর এর মধ্যে নওয়াজ শরীফের দল ৬৫, বিলাওয়াল ভুট্টোর ৪৩ টির মতো আসন জিতেছে।


পাকিস্তানের এ নির্বাচনে জিততে হলে ১৩৭ আসন পেতে হবে দলকে। ফলাফলের চিত্রানুযায়ী, পুরোপুরি ভোট গণনা শেষ হলে পিটিআই ১৩৭ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী হতে ইমরান খানকে অন্য কোন দলের সাহায্য নিতে হবে না।


এদিকে পিএমএল এন ও পিপিপিসহ শীর্ষ দলগুলো পাতানো ভোটের অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে।


পাকিস্তান পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৩৪২
নির্বাচন হয়েছে ২৭২
সংরক্ষিত ৭০ টি আসন।



       আরও পড়তে পারেন-


গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান মুসলিম নেতার

গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান মুসলিম নেতার

admin July 26, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের এক শিয়া মতাবলম্বী মুসলিম নেতা ভারতীয় মুসলমানদের গোমাংশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন ভারতে গোমাংশ খাওয়া বা গোহত্যা সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারি-হানাহানি বন্ধ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো এ খবর দিয়েছে। ওই মুসলিম নেতার নাম ওয়াসিম রিজভি। তিনি উত্তর প্রদেশের শিয়া ওয়াক্ফ বোর্ডের সভাপতি।


কয়েকদিন আগে রাজস্থানে এক মুসলিম গরু নিয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় তাকে গণধোলাই দিয়ে খুন করে আততায়ীরা। এই প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সমিতির নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের বক্তব্যকে সমর্থন করেন রিজভি। তিনি বলেন, গরুকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মায়ের মত দেখেন। তাই আমাদের উচিৎ তাদের ধর্মীয় অনূভূতি বিবেচনা করে গোহত্যা বন্ধ করা। আর গোমাংশ খাওয়া বাদ দেওয়া। এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার জন্য আইন প্রণয়ণের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।


ওয়াসিম রিজভি বরাবরাই মুসলমানদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করার জন্য নরেন্দ্র মোদির নিকট চিঠিও লিখেছিলেন। এ জন্য শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বী অধিকাংশ মুসলমান তাকে হিন্দুদের দালাল বলে মনে করে।


গণধোলাই দিয়ে হত্যা প্রসঙ্গে ইন্দ্রেশ বলেছিলেন, যিশু খ্রিস্ট গোশালায় জন্মগ্রহণ করেছিলে এজন্য বাইবেলে মাদার কাউয়ের কথা বলা আছে। আর মক্কা-মদিনাতেও গোহত্যা পাপ। তাই আমাদেরকে এই পাপ থেকে মুক্ত হতে হলে গোহত্যা হতে দেওয়া যাবে না।


ওয়াসিম রিজভি বরাবরাই মুসলমানদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। এর আগে ‘বেশির ভাগ মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়, শুধু দাড়ি রাখা মুসলমনার জঙ্গি হয়’ সহ নানান সময়ে নানান মন্তব্য করে বিতর্কিত হন রিজভি। তিনি ভারতের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করার জন্য নরেন্দ্র মোদির নিকট চিঠিও লিখেছিলেন। এজন্য শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বী অধিকাংশ মুসলমান তাকে হিন্দুদের দালাল বলে মনে করে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three