রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর ফলে প্রথমবারের মতো অবলোপনের হিসাব বাদে খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এছাড়া গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকের হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নীট ৪০ হাজার ১০১ কোটি টাকা। এ ঋণ যোগ করলে দেশে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বরের চূড়ান্ত হিসাব তৈরির আগে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের বিভিন্ন নিয়মে ছাড় দিয়ে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও অনেকে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছিলেন। ওই সময়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়। এসব ঋণ এখন নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়েছে। যে কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।
জানা যায়, মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২০০৯ সালের শুরুতে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। আর এখন তা বেড়ে হলো প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ বছর ৩ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ গুণ।
এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক তথ্য। তবে ব্যাংক কর্মকর্তারাই বলছেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও অনেক বেশি। অনেক ব্যাংক বড় অঙ্কের ঋণ আদায় করতে পারছে না, আবার তা খেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকও এতে নজর দিচ্ছে না। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের অজুহাতে প্রতিবছরই ব্যাংকগুলো নানা ছাড় নিচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্যও বেরিয়ে আসছে না। পাওয়া যাচ্ছে না ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র।