অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের পাহাড়তলীর কাটা পাহাড় ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের শাপলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহতরা রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী ও চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার: জেলার পাহাড়তলী এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু নিহত হয়েছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, ভুলু কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজির ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলুকে নিয়ে কাটা পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।
এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করেন ভুলু বাহিনীর সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও ছয়টি খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভুলুকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ: উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আজিম উল্লাহ (২২) ও আবদুস সালাম (৫২) নামে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহত আজিম উল্লাহ টেকনাফ শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রহিমের ছেলে এবং আবদুস সালাম উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শাপলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে মানবপাচারকারীরা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ আসে। এর ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
পরে অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে আজিম উল্লাহ ও আবদুস সালামের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মোবারক হোসেন, খাইরুল ও মানিক মিয়া আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি।